Saturday 9 August 2014

প্রশ্নত্তোর



প্রশ্নঃ (২১৮) টয়লেটের ছাদের উপর ছালাত আদায় করার হুকুম কি? নাপাক উচ্ছিষ্ট একত্রিত করা হয় এমন ঘরের ছাদে ছালাত আদায় করার বিধান কি?শুরু করছি মহান আল্লাহর নামে যানি পরম করুনাময়, অসীম দয়ালু।উত্তরঃ বর্তমানে আমাদের দেশে প্রচলিত টয়লেট সমূহের ছাদের উপর ছালাত আদায় করতে কোন অসুবিধা নেই। কেননা আমাদের টয়লেট সমূহ বিশেষভাবে আলাদা করে বানানো হয়না। এর ছাদ অন্যান্য ঘরের সাথে সংশ্লিষ্ট করেই বানানো হয়। অনুরূপভাবে নাপাক উচ্ছিষ্ট একত্রিত করা হয় এ রকম ঘরের ছাদে ছালাত আদায় করতেও কোন অসুবিধা নেই।
কেননা নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,
جُعِلَتْ لِيَ الأَرْضُ مَسْجِدًا وَطَهُورًا
“যমিনের সকল স্থান আমার জন্য মসজিদ তথা ছালাত আদায়ের স্থান ও পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যম করে দেয়া হয়েছে।”

আল্লাহর শপথ আমি নামাজ পড়তাম



রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-

রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,
দুটি নিয়ামত এমন আছে, যে দুটোতে অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। তা হল সুস্থতা আর অবসর। (সহীহ বুখারী ৫৯৭০, ইফা)
এটি একটি সচিত্র সত্যি ঘটনা যা আপনার জীবন, আপনার চিন্তা ধারা ও জীবনের উদ্দেশ্য বদলে দিতে পারে।
ঘটনাটি বাহরাইনের ইব্রাহিম নাসের নামের এক যুবকের। সে জন্মগতভাবেই পক্ষাঘাতগ্রস্ত, শুধু তার আঙ্গুল ও মাথা নাড়াতে সক্ষম। এমনকি তার নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের জন্যও তাকে যন্ত্রপাতির সাহায্য নিতে হয়।
এই যুবকটির একটি আকাঙ্ক্ষা ছিল একদিন শেইখ নাবীল আল আওদির সাথে দেখা করার। এইজন্য ইব্রাহীমের বাবা শেইখের সাথে ফোনে আলাপ করলেন ইব্রাহীমের সাথে তার সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা যায় কিনা।
ইনি শেইখ নাবীল। ইব্রাহীম শেইখ নাবীলকে তার ঘরের দরজা খুলে ঢুকতে দেখে কি ভীষণ খুশী হয়ে গেল! আমরা তার আনন্দের বহিঃপ্রকাশ তার চেহারাতেই দেখতে পাবো কারণ সে কথা বলে বোঝাতেও অক্ষম।

পবিত্র মদীনা মুনাওওয়ারার নাম, ফযিলত ও এখানে অবস্থানের আদবসমূহ



রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-

LE1W52JX
লেখক: মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী | সম্পাদক: আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
পবিত্র মদীনা মুনাওওয়ারাকে বলা হয় দ্বিতীয় হারাম। মুসলিম হৃদয়ে এ নগরীটির প্রতি রয়েছে অপরিসীম শ্রদ্ধা, ভালবাসা ও মর্যাদা। কেননা এটি ছিল প্রিয় নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হিজরতভূমি। তিনি তাঁর জীবনের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ শেষ দশ বছর এ নগরীতেই কাটিয়েছেন। অহীর বৃহত্তর অংশ এখানেই তাঁর উপর অবতীর্ণ হয়। এ নগরীকে কেন্দ্র করেই তিনি আল্লাহর সাহায্যে ইসলামকে রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করেন। বস্তুত আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ নগরীকে বিভিন্ন নামে অভিহিত করে অনেক ফযিলত, মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য দিয়ে একে অভিষিক্ত করেছেন।

পবিত্র মদীনা মুনাওওয়ারার নাম

মদীনাকে অনেকগুলো নামে অভিহিত করা হয়েছে, যা তার ফযিলত ও মর্যাদার প্রমাণ বহন করছে। কেননা একই জিনিসের অনেক নাম সে জিনিসের মর্যাদা ও গুরুত্বের প্রমাণবাহী। ঐতিহাসিকগণ এ নগরীর বহু নাম উল্লেখ করেছেন। ‘আল্লামা সামহুদী’ এর ৯৪টি নাম উল্লেখ করেছেন।

