Saturday 2 August 2014

আক্বীদাহ সংক্রান্ত কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ মাসআলাহ (শেষ পর্ব )



৩১.প্রশ্ন: যাদুর বিধান কী? এবং যাদুকরের শাস্তি কী ?
উত্তর: যাদুর বিধান হলো: কাবীরাহ গোনাহ, আর কখনো কুফরী। অবস্থা পরিপ্রেক্ষিতে যাদুকর কখনো মুশরিক, কখনো কাফির আবার কখনো ফিৎনা সৃষ্টিকারী হিসেবে গণ্য হয়ে থাকে। যাদুকরের কার্যক্রম অনুযায়ী কখনো তার শাস্তি হিসেবে তাকে হত্যা করা ওয়াজিব। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
﴿وَلَكِنَّ الشَّيَاطِيْنَ كَفَرُوْا يُعَلِّمُوْنَ النَّاسَ السِّحْرَ﴾
অর্থ:‘কিন্তু শয়তানরাই কুফরী করেছিল, আর তারা মানুষদেরকে যাদু বিদ্যা শিক্ষা দিত। (বাক্বারাহ: ১০২)।
৩২. প্রশ্ন: গণক ও জ্যোতিষীরা কি গায়েবের খবর রাখে? এবং গণক ও জ্যোতিষীদের কথা বিশ্বাস করার বিধান কী ?
উত্তর: না, গণক ও জ্যোতিষীরা গায়েবের খবর রাখে না। আল্লাহ তাআলার কথাই এর দলীল। যেমন তিনি বলেন,

আক্বীদাহ সংক্রান্ত কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ মাসআলাহ (পর্ব-৩)

২১. প্রশ্নঃ আল্লাহ তা‘আলা নাবী ও রাসূলগণকে দুনিয়ায় কী জন্য পাঠিয়েছিলেন?
উত্তর: আল্লাহ তা‘আলা নাবী ও রাসূলগণকে দুনিয়ায় পাঠিয়েছিলেন, তাঁদের মাধ্যমে মানুষদেরকে আল্লাহর ইবাদতের দিকে তথা আল্লাহর একত্ববাদের দিকে দাওয়াত দেয়ার জন্য। আর আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে অংশীদার স্থাপন করা থেকে মানুষদেরকে বিরত রাখার জন্য। আল্লাহ তাআলার কথাই এর দলীল। যেমন তিনি বলেন:
﴿وَلَقَدْ بَعَثْنَا فِيْ كُلِّ أُمَّةٍ رَّسُوْلاً أَنِ اعْبُدُوْا اللهَ وَاجْتَنِبُوْا الطَّاغُوْتَ﴾
অর্থ:‘আল্লাহর ইবাদত করার ও তাগুতকে বর্জন করার নির্দেশ দেয়ার জন্যে আমি তো প্রত্যেক জাতির নিকট রাসূল পাঠিয়েছি (আন্ নাহল:৩৬)।
২২. প্রশ্ন: ইবাদতের অর্থ কি ? এবং ‘ইবাদত কালিমা, নামায, রোযা, হাজ্জ ও যাকাত এ কয়টির মধ্যেই কি সীমাবদ্ধ?
উত্তর: ইবাদতের অর্থ: প্রকাশ্য এবং গোপনীয় ঐ সকল কাজ ও কথা যা আল্লাহ তা‘আলা ভালবাসেন বা যার দ্বারা আল্লাহর সস্তুষ্টি অর্জন করা যায় তাকে ইবাদত বলা হয় ‘ইবাদত কালেমা, নামায, রোযা, হাজ্জ ও যাকাত এ কয়টির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়।  আল্লাহ তা‘আলার কথাই এর দলীল, যেমন তিনি বলেন :
﴿قُلْ إِنَّ صَلاَتِيْ وَنُسُكِيْ وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِيْ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ﴾
অর্থঃ ‘(হে রাসূল! সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপনার উম্মাতদেরকে) আপনি বলে দিন যে, নিশ্চয়ই আমার নামায, আমার কুরবাণী, এবং আমার জীবন ও মরণ সব কিছুই সেই আল্লাহর জন্য যিনি সারা বিশ্বের প্রতিপালক (আনআম: ১৬২)।

আক্বীদাহ সংক্রান্ত কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ মাসআলাহ (পর্ব-২)




১১. প্রশ্নঃ আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কি গায়েব বা অদৃশ্যের খবর জানতেন?
উত্তরঃ না, আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম গায়েবের খবর রাখতেন না। আল্লাহর কথাই এর দলীল। যেমন তিনি বলেন:
﴿قُل لاَّ أَمْلِكُ لِنَفْسِيْ نَفْعًا وَّلاَ ضَرًّا إِلاَّ مَا شَآءَ اللهُ وَلَوْ كُنْتُ أَعْلَمُ الْغَيْبَ لاَسْتَكْثَرْتُ مِنَ الْخَيْرِ وَمَا مَسَّنِيَ السُّوْءُ﴾ (الأعراف:১৮৮)
অর্থঃ :‘(হে মুহাম্মাদ! সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপনি ঘোষণা করে দিন যে, একমাত্র আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া আমার নিজের ভাল-মন্দ, লাভ-লোকসান, কল্যাণ-অকল্যাণ ইত্যাদি বিষয়ে আমার কোনই হাত নেই। আর আমি যদি গায়েবের খবর জানতাম, তাহলে বহু কল্যাণ লাভ করতে পারতাম, আর কোন প্রকার অকল্যাণ আমাকে স্পর্শ করতে পারত না। (আল-আ‘রাফ:১৮৮)
বাস্তবতার আলোকে আমরা একথা বলতে পারি যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যদি গায়েবের খবর জানতেন, তাহলে অবশ্যই তিনি ওহুদের যুদ্ধে, বদরের যুদ্ধে, তায়েফে এবং আরো অন্যান্য অবস্থার পরিপেক্ষিতে কঠিন বিপদের সম্মুখীন হতেন না।   
১২.প্রশ্ন: অনেক নামধারী বড় আলেম ও বক্তাগণ বলে থাকেন যে, আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দেহ বা শরীর মুবারক কবরের চারিপার্শ্বে যে সমস্ত মাটি রয়েছে সে সমস্ত মাটির মূল্য বা মর্যাদা অল্লাহর আরশের মূল্য বা মর্যাদার চেয়েও অনেক বেশী। এ কথাটি সঠিক?
উত্তর:  উল্লিখিত কথাটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বানাওয়াট ও মিথ্যা, কেননা কুরআন ও হাদীছ থেকে এর স্বপক্ষে কোনই প্রমাণ পাওয়া যায় না।

আক্বীদাহ সংক্রান্ত কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ মাসআলাহ (পর্ব-২)




১১. প্রশ্নঃ আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কি গায়েব বা অদৃশ্যের খবর জানতেন?
উত্তরঃ না, আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম গায়েবের খবর রাখতেন না। আল্লাহর কথাই এর দলীল। যেমন তিনি বলেন:
﴿قُل لاَّ أَمْلِكُ لِنَفْسِيْ نَفْعًا وَّلاَ ضَرًّا إِلاَّ مَا شَآءَ اللهُ وَلَوْ كُنْتُ أَعْلَمُ الْغَيْبَ لاَسْتَكْثَرْتُ مِنَ الْخَيْرِ وَمَا مَسَّنِيَ السُّوْءُ﴾ (الأعراف:১৮৮)
অর্থঃ :‘(হে মুহাম্মাদ! সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপনি ঘোষণা করে দিন যে, একমাত্র আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া আমার নিজের ভাল-মন্দ, লাভ-লোকসান, কল্যাণ-অকল্যাণ ইত্যাদি বিষয়ে আমার কোনই হাত নেই। আর আমি যদি গায়েবের খবর জানতাম, তাহলে বহু কল্যাণ লাভ করতে পারতাম, আর কোন প্রকার অকল্যাণ আমাকে স্পর্শ করতে পারত না। (আল-আ‘রাফ:১৮৮)
বাস্তবতার আলোকে আমরা একথা বলতে পারি যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যদি গায়েবের খবর জানতেন, তাহলে অবশ্যই তিনি ওহুদের যুদ্ধে, বদরের যুদ্ধে, তায়েফে এবং আরো অন্যান্য অবস্থার পরিপেক্ষিতে কঠিন বিপদের সম্মুখীন হতেন না।   
১২.প্রশ্ন: অনেক নামধারী বড় আলেম ও বক্তাগণ বলে থাকেন যে, আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দেহ বা শরীর মুবারক কবরের চারিপার্শ্বে যে সমস্ত মাটি রয়েছে সে সমস্ত মাটির মূল্য বা মর্যাদা অল্লাহর আরশের মূল্য বা মর্যাদার চেয়েও অনেক বেশী। এ কথাটি সঠিক?
উত্তর:  উল্লিখিত কথাটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বানাওয়াট ও মিথ্যা, কেননা কুরআন ও হাদীছ থেকে এর স্বপক্ষে কোনই প্রমাণ পাওয়া যায় না।

আক্বীদাহ সংক্রান্ত কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ মাসআলাহ (পর্ব-১)

اَلْمَسَائِلُ الْمُهِمَّة اَلَّتِيْ تَتَعَلَّقُ بِالْعَقِيْدَة إعداد: أبوالكلام أزاد, مراجعة: عبد النور بن عبد الجبار

আক্বীদাহ সংক্রান্ত কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ মাসআলাহ (পর্ব-১)

প্রণয়নেঃ আবুল কালাম আযাদ সম্পাদনায়: আব্দুন নূর আব্দুল জব্বার
১. প্রশ্ন: মহান আল্লাহ কোথায় অবস্থান করেন?
উত্তর: মহান আল্লাহ আরশে আযীমের উপর অবস্থান করেন। আল্লাহর কথাই এর দলীল। আল্লাহ তায়ালা বলেন:
﴿الرَّحْمَنُ عَلَى الْعَرْشِ اسْتَوَى﴾
অর্থ: ‘(তিনি আল্লাহ বলেন) পরম দয়াময় আরশের উপর সমুন্নীত রয়েছেন। [সূরা ত্বা-হা:৫] মহান আল্লাহ আসমানের উপর বা আরশে আযীমের উপর সমুন্নত আছেন, এই অর্থে কুরআন মাজীদের ৭টি আয়াত রয়েছে।  অতএব যারা দাবী করেন যে, মহান আল্লাহ সর্ব জায়গায় বিরাজমান, অথবা তিনি মুমিন বান্দার ক্বলবের ভিতর অব্স্থান করেন, আর মু‘মিন বান্দার ক্বলব বা অন্তর হলো আল্লাহর আরশ বা ঘর। তাদের এ সমস্ত দাবী সবই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
২. প্রশ্ন: মহান আল্লাহর চেহারা অর্থাৎ মূখমন্ডল আছে কি? থাকলে তার দলীল কী?

