যে যে সময়ে নামায নিষিদ্ধ
দিবারাত্রে পাঁচটি সময়ে নামায পড়া নিষিদ্ধ; মহানবী (সাঃ) বলেন,
(১) “আসরের নামাযের পর সূর্য না ডোবা পর্যন্ত আর কোন নামায নেই এবং (২) ফজরের নামাযের পর সূর্য না ওঠা পর্যন্ত আর কোন নামায নেই।” (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত ১০৪১ নং)
উক্ববা বিন আমের (রাঃ) বলেন, আল্লাহর রসূল (সাঃ) আমাদেরকে তিন সময়ে নামায পড়তে এবং মুর্দা দাফন করতে নিষেধ করতেন;
(৩) ঠিক সূর্য উদয় হওয়ার পর থেকে একটু উঁচু না হওয়া পর্যন্ত,
(৪) সূর্য ঠিক মাথার উপর আসার পর থেকে একটু ঢলে না যাওয়া পর্যন্ত এবং (৫) সূর্য ডোবার কাছাকাছি হওয়া থেকে ডুবে না যাওয়া পর্যন্ত। (মুসলিম, আহমাদ, মুসনাদ, আবূদাঊদ, সুনান, নাসাঈ, সুনান, ইবনে মাজাহ্, সুনান, মিশকাত ১০৪০ নং) যেহেতু এই সময়গুলিতে সাধারণত: কাফেররা সূর্যের পূজা করে থাকে তাই। (মুসলিম, মিশকাত ১০৪২ নং) নামায নিষিদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে এটি হল সাধারণ নির্দেশ। কিন্তু অন্যান্য হাদীস দ্বারা কিছু সময়ে কিছু নামাযকে ব্যতিক্রম করা হয়েছে। যেমন:- ১। ফরয নামায বাকী থাকলে তা আদায় করার সুযোগ হওয়া মাত্র যে কোন সময়ে সত্বর পড়ে নেওয়া জরুরী। মহানবী (সাঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি সূর্য ডোবার পূর্বে আসরের এবং সূর্য ওঠার পূর্বে ফজরের এক রাকআত নামায পেয়ে যায়, সে (যথাসময়ে) নামায পেয়ে যায়।” (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত ৬০১নং) তিনি আরো বলেন, “যে ব্যক্তি সূর্য ডোবার পূর্বে আসরের এক রাকআত নামায পায়, সে যেন (সূর্য ডুবে গেলেও) তার বাকী রাকআত নামায সম্পন্ন করে নেয়। আর যে ব্যক্তি সূর্য ওঠার পূর্বে ফজরের এক রাকআত নামায পায়, সে যেন (সূর্য উঠে গেলেও) তার বাকী রাকআত নামায সম্পন্ন করে নেয়।” (বুখারী, মিশকাত ৬০২নং) ২। অনুরুপ কোন ফরয নামায পড়তে ভুলে গিয়ে থাকলে তা স্মরণ হওয়া মাত্র সত্বর যে কোন সময়ে অথবা ঘুমিয়ে গিয়ে থাকলে জাগার পর উঠে সত্বর যে কোন সময়ে আদায় করা জরুরী। মহানবী (সাঃ) বলেন, “কেউ ঘুমিয়ে গেলে তা তার শৈথিল্য নয়। শৈথিল্য তো জাগ্রত অবস্থাতেই হয়ে থাকে। সুতরাং যখন কেউকোন নামায পড়তে ভুলে যাবে অথবা ঘুমিয়ে যাবে, তখন তার উচিত, তা স্মরণ (বা জাগ্রত) হওয়া মাত্র পড়ে নেওয়া। কারণ, আল্লাহ তাআলা বলেন, “আমাকে স্মরণ করার উদ্দেশ্যে তুমি নামায কায়েম কর।” (মুসলিম, মিশকাত ৬০৪নং, কুরআন মাজীদ ২০/১৪) |
SATURDAY, 12 SEPTEMBER 2015
বেশি বেশি হজ্জ করবে; নাকি একবার হজ্জ আদায় করাই যথেষ্ট
প্রশ্ন: একাধিকবার হজ্জ করা উত্তম; নাকি একবার হজ্জ করাটাই উত্তম?
উত্তর:
আলহামদুলিল্লাহ।
ফরজ হওয়ার দিক থেকে হজ্জ জীবনে একবার করাই ফরজ। আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একবার খোতবা দিলেন এবং বললেন: হে লোকসকল, আল্লাহ তোমাদের উপর হজ্জ ফরজ করেছেন; অতএব আদায় কর। এক ব্যক্তি বলল: হে আল্লাহর রাসূল, প্রতি বছর? তিনি চুপ করে থাকলেন। এমনকি সে লোক কথাটি তিনবার উচ্চারণ করল। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: আমি যদি হ্যাঁ বলি তাহলে ফরজ হয়ে যাবে; কিন্তু তোমরা আদায় করতে পারবে না। এরপর বললেন: আমি যদি কোন বিষয় এড়িয়ে যাই তোমরা সে বিষয়ে প্রশ্ন করো না। তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতেরা তাদের অধিক প্রশ্নের কারণে এবং নবীদের সাথে মতভেদ করার কারণে ধ্বংস হয়েছে। আমি যখন তোমাদেরকে কোন নির্দেশ প্রদান করি তখন যতদূর সম্ভব সেটা বাস্তবায়ন কর; আর যা কিছু থেকে তোমাদেরকে বারণ সেটা থেকে বিরত থাক।[সহিহ মুসলিম (১৩৩৭)]
ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, আকরা বিন হাবেস (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামক জিজ্ঞেস করলেন: ইয়া রাসূলুল্লাহ, হজ্জ কি প্রতিবছর; নাকি একবার মাত্র? তিনি বললেন: একবার মাত্র। যে ব্যক্তি একাধিকবার করবে সেটা নফল।”[সুনানে আবু দাউদ (১৭২১) আলবানি হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন]
আর উত্তমতার প্রশ্নে মুসলমান যতবেশি হজ্জ করতে পারে সেটা উত্তম। এমনকি কেউ যদি প্রতিবছর হজ্জ করতে পারে সেটাও ভাল। বেশি বেশি হজ্জ আদায় করার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। যেমন-
|
হজ্জ বা উমরাতে নিয়ত উচ্চারণ
প্রশ্ন: নিয়ত উচ্চারণ করা বিদআত হলে হজ্জ ও উমরার ক্ষেত্রে নিয়ত উচ্চারণ করার গূঢ় রহস্য কি?
উত্তর:
আলহামদুলিল্লাহ।
নিয়তের স্থান হচ্ছে- কলব বা অন্তর। নিয়ত উচ্চারণ করা বিদআত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি্ ওয়া সাল্লাম ও তাঁর সাহাবীবর্গ থেকে সাব্যস্ত হয়নি যে, তারা কোন ইবাদতের পূর্বে নিয়ত উচ্চারণ করেছেন। হজ্জ ও উমরার তালবিয়া নিয়ত নয়।
শাইখ বিন বায (রহঃ) বলেন:
নিয়ত উচ্চারণ করা বিদআত। সজোরে নিয়ত পড়া কঠিন গুনাহ। সুন্নাহ হচ্ছে- মনে মনে নিয়ত করা। কারণ আল্লাহ তাআলা গোপন ও সঙ্গোপনের সবকিছু জানেন। আল্লাহ তাআলা বলেন: “বলুনঃ তোমরা কি তোমাদের ধার্মিকতা আল্লাহকে অবহিত করছ? অথচ ভূমণ্ডলে ও নভোমণ্ডলে যা কিছু আছে সব আল্লাহ জানেন। আল্লাহ সর্ববিষয়ে সম্যক জ্ঞাত।”[সূরা হুজুরাত, আয়াত: ১৬]
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, কিংবা তাঁর সাহাবীবর্গ কিংবা অনুসরণযোগ্য ইমামদের থেকে ‘নিয়ত উচ্চারণ করা’ সাব্যস্ত হয়নি। সুতরাং জানা গেল যে, এটি শরিয়তে সিদ্ধ নয়। বরং নবপ্রচলিত বিদআত। আল্লাহই তাওফিকদাতা।[ইসলামী ফতোয়াসমগ্র (২/৩১৫)]
শাইখ উছাইমীন (রহঃ) বলেন:
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে নামায, তাহারাত (পবিত্রতা), রোজা কিংবা অন্য কোন ইবাদতের ক্ষেত্রে নিয়ত উচ্চারণ করা বর্ণিত হয়নি। এমনকি হজ্জ-উমরার ক্ষেত্রেও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলতেন না যে, ‘আল্লাহু্ম্মা ইন্নি উরিদু কাযা ওয়া কাযা...’ (অর্থ- হে আল্লাহ, আমি অমুক অমুক আমল করার সংকল্প করেছি...)।
|
ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ বিষয়াবলী
প্রশ্ন: ইহরাম অবস্থায় মুহরিমকে কোন কোন বিষয় থেকে বিরত থাকতে হবে?
উত্তর:
আলহামদুলিল্লাহ।
ইহরামের নিষিদ্ধ বিষয়াবলী: ইহরামের কারণে ব্যক্তিকে যে বিষয়গুলো থেকে বিরত থাকতে হয়। যেমন:
১. মাথার চুল মুণ্ডন করা। দলিল হচ্ছে আল্লাহ তাআলার বাণী: “আর তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত মাথা মুণ্ডন করবে না, যতক্ষণ না কোরবানীর পশু যথাস্থানে পৌঁছে যাবে।”[সূরা বাকারা, আয়াত: ১৯৬] আলেমগণ মাথার চুলের সাথে শরীরের সমস্ত চুলকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। অনুরূপভাবে নখ কাটা ও ছোট করাকেও এর অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
২. ইহরাম বাঁধার পর সুগন্ধি ব্যবহার করা; কাপড়ে হোক কিংবা শরীরে হোক; খাবারদাবারে হোক কিংবা গোসলের সামগ্রীতে হোক কিংবা অন্য যে কোন কিছুতে হোক। অর্থাৎ ইহরাম অবস্থায় সুগন্ধি ব্যবহার করা হারাম। দলিল হচ্ছে- যে ব্যক্তিকে একটি উট পায়ের নীচে চাপা দিয়ে মেরে ফেলেছে সে ব্যক্তি সম্পর্কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী: “তাকে পানি ও বরই পাতা দিয়ে গোসল দাও। দুই কাপড়ে তাকে কাফন দাও। তার মাথা ঢাকবে না। তাকে হানুত দিবে না”। হানুত হচ্ছে- এক জাতীয় সুগন্ধির মিশ্রণ যা মৃত ব্যক্তির গায়ে লাগানো হয়।
৩. সহবাস করা: দলিল হচ্ছে আল্লাহর বাণী: “অর্থ- হজ্বের নির্দিষ্ট কয়েকটি মাস আছে। যে ব্যক্তি সেসব মাসে নিজের উপর হজ্ব অবধারিত করে নেয় সে হজ্বের সময় কোন যৌনাচার করবে না, কোন গুনাহ করবে না এবং ঝগড়া করবে না।”[সূরা বাকারা, আয়াত ২: ১৯৭]
৪. উত্তেজনাসহ স্ত্রীকে ছোঁয়া। যেহেতু এটি আল্লাহ তাআলার বাণী: فَلَا رَفَثَ (অর্থ- যৌনাচার নেই) এর অধীনে পড়বে। কারণ মুহরিম ব্যক্তির জন্য বিয়ে করা কিংবা বিয়ের প্রস্তাব দেয়া জায়েয নেই। সুতরাং ছোঁয়া জায়েয না হওয়াটা আরও স্বাভাবিক।
৫. কোন শিকার হত্যা করা। দলিল আল্লাহ তাআলার বাণী: “অর্থ- হে ঈমানদারগণ, তোমরা ইহরাম অবস্থায় শিকার বধ করো না”[সূরা মায়েদা, আয়াত: ৯৫] গাছ কর্তন করা মুহরিম ব্যক্তির জন্য হারাম নয়; তবে মক্কার হারামের সীমানার ভেতরের কোন গাছ হলে হারাম হবে এবং সেটি মুহরিম ব্যক্তি, মুহরিম নয় এমন ব্যক্তি- সবার জন্য হারাম। তাই আরাফার মাঠে মুহরিম ব্যক্তির জন্যেও গাছ উপড়ানো জায়েয। কারণ গাছ কর্তনের বিষয়টি হারাম এলাকার সাথে সম্পৃক্ত; ইহরামের সাথে নয়।
|
অন্যের খরচে হজ্জ আদায় করা
প্রশ্ন: আমি আমার ছেলের সাথে হজ্জ আদায় করেছি। হজ্জের যাবতীয় খরচ সে বহন করেছে। আমার ইচ্ছা ছিল আমার নিজ খরচে হজ্জ আদায় করব। এটা কি হজ্জের শুদ্ধতার উপর কোন প্রভাব ফেলবে না?
উত্তর:
আলহামদুলিল্লাহ।
অন্যের খরচে কারো হজ্জ আদায় করতে কোন অসুবিধা নেই। সেই অন্য ব্যক্তি তার ছেলে হোক, ভাই হোক অথবা বন্ধু হোক...। এটি হজ্জের শুদ্ধতার উপর কোন প্রভাব ফেলবে না। হজ্জ শুদ্ধ হওয়ার জন্য এমন কোন শর্ত নেই যে, ব্যক্তি তার নিজের অর্থ থেকেই খরচ করতে হবে।
স্থায়ী কমিটিকে এমন এক নারী সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়েছে যার নিমন্ত্রণকারী তার হজ্জের যাবতীয় খরচ বহন করেছে।
|
কিভাবে আপনার হজ্জটি মকবুল হজ্জ হবে?
প্রশ্ন: আল্লাহ চাহেত কারো হজ্জ মকবুল হওয়ার জন্য একজন হাজীসাহেবের যে বিষয়গুলো জানা থাকা প্রয়োজন
উত্তর:
আলহামদুলিল্লাহ।
হজ্জটি হজ্জে মকবুল হওয়ার জন্য একজন হাজীসাহেবের যে বিষয়গুলো জানা থাকা প্রয়োজন: হজ্জের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টির নিয়ত করা। এটাই হচ্ছে- ইখলাস। এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দেখানো পদ্ধতি অনুযায়ী হজ্জ আদায় করা। এটাকে বলা হয়- মুতাবাআ (অনুসরণ)। যে কোন নেক কাজ এ দুটি র্শত পূর্ণ হওয়া ছাড়া কবুল হয় না: ইখলাস ও মুতাবাআ (রাসূলের অনুসরণ)। দলিল হচ্ছে- আল্লাহর বাণী: “তাদেরকে এছাড়া কোন নির্দেশ করা হয়নি যে, তারা শিরকমুক্ত হয়ে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ইবাদত করবে, নামায কায়েম করবে এবং যাকাত দেবে। এটাই সঠিক ধর্ম।[সূরা আল-বাইয়্যেনা, আয়াত: ৫] এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী: “সকল আমল নিয়্যত অনুযায়ী হয়ে থাকে। এবং প্রত্যেক ব্যক্তির যা নিয়ত করেন তিনি সেটাই পাবেন” এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী: “যে ব্যক্তি এমন কোন আমল করবে যার অনুমোদন আমাদের শরিয়তে নেই সেটা প্রত্যাখ্যাত।”
সুতরাং একজন হাজী সাহেব যার উপর সবচেয়ে বেশি নির্ভর করবেন সেটা হচ্ছে- ইখলাস ও নবীর অনুসরণ। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিদায়ী হজ্জকালে বলতেন: “তোমরা আমার নিকট থেকে তোমাদের হজ্জের পদ্ধতি জেনে নাও।”
|
SUNDAY, 16 AUGUST 2015
উমরা করার পদ্ধতি
যে ব্যক্তি ঋণ পরিশোধ করেনি তার হজ্জ কি শুদ্ধ হবে?
WEDNESDAY, 15 JULY 2015
ঈদের বিধিবিধান
FRIDAY, 3 JULY 2015
কুরআনের সূরা/আয়াত এর ওয়ালম্যাট ঘরে ঝুলিয়ে রাখা যাবে কি
THURSDAY, 11 JUNE 2015
চাঁদ দেখে রোযা রাখা ও ঈদ করা নিয়ে শ্রেষ্ট দুইজন আলেমের ফাতওয়াঃ
রমজান বিষয়ক একগুচ্ছ ফাইল
নামায নষ্ট করলে সিয়াম কবুল হয় না
সেহেরির সময়ে পড়তে হয় ইসলামী শরিয়তে এমন কোন দুআ আছে কী?
যে ব্যক্তি শিংগা লাগায় এবং যাকে শিংগা লাগানো হয় উভয়ের সাওমই বিনষ্ট
দাঊদ (আ:) এর সাওম
রমজান মাসে একজন মুসলিমের জন্য প্রস্তাবিত রুটিন।
ছিয়াম সম্পর্কিত অতি গুরুত্বপূর্ন ফতোওয়া (১ম-পর্ব)
ছিয়াম সম্পর্কিত অতি গুরুত্বপূর্ন ফতোওয়া (২য়-পর্ব)
প্রসংগঃ “তারাবীহ” এর সালাত....
তারাবীহর রাকায়াত সংখ্যা ৮ না ২০?
কাজকে ‘না’ বলুন; রোযাকে নয়
প্রত্যেক মাসে তিনটি করে রোযা রাখা মুস্তাহাব
কোনো এক স্থানের চাঁদ দেখা সারা বিশ্বের জন্য প্রযোজ্য কি?
মুনাজাতের জন্য জরুরী আরবী দুয়া সমূহ
কেউ যদি তার যিম্মায় থাকা (ছুটে যাওয়া) সালাতের ও ফরয সাওমের সংখ্যা মনে করতে না পারে, তবে সে কী করবে?
রমাদান মাসের ৩০ আমল
মাহে রমযান : তাৎপর্য ও কর্তব্য
সিয়াম, তারাবীহ ও যাকাত বিষয়ে কয়েকটি অধ্যায়
চাঁদ উঠার বিভিন্ন উদয়স্থল সংক্রান্ত মতভেদ কি বিবেচনাযোগ্য? এ ব্যাপারে অমুসলিম দেশে মুসলিম কমিউনিটির অবস্থান
রমজান বিষয়ক ফতোয়া
মুমিনদের জন্য মাহে রমজানের হাদিয়া
নিজ দেশের লোকদের সাথে রোযা রাখবে, না চাঁদ দেখা যে কোনো দেশের সাথে?
প্রশ্নোত্তরে রমযান ও ঈদ (২য় পর্ব)
প্রশ্নোত্তরে রমযান ও ঈদ (১ম পর্ব)
প্রশ্নোত্তরে সিয়াম (২য় পর্ব)
প্রশ্নোত্তরে সিয়াম (১ম পর্ব)
সুস্বাগত মাহে রমযান
রোজাদার বোনদের প্রতি...
রোজার আদব
তারাবীহ্ সালাতের রাকা‘আত : একটি তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ
ফতোওয়া সিয়াম: রোযা সম্পর্কে অতি গুরুত্বপূর্ণ ৫৬টি প্রশ্নোত্তর
তারবীহর রাকায়াত সংখ্যা ৮ না ২০?
তারাবীহর নামাযের রাকআত সংখ্যা
কুরআনের আলোকে যাকাতের বিধান
রমযানের বিষয়ভিত্তিক হাদিস : শিক্ষা ও মাসায়েল (৪র্থ পর্ব)
রমযানের বিষয়ভিত্তিক হাদিস : শিক্ষা ও মাসায়েল (৩য় পর্ব)
রমযানের বিষয়ভিত্তিক হাদিস : শিক্ষা ও মাসায়েল (২য় পর্ব)
রমযানের বিষয়ভিত্তিক হাদিস : শিক্ষা ও মাসায়েল (১ম পর্ব)
মাহে রামাযান: অসংখ্য কল্যাণের হাতছানি
সাধারণ ভুল যেগুলো রমজানের সময় আমরা করে থাকি
সিয়াম ও রমজান : শিক্ষা-তাৎপর্য-মাসায়েল (২য় পর্ব)
সিয়াম ও রমজান : শিক্ষা-তাৎপর্য-মাসায়েল (১ম পর্ব)
রমযান মাসে যদি সব শয়তান শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকে তাহলে এ মাসে মানুষ নিয়মিতভাবে পাপ করতে থাকে কীভাবে?
রাসূল যেভাবে রমজান যাপন করেছেন (২য় পর্ব)
রাসূল যেভাবে রমজান যাপন করেছেন (১ম পর্ব)
যাকাত ও যাকাতের উপকারিতা প্রসঙ্গে
ফতোওয়া যাকাত: যাকাত বিষয়ক অতি গুরুত্বপূর্ণ ৩৭টি প্রশ্নোত্তর
জাকাতের গুরুত্ব, ফজিলত ও ব্যয়ের খাতসমূহ
রামাযানের ভুল-ত্রুটি
মাহে রামাজানের বিশটি স্পেশাল আমল
সিয়াম বিষয়ক নির্বাচিত ফাতওয়া (৩য় পর্ব)
সিয়াম বিষয়ক নির্বাচিত ফাতওয়া (২য় পর্ব)
সিয়াম বিষয়ক নির্বাচিত ফাতওয়া (১ম পর্ব)
সদকাতুল ফিতর
বইঃ সালাতুত তারাবীহ - ফ্রি ডাউনলোড
বইঃ রমাযানের ফাযায়েল ও রোযার মাসায়েল - ফ্রি ডাউনলোড
রামাযানের শেষ দশক এবং হাজার মাসের চেয়েও সেরা একটি রাত
বইঃ তারাবীহ ও ই’তিকাফ - ফ্রি ডাউনলোড
বইঃ সিয়াম - রাসূলুল্লাহ্র রোজা (ফ্রি ডাউনলোড)
যাকাতুল ফিতর বা ফিতরা
‘লাইলাতুল্ কদর’ এ কি কি ইবাদত করবেন?
ফিতরা প্রদানরে সময়সীমা ও বণ্টন পদ্ধতি
রমজান ও পরবর্তী সময়ে করণীয়
ঈদের বিধিবিধান
রমযান মাসের সমাপ্তি
লাইলাতুল কদর: রমাদানের উপহার
আমল কবুলের কতিপয় উপায় ও রমযানের পরে করণীয়
ঈদুল ফিতর ও যাকাতুল ফিতর এর সংক্ষিপ্ত বিধি বিধান
কুরআন ও সুন্নাহ্র আলোকে রাতের সালাত
তারাবীহ -এর সালাতের রাক্‘আত সংখ্যা
রমযানে কিয়ামুল লাইলের বিধান
রোযার ফযীলত ও শিক্ষা: আমাদের করণীয়
SUNDAY, 7 JUNE 2015
মাহে রমযান : তাৎপর্য ও কর্তব্য
চাঁদ উঠার বিভিন্ন উদয়স্থল সংক্রান্ত মতভেদ কি বিবেচনাযোগ্য? এ ব্যাপারে অমুসলিম দেশে মুসলিম কমিউনিটির অবস্থান
রমজান বিষয়ক ফতোয়া
নিজ দেশের লোকদের সাথে রোযা রাখবে, না চাঁদ দেখা যে কোনো দেশের সাথে?
উত্তর:
মানুষের দোষত্রুটি নিয়ে সমালোচনা করা এবং অন্যকে সংশোধন করার পূর্বে নিজের দোষত্রুটি সংশোধন করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অথচ অধিকাংশ মানুষ নিজে ভ্রান্তির মধ্যে ডুবে থাকলেও অন্যকে সংশোধন করাতে বেশি উদগ্রীব! এটি কোনো ঈমানদারের নিকট কাম্য নয়।
আল্লাহ তাআলা বলেন:
أَتَأْمُرُونَ النَّاسَ بِالْبِرِّ وَتَنسَوْنَ أَنفُسَكُمْ وَأَنتُمْ تَتْلُونَ الْكِتَابَ ۚ أَفَلَا تَعْقِلُونَ
"তোমরা কি মানুষকে সৎকর্মের নির্দেশ দাও এবং নিজেরা নিজেদেরকে ভুলে যাও, অথচ তোমরা কিতাব পাঠ কর? তবুও কি তোমরা চিন্তা কর না?" (সূরা বাকারা: ৪৪)
আল্লাহ তাআলা আরও বলেন:
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا عَلَيْكُمْ أَنفُسَكُمْ ۖ لَا يَضُرُّكُم مَّن ضَلَّ إِذَا اهْتَدَيْتُمْ
"হে মুমিনগণ, তোমরা নিজেদের চিন্তা কর। তোমরা যখন সৎপথে রয়েছ, তখন কেউ পথভ্রান্ত হলে তাতে তোমাদের কোন ক্ষতি নাই।" সূরা মায়িদা: ১০৫)
সুতরাং সংশোধনীটা শুরু করুন নিজেকে দিয়ে। আমি, আপনি সবাই যদি নিজেকে পরিবর্তন করি তাহলে পাল্টে যাবে সমাজ ব্যবস্থা।
🔷 কিভাবে আমরা নিজেদের দোষত্রুটি খুঁজে পাবো?
উত্তর:
মানুষের দোষত্রুটি নিয়ে সমালোচনা করা এবং অন্যকে সংশোধন করার পূর্বে নিজের দোষত্রুটি সংশোধন করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অথচ অধিকাংশ মানুষ নিজে ভ্রান্তির মধ্যে ডুবে থাকলেও অন্যকে সংশোধন করাতে বেশি উদগ্রীব! এটি কোনো ঈমানদারের নিকট কাম্য নয়।
আল্লাহ তাআলা বলেন:
أَتَأْمُرُونَ النَّاسَ بِالْبِرِّ وَتَنسَوْنَ أَنفُسَكُمْ وَأَنتُمْ تَتْلُونَ الْكِتَابَ ۚ أَفَلَا تَعْقِلُونَ
"তোমরা কি মানুষকে সৎকর্মের নির্দেশ দাও এবং নিজেরা নিজেদেরকে ভুলে যাও, অথচ তোমরা কিতাব পাঠ কর? তবুও কি তোমরা চিন্তা কর না?" (সূরা বাকারা: ৪৪)
আল্লাহ তাআলা আরও বলেন:
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا عَلَيْكُمْ أَنفُسَكُمْ ۖ لَا يَضُرُّكُم مَّن ضَلَّ إِذَا اهْتَدَيْتُمْ
"হে মুমিনগণ, তোমরা নিজেদের চিন্তা কর। তোমরা যখন সৎপথে রয়েছ, তখন কেউ পথভ্রান্ত হলে তাতে তোমাদের কোন ক্ষতি নাই।" সূরা মায়িদা: ১০৫)
সুতরাং সংশোধনীটা শুরু করুন নিজেকে দিয়ে। আমি, আপনি সবাই যদি নিজেকে পরিবর্তন করি তাহলে পাল্টে যাবে সমাজ ব্যবস্থা।
আল্লাহ তাআলা বলেন:
أَتَأْمُرُونَ النَّاسَ بِالْبِرِّ وَتَنسَوْنَ أَنفُسَكُمْ وَأَنتُمْ تَتْلُونَ الْكِتَابَ ۚ أَفَلَا تَعْقِلُونَ
"তোমরা কি মানুষকে সৎকর্মের নির্দেশ দাও এবং নিজেরা নিজেদেরকে ভুলে যাও, অথচ তোমরা কিতাব পাঠ কর? তবুও কি তোমরা চিন্তা কর না?" (সূরা বাকারা: ৪৪)
আল্লাহ তাআলা আরও বলেন:
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا عَلَيْكُمْ أَنفُسَكُمْ ۖ لَا يَضُرُّكُم مَّن ضَلَّ إِذَا اهْتَدَيْتُمْ
"হে মুমিনগণ, তোমরা নিজেদের চিন্তা কর। তোমরা যখন সৎপথে রয়েছ, তখন কেউ পথভ্রান্ত হলে তাতে তোমাদের কোন ক্ষতি নাই।" সূরা মায়িদা: ১০৫)
সুতরাং সংশোধনীটা শুরু করুন নিজেকে দিয়ে। আমি, আপনি সবাই যদি নিজেকে পরিবর্তন করি তাহলে পাল্টে যাবে সমাজ ব্যবস্থা।
🔷 কিভাবে আমরা নিজেদের দোষত্রুটি খুঁজে পাবো?
