Sunday 1 February 2015

আপনার স্ত্রীকে ভালবাসুন ! ! !


সমস্ত বিবাহিত ভাইদের জন্য

স্ত্রী কে ভালবাসুন...যখন সে আপনার চায়ে ছোট একটি চুমুক দেয়। কারণ, সে নিশ্চিত হতে চায় চা টি আপনার পছন্দ মত হয়েছে কিনা।

স্ত্রী কে ভালবাসুন...যখন সে আপনাকে নামাজ পড়তে জোর করে। কারণ সে আপনারই সাথে জান্নাতে যেতে চায়।

স্ত্রী কে ভালবাসুন...যখন সে আপনাকে সন্তানদের সাথে খেলা করতে বলে। কারণ সন্তানদের অভিভাবক সে একা নয়।

স্ত্রী কে ভালবাসুন...যখন সে আপানাকে নিয়ে ঈর্ষান্বিত হয়। কারণ, সে অন্য সমস্ত মানুষকে রেখে শুধুমাত্র আপনাকেই বেঁছে নিয়েছে।

স্ত্রী কে ভালবাসুন...যখন তার কিছু দোষ ত্রুটি আপনাকে বিরক্ত করে। কারণ, আপনারও এমন অনেক দোষ ত্রুটি রয়েছে।

স্ত্রী কে ভালবাসুন...যখন তার রান্না খারাপ হয়। কারণ, সে ভাল রান্নার চেষ্টা করেছে।

স্ত্রী কে ভালবাসুন...যখন সকাল বেলায় তাকে উষ্কখুষ্ক দেখায়। কারণ, সে আবার আপানরই জন্য সাজগোজ করবে।

স্ত্রী কে ভালবাসুন...যখন সে আপনাকে সন্তানের লেখাপড়ায় সাহায্য করতে বলে। কারণ সে চায় আপনাকে সংসারের অংশ হিসেবে পেতে।

স্ত্রী কে ভালবাসুন...যখন সে জানতে চায় তাকে মোটা লাগছে কিনা। কারণ, আপনার মতামত তার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ; এজন্য তাকে বলুন সে সুন্দর।

স্ত্রী কে ভালবাসুন...যখন তাকে সুন্দর দেখায়। কারণ সে আপনারই, তাই প্রশংসা করুন।

স্ত্রী কে ভালবাসুন...যখন সে তৈরি হতে দীর্ঘ সময় পার করে দেয়। কারণ সে চায় তাকে আপনার চোখে সবচেয়ে সুন্দর লাগুক।

স্ত্রী কে ভালবাসুন...যখন সে এমন কোন উপহার দেয় যা আপনার পছন্দ হয়নি। কারণ সে আপনাকে খুশি করতে চায়, তাই তাকে বলুন, ঠিক এমন উপহারই আপনার প্রয়োজন ছিল।

স্ত্রী কে ভালবাসুন...যখন তার মধ্যে কোন বদঅভ্যাস গড়ে ওঠে। কারণ আপনারও এমন অনেক বদঅভ্যাস রয়েছে; প্রজ্ঞা আর কোমলতার সাথে তার সেই বদঅভ্যাস পরিবর্তন করানোর সময় এখনো আপনার আছে।

স্ত্রী কে ভালবাসুন...যখন সে অকারণেই কাঁদে। তাকে বলুন সব ঠিক হয়ে যাবে।

স্ত্রী কে ভালবাসুন...যখন সে PMS বা মাসিক অবসাদ এ ভোগে। তার জন্য চকলেট আনুন, তার পায়ের পাতায় ও কোমরে মালিশ করে দিন, এবং তার সাথে নিছকই গল্প করুন (বিশ্বাস করুন এতে কাজ হয়!)

স্ত্রী কে ভালবাসুন...যদি সে অসন্তোষজনক কিছু করে ফেলে। এরকম হতেই পারে এবং এর রেষ একসময় কেটেও যাবে।

স্ত্রী কে ভালবাসুন...যখন সে আপনার কাপড়ে ভুলবশতঃ দাগ লাগিয়ে ফেলে। একটি নতুন জামা আপানি এমনিতেও কিনতেন।

স্ত্রী কে ভালবাসুন...যখন সে আপনাকে বলে আপনার কিভাবে ড্রাইভ করা উচিৎ। সে শুধু চায় আপনি নিরাপদে থাকুন।

স্ত্রী কে ভালবাসুন...যখন সে তর্ক করে। সে তাই চায় যা আপানাদের দুইজনের জন্যই ভাল হয়।

স্ত্রী কে ভালবাসুন...সে শুধু আপনারই। এটি ছাড়া তাকে ভালবাসার অন্য কোন বিশেষ কারণেরও প্রয়োজন নেই!!!