যে ব্যক্তি আযান শুনে নিম্নের দুআটি পড়বে কিয়ামতের দিন তাঁর জন্য আমার শাফাআত করা ওয়াজিব হয়ে যাবে

সহিহ আত্ তিরমিজি :: সালাত অধ্যায়

অধ্যায় ২ :: হাদিস ২১১
মুহাম্মদ ইবন সাকহল ইবন আসকার আল বাগদাদী ও ইবরাহীম ইবন ইয়াকুব ....... জাবির ইবন আবদিল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকে বর্ননা করেন যে রাসূল ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আযান শুনে নিম্নের দুআটি পড়বে কিয়ামতের দিন তাঁর জন্য আমার শাফাআত করা ওয়াজিব হয়ে যাবে। দুআটি এইঃ.....

اللَّهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ وَالصَّلَاةِ الْقَائِمَةِ آتِ مُحَمَّدًا الْوَسِيلَةَ وَالْفَضِيلَةَ وَابْعَثْهُ مَقَامًا مَحْمُودًا الَّذِي وَعَدْتَهُ إِلَّا حَلَّتْ لَهُ الشَّفَاعَةُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ جَابِرٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ لَا نَعْلَمُ أَحَدًا رَوَاهُ غَيْرَ شُعَيْبِ بْنِ أَبِي حَمْزَةَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ وَأَبُو حَمْزَةَ اسْمُهُ دِينَارٌ
ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী রহ.বলেনঃ জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহ বর্ণিত হাদীছটি হাসান এবং মুহাম্মাদ ইবনুল মুনকাদিরের রিওয়ায়াত হিসাবে গরীব।শুআযব ইবন আবী হামযা ছাড়া ইবনুল মুনকাদিরক থেকে আর কেউ এ হাদছিটি রিওয়ায়াত করেছেন বলে আমরা জানি না।

Jami at-Tirmidhi :: Something Else
Part 2 :: Hadith 211
Jabir bin Abdullah narrated that :
Allah's Messenger said: "Whoever says, when he hears the call: (Allahumma, rabba hadhihidda 'watit-tammati was Salatilqa'imah, ati Muhammadanil wasilata wal-Fadilata, wab'athhu Maqamun Mahmudan alladhi wa'adtahu) 'O Allah! Lord of this perfect call and established prayer, grant Muhammad Al-Wasilah and Al-Fadilah, and raise him to the praised station that you promised him' - then intercession on the Day of Resurrection is made lawful for him." (Sahih)


মুআযযিনের আযান শুনে যে ব্যাক্ত

সহিহ আত্ তিরমিজি :: সালাত অধ্যায়

অধ্যায় ২ :: হাদিস ২১০
কুতায়বা ......... সাদ ইবন আবী ওয়াককাস রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকে বর্ণনা  করেন যে, রাসূল বলেন মুআযযিনের আযান শুনে যে ব্যাক্ত মিম্নের দুআটি পড়বে আল্লাহ তাআলা তাঁর গুনাহ সমূহ মাফ করে দিবেন। দুআটি হলঃ...........
.
وَأَنَا أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ رَضِيتُ بِاللَّهِ رَبًّا وَبِمُحَمَّدٍ رَسُولًا وَبِالْإِسْلَامِ دِينًا غُفِرَ لَهُ ذَنْبُهُ
قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ لَا نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ حَدِيثِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ حُكَيْمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قَيْسٍ
ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী রহ.বলেনঃএই হাদীছটি হাসান ও সহীহ গরীব। লায়ছ ইবন সাদ হুকায়ম ইবন আবদিল্লাহ ইবন কায়স সূত্র ছাড়া অন্য কোন সূত্রে হাদীছটি বর্ণিত আছে বলে আমদের জানা নেই।

Jami at-Tirmidhi :: [What Has Been Related About] What Supplications Is Said [By A Muslim] When The Mu'adh-dhin Calls The Adhan
Part 2 :: Hadith 210
Sa'd bin Abi Waqqas narrated that :
Allah's Messenger said: "Whoever says, when he hears the Mu'adh-dhin: (Wa Ana Ashadu An La Ilaha Illallah, Wahdahu La Sharika Lahu, Wa Anna Muhammadan Abduhu Wa Rasuluhu, Radittu Billahi Rabban Wa Bil-Islam Dinan, Wa Bi Muhammadin Rasulan) 'I too testify that none has the right to be worshiped but Allah, Alone without partners, and that Muhammad is His slave and Messenger, I am pleased with Allah as my Lord, with Islam as my religion and Muhammad as a Messenger.' - Allah will pardon his sins for him." (Sahih)

তোমরা যখন আযানের আওয়ায শুনবে

সহিহ আত্ তিরমিজি :: সালাত অধ্যায়

অধ্যায় ২ :: হাদিস ২০৮
ইসহাক ইবন মূসা আল আনসারী ও কুতায়বা (র)......... সাঈদ রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকে বর্ণনা কেরন যে, রাসূল ইরশাদ করেন তোমরা যখন আযানের আওয়ায শুনবে তখন মুআযযিন যা বলছে তোমারাও তা বলবে।

এই বিষয়ে আবূ রাফি, আবূ হুরায়রা, উম্মু হাবীব, আবদুল্লাহ ইবন উমর, আদুল্লাহ ইবন রাবীআ, আইশা, মুআয ইবন আনাস ও মুআবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকেও হাদীছ বর্ণিত আছে।
ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী রহ.বলেনঃ আবূ সাঈদ বির্ণতাহদছিটি হাসান ও সহীহ। মুমার প্রমুখ রাবী যুহরী (র) এর বরাতে মালিক বর্ণিত রিওয়ায়াতের অনুরূপ (২০৮নং) বর্ণনা কেরছেন। আবদুর রহমান ইবন ইসহাক (র) যুহরী (র) থেকে এই হাদীছটি সাঈদ ইবনুল মসাইয়িব আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহ সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে মালিক বর্ণিত রিওয়ায়াতটি অধিকতর সহীহ।

Jami at-Tirmidhi :: What Has Been Related About What Is Said [by A Man] When the Mu'adh-dhin Calls The Adhan
Part 2 :: Hadith 208
Abu Sa'eed narrated that :
Allah's Messenger said: "Whenyou hear the call (to prayer) then say the similar to what the Mu'adh-dhin says" (Sahih)

আযানের শব্দগুলো দুইবার এবং ইক্বামাতের শব্দগুলো এক একবার বলা

সহিহ আত্ তিরমিজি :: সালাত অধ্যায়

অধ্যায় ২ :: হাদিস ১৯৩
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, বিলাল (রাঃ)-কে আযানের শব্দগুলো দুইবার এবং ইক্বামাতের শব্দগুলো এক একবার বলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। -সহীহ্। ইবনু মাজাহ- (৭২৯-৭৩০)।
       এ অনুচ্ছেদে ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণনাকৃত হাদীসও রয়েছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ আনাস (রাঃ)-এর হাদীসটি হাসান সহীহ। নাবী সাল্লাললাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের কতক সাহাবা, তাবিঈন, ইমাম মালিক, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক এই মতের সমর্থক (ইক্বামাতের শব্দগুলো একবার করে বলতে হবে)।

Jami at-Tirmidhi :: What Has Been Related About Saying The Phrases Of The lqamah Once
Part 2 :: Hadith 193
Anas bin Malik narrated:

"Bilal was ordered to make the phrases of the Adhan even, and the phrases of the Iqamah odd." (Sahih)

আল্লাহ তায়া’লার পরিচয়

ভূমিকা:

মানুষের ক্ষমতার বাইরের কিছু নিয়ে বিতর্ক করা কিছু মানুষের স্বভাব। নিজের সীমাবদ্ধ জ্ঞানের দুর্বলতাকে স্বীকার করার পরিবর্তে এক অসীম সত্ত্বার অস্তিত্ব ও পরিচয় নিয়ে কখনো তাত্ত্বিক আবার কখনো কুটতর্ক বাধিয়ে নিজেকে জ্ঞানী বলে জাহির করার এক ধরণের প্রবণতায় ভোগেন কিছু মানুষ। নিজের অজ্ঞতাকে প্রকাশ করে যদি জানার জন্য প্রশ্নের প্রকাশ করা হয় তাহলে কোন সমস্যা থাকেনা। যারা জানে তারা তখন সে অজ্ঞতা দূর করে দিতে পারে। কিন্তু উদ্দেশ্য যদি হয় “আমি তোমাদের চ্যালেঞ্জ করছি, পারলে আমার প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যাও” ধরণের তাহলে তিনি কোন উত্তরেই সন্তুষ্ট হবেন না। কারণ উত্তর জানা তার উদ্দেশ্য নয়। বরং বিশৃংখলা সৃষ্টি করে ময়দান ঘোলাটে করাই তার উদ্দেশ্য।
মূলত: এই লিখাটি ঐ সমস্ত পাঠকদের জন্য যারা সত্যিকারভাবে আল্লাহর পরিচয় জেনে নিজেকে ধন্য করতে চান, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করে নিজেক সপে দিতে চান তার মহান দরবারে।
লিখাটা হয়তো একটু দীর্ঘ হতে পারে। আমি আগ্রহী পাঠকদের একটু ধৈর্য ধরে পড়তে পড়ার জন্য অনুরোধ করব। এখানকার আলোচনাগুলো আল্লাহ্‌ (সুবহানাহু ওয়া তা’আলা) ও তাঁর রসূল যেভাবে আল্লাহ্‌ সম্পর্কে বর্ণনা করেছেন সেভাবে বর্ণনা করার চেষ্টা করা হয়েছে। আল্লাহ আমাদেরকে তাওফীক দান করুন। আমীন।

