·
মিশরের প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ও ফাক্বীহ, আশ-শাইখ, আল-‘আল্লামাহ, ড. মুহাম্মাদ বিন সা‘ঈদ রাসলান (হাফিযাহুল্লাহ) [জন্ম: ১৯৫৫ খ্রি.] বলেছেন—
মিশরের প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ও ফাক্বীহ, আশ-শাইখ, আল-‘আল্লামাহ, ড. মুহাম্মাদ বিন সা‘ঈদ রাসলান (হাফিযাহুল্লাহ) [জন্ম: ১৯৫৫ খ্রি.] বলেছেন—
“ওহে আল্লাহ’র বান্দারা! নাবী ﷺ যুলহাজ্ব মাসের প্রথম দশকে ভালো আমল করার ফজিলত বর্ণনা করেছেন। সালাত আদায় করা এবং লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল-হামদুলিল্লাহ, সুবহানাল্লাহ ও আল্লাহু আকবার—বলার মাধ্যমে জিকির করাও ভালো আমলের অন্তর্ভুক্ত। অনুরূপভাবে কুরআন তেলাওয়াত করাও ভালো আমলের অন্তর্ভুক্ত।
‘ইলম অন্বেষণ করা এবং তা মানুষের মধ্যে প্রচার করাও ভালো আমল। রোজা, জাকাত, সদকা, পিতামাতার সাথে সদাচারণ, এতিম ও অভাবীদের প্রতি দয়ার্দ্র হওয়া, আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা, প্রতিবেশিদের সাথে ভালো ব্যবহার করা প্রভৃতির সবই ভালো আমল।
তাই যুলহাজ্ব মাসের প্রথম নয়দিন রোজা রাখা, কুরআন তেলাওয়াত করা এবং যে কোনো ইবাদতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা করা বাঞ্ছনীয়; যেমনটি করেছেন আমাদের অগ্রবর্তী ন্যায়নিষ্ঠ সালাফগণ।
এটাই সুযোগ, হয়তো আগামীতে এ সুযোগ আর কখনো আসবে না। এই সময় যদি অতিবাহিত হয়ে যায়, তাহলে হয়তো তা আর কখনো ফিরে আসবে না। মানুষ তো এ শঙ্কা থেকেই মুক্ত নয় যে, সে আগামী দিন পাবে, না কি পাবে না! সে তো জানে না, আদৌ আগামী দিনের প্রভাত-প্রদীপ তার ওপর উদিত হবে, না কি আগামীকালই তাকে অন্ধকার কবরে চলে যেতে হবে।
তাই আমরা আল্লাহ’র কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন আমাদের ওপর অনুগ্রহ করেন এবং তাঁর সর্বব্যাপী রহমত দিয়ে আমাদের আচ্ছাদিত করেন। বস্তুত তিনি সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান।”
·
তথ্যসূত্র:
তথ্যসূত্র:
‘আল্লামাহ মুহাম্মাদ রাসলান (হাফিযাহুল্লাহ), ফাদ্বলু ‘আশরি যিল হিজ্জাহ ওয়া সিহহাতুল মু‘তাক্বাদি ওয়াল ইজতিহাদু ফিত্ব ত্বা‘আত; পৃষ্ঠা: ২০-২১; শাইখের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (rslan.com) থেকে সংগৃহীত সফট কপি।
·
অনুবাদক: মুহাম্মাদ ‘আব্দুল্লাহ মৃধা
অনুবাদক: মুহাম্মাদ ‘আব্দুল্লাহ মৃধা
No comments:
Post a Comment