Friday 2 September 2016

সৌন্দর্যই মর্যাদার মাপকাঠি নয়



বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।

তাক্বওয়া ও আল্লাহর আনুগত্যকে প্রাধান্য দিলেই একজন মানুষ সর্বক্ষেত্রে বিজয়ী হতে পারবে। এনিয়ে সুন্দর একটি শিক্ষণীয় হাদীস দেওয়া হলো।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এর একজন ছাহাবী ছিলেন, যার নাম ছিল জুলায়বীব (রাঃ) । জুলায়বীব শব্দের অর্থক্ষুদ্র পূর্ণতাপ্রাপ্ত । এই নাম দিয়ে মূলতঃ জুলায়বীবের খর্বাকৃতিকে বুঝানো হত। তিনি ছিলেন উচ্চতায় অনেক ছোট। আনাস (রাঃ) বলেন, তিনি দেখতে কুশ্রীও ছিলেন। রাসূল (ছাঃ) তাকে বিবাহ করার কথা বললে তিনি নিজের কুশ্রী চেহারার দিকে ইঙ্গিত করে বললেন, বিবাহের ক্ষেত্রে তো আমি অচল বা চাহিদাহীন। রাসূল (ছাঃ) বললেন, হতে পারে, তবে আল্লাহর নিকটে তুমি অচল নও। আবু বারযা আল-আসলামী (রাঃ) বলেন, জুলায়বীবের বিষয়টা এমন ছিল যে, সে মহিলাদের নিকটে গেলে তারা সেখান থেকে চলে যেত। তারা তাকে নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করত। তখন আমি আমার স্ত্রীকে বললাম, তোমরা জুলায়বীবকে তোমাদের নিকটে প্রবেশ করতে দিও না। কেননা সে যদি তোমাদের নিকটে আসে, তাহলে অবশ্যই আমি (কিছু) করব, আমি অবশ্যই (কিছু) করব। তাকে স্বীয় গৃহে প্রবেশ করতে নিষেধ করেছিলেন। কোন মেয়ে জুলায়বীবকে বিবাহ করার কথা চিন্তাও করত না। কিন্তু মহানবী (ছাঃ) এর দৃষ্টিতে জুলায়বীবের অবস্থান ছিল অনেক উপরে। তিনি এই ছাহাবীর প্রয়োজন সম্পর্কে সচেতন ছিলেন।

একজন জান্নাতী মহিলার জীবন কাহিনীঃ



তিনি হলেন মর্যাদান সাহাবী আনাস রাযিয়াল্লাহুর আনহুর মা এবং অন্যতম মহিলা সাহাবী উম্মে সুলাইম রুমাইসা বিনতে মিলহান। কিয়ামত পর্যন্ত পৃথিবীতে অগমণকারী প্রত্যেক মুসলিম নারী-পুরুষের জন্যই তার জীবনীতে বিরাট শিক্ষা রয়েছে।
মক্কার যমীনে যখন ইসলামের সুশীতল ছায়ান নামলো, তখন তিনি সর্বাগ্রে ইসলাম গ্রহণকারীদের সাথে সাথেই ইসলাম কবুল করেন। তার স্বামী মালিক বিন নযরের কাছে যখন রুমাইসার ইসলাম গ্রহণের খবর পৌঁছে গেল, তখন সে রুমাইসাকে লক্ষ্য করে বলল, তুমি কি বে-দ্বীন হয়ে গেছো? জবাবে তিনি বললেন, আল্লাহর কসম! আমি বে-দ্বীন হইনি; বরং ইসলাম গ্রহণ করেছি। অতঃপর তিনি মালিক বিন নযরকে ইসলামের দাওয়াত দিলেন। কিন্তু সে ইসলামের দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করলো।
ইসলাম গ্রহণ করার তিনি তার একমাত্র শিশু পুত্র আনাসকে অত্যন্ত গুরুত্বে সাথে ইসলামের উপর প্রতিপালন করতে লাগলেন। তিনি তার আদরের পুত্রকে খেলা-ধুলা করানোর সময় বলতেন, বলো বাবা  ﺇﻟﻪ ﺇﻻ ﺍﻟﻠﻪ বলো বাবা, ﻣﺤﻤﺪﺍ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ।
তার স্বামী মালিক বিন নযর আনাসকে শাহাদাতের কালেমা পাঠ করতে শুনে রাগান্বিত হয়ে যেতো এবং রুমাইসাকে বলতো, তুমি আমার পুত্রকে নষ্ট করোনা। তিনি বলতেন আল্লাহর কসম! আমি তাকে নষ্ট করছিনা।