আল্লাহ্‌ কে, তার পরিচয় কি?
আল্লাহ্‌ নিজেই নিজের পরিচয় দিয়েছেন কুর’আনের বিভিন্ন জায়গায়। এখানে আমি কয়েকটা উদ্ধৃত করছি।

কবর পাকা করা



সকল প্রশংসা একমাত্র মহান রাব্বুল আলামীনের জন্যে, যিনি জগত সমূহের একচ্ছত্র মালিক। অজস্র শান্তির ধারা বর্ষিত হোক নবীকুল শিরোমনী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, তাঁর পরিবারবর্গ এবং তাঁর সকল অনুসারীদের উপর। পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে কবর পাকা করা, চুনকাম করা, কবর উঁচু করার প্রবনতা দেখা যায়। বিশেষ করে আমাদের দেশ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্থানে এ ধরণের কর্মকান্ড খুবই বেশী। প্রতিনিয়ত তা বেড়েই চলছে। মানুষের ধারণা হল এ সমস্ত কাজ শরীয়ত সম্মত এবং এতে ছোয়াব রয়েছে। তাই দেখা যায় করবস্থানে, রাস্তার আশে-পাশে, চৌরাস্তায় ও বটগাছ তলায় কবর পাকা করে, চুনকাম করে, তাতে উন্নত নেমপ্লেট ব্যবহার করে মৃত্যু ব্যক্তির জন্ম, মৃত্যু তারিখ ও বিভিন্ন বানী লিখে রাখা হয়। এ জাতীয় সকল কাজ শরীয়ত বিরোধী। শরীয়তে এর হুকুম হল বিদআত। কারণ এ গুলো করার পিছনে ইসলামী শরীয়তে কোন দলীল নেই, বরং এ গুলো থেকে দূরে থাকার ব্যাপারে শরীয়ত কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। বিশিষ্ট সাহাবী জাবের (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন,
نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُجَصَّصَ الْقَبْرُ وَأَنْ يُقْعَدَ عَلَيْهِ وَأَنْ يُبْنَى عَلَيْهِ.
“রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কবরে চুন কাম করা, তার উপর বসা এবং তার উপর বিল্ডিং নির্মান করতে নিষেধ করেছেন। (মুসলিম)
এ হাদীস দ্বারা স্পষ্ট প্রমাণ হল যে, কবরে প্লাস্টার লাগানো, চুন কাম করা, পাকা করা, কবরের উপর বিল্ডিং ও গম্বুজ নির্মাণ করা কঠোর ভাবে নিষেধ। তারা বলে থাকেন আমরা সৌন্দর্য প্রকাশ ও কবরকে হেফাযতের জন্য এ গুলো করে থাকি। জেনে রাখুন সোন্দর্য প্রকাশের জন্য হোক, মানুষকে আকৃষ্ট করার জন্য হোক কিংবা হেফাযতের জন্য হোক, তা শরীয়তে জঘন্যতম বিদআত। এ গুলো করার পিছনে কোন দলীল নেই।
বর্তমান কালে অধিকাংশ মুসলিম সমাজ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে। রাসূল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যা নিষেধ করেছেন, তারা তাতেই লিপ্ত হয়েছে। এতে করে তারা বড় শির্কে লিপ্ত হয়েছে। কবরে উপর নির্মাণ করছে মাসজিদ ও গম্বুজ। কবরকে পরিণত করছে মাযারে ও যিয়ারতের স্থানে। সেখানে তারা পশু যবেহ করা ও কবর বাসীর কাছে চাওয়া-পাওয়া, নযর-নেওয়াজ ইত্যাদি সকল প্রকার ইবাদতে লিপ্ত হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ ওয়া সাল্লাম এর যুগে বদর, উহুদ, খন্দক, তাবুক যুদ্ধ ছাড়াও যে সকল সাহাবী শহীদ হয়েছেন অথবা মৃত্যু বরণ করেছেন তাঁদের কারও কবর উচু করা হয় নাই। তাঁদের কারও কবর পাকা ও চুনকামও করা হয়নি এবং তাতে নামও লিখা হয়নি। তাঁদের কারও কবর মোজাইক অথবা পাথর দ্বারা বাঁধানো হয়নি বরং এ সকল কাজ যেমন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিষেধ করেছেন, তাঁর পরে স্বর্ণ যুগের খোলাফায়ে রাশেদীনগণও কঠোর হস্তে দমন করেছেন। এর একটি উজ্জল উদাহরণ হল, প্রখ্যাত তাবেয়ী আবুল হাইয়্যাজ আল আসাদী বলেন, আমাকে আলী (রাঃ) বললেনঃ

ডাউনলোড করুন: হারাম ও কবীরা গুনাহ (১ম, ২য় ও ৩য় খণ্ড)


গ্রন্থনায়: শাইখ মোস্তাফিজুর রহমান বিন আব্দুল আজিজ। লিসান্স, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সৌদী আরব।
প্রকাশনায়: বাদশাহ  খালিদ সেনানিবাস, প্রবাসী ধর্মীয় নির্দেশনা কেন্দ্র, হাফর আল বাতেন, সৌদী আরব।
নিম্নে বইগুলোর পিডিএফ ভার্সন প্রদান করা হল:
১) হারাম ও কবীরা গুনাহ প্রথম খণ্ড ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন। (১.৫৩ এমবি, পৃষ্ঠা সংখ্যা: ২৪০)
২) হারাম ও কবীরা গুনাহ দ্বিতীয় খণ্ড ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন। (০.৯৮ এমবি, পৃষ্ঠা সংখ্যা: ২৩২)
৩) হারাম ও কবীরা গুনাহ তৃতীয় খণ্ড ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন। (১.২৬ এমবি, পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১৬৮)

 সম্মানিত লেখক সহ বইগুলো প্রকাশের ক্ষেত্রে যাদের অবদান আছে আল্লাহ তায়ালা তাদের সবাইকে দুনিয়া ও আখেরাতে উত্তম জাযা দান করুন। আমীন।

একশটি কবীরা গুনাহ

কবীরা গুনাহ কাকে বলে?


কবীরা গুনাহ বলা হয় ঐ সকল বড় বড় পাপকর্ম সমূহকে যেগুলোতে নিন্মোক্ত কোন একটি বিষয় পাওয়া যাবে:
  • যে সকল গুনাহের ব্যাপারে ইসলামে শরীয়তে জাহান্নামের শাস্তির কথা বলা হয়েছে।
  • যে সকল গুনাহের ব্যাপারে দুনিয়াতে নির্ধারিত দণ্ড প্রয়োগের কথা রয়েছে।
  • যে সকল কাজে আল্লাহ তায়ালা রাগ করেন।
  • যে সকল কাজে আল্লাহ তায়ালা, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও ফেরেশতা মণ্ডলী লানত দেন।
  • যে কাজের ব্যাপারে বলা হয়েছে, যে এমনটি করবে সে মুসলমানদের দলভুক্ত নয়।
  • কিংবা যে কাজের ব্যাপারে আল্লাহ ও রাসূলের সাথে সম্পর্কহীনতার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
  • যে কাজে দ্বীন নাই, ঈমান নাই ইত্যাদি বলা হয়েছে।
  • যে ব্যাপারে বলা হয়েছে ্‌এটি মুনাফিকের আলামত বা মুনাফিকের কাজ।
  • অথবা যে কাজকে আল্লাহ তায়ালা সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করা হয় করা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
কবীরা গুনাহ থেকে বিরত থাকার মর্যাদাঃ
১. মহান আল্লাহ বলেন:
إِن تَجْتَنِبُوا كَبَائِرَ مَا تُنْهَوْنَ عَنْهُ نُكَفِّرْ عَنكُمْ سَيِّئَاتِكُمْ وَنُدْخِلْكُم مُّدْخَلًا كَرِيمًا
“যেগুলো স¤পর্কে তোমাদের নিষেধ করা হয়েছে যদি তোমরা সেসব বড় গোনাহ গুলো থেকে বেঁচে থাকতে পার। তবে আমি তোমাদের (ছাট) গুনাহ সমূহ ক্ষমা করে দেব এবং সম্মান জনক স্থানে তোমাদের প্রবেশ করাব।” (সূরা নিসা: ৩১)
২. রাসুলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন:
الصلوات الخمس . والجمعة إلى الجمعة . ورمضان إلى رمضان . مكفرات ما بينهن إذا اجتنب الكبائر
 “পাঁচ ওয়াক্ত নামায, এক জুমআ থেকে আরেক জুমআ এবং এক রামাযান থেকে আরেক রামাযান এতদুভয়ের মাঝে সংঘটিত সমস্ত পাপরাশীর জন্য কাফফারা স্বরূপ যায় যদি কবীরা গুনাহ সমূহ থেকে বেঁচে থাকা যায়।” (মুসলিম)

কোয়ান্টাম মেথড:- এক ভয়াবহ শিরকী ফেতনার নাম!!