যে ঘরে প্রাণীর ছবি, কার্টুন, প্রতিকৃতি বা মূর্তি আছে সে ঘরে সালাত আদায় করার বিধান
———🎀♦🎀———
প্রশ্ন: আমাদের ঘরে খাতা-পত্র, প্যাকেট ইত্যাদিতে ছবির মতো কার্টুন থাকে। কিছু ঘরে মানুষ, পশু-পাখি ইত্যাদির ছবি ঝুলিয়ে রাখা হয় অথবা শোকেস-আলমরিতে পশু-পাখির ছোট ছাট মূর্তি সাজিয়ে রাখা হয়। ঘরের আসবাব-পত্রেও বাঘ-সিংহ, ময়ূর, পাখি ইত্যাদির ছবি অংকিত থাকে। এ সব ঘরে নামায পড়লে কি তা সহিহ হবে?
এতে করে কি ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করবে না?
উত্তর:
ঘরে প্রাণীর ছবি, কার্টুন, প্রতিকৃতি, মূর্তি ইত্যাদি সংরক্ষণ করা হারাম। যে ঘরে এসব থাকে সে ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করে না। এ মর্মে একাধিক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। যেমন:
▪আবু তালহা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
لَا تَدْخُلُ الْمَلَائِكَةُ بَيْتًا فِيهِ كَلْبٌ، وَلَا صُورَةٌ
“ফেরেশতাগণ ঐ ঘরে প্রবেশ করে না, যে ঘরে কুকুর অথবা ছবি থাকে। (সুনানে আন-নাসায়ী হা/৫৩৪৭-সহিহ)
▪ইবনে ‘আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর স্ত্রী মাইমূনাহ রা. আমার নিকট বর্ণনা করেন:
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: জিবরাঈল আলাহিস সালাম আমার সাথে রাতে সাক্ষাত করার ওয়াদা করেছিলেন কিন্তু সাক্ষাত করেননি।
অতঃপর তাঁর মনে পড়লো যে, আমাদের খাটের নীচে একটি কুকুর ছানা আছে। তিনি এটাকে বের করে দিতে আদেশ দিলে তা বের করা হলো। অতঃপর তিনি নিজেই পানি দিয়ে সে স্থানটা ধুয়ে ফেলেন।
এরপর জিবরাঈল আ. তাঁর সাথে সাক্ষাতের সময় বললেন: “যে ঘরে কুকুর এবং ছবি থাকে সে ঘরে আমরা কখনো প্রবেশ করি না।”
সকালবেলা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম কুকুর মারতে আদেশ দিলেন। এমনকি ছোট বাগান পাহারার কুকুর হত্যা করারও আদেশ দেন, বড় বাগানের পাহারাদার কুকুর ছাড়া।
———🎀♦🎀———
প্রশ্ন: আমাদের ঘরে খাতা-পত্র, প্যাকেট ইত্যাদিতে ছবির মতো কার্টুন থাকে। কিছু ঘরে মানুষ, পশু-পাখি ইত্যাদির ছবি ঝুলিয়ে রাখা হয় অথবা শোকেস-আলমরিতে পশু-পাখির ছোট ছাট মূর্তি সাজিয়ে রাখা হয়। ঘরের আসবাব-পত্রেও বাঘ-সিংহ, ময়ূর, পাখি ইত্যাদির ছবি অংকিত থাকে। এ সব ঘরে নামায পড়লে কি তা সহিহ হবে?
এতে করে কি ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করবে না?
উত্তর:
ঘরে প্রাণীর ছবি, কার্টুন, প্রতিকৃতি, মূর্তি ইত্যাদি সংরক্ষণ করা হারাম। যে ঘরে এসব থাকে সে ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করে না। এ মর্মে একাধিক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। যেমন:
ঘরে প্রাণীর ছবি, কার্টুন, প্রতিকৃতি, মূর্তি ইত্যাদি সংরক্ষণ করা হারাম। যে ঘরে এসব থাকে সে ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করে না। এ মর্মে একাধিক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। যেমন:
▪আবু তালহা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
لَا تَدْخُلُ الْمَلَائِكَةُ بَيْتًا فِيهِ كَلْبٌ، وَلَا صُورَةٌ
“ফেরেশতাগণ ঐ ঘরে প্রবেশ করে না, যে ঘরে কুকুর অথবা ছবি থাকে। (সুনানে আন-নাসায়ী হা/৫৩৪৭-সহিহ)
لَا تَدْخُلُ الْمَلَائِكَةُ بَيْتًا فِيهِ كَلْبٌ، وَلَا صُورَةٌ
“ফেরেশতাগণ ঐ ঘরে প্রবেশ করে না, যে ঘরে কুকুর অথবা ছবি থাকে। (সুনানে আন-নাসায়ী হা/৫৩৪৭-সহিহ)
▪ইবনে ‘আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর স্ত্রী মাইমূনাহ রা. আমার নিকট বর্ণনা করেন:
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: জিবরাঈল আলাহিস সালাম আমার সাথে রাতে সাক্ষাত করার ওয়াদা করেছিলেন কিন্তু সাক্ষাত করেননি।
অতঃপর তাঁর মনে পড়লো যে, আমাদের খাটের নীচে একটি কুকুর ছানা আছে। তিনি এটাকে বের করে দিতে আদেশ দিলে তা বের করা হলো। অতঃপর তিনি নিজেই পানি দিয়ে সে স্থানটা ধুয়ে ফেলেন।
এরপর জিবরাঈল আ. তাঁর সাথে সাক্ষাতের সময় বললেন: “যে ঘরে কুকুর এবং ছবি থাকে সে ঘরে আমরা কখনো প্রবেশ করি না।”
সকালবেলা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম কুকুর মারতে আদেশ দিলেন। এমনকি ছোট বাগান পাহারার কুকুর হত্যা করারও আদেশ দেন, বড় বাগানের পাহারাদার কুকুর ছাড়া।
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: জিবরাঈল আলাহিস সালাম আমার সাথে রাতে সাক্ষাত করার ওয়াদা করেছিলেন কিন্তু সাক্ষাত করেননি।
অতঃপর তাঁর মনে পড়লো যে, আমাদের খাটের নীচে একটি কুকুর ছানা আছে। তিনি এটাকে বের করে দিতে আদেশ দিলে তা বের করা হলো। অতঃপর তিনি নিজেই পানি দিয়ে সে স্থানটা ধুয়ে ফেলেন।
এরপর জিবরাঈল আ. তাঁর সাথে সাক্ষাতের সময় বললেন: “যে ঘরে কুকুর এবং ছবি থাকে সে ঘরে আমরা কখনো প্রবেশ করি না।”
সকালবেলা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম কুকুর মারতে আদেশ দিলেন। এমনকি ছোট বাগান পাহারার কুকুর হত্যা করারও আদেশ দেন, বড় বাগানের পাহারাদার কুকুর ছাড়া।
মুহররম মাসের ফজিলত ও করণীয় সম্পর্কে বর্ণিত ১৪টি সহিহ হাদিস
----------------------
নিম্নে মহররম মাসের ফজিলত ও করণীয় সম্পর্কে বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত ১৪টি হাদিস পেশ করা হল:
🔰 ১) প্রখ্যাত সাহাবী আবু বাকরা রা. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন: আল্লাহ তাআলা আসমান সমূহ এবং জমিন সৃষ্টির দিন যে আকৃতিতে সময়কে সৃষ্টি করেছিলেন সেটা আবার তার নিজস্ব কৃতিতে ফিরে এসেছে। এবং বারো মাসে এক বছর। তম্মধ্যে চারটি মাস অতি সম্মানিত। তিনটি মাস ধারাবাহিক। সেগুলো হল: যুল কা’দাহ (যিলকদ), যুল হিজ্জা (যিলহজ্জ) এবং মুহররম এবং আরেকটি হল মুযার সম্প্রদায়ের রজব মাস যা জুমাদাল ঊলা এবং শাবানের মধ্যখানে রয়েছে। (বুখারি ও মুসলিম)
🔰 ২) আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: রমাযানের পর সর্বোত্তম রোযা হল আল্লাহর মাস মুহররমের রোযা। আর ফরয নামাযের পর সর্বোত্তম নামায হল রাতের নামায।” (মুসলিম)
🔰 ৩) আয়েশা রা. হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, “জাহেলি যুগে কুরাইশগণ আশুরার রোযা পালন করত। অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদিনায় এসে নিজে আশুরারা রোযা রাখলেন এবং সাহাবীদেরকেও রোযা রাখার নির্দেশ দিলেন। কিন্তু‘ যখন রমাযানের রোযা ফরয হল তখন তা পরিত্যাগ করা হল। যার ইচ্ছা রাখত যার ইচ্ছা রাখত না।” (বুখারি)
----------------------
নিম্নে মহররম মাসের ফজিলত ও করণীয় সম্পর্কে বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত ১৪টি হাদিস পেশ করা হল:
🔰 ১) প্রখ্যাত সাহাবী আবু বাকরা রা. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন: আল্লাহ তাআলা আসমান সমূহ এবং জমিন সৃষ্টির দিন যে আকৃতিতে সময়কে সৃষ্টি করেছিলেন সেটা আবার তার নিজস্ব কৃতিতে ফিরে এসেছে। এবং বারো মাসে এক বছর। তম্মধ্যে চারটি মাস অতি সম্মানিত। তিনটি মাস ধারাবাহিক। সেগুলো হল: যুল কা’দাহ (যিলকদ), যুল হিজ্জা (যিলহজ্জ) এবং মুহররম এবং আরেকটি হল মুযার সম্প্রদায়ের রজব মাস যা জুমাদাল ঊলা এবং শাবানের মধ্যখানে রয়েছে। (বুখারি ও মুসলিম)
🔰 ২) আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: রমাযানের পর সর্বোত্তম রোযা হল আল্লাহর মাস মুহররমের রোযা। আর ফরয নামাযের পর সর্বোত্তম নামায হল রাতের নামায।” (মুসলিম)
🔰 ৩) আয়েশা রা. হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, “জাহেলি যুগে কুরাইশগণ আশুরার রোযা পালন করত। অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদিনায় এসে নিজে আশুরারা রোযা রাখলেন এবং সাহাবীদেরকেও রোযা রাখার নির্দেশ দিলেন। কিন্তু‘ যখন রমাযানের রোযা ফরয হল তখন তা পরিত্যাগ করা হল। যার ইচ্ছা রাখত যার ইচ্ছা রাখত না।” (বুখারি)
বাবা-মা’দের প্রতি জরুরি সতর্ক বার্তা এবং একটি জিজ্ঞাসা
“বাবা-মা মারা যাওয়ার পর সন্তানরা গান-বাজনা করলে তাদের কবরের আজাব বৃদ্ধি পায়” এ কথা কি সঠিক?
▬▬▬◄❖►▬▬▬
প্রশ্ন: আমরা জানি, ইসলামে গান-বাজনা হারাম। এখন প্রশ্ন হল, ”বাবা-মা মারা যাওয়ার পর সন্তানরা যদি গান-বাজনায় লিপ্ত হয় তাহলে কবরে বাবা-মার উপর শাস্তি বৃদ্ধি যায়” এ কথাটি কি সত্য?
উত্তর:
ইসলামে গান-বাজনা করা বা শোনা হারাম। এ দ্বারা অন্তর কলুষিত হয়, মনের সুপ্ত বাসনা (কু প্রবৃত্তি) জাগ্রত হয়, অন্তর রোগাক্রান্ত হয় ফলে ধীরে ধীরে অন্তরে , কুরআন ও হাদিসের বক্তব্য ও উপদেশপূর্ণ ভালো কথার প্রতি অনীহা সৃষ্টি হয় এবং কুরআন তিলাওয়াত শুনার আগ্রহ হারিয়ে যায় ইত্যাদি। সুতরাং গানবাজনা থেকে দূরে থাকা জরুরি।
তবে বাবা-মা মারা যাওয়ার পর সন্তানরা যদি গান-বাজনা করে তাহলে তাদের কবরে শাস্তি বৃদ্ধি পায়-এ কথা ঠিক নয়।
অবশ্য যদি বাবা-মা দুনিয়াতে বেঁচে থাকা অবস্থায় সন্তানকে গানবাজনা শিক্ষার ব্যবস্থা করে যায় বা তাদেরকে এতে বাধা না দেয় বা তাদেরকে দ্বীনের জ্ঞান শিক্ষা না দিয়ে থাকে তাহলে বাবা-মার কবরে থেকেও সন্তানের সকল পাপাচার ও অন্যায়-অপকর্মের ভাগীদার হবে। কারণ তারাই সন্তানের বিপথে যাওয়ার পেছনে মূল দায়ী।
তাদের দায়িত্ব ছিলো সন্তানদেরকে দ্বীনের পথে গড়ে তোলা, বাল্যকাল থেকে হারাম, অশ্লীল, গান-বাজনা ইত্যাদি আল্লাহর নাফরমানি মূলক কার্যক্রম থেকে সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা করা এবং ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত করা। কিন্তু তারা তাদের দায়িত্ব পালন করে নি। আল্লাহ তাআলা বলেন:
“বাবা-মা মারা যাওয়ার পর সন্তানরা গান-বাজনা করলে তাদের কবরের আজাব বৃদ্ধি পায়” এ কথা কি সঠিক?
▬▬▬◄❖►▬▬▬
▬▬▬◄❖►▬▬▬
প্রশ্ন: আমরা জানি, ইসলামে গান-বাজনা হারাম। এখন প্রশ্ন হল, ”বাবা-মা মারা যাওয়ার পর সন্তানরা যদি গান-বাজনায় লিপ্ত হয় তাহলে কবরে বাবা-মার উপর শাস্তি বৃদ্ধি যায়” এ কথাটি কি সত্য?
উত্তর:
ইসলামে গান-বাজনা করা বা শোনা হারাম। এ দ্বারা অন্তর কলুষিত হয়, মনের সুপ্ত বাসনা (কু প্রবৃত্তি) জাগ্রত হয়, অন্তর রোগাক্রান্ত হয় ফলে ধীরে ধীরে অন্তরে , কুরআন ও হাদিসের বক্তব্য ও উপদেশপূর্ণ ভালো কথার প্রতি অনীহা সৃষ্টি হয় এবং কুরআন তিলাওয়াত শুনার আগ্রহ হারিয়ে যায় ইত্যাদি। সুতরাং গানবাজনা থেকে দূরে থাকা জরুরি।
তবে বাবা-মা মারা যাওয়ার পর সন্তানরা যদি গান-বাজনা করে তাহলে তাদের কবরে শাস্তি বৃদ্ধি পায়-এ কথা ঠিক নয়।
ইসলামে গান-বাজনা করা বা শোনা হারাম। এ দ্বারা অন্তর কলুষিত হয়, মনের সুপ্ত বাসনা (কু প্রবৃত্তি) জাগ্রত হয়, অন্তর রোগাক্রান্ত হয় ফলে ধীরে ধীরে অন্তরে , কুরআন ও হাদিসের বক্তব্য ও উপদেশপূর্ণ ভালো কথার প্রতি অনীহা সৃষ্টি হয় এবং কুরআন তিলাওয়াত শুনার আগ্রহ হারিয়ে যায় ইত্যাদি। সুতরাং গানবাজনা থেকে দূরে থাকা জরুরি।
তবে বাবা-মা মারা যাওয়ার পর সন্তানরা যদি গান-বাজনা করে তাহলে তাদের কবরে শাস্তি বৃদ্ধি পায়-এ কথা ঠিক নয়।
অবশ্য যদি বাবা-মা দুনিয়াতে বেঁচে থাকা অবস্থায় সন্তানকে গানবাজনা শিক্ষার ব্যবস্থা করে যায় বা তাদেরকে এতে বাধা না দেয় বা তাদেরকে দ্বীনের জ্ঞান শিক্ষা না দিয়ে থাকে তাহলে বাবা-মার কবরে থেকেও সন্তানের সকল পাপাচার ও অন্যায়-অপকর্মের ভাগীদার হবে। কারণ তারাই সন্তানের বিপথে যাওয়ার পেছনে মূল দায়ী।
তাদের দায়িত্ব ছিলো সন্তানদেরকে দ্বীনের পথে গড়ে তোলা, বাল্যকাল থেকে হারাম, অশ্লীল, গান-বাজনা ইত্যাদি আল্লাহর নাফরমানি মূলক কার্যক্রম থেকে সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা করা এবং ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত করা। কিন্তু তারা তাদের দায়িত্ব পালন করে নি। আল্লাহ তাআলা বলেন:
তাদের দায়িত্ব ছিলো সন্তানদেরকে দ্বীনের পথে গড়ে তোলা, বাল্যকাল থেকে হারাম, অশ্লীল, গান-বাজনা ইত্যাদি আল্লাহর নাফরমানি মূলক কার্যক্রম থেকে সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা করা এবং ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত করা। কিন্তু তারা তাদের দায়িত্ব পালন করে নি। আল্লাহ তাআলা বলেন:
আশুরার শোক উদযাপন বিদআত কেন?
মুহররম মাসের দশ তারিখ আশুরার দিন হিসেবে পরিচিত। ৬১ হিজরির ১০ মুহররম তারিখে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন হুসাইন রা. কে শাহাদাতের মর্যাদায় ভূষিত করেছিলেন। এই শাহাদাতের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা তার মর্যাদা অনেক উন্নীত করেছেন। কারণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাসান ও হুসাইন রা. এর ব্যাপারে এ শুভ সংবাদ প্রদান করে গেছেন যে, তারা হবেন জান্নাতের যুবকদের নেতা।
আর এ কথা চির সত্য, যে যত বড় মর্যাদা লাভ করে তাকে তত বড় পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়। যেমন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে জিজ্ঞেস করা হল, মানব জাতির মধ্যে কে সব চেয়ে বেশি পরীক্ষা ও বিপদাপদের সম্মুখীন হয়েছিলেন? তিনি বললেন, নবীগণ, তারপর আল্লাহর নেককার বান্দাগণ।
তারপর অন্যদের মধ্যে যারা যে পরিমাণ ঈমান ও পরহেযগারিতার অধিকারী তারা সে পরিমাণ পরীক্ষা সম্মুখীন হয়েছেন। মানুষ তার দীনদারি অনুযায়ী পরীক্ষার সম্মুখীন হয়। কেউ যদি মজবুত দ্বীনের অধিকারী হয় তবে সে বেশি পরিমাণ পরীক্ষার মুখোমুখি হয়। আর কারো দ্বীনদারিতে কমতি থাকলে তার বিপদাপদ কম আসে এবং পরীক্ষাও কম হয়। মুমিন বান্দা যতদিন পৃথিবীতে চলা ফেরা করে ততদিন তার উপর বিপদাপদ পতিত হতে থাকে এবং এভাবে তার আর কোন গুনাহ বাকী থাকে না।” (মুসনাদ আহমদ ও তিরমিযী, সনদ হাসান)
আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে তাদের এই মর্যাদা পূর্বেই নির্ধারণ করে রাখা হয়েছিল। তারা তাদের পূর্বপুরুষদের মতই বিপদাপদের সম্মুখীন হয়েছেন। ইসলামের মর্যাদা নিয়েই তারা দুনিয়াতে আগমন করেছেন এবং ইসলাম প্রদত্ত মর্যাদা সহকারে তারা প্রতিপালিত হয়েছেন। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সংস্পর্শ, স্নেহ-মমতা, আদর ও ভালবাসা পেয়ে তাদের জীবন সৌভাগ্য মণ্ডিত হয়েছে। যার কারণে মুসলমানগণ তাদের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করে থাকেন।
মুহররম মাসের দশ তারিখ আশুরার দিন হিসেবে পরিচিত। ৬১ হিজরির ১০ মুহররম তারিখে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন হুসাইন রা. কে শাহাদাতের মর্যাদায় ভূষিত করেছিলেন। এই শাহাদাতের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা তার মর্যাদা অনেক উন্নীত করেছেন। কারণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাসান ও হুসাইন রা. এর ব্যাপারে এ শুভ সংবাদ প্রদান করে গেছেন যে, তারা হবেন জান্নাতের যুবকদের নেতা।
আর এ কথা চির সত্য, যে যত বড় মর্যাদা লাভ করে তাকে তত বড় পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়। যেমন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে জিজ্ঞেস করা হল, মানব জাতির মধ্যে কে সব চেয়ে বেশি পরীক্ষা ও বিপদাপদের সম্মুখীন হয়েছিলেন? তিনি বললেন, নবীগণ, তারপর আল্লাহর নেককার বান্দাগণ।
তারপর অন্যদের মধ্যে যারা যে পরিমাণ ঈমান ও পরহেযগারিতার অধিকারী তারা সে পরিমাণ পরীক্ষা সম্মুখীন হয়েছেন। মানুষ তার দীনদারি অনুযায়ী পরীক্ষার সম্মুখীন হয়। কেউ যদি মজবুত দ্বীনের অধিকারী হয় তবে সে বেশি পরিমাণ পরীক্ষার মুখোমুখি হয়। আর কারো দ্বীনদারিতে কমতি থাকলে তার বিপদাপদ কম আসে এবং পরীক্ষাও কম হয়। মুমিন বান্দা যতদিন পৃথিবীতে চলা ফেরা করে ততদিন তার উপর বিপদাপদ পতিত হতে থাকে এবং এভাবে তার আর কোন গুনাহ বাকী থাকে না।” (মুসনাদ আহমদ ও তিরমিযী, সনদ হাসান)
তারপর অন্যদের মধ্যে যারা যে পরিমাণ ঈমান ও পরহেযগারিতার অধিকারী তারা সে পরিমাণ পরীক্ষা সম্মুখীন হয়েছেন। মানুষ তার দীনদারি অনুযায়ী পরীক্ষার সম্মুখীন হয়। কেউ যদি মজবুত দ্বীনের অধিকারী হয় তবে সে বেশি পরিমাণ পরীক্ষার মুখোমুখি হয়। আর কারো দ্বীনদারিতে কমতি থাকলে তার বিপদাপদ কম আসে এবং পরীক্ষাও কম হয়। মুমিন বান্দা যতদিন পৃথিবীতে চলা ফেরা করে ততদিন তার উপর বিপদাপদ পতিত হতে থাকে এবং এভাবে তার আর কোন গুনাহ বাকী থাকে না।” (মুসনাদ আহমদ ও তিরমিযী, সনদ হাসান)
আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে তাদের এই মর্যাদা পূর্বেই নির্ধারণ করে রাখা হয়েছিল। তারা তাদের পূর্বপুরুষদের মতই বিপদাপদের সম্মুখীন হয়েছেন। ইসলামের মর্যাদা নিয়েই তারা দুনিয়াতে আগমন করেছেন এবং ইসলাম প্রদত্ত মর্যাদা সহকারে তারা প্রতিপালিত হয়েছেন। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সংস্পর্শ, স্নেহ-মমতা, আদর ও ভালবাসা পেয়ে তাদের জীবন সৌভাগ্য মণ্ডিত হয়েছে। যার কারণে মুসলমানগণ তাদের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করে থাকেন।
জন্মদিন পালন করা এবং এ উপলক্ষে উইশ করা ও উপহার লেনদেন করার বিধান
▬▬▬◄❖►▬▬▬
প্রশ্ন: আমরা জানি জন্মদিন পালন করা বিদআত যেহেতু এইটা বিজাতীয়দের কালচার। এখন কেউ যদি আমাকে জন্মদিন এর সময় উইশ করে বা গিফট দেয় এতে আমার করণীয় কি? আমাকে উইশ করলে কি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা যাবে?
উত্তর:
জন্মদিন (Birthday) পালন করা এবং এ উপলক্ষে উইশ (wish) করা বা গিফট লেনদেন করা শরিয়ত সম্মত নয়। কারণ তা অমুসলিমদের সংস্কৃতি। আর ইসলামে অমুসলিমদের অনুসরণ-অনুকরণ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ-চাই তা ইবাদতের ক্ষেত্রে হোক অথবা আচার-আচরণ, পোশাক-পরিচ্ছদ, রীতি-নীতি বা কৃষ্টি-কালচারের ক্ষেত্রে হোক। কেননা হাদিসে এসেছে:
❖ আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ
"যে ব্যক্তি বিজাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করে, সে তাদের দলভুক্ত হিসেবে গণ্য হবে।" [সুনানে আবু দাউদ, অধ্যায়: পোশাক-পরিচ্ছেদ হা/৪০৩১-হাসান সহিহ]
▬▬▬◄❖►▬▬▬
প্রশ্ন: আমরা জানি জন্মদিন পালন করা বিদআত যেহেতু এইটা বিজাতীয়দের কালচার। এখন কেউ যদি আমাকে জন্মদিন এর সময় উইশ করে বা গিফট দেয় এতে আমার করণীয় কি? আমাকে উইশ করলে কি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা যাবে?
উত্তর:
জন্মদিন (Birthday) পালন করা এবং এ উপলক্ষে উইশ (wish) করা বা গিফট লেনদেন করা শরিয়ত সম্মত নয়। কারণ তা অমুসলিমদের সংস্কৃতি। আর ইসলামে অমুসলিমদের অনুসরণ-অনুকরণ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ-চাই তা ইবাদতের ক্ষেত্রে হোক অথবা আচার-আচরণ, পোশাক-পরিচ্ছদ, রীতি-নীতি বা কৃষ্টি-কালচারের ক্ষেত্রে হোক। কেননা হাদিসে এসেছে:
জন্মদিন (Birthday) পালন করা এবং এ উপলক্ষে উইশ (wish) করা বা গিফট লেনদেন করা শরিয়ত সম্মত নয়। কারণ তা অমুসলিমদের সংস্কৃতি। আর ইসলামে অমুসলিমদের অনুসরণ-অনুকরণ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ-চাই তা ইবাদতের ক্ষেত্রে হোক অথবা আচার-আচরণ, পোশাক-পরিচ্ছদ, রীতি-নীতি বা কৃষ্টি-কালচারের ক্ষেত্রে হোক। কেননা হাদিসে এসেছে:
❖ আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ
"যে ব্যক্তি বিজাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করে, সে তাদের দলভুক্ত হিসেবে গণ্য হবে।" [সুনানে আবু দাউদ, অধ্যায়: পোশাক-পরিচ্ছেদ হা/৪০৩১-হাসান সহিহ]
مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ
"যে ব্যক্তি বিজাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করে, সে তাদের দলভুক্ত হিসেবে গণ্য হবে।" [সুনানে আবু দাউদ, অধ্যায়: পোশাক-পরিচ্ছেদ হা/৪০৩১-হাসান সহিহ]
নির্জনে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে পর্দা কতটুকু?
