Saturday 10 June 2017

ইখোয়ানুল মুসলিমিন বা মুসলিম ব্রাদারহুড ও হামাসের ব্যপারে আলেমদের ফতোয়াঃ



আমাদের দেশে যেমন “জামাতে ইসলামী”, ঠিক তেমনি মিশরের একটি রাজনৈতিক দল হচ্ছে “ইখোয়ানুল মুসলিমিন” বা ইংরেজীতে মুসলিম ব্রাদারহুড। তাদের শীর্ষস্থানীয় কিছু নেতা হচ্ছেন হাসান আল-বান্না, সাইয়েদ কুতুব, ইউসুফ কারযাভী, মুহাম্মদ হাসসান এবং অন্যান্যরা। ইখোয়ানুল মুসলিমিনের ব্যপারে আহলে সুন্নাহর আলেমদের ফতোয়াঃ
.
(১) শায়খ আব্দুল আ’জিজ বিন বাজ রাহি’মাহুল্লাহ বলেন, “ইখোয়ানুল মুসলিমীন ও তাবলীগ জামাত ৭২টা বিদআ’তী দলের অন্তর্ভুক্ত, যাদের ব্যপারে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম জাহান্নামের ভয় দেখিয়েছেন।”
.
(২) শায়খ মুহাম্মাদ নাসিরউদ্দিন আল-আলবানী রাহি’মাহুল্লাহ বলেন, “ইখোয়ানুল মুসলিমিনকে আহলে সুন্নাহর অন্তর্ভুক্ত মনে করা ঠিক নয়, বরং তারা আহলে সুন্নাহর সাথে যুদ্ধ করছে।”
.
(৩) শায়খ সালেহ আল-ফাউজান হা’ফিজাহুল্লাহ বলেন, “ইখওয়ানুল মুসলিমীন হচ্ছে হিজবী একটা দল, যাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে ক্ষমতা দখল করা। তারা মানুষকে সঠিক আক্বিদাহর দিকে দাওয়াত দেওয়ার জন্য উৎসাহী নয় এবং তারা তাদের অনুসারীদের মাঝে সুন্নী এবং বিদআ’তির মাঝে কোন পার্থক্য করেনা।”
.
(৪) শায়খ মুক্ববিল বিন হাদী আল-ওয়াদী রাহি’মাহুল্লাহকে ফিলিস্থিনে ইখোয়ানুল মুসলিমিনের অংগ সংগঠন “হামাস” সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছিলোঃ “দখলকৃত ফিলিস্থিনের ভূমিতে হামাসের ‘ইসলামিক জিহাদ’ ও ‘আন্দোলন’ সম্পর্কে আপনি কি বলেন?”

Friday 9 June 2017

শিয়া আকীদা তথা ধর্ম বিশ্বাসঃ



১-ইমামাহ বা নেতৃত্বঃ তাদের মতে নেতৃত্ব দলীল দ্বারা সাব্যস্ত হতে হবে। অর্থাৎ পূর্বের নেতা পরের নেতাকে নির্দিষ্টরূপে নির্ধারণ করবেন; তার গুণাগুণ বর্ণনার মাধ্যমে নয়। নেতৃত্ব একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মতকে নেতৃত্বহীন অবস্থায় ছেড়ে মারা যাবেন তা হয় না; বরং তাঁর জন্য কোনো এক ব্যক্তিকে নির্ধারণ করা জরুরি ছিল, যাঁর দিকে পরবর্তী লোকেরা প্রত্যাবর্তন করবে এবং তাঁর প্রতি ভরসা করবে।
তারা এই বিষয়ে বলে থাকে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ‘গদীরে খাম’ দিবসে স্পষ্টই আলীর ইমামত নির্দিষ্ট করে দিয়ে ঘোষণা করেন যে, সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পরে ইমাম বা খলীফা হবেন। অবশ্য গদীরে খাম নামক ঘটনায় এমন নির্ধারণের বিষয়টি আহলে সুন্নাতের মুহাদ্দিস ও ঐতিহাসিকদের নিকট অস্বীকৃত ও অসাব্যস্ত।
তারা মনে করে, আলী তাঁর দুই পুত্র হাসান ও হুসাইনের নেতৃত নির্ধারণ করেছিলেন। এভাবে অন্য ইমামরাও। তাই প্রত্যেক ইমাম তার পরের ইমামকে নির্ধারণ করবে আর এটা হবে তার অসীয়ত স্বরূপ। তারা তাদের ‘আউস্বিয়া’ (অসিয়তকৃত ব্যক্তিবর্গ) নামে আখ্যায়িত করে থাকে।
২-ইসমত বা ইমামদের নিষ্পাপতায় বিশ্বাস:
তাদের বিশ্বাস যে, তাদের সকল ইমাম ছোট-বড় সকল প্রকার পাপ থেকে পবিত্র এবং নিস্পাপ।
৩-ইলমে লাদুন্নীর আক্বীদাঃ (আধ্যাতিক জ্ঞান)
তাদের প্রত্যেক ইমামকে ইলমে লাদুন্নী তথা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট থেকে আধ্যাতিক জ্ঞান দেওয়া হয়েছে যা দ্বারা তারা শরীয়ত পরিপূর্ণ করে থাকে। তারা ইলমে লাদুন্নীর অধিকারী, তাদের ও নবীদের মধ্যে এছাড়া কোনো পার্থক্য নেই যে, নবীদের কাছে অহী আসে আর তাদের কাছে অহী হয় না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের শরীয়তের গোপন ভেদ দিয়ে গেছেন, যেন তারা সময়ের দাবী অনুযায়ী সাধারণ লোকদের বর্ণনা দেয়।
৪-ইমামের অলৌকিক শক্তির প্রতি বিশ্বাসঃ
ইমামের হাতে অলৌকিক কিছু প্রকাশ পাওয়া সম্ভব। এসব কে তারা মুজিযা বলে থাকে। যদি কোনো ক্ষেত্রে পূর্বের ইমাম পরের ইমামকে নির্ধারণ না করে থাকে তাহলে এমতাবস্থায় পরের ইমাম অলৌকিকতার মাধ্যমে নির্ধারণ হবে।

Download AsPDF

Print Friendly and PDFPrint Friendly and PDFPrint Friendly and PDF
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...