পরিশ্রম অল্প, পারিশ্রমিক প্রচুর।তাওহীদবাদী মুমিন ভাই-বোনদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ...শায়খ আব্দুল হামিদ ফাইযী আল-মাদানী হাফিযাহুল্লাহ কর্তৃক সংকলিত অতীব ফজিলতপূর্ণ দশটি হাদিস।
সুবহানাল্লাহ!
একেবারেই মিলিয়নায়র!
উমার বিন খাত্তাব কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল বলেন,
((مَنْ قَالَ حِينَ يَدْخُلُ السُّوقَ : لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ ، وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ ، يُحْيِي وَيُمِيتُ ، وَهُوَ حَيٌّ لاَ يَمُوتُ ، بِيَدِهِ الْخَيْرُ كُلُّهُ ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ ، كَتَبَ اللهُ لَهُ أَلْفَ أَلْفِ حَسَنَةٍ ، وَمَحَا عَنْهُ أَلْفَ أَلْفِ سَيِّئَةٍ ، وَبَنَى لَهُ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ))।
“যে ব্যক্তি বাজারে প্রবেশ করে (নিম্নের দুআ) বলে আল্লাহ তার জন্য দশ লক্ষ নেকী লিপিবদ্ধ করেন, দশ লক্ষ গোনাহ মোচন করে দেন, তাকে দশ লক্ষ মর্যাদায় উন্নীত করেন এবং বেহেশ্তে তার জন্য একটি গৃহ নির্মাণ করে দেন।”
'লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু অহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু অলাহুল হামদু, য়্যুহয়ী অয়্যুমীতু, অহুয়া হাইয়্যুল লা য়্যামূতু, বিয়্যাদিহিল খাইরু অহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর।'
অর্থাৎ- আল্লাহ ছাড়া কেউ সত্য উপাস্য নেই, তিনি একক তাঁর কোন অংশী নেই, তাঁরই জন্য সারা রাজত্ব ও তাঁরই নিমিত্তে সমুদয় প্রশংসা। তিনি জীবন দান করেন এবং মৃত্যু প্রদান করেন। আর তিনি চিরঞ্জীব, তাঁর মৃত্যু নেই। তাঁর হাতেই সর্বপ্রকার মঙ্গল এবং তিনি সর্ব বস্তুর উপর সর্বশক্তিমান।
সুবহানাল্লাহ! কয়েক মিনিটে এত সওয়াব?একেবারেই মিলিয়নায়র!
উমার বিন খাত্তাব কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল বলেন,
((مَنْ قَالَ حِينَ يَدْخُلُ السُّوقَ : لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ ، وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ ، يُحْيِي وَيُمِيتُ ، وَهُوَ حَيٌّ لاَ يَمُوتُ ، بِيَدِهِ الْخَيْرُ كُلُّهُ ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ ، كَتَبَ اللهُ لَهُ أَلْفَ أَلْفِ حَسَنَةٍ ، وَمَحَا عَنْهُ أَلْفَ أَلْفِ سَيِّئَةٍ ، وَبَنَى لَهُ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ))।
“যে ব্যক্তি বাজারে প্রবেশ করে (নিম্নের দুআ) বলে আল্লাহ তার জন্য দশ লক্ষ নেকী লিপিবদ্ধ করেন, দশ লক্ষ গোনাহ মোচন করে দেন, তাকে দশ লক্ষ মর্যাদায় উন্নীত করেন এবং বেহেশ্তে তার জন্য একটি গৃহ নির্মাণ করে দেন।”
'লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু অহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু অলাহুল হামদু, য়্যুহয়ী অয়্যুমীতু, অহুয়া হাইয়্যুল লা য়্যামূতু, বিয়্যাদিহিল খাইরু অহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর।'
অর্থাৎ- আল্লাহ ছাড়া কেউ সত্য উপাস্য নেই, তিনি একক তাঁর কোন অংশী নেই, তাঁরই জন্য সারা রাজত্ব ও তাঁরই নিমিত্তে সমুদয় প্রশংসা। তিনি জীবন দান করেন এবং মৃত্যু প্রদান করেন। আর তিনি চিরঞ্জীব, তাঁর মৃত্যু নেই। তাঁর হাতেই সর্বপ্রকার মঙ্গল এবং তিনি সর্ব বস্তুর উপর সর্বশক্তিমান।
উম্মে হানী (রায্বিয়াল্লাহু আনহা) কর্তৃক বর্ণিত হাদীস।
১০০ বার 'সুবহানাল্লাহ' পাঠ করলে ইসমাঈলের বংশধরের ১০০টি ক্রীতদাস স্বাধীন করার সওয়াব রয়েছে।
১০০ বার 'আল-হামদু লিল্লাহ' পাঠ করলে আল্লাহ পথে জিহাদের জন্য ১০০টি জিনপোশ ও লাগামযুক্ত প্রস্তুত ঘোড়া পাঠানোর সওয়াব রয়েছে।
১০০ বার 'আল্লাহু আকবার' পাঠ করলে (মক্কায়) ১০০টি কবুলযোগ্য গলায় চিহিপ্পত উট কুরবানী পাঠানোর সওয়াব রয়েছে।
১০০ বার 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' পাঠ করলে আকাশ-পৃথিবীর মধ্যবর্তী স্থান ভরতি সওয়াব রয়েছে। আর তা হবে সেদিনকার সবার চাইতে শ্রেষ্ঠ আমল।
(আহমাদ ২৬৯১১, নাসাঈর কুবরা ১০৬৮০, বাইহাক্বীর শুআবুল ঈমান ৬২১, সঃ তারগীব ১৫৫৩, সিঃ সহীহাহ ১৩১৬নং)
সুবহানাল্লাহ! মক্কা না গিয়েও হজ্জ-উমরাহ? তাও আবার ত্রুটিহীন?