▬▬▬◄❖►▬▬▬
প্রশ্ন: যখন স্বামী-স্ত্রী নির্জনে সময় কাটায় তখন তাদের মাঝে কতটা পর্দা রক্ষা করা জরুরি? (একান্ত ঘনিষ্ঠ সময় ছাড়া বাকি সময়গুলোতে)। কেননা আমাদের আশে পাশে সর্বদা জিন ও ফেরেশতাগণ ঘুরা ফেরা করে।
উত্তর:
স্বামী-স্ত্রীর মাঝে কোনও পর্দা নেই। আল্লাহ তাআলা স্বামী-স্ত্রীকে পরস্পরের জন্য 'পোশাক' বলে অভিহিত করেছেন এবং একে অপরের জন্য সম্পূর্ণ হালাল করেছেন। সুতরাং তারা নির্জনে যেভাবে খুশি একে অপরের সামনে থাকতে পারে এবং আনন্দ-বিনোদন করতে পারে।
আল্লাহ তাআলা বলেন:
هُنَّ لِبَاسٌ لَّكُمْ وَأَنتُمْ لِبَاسٌ لَّهُنَّ
"তারা (স্ত্রীরা) তোমাদের জন্য পোশাক এবং তোমরা তাদের জন্য পোশাক।" (সূরা বাকারা: ১৮৬)
❖ তাফসিরে কুরতুবিতে এর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে:
"পোশাক মূলত: কাপড়। কিন্তু স্বামী-স্ত্রী একে অপরের জন্য পোশাক বলা হয়েছে এ জন্য যে, দেহের সাথে দেহের সংযোগ ঘটে, একে অপরের সাথে মিলিত হয় এবং পোশাকের মত একে অপরের সঙ্গে থাকে।" (সূরা বাকারার ১৮৬ নং আয়াতের ব্যাখ্যা, তাফসিরে কুরতুবী)
❖ এ ছাড়াও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে:
▬▬▬◄❖►▬▬▬
প্রশ্ন: যখন স্বামী-স্ত্রী নির্জনে সময় কাটায় তখন তাদের মাঝে কতটা পর্দা রক্ষা করা জরুরি? (একান্ত ঘনিষ্ঠ সময় ছাড়া বাকি সময়গুলোতে)। কেননা আমাদের আশে পাশে সর্বদা জিন ও ফেরেশতাগণ ঘুরা ফেরা করে।
উত্তর:
স্বামী-স্ত্রীর মাঝে কোনও পর্দা নেই। আল্লাহ তাআলা স্বামী-স্ত্রীকে পরস্পরের জন্য 'পোশাক' বলে অভিহিত করেছেন এবং একে অপরের জন্য সম্পূর্ণ হালাল করেছেন। সুতরাং তারা নির্জনে যেভাবে খুশি একে অপরের সামনে থাকতে পারে এবং আনন্দ-বিনোদন করতে পারে।
আল্লাহ তাআলা বলেন:
هُنَّ لِبَاسٌ لَّكُمْ وَأَنتُمْ لِبَاسٌ لَّهُنَّ
"তারা (স্ত্রীরা) তোমাদের জন্য পোশাক এবং তোমরা তাদের জন্য পোশাক।" (সূরা বাকারা: ১৮৬)
আল্লাহ তাআলা বলেন:
هُنَّ لِبَاسٌ لَّكُمْ وَأَنتُمْ لِبَاسٌ لَّهُنَّ
"তারা (স্ত্রীরা) তোমাদের জন্য পোশাক এবং তোমরা তাদের জন্য পোশাক।" (সূরা বাকারা: ১৮৬)
❖ তাফসিরে কুরতুবিতে এর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে:
"পোশাক মূলত: কাপড়। কিন্তু স্বামী-স্ত্রী একে অপরের জন্য পোশাক বলা হয়েছে এ জন্য যে, দেহের সাথে দেহের সংযোগ ঘটে, একে অপরের সাথে মিলিত হয় এবং পোশাকের মত একে অপরের সঙ্গে থাকে।" (সূরা বাকারার ১৮৬ নং আয়াতের ব্যাখ্যা, তাফসিরে কুরতুবী)
❖ এ ছাড়াও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে:
মুহররমের বিদআত ও অন্যায় কার্যক্রম
▬▬▬◆◆◆▬▬▬
মুহাররম মাস-বিশেষ করে এ মাসের ১০ তারিখে (আশুরার দিন) শিআ-রাফেযী সম্প্রদায় কর্তৃক অনেক বাড়াবাড়ি, হিংসাত্মক এবং নান ধরণের শরীয়ত বহির্ভূত/বিদআতী কার্যক্রম পালিত হয়ে থাকে। নিম্নে এ ধরণের কতিপয় কার্যক্রম তুলে ধরা হল:
১) হুসাইন রা. এর শাহাদাতকে কেন্দ্র করে তাঁর প্রতি মিথ্যা সমবেদনার প্রকাশ হিসেবে গালে চপেটাঘাত করা, বুক থাপড়ানো, শরীর রক্তাক্ত করা, তলোয়ার বা ছুরির আঘাতে মাথা থেকে রক্ত প্রবাহিত করা, মাটিতে গড়াগড়ি করা, কান্নাকাটি করা, শরীরের পোশাক ছেঁড়া, নিজেকে নানাভাবে কষ্ট দেয়া ইত্যাদি।
২) কারবালা যুদ্ধের প্রতীক হিসেবে আশুরায় ‘লাঠি খেলা’র আয়োজন করা।
৩) মুহররমের ১০ তারিখে শোক দিবস পালন করা।
৪) হুসাইন রা. এর প্রতীকী কবর তৈরি করে তা সুসজ্জিত করা বা তাতে সম্মান করা।
৫) কালো পতাকা নিয়ে তাজিয়া মিছিল করা এবং তাতে পানি বিতরণ করা।
৬) মুহররমের দশ তারিখে কালো জামা-কাপড় পরিধান করা।
৭) মুহররম উপলক্ষে গান-বাদ্য, কাওয়ালী, জারি, সারি, মুর্সিয়া বা পালা গানের আসর বসানো।
৮) হুসাইন রা. এর মৃত্যুতে শোক পালনার্থে মুহররমের প্রথম দশ দিন গোস্ত, মাছ, ডিম ইত্যাদি
খাওয়া, বিয়েশাদী করা বা দেয়া থেকে বিরত থাকা।
৯) এ উপলক্ষে মুহররমের প্রথম দশ দিন মাটিতে ঘুমানো।
১০) কারবালার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিথ্যা কিচ্ছা-কাহিনী বর্ণনা করে ফেতনার আগুন উসকিয়ে দেয়া এবং পূর্ব যুগের বিভিন্ন নিরপরাধ মানুষের প্রতি অভিশাপ দেয়া।
এ কাজগুলো মূলত: পথভ্রষ্ট শিয়া সম্প্রদায়ের মাধ্যমে সংঘটিত হয়ে থাকে আর অনেক অজ্ঞ মুসলিম নাজানার কারণে তাদের সাথে এ সব কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ করে!
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সকল ফিতনা-ফ্যাসাদ থেকে হেফাজত করুন। আমীন।
▬▬▬▬▬▬▬▬
গ্রন্থনায়: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদি আরব।
▬▬▬◆◆◆▬▬▬
মুহাররম মাস-বিশেষ করে এ মাসের ১০ তারিখে (আশুরার দিন) শিআ-রাফেযী সম্প্রদায় কর্তৃক অনেক বাড়াবাড়ি, হিংসাত্মক এবং নান ধরণের শরীয়ত বহির্ভূত/বিদআতী কার্যক্রম পালিত হয়ে থাকে। নিম্নে এ ধরণের কতিপয় কার্যক্রম তুলে ধরা হল:
১) হুসাইন রা. এর শাহাদাতকে কেন্দ্র করে তাঁর প্রতি মিথ্যা সমবেদনার প্রকাশ হিসেবে গালে চপেটাঘাত করা, বুক থাপড়ানো, শরীর রক্তাক্ত করা, তলোয়ার বা ছুরির আঘাতে মাথা থেকে রক্ত প্রবাহিত করা, মাটিতে গড়াগড়ি করা, কান্নাকাটি করা, শরীরের পোশাক ছেঁড়া, নিজেকে নানাভাবে কষ্ট দেয়া ইত্যাদি।
২) কারবালা যুদ্ধের প্রতীক হিসেবে আশুরায় ‘লাঠি খেলা’র আয়োজন করা।
৩) মুহররমের ১০ তারিখে শোক দিবস পালন করা।
৪) হুসাইন রা. এর প্রতীকী কবর তৈরি করে তা সুসজ্জিত করা বা তাতে সম্মান করা।
৫) কালো পতাকা নিয়ে তাজিয়া মিছিল করা এবং তাতে পানি বিতরণ করা।
৬) মুহররমের দশ তারিখে কালো জামা-কাপড় পরিধান করা।
৭) মুহররম উপলক্ষে গান-বাদ্য, কাওয়ালী, জারি, সারি, মুর্সিয়া বা পালা গানের আসর বসানো।
৮) হুসাইন রা. এর মৃত্যুতে শোক পালনার্থে মুহররমের প্রথম দশ দিন গোস্ত, মাছ, ডিম ইত্যাদি
খাওয়া, বিয়েশাদী করা বা দেয়া থেকে বিরত থাকা।
৯) এ উপলক্ষে মুহররমের প্রথম দশ দিন মাটিতে ঘুমানো।
১০) কারবালার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিথ্যা কিচ্ছা-কাহিনী বর্ণনা করে ফেতনার আগুন উসকিয়ে দেয়া এবং পূর্ব যুগের বিভিন্ন নিরপরাধ মানুষের প্রতি অভিশাপ দেয়া।
এ কাজগুলো মূলত: পথভ্রষ্ট শিয়া সম্প্রদায়ের মাধ্যমে সংঘটিত হয়ে থাকে আর অনেক অজ্ঞ মুসলিম নাজানার কারণে তাদের সাথে এ সব কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ করে!
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সকল ফিতনা-ফ্যাসাদ থেকে হেফাজত করুন। আমীন।
▬▬▬▬▬▬▬▬
গ্রন্থনায়: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদি আরব।
২) কারবালা যুদ্ধের প্রতীক হিসেবে আশুরায় ‘লাঠি খেলা’র আয়োজন করা।
৩) মুহররমের ১০ তারিখে শোক দিবস পালন করা।
৪) হুসাইন রা. এর প্রতীকী কবর তৈরি করে তা সুসজ্জিত করা বা তাতে সম্মান করা।
৫) কালো পতাকা নিয়ে তাজিয়া মিছিল করা এবং তাতে পানি বিতরণ করা।
৬) মুহররমের দশ তারিখে কালো জামা-কাপড় পরিধান করা।
৭) মুহররম উপলক্ষে গান-বাদ্য, কাওয়ালী, জারি, সারি, মুর্সিয়া বা পালা গানের আসর বসানো।
৮) হুসাইন রা. এর মৃত্যুতে শোক পালনার্থে মুহররমের প্রথম দশ দিন গোস্ত, মাছ, ডিম ইত্যাদি
খাওয়া, বিয়েশাদী করা বা দেয়া থেকে বিরত থাকা।
৯) এ উপলক্ষে মুহররমের প্রথম দশ দিন মাটিতে ঘুমানো।
১০) কারবালার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিথ্যা কিচ্ছা-কাহিনী বর্ণনা করে ফেতনার আগুন উসকিয়ে দেয়া এবং পূর্ব যুগের বিভিন্ন নিরপরাধ মানুষের প্রতি অভিশাপ দেয়া।
এ কাজগুলো মূলত: পথভ্রষ্ট শিয়া সম্প্রদায়ের মাধ্যমে সংঘটিত হয়ে থাকে আর অনেক অজ্ঞ মুসলিম নাজানার কারণে তাদের সাথে এ সব কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ করে!
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সকল ফিতনা-ফ্যাসাদ থেকে হেফাজত করুন। আমীন।
▬▬▬▬▬▬▬▬
গ্রন্থনায়: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদি আরব।
জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্ত নারীগণ
▬▬▬◄❖►▬▬▬
প্রশ্ন: মহিলা সাহাবীদের মধ্যে কি কেউ জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত হয়েছেন? হলে তাদের নাম কি?
উত্তর:
প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওহির মারফতে কতিপয় পুরুষ সাহাবীর পাশাপাশি কতিপয় মহিলার ব্যাপারে জান্নাতবাসী হওয়ার সুসংবাদ প্রদান করেছেন। কিন্তু পুরুষ সাহাবীদের বিষয়টি সুপ্রসিদ্ধ হলেও মহিলাদের মধ্যে জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্তদের সম্পর্কে খুব কম মানুষই জানে।
তাই নিম্নে জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্ত সৌভাগ্যবতী মহিলাদের মধ্যে ১২ জনের নামের একটি তালিকা তুলে ধরা হল: (যদিও তাদের সংখ্যা আরও বেশি):
১) আসিয়া আ. (ফেরআউনের স্ত্রী)
২) মরিয়ম বিনতে ইমরান আ. (আল্লাহর রাসূল ঈসা আলাইহিস সালাম এর মা)
৩) খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ রা. (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লম এর স্ত্রী)
৪) আয়েশা রা. (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর স্ত্রী এবং আবু বকর সিদ্দীক রা. এর কন্যা)
৫) ফাতিমা রা. (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কন্যা ও আলী রা. এর স্ত্রী)
৬) হাফসা রা. (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর স্ত্রী এবং উমর রা. এর কন্যা)
৭) উম্মে সুলাইম রা. (আবু তালহা রা. এর স্ত্রী)
৮) গুমায়সা বিনতে মিলহান রা.
৯) রবী বিনতে মুআওয়ায (মদীনার আনসারী মহিলা সাহাবী- যিনি হুদায়বিয়ার সন্ধির সময় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট যুদ্ধের বাইআত নিয়েছিলেন। বাইআত গ্রহণকারী সর্বমোট দু জন মহিলার মধ্যে তিনি একজন)
১০) সুমাইয়া রা. (ইসলামের ইতিহাসে প্রথম শহিদ)
১১) সুয়াইরা আল আসাদিয়া রা.
১২) উম্মে হারাম বিনতে মিলহান (আনাস রা. এর খালা)
যে সব হাদিসের মধ্যে এ সকল সৌভাগ্যবতী মহিলা সম্পর্কে জান্নাতের সুসংবাদ বর্ণিত হয়েছে সেগুলো জানতে এই বইটি পড়ুন:
“জান্নাতও জাহান্নাম এর সংবাদপ্রাপ্ত নারী-পুরুষগণ”
বইটির ওয়ার্ড ফাইল ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন এই লিংকে:
উল্লেখ্য যে, উল্লেখিত ১২ জন ছাড়াও জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত মহিলার সংখ্যা আরও রয়েছে।
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকেও পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সন্তান ঐ সকল সৌভাগ্যবান পুরুষ ও সৌভাগ্যবতী নারীদের দলভুক্ত হয়ে মুমিন জীবনের অভীষ্ট লক্ষ এবং অবর্ণনীয় নিয়ামত সমৃদ্ধ চূড়ান্ত প্রত্যাশার নীড় জান্নাতে প্রবেশের তাওফিক দান করুন। আমীন।
আল্লাহু আলাম।
▬▬▬◄❖►▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
জুবাইল, সৌদি আরব
▬▬▬◄❖►▬▬▬
প্রশ্ন: মহিলা সাহাবীদের মধ্যে কি কেউ জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত হয়েছেন? হলে তাদের নাম কি?
উত্তর:
প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওহির মারফতে কতিপয় পুরুষ সাহাবীর পাশাপাশি কতিপয় মহিলার ব্যাপারে জান্নাতবাসী হওয়ার সুসংবাদ প্রদান করেছেন। কিন্তু পুরুষ সাহাবীদের বিষয়টি সুপ্রসিদ্ধ হলেও মহিলাদের মধ্যে জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্তদের সম্পর্কে খুব কম মানুষই জানে।
প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওহির মারফতে কতিপয় পুরুষ সাহাবীর পাশাপাশি কতিপয় মহিলার ব্যাপারে জান্নাতবাসী হওয়ার সুসংবাদ প্রদান করেছেন। কিন্তু পুরুষ সাহাবীদের বিষয়টি সুপ্রসিদ্ধ হলেও মহিলাদের মধ্যে জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্তদের সম্পর্কে খুব কম মানুষই জানে।
তাই নিম্নে জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্ত সৌভাগ্যবতী মহিলাদের মধ্যে ১২ জনের নামের একটি তালিকা তুলে ধরা হল: (যদিও তাদের সংখ্যা আরও বেশি):
১) আসিয়া আ. (ফেরআউনের স্ত্রী)
২) মরিয়ম বিনতে ইমরান আ. (আল্লাহর রাসূল ঈসা আলাইহিস সালাম এর মা)
৩) খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ রা. (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লম এর স্ত্রী)
৪) আয়েশা রা. (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর স্ত্রী এবং আবু বকর সিদ্দীক রা. এর কন্যা)
৫) ফাতিমা রা. (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কন্যা ও আলী রা. এর স্ত্রী)
৬) হাফসা রা. (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর স্ত্রী এবং উমর রা. এর কন্যা)
৭) উম্মে সুলাইম রা. (আবু তালহা রা. এর স্ত্রী)
৮) গুমায়সা বিনতে মিলহান রা.
৯) রবী বিনতে মুআওয়ায (মদীনার আনসারী মহিলা সাহাবী- যিনি হুদায়বিয়ার সন্ধির সময় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট যুদ্ধের বাইআত নিয়েছিলেন। বাইআত গ্রহণকারী সর্বমোট দু জন মহিলার মধ্যে তিনি একজন)
১০) সুমাইয়া রা. (ইসলামের ইতিহাসে প্রথম শহিদ)
১১) সুয়াইরা আল আসাদিয়া রা.
১২) উম্মে হারাম বিনতে মিলহান (আনাস রা. এর খালা)
২) মরিয়ম বিনতে ইমরান আ. (আল্লাহর রাসূল ঈসা আলাইহিস সালাম এর মা)
৩) খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ রা. (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লম এর স্ত্রী)
৪) আয়েশা রা. (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর স্ত্রী এবং আবু বকর সিদ্দীক রা. এর কন্যা)
৫) ফাতিমা রা. (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কন্যা ও আলী রা. এর স্ত্রী)
৬) হাফসা রা. (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর স্ত্রী এবং উমর রা. এর কন্যা)
৭) উম্মে সুলাইম রা. (আবু তালহা রা. এর স্ত্রী)
৮) গুমায়সা বিনতে মিলহান রা.
৯) রবী বিনতে মুআওয়ায (মদীনার আনসারী মহিলা সাহাবী- যিনি হুদায়বিয়ার সন্ধির সময় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট যুদ্ধের বাইআত নিয়েছিলেন। বাইআত গ্রহণকারী সর্বমোট দু জন মহিলার মধ্যে তিনি একজন)
১০) সুমাইয়া রা. (ইসলামের ইতিহাসে প্রথম শহিদ)
১১) সুয়াইরা আল আসাদিয়া রা.
১২) উম্মে হারাম বিনতে মিলহান (আনাস রা. এর খালা)
যে সব হাদিসের মধ্যে এ সকল সৌভাগ্যবতী মহিলা সম্পর্কে জান্নাতের সুসংবাদ বর্ণিত হয়েছে সেগুলো জানতে এই বইটি পড়ুন:
“জান্নাতও জাহান্নাম এর সংবাদপ্রাপ্ত নারী-পুরুষগণ”
বইটির ওয়ার্ড ফাইল ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন এই লিংকে:
“জান্নাতও জাহান্নাম এর সংবাদপ্রাপ্ত নারী-পুরুষগণ”
বইটির ওয়ার্ড ফাইল ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন এই লিংকে:
উল্লেখ্য যে, উল্লেখিত ১২ জন ছাড়াও জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত মহিলার সংখ্যা আরও রয়েছে।
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকেও পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সন্তান ঐ সকল সৌভাগ্যবান পুরুষ ও সৌভাগ্যবতী নারীদের দলভুক্ত হয়ে মুমিন জীবনের অভীষ্ট লক্ষ এবং অবর্ণনীয় নিয়ামত সমৃদ্ধ চূড়ান্ত প্রত্যাশার নীড় জান্নাতে প্রবেশের তাওফিক দান করুন। আমীন।
আল্লাহু আলাম।
▬▬▬◄❖►▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
জুবাইল, সৌদি আরব
আল্লাহু আলাম।
▬▬▬◄❖►▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
জুবাইল, সৌদি আরব
মুহররম মাসে বিয়ে-শাদী নিষিদ্ধ!!
▬▬▬◈◆◈▬▬▬
প্রশ্ন: লোকমুখে শোনা যায় যে, মুহররম মাসে না কি বিয়ে-শাদী নিষিদ্ধ? এ কারণে অনেক মানুষ এ মাসে বিয়ে করে না এবং বিয়ে দেয়ও না। এটা কি সঠিক?
উত্তর:
ইসলামের দৃষ্টিতে মুহররম মাসে বিয়ে-শাদি নিষিদ্ধ নয়। বরং বছরের কোন মাসেই কোন সময়ই বিয়ে-শাদী নিষিদ্ধ নয়। এ মর্মে যে সব কথা প্রচলিত রয়েছে সবই ভিত্তিহীন ও কুসংস্কার।
◆◆ মুহররম মাস নিয়ে শিয়াদের বাড়াবাড়ি:
মুহররম মাসে বিয়ে-শাদী করা ঠিক নয়- মর্মে প্রচলিত কথাটি শিয়া-রাফেযী গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে মিথ্যা প্রচারণা হতে পারে। কেননা, এ মাসে (মুহররম মাসের ১০ তারিখে) হুসাইন রা. কারবালার প্রান্তরে শাহাদাত বরণ করেছিলেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে তারা মিথ্যা মায়াকান্না আর অতিভক্তি দেখিয়ে এ মাসে অনেক বিদআতি কার্যক্রম করে থাকে এবং শরীয়তের অনেক বৈধ জিনিসকে অবৈধ করে থাকে। যেমন তারা বলে, মুহররম মাসে নতুন জামা পড়া যাবে না, গোস্ত-মাছ ইত্যাদি ভালো খাবার খাওয়া যাবে না বরং কেবল নিরামিষ খেতে হবে, বিছানায় না শুয়ে মাটিতে শুতে হবে, বিয়াশাদী দেয়া বা করা বৈধ নয়...ইত্যাদি। অথচ এ সব কথা শুধু দলীল বহির্ভূত নয় বরং দ্বীনের মধ্যে বাড়াবাড়ি ও অতিরঞ্জন ছাড়া অন্য কিছু নয়। ইসলামী শরিয়ত যা নিষেধ করে নি তা নিষেধ করা মানে দ্বীনের মধ্যে সীমালঙ্ঘন এবং ধৃষ্টতা প্রদর্শন।
▬▬▬◈◆◈▬▬▬
প্রশ্ন: লোকমুখে শোনা যায় যে, মুহররম মাসে না কি বিয়ে-শাদী নিষিদ্ধ? এ কারণে অনেক মানুষ এ মাসে বিয়ে করে না এবং বিয়ে দেয়ও না। এটা কি সঠিক?
উত্তর:
ইসলামের দৃষ্টিতে মুহররম মাসে বিয়ে-শাদি নিষিদ্ধ নয়। বরং বছরের কোন মাসেই কোন সময়ই বিয়ে-শাদী নিষিদ্ধ নয়। এ মর্মে যে সব কথা প্রচলিত রয়েছে সবই ভিত্তিহীন ও কুসংস্কার।
ইসলামের দৃষ্টিতে মুহররম মাসে বিয়ে-শাদি নিষিদ্ধ নয়। বরং বছরের কোন মাসেই কোন সময়ই বিয়ে-শাদী নিষিদ্ধ নয়। এ মর্মে যে সব কথা প্রচলিত রয়েছে সবই ভিত্তিহীন ও কুসংস্কার।
◆◆ মুহররম মাস নিয়ে শিয়াদের বাড়াবাড়ি:
মুহররম মাসে বিয়ে-শাদী করা ঠিক নয়- মর্মে প্রচলিত কথাটি শিয়া-রাফেযী গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে মিথ্যা প্রচারণা হতে পারে। কেননা, এ মাসে (মুহররম মাসের ১০ তারিখে) হুসাইন রা. কারবালার প্রান্তরে শাহাদাত বরণ করেছিলেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে তারা মিথ্যা মায়াকান্না আর অতিভক্তি দেখিয়ে এ মাসে অনেক বিদআতি কার্যক্রম করে থাকে এবং শরীয়তের অনেক বৈধ জিনিসকে অবৈধ করে থাকে। যেমন তারা বলে, মুহররম মাসে নতুন জামা পড়া যাবে না, গোস্ত-মাছ ইত্যাদি ভালো খাবার খাওয়া যাবে না বরং কেবল নিরামিষ খেতে হবে, বিছানায় না শুয়ে মাটিতে শুতে হবে, বিয়াশাদী দেয়া বা করা বৈধ নয়...ইত্যাদি। অথচ এ সব কথা শুধু দলীল বহির্ভূত নয় বরং দ্বীনের মধ্যে বাড়াবাড়ি ও অতিরঞ্জন ছাড়া অন্য কিছু নয়। ইসলামী শরিয়ত যা নিষেধ করে নি তা নিষেধ করা মানে দ্বীনের মধ্যে সীমালঙ্ঘন এবং ধৃষ্টতা প্রদর্শন।
শিয়ারা কেন হুসাইন রা. এর প্রতি এত দরদ দেখায়?
অবাক করা তথ্য!
আপনি জানেন কি? শিয়ারা কেন হুসাইন রা. এর প্রতি এত দরদ দেখায়?
▬▬▬◈◈◈▬▬▬
অনুবাদক: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
লিসান্স, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সউদী আরব
▬▬▬◈◈◈▬▬▬
শিয়া সম্প্রদায় কেন আলী রা. এর ছেলেদের মধ্যে কেবল হুসাইন রা. এর এত গুণগান করে এবং তার প্রতি এত দরদে দেখায়? কখনও কি এ বিষয়ে নিজেকে প্রশ্ন করেছেন? কখনো কি বিস্ময়কর মনে হয়েছে বিষয়টি?