Monday 29 August 2016

হাক্কানী পীর বনাম ভন্ড পীর



দেওয়ানবাগী, চরমোনাই এবং মাইজভান্ডারী পীরের পোষ্টমর্টেমঃ
.
আমাদের এই উপমহাদেশে বহুকাল ধরে ইসলামের লেবাস ধরে পীর-মুরিদীর ব্যাবসা চলে আসছে। কেউবা নিজেকে দাবি করছে হক্কানী পীর আবার কেউবা নিজেকে মুক্তির কান্ডারী হিসেবেও জাহির করছে! মূলত এরা সবাই ধর্মের লেবাস ধরে শতাব্দীর পর শতাব্দী নিজেদের বিনা পূঁজির ব্যাবসা টিকিয়ে রাখছে যেখানে এদের অনেকেই মোশরেক, আবার একমাত্র হক্কানী তেলের ডিলারধারী হয়েও চরম ফাসেক। আসুন দেখে নেই এই ধর্ম ব্যাবসায়ী পীরদের আকীদা কি?
.
দেওয়ানবাগী মোশরেকের আকিদাঃ-
১. “দেওয়ানবাগী স্বপ্নে দেখেন ঢাকা এবং ফরিদপুরের মধ্যবর্তী স্থানে এক বিশাল বাগানে ময়লার স্তূপের উপর বিবস্ত্র অবস্থায় নবীজীর প্রাণহীন দেহ পড়ে আছে। মাথা দক্ষিন দিকে, পা উত্তর দিকে প্রসারিত। বাম পা হাঁটুতে ভাঁজ হয়ে খাড়া আছে। আমি উদ্ধারের জন্য পেরেশান হয়ে গেলাম। তাঁর বাম পায়ের হাঁটুতে আমার ডান হাত দিয়ে স্পর্শ করার সাথে সাথে দেহে প্রাণ ফিরে এল। এবং তিনি আমাকে বললেন, “হে ধর্মের পুনর্জীবনদানকারী, ইতিপূর্বে আমার ধর্ম পাঁচবার পুনর্জীবন লাভ করেছে।”
[সূত্রঃ রাসূল কি সত্যিই গরিব ছিলেনঃ দেওয়ানবাগ থেকে প্রকাশিত]
২. “একদিন ফজরের পর মোরাকাবারত অবস্থায় আমার
তন্দ্রা এসে যায়। আমি তখন নিজেকে লুঙ্গি-গেঞ্জি পরিহিত অবস্থায় রওজা শরীফের নিকট দেখতে পাই। দেখি রওজা শরীফের উপর শুকনা পাতা এবং আগাছা জমে প্রায় এক ফুট পুরু হয়ে আছে। আমি আরো লক্ষ্য করলাম, রওজা শরীফে শায়িত মহামানবের মাথা মোবারক পূর্ব দিকে এবং মুখমণ্ডল দণি দিকে ফিরানো। এ অবস্থা দেখে আমি আফসোস করতে লাগলাম। এমন সময় পাতার নীচ থেকে উঠে এসে এ মহামানব বসলেন। তার বুক পর্যন্ত পাতার উপর বের হয়ে পড়ে। তিনি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, আপনি দয়া করে আমার রওজা পরিষ্কার করে দেবেন

Download AsPDF

Print Friendly and PDFPrint Friendly and PDFPrint Friendly and PDF
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...