এই ফেতনা বাংলাদেশের হাজারও মুসলমানকে শিরক্ কুফরী আর বিদ’আত করতে বাধ্য করছে! মেডিটেশনের আড়ালে ভন্ড গুরুজীর রমরমা ব্যবসা!!
“আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে পূর্নাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্যে দ্বীন বা জীবন বিধান হিসেবে মনোনীত করলাম।” [সূরা আল মায়েদাহ:-৩]
“সত্যতম বাণী আল্লাহর কিতাব, সর্বোত্তম আদর্শ মুহাম্মাদের আদর্শ, সবচেয়ে খারাপ বিষয় হল নতুন উদ্ভাবিত বিষয়। প্রতিটি নতুন উদ্ভাবিত বিষয়ই বিদআত, আর প্রতিটি বিদআতই পথভ্রষ্টতা।” [সহীহ্ মসলিম:- ২/৫৯৩]
“যে ব্যক্তি ইসলাম ছাড়া অন্য কিছুকে দ্বীন হিসাবে তালাশ করবে, তার নিকট থেকে তা কবুল করা হবেনা। আর আখেরাতে সে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।”
[সূরা আলে ইমরান:-৮৫]
আল্লাহর বানী এত্ত স্পষ্ট হওয়ার পরেও এক জন মুসলমানের জীবনে শান্তি খুজতে কোয়ান্টাম মেথড এর সাহাজ্য নিতে হয় কেন এবং কোন সাহসে!??
কোয়ান্টাম মেথড : একটি শয়তানী ফাঁদ

যুহর ও আসরের নামায একত্রে এবং মাগরিব ও ‘ইশার নামায একত্রে আদায়

সহিহ আত্ তিরমিজি :: সালাত অধ্যায়
অধ্যায় ২ :: হাদিস ১৮৭
ইবনু ‘আববাস (রাঃ) হবের্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাললাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভয় অথবা বৃষ্টিজনিত কারণ ছাড়াই মাদীনাতে যুহর ও আসরের নামায একত্রে এবং মাগরিব ও ‘ইশার নামায একত্রে আদায় করেছেন। সা‘ঈদ ইবনু যুবাইর বলেন, ইবনু ‘আববাস (রাঃ)-কে প্রশ্ন করা হল, এরূপ করার পেছনে তাঁর (রাসূলুল্লাহ সাল্লাললাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কি উদ্দেশ্য ছিল? তিনি বললেন, উম্মাতের অসুচিবধা হ্রাস করাই তাঁর উদ্দেশ্য ছিল। -সহীহ্। ইরওয়া- (১/৫৭৯), সহীহ্ আবূ দাঊদ- (১০৯৬), মুসলিম।
       এ অনুচ্ছেদে আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসও রয়েছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ ইবনু ‘আববাসের হাদীসটি তাঁর নিকট হতে বিভিন্ন সনদে বর্ণিত হয়েছে। জাবির ইবনু যাইদ, সা‘ঈদ ইবনু যুবাইর এবং ‘আবদুল্লাহ ইবনু শাকীকও এ হাদীসটি তাঁর নিকট হতে বর্ণনা করেছেন। ইবনু ‘আববাসের সূত্রে নাবী সাল্লাললাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে ভিন্নরূপও বর্ণিত হয়েছে।

Jami at-Tirmidhi :: What Has Been Related About Combining Two Prayers While [A Resident]
Part 2 :: Hadith 187
Ibn Abbas said:
"Allah's Messenger combined the Zuhr and Asr (prayers), and the Maghrib and Isha (prayers) in Al-Madinah, without being in a state of fear, nor due to rain." (Sahih)


দুই আযানের মাঝখানে নামায

সহিহ আত্ তিরমিজি :: সালাত অধ্যায়
অধ্যায় ২ :: হাদিস ১৮৪
আবদুল্লাহ ইবনু মুগাফফাল (রাঃ) হতে বর্ণিথ আছে, নাবী সাল্লাললাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ প্রত্যেক দুই আযানের মাঝখানে নামায আছে, যে চায় তা আদায় করতে পারে। -সহীহ্। ইবনু মাজাহ- (১১৬২), বুখারী ও মুসলিম।
       এ অনুচ্ছেদে ‘আবদুল্লাহ ইবনযু যুবাইর (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসও রয়েছে। আবূ ‘ঈসা বলেন, ‘আব্দুল্লাহ ইবনু মুগাফফাল (রাঃ)-এর হাদীসটি হাসান সহীহ। মাগরিবের নামাযের পূর্বে (অতিরিক্ত) নামায আদায় সম্পর্কে নাবী সাল্লাললাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবদের মধ্যে মতের অমিল রয়েছে। তাদের কতেকের মত হল, মাগিরবের (আযানের পর এবং ইক্বামাতের) পূর্বে কোন নামায না আদায় করাই শ্রেয়। অপর দিকে একাধিক সাহাবা মাগরিবের আযান ও ইক্বামাতের মাঝখানে দুই রাক‘আত নামায আদায় করতেন। ইমাম আহমাদ ও ইসহাক বলেন, কেউ যদি এ দুই রাক‘আত নামায আদায় করে তবে সে ভালোই করে এ দু‘রাক‘আত আদায় করে নেয়াটা মুস্তাহাব।

Jami at-Tirmidhi :: What Has Been Related About Salat Before Maghrib
Part 2 :: Hadith 184
Abdullah bin Mughaffal narrated that :

the Prophet said: "Between every two calls (to prayer) there is a Salat for whoever wills." (Sahih)

Friday 1 August 2014

পবিত্রতা সম্পর্কে প্রশ্নোত্তর

প্রশ্নঃ (১২৭) দন্ডায়মান অবস্থায় প্রস্রাব করার বিধান কি?
উত্তরঃ নিম্ন লিখিত দু’টি শর্তের ভিত্তিতে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করা যায়ঃ
১)     প্রস্রাবের ছিটা থেকে সে নিরাপদ থাকবে।
২)     কেউ যেন তার লজ্জাস্থানের প্রতি দৃষ্টিপাত না করতে পারে।
প্রশ্নঃ (১২৮) কুরআন মাজীদ সাথে নিয়ে টয়লেটে প্রবেশ করার বিধান কি?
উত্তরঃ বিদ্বানগণ বলেন, কুরআন শরীফ সাথে নিয়ে টয়লেটে প্রবেশ করা জায়েয নয়। কেননা একথা সর্বজন বিদিত যে, পবিত্র কুরআন এমন সম্মান ও মর্যাদাবান বস্তু যা সাথে নিয়ে টয়লেটের মত স্থানে প্রবেশ করা সমিচীন নয়।
প্রশ্নঃ (১২৯) আল্লাহর নাম সম্বলিত কাগজ সাথে নিয়ে টয়লেটে প্রবেশ করার বিধান কি?
উত্তরঃ আল্লাহর নাম সম্বলিত কাগজ যদি বাইরে প্রকাশিত না থাকে বরং তা পকেটের মধ্যে থাকে বা গোপনে অপ্রকাশিত অবস্থায় থাকে, তবে তা সাথে নিয়ে টয়লেটে প্রবেশ করা জায়েয। সাধারণত অনেক নাম তো এমন রয়েছে যা আল্লাহ্র নামের সাথে সম্পর্কযুক্ত। যেমন আবদুল্লাহ বা আবদুল আজীজ প্রভৃতি।
প্রশ্নঃ (১৩০) টয়লেটের মধ্যে ওযু করার দরকার হলে সে সময় কিভাবে ‘বিসমিল্লাহ্’ বলবে?
উত্তরঃ টয়লেটের মধ্যে ওযু করলে মনে মনে বিসমিল্লাহ্ বলবে, মুখে উচ্চারণ করে বলবে না। কেননা ওযু ও গোসলে ‘বিসমিল্লাহ্’ ওয়াজিব হওয়ার বিষয়টি শক্তিশালী নয়। ইমাম আহমাদ (রহঃ) বলেন, ‘ওযুতে বিসমিল্লাহ্ বলার ব্যাপারে নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বিশুদ্ধ কোন হাদীছ নেই।’ এজন্যে মুগনী গ্রন্থের লিখক মুওয়াফ্ফাক বিন কুদামা মত প্রকাশ করেছেন যে, ওযুর সময় ‘বিসমিল্লাহ্’ বলা ওয়াজিব নয়।
প্রশ্নঃ (১৩১) প্রস্রাব-পায়খানার সময় কিবলা সামনে বা পিছনে রাখার বিধান কি?
উত্তরঃ এ মাসআলায় বিদ্বানদের থেকে কয়েকটি মত পাওয়া যায়ঃ
একদল বিদ্বান বলেন, বন্ধ ঘর ছাড়া অন্য কোথাও কিবলা সামনে বা পিছনে রেখে প্রস্রাব-পায়খানা করা হারাম। তারা আবু আইয়্যুব আনসারী (রাঃ)এর হাদীছকে দলীল হিসেবে গ্রহণ করেছেন। নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ
إِذَا أَتَيْتُمُ الْغَائِطَ فَلَا تَسْتَقْبِلُوا الْقِبْلَةَ وَلَا تَسْتَدْبِرُوهَا بِبَوْلٍ وَلَا غَائِطٍ وَلَكِنْ شَرِّقُوا أَوْ غَرِّبُوا قَالَ أَبُو أَيُّوبَ فَقَدِمْنَا الشَّامَ فَوَجَدْنَا مَرَاحِيضَ قَدْ بُنِيَتْ قِبَلَ الْقِبْلَةِ فَنَنْحَرِفُ عَنْهَا وَنَسْتَغْفِرُ اللَّهَ
“তোমরা পেশাব-পায়খানায় গেলে পায়খানার সময় বা প্রস্রাব করার সময় কিবলাকে সামনে রাখবে না এবং পিছনেও রাখবে না। বরং পূর্ব ও পশ্চিম দিক ফিরে বসবে।”[5]  আবু আইয়্যুব বলেন, আমরা শাম দেশে গিয়ে দেখি সেখানকার টয়লেট কা’বার দিকে তৈরী করা আছে। আমরা তা ব্যবহার করার সময় বাঁকা হয়ে বসতাম অতঃপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতাম।
এ বিষয়টি ছিল খোলা মাঠে। কিন্তু বন্ধ ঘরের মধ্যে যদি হয়, তবে কিবলা সামনে বা পিছনে রাখাতে কোন দোষ নেই।
ইবনু ওমার (রাঃ) বর্ণিত হাদীছে বলা হয়েছে, তিনি বলেনঃ
ارْتَقَيْتُ فَوْقَ بَيْتِ حَفْصَةَ فَرَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْضِي حَاجَتَهُ مُسْتَدْبِرَ الْقِبْلَةِ مُسْتَقْبِلَ الشَّأْمِ
“আমি একদা হাফসার বাড়ীর ছাদে উঠলাম। দেখলাম নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শামের দিকে মুখ করে কা’বার দিকে পিছন ফিরে তাঁর প্রয়োজন পূরণ করছেন।” [6]
বিদ্বানদের মধ্যে কেউ কেউ বলেন, ঘেরা স্থানে হোক বা খোলা স্থানে হোক কোন সময়ই কিবলা সম্মুখে বা পশ্চাতে রাখা যাবে না। তাদের দলীল হচ্ছে পূর্বেল্লিখিত আবু আইয়্যুব আনসারীর হাদীছ। আর ইবনু ওমরের হাদীছ সম্পর্কে তাদের জবাব হচ্ছেঃ
প্রথমতঃ ইবনু ওমারের হাদীছটি হচ্ছে নিষেধাজ্ঞার পূর্বের।
দ্বিতীয়তঃ নিষেধাজ্ঞাই প্রাধান্য পাবে। কেননা নিষেধাজ্ঞা আসল থেকে স্থানান্তরিত হয়েছে। আর আসল হচ্ছে জায়েয। তাই জায়েয থেকে স্থানান্তর হয়ে নাজায়েযের বিধানই গ্রহণযোগ্য।
তৃতীয়তঃ আবু আইয়্যুব বর্ণিত হাদীছ নবী (সাঃ)এর উক্তি। আর ইবনু ওমারের হাদীছ তাঁর কর্ম। রাসূল (সাঃ)এর মৌখিক নির্দেশের হাদীছ কর্মের হাদীছের সাথে সংঘর্ষশীল হতে পারে না। কেননা কর্মে বিশেষত্ব ও ভুলের সম্ভাবনা থাকে বা অন্য কোন ওযরেরও সম্ভাবনা থাকতে পারে।
এ মাসআলায় আমার মতে, প্রাধান্যযোগ্য কথা হচ্ছে,