এই তথ্য জানার পরে বিশ্বের অনেক মুসলিম হোঁচট খেয়েছে, বিশেষ করে আরব দেশের শিয়ারা। এই প্রশ্নের উত্তর জানার আগে আসুন, আলী রা. এর সন্তানদের সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নি।
আলী রা. এর মোট ছেলে ছিল ১১ জন । তাদের নাম নিম্নরূপ:
১) হাসান বিন আলী বিন আবু তালিব
২) হুসাইন বিন আলী বিন আবু তালিব
৩) মুহসিন বিন আলী বিন আবু তালিব
৪) আব্বাস বিন আলী বিন আবু তালিব
৫) হেলাল বিন আলী বিন আবু তালিব
৬) আব্দুল্লাহ বিন আলী বিন আবু তালিব
৭) জাফর বিন আলী বিন আবু তালিব
৮) উসমান বিন আলী বিন আবু তালিব
৯) উবায়দুল্লাহ বিন আলী বিন আবু তালিব
১০) আবু বকর বিন আলী বিন আবু তালিব
১১) উমর বিন আলী বিন আবু তালিব
অবাক করা তথ্য!
আপনি জানেন কি? শিয়ারা কেন হুসাইন রা. এর প্রতি এত দরদ দেখায়?
▬▬▬◈◈◈▬▬▬
অনুবাদক: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
লিসান্স, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সউদী আরব
▬▬▬◈◈◈▬▬▬
শিয়া সম্প্রদায় কেন আলী রা. এর ছেলেদের মধ্যে কেবল হুসাইন রা. এর এত গুণগান করে এবং তার প্রতি এত দরদে দেখায়? কখনও কি এ বিষয়ে নিজেকে প্রশ্ন করেছেন? কখনো কি বিস্ময়কর মনে হয়েছে বিষয়টি?
আপনি জানেন কি? শিয়ারা কেন হুসাইন রা. এর প্রতি এত দরদ দেখায়?
▬▬▬◈◈◈▬▬▬
অনুবাদক: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
লিসান্স, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সউদী আরব
▬▬▬◈◈◈▬▬▬
শিয়া সম্প্রদায় কেন আলী রা. এর ছেলেদের মধ্যে কেবল হুসাইন রা. এর এত গুণগান করে এবং তার প্রতি এত দরদে দেখায়? কখনও কি এ বিষয়ে নিজেকে প্রশ্ন করেছেন? কখনো কি বিস্ময়কর মনে হয়েছে বিষয়টি?
এই তথ্য জানার পরে বিশ্বের অনেক মুসলিম হোঁচট খেয়েছে, বিশেষ করে আরব দেশের শিয়ারা। এই প্রশ্নের উত্তর জানার আগে আসুন, আলী রা. এর সন্তানদের সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নি।
আলী রা. এর মোট ছেলে ছিল ১১ জন । তাদের নাম নিম্নরূপ:
১) হাসান বিন আলী বিন আবু তালিব
২) হুসাইন বিন আলী বিন আবু তালিব
৩) মুহসিন বিন আলী বিন আবু তালিব
৪) আব্বাস বিন আলী বিন আবু তালিব
৫) হেলাল বিন আলী বিন আবু তালিব
৬) আব্দুল্লাহ বিন আলী বিন আবু তালিব
৭) জাফর বিন আলী বিন আবু তালিব
৮) উসমান বিন আলী বিন আবু তালিব
৯) উবায়দুল্লাহ বিন আলী বিন আবু তালিব
১০) আবু বকর বিন আলী বিন আবু তালিব
১১) উমর বিন আলী বিন আবু তালিব
আশুরা তথা মুহররমের ১০ তারিখে রোযা রাখার ফযিলত কি? এ দিন ভালো খাবারের আয়োজন করলে সারা বছর ভালো খাওয়া যায়-এ কথা কি ঠিক?
▬▬▬◄❖►▬▬▬
উত্তর:
◈◈ আশুরার রোযা রাখার ফযিলত:
বিশুদ্ধ হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, আশুরা তথা মুহররম মাসের ১০ তারিখে রোযা রাখলে আশা করা যায়, আল্লাহ তাআলা পেছনের এক বছরের গুনাহ মোচন করে দিবেন। যেমন হাদিসে বর্ণিত হয়েছে:
আবু কাতাদা রা. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করে বলেন:
ثَلاثٌ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ وَرَمَضَانُ إِلَى رَمَضَانَ فَهَذَا صِيَامُ الدَّهْرِ كُلِّهِ صِيَامُ يَوْمِ عَرَفَةَ أَحْتَسِبُ عَلَى اللَّهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِي قَبْلَهُ وَالسَّنَةَ الَّتِي بَعْدَهُ وَصِيَامُ يَوْمِ عَاشُورَاءَ أَحْتَسِبُ عَلَى اللَّهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِي قَبْلَهُ
“প্রতি মাসে তিন দিন এবং এক রমাযান থেকে আরেক রমাযান পর্যন্ত রোযা রাখলে সারা বছর রোযা রাখার সাওয়াব অর্জিত হয়। আরাফার দিন রোযা রাখলে আল্লাহর নিকট আশা করি যে, তিনি এর বিনিময়ে পেছনের এক বছরের এবং সামনেরে এক বছরের (মোট দু বছরের) গুনাহ মোচন করবেন। আর আশুরার দিন (মুহররম মাসের ১০ তারিখে) রোযা রাখলে আল্লাহর নিকট আশা করি যে, তিনি এর বিনিময়ে পেছনের এক বছরের গুনাহ মোচন করবেন।” (সহীহ মুসলিম হা/১১৬২)
➤ উল্লেখ্য যে, ৯ ও ১০- দু দিন রোযা রাখা অধিক উত্তম। তবে কোনো কারণে ৯ তারিখে রোযা রাখা সম্ভব না হলে ১০ ও ১১ তারিখে রাখা জায়েজ।
ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল রহঃ বলেন: ”মাসের শুরু চিনতে অসুবিধা হলে (৯, ১০ ও ১১ এ) তিন দিন রোযা রাখবে। যেন ৯ ও ১০ তারিখে রোযা নিশ্চিতভাবে সম্পন্ন করা যায়। (মুগনী ৩/১৭৪)
◈◈ আশুরার দিন ভালো খাবারের আয়োজন করা:
▬▬▬◄❖►▬▬▬
উত্তর:
◈◈ আশুরার রোযা রাখার ফযিলত:
বিশুদ্ধ হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, আশুরা তথা মুহররম মাসের ১০ তারিখে রোযা রাখলে আশা করা যায়, আল্লাহ তাআলা পেছনের এক বছরের গুনাহ মোচন করে দিবেন। যেমন হাদিসে বর্ণিত হয়েছে:
আবু কাতাদা রা. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করে বলেন:
ثَلاثٌ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ وَرَمَضَانُ إِلَى رَمَضَانَ فَهَذَا صِيَامُ الدَّهْرِ كُلِّهِ صِيَامُ يَوْمِ عَرَفَةَ أَحْتَسِبُ عَلَى اللَّهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِي قَبْلَهُ وَالسَّنَةَ الَّتِي بَعْدَهُ وَصِيَامُ يَوْمِ عَاشُورَاءَ أَحْتَسِبُ عَلَى اللَّهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِي قَبْلَهُ
“প্রতি মাসে তিন দিন এবং এক রমাযান থেকে আরেক রমাযান পর্যন্ত রোযা রাখলে সারা বছর রোযা রাখার সাওয়াব অর্জিত হয়। আরাফার দিন রোযা রাখলে আল্লাহর নিকট আশা করি যে, তিনি এর বিনিময়ে পেছনের এক বছরের এবং সামনেরে এক বছরের (মোট দু বছরের) গুনাহ মোচন করবেন। আর আশুরার দিন (মুহররম মাসের ১০ তারিখে) রোযা রাখলে আল্লাহর নিকট আশা করি যে, তিনি এর বিনিময়ে পেছনের এক বছরের গুনাহ মোচন করবেন।” (সহীহ মুসলিম হা/১১৬২)
আবু কাতাদা রা. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করে বলেন:
ثَلاثٌ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ وَرَمَضَانُ إِلَى رَمَضَانَ فَهَذَا صِيَامُ الدَّهْرِ كُلِّهِ صِيَامُ يَوْمِ عَرَفَةَ أَحْتَسِبُ عَلَى اللَّهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِي قَبْلَهُ وَالسَّنَةَ الَّتِي بَعْدَهُ وَصِيَامُ يَوْمِ عَاشُورَاءَ أَحْتَسِبُ عَلَى اللَّهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِي قَبْلَهُ
“প্রতি মাসে তিন দিন এবং এক রমাযান থেকে আরেক রমাযান পর্যন্ত রোযা রাখলে সারা বছর রোযা রাখার সাওয়াব অর্জিত হয়। আরাফার দিন রোযা রাখলে আল্লাহর নিকট আশা করি যে, তিনি এর বিনিময়ে পেছনের এক বছরের এবং সামনেরে এক বছরের (মোট দু বছরের) গুনাহ মোচন করবেন। আর আশুরার দিন (মুহররম মাসের ১০ তারিখে) রোযা রাখলে আল্লাহর নিকট আশা করি যে, তিনি এর বিনিময়ে পেছনের এক বছরের গুনাহ মোচন করবেন।” (সহীহ মুসলিম হা/১১৬২)
➤ উল্লেখ্য যে, ৯ ও ১০- দু দিন রোযা রাখা অধিক উত্তম। তবে কোনো কারণে ৯ তারিখে রোযা রাখা সম্ভব না হলে ১০ ও ১১ তারিখে রাখা জায়েজ।
ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল রহঃ বলেন: ”মাসের শুরু চিনতে অসুবিধা হলে (৯, ১০ ও ১১ এ) তিন দিন রোযা রাখবে। যেন ৯ ও ১০ তারিখে রোযা নিশ্চিতভাবে সম্পন্ন করা যায়। (মুগনী ৩/১৭৪)
◈◈ আশুরার দিন ভালো খাবারের আয়োজন করা:
আলেম ও দ্বীনদার মানুষকে হুজুর বলা কি ঠিক?
➖➖➖➖➖➖➖
প্রশ্ন: আমাদের দেশে মসজিদের ইমামকে ‘হুজুর’ বলা হয়। এভাবে কাউকে ‘হুজুর’ বলাটা কতটুকু সঠিক? দয়া করে জানাবেন।
উত্তর:
‘হুজুর’ শব্দটি আমাদের সমাজে বহুল প্রচলিত একটি শব্দ। সাধারণত: আলেম, মসজিদের ইমাম ও দ্বীনদার-পরহেযগার মানুষদেরকে ‘হুজুর’ বলে সম্বোধন করা হয়।
নিম্নে এ বিষয়ে একটি সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ উপস্থাপন করা হল:
♻ 'হুজুর' শব্দের শাব্দিক ও পারিভাষিক অর্থ:
▪ ‘হুজুর’ শব্দের শাব্দিক অর্থ হল, উপস্থিত হওয়া।
▪ “পরিভাষায় এটি সম্মানিত ব্যক্তিদের সম্মানসূচক সম্বোধনের জন্য ব্যবহার করা হয়।” (ফার্সী অভিধান গিয়াসুল লুগাত, পৃষ্ঠা/১৭৪)
▪ অনলাইন ভিত্তিক অভিধান ebanglalibrary.com এ বলা হয়: হুজুর [ hujura] বি. নৃপতি, বিচারপতি, মনিব প্রভৃতিকে সম্মানসূচক সম্বোধন।
▪ বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধানেও প্রায় একই কথা বলা হয়েছে।
➖➖➖➖➖➖➖
প্রশ্ন: আমাদের দেশে মসজিদের ইমামকে ‘হুজুর’ বলা হয়। এভাবে কাউকে ‘হুজুর’ বলাটা কতটুকু সঠিক? দয়া করে জানাবেন।
উত্তর:
‘হুজুর’ শব্দটি আমাদের সমাজে বহুল প্রচলিত একটি শব্দ। সাধারণত: আলেম, মসজিদের ইমাম ও দ্বীনদার-পরহেযগার মানুষদেরকে ‘হুজুর’ বলে সম্বোধন করা হয়।
‘হুজুর’ শব্দটি আমাদের সমাজে বহুল প্রচলিত একটি শব্দ। সাধারণত: আলেম, মসজিদের ইমাম ও দ্বীনদার-পরহেযগার মানুষদেরকে ‘হুজুর’ বলে সম্বোধন করা হয়।
নিম্নে এ বিষয়ে একটি সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ উপস্থাপন করা হল:
♻ 'হুজুর' শব্দের শাব্দিক ও পারিভাষিক অর্থ:
▪ ‘হুজুর’ শব্দের শাব্দিক অর্থ হল, উপস্থিত হওয়া।
▪ “পরিভাষায় এটি সম্মানিত ব্যক্তিদের সম্মানসূচক সম্বোধনের জন্য ব্যবহার করা হয়।” (ফার্সী অভিধান গিয়াসুল লুগাত, পৃষ্ঠা/১৭৪)
▪ অনলাইন ভিত্তিক অভিধান ebanglalibrary.com এ বলা হয়: হুজুর [ hujura] বি. নৃপতি, বিচারপতি, মনিব প্রভৃতিকে সম্মানসূচক সম্বোধন।
▪ বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধানেও প্রায় একই কথা বলা হয়েছে।
▪ “পরিভাষায় এটি সম্মানিত ব্যক্তিদের সম্মানসূচক সম্বোধনের জন্য ব্যবহার করা হয়।” (ফার্সী অভিধান গিয়াসুল লুগাত, পৃষ্ঠা/১৭৪)
▪ অনলাইন ভিত্তিক অভিধান ebanglalibrary.com এ বলা হয়: হুজুর [ hujura] বি. নৃপতি, বিচারপতি, মনিব প্রভৃতিকে সম্মানসূচক সম্বোধন।
▪ বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধানেও প্রায় একই কথা বলা হয়েছে।
শিয়া সম্প্রদায় যে প্রতি বছর ১০ মুহররমে মাতম করে, তাজিয়া মিছিল করে, নিজেদের শরীরে আঘাত করে-এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই। এ কাজগুলো কি শরিয়ত সম্মত?
উত্তর:
৬১ হিজরির মুহররম মাসের দশ তারিখে হুসাইন বিন আলী রা. রাজনৈতিক কারণে ফিতনায় পতিত হয়ে ইরাকের কারবালার প্রান্তরে তৎকালীন মুসলিম জাহানের শাসনকর্তা ইয়াজিদ বিন মুআবিয়া এর সেনাবাহিনীর হাতে সপরিবারে নির্মমভাবে শাহাদাত বরণ করেছিলেন। তার প্রতি সমবেদনার বর্হি:প্রকাশ হিসেবে শিয়া সম্প্রদায় প্রতি বছর ১০ম মুহররমে নিজেদের শরীরকে আঘাতে আঘাতে রক্তাক্ত করে, মাথা মুণ্ডন করে, রাস্তায় রাস্তায় ‘হায় হুসাইন..হাই হুসাইন’ বলে কান্নাকাটি ও মাতম করে, কালো ব্যাচ ধারণ করে, তাজিয়া মিছিল বের করে।
ইসলামের দৃষ্টিতে এগুলো সব, বিদআত, জাহেলিয়াত পূর্ণ ও হারাম কাজ। নিম্নাক্ত আলোচনা থেকে তা প্রমাণিত হবে ইনশাআল্লাহ।
♻ মৃত্যুশোকে কান্নাকাটি করা, মাতম করা, শরীরে আঘাত করা ইত্যাদির বিধান কি?
মানুষ মারা গেলে নীরবে চোখের পানি ফেলা অথবা নিচু আওয়াজে ক্রন্দন করা বৈধ। রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ছেলে ইবরাহীম যখন মারা যায় তিনি তাকে কোলে নিয়ে ছিলেন। আর তার দুচোখ বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছিল। তাঁকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন:
تَدْمَعُ الْعَيْنُ وَيَحْزَنُ الْقَلْبُ وَلاَ نَقُولُ إِلاَّ مَا يَرْضَى رَبُّنَا وَاللَّهِ يَا إِبْرَاهِيمُ إِنَّا بِكَ لَمَحْزُونُونَ
“চক্ষু অশ্রু সজল হয়,অন্তর ব্যথিত হয়। তবে আমরা কেবল সে কথাই বলব যা আমাদের প্রভুকে সন্তুষ্ট করে। আল্লাহর কসম,হে ইবরাহীম,তোমার বিচ্ছেদে আমরা ব্যথিত।” [সহীহ বুখারী: অনুচ্ছেদ: সে আমাদের লোক নয় যে, গালে চপেটাঘাত করে। হাদিস নং ১২৯৭,মাকতাবা শামেলা]
উত্তর:
৬১ হিজরির মুহররম মাসের দশ তারিখে হুসাইন বিন আলী রা. রাজনৈতিক কারণে ফিতনায় পতিত হয়ে ইরাকের কারবালার প্রান্তরে তৎকালীন মুসলিম জাহানের শাসনকর্তা ইয়াজিদ বিন মুআবিয়া এর সেনাবাহিনীর হাতে সপরিবারে নির্মমভাবে শাহাদাত বরণ করেছিলেন। তার প্রতি সমবেদনার বর্হি:প্রকাশ হিসেবে শিয়া সম্প্রদায় প্রতি বছর ১০ম মুহররমে নিজেদের শরীরকে আঘাতে আঘাতে রক্তাক্ত করে, মাথা মুণ্ডন করে, রাস্তায় রাস্তায় ‘হায় হুসাইন..হাই হুসাইন’ বলে কান্নাকাটি ও মাতম করে, কালো ব্যাচ ধারণ করে, তাজিয়া মিছিল বের করে।
ইসলামের দৃষ্টিতে এগুলো সব, বিদআত, জাহেলিয়াত পূর্ণ ও হারাম কাজ। নিম্নাক্ত আলোচনা থেকে তা প্রমাণিত হবে ইনশাআল্লাহ।
♻ মৃত্যুশোকে কান্নাকাটি করা, মাতম করা, শরীরে আঘাত করা ইত্যাদির বিধান কি?
মানুষ মারা গেলে নীরবে চোখের পানি ফেলা অথবা নিচু আওয়াজে ক্রন্দন করা বৈধ। রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ছেলে ইবরাহীম যখন মারা যায় তিনি তাকে কোলে নিয়ে ছিলেন। আর তার দুচোখ বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছিল। তাঁকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন:
تَدْمَعُ الْعَيْنُ وَيَحْزَنُ الْقَلْبُ وَلاَ نَقُولُ إِلاَّ مَا يَرْضَى رَبُّنَا وَاللَّهِ يَا إِبْرَاهِيمُ إِنَّا بِكَ لَمَحْزُونُونَ
“চক্ষু অশ্রু সজল হয়,অন্তর ব্যথিত হয়। তবে আমরা কেবল সে কথাই বলব যা আমাদের প্রভুকে সন্তুষ্ট করে। আল্লাহর কসম,হে ইবরাহীম,তোমার বিচ্ছেদে আমরা ব্যথিত।” [সহীহ বুখারী: অনুচ্ছেদ: সে আমাদের লোক নয় যে, গালে চপেটাঘাত করে। হাদিস নং ১২৯৭,মাকতাবা শামেলা]
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বিভিন্ন স্মৃতিচিহ্ন (যেমন, মাথার চুল, জুতা, লাঠি, পাগড়ি ইত্যাদি) এবং আমাদের করণীয়:
▬▬▬◄❖►▬▬▬
প্রশ্ন: বিভিন্ন স্থানে এবং সামাজিক মিডিয়ায় অনেক মানুষ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর রেখে যাওয়া বিভিন্ন স্মৃতিচিহ্ন (যেমন: তাঁর জামা, জুতা, চুল, চাদর, তলোয়ার ইত্যাদি) প্রদর্শন করে চলেছে। সরলমনা মানুষ সেগুলো বিশ্বাস করছে এবং সেগুলোর প্রতি ভক্তি ও বিনয় প্রকাশ করছে।
এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে, আসলেই কি এগুলো রাসূল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ব্যবহৃত আসবাব-সমগ্রী?
উত্তর:
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাদিস গ্রহণ করার ক্ষেত্রে যেমন তা বিশুদ্ধ সনদে প্রমাণিত হওয়া জরুরি ঠিক তদ্রূপ তাঁর ব্যবহৃত পোশাক, জুতা, জামা, জুব্বা, চাদর, পাগড়ি, মাথার চুল, লাঠি, ঘটি-বাটি ও অন্যান্য ব্যবহৃত আসবাব-পত্র ইত্যাদির ক্ষেত্রেও তা বিশুদ্ধ সূত্রে প্রমাণিত হওয়া জরুরি। কিন্তু বাস্তবতা হল, বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে যে সব বস্তুকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দিকে সম্বন্ধ করা হচ্ছে সেগুলোর পেছনে বিশুদ্ধ কোন সনদ নেই যে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
▬▬▬◄❖►▬▬▬
প্রশ্ন: বিভিন্ন স্থানে এবং সামাজিক মিডিয়ায় অনেক মানুষ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর রেখে যাওয়া বিভিন্ন স্মৃতিচিহ্ন (যেমন: তাঁর জামা, জুতা, চুল, চাদর, তলোয়ার ইত্যাদি) প্রদর্শন করে চলেছে। সরলমনা মানুষ সেগুলো বিশ্বাস করছে এবং সেগুলোর প্রতি ভক্তি ও বিনয় প্রকাশ করছে।
এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে, আসলেই কি এগুলো রাসূল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ব্যবহৃত আসবাব-সমগ্রী?
উত্তর:
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাদিস গ্রহণ করার ক্ষেত্রে যেমন তা বিশুদ্ধ সনদে প্রমাণিত হওয়া জরুরি ঠিক তদ্রূপ তাঁর ব্যবহৃত পোশাক, জুতা, জামা, জুব্বা, চাদর, পাগড়ি, মাথার চুল, লাঠি, ঘটি-বাটি ও অন্যান্য ব্যবহৃত আসবাব-পত্র ইত্যাদির ক্ষেত্রেও তা বিশুদ্ধ সূত্রে প্রমাণিত হওয়া জরুরি। কিন্তু বাস্তবতা হল, বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে যে সব বস্তুকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দিকে সম্বন্ধ করা হচ্ছে সেগুলোর পেছনে বিশুদ্ধ কোন সনদ নেই যে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
আমি যদি এই দোআটি না পড়তাম তবে ইহুদীরা জাদু করে আমাকে গাধা বানিয়ে ফেলত”
▬▬▬◄❖►▬▬▬
প্রশ্ন: কা’ব বিন আহবার রহ. বলেছেন, “আমি যদি এই দোআটি না পড়তাম তবে ইহুদীরা তাদের জাদু দ্বারা আমাকে গাধা বানিয়ে ফেলত” এই হাদিসটা কি সহিহ?
উত্তর:
কাকা ইবনে হাকিম রহ. বলেন, কা’ব আল আহবার আমাকে বলেছেন, “একটি দোয়া যদি আমি না পড়তাম তাহলে ইহুদিরা আমাকে [জাদুর মাধ্যমে] গাধা বানিয়ে ফেলত।” তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, সেটি কোন দোয়া? তখন তিনি এ দোয়াটির কথা বললেন:
" أَعُوذُ بِوَجْهِ اللهِ الْعَظِيمِ الَّذِي لَيْسَ شَيْءٌ أَعْظَمَ مِنْهُ، وَبِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّاتِ الَّتِي لاَ يُجَاوِزُهُنَّ بَرٌّ وَلاَ فَاجِرٌ، وَبِأَسْمَاءِ اللهِ الْحُسْنَى كُلِّهَا، مَا عَلِمْتُ مِنْهَا وَمَا لَمْ أَعْلَمُ، مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ وَبَرَأَ وَذَرَأَ "
বাংলা উচ্চারণ :
আউযুবি ওয়াজহিল্লাযী লাইসা শাইয়ুন আ’যামা মিনহু
ওয়া বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতিল লাতি লা ইউজাভিযুহুন্না বাররুন ওয়া লা ফাজিরুন। ওয়াবি আসমা-ইল্লাহিল হুসনা কুল্লাহা মা আলিমতু মিনহা ওয়া মা লাম আ’লামু
মিন শাররি মা খলাকা ওয়া বারাআ ওয়া জারাআ।
বাংলা অর্থ :
▬▬▬◄❖►▬▬▬
প্রশ্ন: কা’ব বিন আহবার রহ. বলেছেন, “আমি যদি এই দোআটি না পড়তাম তবে ইহুদীরা তাদের জাদু দ্বারা আমাকে গাধা বানিয়ে ফেলত” এই হাদিসটা কি সহিহ?
উত্তর:
কাকা ইবনে হাকিম রহ. বলেন, কা’ব আল আহবার আমাকে বলেছেন, “একটি দোয়া যদি আমি না পড়তাম তাহলে ইহুদিরা আমাকে [জাদুর মাধ্যমে] গাধা বানিয়ে ফেলত।” তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, সেটি কোন দোয়া? তখন তিনি এ দোয়াটির কথা বললেন:
" أَعُوذُ بِوَجْهِ اللهِ الْعَظِيمِ الَّذِي لَيْسَ شَيْءٌ أَعْظَمَ مِنْهُ، وَبِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّاتِ الَّتِي لاَ يُجَاوِزُهُنَّ بَرٌّ وَلاَ فَاجِرٌ، وَبِأَسْمَاءِ اللهِ الْحُسْنَى كُلِّهَا، مَا عَلِمْتُ مِنْهَا وَمَا لَمْ أَعْلَمُ، مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ وَبَرَأَ وَذَرَأَ "
বাংলা উচ্চারণ :
আউযুবি ওয়াজহিল্লাযী লাইসা শাইয়ুন আ’যামা মিনহু
ওয়া বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতিল লাতি লা ইউজাভিযুহুন্না বাররুন ওয়া লা ফাজিরুন। ওয়াবি আসমা-ইল্লাহিল হুসনা কুল্লাহা মা আলিমতু মিনহা ওয়া মা লাম আ’লামু
মিন শাররি মা খলাকা ওয়া বারাআ ওয়া জারাআ।
" أَعُوذُ بِوَجْهِ اللهِ الْعَظِيمِ الَّذِي لَيْسَ شَيْءٌ أَعْظَمَ مِنْهُ، وَبِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّاتِ الَّتِي لاَ يُجَاوِزُهُنَّ بَرٌّ وَلاَ فَاجِرٌ، وَبِأَسْمَاءِ اللهِ الْحُسْنَى كُلِّهَا، مَا عَلِمْتُ مِنْهَا وَمَا لَمْ أَعْلَمُ، مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ وَبَرَأَ وَذَرَأَ "
বাংলা উচ্চারণ :
আউযুবি ওয়াজহিল্লাযী লাইসা শাইয়ুন আ’যামা মিনহু
ওয়া বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতিল লাতি লা ইউজাভিযুহুন্না বাররুন ওয়া লা ফাজিরুন। ওয়াবি আসমা-ইল্লাহিল হুসনা কুল্লাহা মা আলিমতু মিনহা ওয়া মা লাম আ’লামু
মিন শাররি মা খলাকা ওয়া বারাআ ওয়া জারাআ।
বাংলা অর্থ :
দেনমোহর ও কাবিননামা
➖➖➖➖➖➖➖➖
প্রশ্ন: আমি জানতে চাই কাবিননামা এবং দেনমোহর কি এক? যদি এক না হয় তাহলে পার্থক্য কি?
