Saturday 7 October 2017

পুরুষের মাঝে কর্মরত নারীর প্রতি আহ্বান


Image result for hijab in office
বোন! তুমি কি পুরুষের সঙ্গে কাজ করছ?
বোন! আমি মর্মাহত, আমি ব্যথিত এবং খুবই দুঃখিত আমি। না, আমার কোন কারণে নয়, শুধু তোমার জন্য এবং শুধু তোমার কল্যাণের কথা চিন্তা করেই। তুমি কাজ করছ! তাও আবার পুরুষের সঙ্গে এবং তাদের মাঝে থেকেই। কারণ, এটা তোমার দীনদারি খতম করে দিবে, তোমার চরিত্রের ওপর কলঙ্কের ছাপ এঁটে দিবে। এটা আমার মায়াকান্না নয়, আমার কথাগুলো তুমি নাক ছিট্কে ফেল দিও না এবং মনে কর না আমি খুব বাড়াবাড়ি করছি, বরং আমার কাছে এর প্রমাণ রয়েছে। আছে এর যুক্তি সংগত কারণ। মনে রেখো, ইসলামের সম্পর্ক ছাড়া তোমার সঙ্গে আমার আর কোন সম্পর্কই নেই। এবং এর সঙ্গে আমার কোন ইহজাগতিক স্বার্থও সংশ্লিষ্ট নয়। বরং এর দ্বারা আমার সময় ও শ্রম ব্যয় হচ্ছে, মেধার ক্ষয় হচ্ছে। আশা করছি আমার এ কথাগুলোর মূল্য তুমি দিবে। আমি যা বলছি তুমি তা বারবার চিন্তা করবে। তবে অবশ্যই তুমি আমাকে তোমার একান্ত হিতাকাঙ্ক্ষী জ্ঞান করবে।

জেনে রখো, পুরুষের সঙ্গে যে কোন সহাবস্থানে নারী সঙ্কুচিত ও নির্যাতিত থাকে। যদি না তার সঙ্গে তার মাহরাম থাকে। কারণ, পুরুষরা সাধারণত নারীর দিকে প্রবৃত্তি ও কামভাব নিয়েই তাকায়। এর বিপরীত যে বলবে সে মিথ্যুক। কারণ, আল্লাহ তাআলা পুরুষের মধ্যে নারীর প্রতি মোহের সৃষ্টি করেছেন এবং নারীর মধ্যে দিয়েছেন পুরুষের প্রতি গভীর আগ্রহ। অধিকন্তু নারীর মধ্যে রয়েছে দুর্বলতা ও কোমলতা। ফলে নারী-পুরুষের সহাবস্থানে শয়তান স্নায়ুতন্ত্র ও অনুভূতিগুলোকে প্ররোচিত করার মোক্ষম সময় মনে করে। সাধারণত এসব ক্ষেত্রে নারীরাই ক্ষতিগ্রস্ত বেশী হয়। কারণ, সৃষ্টিগতভাবে নারীরা পুরুষের থেকে ভিন্ন। সহাবস্থানের ফলে নারীরা যে ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়, পুরুষরা সে ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয় না। যেমন নারীদের অনেক সময় গর্ভ সঞ্চার হয়, কখনো গর্ভপাত করতে গিয়ে মৃত্যু মুখে পতিত হয় নারী। এসব কারণেই শরিয়ত নারী-পুরুষের সহাবস্থান নিষিদ্ধ করেছে। আমি এখানে নারী-পুরুষ সহাবস্থান নিষিদ্ধ করার কিছু দলিল উল্লেখ করছি। 
আল্লাহ তাআলা বলেন,
{قُل لِّلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ  {النور:30.
মুমিন পুরুষদেরকে বল, তারা তাদের দৃষ্টি সংযত রাখবে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করবে। (নুর : ৩০)
এ আয়াতে আল্লাহ তাআলা পুরুষের দৃষ্টি অবনত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। যেহেতু নারী-পুরুষ পাশাপাশি কর্মরত থাকলে দৃষ্টি অবনত রাখা সম্ভব নয়, তাই শরিয়ত তাদের সহাবস্থান নিষিদ্ধ করেছে।
নারীর পুরোটাই সতর বা পর্দার বস্তু। তার দিকে দৃষ্টি দেয়া হারাম।
রাসূল সা. বলেন, 
হে আলী, বারবার নজর দিবে না, প্রথম নজর তোমার কিন্তু দ্বিতীয় নজর তোমার নয়। (তিরমিজি) 
অর্থাৎ হঠাৎ প্রথম যে দৃষ্টি নারীর প্রতি পড়ে যায় তাতে কোন গুনা নেই, কিন্তু দ্বিতীয়বার স্বেচ্ছায় দৃষ্টি দেয়া গুনা বা অপরাধ।
হাদিসে এসেছে যে, 
চোখের যেনা দৃষ্টি দেয়া, কানের যেনা শ্রবণ করা, মুখের যেনা কথা বলা, হাতের যেনা স্পর্শ করা, পায়ের যেনা পথ চলা। (মুসলিম)
চোখের যেনা দৃষ্টি। এর মাধ্যমে ব্যক্তি নারীর সৌন্দর্য ও রূপ উপভোগ করে। পরবর্তীতে তার সঙ্গে অন্তরের ঘনিষ্ঠতা সৃষ্টি হয়। আর এ পথ ধরেই শুরু হয় অশ্লীলতা। এতে সন্দেহ নেই যে, নারী-পুরুষের সহাবস্থানে দৃষ্টি হেফাজত করা কোন ক্রমেই সম্ভব নয়।

Download AsPDF

Print Friendly and PDFPrint Friendly and PDFPrint Friendly and PDF
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...