পবিত্রতা সম্পর্কে প্রশ্নোত্তর

প্রশ্নঃ (১২৭) দন্ডায়মান অবস্থায় প্রস্রাব করার বিধান কি?
উত্তরঃ নিম্ন লিখিত দু’টি শর্তের ভিত্তিতে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করা যায়ঃ
১)     প্রস্রাবের ছিটা থেকে সে নিরাপদ থাকবে।
২)     কেউ যেন তার লজ্জাস্থানের প্রতি দৃষ্টিপাত না করতে পারে।
প্রশ্নঃ (১২৮) কুরআন মাজীদ সাথে নিয়ে টয়লেটে প্রবেশ করার বিধান কি?
উত্তরঃ বিদ্বানগণ বলেন, কুরআন শরীফ সাথে নিয়ে টয়লেটে প্রবেশ করা জায়েয নয়। কেননা একথা সর্বজন বিদিত যে, পবিত্র কুরআন এমন সম্মান ও মর্যাদাবান বস্তু যা সাথে নিয়ে টয়লেটের মত স্থানে প্রবেশ করা সমিচীন নয়।
প্রশ্নঃ (১২৯) আল্লাহর নাম সম্বলিত কাগজ সাথে নিয়ে টয়লেটে প্রবেশ করার বিধান কি?
উত্তরঃ আল্লাহর নাম সম্বলিত কাগজ যদি বাইরে প্রকাশিত না থাকে বরং তা পকেটের মধ্যে থাকে বা গোপনে অপ্রকাশিত অবস্থায় থাকে, তবে তা সাথে নিয়ে টয়লেটে প্রবেশ করা জায়েয। সাধারণত অনেক নাম তো এমন রয়েছে যা আল্লাহ্র নামের সাথে সম্পর্কযুক্ত। যেমন আবদুল্লাহ বা আবদুল আজীজ প্রভৃতি।
প্রশ্নঃ (১৩০) টয়লেটের মধ্যে ওযু করার দরকার হলে সে সময় কিভাবে ‘বিসমিল্লাহ্’ বলবে?
উত্তরঃ টয়লেটের মধ্যে ওযু করলে মনে মনে বিসমিল্লাহ্ বলবে, মুখে উচ্চারণ করে বলবে না। কেননা ওযু ও গোসলে ‘বিসমিল্লাহ্’ ওয়াজিব হওয়ার বিষয়টি শক্তিশালী নয়। ইমাম আহমাদ (রহঃ) বলেন, ‘ওযুতে বিসমিল্লাহ্ বলার ব্যাপারে নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বিশুদ্ধ কোন হাদীছ নেই।’ এজন্যে মুগনী গ্রন্থের লিখক মুওয়াফ্ফাক বিন কুদামা মত প্রকাশ করেছেন যে, ওযুর সময় ‘বিসমিল্লাহ্’ বলা ওয়াজিব নয়।
প্রশ্নঃ (১৩১) প্রস্রাব-পায়খানার সময় কিবলা সামনে বা পিছনে রাখার বিধান কি?
উত্তরঃ এ মাসআলায় বিদ্বানদের থেকে কয়েকটি মত পাওয়া যায়ঃ
একদল বিদ্বান বলেন, বন্ধ ঘর ছাড়া অন্য কোথাও কিবলা সামনে বা পিছনে রেখে প্রস্রাব-পায়খানা করা হারাম। তারা আবু আইয়্যুব আনসারী (রাঃ)এর হাদীছকে দলীল হিসেবে গ্রহণ করেছেন। নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ
إِذَا أَتَيْتُمُ الْغَائِطَ فَلَا تَسْتَقْبِلُوا الْقِبْلَةَ وَلَا تَسْتَدْبِرُوهَا بِبَوْلٍ وَلَا غَائِطٍ وَلَكِنْ شَرِّقُوا أَوْ غَرِّبُوا قَالَ أَبُو أَيُّوبَ فَقَدِمْنَا الشَّامَ فَوَجَدْنَا مَرَاحِيضَ قَدْ بُنِيَتْ قِبَلَ الْقِبْلَةِ فَنَنْحَرِفُ عَنْهَا وَنَسْتَغْفِرُ اللَّهَ
“তোমরা পেশাব-পায়খানায় গেলে পায়খানার সময় বা প্রস্রাব করার সময় কিবলাকে সামনে রাখবে না এবং পিছনেও রাখবে না। বরং পূর্ব ও পশ্চিম দিক ফিরে বসবে।”[5]  আবু আইয়্যুব বলেন, আমরা শাম দেশে গিয়ে দেখি সেখানকার টয়লেট কা’বার দিকে তৈরী করা আছে। আমরা তা ব্যবহার করার সময় বাঁকা হয়ে বসতাম অতঃপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতাম।
এ বিষয়টি ছিল খোলা মাঠে। কিন্তু বন্ধ ঘরের মধ্যে যদি হয়, তবে কিবলা সামনে বা পিছনে রাখাতে কোন দোষ নেই।
ইবনু ওমার (রাঃ) বর্ণিত হাদীছে বলা হয়েছে, তিনি বলেনঃ
ارْتَقَيْتُ فَوْقَ بَيْتِ حَفْصَةَ فَرَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْضِي حَاجَتَهُ مُسْتَدْبِرَ الْقِبْلَةِ مُسْتَقْبِلَ الشَّأْمِ
“আমি একদা হাফসার বাড়ীর ছাদে উঠলাম। দেখলাম নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শামের দিকে মুখ করে কা’বার দিকে পিছন ফিরে তাঁর প্রয়োজন পূরণ করছেন।” [6]
বিদ্বানদের মধ্যে কেউ কেউ বলেন, ঘেরা স্থানে হোক বা খোলা স্থানে হোক কোন সময়ই কিবলা সম্মুখে বা পশ্চাতে রাখা যাবে না। তাদের দলীল হচ্ছে পূর্বেল্লিখিত আবু আইয়্যুব আনসারীর হাদীছ। আর ইবনু ওমরের হাদীছ সম্পর্কে তাদের জবাব হচ্ছেঃ
প্রথমতঃ ইবনু ওমারের হাদীছটি হচ্ছে নিষেধাজ্ঞার পূর্বের।
দ্বিতীয়তঃ নিষেধাজ্ঞাই প্রাধান্য পাবে। কেননা নিষেধাজ্ঞা আসল থেকে স্থানান্তরিত হয়েছে। আর আসল হচ্ছে জায়েয। তাই জায়েয থেকে স্থানান্তর হয়ে নাজায়েযের বিধানই গ্রহণযোগ্য।
তৃতীয়তঃ আবু আইয়্যুব বর্ণিত হাদীছ নবী (সাঃ)এর উক্তি। আর ইবনু ওমারের হাদীছ তাঁর কর্ম। রাসূল (সাঃ)এর মৌখিক নির্দেশের হাদীছ কর্মের হাদীছের সাথে সংঘর্ষশীল হতে পারে না। কেননা কর্মে বিশেষত্ব ও ভুলের সম্ভাবনা থাকে বা অন্য কোন ওযরেরও সম্ভাবনা থাকতে পারে।
এ মাসআলায় আমার মতে, প্রাধান্যযোগ্য কথা হচ্ছে,