পবিত্র মদীনা মুনাওওয়ারার নাম, ফযিলত ও এখানে অবস্থানের আদবসমূহ



রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-

LE1W52JX
লেখক: মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী | সম্পাদক: আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
পবিত্র মদীনা মুনাওওয়ারাকে বলা হয় দ্বিতীয় হারাম। মুসলিম হৃদয়ে এ নগরীটির প্রতি রয়েছে অপরিসীম শ্রদ্ধা, ভালবাসা ও মর্যাদা। কেননা এটি ছিল প্রিয় নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হিজরতভূমি। তিনি তাঁর জীবনের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ শেষ দশ বছর এ নগরীতেই কাটিয়েছেন। অহীর বৃহত্তর অংশ এখানেই তাঁর উপর অবতীর্ণ হয়। এ নগরীকে কেন্দ্র করেই তিনি আল্লাহর সাহায্যে ইসলামকে রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করেন। বস্তুত আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ নগরীকে বিভিন্ন নামে অভিহিত করে অনেক ফযিলত, মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য দিয়ে একে অভিষিক্ত করেছেন।

পবিত্র মদীনা মুনাওওয়ারার নাম

মদীনাকে অনেকগুলো নামে অভিহিত করা হয়েছে, যা তার ফযিলত ও মর্যাদার প্রমাণ বহন করছে। কেননা একই জিনিসের অনেক নাম সে জিনিসের মর্যাদা ও গুরুত্বের প্রমাণবাহী। ঐতিহাসিকগণ এ নগরীর বহু নাম উল্লেখ করেছেন। ‘আল্লামা সামহুদী’ এর ৯৪টি নাম উল্লেখ করেছেন।

কুরবানীর শিক্ষা – ফ্রি ডাউনলোড



রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-

161
Author: Khandakar Abul Khayer (Rahimullah)| LanguageBangla | Size: 3.41 MB |Pages: 23 | Format: PDF


Download (Right Click On Download and Click Save link as/save target as)

মসজিদে নববীতে সালাত আদায় করা




সহিহ আত্ তিরমিজি :: সালাত অধ্যায়
অধ্যায় ২ :: হাদিস ৩২৫
আল-আনসারী কুতায়বা () ...... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকে বর্ণনা করেন যে,  রাসূল ইরশাদ করেন : আমার এই মসজিদে (মসজিদে নববীতে) সালাত আদায় করা মসজিদে হারাম কা’বা ব্যতীত অপর কোন মসজিদে এক হাজার সালাত আদায় করা অপেক্ষা উত্তম।

قَالَ أَبُو عِيسَى وَلَمْ يَذْكُرْ قُتَيْبَةُ فِي حَدِيثِهِ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ إِنَّمَا ذَكَرَ عَنْ زَيْدِ بْنِ رَبَاحٍ عَنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الْأَغَرِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَأَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْأَغَرُّ اسْمُهُ سَلْمَانُ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَفِي الْبَاب عَنْ عَلِيٍّ وَمَيْمُونَةَ وَأَبِي سَعِيدٍ وَجُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ وَابْنِ عُمَرَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ وَأَبِي ذَرٍّ
ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী রহ.  () বলেন : কুতায়বা তাঁর সনদে উবায়দুল্লাহর নাম উল্লেখ করেন নি। তিনি যায়দ ইবন রাবাহ.... আবূ আবদিল্লাহ আল-আগারর...... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহ এই সূত্রের উল্লেখ করেছেন।
 ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী রহ.  () বলেন : এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। আবূ আবদিল্লাহ আল-আগারর-এর নাম হল সালমান।
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকে একাধিক সূত্রে এই হাদীসটি বর্ণিত আছে।
এই বিষয়ে আলী, মায়মূনা, আবূ সাঈদ, জুবায়র ইবন মুত’ইম, ইবন উমর, আবদুল্লাহ ইবনুয-যুবায়র আবূ যর্ রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।

Jami at-Tirmidhi :: What Has Been Related About Which Of The Masajid Are More Virtuous
Part 2 :: Hadith 325
Abu Hurairah narrated that :

Allah's Messenger said: "Salat is this Masjid of mine is better than a thousand Salat in another, except for Masjid Al-Haram." (Sahih)

কুবা মসজিদে সালাত আদায় করা উমরা আদায় করার মত।



সহিহ আত্ তিরমিজি ::  সালাত অধ্যায়
অধ্যায় ২ :: হাদিস ৩২৪
মুহাম্মাদ ইব্নু’ল আলা আবূ কুরায়ব সুফইয়ান ইবন ওয়াকী ()....... বনূ খাত্মা-এর মাওলা বা আযাদকৃত দাস আবুল আবরাদ ()  থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন : আমি রাসূল -এর অন্যতম সাহাবী উসায়দ ইবন যুহায়র আল-আনসারী রাদিয়াল্লাহু আনহ-কে হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছি যে, রাসূল ইরশাদ করেন: কুবা মসজিদে সালাত আদায় করা উমরা আদায় করার মত।

