আমাদের দেশে যেমন “জামাতে ইসলামী”, ঠিক তেমনি মিশরের একটি রাজনৈতিক দল হচ্ছে “ইখোয়ানুল মুসলিমিন” বা ইংরেজীতে মুসলিম ব্রাদারহুড। তাদের শীর্ষস্থানীয় কিছু নেতা হচ্ছেন হাসান আল-বান্না, সাইয়েদ কুতুব, ইউসুফ কারযাভী, মুহাম্মদ হাসসান এবং অন্যান্যরা। ইখোয়ানুল মুসলিমিনের ব্যপারে আহলে সুন্নাহর আলেমদের ফতোয়াঃ
.
(১) শায়খ আব্দুল আ’জিজ বিন বাজ রাহি’মাহুল্লাহ বলেন, “ইখোয়ানুল মুসলিমীন ও তাবলীগ জামাত ৭২টা বিদআ’তী দলের অন্তর্ভুক্ত, যাদের ব্যপারে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম জাহান্নামের ভয় দেখিয়েছেন।”
.
(২) শায়খ মুহাম্মাদ নাসিরউদ্দিন আল-আলবানী রাহি’মাহুল্লাহ বলেন, “ইখোয়ানুল মুসলিমিনকে আহলে সুন্নাহর অন্তর্ভুক্ত মনে করা ঠিক নয়, বরং তারা আহলে সুন্নাহর সাথে যুদ্ধ করছে।”
.
(৩) শায়খ সালেহ আল-ফাউজান হা’ফিজাহুল্লাহ বলেন, “ইখওয়ানুল মুসলিমীন হচ্ছে হিজবী একটা দল, যাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে ক্ষমতা দখল করা। তারা মানুষকে সঠিক আক্বিদাহর দিকে দাওয়াত দেওয়ার জন্য উৎসাহী নয় এবং তারা তাদের অনুসারীদের মাঝে সুন্নী এবং বিদআ’তির মাঝে কোন পার্থক্য করেনা।”
.
(৪) শায়খ মুক্ববিল বিন হাদী আল-ওয়াদী রাহি’মাহুল্লাহকে ফিলিস্থিনে ইখোয়ানুল মুসলিমিনের অংগ সংগঠন “হামাস” সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছিলোঃ “দখলকৃত ফিলিস্থিনের ভূমিতে হামাসের ‘ইসলামিক জিহাদ’ ও ‘আন্দোলন’ সম্পর্কে আপনি কি বলেন?”