উত্তর: দেনমোহর এবং কাবিননামা সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিস। নিম্নে এ দুটি জিনিসের পরিচয় ও পার্থক্য প্রদান করা হল:
🔸 দেনমোহর কী?
মুসলিম আইন অনুযায়ী দেনমোহর হল বিয়ের অন্যতম শর্ত। এই শর্ত অনুযায়ী স্ত্রী স্বামীর নিকট থেকে বিয়ের সময় কিছু অর্থ বা সম্পত্তি পায় বা পাওয়ার অধিকার লাভ করে। দেনমোহর বিয়ের সময়ই ধার্য বা ঠিক করা হয়। এটি স্ত্রীর একটি বিশেষ অধিকার।
আল্লাহ কুরআনে বলেন:
وَآتُوا النِّسَاءَ صَدُقَاتِهِنَّ نِحْلَةً ۚ فَإِن طِبْنَ لَكُمْ عَن شَيْءٍ مِّنْهُ نَفْسًا فَكُلُوهُ هَنِيئًا مَّرِيئًا
“আর তোমরা স্ত্রীদেরকে তাদের মোহর দিয়ে দাও খুশী মনে। তারা যদি খুশী হয়ে তা থেকে অংশ ছেড়ে দেয়, তবে তা তোমরা স্বাচ্ছন্দ্যে ভোগ কর।” (সূরা নিসা: ৪)
🔸 কাবিননামা কী?
কাবিননামা বলতে বিবাহ সম্পাদনের লিখিত চুক্তি বোঝায়। একে নিকাহনামা বলেও উল্লেখ করা হয়।
বিবাহ সম্পাদনের জন্য বা বিবাহ বৈধ হওয়ার জন্য ‘কাবিননামা’ অপরিহার্য নয়। কাবিননামা একটি আইনি বাধ্যবাধকতা।
বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী সরকার কর্তৃক মনোনীত কাজী সরকার নির্ধারিত ছকে কাবিননামা সম্পাদন করে থাকেন। স্ত্রীর প্রাপ্য দেনমোহর আদায়, স্ত্রীর ভরণপোষণ, উত্তরাধিকার নির্ণয়, সন্তানের পিতৃত্ব ইত্যাদি ক্ষেত্রে যথাযথভাবে নিবন্ধিত কাবিননামা একটি আইনি দলিল। (বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় ই-তথ্যকোষ)
--------------------
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল মাদানি
জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব
➖➖➖➖➖➖➖➖
প্রশ্ন: আমি জানতে চাই কাবিননামা এবং দেনমোহর কি এক? যদি এক না হয় তাহলে পার্থক্য কি?
উত্তর: দেনমোহর এবং কাবিননামা সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিস। নিম্নে এ দুটি জিনিসের পরিচয় ও পার্থক্য প্রদান করা হল:
🔸 দেনমোহর কী?
মুসলিম আইন অনুযায়ী দেনমোহর হল বিয়ের অন্যতম শর্ত। এই শর্ত অনুযায়ী স্ত্রী স্বামীর নিকট থেকে বিয়ের সময় কিছু অর্থ বা সম্পত্তি পায় বা পাওয়ার অধিকার লাভ করে। দেনমোহর বিয়ের সময়ই ধার্য বা ঠিক করা হয়। এটি স্ত্রীর একটি বিশেষ অধিকার।
আল্লাহ কুরআনে বলেন:
وَآتُوا النِّسَاءَ صَدُقَاتِهِنَّ نِحْلَةً ۚ فَإِن طِبْنَ لَكُمْ عَن شَيْءٍ مِّنْهُ نَفْسًا فَكُلُوهُ هَنِيئًا مَّرِيئًا
“আর তোমরা স্ত্রীদেরকে তাদের মোহর দিয়ে দাও খুশী মনে। তারা যদি খুশী হয়ে তা থেকে অংশ ছেড়ে দেয়, তবে তা তোমরা স্বাচ্ছন্দ্যে ভোগ কর।” (সূরা নিসা: ৪)
🔸 কাবিননামা কী?
কাবিননামা বলতে বিবাহ সম্পাদনের লিখিত চুক্তি বোঝায়। একে নিকাহনামা বলেও উল্লেখ করা হয়।
বিবাহ সম্পাদনের জন্য বা বিবাহ বৈধ হওয়ার জন্য ‘কাবিননামা’ অপরিহার্য নয়। কাবিননামা একটি আইনি বাধ্যবাধকতা।
বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী সরকার কর্তৃক মনোনীত কাজী সরকার নির্ধারিত ছকে কাবিননামা সম্পাদন করে থাকেন। স্ত্রীর প্রাপ্য দেনমোহর আদায়, স্ত্রীর ভরণপোষণ, উত্তরাধিকার নির্ণয়, সন্তানের পিতৃত্ব ইত্যাদি ক্ষেত্রে যথাযথভাবে নিবন্ধিত কাবিননামা একটি আইনি দলিল। (বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় ই-তথ্যকোষ)
--------------------
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল মাদানি
জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব
বিয়েতে কাজি (ম্যারেজ রেজিস্ট্রার) এর উপস্থিতি কি জরুরি?
▬▬▬◄❖►▬▬▬
প্রশ্ন: আমি এক জায়াগায় পড়েছিলাম যে, “বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার ক্ষেত্রে কাজি উপস্থিত থাকা জরুরি নয়। তার কাজটা অন্য কেউ করলেও চলে।” এ কথাটা কি সঠিক?
উত্তর:
বিয়ে শুদ্ধ হওয়ার জন্য কাজি তথা ম্যারেজ রেজিস্ট্রার এর উপস্থিতি জরুরি নয়-এ কথা ঠিক। বরং বিয়ের ক্ষেত্রে মেয়ের অভিভাবকের সম্মতি, দেনমোহর নির্ধারণ ও দুজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে ইজাব-কবুল (প্রস্তাব ও গ্রহণ) এর মাধ্যমে আকদ সম্পন্ন হলেই বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাবে। ইসলামী শরিয়া মোতাবেক বিয়ে পড়ানোর যোগ্যতা সম্পন্ন যে কোনও মুসলিম তা করতে পারে।
তবে বর্তমান যুগে নানা অনিয়ম ও বিশৃঙ্খল রোধে কাজির মাধ্যমে সরকারীভাবে বিয়ে রেজিস্ট্রি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
উত্তর প্রদান:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
জুবাইল, সৌদি আরব
▬▬▬◄❖►▬▬▬
প্রশ্ন: আমি এক জায়াগায় পড়েছিলাম যে, “বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার ক্ষেত্রে কাজি উপস্থিত থাকা জরুরি নয়। তার কাজটা অন্য কেউ করলেও চলে।” এ কথাটা কি সঠিক?
উত্তর:
বিয়ে শুদ্ধ হওয়ার জন্য কাজি তথা ম্যারেজ রেজিস্ট্রার এর উপস্থিতি জরুরি নয়-এ কথা ঠিক। বরং বিয়ের ক্ষেত্রে মেয়ের অভিভাবকের সম্মতি, দেনমোহর নির্ধারণ ও দুজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে ইজাব-কবুল (প্রস্তাব ও গ্রহণ) এর মাধ্যমে আকদ সম্পন্ন হলেই বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাবে। ইসলামী শরিয়া মোতাবেক বিয়ে পড়ানোর যোগ্যতা সম্পন্ন যে কোনও মুসলিম তা করতে পারে।
তবে বর্তমান যুগে নানা অনিয়ম ও বিশৃঙ্খল রোধে কাজির মাধ্যমে সরকারীভাবে বিয়ে রেজিস্ট্রি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বিয়ে শুদ্ধ হওয়ার জন্য কাজি তথা ম্যারেজ রেজিস্ট্রার এর উপস্থিতি জরুরি নয়-এ কথা ঠিক। বরং বিয়ের ক্ষেত্রে মেয়ের অভিভাবকের সম্মতি, দেনমোহর নির্ধারণ ও দুজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে ইজাব-কবুল (প্রস্তাব ও গ্রহণ) এর মাধ্যমে আকদ সম্পন্ন হলেই বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাবে। ইসলামী শরিয়া মোতাবেক বিয়ে পড়ানোর যোগ্যতা সম্পন্ন যে কোনও মুসলিম তা করতে পারে।
তবে বর্তমান যুগে নানা অনিয়ম ও বিশৃঙ্খল রোধে কাজির মাধ্যমে সরকারীভাবে বিয়ে রেজিস্ট্রি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
উত্তর প্রদান:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
জুবাইল, সৌদি আরব
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
জুবাইল, সৌদি আরব
নির্যাতনে মৃত ব্যক্তির শহিদি মর্যাদা লাভ, অন্যায়ভাবে হত্যা করার ভয়াবহ পরিণতি এবং পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বপ্রথম হত্যাকাণ্ড
▬▬▬◄❖►▬▬▬
প্রশ্ন: কোনও ব্যক্তি যদি অন্যায়ভাবে জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত্যু বরণ করে তাহলে সে কি শহিদ হিসেবে গণ্য হবে? অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করার ভয়াবহতা কতটুকু? পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বপ্রথম কে হত্যাকাণ্ডের সূচনা করেছিলো এবং তার পরিণতি কী হবে?
উত্তর:
নিন্মে উপরোক্ত প্রশ্নসমূহের সংক্ষেপে উত্তর প্রদান করা হল: و بالله التوفيق
🌀 ক. কোনও ব্যক্তি যদি অন্যায়ভাবে জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত্যু বরণ করে তাহলে সে কি শহিদ হিসেবে গণ্য হবে?
হ্যাঁ, যে ব্যক্তি বিনা অপরাধে অন্যায়ভাবে নির্যাতিত অবস্থায় মৃত্যু বরণ করবে সে আখিরাতে আল্লাহর নিকট শহিদি মর্যাদা লাভ করবে। কেননা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে:
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رضي الله عنه قَالَ : صَعِدَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِلَى " أُحُدٍ " وَمَعَهُ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ فَرَجَفَ بِهِمْ ، فَضَرَبَهُ بِرِجْلِهِ ، قَالَ : (اثْبُتْ أُحُدُ ، فَمَا عَلَيْكَ إِلاَّ نَبِيٌّ ، أَوْ صِدِّيقٌ ، أَوْ شَهِيدَان- رواه البخاري
আনাস বিন মালিক রা. হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম আবু বকর রা. উমর রা. ও উসমান রা. সহকারে ওহুদ পাহাড়ে উঠলে তা প্রকম্পিত হয়ে উঠে। তখন তিনি পাহাড়ের গায়ে পদাঘাত করে বললেন:
“হে ওহুদ, তুমি স্থির হও। কারণ তোমার উপরে আছে একজন নবী, একজন সিদ্দীক এবং দু জন শহিদ।” (সহিহ বুখারী হা/ ৩৪৮৩)
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম আল্লাহর ওহির মারফতে অগ্রিম ভবিষ্যতবাণী করেছিলেন যে, সে দিন ওহুদ পাহাড়ে তাঁর সাথে থাকা তিন জন অতি সম্মানিত সাহাবীর মধ্যে দু জন শহিদ হবেন।
ইতিহাস সাক্ষী, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাাইহি ওয়া সালাম এর ভবিষ্যতবাণী সত্যে পরিণত হয়েছে।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম এর তিরোধানের পর মুসলিম জাহানের ২য় খলিফা উমর ইবনুল খাত্তাব রা. ফজর সালাতে ইমামতি করা অবস্থায় আবু লুলু নামক এক অগ্নিপূজক ঘাতক কর্তৃক পেছন থেকে অতর্কিত বর্শাঘাতে শাহাদাতের অমিয় সুধা পান করেন। আর ৩য় খলিফা উসমান বিন আফফান রা. তাঁর খিলাফতকালে একদল খারেজী বিদ্রোহী জঙ্গিদের হাতে মাজলুম অবস্থায় শাহাদত বরণ করেন। আল্লাহ তাআলা তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হোন। আমীন।
▬▬▬◄❖►▬▬▬
প্রশ্ন: কোনও ব্যক্তি যদি অন্যায়ভাবে জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত্যু বরণ করে তাহলে সে কি শহিদ হিসেবে গণ্য হবে? অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করার ভয়াবহতা কতটুকু? পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বপ্রথম কে হত্যাকাণ্ডের সূচনা করেছিলো এবং তার পরিণতি কী হবে?
উত্তর:
নিন্মে উপরোক্ত প্রশ্নসমূহের সংক্ষেপে উত্তর প্রদান করা হল: و بالله التوفيق
নিন্মে উপরোক্ত প্রশ্নসমূহের সংক্ষেপে উত্তর প্রদান করা হল: و بالله التوفيق
🌀 ক. কোনও ব্যক্তি যদি অন্যায়ভাবে জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত্যু বরণ করে তাহলে সে কি শহিদ হিসেবে গণ্য হবে?
হ্যাঁ, যে ব্যক্তি বিনা অপরাধে অন্যায়ভাবে নির্যাতিত অবস্থায় মৃত্যু বরণ করবে সে আখিরাতে আল্লাহর নিকট শহিদি মর্যাদা লাভ করবে। কেননা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে:
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رضي الله عنه قَالَ : صَعِدَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِلَى " أُحُدٍ " وَمَعَهُ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ فَرَجَفَ بِهِمْ ، فَضَرَبَهُ بِرِجْلِهِ ، قَالَ : (اثْبُتْ أُحُدُ ، فَمَا عَلَيْكَ إِلاَّ نَبِيٌّ ، أَوْ صِدِّيقٌ ، أَوْ شَهِيدَان- رواه البخاري
আনাস বিন মালিক রা. হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম আবু বকর রা. উমর রা. ও উসমান রা. সহকারে ওহুদ পাহাড়ে উঠলে তা প্রকম্পিত হয়ে উঠে। তখন তিনি পাহাড়ের গায়ে পদাঘাত করে বললেন:
“হে ওহুদ, তুমি স্থির হও। কারণ তোমার উপরে আছে একজন নবী, একজন সিদ্দীক এবং দু জন শহিদ।” (সহিহ বুখারী হা/ ৩৪৮৩)
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رضي الله عنه قَالَ : صَعِدَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِلَى " أُحُدٍ " وَمَعَهُ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ فَرَجَفَ بِهِمْ ، فَضَرَبَهُ بِرِجْلِهِ ، قَالَ : (اثْبُتْ أُحُدُ ، فَمَا عَلَيْكَ إِلاَّ نَبِيٌّ ، أَوْ صِدِّيقٌ ، أَوْ شَهِيدَان- رواه البخاري
আনাস বিন মালিক রা. হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম আবু বকর রা. উমর রা. ও উসমান রা. সহকারে ওহুদ পাহাড়ে উঠলে তা প্রকম্পিত হয়ে উঠে। তখন তিনি পাহাড়ের গায়ে পদাঘাত করে বললেন:
“হে ওহুদ, তুমি স্থির হও। কারণ তোমার উপরে আছে একজন নবী, একজন সিদ্দীক এবং দু জন শহিদ।” (সহিহ বুখারী হা/ ৩৪৮৩)
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম আল্লাহর ওহির মারফতে অগ্রিম ভবিষ্যতবাণী করেছিলেন যে, সে দিন ওহুদ পাহাড়ে তাঁর সাথে থাকা তিন জন অতি সম্মানিত সাহাবীর মধ্যে দু জন শহিদ হবেন।
ইতিহাস সাক্ষী, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাাইহি ওয়া সালাম এর ভবিষ্যতবাণী সত্যে পরিণত হয়েছে।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম এর তিরোধানের পর মুসলিম জাহানের ২য় খলিফা উমর ইবনুল খাত্তাব রা. ফজর সালাতে ইমামতি করা অবস্থায় আবু লুলু নামক এক অগ্নিপূজক ঘাতক কর্তৃক পেছন থেকে অতর্কিত বর্শাঘাতে শাহাদাতের অমিয় সুধা পান করেন। আর ৩য় খলিফা উসমান বিন আফফান রা. তাঁর খিলাফতকালে একদল খারেজী বিদ্রোহী জঙ্গিদের হাতে মাজলুম অবস্থায় শাহাদত বরণ করেন। আল্লাহ তাআলা তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হোন। আমীন।
ইতিহাস সাক্ষী, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাাইহি ওয়া সালাম এর ভবিষ্যতবাণী সত্যে পরিণত হয়েছে।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম এর তিরোধানের পর মুসলিম জাহানের ২য় খলিফা উমর ইবনুল খাত্তাব রা. ফজর সালাতে ইমামতি করা অবস্থায় আবু লুলু নামক এক অগ্নিপূজক ঘাতক কর্তৃক পেছন থেকে অতর্কিত বর্শাঘাতে শাহাদাতের অমিয় সুধা পান করেন। আর ৩য় খলিফা উসমান বিন আফফান রা. তাঁর খিলাফতকালে একদল খারেজী বিদ্রোহী জঙ্গিদের হাতে মাজলুম অবস্থায় শাহাদত বরণ করেন। আল্লাহ তাআলা তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হোন। আমীন।
জিন ও শয়তান: পরিচয়, প্রকারভেদ ও পার্থক্য
▬▬▬ ◈◉◈▬▬▬
প্রশ্ন: জিন ও শয়তান কি একই না কি তাদের মাঝে পার্থক্য আছে?
উত্তর:
নিন্মে কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে শয়তানের পরিচয়, প্রকারভেদ এবং জিন ও শয়তানের মাঝে পার্থক্য তুলে ধরা হল:
🌀 শয়তান কাকে বলে?
শয়তান বলতে কী বুঝায় সে ব্যাপারে আলেমদের বক্তব্য তুলে ধরা হল:
◈ বিশিষ্ট ভাষাবিদ, ফিকাহ বিদ ও হাদিস বিদ আবু উবাইদ কাসেম বিন সাল্লাম [জন্ম: ১৫৭ হি:-২২৪ হি:] বলেন:
الشيطان كل عات متمرد من إنس, أو جن
“প্রত্যেক অবাধ্য ও সীমালঙ্ঘণকারীকে শয়তান বলা হয়।” (বাহরুল উলুম লিস সামারকান্দি ১/২৭৭)
◈ আবু বকর মুহাম্মদ বিন ইসহাক [জন্ম ৮৫ হি:-মৃত্যু: ১৫১ হি;] বলেন:
إنما سمي شيطاناً لأنه شطن عن أمر ربه، والشطون البعيد النازح
“শয়তানকে এই জন্যই শয়তান বলা হয় যে, সে আল্লাহর নির্দেশ পালন থেকে দূরে থাকে। কেননা আরবিতে الشطون-শাতূন শব্দের অর্থ হল, দূরে অবস্থানকারী ও পলাতক।” [আয যীনাহ ফিল কালিমাতুল ইসলামিয়্যাতিল আরাবিয়াহ ২/১৭৯]
◈ কোন কোনো আলেম বলেন: যে নিজে আল্লাহর অবাধ্যতা করে এবং নানা অন্যায়-অপকর্মে লিপ্ত থাকার পাশাপাশি অন্যকে আল্লাহর আনুগত্য করতে বাধা দেয় এবং দ্বীন ও কল্যাণের পথ থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করে তাকেই ইসলামের পরিভাষায় শয়তান বলা হয়-চাই সে জিনের মধ্য থেকে হোক অথবা মানুষের মধ্য থেকে হোক।
🌀 শয়তান দু প্রকার। যথা:
▬▬▬ ◈◉◈▬▬▬
প্রশ্ন: জিন ও শয়তান কি একই না কি তাদের মাঝে পার্থক্য আছে?
উত্তর:
নিন্মে কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে শয়তানের পরিচয়, প্রকারভেদ এবং জিন ও শয়তানের মাঝে পার্থক্য তুলে ধরা হল:
🌀 শয়তান কাকে বলে?
শয়তান বলতে কী বুঝায় সে ব্যাপারে আলেমদের বক্তব্য তুলে ধরা হল:
◈ বিশিষ্ট ভাষাবিদ, ফিকাহ বিদ ও হাদিস বিদ আবু উবাইদ কাসেম বিন সাল্লাম [জন্ম: ১৫৭ হি:-২২৪ হি:] বলেন:
الشيطان كل عات متمرد من إنس, أو جن
“প্রত্যেক অবাধ্য ও সীমালঙ্ঘণকারীকে শয়তান বলা হয়।” (বাহরুল উলুম লিস সামারকান্দি ১/২৭৭)
◈ আবু বকর মুহাম্মদ বিন ইসহাক [জন্ম ৮৫ হি:-মৃত্যু: ১৫১ হি;] বলেন:
إنما سمي شيطاناً لأنه شطن عن أمر ربه، والشطون البعيد النازح
“শয়তানকে এই জন্যই শয়তান বলা হয় যে, সে আল্লাহর নির্দেশ পালন থেকে দূরে থাকে। কেননা আরবিতে الشطون-শাতূন শব্দের অর্থ হল, দূরে অবস্থানকারী ও পলাতক।” [আয যীনাহ ফিল কালিমাতুল ইসলামিয়্যাতিল আরাবিয়াহ ২/১৭৯]
◈ বিশিষ্ট ভাষাবিদ, ফিকাহ বিদ ও হাদিস বিদ আবু উবাইদ কাসেম বিন সাল্লাম [জন্ম: ১৫৭ হি:-২২৪ হি:] বলেন:
الشيطان كل عات متمرد من إنس, أو جن
“প্রত্যেক অবাধ্য ও সীমালঙ্ঘণকারীকে শয়তান বলা হয়।” (বাহরুল উলুম লিস সামারকান্দি ১/২৭৭)
◈ আবু বকর মুহাম্মদ বিন ইসহাক [জন্ম ৮৫ হি:-মৃত্যু: ১৫১ হি;] বলেন:
إنما سمي شيطاناً لأنه شطن عن أمر ربه، والشطون البعيد النازح
“শয়তানকে এই জন্যই শয়তান বলা হয় যে, সে আল্লাহর নির্দেশ পালন থেকে দূরে থাকে। কেননা আরবিতে الشطون-শাতূন শব্দের অর্থ হল, দূরে অবস্থানকারী ও পলাতক।” [আয যীনাহ ফিল কালিমাতুল ইসলামিয়্যাতিল আরাবিয়াহ ২/১৭৯]
◈ কোন কোনো আলেম বলেন: যে নিজে আল্লাহর অবাধ্যতা করে এবং নানা অন্যায়-অপকর্মে লিপ্ত থাকার পাশাপাশি অন্যকে আল্লাহর আনুগত্য করতে বাধা দেয় এবং দ্বীন ও কল্যাণের পথ থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করে তাকেই ইসলামের পরিভাষায় শয়তান বলা হয়-চাই সে জিনের মধ্য থেকে হোক অথবা মানুষের মধ্য থেকে হোক।
🌀 শয়তান দু প্রকার। যথা:
হিজড়াদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব-কর্তব্য এবং তাদের পক্ষ থেকে অন্যায় আচরণের শিকার হলে করণীয়
▬▬▬ ◈◉◈▬▬▬
প্রশ্ন: বর্তমানে আমাদের দেশে বিপুল পরিমাণ হিজড়া দেখা যায়। এরা ট্রেনে চলাচলের সময় যাত্রীদের বিভিন্ন ভাবে সমস্যা করে থাকে এবং অনেক সময় শরীরেও হাত দিয়ে দেয়। এর জন্য কী আমাদের গুনাহ হবে? এদের কবল থেকে কীভাবে নিজেকে রক্ষা করব?
হিজড়াদের প্রতি আমাদের কী দায়িত্ব-কতর্ব্য আছে দয়া করে জানাবেন।
উত্তর:
মনে রাখতে হবে, হিজড়ারা আর দশজন মানুষের মতই মানুষ-আশরাফুল মাখলুকাত-সৃষ্টির সেরা জীব। তারাও আল্লাহ ও রাসূলের প্রতি ঈমান, সৎকর্ম, ইবাদত-বন্দেগি ও হালাল-হারাম মেনে চলার ক্ষেত্রে আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্দেশপ্রাপ্ত। কারণ আল্লাহ তাদেরকে বিবেক-বুদ্ধি দিয়েছেন। তারা আল্লাহর বিধান পালন করলে যেভাবে সওয়াব অর্জন করবে তেমনি আল্লাহর বিধান লঙ্ঘন করলে গুনাহগার হবে।
অত:এব তারা যদি কারো উপর জুলুম-অবিচার করে বা কারো সাথে অন্যায় আচরণ করে তাহলে তাদেরকে আখিরাতে আল্লাহর কাঠগড়ায় বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। (আল্লাহ ক্ষমা করুন। আমীন)
🌀 হিজড়া এবং আমাদের সামাজিক বাস্তবতা:
দুর্ভাগ্য হলেও সত্য যে, আমাদের সমাজে হিজড়ারা মারাত্মক অবহেলা, অনাদর ও বৈষম্যের শিকার। তারা অনেক ক্ষেত্রে সঠিকভাবে জ্ঞানার্জন ও পড়ালেখার সুযোগ পায় না। ইসলাম শিক্ষার সুযোগ পায় না। সামাজিক মর্যাদা পায় না। মানুষ তাদেরকে ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখার কারণে তারা মনে কষ্ট পায়। মানুষের আচার-আচরণে বৈষম্যের শিকার হয়। এ সব কারণে তারা তারা পরিবার ও সমাজ থেকে দূরে সরে যায়। ফলশ্রুতিতে একশ্রেণীর স্বার্থান্বেষী মানুষে তাদেরকে একত্রিত করে সমাজে তাদের মাধ্যমে নানা অপরাধ মূলক কার্যক্রম করে থাকে।
🌀 হিজড়াদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য:
তারা ইসলামের দাওয়াত পাওয়ার হকদার। তাদের মধ্যে বিপথগামীদেরকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতে হবে। সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। তাদেরকে সামাজিক মর্যাদা দিয়ে সমাজে অন্যান্য মানুষের মতই সুন্দরভাবে জীবনযাপনের সুযোগ দিতে হবে। কোনোভাবেই তাদের প্রতিপন্ন করা যাবে না। সর্বোপরি হিজড়াদের প্রতি সর্বস্তরের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।
যা হোক, রাস্তা-ঘাট, বাস, ট্রেন, লঞ্চ ইত্যাদিতে চলার সময় কখনো যদি তাদের পক্ষ থেকে অনাকাঙ্খীতভাবে খারাপ আচরণের সম্মুখীন হতে হয় তাহলে যথাসাধ্য প্রতিবাদ করতে হবে, তা সম্ভব না হলে সাধ্যানুযায়ী নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টা করতে হবে তৎসঙ্গে সম্ভব হলে পুলিশ-প্রশাসনের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সব ধরণের খারাপি ও অকল্যাণ থেকে হেফাজত করুন। আমীন
http://bit.ly/2lQBoOQ
আরও পড়ুন:
👇👇👇
- ইসলামের দৃষ্টিতে হিজড়াদের সাথে মেলামেশা, লেনদেন, খাওয়া-দাওয়া ইত্যাদির বিধান
http://bit.ly/2kgnrt2
- হিজড়াদের অশালীন আচরণের ক্ষেত্রে করণীয় এবং তাদেরকে দান করার বিধান
http://bit.ly/2kLrlKM
▬▬▬ ◈◉◈▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদি আরব
▬▬▬ ◈◉◈▬▬▬
প্রশ্ন: বর্তমানে আমাদের দেশে বিপুল পরিমাণ হিজড়া দেখা যায়। এরা ট্রেনে চলাচলের সময় যাত্রীদের বিভিন্ন ভাবে সমস্যা করে থাকে এবং অনেক সময় শরীরেও হাত দিয়ে দেয়। এর জন্য কী আমাদের গুনাহ হবে? এদের কবল থেকে কীভাবে নিজেকে রক্ষা করব?