قَالَ وَفِي الْبَاب عَنْ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أُسَيْدٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ وَلَا نَعْرِفُ لِأُسَيْدِ بْنِ ظُهَيْرٍ شَيْئًا يَصِحُّ غَيْرَ هَذَا الْحَدِيثِ وَلَا نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ حَدِيثِ أَبِي أُسَامَةَ عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ جَعْفَرٍ وَأَبُو الْأَبْرَدِ اسْمُهُ زِيَادٌ مَدِينِيٌّ
এই বিষয়ে সাহল ইবন হুনায়ফ রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকেও হাদীস  বর্ণিত আছে।
ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী রহ.  () বলেন : উসায়দ রাদিয়াল্লাহু আনহ বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ।
এই হাদীসটি ছাড়া উসায়দ ইবন যুহায়র রাদিয়াল্লাহু আনহ  থেকে সহীহ সূত্রে আর কোন হাদীস বর্ণিত আছে বলে আমাদের জানা নাই। আবূ উসামা ..... আব্দুল হামীদ ইবন জা’ফর সূত্র ব্যতীত অন্য কোনভাবেও আমরা তাঁর কোন হাদীস আছে বলে জানি না। রাবী আবূল আবরাদ-এর নাম হল যিয়াদ আল-মাদীনী।

Jami at-Tirmidhi :: What Has Been Related About The Salat Performed In Masjid Quba
Part 2 :: Hadith 324
Abu Al-Abrad the freed slave of Banu Khatmah narrated that he heard Usaid bin Zuhair Al-Ansari - and he was one of the Companions of the Prophet - narrated that :

the Prophet said: "The Salat in Masjid Quba is like Umrah." (Hasan)

মসজিদে কবিতা পাঠ ও ক্রয়-বিক্রয় করা এবং জুমু’আর দিন সালাতের পূর্বে গোল হয়ে বসা নিষিদ্ধ




সহিহ আত্ তিরমিজি :: সালাত অধ্যায়
অধ্যায় ২ :: হাদিস ৩২২
কুতায়বা () ..... আমর ইবন শুআয়ব, তাঁর পিতা (মুহাম্মাদ) ........ পিতামহ আবদুল্লাহ ইবন আমর রাদিয়াল্লাহু আনহ সূত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসূল মসজিদে কবিতা পাঠ ক্রয়-বিক্রয় করা এবং জুমু’আর দিন সালাতের পূর্বে গোল হয়ে বসা নিষিদ্ধ করেছেন।

قَالَ وَفِي الْبَاب عَنْ بُرَيْدَةَ وَجَابِرٍ وَأَنَسٍ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ حَدِيثٌ حَسَنٌ وَعَمْرُو بْنُ شُعَيْبٍ هُوَ ابْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَعِيلَ رَأَيْتُ أَحْمَدَ وَإِسْحَقَ وَذَكَرَ غَيْرَهُمَا يَحْتَجُّونَ بِحَدِيثِ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ قَالَ مُحَمَّدٌ وَقَدْ سَمِعَ شُعَيْبُ بْنُ مُحَمَّدٍ مِنْ جَدِّهِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ أَبُو عِيسَى وَمَنْ تَكَلَّمَ فِي حَدِيثِ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ إِنَّمَا ضَعَّفَهُ لِأَنَّهُ يُحَدِّثُ عَنْ صَحِيفَةِ جَدِّهِ كَأَنَّهُمْ رَأَوْا أَنَّهُ لَمْ يَسْمَعْ هَذِهِ الْأَحَادِيثَ مِنْ جَدِّهِ قَالَ عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ وَذُكِرَ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّهُ قَالَ حَدِيثُ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عِنْدَنَا وَاهٍ وَقَدْ كَرِهَ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ الْبَيْعَ وَالشِّرَاءَ فِي الْمَسْجِدِ وَبِهِ يَقُولُ أَحْمَدُ وَإِسْحَقُ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ التَّابِعِينَ رُخْصَةٌ فِي الْبَيْعِ وَالشِّرَاءِ فِي الْمَسْجِدِ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَيْرِ حَدِيثٍ رُخْصَةٌ فِي إِنْشَادِ الشِّعْرِ فِي الْمَسْجِدِ
  এই বিষয়ে বুরায়দা, জাবির আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।
ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী রহ.  () বলেন : আবদুল্লাহ ইবন আমর ইবনুল আস রাদিয়াল্লাহু আনহ বর্ণিত এই হাদীসটি হাসান।
আমর ইবন শুআয়ব হলেন আমর ইবন শুআয়ব ইবন মুহাম্মাদ ইবন আবদিল্লাহ ইবন আমর ইবনিল আস।
 মুহাম্মাদ ইবন ইসমাঈল আল-বুখারী () বলেন: ইমাম আহমদ, ইসহাক প্রমুখ বিশেষজ্ঞগণ আমর ইবন শুআয়ব-এর রিওয়ায়াত প্রমাণযোগ্য বলে মত প্রকাশ করেছেন। তিনি আরো বলেছেন: আবদুল্লাহ ইবনে আমর থেকে শুআয়ব ইবন মুহাম্মাদ হাদীস শুনেছেন।
 ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী রহ.  () বলেন : আমর ইবন শুআয়বের রিওয়ায়াত সম্পর্কে যাঁরা সমালোচনা করেন তাঁরা তাঁকে যঈফ বলে মত দিয়েছেন। কারণ তিনি তাঁর পিতামহের পা-লিপি থেকে রিওয়ায়াত করতেন। অর্থাৎ তাঁরা মনে করেন, এই হাদীসগুলি তিনি তাঁর পিতামহ থেকে শুনেন নি।
  ইয়াহইয়া ইবন সাঈদের উদ্ধৃতি দিয়ে আলী ইবন আবদিল্লাহ বলেন যে, তিনি বলেছেন : আমাদের কাছে আমর ইবন শুআয়ব-এর রিওয়ায়াতসমূহ ভিত্তিহীন।
 আলিম ফকীহগণের একদল মসজিদে ক্রয়-বিক্রয় করা মাকরূহ বলে মত পোষণ করেন। ইমাম আহমদ ইসহাকের অভিমতও -ই।
কতক তাবিঈ আলিম ফকীহ থেকে বর্ণিত আছে,  তাঁরা মসজিদে বিকি-কিনি করার অনুমতি আছে বলে মনে করেন।
রাসূল থেকে অপর একটি হাদীসে বর্ণিত আছে যে, তিনি মসজিদে কবিতা পাঠের  অনুমতি দিয়েছেন।