এই সবই নারীসুলভ স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য। আর স্ত্রী আপনার জীবনেরই একটি অংশ যাকে রানীর মত মর্যাদা দেওয়া উচিৎ।

মহানবী (সাঃ) নারীদের বিষয়ে উপদেশ দিয়েছেনঃ

• তোমরা স্ত্রীদের জন্য মঙ্গলকামী হও (বুখারী ৩৩৩১, মুসলিম ৪৭)
• তোমাদের মধ্যে ওই ব্যক্তি সবচেয়ে উত্তম যে তার স্ত্রীদের কাছে উত্তম (তিরমিজি ১১৬২)

বিদায় হজ্জ এ নবী (সাঃ) আল্লাহর প্রশংসা ও স্তুতি বর্ণনা করে উপদেশ ও নসিহত দান করে বলেনঃ

তোমাদের স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার কর।...তোমাদের স্ত্রীদের উপর তোমাদের অধিকার রয়েছে, অনুরূপ তোমাদের উপর তোমাদের স্ত্রীদের অধিকার রয়েছে। তোমাদের অধিকার হল, তারা যেন তোমাদের বিছানায় ওই সব লোককে আসতে না দেয় যাদেরকে তোমরা অপছন্দ কর এবং তারা যেন ওই সব লোককে তোমাদের বাড়ীতে প্রবেশ করার অনুমতি না দেয় যাদেরকে তোমরা অপছন্দ কর। তোমাদের উপর তাদের অধিকার এই যে, তাদেরকে ভালরূপে খেতে-পরতে দেবে। [তিরমিজি ১১৬৩, ইবনু মাজাহ ১৮৫১; তাহকীক রিয়াযুস স্বালেহীন পৃষ্ঠা ১৬০]


সূত্র : কুর'আনের আলো

মুসলমান-অমুসলমান সম্পর্ক সংক্রান্ত নীতিমালা



প্রশ্ন: 
আমরা ইসলামি শরিয়ার আলোকে সুস্পষ্টভাবে জানতে চাই মুসলমানেরা অমুসলমানের প্রতি কোন দৃষ্টিতে তাকাবে এবং অমুসলমানদের সাথে কী ধরনের আচরণ করবে।
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। 
১. ইসলাম রহমত ও ন্যায়ের ধর্ম। ইসলাম মানুষের হেদায়েতের জন্য এবং মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে বের করে আনার জন্য চেষ্টা করে। 
২. হেকমত, সুন্দর উপদেশ ও উত্তম পন্থায় বিতর্কের মাধ্যমে অমুসলমানদেরকে দাওয়াত দেয়ার জন্য মুসলমানদেরকে আদেশ করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন: “আর তোমরা উত্তম পন্থা ছাড়া আহলে কিতাবদের সাথে বিতর্ক করো না। তবে তাদের মধ্যে ওরা ছাড়া, যারা জুলুম করেছে।”[সূরা আনকাবুত, আয়াত: ৪৬] 
৩. ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম আল্লাহর নিকট গ্রহণীয় নয়। আল্লাহ তাআলা বলেন: “আর যে ব্যক্তি ইসলাম ছাড়া অন্য কোন দীন চায় তবে তার কাছ থেকে তা কখনো গ্রহণ করা হবে না এবং সে আখেরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।”[সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ৮৫] 
৪. মুসলমানদের কর্তব্য হচ্ছে- যে কোন কাফেরকে আল্লাহর কালাম শুনার সুযোগ করে দেয়া। আল্লাহ তাআলা বলেন: “আর যদি মুশরিকদের কেউ তোমার কাছে আশ্রয় চায়, তাহলে তাকে আশ্রয় দাও, যাতে সে আল্লাহর কালাম শুনতে পারে। অতঃপর তাকে পৌঁছিয়ে দাও তার নিরাপদ স্থানে।”[সূরা তওবা, আয়াত: ৬] 

Download AsPDF

Print Friendly and PDFPrint Friendly and PDFPrint Friendly and PDF
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...