হিজড়াদের প্রতি আমাদের কী দায়িত্ব-কতর্ব্য আছে দয়া করে জানাবেন।
উত্তর:
মনে রাখতে হবে, হিজড়ারা আর দশজন মানুষের মতই মানুষ-আশরাফুল মাখলুকাত-সৃষ্টির সেরা জীব। তারাও আল্লাহ ও রাসূলের প্রতি ঈমান, সৎকর্ম, ইবাদত-বন্দেগি ও হালাল-হারাম মেনে চলার ক্ষেত্রে আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্দেশপ্রাপ্ত। কারণ আল্লাহ তাদেরকে বিবেক-বুদ্ধি দিয়েছেন। তারা আল্লাহর বিধান পালন করলে যেভাবে সওয়াব অর্জন করবে তেমনি আল্লাহর বিধান লঙ্ঘন করলে গুনাহগার হবে।
অত:এব তারা যদি কারো উপর জুলুম-অবিচার করে বা কারো সাথে অন্যায় আচরণ করে তাহলে তাদেরকে আখিরাতে আল্লাহর কাঠগড়ায় বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। (আল্লাহ ক্ষমা করুন। আমীন)
মনে রাখতে হবে, হিজড়ারা আর দশজন মানুষের মতই মানুষ-আশরাফুল মাখলুকাত-সৃষ্টির সেরা জীব। তারাও আল্লাহ ও রাসূলের প্রতি ঈমান, সৎকর্ম, ইবাদত-বন্দেগি ও হালাল-হারাম মেনে চলার ক্ষেত্রে আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্দেশপ্রাপ্ত। কারণ আল্লাহ তাদেরকে বিবেক-বুদ্ধি দিয়েছেন। তারা আল্লাহর বিধান পালন করলে যেভাবে সওয়াব অর্জন করবে তেমনি আল্লাহর বিধান লঙ্ঘন করলে গুনাহগার হবে।
অত:এব তারা যদি কারো উপর জুলুম-অবিচার করে বা কারো সাথে অন্যায় আচরণ করে তাহলে তাদেরকে আখিরাতে আল্লাহর কাঠগড়ায় বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। (আল্লাহ ক্ষমা করুন। আমীন)
🌀 হিজড়া এবং আমাদের সামাজিক বাস্তবতা:
দুর্ভাগ্য হলেও সত্য যে, আমাদের সমাজে হিজড়ারা মারাত্মক অবহেলা, অনাদর ও বৈষম্যের শিকার। তারা অনেক ক্ষেত্রে সঠিকভাবে জ্ঞানার্জন ও পড়ালেখার সুযোগ পায় না। ইসলাম শিক্ষার সুযোগ পায় না। সামাজিক মর্যাদা পায় না। মানুষ তাদেরকে ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখার কারণে তারা মনে কষ্ট পায়। মানুষের আচার-আচরণে বৈষম্যের শিকার হয়। এ সব কারণে তারা তারা পরিবার ও সমাজ থেকে দূরে সরে যায়। ফলশ্রুতিতে একশ্রেণীর স্বার্থান্বেষী মানুষে তাদেরকে একত্রিত করে সমাজে তাদের মাধ্যমে নানা অপরাধ মূলক কার্যক্রম করে থাকে।
🌀 হিজড়াদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য:
তারা ইসলামের দাওয়াত পাওয়ার হকদার। তাদের মধ্যে বিপথগামীদেরকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতে হবে। সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। তাদেরকে সামাজিক মর্যাদা দিয়ে সমাজে অন্যান্য মানুষের মতই সুন্দরভাবে জীবনযাপনের সুযোগ দিতে হবে। কোনোভাবেই তাদের প্রতিপন্ন করা যাবে না। সর্বোপরি হিজড়াদের প্রতি সর্বস্তরের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।
যা হোক, রাস্তা-ঘাট, বাস, ট্রেন, লঞ্চ ইত্যাদিতে চলার সময় কখনো যদি তাদের পক্ষ থেকে অনাকাঙ্খীতভাবে খারাপ আচরণের সম্মুখীন হতে হয় তাহলে যথাসাধ্য প্রতিবাদ করতে হবে, তা সম্ভব না হলে সাধ্যানুযায়ী নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টা করতে হবে তৎসঙ্গে সম্ভব হলে পুলিশ-প্রশাসনের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সব ধরণের খারাপি ও অকল্যাণ থেকে হেফাজত করুন। আমীন
http://bit.ly/2lQBoOQ
আরও পড়ুন:
👇👇👇
- ইসলামের দৃষ্টিতে হিজড়াদের সাথে মেলামেশা, লেনদেন, খাওয়া-দাওয়া ইত্যাদির বিধান
http://bit.ly/2kgnrt2
- হিজড়াদের অশালীন আচরণের ক্ষেত্রে করণীয় এবং তাদেরকে দান করার বিধান
http://bit.ly/2kLrlKM
▬▬▬ ◈◉◈▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদি আরব
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সব ধরণের খারাপি ও অকল্যাণ থেকে হেফাজত করুন। আমীন
http://bit.ly/2lQBoOQ
আরও পড়ুন:
👇👇👇
- ইসলামের দৃষ্টিতে হিজড়াদের সাথে মেলামেশা, লেনদেন, খাওয়া-দাওয়া ইত্যাদির বিধান
http://bit.ly/2kgnrt2
- হিজড়াদের অশালীন আচরণের ক্ষেত্রে করণীয় এবং তাদেরকে দান করার বিধান
http://bit.ly/2kLrlKM
▬▬▬ ◈◉◈▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদি আরব
হঠাৎ মৃত্যু: ভালো না কি খারাপ?
▬▬▬◄◉►▬▬▬
প্রশ্ন: একজন মুসলিমের জন্য হঠাৎ মৃত্যু ভালো না কি খারাপ?
উত্তর:
হঠাৎ মৃত্যু ভালো ও মন্দ উভয়টাই হতে পারে। তা নির্ভর করছে ব্যক্তির অবস্থার উপরে।
➤ সে যদি দ্বীনদার, সৎকর্মশীল ও তাকওয়াবান হয় তাহলে যে অবস্থায়ই মৃত্যু হোক না এটি তার জন্য কল্যাণকর। বরং হঠাৎ মৃত্যু (যেমন: দুর্ঘটনা বশত: মৃত্যু) তার জন্য আল্লাহর বিশেষ রহমত। কারণ এতে তাকে মৃত্যুর যন্ত্রণা ও কষ্ট পোহাতে হল না, রোগ-ব্যাধিতে পড়ে বিছানায় কাতরাতে হল না, অবস্থা নাজেহাল হল না, কারো প্রতি মুখাপেক্ষী হওয়ার প্রয়োজন হল না। এতে আল্লাহর কাছে তার মর্যাদা বৃদ্ধি পায়, গুনাহ মোচন হয় এবং দুনিয়ার সকল কষ্ট-ক্লেশকে বিদায় জানিয়ে সে রবের সন্তুষ্টি ও জান্নাতের দিকে এগিয়ে যায়। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে:
الْعَبْدُ الْمُؤْمِنُ يَسْتَرِيحُ مِنْ نَصَبِ الدُّنْيَا وَأَذَاهَا،
“মুমিন ব্যক্তি যখন মৃত্যুবরণ করে এখন সে দুনিয়ার দুঃখ-কষ্ট থেকে নিষ্কৃতি পায়।” (সুনানে নাসাঈ, অধ্যায়: জানাযা, অনুচ্ছেদ: মৃত্যুতে মুমিনের নিষ্কৃতি প্রাপ্তি. হা/১৯৩০-সহিহ)
➤ পক্ষান্তরে সে যদি আল্লাহর নাফরমান ও পাপিষ্ঠ হয় তাহলে যে অবস্থায় মৃত্যু হোক কেন তা তার জন্য মহা বিপদের কারণ। বিশেষ করে হঠাৎ মৃত্যুর কারণে সে পাপাচার থেকে তওবা করার সুযোগ পেলো না, নিজের অবস্থা সংশোধন করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হল, মানুষের কাছে ক্ষমা চাইতে পারলো না এবং এর মাধ্যমে আল্লাহর ক্রোধ ও আযাবের দিকে ধাবিত হল।
আয়েশা রা. ও আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রা. হতে বর্ণিত আছে তারা বলেন:
أسف على الفاجر وراحة للمؤمن
“(হঠাৎ মৃত্যু) পাপীর জন্য আফসোস আর মুমিনের জন্য নিষ্কৃতির কারণ।” (মুসাননাফে ইবনে আবি শায়বা ৩/৩৭০ ও বায়হাকী ৩/৩৭৯)
উল্লেখ্য যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হঠাৎ মৃত্যু থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতেন মর্মে বর্ণিত হাদিসের সনদ সহিহ নয়।
ফিরোযাবাদি রহ. বলেন: “এ বিষয়ে কোন সহিহ হাদিস নেই।” (সাফারুস সাআদাহ, পৃষ্ঠা নং ৩৫৩)
উল্লেখ্য যে, হঠাৎ মৃত্যু কিয়ামতের একটি আলামত। যেমন: হাদিসে বর্ণিত হয়েছে:
حديث أنس بن مالك رضي الله عنه أن النبي -صلى الله عليه وسلم- قال : (إن من أمارات الساعة أن يظهر موت الفجأة)، رواه الطبراني وحسّنه الألباني.
আনাস বিন মালিক রা. হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
“কিয়ামতের একটি আলামত হল, ‘হঠাৎ মৃত্যু’ প্রকাশ পাওয়া।” (ত্বাবারানী, শাইখ আলবানী হাদিসটিকে হাসান বলেছেন) আ্ল্লাহু আলাম।
পরিশেষে আল্লাহর নিকট দুআ করি, তিনি যেন, আমাদেরকে এমন ঈমান ও আমলের উপর মৃত্যু দান করেন যা দ্বারা আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি ও ক্ষমা অর্জন করতে পারি। নিশ্চয় তিনি পরম করুণাময় ও অতিশয় ক্ষমাশীল।
▬▬▬◄◉►▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
জুবাইল, সৌদি আরব
▬▬▬◄◉►▬▬▬
প্রশ্ন: একজন মুসলিমের জন্য হঠাৎ মৃত্যু ভালো না কি খারাপ?
উত্তর:
হঠাৎ মৃত্যু ভালো ও মন্দ উভয়টাই হতে পারে। তা নির্ভর করছে ব্যক্তির অবস্থার উপরে।
হঠাৎ মৃত্যু ভালো ও মন্দ উভয়টাই হতে পারে। তা নির্ভর করছে ব্যক্তির অবস্থার উপরে।
➤ সে যদি দ্বীনদার, সৎকর্মশীল ও তাকওয়াবান হয় তাহলে যে অবস্থায়ই মৃত্যু হোক না এটি তার জন্য কল্যাণকর। বরং হঠাৎ মৃত্যু (যেমন: দুর্ঘটনা বশত: মৃত্যু) তার জন্য আল্লাহর বিশেষ রহমত। কারণ এতে তাকে মৃত্যুর যন্ত্রণা ও কষ্ট পোহাতে হল না, রোগ-ব্যাধিতে পড়ে বিছানায় কাতরাতে হল না, অবস্থা নাজেহাল হল না, কারো প্রতি মুখাপেক্ষী হওয়ার প্রয়োজন হল না। এতে আল্লাহর কাছে তার মর্যাদা বৃদ্ধি পায়, গুনাহ মোচন হয় এবং দুনিয়ার সকল কষ্ট-ক্লেশকে বিদায় জানিয়ে সে রবের সন্তুষ্টি ও জান্নাতের দিকে এগিয়ে যায়। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে:
الْعَبْدُ الْمُؤْمِنُ يَسْتَرِيحُ مِنْ نَصَبِ الدُّنْيَا وَأَذَاهَا،
“মুমিন ব্যক্তি যখন মৃত্যুবরণ করে এখন সে দুনিয়ার দুঃখ-কষ্ট থেকে নিষ্কৃতি পায়।” (সুনানে নাসাঈ, অধ্যায়: জানাযা, অনুচ্ছেদ: মৃত্যুতে মুমিনের নিষ্কৃতি প্রাপ্তি. হা/১৯৩০-সহিহ)
الْعَبْدُ الْمُؤْمِنُ يَسْتَرِيحُ مِنْ نَصَبِ الدُّنْيَا وَأَذَاهَا،
“মুমিন ব্যক্তি যখন মৃত্যুবরণ করে এখন সে দুনিয়ার দুঃখ-কষ্ট থেকে নিষ্কৃতি পায়।” (সুনানে নাসাঈ, অধ্যায়: জানাযা, অনুচ্ছেদ: মৃত্যুতে মুমিনের নিষ্কৃতি প্রাপ্তি. হা/১৯৩০-সহিহ)
➤ পক্ষান্তরে সে যদি আল্লাহর নাফরমান ও পাপিষ্ঠ হয় তাহলে যে অবস্থায় মৃত্যু হোক কেন তা তার জন্য মহা বিপদের কারণ। বিশেষ করে হঠাৎ মৃত্যুর কারণে সে পাপাচার থেকে তওবা করার সুযোগ পেলো না, নিজের অবস্থা সংশোধন করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হল, মানুষের কাছে ক্ষমা চাইতে পারলো না এবং এর মাধ্যমে আল্লাহর ক্রোধ ও আযাবের দিকে ধাবিত হল।
আয়েশা রা. ও আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রা. হতে বর্ণিত আছে তারা বলেন:
أسف على الفاجر وراحة للمؤمن
“(হঠাৎ মৃত্যু) পাপীর জন্য আফসোস আর মুমিনের জন্য নিষ্কৃতির কারণ।” (মুসাননাফে ইবনে আবি শায়বা ৩/৩৭০ ও বায়হাকী ৩/৩৭৯)
أسف على الفاجر وراحة للمؤمن
“(হঠাৎ মৃত্যু) পাপীর জন্য আফসোস আর মুমিনের জন্য নিষ্কৃতির কারণ।” (মুসাননাফে ইবনে আবি শায়বা ৩/৩৭০ ও বায়হাকী ৩/৩৭৯)
উল্লেখ্য যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হঠাৎ মৃত্যু থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতেন মর্মে বর্ণিত হাদিসের সনদ সহিহ নয়।
ফিরোযাবাদি রহ. বলেন: “এ বিষয়ে কোন সহিহ হাদিস নেই।” (সাফারুস সাআদাহ, পৃষ্ঠা নং ৩৫৩)
উল্লেখ্য যে, হঠাৎ মৃত্যু কিয়ামতের একটি আলামত। যেমন: হাদিসে বর্ণিত হয়েছে:
حديث أنس بن مالك رضي الله عنه أن النبي -صلى الله عليه وسلم- قال : (إن من أمارات الساعة أن يظهر موت الفجأة)، رواه الطبراني وحسّنه الألباني.
আনাস বিন মালিক রা. হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
“কিয়ামতের একটি আলামত হল, ‘হঠাৎ মৃত্যু’ প্রকাশ পাওয়া।” (ত্বাবারানী, শাইখ আলবানী হাদিসটিকে হাসান বলেছেন) আ্ল্লাহু আলাম।
حديث أنس بن مالك رضي الله عنه أن النبي -صلى الله عليه وسلم- قال : (إن من أمارات الساعة أن يظهر موت الفجأة)، رواه الطبراني وحسّنه الألباني.
আনাস বিন মালিক রা. হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
“কিয়ামতের একটি আলামত হল, ‘হঠাৎ মৃত্যু’ প্রকাশ পাওয়া।” (ত্বাবারানী, শাইখ আলবানী হাদিসটিকে হাসান বলেছেন) আ্ল্লাহু আলাম।
পরিশেষে আল্লাহর নিকট দুআ করি, তিনি যেন, আমাদেরকে এমন ঈমান ও আমলের উপর মৃত্যু দান করেন যা দ্বারা আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি ও ক্ষমা অর্জন করতে পারি। নিশ্চয় তিনি পরম করুণাময় ও অতিশয় ক্ষমাশীল।
▬▬▬◄◉►▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
জুবাইল, সৌদি আরব
▬▬▬◄◉►▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
জুবাইল, সৌদি আরব
SATURDAY, 11 MAY 2019
রোযাকে রোযা বলা যাবে, না সাউম বা সিয়াম বলতে হবে?
শরিয়ার পারিভাষাগুলি দুটি অর্থ বহন করেঃ
যেমন শারঈ শব্দ [সাউম] বহু বচনে সিয়াম। স্বালাত বহু বচনে স্বালাওয়াত। সাউম ও স্বালাত যেহেতু আরবী ভাষার শব্দ তাই আরবী ভাষাতেও তার নিজস্ব একটি অর্থ রয়েছে। সাউমের আরবী আভিধানিক অর্থ হচ্ছে বিরত থাকা আর স্বালাতের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে দুআ। আর এসবের একটি শারঈ অর্থও রয়েছে কারণ এই পরিভাষাগুলি শা‘রে বা বিধানদাতার পক্ষ্য থেকে অবতীর্ণ। এখন জানা দরকার এই সব শারঈ শব্দগুলির কোন্ অর্থটি গ্রহণীয় আভিধানিকটি না শারঈটি?
শারঈ অর্থকে অন্য শব্দে পারিভাষিক অর্থও বলা হয়। আমাদের অবশ্যই জানা দরকার শরিয়ার শব্দগুলির শারঈ অর্থই গ্রহণীয়। তাই সাউমের অর্থ শুধু বিরত থাকা করলে গ্রহনীয় নয় আর না স্বালাতের অর্থ দুআ করলে গ্রহনীয়। যদি হত, তাহলে কেউ যে কিছু থেকে বিরত থাকলেই তাকে সাউম পালনকারী বলা যেত। অনুরূপ কেউ দুআ করলেই তাকে স্বালাত আদায়কারী বলা যেত। কিন্তু এই রকম কোন কিছু থেকে বিরত থাকলেই তাকে সাউম আদায়কারী বলা যায় না। বরং শরীয়ার দৃষ্টিতে যে, ফজর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত যাবতীয় পানাহার ও যৌন সঙ্গম থেকে বিরত থাকে ইবাদতের উদ্দেশ্যে তাকেই সাউম পালনকারী বলা হয়।
উল্লেখ্য শারই শব্দগুলি যেমন স্বালাত, সাউম, যাকাত, হজ্জ ইত্যাদী যদি অন্য ভাষায় অন্য শব্দে ব্যবহৃত হয় এবং ঐ অর্থেই ব্যবহৃত হয় যেই অর্থে শরিয়ায় ব্যবহৃত হয়েছে, তাহলে তা বলা দুষনীয় নয়; বরং অনেক সময় দেশ ও ভাষার পার্থক্যের কারণে তাদের নিজের ভাষায় বলাই উচিৎ যেন তারা বুঝতে পারে। অর্থাৎ ধরূন কোন সমাজে স্বালাত শব্দটি প্রচলিত নয় বরং এর অর্থ নামায হিসাবে প্রচলিত এবং তারা নামায বললে ঐ অর্থই বুঝে যা সালাতের অর্থ তাহলে তা ব্যবহার করতে কোন অসুবিধা নেই।
উসূলে ফিকহে একটি মূলনীতি রয়েছে [আল্ ইবরাতু লিল্ মাআনী লা লিল্ আলফায ওয়াল্ মাবানী] অর্থাৎ শব্দ নয় বরং শব্দের উদ্দেশ্যই গৃহীত। তাই কেনা-বেচা ও বিবাহ শাদীর অধ্যায়ে এই মূলণীতির রয়েছে প্রচুর ব্যবহার। তন্মধ্যে উদাহারণ স্বরূপ যদি কেউ তার স্ত্রীকে তালাক দেয়ার সময় এমন শব্দ বলে যা তালাক নয় বরং ধরুন বললোঃ তুমি তোমার মায়ের বাড়ি চলে যাও। এখন এটি তালাক হবে কি না? শাইখুল ইসলাম সহ প্রায় অধিক উলামা বলেনঃ দেখতে হবে তার এই কথার মাধ্যমে উদ্দেশ্য কি ছিল? যদি সে তালাক উদ্দেশ্য করেছিল তাহলে তালাক ধরা হবে আর যদি সে অেন্য উদ্দেশ্যে বলে থাকে তাহলে তালাক ধরা হবে না।
তাই বলছিলাম শরিয়ার সাউম বা সিয়াম শব্দের বদলে কোনো দেশে বা সমাজে যদি কেউ তা রোযা বলে তাহলে জানতে হবে যে, সে রোযা বলতে ইসলামের রুকন রোযাকে বুঝাচ্ছে, না অন্য কোনো উপবাসকে? যদি ইসলামের সাউমকে বুঝায় তাহলে তা স্বীকৃত।
=একটু আগে এক মাননীয় আলেমের একটি ছোট ভিডিও ক্লিপ শুনলাম তাতে তিনি বারংবার বলছেন রোযা মানে উপবাস আর সিয়াম মানে বিরত থাকা মানুষ উপবাস থাকতে পারছে কিন্তু সিয়াম রাখতে পারছে না। তাঁর এই বক্তব্যে আসলে জনসাধারণ অনেকে বিভ্রান্ত হচ্ছে বা বলতে পারেন তাঁর শব্দের মায়াজালে অনেকে সংশয়ে রয়েছে যে, তাদের নাকি উপবাস রাখা হচ্ছে সিয়াম হচ্ছে না। অনেক অল্প জ্ঞানী যুবক বিষয়টি বড় করে দেখছে এবং প্রচারও করছে। এই কারণে আমি উপরোক্ত বিষয়টি লিখতে বাধ্য হলাম, যার সারাংশ হচ্ছে মানুষ রোযা বলুক আর সাউম-সিয়াম দুটির উদ্দেশ্য যদি একই হয় তাহলে পার্থক্য করার প্রয়োজন নেই আর না এমন ব্যাখার প্রয়োজন যার মাধ্যমে উপকারের থেকে অপকার বেশী বা বিভ্রান্তি বেশী। আল্লাহ তাঁকে ক্ষমা করুক এবং আমাদের আপনাদের সকলকে দ্বীনের সঠিক জ্ঞান অর্জন করার ও আমল করার তাওফীক দিক। আমীন।
— লিখেছেন শায়খ আব্দুর রাক্কিব বুখারি মাদানী হাফিযাহুল্লাহ।
শরিয়ার পারিভাষাগুলি দুটি অর্থ বহন করেঃ
যেমন শারঈ শব্দ [সাউম] বহু বচনে সিয়াম। স্বালাত বহু বচনে স্বালাওয়াত। সাউম ও স্বালাত যেহেতু আরবী ভাষার শব্দ তাই আরবী ভাষাতেও তার নিজস্ব একটি অর্থ রয়েছে। সাউমের আরবী আভিধানিক অর্থ হচ্ছে বিরত থাকা আর স্বালাতের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে দুআ। আর এসবের একটি শারঈ অর্থও রয়েছে কারণ এই পরিভাষাগুলি শা‘রে বা বিধানদাতার পক্ষ্য থেকে অবতীর্ণ। এখন জানা দরকার এই সব শারঈ শব্দগুলির কোন্ অর্থটি গ্রহণীয় আভিধানিকটি না শারঈটি?