পবিত্রতা সম্পর্কে প্রশ্নোত্তর

প্রশ্নঃ (১২১) অপবিত্রতা ও বাহ্যিক নাপাক বস্তু থেকে পবিত্রতা অর্জন করার প্রকৃত মাধ্যম কি?
উত্তরঃ যে কোন নাপাকী থেকে পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যম হচ্ছে পানি। পানি ছাড়া অন্য কোন মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করা যাবে না। চাই উক্ত পানি পরিচ্ছন্ন হোক বা পবিত্র কোন বস্তু তাতে পড়ার কারণে তাতে কোন পরিবর্তন দেখা যাক। কেননা বিশুদ্ধ কথা হচ্ছে, পবিত্র কোন বস্তুর কারণে যদি পানির মধ্যে পরিবর্তন দেখা যায়, তবে তাকে পানিই বলা হবে। এর পবিত্র করণের ক্ষমতা বিনষ্ট হবে না। এই পানি নিজে পবিত্র অন্যকেও পবিত্র করতে পারে।
পানি যদি না পাওয়া যায় বা পানি ব্যবহার করলে ক্ষতির আশংকা দেখা যায়, তবে তায়াম্মুমের দিকে অগ্রসর হবে। দু’হাত মাটিতে মেরে তা দ্বারা মুখমন্ডল মাসেহ করবে এবং উভয় হাত কব্জি পর্যন্ত মাসেহ করবে।
আর বাহ্যিক ও প্রকাশ্য নাপাক বস্তু থেকে পবিত্রতা অর্জন করার পদ্ধতি হচ্ছে, যে কোন প্রকারে উক্ত নাপাক বস্তু অপসারিত করা। চাই তা পানি দ্বারা হোক বা অন্য কোন বস্তু দ্বারা। কেননা বাহ্যিকভাবে দেখা যায় এমন নাপাক বস্তুর পবিত্রতার উদ্দেশ্য হচ্ছে যে কোন পবিত্র বস্তু দ্বারা তা অপসারিত করা। অতএব পানি বা পেট্রোল বা কোন তরল পদার্থ বা শুস্ক বস্তু দ্বারা যদি পরিপূর্ণরূপে উক্ত নাপাকী অপসারিত করা সম্ভব হয়, তবেই তা পবিত্র হয়ে যাবে। কিন্তু কুকুরের নাপাকী (মুখ দেয়া উচ্ছিষ্ট পাত্র) পবিত্র করার জন্য অবশ্যই সাতবার পানি দ্বারা ধৌত করতে হবে এবং একবার মাটি দ্বারা মাজতে হবে।
এ ভাবেই আমরা জানতে পারব প্রত্যক্ষ নাপাক বস্তু থেকে কিভাবে পবিত্র হতে হয় এবং কিভাবে আভ্যন্তরিন নাপাকী থেকে পবিত্রতা অর্জন করতে হয়।

ঈমানের সত্তরের অধিক শাখা-প্রশাখা রয়েছে

প্রশ্নঃ (১০) রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাদীছে জিবরাঈলে বলেছেন, ঈমান হল আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস, ফেরেশতাদের প্রতি বিশ্বাস, আল্লাহর কিতাবের উপর বিশ্বাস, রাসূলদের উপর বিশ্বাস, পরকালের উপর বিশ্বাস এবং ভাগ্যের ভাল-মন্দের উপর বিশ্বাস স্থাপন। অন্য হাদীছে রয়েছে, ঈমানের সত্তরের অধিক শাখা-প্রশাখা রয়েছে। উভয় হাদীছের মধ্যে আমরা কিভাবে সমন্বয় করব?
উত্তরঃ যে ঈমানের মাধ্যমে আকীদাহ্ উদ্দেশ্য, তার রুকন মোট ছয়টি। সেগুলো হাদীছে জিবরাঈলে উল্লেখিত হয়েছে। জিবরীল (আঃ) যখন নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে ঈমান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন, উত্তরে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, ঈমান হল তুমি বিশ্বাস করবে আল্লাহর প্রতি, ফেরেশতাদের প্রতি, আসমানী কিতাবসমূহের প্রতি, রাসূলগণের প্রতি, পরকালের প্রতি এবং ভাগ্যের ভাল-মন্দের প্রতি। অপর পক্ষে যেখানে ঈমানের সত্তরের অধিক শাখা-প্রশাখা থাকার কথা বলা হয়েছে, সেখানে ঈমানের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার সৎ আমল উদ্দেশ্য। এই জন্য নামাযকে ঈমানের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আল্লাহ্ বলেন,
وَمَا كَانَ اللَّهُ لِيُضِيعَ إِيمَانَكُمْ إِنَّ اللَّهَ بِالنَّاسِ لَرَءُوفٌ رَحِيمٌ
“আল্লাহ তোমাদের ঈমানকে বিনষ্ট করবেন না। নিশ্চয়ই আল্লাহ মানুষের প্রতি অতীব দয়ালু”। (সূরা বাকারাঃ ১৪৩) তাফসীরকারকগণ বলেছেন, এখানে ঈমান দ্বারা বায়তুল মুক্বাদ্দাসের দিকে ফিরে আদায় করা নামায উদ্দেশ্য। কেননা ছাহাবীগণ কা’বার দিকে মুখ করে নামায আদায়ের পূর্বে বাইতুল মুক্বাদ্দাসের দিকে ফিরে নামায আদায় করতেন।
আকীদাহ্ কী? ইসলামের মৌলিক বিশ্বাস সম্পর্কিত বিষয়গুলিকে আকীদা বলা হয়। যেমন আল্লাহর সত্বা ও গুণাবলীতে বিশ্বাস নবী-রাসূলদের উপর বিশ্বাস ও অন্যান্য বিষয়সমূহ।

ফতোওয়া আরকানুল ইসলাম থেকে সংগৃহীত।

আলেমগণ ঈমানের যে সমস্ত শাখা বর্ণনা করেছেন তার সারাংশ


  ইবনে হিব্বান (রঃ) কর্তৃক বর্ণিত ঈমানের শাখাগুলো হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী সহীহ বুখারীর ভাষ্যগ্রন্থ ফতহুল বারীতে সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণনা করেছেন। এই শাখাগুলো তিন প্রকার। যথা:
(১) এমন কিছু শাখা আছে যা অন্তরের সাথে সম্পৃক্ত।
(২) কতিপয় শাখা জবানের সাথে সম্পৃক্ত এবং
 (৩) এমন কতিপয় শাখা রয়েছে, শরীরের সাথে সম্পৃক্ত।
প্রথমতঃ অন্তরের কাজসমূহ

Thursday 31 July 2014

ঘরে বসে কুরআন শিখুন

AL-QURAN Pictures, Images and Photosঘরে বসে কুরআন শিখুন
আসসালামু আলাইকুমওয়া রাহমাতুল্লাহ
আমাদের মধ্যে যারা ছোটকালে আরবী শিক্ষা করতে পারেন নি। বা যাদের এখনো কুরআন শরীফ দেখে দেখে পড়ার সৌভাগ্য অর্জন করা সম্ভব হয় নি অথচ বিভিন্ন কারণে পরবর্তিতে আর সুযোগ হয়ে উঠে নি তাদের জন্য arabicplayhouse.com  ওয়েবসাইট টি সৌভাগ্যরর অর্জনের মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে। এমন কি এটা আপনার শিশুটির জন্য কুরআন শিক্ষার  ক্ষেত্রে ‘হোম টিউটোর’ হিসেবে ভূমিকা পালন করবে।
এখানে ৬টি ধাপে কুরআন শিক্ষা দেয়া হয়েছে। প্রতিটি ধাপেই আছে আরবী উচ্চারণ, একটি জিনিস বার বার উচ্চারণের সুবিধা, আছে পরীক্ষার ব্যবস্থা।
১ম ধাপ: আরবী হরফের সাথে পরিচয়  
২য় ধাপ: যবর, যের, পেশ, তানবীন ইত্যাদি শিক্ষা
৩য় ধাপ: কোন অক্ষর অন্য অক্ষরের সাথে যুক্ত হলে তা দেখতে কেমন হবে সেটার পরিচয়
৪র্থ ধাপ: কখন একটা অক্ষর আগের অক্ষরের সাথে মিলিত হয়ে একবার উচ্চারণ হবে এবং কখন দু বার উচ্চারণ হবে।

ঘরে বসে কুরআন শিখুন

AL-QURAN Pictures, Images and Photosঘরে বসে কুরআন শিখুন
আসসালামু আলাইকুমওয়া রাহমাতুল্লাহ
আমাদের মধ্যে যারা ছোটকালে আরবী শিক্ষা করতে পারেন নি। বা যাদের এখনো কুরআন শরীফ দেখে দেখে পড়ার সৌভাগ্য অর্জন করা সম্ভব হয় নি অথচ বিভিন্ন কারণে পরবর্তিতে আর সুযোগ হয়ে উঠে নি তাদের জন্য arabicplayhouse.com  ওয়েবসাইট টি সৌভাগ্যরর অর্জনের মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে। এমন কি এটা আপনার শিশুটির জন্য কুরআন শিক্ষার  ক্ষেত্রে ‘হোম টিউটোর’ হিসেবে ভূমিকা পালন করবে।
এখানে ৬টি ধাপে কুরআন শিক্ষা দেয়া হয়েছে। প্রতিটি ধাপেই আছে আরবী উচ্চারণ, একটি জিনিস বার বার উচ্চারণের সুবিধা, আছে পরীক্ষার ব্যবস্থা।
১ম ধাপ: আরবী হরফের সাথে পরিচয়  
২য় ধাপ: যবর, যের, পেশ, তানবীন ইত্যাদি শিক্ষা
৩য় ধাপ: কোন অক্ষর অন্য অক্ষরের সাথে যুক্ত হলে তা দেখতে কেমন হবে সেটার পরিচয়
৪র্থ ধাপ: কখন একটা অক্ষর আগের অক্ষরের সাথে মিলিত হয়ে একবার উচ্চারণ হবে এবং কখন দু বার উচ্চারণ হবে।