Jami at-Tirmidhi :: What Has Been Related About The Dislike For Buying, Selling, Loudly Seeking Out A Lost Item And Reciting Poetry In The Masjid
Part 2 :: Hadith 322
Amr bin Shu'aib narrated from his father, from his grandfather (Abdullah bin Amr Al-As), that :

Allah's Messenger prohibited the recitation of poetry in the Masjid, and from selling and buying in it, and (he prohibited) the people from forming circles in it on Friday before the Salat." (Hasan)

যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য কোন মসজিদ নির্মাণ করবে



সহিহ আত্ তিরমিজি :: সালাত অধ্যায়
অধ্যায় ২ :: হাদিস ৩১৮
বুনদার () ...... উসমান ইবন আফ্ফান রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকে বর্ণনা করেছেন যে, উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহ বলেন : আমি রাসূল -কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য কোন মসজিদ নির্মাণ করবে, আল্লাহ তার জন্য তদ্রূপ একটি বাড়ি জান্নাতে নির্মাণ করবেন।

Jami at-Tirmidhi :: What Has Been Related About The Virtue Of Building A Masjid
Part 2 :: Hadith 318
Uthman bin Affan narrated that :
he heard Allah's Messenger say: "Whoever builds a Masjid for (the sake of) Allah, then Allah will build a similar house for him in Paradise." (Sahih)