শারঈ অর্থকে অন্য শব্দে পারিভাষিক অর্থও বলা হয়। আমাদের অবশ্যই জানা দরকার শরিয়ার শব্দগুলির শারঈ অর্থই গ্রহণীয়। তাই সাউমের অর্থ শুধু বিরত থাকা করলে গ্রহনীয় নয় আর না স্বালাতের অর্থ দুআ করলে গ্রহনীয়। যদি হত, তাহলে কেউ যে কিছু থেকে বিরত থাকলেই তাকে সাউম পালনকারী বলা যেত। অনুরূপ কেউ দুআ করলেই তাকে স্বালাত আদায়কারী বলা যেত। কিন্তু এই রকম কোন কিছু থেকে বিরত থাকলেই তাকে সাউম আদায়কারী বলা যায় না। বরং শরীয়ার দৃষ্টিতে যে, ফজর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত যাবতীয় পানাহার ও যৌন সঙ্গম থেকে বিরত থাকে ইবাদতের উদ্দেশ্যে তাকেই সাউম পালনকারী বলা হয়।
উল্লেখ্য শারই শব্দগুলি যেমন স্বালাত, সাউম, যাকাত, হজ্জ ইত্যাদী যদি অন্য ভাষায় অন্য শব্দে ব্যবহৃত হয় এবং ঐ অর্থেই ব্যবহৃত হয় যেই অর্থে শরিয়ায় ব্যবহৃত হয়েছে, তাহলে তা বলা দুষনীয় নয়; বরং অনেক সময় দেশ ও ভাষার পার্থক্যের কারণে তাদের নিজের ভাষায় বলাই উচিৎ যেন তারা বুঝতে পারে। অর্থাৎ ধরূন কোন সমাজে স্বালাত শব্দটি প্রচলিত নয় বরং এর অর্থ নামায হিসাবে প্রচলিত এবং তারা নামায বললে ঐ অর্থই বুঝে যা সালাতের অর্থ তাহলে তা ব্যবহার করতে কোন অসুবিধা নেই।
উসূলে ফিকহে একটি মূলনীতি রয়েছে [আল্ ইবরাতু লিল্ মাআনী লা লিল্ আলফায ওয়াল্ মাবানী] অর্থাৎ শব্দ নয় বরং শব্দের উদ্দেশ্যই গৃহীত। তাই কেনা-বেচা ও বিবাহ শাদীর অধ্যায়ে এই মূলণীতির রয়েছে প্রচুর ব্যবহার। তন্মধ্যে উদাহারণ স্বরূপ যদি কেউ তার স্ত্রীকে তালাক দেয়ার সময় এমন শব্দ বলে যা তালাক নয় বরং ধরুন বললোঃ তুমি তোমার মায়ের বাড়ি চলে যাও। এখন এটি তালাক হবে কি না? শাইখুল ইসলাম সহ প্রায় অধিক উলামা বলেনঃ দেখতে হবে তার এই কথার মাধ্যমে উদ্দেশ্য কি ছিল? যদি সে তালাক উদ্দেশ্য করেছিল তাহলে তালাক ধরা হবে আর যদি সে অেন্য উদ্দেশ্যে বলে থাকে তাহলে তালাক ধরা হবে না।
তাই বলছিলাম শরিয়ার সাউম বা সিয়াম শব্দের বদলে কোনো দেশে বা সমাজে যদি কেউ তা রোযা বলে তাহলে জানতে হবে যে, সে রোযা বলতে ইসলামের রুকন রোযাকে বুঝাচ্ছে, না অন্য কোনো উপবাসকে? যদি ইসলামের সাউমকে বুঝায় তাহলে তা স্বীকৃত।
=একটু আগে এক মাননীয় আলেমের একটি ছোট ভিডিও ক্লিপ শুনলাম তাতে তিনি বারংবার বলছেন রোযা মানে উপবাস আর সিয়াম মানে বিরত থাকা মানুষ উপবাস থাকতে পারছে কিন্তু সিয়াম রাখতে পারছে না। তাঁর এই বক্তব্যে আসলে জনসাধারণ অনেকে বিভ্রান্ত হচ্ছে বা বলতে পারেন তাঁর শব্দের মায়াজালে অনেকে সংশয়ে রয়েছে যে, তাদের নাকি উপবাস রাখা হচ্ছে সিয়াম হচ্ছে না। অনেক অল্প জ্ঞানী যুবক বিষয়টি বড় করে দেখছে এবং প্রচারও করছে। এই কারণে আমি উপরোক্ত বিষয়টি লিখতে বাধ্য হলাম, যার সারাংশ হচ্ছে মানুষ রোযা বলুক আর সাউম-সিয়াম দুটির উদ্দেশ্য যদি একই হয় তাহলে পার্থক্য করার প্রয়োজন নেই আর না এমন ব্যাখার প্রয়োজন যার মাধ্যমে উপকারের থেকে অপকার বেশী বা বিভ্রান্তি বেশী। আল্লাহ তাঁকে ক্ষমা করুক এবং আমাদের আপনাদের সকলকে দ্বীনের সঠিক জ্ঞান অর্জন করার ও আমল করার তাওফীক দিক। আমীন।
— লিখেছেন শায়খ আব্দুর রাক্কিব বুখারি মাদানী হাফিযাহুল্লাহ।
যেমন শারঈ শব্দ [সাউম] বহু বচনে সিয়াম। স্বালাত বহু বচনে স্বালাওয়াত। সাউম ও স্বালাত যেহেতু আরবী ভাষার শব্দ তাই আরবী ভাষাতেও তার নিজস্ব একটি অর্থ রয়েছে। সাউমের আরবী আভিধানিক অর্থ হচ্ছে বিরত থাকা আর স্বালাতের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে দুআ। আর এসবের একটি শারঈ অর্থও রয়েছে কারণ এই পরিভাষাগুলি শা‘রে বা বিধানদাতার পক্ষ্য থেকে অবতীর্ণ। এখন জানা দরকার এই সব শারঈ শব্দগুলির কোন্ অর্থটি গ্রহণীয় আভিধানিকটি না শারঈটি?
শারঈ অর্থকে অন্য শব্দে পারিভাষিক অর্থও বলা হয়। আমাদের অবশ্যই জানা দরকার শরিয়ার শব্দগুলির শারঈ অর্থই গ্রহণীয়। তাই সাউমের অর্থ শুধু বিরত থাকা করলে গ্রহনীয় নয় আর না স্বালাতের অর্থ দুআ করলে গ্রহনীয়। যদি হত, তাহলে কেউ যে কিছু থেকে বিরত থাকলেই তাকে সাউম পালনকারী বলা যেত। অনুরূপ কেউ দুআ করলেই তাকে স্বালাত আদায়কারী বলা যেত। কিন্তু এই রকম কোন কিছু থেকে বিরত থাকলেই তাকে সাউম আদায়কারী বলা যায় না। বরং শরীয়ার দৃষ্টিতে যে, ফজর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত যাবতীয় পানাহার ও যৌন সঙ্গম থেকে বিরত থাকে ইবাদতের উদ্দেশ্যে তাকেই সাউম পালনকারী বলা হয়।
উল্লেখ্য শারই শব্দগুলি যেমন স্বালাত, সাউম, যাকাত, হজ্জ ইত্যাদী যদি অন্য ভাষায় অন্য শব্দে ব্যবহৃত হয় এবং ঐ অর্থেই ব্যবহৃত হয় যেই অর্থে শরিয়ায় ব্যবহৃত হয়েছে, তাহলে তা বলা দুষনীয় নয়; বরং অনেক সময় দেশ ও ভাষার পার্থক্যের কারণে তাদের নিজের ভাষায় বলাই উচিৎ যেন তারা বুঝতে পারে। অর্থাৎ ধরূন কোন সমাজে স্বালাত শব্দটি প্রচলিত নয় বরং এর অর্থ নামায হিসাবে প্রচলিত এবং তারা নামায বললে ঐ অর্থই বুঝে যা সালাতের অর্থ তাহলে তা ব্যবহার করতে কোন অসুবিধা নেই।
উসূলে ফিকহে একটি মূলনীতি রয়েছে [আল্ ইবরাতু লিল্ মাআনী লা লিল্ আলফায ওয়াল্ মাবানী] অর্থাৎ শব্দ নয় বরং শব্দের উদ্দেশ্যই গৃহীত। তাই কেনা-বেচা ও বিবাহ শাদীর অধ্যায়ে এই মূলণীতির রয়েছে প্রচুর ব্যবহার। তন্মধ্যে উদাহারণ স্বরূপ যদি কেউ তার স্ত্রীকে তালাক দেয়ার সময় এমন শব্দ বলে যা তালাক নয় বরং ধরুন বললোঃ তুমি তোমার মায়ের বাড়ি চলে যাও। এখন এটি তালাক হবে কি না? শাইখুল ইসলাম সহ প্রায় অধিক উলামা বলেনঃ দেখতে হবে তার এই কথার মাধ্যমে উদ্দেশ্য কি ছিল? যদি সে তালাক উদ্দেশ্য করেছিল তাহলে তালাক ধরা হবে আর যদি সে অেন্য উদ্দেশ্যে বলে থাকে তাহলে তালাক ধরা হবে না।
তাই বলছিলাম শরিয়ার সাউম বা সিয়াম শব্দের বদলে কোনো দেশে বা সমাজে যদি কেউ তা রোযা বলে তাহলে জানতে হবে যে, সে রোযা বলতে ইসলামের রুকন রোযাকে বুঝাচ্ছে, না অন্য কোনো উপবাসকে? যদি ইসলামের সাউমকে বুঝায় তাহলে তা স্বীকৃত।
=একটু আগে এক মাননীয় আলেমের একটি ছোট ভিডিও ক্লিপ শুনলাম তাতে তিনি বারংবার বলছেন রোযা মানে উপবাস আর সিয়াম মানে বিরত থাকা মানুষ উপবাস থাকতে পারছে কিন্তু সিয়াম রাখতে পারছে না। তাঁর এই বক্তব্যে আসলে জনসাধারণ অনেকে বিভ্রান্ত হচ্ছে বা বলতে পারেন তাঁর শব্দের মায়াজালে অনেকে সংশয়ে রয়েছে যে, তাদের নাকি উপবাস রাখা হচ্ছে সিয়াম হচ্ছে না। অনেক অল্প জ্ঞানী যুবক বিষয়টি বড় করে দেখছে এবং প্রচারও করছে। এই কারণে আমি উপরোক্ত বিষয়টি লিখতে বাধ্য হলাম, যার সারাংশ হচ্ছে মানুষ রোযা বলুক আর সাউম-সিয়াম দুটির উদ্দেশ্য যদি একই হয় তাহলে পার্থক্য করার প্রয়োজন নেই আর না এমন ব্যাখার প্রয়োজন যার মাধ্যমে উপকারের থেকে অপকার বেশী বা বিভ্রান্তি বেশী। আল্লাহ তাঁকে ক্ষমা করুক এবং আমাদের আপনাদের সকলকে দ্বীনের সঠিক জ্ঞান অর্জন করার ও আমল করার তাওফীক দিক। আমীন।
— লিখেছেন শায়খ আব্দুর রাক্কিব বুখারি মাদানী হাফিযাহুল্লাহ।
TUESDAY, 30 MAY 2017
রোযাবস্থায় বীর্যপাত এবং স্বপ্নদোষের বিধান (কেবল প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য)
আলহামদুলিল্লাহ্ ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসূলিল্লাহ, আম্মাবাদঃ
রামাযান মাসে সাউম পালনকারী ভাইদের পক্ষ থেকে উপরোক্ত বিষয়ে প্রায় প্রায় প্রশ্ন করা হয়। এ সম্পর্কে শরীয়ার সঠিক বিধান না জানা থাকার কারণে অনেকে অনেক রকমের ধারণা করে। কেউ মনে করে তার রোযা নষ্ট হয়ে গেছে, কেউ বলে রোযা মাকরূহ হয়ে গেছে, কেউ ভাবে তার দ্বারা গুনাহ হয়ে গেছে আর কেউ সংশয়ে থাকে। তাই সংক্ষিপ্তাকারে বিষয়টির শারঈ সমাধান উল্লেখ করার নিয়ত করেছি। আল্লাহই তাওফীকদাতা।
প্রথমতঃ আমাদের মনে রাখা উচিৎ যে, রোযা/ সাউম হচ্ছে, আল্লাহর ইবাদতের উদ্দেশ্যে ফজর হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত যাবতীয় পানাহার ও যৌনসঙ্গম হতে বিরত থাকা। [ফাতহুল বারী, ৪/১৩২] তাই যৌন সঙ্গম হচ্ছে রোযা ভংগের একটি অন্যতম কারণ।
অতঃপর জানা উচিৎ যে, রোযাবস্থায় বীর্যপাতের দুটি অবস্থা রয়েছে। যথা:
- (ক) রোযাদার স্বেচ্ছায় স্বয়ং তার বীর্যপাত ঘটায়। অর্থাৎ তার নিজের এখতিয়ারে বীর্যপাত করা হয়।
- (খ) সে স্বেচ্ছায় বীর্যপাত ঘটায় না। অর্থাৎ তার এখতিয়ারে তা ঘটানো হয় না।
প্রথম অবস্থা আবার কয়েক শেণীতে বিভক্তঃ
১-রোযাবস্থায় স্ত্রী সঙ্গম করা: স্ত্রী-সঙ্গম বলতে স্ত্রীর যোনীতে লিঙ্গের অগ্রভাগ (মাথা) প্রবেশ করা বুঝায়, তাতে বীর্যপাত হোক বা নাই হোক। স্ত্রীর পায়ু পথে লিঙ্গাগ্র প্রবেশ করানোও এরই অন্তর্ভুক্ত। এটা রোযাদারের এখতিয়ারভুক্ত কাজ। এমন হলে সেই ব্যক্তির রোযা তো নষ্ট হবেই হবে কিন্তু তার সাথে সাথে তার উপর কয়েকটি বিধান অর্পিত হবে। যথা:
- (ক) তাকে এই পাপ থেকে তাওবা করতে হবে।
- (খ) এই কাজ ঘটার পর দিনের বাকী সময় রোযাবস্থায় থাকতে হবে
- (গ) রামাযান পর তাকে সেই রোযা কাযা করতে হবে
- (ঘ) কাফ্ফারা দিতে হবে।
এই অপরাধের কাফ্ফারা হচ্ছে যথাক্রমেঃ
আলহামদুলিল্লাহ্ ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসূলিল্লাহ, আম্মাবাদঃ
রামাযান মাসে সাউম পালনকারী ভাইদের পক্ষ থেকে উপরোক্ত বিষয়ে প্রায় প্রায় প্রশ্ন করা হয়। এ সম্পর্কে শরীয়ার সঠিক বিধান না জানা থাকার কারণে অনেকে অনেক রকমের ধারণা করে। কেউ মনে করে তার রোযা নষ্ট হয়ে গেছে, কেউ বলে রোযা মাকরূহ হয়ে গেছে, কেউ ভাবে তার দ্বারা গুনাহ হয়ে গেছে আর কেউ সংশয়ে থাকে। তাই সংক্ষিপ্তাকারে বিষয়টির শারঈ সমাধান উল্লেখ করার নিয়ত করেছি। আল্লাহই তাওফীকদাতা।
প্রথমতঃ আমাদের মনে রাখা উচিৎ যে, রোযা/ সাউম হচ্ছে, আল্লাহর ইবাদতের উদ্দেশ্যে ফজর হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত যাবতীয় পানাহার ও যৌনসঙ্গম হতে বিরত থাকা। [ফাতহুল বারী, ৪/১৩২] তাই যৌন সঙ্গম হচ্ছে রোযা ভংগের একটি অন্যতম কারণ।
অতঃপর জানা উচিৎ যে, রোযাবস্থায় বীর্যপাতের দুটি অবস্থা রয়েছে। যথা:
- (ক) রোযাদার স্বেচ্ছায় স্বয়ং তার বীর্যপাত ঘটায়। অর্থাৎ তার নিজের এখতিয়ারে বীর্যপাত করা হয়।
- (খ) সে স্বেচ্ছায় বীর্যপাত ঘটায় না। অর্থাৎ তার এখতিয়ারে তা ঘটানো হয় না।
প্রথম অবস্থা আবার কয়েক শেণীতে বিভক্তঃ
১-রোযাবস্থায় স্ত্রী সঙ্গম করা: স্ত্রী-সঙ্গম বলতে স্ত্রীর যোনীতে লিঙ্গের অগ্রভাগ (মাথা) প্রবেশ করা বুঝায়, তাতে বীর্যপাত হোক বা নাই হোক। স্ত্রীর পায়ু পথে লিঙ্গাগ্র প্রবেশ করানোও এরই অন্তর্ভুক্ত। এটা রোযাদারের এখতিয়ারভুক্ত কাজ। এমন হলে সেই ব্যক্তির রোযা তো নষ্ট হবেই হবে কিন্তু তার সাথে সাথে তার উপর কয়েকটি বিধান অর্পিত হবে। যথা:
- (ক) তাকে এই পাপ থেকে তাওবা করতে হবে।
- (খ) এই কাজ ঘটার পর দিনের বাকী সময় রোযাবস্থায় থাকতে হবে
- (গ) রামাযান পর তাকে সেই রোযা কাযা করতে হবে
- (ঘ) কাফ্ফারা দিতে হবে।
এই অপরাধের কাফ্ফারা হচ্ছে যথাক্রমেঃ
TUESDAY, 16 MAY 2017
নারীদের (হায়েয-নেফাস থেকে) পবিত্রতার মাসয়ালা-মাসায়েল:
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্যে যিনি বিশ্ব জগতের পালনকর্তা। দরূদ ও সালাম আমাদের নবী মুহাম্মাদ, তাঁর পরিবারবর্গ ও সমস্ত সাহাবায়ে কেরামের উপর বর্ষিত হোক।
ইসলামী শরীয়তের বিধি-বিধান সম্পর্কে জানা প্রত্যে মুসলিম নারীর উপর কর্তব্য। বিশেষ করে ইবাদত সংক্রান্ত বিধি-বিধান। কেননা তা না জানলে চলতেই পারবে না।
ঐ বিধানগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, পবিত্রতার বিধান। যার অনেক কিছুই অনেকের জানা নেই। কখনো লজ্জার কারণে বিষয়গুলো জানতে বাধাপ্রাপ্ত হয়।
নিম্নে হায়েয বা ঋতু সম্পর্কে শরীয়তের বিধি-বিধান আলোচনা করা হলঃ
হায়েয কাকে বলে? নারীর জরায়ু থেকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে বিনা কারণে প্রাকৃতিকভাবে নির্গত রক্ত স্রাবকে হায়েয বা ঋতুস্রাব বলা হয়। অতএব অসুস্থতা, আঘাত, পড়ে যাওয়া, সন্তান প্রসব ইত্যাদি কোন কারণ ছাড়াই প্রাকৃতিকভাবে নির্গত রক্ত স্রাবই হচ্ছে হায়েয।
আল্লাহ্ বলেন, وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْمَحِيضِ قُلْ هُوَ أَذًى “আর তারা আপনাকে ঋতু সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে, আপনি বলে দিন উহা অসূচী বা নাপাক বস্তু।” (সূরা বাকারাঃ ২২২)
হায়েয সম্পর্কে কিছু নিয়ম-নীতি ও মাসআলা-মাসায়েলঃ
১- স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশী কখনো কখনো হায়েয হতে পারে। তখন বেশী দিনগুলোকে হায়েযের দিন হিসেবেই গণনা করতে হবে।
যেমনঃ জনৈক নারীর হায়েয ছিল পাঁচ দিন। এটা বৃদ্ধি হয়ে সাত হয়ে যায়। তখন তার হায়েযের সময় সাত দিন বলেই গণ্য করতে হবে।
২- কখনো নির্দিষ্ট দিনের চেয়ে কম হয়। তখন ঐ কম দিনই হায়েয হিসেবে গণনা করতে হবে।
যেমনঃ জনৈক নারীর ঋতু ছিল পাঁচ দিন। তা কমে গিয়ে হয়েছে চার দিন। তখন আর অপেক্ষা করতে হবে না। তার ঋতুর সময় শেষ হয়ে গেছে।
৩- হায়েযের সময় বৃদ্ধি হয় বিশেষ কোন কারণে। যেমন জন্মনিরোধক ঔষধ সেবন করার কারণে। তখন হায়েযের সময়টা বেড়ে যায়। যেমন পূর্বে পাঁচ দিন ছিল, ঔষধ সেবন করার কারণে তা বেড়ে গিয়ে আট দিন পর্যন্ত স্রাব চলতেই থাকল। তখন তার ঋতু আট দিন হয়েছে বলেই গণ্য করতে হবে। অবশ্য সে ক্ষেত্রে মুসলিম মহিলা ডাক্তারের কাছে গিয়ে চেক করে নিশ্চিত হতে হবে যে, ঔষধ যথাস্থানে ব্যবহার করা হয়েছে এবং আঘাত, বা অন্য কোন অসুস্থতার কারণে রক্তক্ষরণ হচ্ছে না।
৪- ঋতু কখনো সময় হওয়ার পূর্বেই হয়ে যেতে পারে। যেমন কারো ঋতু মাসের শেষে হওয়ার কথা, কিন্তু তা এক সপ্তাহ বা দশদিন পূর্বেই হয়ে গেল। এ অবস্থায় তা হায়েয বলে গণ্য করতে হবে।
৫- ঋতু কখনো দেরীতে আসে। যেমন, কারো ঋতু মাসের মাঝামাঝি সময়ে হয়ে থাকে, কিন্তু দেরী হয়ে তা মাসের শেষের দিকে হল। তখন তা হয়েয হিসেবে গণ্য করতে হবে।
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্যে যিনি বিশ্ব জগতের পালনকর্তা। দরূদ ও সালাম আমাদের নবী মুহাম্মাদ, তাঁর পরিবারবর্গ ও সমস্ত সাহাবায়ে কেরামের উপর বর্ষিত হোক।
ইসলামী শরীয়তের বিধি-বিধান সম্পর্কে জানা প্রত্যে মুসলিম নারীর উপর কর্তব্য। বিশেষ করে ইবাদত সংক্রান্ত বিধি-বিধান। কেননা তা না জানলে চলতেই পারবে না।
ঐ বিধানগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, পবিত্রতার বিধান। যার অনেক কিছুই অনেকের জানা নেই। কখনো লজ্জার কারণে বিষয়গুলো জানতে বাধাপ্রাপ্ত হয়।
নিম্নে হায়েয বা ঋতু সম্পর্কে শরীয়তের বিধি-বিধান আলোচনা করা হলঃ
হায়েয কাকে বলে? নারীর জরায়ু থেকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে বিনা কারণে প্রাকৃতিকভাবে নির্গত রক্ত স্রাবকে হায়েয বা ঋতুস্রাব বলা হয়। অতএব অসুস্থতা, আঘাত, পড়ে যাওয়া, সন্তান প্রসব ইত্যাদি কোন কারণ ছাড়াই প্রাকৃতিকভাবে নির্গত রক্ত স্রাবই হচ্ছে হায়েয।
আল্লাহ্ বলেন, وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْمَحِيضِ قُلْ هُوَ أَذًى “আর তারা আপনাকে ঋতু সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে, আপনি বলে দিন উহা অসূচী বা নাপাক বস্তু।” (সূরা বাকারাঃ ২২২)
হায়েয সম্পর্কে কিছু নিয়ম-নীতি ও মাসআলা-মাসায়েলঃ
১- স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশী কখনো কখনো হায়েয হতে পারে। তখন বেশী দিনগুলোকে হায়েযের দিন হিসেবেই গণনা করতে হবে।
যেমনঃ জনৈক নারীর হায়েয ছিল পাঁচ দিন। এটা বৃদ্ধি হয়ে সাত হয়ে যায়। তখন তার হায়েযের সময় সাত দিন বলেই গণ্য করতে হবে।
২- কখনো নির্দিষ্ট দিনের চেয়ে কম হয়। তখন ঐ কম দিনই হায়েয হিসেবে গণনা করতে হবে।
যেমনঃ জনৈক নারীর ঋতু ছিল পাঁচ দিন। তা কমে গিয়ে হয়েছে চার দিন। তখন আর অপেক্ষা করতে হবে না। তার ঋতুর সময় শেষ হয়ে গেছে।
৩- হায়েযের সময় বৃদ্ধি হয় বিশেষ কোন কারণে। যেমন জন্মনিরোধক ঔষধ সেবন করার কারণে। তখন হায়েযের সময়টা বেড়ে যায়। যেমন পূর্বে পাঁচ দিন ছিল, ঔষধ সেবন করার কারণে তা বেড়ে গিয়ে আট দিন পর্যন্ত স্রাব চলতেই থাকল। তখন তার ঋতু আট দিন হয়েছে বলেই গণ্য করতে হবে। অবশ্য সে ক্ষেত্রে মুসলিম মহিলা ডাক্তারের কাছে গিয়ে চেক করে নিশ্চিত হতে হবে যে, ঔষধ যথাস্থানে ব্যবহার করা হয়েছে এবং আঘাত, বা অন্য কোন অসুস্থতার কারণে রক্তক্ষরণ হচ্ছে না।
৪- ঋতু কখনো সময় হওয়ার পূর্বেই হয়ে যেতে পারে। যেমন কারো ঋতু মাসের শেষে হওয়ার কথা, কিন্তু তা এক সপ্তাহ বা দশদিন পূর্বেই হয়ে গেল। এ অবস্থায় তা হায়েয বলে গণ্য করতে হবে।
৫- ঋতু কখনো দেরীতে আসে। যেমন, কারো ঋতু মাসের মাঝামাঝি সময়ে হয়ে থাকে, কিন্তু দেরী হয়ে তা মাসের শেষের দিকে হল। তখন তা হয়েয হিসেবে গণ্য করতে হবে।
SUNDAY, 25 DECEMBER 2016
ফাতওয়া দিতে খুব আগ্রহী??
ফাতওয়া দিতে পারলে খুব পুলকিত বোধ হয় তাই না? নিম্নের কথা গুলো মনে রাখুন।
ابن مسعود: قال من أفتى الناس في كل ما يستفتونه فهو مجنون.
ইবনু মাসুদ রাঃ বলেন, সব প্রশ্নের যে জাওয়াব দেয় সে পাগল।
وقال أبو ليلى : أدركت عشرين ومائة من الأنصار من أصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم ما منهم من أحد يحدث بحديث إلا ود أن أخاه كفاه إياه
আবু লাইলা বলেন, ১২০ জন রাসুলের (আনসার) সাহাবি পেয়েছি, তাদের সকলকেই দেখেছি কিছু বলার আগে চাইতেন অন্য কেউ যেন বলে দেয়।
وابن سيرين: لأن يموت الرجل جاهلا خير له من أن يقول ما لا يعلم
ইবনু শিরীন বলেন, না জেনে ফাতওয়া দেওয়ার চেয়ে জাহেল হয়ে মরে যাওয়া ভাল।
وقال ابن عيينة : أجسر الناس على الفتيا أقلهم علما.
ইবনু উয়াইনাহ বলেছেন, সব চেয়ে যে কম জানে যে সেই ফাতওয়াতে বেশী দুঃসাহসী।
قال سحنون: أشقى الناس من باع آخرته بدنيا
সাহনুন বলেছেন, সবচ্যে দুর্ভাগ্যবান সেই যে দুনিয়ার জন্যে আখেরাত বিক্রী করে।
وقال سفيان: أعلم الناس بالفتيا أسكتهم عنها، وأجهلهم بها أنطقهم فيها
সুফিয়ান রাঃ বলেন, যে বেশী জ্ঞানী সে চুপ থাকে, যে বড় জাহেল সেই বেশী ফাতওয়া দেয়।
ما يلفظ من قول إلا لديه رقيب عتيد
আল্লাহ বলেন, যা-ই বলা হয় তার সন্নিকটে থাকে এক কঠিন পাহারাদার।
وقال الرسول صلى الله عليه وسلم لمعاذ، يا معاذ كف عنك هذا ( أي لسانك)، قال أفنواخذ بما نتكلم به يا رسول الله؟ قال وهل يكب الناس في النار على مناخر إلا حصائد ألسنتهم
রাসুল সঃ মুয়াজ রাঃ বলেন, মুয়াজ, তুমি সর্বদা এইটা ( মানে তোমার জিহ্বা) নিয়ন্ত্রনে রাখবে। মুয়াজ বললেন কেন? আমরা যা বলি সে জন্যে কি পাকড়াও হয়ে যেতে পারি? রাসুল সঃ বললেন, জানোনা মুয়াজ? মানুষকে নাকের উপর দিয়ে উল্টো করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হয় এই জিহবার কারনেই।
মিডিয়াতে ফাতওয়া দেওয়ার প্রতিজোগিতা দেখে টিভি খোলা বন্ধ করে দিয়েছি ২ বছর যাবত। ফেজবুকেও একই অবস্থা। আল্লাহ মানুষকে সুমতি দিক এবং হেদায়েত করুক। দুনিয়া লোভী মুফতিদের ফেত্নাহ থেকে মানুষকে হেফাজত করুক। আমীন!!
Colledted From @Shaykh Muzammil Al Haque.
ফাতওয়া দিতে পারলে খুব পুলকিত বোধ হয় তাই না? নিম্নের কথা গুলো মনে রাখুন।
ابن مسعود: قال من أفتى الناس في كل ما يستفتونه فهو مجنون.