ঘরে বসে কুরআন শিখুন

AL-QURAN Pictures, Images and Photosঘরে বসে কুরআন শিখুন
আসসালামু আলাইকুমওয়া রাহমাতুল্লাহ
আমাদের মধ্যে যারা ছোটকালে আরবী শিক্ষা করতে পারেন নি। বা যাদের এখনো কুরআন শরীফ দেখে দেখে পড়ার সৌভাগ্য অর্জন করা সম্ভব হয় নি অথচ বিভিন্ন কারণে পরবর্তিতে আর সুযোগ হয়ে উঠে নি তাদের জন্য arabicplayhouse.com  ওয়েবসাইট টি সৌভাগ্যরর অর্জনের মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে। এমন কি এটা আপনার শিশুটির জন্য কুরআন শিক্ষার  ক্ষেত্রে ‘হোম টিউটোর’ হিসেবে ভূমিকা পালন করবে।
এখানে ৬টি ধাপে কুরআন শিক্ষা দেয়া হয়েছে। প্রতিটি ধাপেই আছে আরবী উচ্চারণ, একটি জিনিস বার বার উচ্চারণের সুবিধা, আছে পরীক্ষার ব্যবস্থা।
১ম ধাপ: আরবী হরফের সাথে পরিচয়  
২য় ধাপ: যবর, যের, পেশ, তানবীন ইত্যাদি শিক্ষা
৩য় ধাপ: কোন অক্ষর অন্য অক্ষরের সাথে যুক্ত হলে তা দেখতে কেমন হবে সেটার পরিচয়
৪র্থ ধাপ: কখন একটা অক্ষর আগের অক্ষরের সাথে মিলিত হয়ে একবার উচ্চারণ হবে এবং কখন দু বার উচ্চারণ হবে।

ঘরে বসে কুরআন শিখুন

AL-QURAN Pictures, Images and Photosঘরে বসে কুরআন শিখুন
আসসালামু আলাইকুমওয়া রাহমাতুল্লাহ
আমাদের মধ্যে যারা ছোটকালে আরবী শিক্ষা করতে পারেন নি। বা যাদের এখনো কুরআন শরীফ দেখে দেখে পড়ার সৌভাগ্য অর্জন করা সম্ভব হয় নি অথচ বিভিন্ন কারণে পরবর্তিতে আর সুযোগ হয়ে উঠে নি তাদের জন্য arabicplayhouse.com  ওয়েবসাইট টি সৌভাগ্যরর অর্জনের মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে। এমন কি এটা আপনার শিশুটির জন্য কুরআন শিক্ষার  ক্ষেত্রে ‘হোম টিউটোর’ হিসেবে ভূমিকা পালন করবে।
এখানে ৬টি ধাপে কুরআন শিক্ষা দেয়া হয়েছে। প্রতিটি ধাপেই আছে আরবী উচ্চারণ, একটি জিনিস বার বার উচ্চারণের সুবিধা, আছে পরীক্ষার ব্যবস্থা।
১ম ধাপ: আরবী হরফের সাথে পরিচয়  
২য় ধাপ: যবর, যের, পেশ, তানবীন ইত্যাদি শিক্ষা
৩য় ধাপ: কোন অক্ষর অন্য অক্ষরের সাথে যুক্ত হলে তা দেখতে কেমন হবে সেটার পরিচয়
৪র্থ ধাপ: কখন একটা অক্ষর আগের অক্ষরের সাথে মিলিত হয়ে একবার উচ্চারণ হবে এবং কখন দু বার উচ্চারণ হবে।

ঘরে বসে কুরআন শিখুন

AL-QURAN Pictures, Images and Photosঘরে বসে কুরআন শিখুন
আসসালামু আলাইকুমওয়া রাহমাতুল্লাহ
আমাদের মধ্যে যারা ছোটকালে আরবী শিক্ষা করতে পারেন নি। বা যাদের এখনো কুরআন শরীফ দেখে দেখে পড়ার সৌভাগ্য অর্জন করা সম্ভব হয় নি অথচ বিভিন্ন কারণে পরবর্তিতে আর সুযোগ হয়ে উঠে নি তাদের জন্য arabicplayhouse.com  ওয়েবসাইট টি সৌভাগ্যরর অর্জনের মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে। এমন কি এটা আপনার শিশুটির জন্য কুরআন শিক্ষার  ক্ষেত্রে ‘হোম টিউটোর’ হিসেবে ভূমিকা পালন করবে।
এখানে ৬টি ধাপে কুরআন শিক্ষা দেয়া হয়েছে। প্রতিটি ধাপেই আছে আরবী উচ্চারণ, একটি জিনিস বার বার উচ্চারণের সুবিধা, আছে পরীক্ষার ব্যবস্থা।
১ম ধাপ: আরবী হরফের সাথে পরিচয়  
২য় ধাপ: যবর, যের, পেশ, তানবীন ইত্যাদি শিক্ষা
৩য় ধাপ: কোন অক্ষর অন্য অক্ষরের সাথে যুক্ত হলে তা দেখতে কেমন হবে সেটার পরিচয়
৪র্থ ধাপ: কখন একটা অক্ষর আগের অক্ষরের সাথে মিলিত হয়ে একবার উচ্চারণ হবে এবং কখন দু বার উচ্চারণ হবে।

ঘরে বসে কুরআন শিখুন

AL-QURAN Pictures, Images and Photosঘরে বসে কুরআন শিখুন
আসসালামু আলাইকুমওয়া রাহমাতুল্লাহ
আমাদের মধ্যে যারা ছোটকালে আরবী শিক্ষা করতে পারেন নি। বা যাদের এখনো কুরআন শরীফ দেখে দেখে পড়ার সৌভাগ্য অর্জন করা সম্ভব হয় নি অথচ বিভিন্ন কারণে পরবর্তিতে আর সুযোগ হয়ে উঠে নি তাদের জন্য arabicplayhouse.com  ওয়েবসাইট টি সৌভাগ্যরর অর্জনের মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে। এমন কি এটা আপনার শিশুটির জন্য কুরআন শিক্ষার  ক্ষেত্রে ‘হোম টিউটোর’ হিসেবে ভূমিকা পালন করবে।
এখানে ৬টি ধাপে কুরআন শিক্ষা দেয়া হয়েছে। প্রতিটি ধাপেই আছে আরবী উচ্চারণ, একটি জিনিস বার বার উচ্চারণের সুবিধা, আছে পরীক্ষার ব্যবস্থা।
১ম ধাপ: আরবী হরফের সাথে পরিচয়  
২য় ধাপ: যবর, যের, পেশ, তানবীন ইত্যাদি শিক্ষা
৩য় ধাপ: কোন অক্ষর অন্য অক্ষরের সাথে যুক্ত হলে তা দেখতে কেমন হবে সেটার পরিচয়
৪র্থ ধাপ: কখন একটা অক্ষর আগের অক্ষরের সাথে মিলিত হয়ে একবার উচ্চারণ হবে এবং কখন দু বার উচ্চারণ হবে।

ঘরে বসে কুরআন শিখুন

AL-QURAN Pictures, Images and Photosঘরে বসে কুরআন শিখুন
আসসালামু আলাইকুমওয়া রাহমাতুল্লাহ
আমাদের মধ্যে যারা ছোটকালে আরবী শিক্ষা করতে পারেন নি। বা যাদের এখনো কুরআন শরীফ দেখে দেখে পড়ার সৌভাগ্য অর্জন করা সম্ভব হয় নি অথচ বিভিন্ন কারণে পরবর্তিতে আর সুযোগ হয়ে উঠে নি তাদের জন্য arabicplayhouse.com  ওয়েবসাইট টি সৌভাগ্যরর অর্জনের মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে। এমন কি এটা আপনার শিশুটির জন্য কুরআন শিক্ষার  ক্ষেত্রে ‘হোম টিউটোর’ হিসেবে ভূমিকা পালন করবে।
এখানে ৬টি ধাপে কুরআন শিক্ষা দেয়া হয়েছে। প্রতিটি ধাপেই আছে আরবী উচ্চারণ, একটি জিনিস বার বার উচ্চারণের সুবিধা, আছে পরীক্ষার ব্যবস্থা।
১ম ধাপ: আরবী হরফের সাথে পরিচয়  
২য় ধাপ: যবর, যের, পেশ, তানবীন ইত্যাদি শিক্ষা
৩য় ধাপ: কোন অক্ষর অন্য অক্ষরের সাথে যুক্ত হলে তা দেখতে কেমন হবে সেটার পরিচয়
৪র্থ ধাপ: কখন একটা অক্ষর আগের অক্ষরের সাথে মিলিত হয়ে একবার উচ্চারণ হবে এবং কখন দু বার উচ্চারণ হবে।