বই – মহা প্রলয়



রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-

মূল ও বিন্যাসঃ- ড. মুহাম্মদ আব্দুর রহমান আরিফী (সদস্য, আন্তর্জাতিক উচ্চতর দাওয়াত বিভাগ)
কিং সাউদ ইউনিভার্সিটি, রিয়াদ, সৌদি আরব।
ভাষান্তর ও ব্যবস্থাপনা ও সম্পাদনাঃ- উমাইর লুৎফর রহমান
কুরআন-হাদিসের আলোকে কেয়ামতের ছোট বড় নিদর্শন-সম্বলিত প্রথম সচিত্র গ্রন্থ “মহাপ্রলয়”।
সম্প্রতি কিছু বিষয়গুলো নিয়ে অনেক দ্বিধাদন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে।বিভিন্ন লাইব্রেরী ও প্রসিদ্ধ ওয়েবসাইটগুলোতে কেয়ামতের নিদর্শন সম্বলিত বাণীগুলো নিয়ে অনেক জল্পনা-কল্পনা ও ভবিষ্যত ঘটনা প্রবাহ নিয়ে প্রচুর উপকথা প্রচারিত হচ্ছে। মুসলমানদের সামাজিক পরিস্থিতি যতই দুরবস্থার দিকে যাচ্ছে, সাধারণ মানুষ ততই উত্তরণের পথ খুঁজতে মনোনিবেশ করছে। এর-ই ফলে কখনো –“ইমাম মাহদীর আবির্ভাব হয়ে গেছে”, কখনো “ইহুদী খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে বহুল প্রতীক্ষিত যুদ্ধ কাছিয়ে গেছে”, কখনো “প্রাচ্যে বা প্রাশ্চাত্যে বড় ধরণের ভূমিধ্বস ঘটেছে” ইত্যাদি শোনা যাচ্ছে। কেও কেও তো এও দাবি করে ঈসা বিন মারিয়াম (আ) এর আবির্ভাব হয়ে গেছে। এসব দ্বিধাদন্দ্ব অপসারিত করার লক্ষ্যে মহাপ্রলয় বইটিতে কুরআন ও হাদিসের আলোকে কেয়ামতের ছোট বড় আদর্শকে একত্রিত করে মুসলিম বিশ্বকে এক কথায় কুরআন ও হাদিস নিয়ে গবেষণার আহ্বান করা হয়েছে।
এই বইয়ের বিশেষত্ব-
  • কেয়ামতের নির্দেশাবলি সচিত্র বর্নিত হয়েছে।
  • সম্পুর্ণ কুরআন ও হাদিসের ভিত্তিতে বইটি রচিত হয়েছে।
  • নির্ভরযোগ্য সুপ্রসিদ্ধ উলামায়ে কেরামের সিদ্ধান্তই ব্যাপারে গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হয়েছে।
  • জন সাধারণের বিবেক বুঝে হাদিস বর্ননা করা হয়েছে।
  • সহজ ভাবে পড়ার জন্যে বইটিতে Interactive Link অ্যাড করা হয়েছে।
সচিত্র আরবী বইটি মধ্যপ্রাচ্যে অনেক প্রসিদ্ধি লাভ করেছে। এ্যারাবিয়ানদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। কেয়ামতের উপর সচিত্র অনুবাদিত এই বাংলা বইটি ডিজাইন ও সম্পাদনার ক্ষেত্রে মূল বইকেও ছাড়িয়ে গেছে। বিশেষত কুরআন ও হাদিসের গন্ডিতে থাকায় বিশুদ্ধতায় কোনো সন্দেহ নাই।

ডাউনলোড[৬.৯ MB] 


ডাউনলোড করুন mediafire থেকে

Update – 21-12-2011

যারা বইটি পড়তে পারছেন  না, পড়ার সময় হটাত Adobe Reader বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, তাদের জন্য Interactive Link ছাড়া একটি ভার্সন ওয়েবসাইট আপলোড করা হল । আশাকরি আপনারা এখন বইটি পড়তে পারবেন। নতুন ভার্সনটি ডাউনলোড করুন এই লিংক থেকে।
উৎস কুরানের আলো 

পর্দা একটি ইবাদাত


রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-

সংক্ষিপ্ত বর্ণনাঃ নারীদের জন্য পর্দা পালন একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাত যা আল্লাহ রব্বুল আলামিন নারীদের জন্য ফরজ করেছেন। এই পর্দা কিভাবে করতে হবে? কুর’আন ও হাদীস থেকে পর্দার দলীল সমূহ কি কি? সহ পর্দা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এই বইটিতে। বইটি নিজে পড়েন এবং অন্যদের নিকট শেয়ার করুন।

ইসলামী আকীদাহ বা মৌলিক ধর্মবিশ্বাস


রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-

সংক্ষিপ্ত বর্ণনাঃ আজ আমরা আপনাদের জন্য যে বইটি নিয়ে এসেছি এটি শাইখ মুহাম্মাদ বিন জামীল যাইনু লিখিত ইসলামী আকীদাহ সম্পর্কে ছোট একটি বই। কিন্তু এই বইটিতে যে বিষয়গুলো আলোচনা করা হয়েছে তা প্রতিটি মুসলিমের জানা, মুখস্ত থাকা এবং তার উপর আমল করা অত্যন্ত জরুরী। আশাকরি বইটি আপনাদের ভালো লাগবে এবং আপনাদের দুনিয়া ও আখিরাতে আল্লাহর নিকট হতে উত্তম প্রতিদান পেতে সাহায্য করবে। কুরআনের আলো টিমের সকলের জন্য আপনাদের দুয়া কামনা করছি। জাযাকাল্লাহু খাইরান

দুআ



রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-

205
লেখক : নুমান বিন আবুল বাশার
সম্পাদক : আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান
প্রকাশনায় : ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ
আভিধানিক অর্থে দুআ
দুআ শব্দের অর্থ আহ্বান, প্রার্থনা। শরীয়তের পরিভাষায় দুআ বলে কল্যাণ ও উপকার লাভের উদ্দেশ্যে এবং ক্ষতি ও অপকার রোধকল্পে মহান আল্লাহকে ডাকা এবং তার নিকট সাহায্য প্রার্থনা করা। দুআ শব্দ পবিত্র কুরআনে বিভিন্ন অর্থে ব্যবহার হয়েছে। নিম্নে তার কয়েকটি উল্লেখ করা হল।
১- ইবাদত: মহান আল্লাহ বলেন :

