Saturday 22 September 2018

সৌদি আরব কি আলেম-উলামাদেরকে গ্রেফতার করে?


উত্তরঃ হ্যা করে, ভ্রষ্ট পথের দিকে আহবানকারী আলেমদেরকে গ্রেফতার করে।
যেমন সুলায়মান আল-উলওয়ান, সালমান আল-আওদাহ প্রমুখ।
=> প্রশ্নঃ সুলায়মান আল-উলওয়ান কে?
উত্তরঃ সুলায়মান আল-উলওয়ানঃ
(১) বিংশ শতাব্দীতে তাকফীর ও খুরুজের শীর্ষস্থানীয় নেতা।
(২) আত্মঘাতী বোমা হামলার উস্কানিদাতা।
(৩) সাউদী আরবের আলেমদেরকে "স্কলারস অফ রুলারস" বলে অপবাদ দানকারী।
(৪) উম্মাহকে আলিম-উলামা বাদ দিয়ে উসামা বিন লাদিনের মতো ব্যক্তিদের দিকে মুখাপেক্ষী হওয়ার জন্য আহবানকারী।
(৫) তাকফীর ও খুরুজের ব্যাপারে মুহাম্মদ আল-সুরুর, সফর আল-হাওয়ালী, সালমান আল-আওদাহর মতো চরমপন্থী বরং, তাদের চাইতেও নিকৃষ্ট।
(৬) সাউদী আরবের শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের জন্য আহবানকারী।
(৭) আরব বসন্তের সমর্থনকারী, আরব বসন্তের দুই পক্ষকে ইসলাম ও কুফরের যুদ্ধের সমতুল্য বলে তুলনাকারী।
=> সালমান আল-আওদাহ কে?
ইখোয়ানুল মুসলিমিন, আল-কায়েদাহ, আনোয়ার আল-আওলাকি, ইয়াসির ক্বাদী এমন আরো অনেকের তাত্ত্বিক গুরু। ডা. জাকির নায়েক সালমান আল-আওদাহর দ্বারা বিভ্রান্ত হয়ে আত্মঘাতী বোমা হামলা শর্ত সাপেক্ষে জায়েজ বলে তার লেকচারে উল্লেখ করেছিল।
ফেইসবুক জিহাদীরা কিছুদিন পরপরই মায়াকান্না আরম্ভ করে, সৌদি আরব prominent muslim scholar সালমান আল-আ'ওদাহকে গ্রেফতার করেছে!
সালমান আল-আওদাহ prominent scholar, তবে ইখোয়ানুল মুসলিমিন এবং তাদের brain child আল-কায়েদার অনুসারীদের কাছে। আলহা'মদুলিল্লাহ অনেক দেরীতে হলে সৌদি আরব তাদের ভুলগুলো বুঝতে পারছে এবং এই দলগুলোকে সন্ত্রাসী বলে ঘোষণা করেছে। সাধারণ মুসলমানদেরকে বিভ্রান্ত করে যারা এই দলগুলোতে ভর্তি করে, তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।

Download AsPDF

Print Friendly and PDFPrint Friendly and PDFPrint Friendly and PDF
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...