ঘরে বসে কুরআন শিখুন

AL-QURAN Pictures, Images and Photosঘরে বসে কুরআন শিখুন
আসসালামু আলাইকুমওয়া রাহমাতুল্লাহ
আমাদের মধ্যে যারা ছোটকালে আরবী শিক্ষা করতে পারেন নি। বা যাদের এখনো কুরআন শরীফ দেখে দেখে পড়ার সৌভাগ্য অর্জন করা সম্ভব হয় নি অথচ বিভিন্ন কারণে পরবর্তিতে আর সুযোগ হয়ে উঠে নি তাদের জন্য arabicplayhouse.com  ওয়েবসাইট টি সৌভাগ্যরর অর্জনের মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে। এমন কি এটা আপনার শিশুটির জন্য কুরআন শিক্ষার  ক্ষেত্রে ‘হোম টিউটোর’ হিসেবে ভূমিকা পালন করবে।
এখানে ৬টি ধাপে কুরআন শিক্ষা দেয়া হয়েছে। প্রতিটি ধাপেই আছে আরবী উচ্চারণ, একটি জিনিস বার বার উচ্চারণের সুবিধা, আছে পরীক্ষার ব্যবস্থা।
১ম ধাপ: আরবী হরফের সাথে পরিচয়  
২য় ধাপ: যবর, যের, পেশ, তানবীন ইত্যাদি শিক্ষা
৩য় ধাপ: কোন অক্ষর অন্য অক্ষরের সাথে যুক্ত হলে তা দেখতে কেমন হবে সেটার পরিচয়
৪র্থ ধাপ: কখন একটা অক্ষর আগের অক্ষরের সাথে মিলিত হয়ে একবার উচ্চারণ হবে এবং কখন দু বার উচ্চারণ হবে।

ঘরে বসে কুরআন শিখুন

AL-QURAN Pictures, Images and Photosঘরে বসে কুরআন শিখুন
আসসালামু আলাইকুমওয়া রাহমাতুল্লাহ
আমাদের মধ্যে যারা ছোটকালে আরবী শিক্ষা করতে পারেন নি। বা যাদের এখনো কুরআন শরীফ দেখে দেখে পড়ার সৌভাগ্য অর্জন করা সম্ভব হয় নি অথচ বিভিন্ন কারণে পরবর্তিতে আর সুযোগ হয়ে উঠে নি তাদের জন্য arabicplayhouse.com  ওয়েবসাইট টি সৌভাগ্যরর অর্জনের মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে। এমন কি এটা আপনার শিশুটির জন্য কুরআন শিক্ষার  ক্ষেত্রে ‘হোম টিউটোর’ হিসেবে ভূমিকা পালন করবে।
এখানে ৬টি ধাপে কুরআন শিক্ষা দেয়া হয়েছে। প্রতিটি ধাপেই আছে আরবী উচ্চারণ, একটি জিনিস বার বার উচ্চারণের সুবিধা, আছে পরীক্ষার ব্যবস্থা।
১ম ধাপ: আরবী হরফের সাথে পরিচয়  
২য় ধাপ: যবর, যের, পেশ, তানবীন ইত্যাদি শিক্ষা
৩য় ধাপ: কোন অক্ষর অন্য অক্ষরের সাথে যুক্ত হলে তা দেখতে কেমন হবে সেটার পরিচয়
৪র্থ ধাপ: কখন একটা অক্ষর আগের অক্ষরের সাথে মিলিত হয়ে একবার উচ্চারণ হবে এবং কখন দু বার উচ্চারণ হবে।

সফটওয়্যারের সাহায্যে কুরআন শিক্ষা-বাংলা ভাষায় এবং সম্পূর্ণ ফ্রী

প্রিয় ভাই ও বোন, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বর্তমান যুগে আপনি যদি কম্পিউটার ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন তবে তবে আপনার জন্যে কুরআন শিক্ষা না করার কোন অজুহাত গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ, আলহামদুলিল্লাহ বর্তমানে হাতের নাগালে কম্পিউটারে সফটওয়্যার ব্যবহার করে কুরআন শিক্ষা করা যায়।  আজকে আপনাদের সাথে কুরআন শিক্ষার যে সফটওয়্যারটির পরিচয় করিয়ে দিব সেটির নাম “AL-QUR’AN SHIKHA”। আনন্দের ব্যাপার হচ্ছে, সফটওয়্যারটি সম্পূর্ণ বাংলা ভাষায় প্রস্তুতকৃত। বিশুদ্ধ তেলাওয়াত শিক্ষার জন্য বাংলা ভাষায় তাজবীদের নিয়মাবলী, প্রতিটি নিয়মের উদাহরণ এবং অর্থ সহ কুরআনের কয়েকটি সূরা ইত্যাদি সূচীপত্রের সাহায্যে চমৎকারভাবে সাজানো হয়েছে এটি । ইন্সটল করার পর ইন্টারনেট ছাড়াই ব্যবহার করা যায়। খুলনা Comprologist এর পরিচালক, সাবিবুর রহমান জিয়ার তত্বাবধানে কয়েকজন মেধাবী প্রোগ্রামার এটি প্রস্তুত করেছেন। আল্লাহ তায়ালার নিকট তাদের জন্য প্রাণ খুলে দুয়া রইল। সেই সাথে আশা করব, সফটওয়্যারটি কুরআন শিক্ষায় আগ্রহী ভাইদেরকে তাদের প্রত্যাশা পূরণে যথেষ্ট সাহায্য করবে (ইনশাআল্লাহ)।

সফটওয়্যারটির স্ক্রীনশট দেখুন:
১) 
২) 
৩) 
৪)
৫) 
অত:এব মূল্যবান এ সফটওয়্যারটি নিজ কম্পিউটারে ইন্সটল করে উপকৃত হওয়ার চেষ্টা করুন। আর যেহেতু এটি পোর্টেবল বা বহনযোগ্য তাই আপনি এটি আপনার বন্ধুদেরকেও এটি দিতে পারেন। আমাদের প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “তোমাদের মাঝে উত্তম ঐ ব্যক্তি যে কুরআন শিক্ষা করে এবং অন্যকে শিক্ষা দেয়”। (সহীহ আল-বুখারী) আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে কুরআন শিক্ষা করে কুরআনের আলোয় আলোকিত মানুষ বানান। সমাজ  আলোকিত হোক আল কুরআনে বর্ণিল আলোয়।
  • প্রোগ্রামটি মিডিয়া ফায়ার থেকে ডাউনলোড করতে  এখানে ক্লিক করুন। (মাত্র ১৭.৪৪ মেগাবাইট।)
সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে এক্সট্রা্ক্ট বা আনজিপ করে নিন। তারপর নীচের ছবিতে দেখানো ফাইলটিতে ক্লিক করলেই সফটওয়্রারটি রান হবে। উদাহরণ:
উল্লেখ্য যে, এই সফটওয়্যারটি ইনস্টল করতে হলে আপনার কম্পিউটারে উইনরার বা উইনজিপ নামক একটি সফটওয়ার থাকা আবশ্যক। সেটি না থাকলে আগে সেটি এখান থেকে ডাউনলোড করে নিন।

যখন তোমাদের কেউ নামাযের কথা ভুলে যায়

সহিহ আত্ তিরমিজি :: সালাত অধ্যায়

অধ্যায় ২ :: হাদিস ১৭৭
আবূ কাতাদা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, লোকেরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাললাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে ‘নামাযের কথা ভুলে গিয়ে’ ঘুমিয়ে থাকা সম্পর্কে প্রশ্ন করল। তিনি বললেনঃ ঘুমমত্ম ব্যক্তির কোন অপরাধ নেই জেগে থাকা অবস্থায় দোষ হবে। যখন তোমাদের কেউ নামাযের কথা ভুলে যায় অথবা তা না আদায় করে ঘুমিয়ে তাকে, তাহলে মনে পরার সাথে সাথে নামায আদায় করে নেবে। সহীহ্। ইবনু মাহা- (৬৯৮), মুসলিম, অনুরূপ।
       এ অনুচ্ছেদে ইবনু মাসঊদ, আবূ মারইয়াম, ইমরান ইবনু হুসাইন, জুবাইর ইবনু মুতইম, আবূ জুহাইফা, ‘আমর ইবনু আমায়্যা ও যি-মিখবার (রাঃ) তাঁকে যিমিখমারও বলা হয়ে থাকে। আর তিনি হলেন, নাজ্জাশীর ভাতিজা) হতে বর্ণিত হাদীসও রয়েছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ আবূ কাতাদার হাদীসটি হাসান সহীহ। যদি কোন ব্যক্তি নামাযের কথা ভুলে যায় অথবা ঘুমে অচেতন থাকে, অতঃপর এমন সময় তার নামাযের কথা মনে হয় অথবা ঘুম ভাংগে যখন নামাযের ওয়াক্ত চলে গেছে, অথবা সূর্য উঠছে কিংবা ডুবছে- এরূপ অবস্থায় সে নামায আদায় করবে কি-না সে সম্পর্কে বিদ্বানগণের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। ইমাম আহমাদ, ইসহাক, শাফিঈ এবং মালিক (রহঃ) বলেছেন, এরূপ ক্ষেত্রে সে নামায আদায় করে নেবে, চাই সেটা সূর্যোদয় অথবা ডুবে যাওয়ার সময়ই হোক না কেন। অপর দলের মতে, সূর্যোদয় ও অসত্ম যাওয়ার সময় নামায আদায় করবে না, উদয় বা অসত্ম শেষ হলেই নামায আদায় করবে।

Jami at-Tirmidhi :: What Has Been Related About Sleeping Past The Salat
Part 2 :: Hadith 177
Abu Qatadah narrated:
"They asked the Prophet about when they sIept past the Salat. He said: 'There is no negligence in sleep, negligence is only while one is awake. So when one of you forgets a Salat, or sleeps through it, then let him pray it when he remembers it.'" (Sahih)

Download AsPDF

Print Friendly and PDFPrint Friendly and PDFPrint Friendly and PDF
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...