وَقَالَ رَبُّكُمُ ادْعُونِي أَسْتَجِبْ لَكُمْ إِنَّ الَّذِينَ يَسْتَكْبِرُونَ عَنْ عِبَادَتِي سَيَدْخُلُونَ جَهَنَّمَ دَاخِرِينَ . المؤمن : 60

তোমাদের পালনকর্তা বলেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি সাড়া দিব, যারা আমার ইবাদতে অহংকার করে তারা অচিরে জাহান্নামে প্রবেশ করবে লাঞ্চিত হয়ে। (আল-মুমিন-৬০)
২-সাহায্য প্রার্থনা: আল্লাহ বলেন :

وَادْعُوا شُهَدَاءَكُمْ مِنْ دُونِ اللَّهِ إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ . البقرة: 23

যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাক, আল্লাহ ব্যতীত তোমাদের সব সাহায্যকারীদেরকে আহবান কর। (আল-বাকারা-২৩) 
আল্লাহর মুখাপেক্ষী হওয়া এবং তার নৈকট্য লাভ করা ব্যতীত মানুষের কোন উপায় নেই, আর দুআ হল আল্লাহর নৈকট্যলাভের বিশেষ বাহন ও মাধ্যম। আল্লাহর নিকট প্রার্থনা, প্রত্যাশা ও সাহায্য কামনার মাধ্যমে মানুষ আল্লাহর নিকটবর্তী হয়। এ দ্বারা মানুষ তার প্রতিপালকের ইবাদত করে, উদ্দেশ্যে উপনীত হয়, তার সন্তুষ্টি লাভ করে।
দুআর ফযিলত ও উপকারিতা
দুআতে রয়েছে প্রভূত ফযীলত, মহা পুরুস্কার, শুভ পরিণতি ও অনেক উপকার। নিম্নে তারই কিছু উল্লেখ করা হল।
(ক) দুআ ইবাদত, দুআকারী ব্যক্তি দুআর মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করে এবং পুরুস্কার প্রাপ্ত হয়:আল্লাহ বলেন:

َتتجافَى جُنُوبُهُمْ عَنِ الْمَضَاجِعِ يَدْعُونَ رَبَّهُمْ خَوْفًا وَطَمَعًا وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنْفِقُونَ ﴾ فَلَا تَعْلَمُ نَفْسٌ مَا أُخْفِيَ لَهُمْ مِنْ قُرَّةِ أَعْيُن جَزَاءً بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ﴾ . السجدة:16-17

তাদের পার্শ্ব শয্যা হতে আলাদা থাকে। তারা তাদের পালনকর্তাকে ডাকে ভয়ে ও আশায় এবং আমি তাদেরকে যে রিযিক দিয়েছি, তা থেকে ব্যয় কর। কেউ জানে না তার জন্য কৃতকর্মের কি কি নয়ন প্রীতিকর প্রতিদান লুকায়িত আছে। (সাজদা : ১৬-১৭)
(খ) দুআতে রয়েছে দুআকারী ব্যক্তির আবেদনের সাড়া: মহান আল্লাহ বলেন :

وَقَالَ رَبُّكُمُ ادْعُونِي أَسْتَجِبْ لَكُمْ. المؤمن :60

তোমাদের পালনকর্তা বলেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি সাড়া দিব। (আল-মুমিন:৬০) 
মহান আল্লাহ আরো বলেন :

وَإِذَا سَأَلَكَ عِبَادِي عَنِّي فَإِنِّي قَرِيبٌ أُجِيبُ دَعْوَةَ الدَّاعِ إِذَا دَعَانِ . البقرة: 186

আর আমার বান্দারা যখন তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে আমার ব্যাপারে বস্তুত: আমি রয়েছি সন্নিকটে। (সূরা আল বাকারা ১৮৬) 
(গ) দুআতে রয়েছে স্রষ্টার প্রতি আনুগত্য ও হীনতা-দীনতার প্রকাশ:
মহান আল্লাহ বলেন :

ادْعُوا رَبَّكُمْ تَضَرُّعًا وَخُفْيَةً إِنَّهُ لَا يُحِبُّ الْمُعْتَدِينَ ﴾ وَلَا تُفْسِدُوا فِي الْأَرْضِ بَعْدَ إِصْلَاحِهَا وَادْعُوهُ خَوْفًا وَطَمَعًا إِنَّ رَحْمَةَ اللَّهِ قَرِيبٌ مِنَ الْمُحْسِنِينَ ﴾. الأعراف:55,56