আনাস বিন মালেক হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল বলেছেন,
((مَنْ صَلَّى الْغَدَاةَ فِي جَمَاعَةٍ ، ثُمَّ قَعَدَ يَذْكُرُ اللهَ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ ، ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ ، كَانَتْ لَهُ كَأَجْرِ حَجَّةٍ وَعُمْرَةٍ ।।।। تَامَّةٍ ، تَامَّةٍ ، تَامَّةٍ))।
“যে ব্যক্তি ফজরের নামায জামাআতে পড়ে, অতঃপর সূর্যোদয় অবধি বসে আল্লাহর যিকর করে তারপর দুই রাকআত নামায পড়ে, সেই ব্যক্তির একটি হজ্জ ও উমরার সওয়াব লাভ হয়।” বর্ণনাকারী বলেন, আল্লাহর রসূল বললেন, “পরিপূর্ণ, পরিপূর্ণ, পরিপূর্ণ।” অর্থাৎ কোন অসম্পূর্ণ হজ্জ-উমরার সওয়াব নয় বরং পূর্ণ হজ্জ-উমরার সওয়াব।
(তিরমিযী ৫৮৬, সহীহ তারগীব ৪৬৪নং)
দিনের একাংশে কিছু কর্মের জন্য, সারা বছরের নামায-রোযার সওয়াব লাভ হবে? আল্লাহু আকবার!
আওস বিন আওস ষাক্বাফী (রায্বিয়াল্লাহু আনহু) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল ﷺ বলেছেন,
مَنْ غَسَّلَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَاغْتَسَلَ ثُمَّ بَكَّرَ وَابْتَكَرَ وَمَشَى وَلَمْ يَرْكَبْ وَدَنَا مِنَ الإِمَامِ فَاسْتَمَعَ وَلَمْ يَلْغُ كَانَ لَهُ بِكُلِّ خُطْوَةٍ عَمَلُ سَنَةٍ أَجْرُ صِيَامِهَا وَقِيَامِهَا
“যে ব্যক্তি জুমআর দিন (মাথা) ধৌত করে ও যথা নিয়মে গোসল করে, সকাল-সকাল ও আগে-আগে (মসজিদে যাওয়ার জন্য) প্রস্তুত হয়, সওয়ার না হয়ে পায়ে হেঁটে (মসজিদে) যায়, ইমামের কাছাকাছি বসে মনোযোগ সহকারে (খোতবা) শ্রবণ করে, এবং কোন অসার ক্রিয়া-কলাপ করে না, সে ব্যক্তির প্রত্যেক পদক্ষেপের বিনিময়ে এক বৎসরের নেক আমল ও তার (সারা বছরের) রোযা ও নামাযের সওয়াব লাভ হয়।”
আওস বিন আওস ষাক্বাফী (রায্বিয়াল্লাহু আনহু) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল ﷺ বলেছেন,
مَنْ غَسَّلَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَاغْتَسَلَ ثُمَّ بَكَّرَ وَابْتَكَرَ وَمَشَى وَلَمْ يَرْكَبْ وَدَنَا مِنَ الإِمَامِ فَاسْتَمَعَ وَلَمْ يَلْغُ كَانَ لَهُ بِكُلِّ خُطْوَةٍ عَمَلُ سَنَةٍ أَجْرُ صِيَامِهَا وَقِيَامِهَا
“যে ব্যক্তি জুমআর দিন (মাথা) ধৌত করে ও যথা নিয়মে গোসল করে, সকাল-সকাল ও আগে-আগে (মসজিদে যাওয়ার জন্য) প্রস্তুত হয়, সওয়ার না হয়ে পায়ে হেঁটে (মসজিদে) যায়, ইমামের কাছাকাছি বসে মনোযোগ সহকারে (খোতবা) শ্রবণ করে, এবং কোন অসার ক্রিয়া-কলাপ করে না, সে ব্যক্তির প্রত্যেক পদক্ষেপের বিনিময়ে এক বৎসরের নেক আমল ও তার (সারা বছরের) রোযা ও নামাযের সওয়াব লাভ হয়।”