Friday 16 August 2019

রোজাদার ব্যক্তির সাপোজিটরি ব্যবহার করার বিধান


বিগত শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ মুফাসসির, মুহাদ্দিস, ফাক্বীহ ও উসূলবিদ আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ ইমাম মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-‘উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২১ হি./২০০১ খ্রি.] প্রদত্ত ফাতওয়া—
السؤال: ما حكم استعمال التحاميل في نهار رمضان، إذا كان الصائم مريضاً؟
الإجابة: لا بأس أن يستعمل الصائم التحاميل التي تجعل في الدبر، إذا كان مريضاً، لأن هذا ليس أكلاً ولا شرباً، ولا بمعنى الأكل والشرب، والشارع إنما حرم علينا الأكل أو الشرب، فما كان قائماً مقام الأكل والشرب، أعطي حكم الأكل والشرب، وما ليس كذلك فإنه لا يدخل في الأكل والشرب لفظاً ولا معنى، فلا يثبت له حكم الأكل والشرب، والله أعلم.
প্রশ্ন: “রমজান মাসের দিবসে অসুস্থ রোজাদার ব্যক্তির জন্য সাপোজিটরি (মলদ্বার বা যোনিপথে প্রবেশযোগ্য গলনশীল ওষুধ-শলাকা) ব্যবহার করার বিধান কী?”
উত্তর: “রোজাদার যদি অসুস্থ হয়, তাহলে তার জন্য পায়ুপথে ব্যবহার্য সাপোজিটরি ব্যবহার করায় কোনো সমস্যা নেই। কেননা এটা পানাহার না, আবার পানাহারের অর্থবোধক বিষয়ও না। শরিয়তপ্রণেতা আমাদের জন্য পানাহার হারাম করেছেন। যেসব দ্রব্য পানাহারের স্থলাভিষিক্ত, সেগুলোর ক্ষেত্রেও পানাহারের বিধানই প্রযোজ্য হবে। আর যা পানাহারের স্থলাভিষিক্ত না, তা শব্দগত বা অর্থগত—কোনোভাবেই পানাহারের আওতাভুক্ত হবে না। ফলে তার জন্য পানাহারের বিধানও সাব্যস্ত হবে না। আর আল্লাহই সর্বাধিক অবগত।”
·
তথ্যসূত্র:
ইমাম ইবনু ‘উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ), মাজমূ‘উ ফাতাওয়া ওয়া রাসাইল; খণ্ড: ১৯; পৃষ্ঠা: ২০৪-২০৫; দারুস সুরাইয়্যা, রিয়াদ কর্তৃক প্রকাশিত; সন: ১৪২৩ হি./২০০৩ খ্রি. (১ম প্রকাশ)।
·
অনুবাদক: মুহাম্মাদ ‘আব্দুল্লাহ মৃধা

No comments:

Post a Comment

Download AsPDF

Print Friendly and PDFPrint Friendly and PDFPrint Friendly and PDF
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...