তোমরা স্বীয় প্রতিপালককে ডাক কাকুতি মিনতি করে এবং সংগোপনে। তিনি সীমা অতিক্রমকারীদের পছন্দ করেন না। পৃথিবীকে কুসংস্কারমুক্ত ও ঠিক করার পর তাতে ফাসাদ সৃষ্টি করো না। তাকে আহবান কর ভয় ও আশা সহকারে। নিশ্চয় আল্লাহর করুণা সৎকর্মশীলদের নিকটবর্তী। (আরাফ :৫৫,৫৬)
(ঘ) দুআ ইহকাল ও পরকালে দুআকারী ব্যক্তি থেকে অনিষ্ট রোধ করে ও পাপ মোচন করে।
দুআ কবুলের শর্তাবলী
মুমিনের প্রত্যাশা মহান আল্লাহ যেন তার দুআ কবুল করেন। এবং তার মনের আশা পূরণ করেন। কিন্তু দুআ কবুল হওয়ার জন্য কিছু শর্ত আছে। নিম্নে তা উল্লেখ করা হল।
১- ইখলাছ: এটি আমাল কবুল হওয়ার মূল শর্ত। মহান আল্লাহ বলেন :

هو الحي لا إله إلا هو فادعوه مخلصين له الدين. المؤمن:66

তিনি চিরঞ্জিব, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। অতএব, তাকে ডাক খাটি ইবাদতের মাধ্যমে। (আল-মুমিন:৬৬)
সব কিছু বাদ দিয়ে কেবল আল্লাহর জন্য ইবাদতকে নিরঙ্কুশ করার নাম ইখলাস। সুতরাং, ইবাদত ও দুআ মহান আল্লাহ ব্যতীত কোন কিছুকে উদ্দেশ্যে করা যাবে না। এর বিপরীত কর্মপন্থা যে অবলম্বন করল, সে অবশ্যই শিরক করল।
মহান আল্লাহ বলেন:

وَمَنْ يَدْعُ مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آَخَرَ لَا بُرْهَانَ لَهُ بِهِ فَإِنَّمَا حِسَابُهُ عِنْدَ رَبِّهِ إِنَّهُ لَا يُفْلِحُ الْكَافِرُونَ (المؤمنون : 117

যে আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্যকে ডাকে, যার স্বপক্ষে কোন দলীল তার কাছে নেই, তার হিসাব তার পালনকর্তার কাছে আছে। নিশ্চয় কাফেররা সফলকাম হবে না। (সূরা আল মুমিন ১১৭)
২- দুআকারী ব্যক্তির সম্পদ হালাল হওয়া: কেননা, হারাম সম্পদ হচ্ছে দুআ কবুলের পথে অন্তরায় ও বাধা। ইমাম মুসলিম রহ. তার সহীহ গ্রন্থে আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন :

أيها الناس إن الله طيب، لا يقبل إلا طيبا، وإن الله أمر المؤمنين بما أمر به المسلمين، فقال: يا أيها الرسل كلوا من الطيبات واعملوا صالحا إني بما تعملون عليم.(المؤمنون) وقال: يا أيها الذين آمنوا كلوا من طيبات ما رزقناكم (البقرة:173 ) ثم ذكر الرجل، يطيل السفر أشعث أغبر، يمد يده إلى السماء، يارب يارب، ومطعمه حرام ومشربه حرام وغذي بالحرام، فأنى يستجاب له. مسلم -1686

হে মানুষ সকল ! নিশ্চয় আল্লাহ পুত:পবিত্র, তিনি পবিত্র জিনিস ব্যতীত কবুল করেন না। নিশ্চয় আল্লাহ রাসূলদের যে আদেশ দিয়েছেন তা মুমিনদের জন্যও আদেশরূপে বিবেচ্য। আল্লাহ বলেন : হে রাসূলগণ! তোমরা পবিত্র বস্তু হতে আহার কর এবং সৎকাজ কর ; তোমরা যা কর সে সম্বন্ধে আমি সবিশেষ অবহিত। (আল- মুমিনূন-৫১)এবং আল্লাহ আরো বলেন- হে ঈমানদারগণ ! তোমরা পাক পবিত্র বস্তু সামগ্রী আহার হিসেবে ব্যবহার কর, যেগুলো আমি তোমাদেরকে রুযী হিসেবে দান করেছি। (আল-বাকারা- ১৭৩) অতঃপর উস্কখুস্ক ধূলোময় অবস্থায় দীর্ঘ সফরকারী একজন ব্যক্তির কথা উল্লেখ করে বলেন, যে স্বীয় হস্তদ্বয় আকাশের দিকে প্রসারিত করে বলে, হে প্রভু! হে প্রভু ! অথচ তার খাদ্য হারাম, পানীয় হারাম, পোশাক হারাম এবং সে হারাম দ্বারা লালিত, তার দুআ কিভাবে কবুল হবে? (মুসলিম -১৬৮৬)
(৩) দুআয় সীমালঙ্ঘন না করা:
দুআর সময় বান্দা বৈধ সীমারেখায় বিচরণ করবে, পাপের কাজ সিদ্ধ করা বা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা, অথবা সামান্য ভুলের শাস্তি স্বরূপ কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠির ধ্বংসের জন্য দুআ করবে না। মহান আল্লাহ বলেন:

