আমরা ইতোপূর্বে আলোচনা করেছি যে, মহামারী, মহা দুর্যোগ, ভাইরাস ইত্যাদি থেকে আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে সম্মিলিতভাবে আজান দেয়া দ্বীনের মধ্যে নব আবিষ্কৃত-বিদআত। ইসলামি শরিয়তে এর নূন্যতম কোন ভিত্তি নাই। মহামারীর সময় সাহাবিগণও কখনো এমনটি করেন নি। কিন্তু বিদআতিরা তাদের বিদআত ঠিক রাখার জন্য এর সপক্ষে কয়েকটি হাদিস পেশ করে সহজ-সরল মুসলিমদেরকে ভুল বুঝিয়ে তাদের সাথে প্রতারণা করেছে। আর কিছু নিতান্ত জাহেল শ্রেণীর মানুষ এসব হাদিস অন্ধের যষ্টির মতো একমাত্র সম্বল হিসেবে পেয়ে মহাখুশিতে ফেসবুকের যত্রতত্র শেয়ার করে চলেছে!
সুতরাং এই প্রেক্ষাপটে করোনা ভাইরাস ও মহামারী থেকে বাঁচার উদ্দেশ্যে আজানের পক্ষে বিদআতিরা যে সকল হাদিস দলিল হিসেবে পেশ করেছে সেগুলো আসলে কতটুক সঠিক বা গ্রহনযোগ্য সে সম্পর্কে স্পষ্ট হওয়া আমাদের সকলের জন্য খুবই জরুরি।
তাহলে এবার মূল আলোচনায় আসা যাক।
মূলত: মহামারী, রোগ-ব্যাধি বা ব্যাপক দুর্যোগে সম্মিলিত অথবা একাকী আজানের পক্ষে একটিও সহিহ হাদিস নাই। এ প্রসঙ্গে তারা মৌলিকভাবে চারটি হাদিস পেশ করে থাকে। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে, এগুলোর মধ্যে দুটি জঈফ (দুর্বল) পাশাপাশি অপব্যাখ্যার শিকার আর দুটি বানোয়াট বা জাল।
নিম্নে উক্ত চারটি হাদিস সম্পর্কে জগদ্বিখ্যাত মুহাদ্দিসদের মতামতের আলোকে হাদিসের মান এবং প্রাসঙ্গিক সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা তুলে ধরা হল:
▮ ১ম হাদিস: জঈফ (দুর্বল)