ادْعُوا رَبَّكُمْ تَضَرُّعًا وَخُفْيَةً إِنَّهُ لَا يُحِبُّ الْمُعْتَدِينَ. الأعراف:55

তোমরা স্বীয় প্রতিপালককে ডাক, কাকুতি মিনতি করে এবং সংগোপনে। তিনি সীমা অতিক্রমকারীদের পছন্দ করেন না।  (আরাফ:৫৫)
দুআ কবুলের অন্তরায়সমূহ
উপরের আলোচনায় আমরা দুআ কবুলের শর্ত সম্পর্কে জানতে পেরেছি, নীচে দুআ কবুলের অন্তরায় সমূহ সংক্ষেপে উল্লেখ কর হল।
দুআতে এখলাস না থাকা। /আল্লাহর সাথে শিরক করা। /অবৈধ কারবার করা, ভেজাল দেয়া। /সুদ খাওয়া। /অন্যায়ভাবে মানুষের সম্পদ ভক্ষণ করা। /ঘুষ নেওয়া। /দুআতে সীমালঙ্ঘন করা। /অবৈধ বা বিদ্‌য়ী দুআ করা যথা-মৃত বা কবরস্থ ব্যক্তির অসীলা গ্রহণ করে দুআ করা।
উল্লেখিত প্রত্যেকটি বিষয় স্বতন্ত্র ভাবে দুআ কবুলের অন্তরায়। অতএব প্রত্যেক মুসলমানের উপর অবশ্য কর্তব্য হল, সে যেন দুআ কবুলের যে কোন অন্তরায় থেকে নিজেকে দূরে রাখে।
দুআর আদবসমূহ
১-বিনয়-বিনম্রতা ও একাতগ্রতা সাথে দুআ করা।
২-সংকল্প ও আকুতির সাথে দুআ করা, দুআ কবুলে প্রবল আশাবাদী হওয়া। আনাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন :

إذا دعا أحدكم فليعزم المسألة، ولا يقولن: اللهم إن شئت فأعطني، فإنه لا مستكره له. رواه البخاري: 5863

অর্থাৎ যখন তোমরা দুআ করবে, তখন প্রার্থিত বিষয়টি লাভের ব্যাপারে দৃঢ় বিশ্বাস রাখবে, এবং বলবে না- হে আল্লাহ ! যদি তুমি চাও আমাকে প্রদান কর, কেননা, আল্লাহকে বাধ্যকারী কেউ নাই। বুখারী-৫৮৬৩
৩-দুআকারী যেন উত্তম সময় ও স্থান বেছে নেয়, যেমন : আরাফা দিবস, রমযান মাস. জুমার দিন, কদরের রাত, প্রত্যেক রাতের শেষাংশ, সালাতে সাজদারত অবস্থা, আযান ইকামতের মাধ্যবর্তী সময়, সফরকালীন সময়, সিয়ামের সময় অসহায়ত্বের সময়, হজ্বের সময়, বিশেষভাবে তাওয়াফ সায়ীর সময় এবং জামরাতে পাথর নিক্ষেপের পর। এছাড়া, বিশেষ বিশেষ সময় ও স্থান সমুহে।
৪-পবিত্র অবস্থায় কেবলামূখী হয়ে হাত তুলে দুআ করা : দুআর শুরু এবং শেষে আল্লাহর প্রশংসা করা এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উপর সালাত ও সালাম পেশ করা।
বৈধ দুআর কতিপয় উদাহরণ
১-ইহকাল ও পরকালের কল্যাণের জন্য দুআ করা।
২-সন্তান সঠিক ও সৎ পথে চলার জন্য দুআ করা।
৩-অসুস্থ ব্যক্তির শেফা ও পুরুস্কার প্রাপ্তির দুআ করা।
৪-উপকারকারী ব্যক্তির জন্য দুআ করা।
৫-মুজাহিদ ও সাধারণ মুসলমানের জন্য ইহকাল ও পরকালের কল্যাণের দুআ করা।

Download AsPDF

Print Friendly and PDFPrint Friendly and PDFPrint Friendly and PDF
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...