ইবনু মাসুদ রাঃ বলেন, সব প্রশ্নের যে জাওয়াব দেয় সে পাগল।
وقال أبو ليلى : أدركت عشرين ومائة من الأنصار من أصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم ما منهم من أحد يحدث بحديث إلا ود أن أخاه كفاه إياه
আবু লাইলা বলেন, ১২০ জন রাসুলের (আনসার) সাহাবি পেয়েছি, তাদের সকলকেই দেখেছি কিছু বলার আগে চাইতেন অন্য কেউ যেন বলে দেয়।
وابن سيرين: لأن يموت الرجل جاهلا خير له من أن يقول ما لا يعلم
ইবনু শিরীন বলেন, না জেনে ফাতওয়া দেওয়ার চেয়ে জাহেল হয়ে মরে যাওয়া ভাল।
وقال ابن عيينة : أجسر الناس على الفتيا أقلهم علما.
ইবনু উয়াইনাহ বলেছেন, সব চেয়ে যে কম জানে যে সেই ফাতওয়াতে বেশী দুঃসাহসী।
قال سحنون: أشقى الناس من باع آخرته بدنيا
সাহনুন বলেছেন, সবচ্যে দুর্ভাগ্যবান সেই যে দুনিয়ার জন্যে আখেরাত বিক্রী করে।
وقال سفيان: أعلم الناس بالفتيا أسكتهم عنها، وأجهلهم بها أنطقهم فيها
সুফিয়ান রাঃ বলেন, যে বেশী জ্ঞানী সে চুপ থাকে, যে বড় জাহেল সেই বেশী ফাতওয়া দেয়।
ما يلفظ من قول إلا لديه رقيب عتيد
আল্লাহ বলেন, যা-ই বলা হয় তার সন্নিকটে থাকে এক কঠিন পাহারাদার।
وقال الرسول صلى الله عليه وسلم لمعاذ، يا معاذ كف عنك هذا ( أي لسانك)، قال أفنواخذ بما نتكلم به يا رسول الله؟ قال وهل يكب الناس في النار على مناخر إلا حصائد ألسنتهم
রাসুল সঃ মুয়াজ রাঃ বলেন, মুয়াজ, তুমি সর্বদা এইটা ( মানে তোমার জিহ্বা) নিয়ন্ত্রনে রাখবে। মুয়াজ বললেন কেন? আমরা যা বলি সে জন্যে কি পাকড়াও হয়ে যেতে পারি? রাসুল সঃ বললেন, জানোনা মুয়াজ? মানুষকে নাকের উপর দিয়ে উল্টো করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হয় এই জিহবার কারনেই।
মিডিয়াতে ফাতওয়া দেওয়ার প্রতিজোগিতা দেখে টিভি খোলা বন্ধ করে দিয়েছি ২ বছর যাবত। ফেজবুকেও একই অবস্থা। আল্লাহ মানুষকে সুমতি দিক এবং হেদায়েত করুক। দুনিয়া লোভী মুফতিদের ফেত্নাহ থেকে মানুষকে হেফাজত করুক। আমীন!!
Colledted From @Shaykh Muzammil Al Haque.
TUESDAY, 21 JUNE 2016
কবিরা গুনাহ করলে কি রোযা নষ্ট হয়ে যাবে
আল্লাহ তাআলা কি সে ব্যক্তির রোযা কবুল করবেন; যে ব্যক্তির ইনভেস্টমেন্ট সার্টিফিকেট রয়েছে। সুদি ব্যাংকে তার শেয়ারের লেনদেন রয়েছে, তাকে সুদি কারবারি ধরা হয়; নাকি তার রোযা কবুল করবেন না?
উত্তর:
আলহামদুলিল্লাহ।
নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা বলেন, “হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যে সমস্ত বকেয়া আছে, তা পরিত্যাগ কর, যদি তোমরা ঈমানদার হয়ে থাক।”[সূরা বাকারা, আয়াত: ২৭৮]
এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁর বান্দাগণের প্রতি আহ্বান যেন তারা সুদ ত্যাগ করে, সুদ থেকে দূরে থাকে। কেননা আল্লাহ সুদকে হারাম করেছেন, “ আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করেছেন; আর সুদকে হারাম করেছেন” [সূরা বাকারা, আয়াত: ২৭৫]
সুদ ভক্ষণ মুসলমানদের লাঞ্ছিত ও অপমানিত হওয়ার অন্যতম কারণ। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যদি তোমরা আইনা ব্যবসা কর, কৃষিকাজ নিয়ে সন্তুষ্ট থাক, গরুর লেজ ধরে থাক এবং আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা ছেড়ে দাও; তাহলে আল্লাহ তোমাদের উপর এমন জিল্লতি চাপিয়ে দিবেন, যে জিল্লতি থেকে তোমাদেরকে মুক্ত করবেন না; যতক্ষণ না তোমরা আল্লাহর দ্বীনের দিকে ফিরে আস।” [সুনানে আবু দাউদ (৩৪৬২); আলবানি ‘সিলসিলা সহিহা’ গ্রন্থে (১১) হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন]
আল্লাহ তাআলা কি সে ব্যক্তির রোযা কবুল করবেন; যে ব্যক্তির ইনভেস্টমেন্ট সার্টিফিকেট রয়েছে। সুদি ব্যাংকে তার শেয়ারের লেনদেন রয়েছে, তাকে সুদি কারবারি ধরা হয়; নাকি তার রোযা কবুল করবেন না?
উত্তর:
আলহামদুলিল্লাহ।
নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা বলেন, “হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যে সমস্ত বকেয়া আছে, তা পরিত্যাগ কর, যদি তোমরা ঈমানদার হয়ে থাক।”[সূরা বাকারা, আয়াত: ২৭৮]
এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁর বান্দাগণের প্রতি আহ্বান যেন তারা সুদ ত্যাগ করে, সুদ থেকে দূরে থাকে। কেননা আল্লাহ সুদকে হারাম করেছেন, “ আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করেছেন; আর সুদকে হারাম করেছেন” [সূরা বাকারা, আয়াত: ২৭৫]
সুদ ভক্ষণ মুসলমানদের লাঞ্ছিত ও অপমানিত হওয়ার অন্যতম কারণ। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যদি তোমরা আইনা ব্যবসা কর, কৃষিকাজ নিয়ে সন্তুষ্ট থাক, গরুর লেজ ধরে থাক এবং আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা ছেড়ে দাও; তাহলে আল্লাহ তোমাদের উপর এমন জিল্লতি চাপিয়ে দিবেন, যে জিল্লতি থেকে তোমাদেরকে মুক্ত করবেন না; যতক্ষণ না তোমরা আল্লাহর দ্বীনের দিকে ফিরে আস।” [সুনানে আবু দাউদ (৩৪৬২); আলবানি ‘সিলসিলা সহিহা’ গ্রন্থে (১১) হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন]
WEDNESDAY, 9 DECEMBER 2015
মাতৃভাষায় জুমার খুতবা দেয়ার বিধান
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জুমার খুতবায় আল্লাহর তারীফ করতেন, দরুদ পড়তেন, কুরআন থেকে তেলাওয়াত করতেন এবং কিছু ওয়াজ-নছীহত ও করতেন। নবীদের সম্পর্কে আল্লাহ বলেন:
وَمَا أَرْسَلْنَا مِن رَّسُولٍ إِلَّا بِلِسَانِ قَوْمِهِ لِيُبَيِّنَ لَهُمْ
“আমি সব নবীকেই তাদের স্বজাতির ভাষাভাষী করেই প্রেরণ করেছি, যাতে তাদেরকে পরিষ্কার বোঝাতে পারে।” (সূরা ইবরাহীম: ৪)
রসুলুল্লাহর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাতৃভাষা যেহেতু আরবী ছিল এবং ছাহাবীদেরও ভাষা আরবী ছিল, তাই তিনি আরবীতেই তাদেরকে নছীহত করতেন। এখন যারা নবীজির নায়েব হয়ে জুমার খুতবা দিবেন তাদেরকেও উল্লেখিত আয়াত ও হাদীছ অনুসারে তাদের শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে মাতৃভাষায় খুতবা দেয়াটা শরীয়ত সম্মত এবং যুক্তি সংগত।
• এই কারণেই ইমাম শাফেয়ী (রহ.) বলেন: প্রত্যেক খতীবকে জুমার সময় তাঁর মাতৃভাষায় ওয়াজ করা ওয়াজিব বা অবশ্য কর্তব্য। (তানক্বীহুর রুওয়াত ১/২৬৪)
• আল্লামা তাহাভী হানাফী বলেন: জুমার খুতবা আরবী জানলেও ফারসী ভাষায় ও চলবে। (হাশিয়া তাহতাবী আলা মারাক্বিল ফালাহ ২৭)
• আল্লামা আব্দুল হাই লাখনভী হানাফী (রহ) বলেন: শ্রোতাদেরকে তাদের মাতৃভাষায় খুতবা বুঝিয়ে দেয়া জায়েজ। (মাজমূআহ ফাতাওয়া ১/২৪৫)
• হানাফী ফিক্বহ গ্রন্থ নিহায়া, মুজতাবা, ফাতাওয়া সিরাজিয়্যাহ, মুহীত প্রভৃতি গ্রন্থে আছে যে, ইমাম আবূ হানীফার মতে ফারসী ভাষাতে জুমার খুতবা দেয়া জায়েজ।
• হানাফী ফতোয়ার কিতাব শামীতে আছে, আরবী ভাষায় খুতবা দেয়া শর্ত নয়।
• হানাফী ফিকহ গ্রন্থ হিদায়ায় আছে, প্রত্যেক ভাষায় খুতবার নছীহত চলতে পারে। (কিতাবুল জুমআহ ৫৫-৫৬) (আলোচনা দ্র: আইনী তোহফা সলাতে মুস্তফা১/৯৮-৯৯)
খুতবারা আগে বয়ান একটি বিদআত:
নিজ ভাষায় খুতবা না দেয়ার কারণে যেহেতু তা মানুষের বোধগম্য হয় না এজন্যই এই খুতবার আগে খতীবগণ বয়ানের ব্যবস্থা রেখেছেন, যা শরীয়তের দৃষ্টিতে একটি জঘন্যতম বিদআত। কারণ খুতবা দানের পূর্বে বয়ান দেয়া এবং ইহাকে এভাবে স্থায়ী রূপ দেয়া নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে আদৌ প্রমাণিত নয়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খুতবার পূর্বে কখনো এ ধরণের বয়ান দেন নি। দিতে বলেছেন বলে ও কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না।
এজন্যই এ সঊদী আরবের বরেণ্য মুফতী শাইখ ইবনে উসাইমীন (রহ:)কে মাতৃভাষায় খুতবা প্রদান সম্পর্কে সওয়াল করা হলে তিনি তা সরাসরি জায়েজ বলে মন্তব্য করেন এবং একথা স্পষ্ট ভাবে বলেন যে, খতীবকে নিজ ভাষায় খুতবা দিতে হবে। (দেখুন: শাইখ ইবনে উসাইমীনের ফাতাওয়া আরকানিল ইসলাম)
বর্তমানে আমাদের দেশের বেশ কিছু জামে মসজিদে মাতৃভাষায় খুতবা দেয়া হয়ে থাকে। বস্তুত: এটাই সুন্নত। এর বিপরীত সুন্নত বিরোধী কাজ যা অবশ্যই পরিত্যাজ্য। আল্লাহ আমাদেরকে দ্বীনের সঠিক ইলম দান করুন এবং যাবতীয় বিদআত পরিত্যাগ করার তাওফীক দিন (আমীন)
লেখক: শাইখ আখতারুল আমান বিস আব্দুস সালাম
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জুমার খুতবায় আল্লাহর তারীফ করতেন, দরুদ পড়তেন, কুরআন থেকে তেলাওয়াত করতেন এবং কিছু ওয়াজ-নছীহত ও করতেন। নবীদের সম্পর্কে আল্লাহ বলেন:
وَمَا أَرْسَلْنَا مِن رَّسُولٍ إِلَّا بِلِسَانِ قَوْمِهِ لِيُبَيِّنَ لَهُمْ
“আমি সব নবীকেই তাদের স্বজাতির ভাষাভাষী করেই প্রেরণ করেছি, যাতে তাদেরকে পরিষ্কার বোঝাতে পারে।” (সূরা ইবরাহীম: ৪)
রসুলুল্লাহর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাতৃভাষা যেহেতু আরবী ছিল এবং ছাহাবীদেরও ভাষা আরবী ছিল, তাই তিনি আরবীতেই তাদেরকে নছীহত করতেন। এখন যারা নবীজির নায়েব হয়ে জুমার খুতবা দিবেন তাদেরকেও উল্লেখিত আয়াত ও হাদীছ অনুসারে তাদের শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে মাতৃভাষায় খুতবা দেয়াটা শরীয়ত সম্মত এবং যুক্তি সংগত।
• এই কারণেই ইমাম শাফেয়ী (রহ.) বলেন: প্রত্যেক খতীবকে জুমার সময় তাঁর মাতৃভাষায় ওয়াজ করা ওয়াজিব বা অবশ্য কর্তব্য। (তানক্বীহুর রুওয়াত ১/২৬৪)
• আল্লামা তাহাভী হানাফী বলেন: জুমার খুতবা আরবী জানলেও ফারসী ভাষায় ও চলবে। (হাশিয়া তাহতাবী আলা মারাক্বিল ফালাহ ২৭)
• আল্লামা আব্দুল হাই লাখনভী হানাফী (রহ) বলেন: শ্রোতাদেরকে তাদের মাতৃভাষায় খুতবা বুঝিয়ে দেয়া জায়েজ। (মাজমূআহ ফাতাওয়া ১/২৪৫)
• হানাফী ফিক্বহ গ্রন্থ নিহায়া, মুজতাবা, ফাতাওয়া সিরাজিয়্যাহ, মুহীত প্রভৃতি গ্রন্থে আছে যে, ইমাম আবূ হানীফার মতে ফারসী ভাষাতে জুমার খুতবা দেয়া জায়েজ।
• হানাফী ফতোয়ার কিতাব শামীতে আছে, আরবী ভাষায় খুতবা দেয়া শর্ত নয়।
• হানাফী ফিকহ গ্রন্থ হিদায়ায় আছে, প্রত্যেক ভাষায় খুতবার নছীহত চলতে পারে। (কিতাবুল জুমআহ ৫৫-৫৬) (আলোচনা দ্র: আইনী তোহফা সলাতে মুস্তফা১/৯৮-৯৯)
খুতবারা আগে বয়ান একটি বিদআত:
নিজ ভাষায় খুতবা না দেয়ার কারণে যেহেতু তা মানুষের বোধগম্য হয় না এজন্যই এই খুতবার আগে খতীবগণ বয়ানের ব্যবস্থা রেখেছেন, যা শরীয়তের দৃষ্টিতে একটি জঘন্যতম বিদআত। কারণ খুতবা দানের পূর্বে বয়ান দেয়া এবং ইহাকে এভাবে স্থায়ী রূপ দেয়া নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে আদৌ প্রমাণিত নয়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খুতবার পূর্বে কখনো এ ধরণের বয়ান দেন নি। দিতে বলেছেন বলে ও কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না।
এজন্যই এ সঊদী আরবের বরেণ্য মুফতী শাইখ ইবনে উসাইমীন (রহ:)কে মাতৃভাষায় খুতবা প্রদান সম্পর্কে সওয়াল করা হলে তিনি তা সরাসরি জায়েজ বলে মন্তব্য করেন এবং একথা স্পষ্ট ভাবে বলেন যে, খতীবকে নিজ ভাষায় খুতবা দিতে হবে। (দেখুন: শাইখ ইবনে উসাইমীনের ফাতাওয়া আরকানিল ইসলাম)
বর্তমানে আমাদের দেশের বেশ কিছু জামে মসজিদে মাতৃভাষায় খুতবা দেয়া হয়ে থাকে। বস্তুত: এটাই সুন্নত। এর বিপরীত সুন্নত বিরোধী কাজ যা অবশ্যই পরিত্যাজ্য। আল্লাহ আমাদেরকে দ্বীনের সঠিক ইলম দান করুন এবং যাবতীয় বিদআত পরিত্যাগ করার তাওফীক দিন (আমীন)
লেখক: শাইখ আখতারুল আমান বিস আব্দুস সালাম
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
• এই কারণেই ইমাম শাফেয়ী (রহ.) বলেন: প্রত্যেক খতীবকে জুমার সময় তাঁর মাতৃভাষায় ওয়াজ করা ওয়াজিব বা অবশ্য কর্তব্য। (তানক্বীহুর রুওয়াত ১/২৬৪)
• আল্লামা তাহাভী হানাফী বলেন: জুমার খুতবা আরবী জানলেও ফারসী ভাষায় ও চলবে। (হাশিয়া তাহতাবী আলা মারাক্বিল ফালাহ ২৭)
• আল্লামা আব্দুল হাই লাখনভী হানাফী (রহ) বলেন: শ্রোতাদেরকে তাদের মাতৃভাষায় খুতবা বুঝিয়ে দেয়া জায়েজ। (মাজমূআহ ফাতাওয়া ১/২৪৫)
• হানাফী ফিক্বহ গ্রন্থ নিহায়া, মুজতাবা, ফাতাওয়া সিরাজিয়্যাহ, মুহীত প্রভৃতি গ্রন্থে আছে যে, ইমাম আবূ হানীফার মতে ফারসী ভাষাতে জুমার খুতবা দেয়া জায়েজ।
• হানাফী ফতোয়ার কিতাব শামীতে আছে, আরবী ভাষায় খুতবা দেয়া শর্ত নয়।
• হানাফী ফিকহ গ্রন্থ হিদায়ায় আছে, প্রত্যেক ভাষায় খুতবার নছীহত চলতে পারে। (কিতাবুল জুমআহ ৫৫-৫৬) (আলোচনা দ্র: আইনী তোহফা সলাতে মুস্তফা১/৯৮-৯৯)
খুতবারা আগে বয়ান একটি বিদআত:
নিজ ভাষায় খুতবা না দেয়ার কারণে যেহেতু তা মানুষের বোধগম্য হয় না এজন্যই এই খুতবার আগে খতীবগণ বয়ানের ব্যবস্থা রেখেছেন, যা শরীয়তের দৃষ্টিতে একটি জঘন্যতম বিদআত। কারণ খুতবা দানের পূর্বে বয়ান দেয়া এবং ইহাকে এভাবে স্থায়ী রূপ দেয়া নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে আদৌ প্রমাণিত নয়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খুতবার পূর্বে কখনো এ ধরণের বয়ান দেন নি। দিতে বলেছেন বলে ও কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না।
এজন্যই এ সঊদী আরবের বরেণ্য মুফতী শাইখ ইবনে উসাইমীন (রহ:)কে মাতৃভাষায় খুতবা প্রদান সম্পর্কে সওয়াল করা হলে তিনি তা সরাসরি জায়েজ বলে মন্তব্য করেন এবং একথা স্পষ্ট ভাবে বলেন যে, খতীবকে নিজ ভাষায় খুতবা দিতে হবে। (দেখুন: শাইখ ইবনে উসাইমীনের ফাতাওয়া আরকানিল ইসলাম)
বর্তমানে আমাদের দেশের বেশ কিছু জামে মসজিদে মাতৃভাষায় খুতবা দেয়া হয়ে থাকে। বস্তুত: এটাই সুন্নত। এর বিপরীত সুন্নত বিরোধী কাজ যা অবশ্যই পরিত্যাজ্য। আল্লাহ আমাদেরকে দ্বীনের সঠিক ইলম দান করুন এবং যাবতীয় বিদআত পরিত্যাগ করার তাওফীক দিন (আমীন)
লেখক: শাইখ আখতারুল আমান বিস আব্দুস সালাম
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
জুমার দিন জুমার সালাত আদায়ের আগে ওয়াজ-নসীহত করার বিধান কি?
প্রশ্ন: জুমার দিন জুমার সালাত আদায়ের আগে ওয়াজ-নসীহত করার বিধান কি?
উত্তর: জুমার দিন জুমার নামাজের আগে ওয়াজ-নসীহত বা দরস প্রদান করা উচিৎ নয়। কারণ প্রখ্যাত সাহাবী আমর ইবনে শুয়াইব তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন,
نَهَى عنِ التَّحلُّقِ يومَ الجمعةِ قبلَ الصَّلاةِ
রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জুমার সালাতের আগে (ওয়াজ-নসীহতের) বৈঠক করতে নিষেধ করেছেন।”
(তিরমিযী, অধ্যায়: সালাত হা/৩৩২,নাসাঈ,অধ্যায়: মসজিদ হা/৭১৪, আবুদাউদ,অধ্যায়: সালাত হা/১০৭৯, হাদীসটি হাসান, সুয়ূতী ও আলবানী রহ)
কারণ,এটি জুমার সালাতের জন্য উপস্থিত মুসল্লীদেরকে যিকির, কুরআন তিলাওয়াত, নফল সালাত, কাতার বদ্ধ হয়ে বসা এবং যে খুতবা শুনার জন্য মহান আল্লাহ তার রাসূলের মাধ্যমে আমাদেরকে আদেশ করেছেন সেই খুতবা শোনার জন্য মানসিক প্রস্তুতি গ্রহণে অমনোযোগী করে তোলে।
খুতবার আগে যদি নিয়মিতভাবে এবং অধিক পরিমানে ওয়াজ-নসীহত করা হয় তবে মানুষের অন্তরে জুমার খুতবার মর্যাদা এবং প্রভাব কমে যায়। সুতরাং এটা করা হলে আল্লাহ তায়ালা যে উদ্দেশ্যে এই খুতবার ব্যবস্থা করেছেন সে উদ্দেশ্য পরিপন্থী কাজ হবে।
তাছাড়া জুমার সালাতের জন্য নির্বাচিত ব্যক্তি (ইমাম বা খতীব সাহেব)যদি খুতবার মধ্যে মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় ওয়াজ-নসীহত পেশ করার প্রতি যত্নবান হন তবে খুতবার আগে অন্য কোন ওয়াজ-নসীহতের প্রয়োজন থাকে না।
তাছাড়া নবী সাল্লাল্লাহু সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং তারা খলাফায়ে রাশেদাগণ এমনটি করতেন না। অথচ প্রকৃত কল্যাণ নিহীত রয়েছে রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং তার খোলাফায়ে রাশেদার আদর্শের অনুসরণেই মধ্যেই।
অবশ্য যদি বিশেষ কোন প্রয়োজন দেখা যায় অথবা তা যদি জুমার সালাত বা খুতবা সংশ্লিষ্ট হয় তবে এতে কোন অসুবিধা নাই।তবে সতর্ক থাকতে হবে যে, এটা যেন প্রতিনিয়ত এবং নিয়মিত না করা হয়।তাহলে এ ক্ষেত্রে ইনশাআল্লাহ কোন সমস্যা নাই।আল্লাহই তাওফীক দানকারী।
وصلى الله على نبينا محمد وآله وصحبه وسلم
ফতোয়া প্রদানকারী:
প্রধান: আবদুল্লাহ বিন আবদুল্লাহ বিন বায
উপ-প্রধান: আবুর রাযযাক আফীফী
সদস্য: আবদুল্লাহ বিন হাসান বিন কুঊদ।
——————–
অনুবাদক:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সউদী আরব।
——————-
উৎস: ফতোয়া এবং গবেষণা বিষয়ক স্থায়ী কমিটি, সউদী আরব
উত্তর: জুমার দিন জুমার নামাজের আগে ওয়াজ-নসীহত বা দরস প্রদান করা উচিৎ নয়। কারণ প্রখ্যাত সাহাবী আমর ইবনে শুয়াইব তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন,
نَهَى عنِ التَّحلُّقِ يومَ الجمعةِ قبلَ الصَّلاةِ
রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জুমার সালাতের আগে (ওয়াজ-নসীহতের) বৈঠক করতে নিষেধ করেছেন।”
(তিরমিযী, অধ্যায়: সালাত হা/৩৩২,নাসাঈ,অধ্যায়: মসজিদ হা/৭১৪, আবুদাউদ,অধ্যায়: সালাত হা/১০৭৯, হাদীসটি হাসান, সুয়ূতী ও আলবানী রহ)
কারণ,এটি জুমার সালাতের জন্য উপস্থিত মুসল্লীদেরকে যিকির, কুরআন তিলাওয়াত, নফল সালাত, কাতার বদ্ধ হয়ে বসা এবং যে খুতবা শুনার জন্য মহান আল্লাহ তার রাসূলের মাধ্যমে আমাদেরকে আদেশ করেছেন সেই খুতবা শোনার জন্য মানসিক প্রস্তুতি গ্রহণে অমনোযোগী করে তোলে।
খুতবার আগে যদি নিয়মিতভাবে এবং অধিক পরিমানে ওয়াজ-নসীহত করা হয় তবে মানুষের অন্তরে জুমার খুতবার মর্যাদা এবং প্রভাব কমে যায়। সুতরাং এটা করা হলে আল্লাহ তায়ালা যে উদ্দেশ্যে এই খুতবার ব্যবস্থা করেছেন সে উদ্দেশ্য পরিপন্থী কাজ হবে।
তাছাড়া জুমার সালাতের জন্য নির্বাচিত ব্যক্তি (ইমাম বা খতীব সাহেব)যদি খুতবার মধ্যে মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় ওয়াজ-নসীহত পেশ করার প্রতি যত্নবান হন তবে খুতবার আগে অন্য কোন ওয়াজ-নসীহতের প্রয়োজন থাকে না।
তাছাড়া নবী সাল্লাল্লাহু সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং তারা খলাফায়ে রাশেদাগণ এমনটি করতেন না। অথচ প্রকৃত কল্যাণ নিহীত রয়েছে রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং তার খোলাফায়ে রাশেদার আদর্শের অনুসরণেই মধ্যেই।
অবশ্য যদি বিশেষ কোন প্রয়োজন দেখা যায় অথবা তা যদি জুমার সালাত বা খুতবা সংশ্লিষ্ট হয় তবে এতে কোন অসুবিধা নাই।তবে সতর্ক থাকতে হবে যে, এটা যেন প্রতিনিয়ত এবং নিয়মিত না করা হয়।তাহলে এ ক্ষেত্রে ইনশাআল্লাহ কোন সমস্যা নাই।আল্লাহই তাওফীক দানকারী।
(তিরমিযী, অধ্যায়: সালাত হা/৩৩২,নাসাঈ,অধ্যায়: মসজিদ হা/৭১৪, আবুদাউদ,অধ্যায়: সালাত হা/১০৭৯, হাদীসটি হাসান, সুয়ূতী ও আলবানী রহ)
কারণ,এটি জুমার সালাতের জন্য উপস্থিত মুসল্লীদেরকে যিকির, কুরআন তিলাওয়াত, নফল সালাত, কাতার বদ্ধ হয়ে বসা এবং যে খুতবা শুনার জন্য মহান আল্লাহ তার রাসূলের মাধ্যমে আমাদেরকে আদেশ করেছেন সেই খুতবা শোনার জন্য মানসিক প্রস্তুতি গ্রহণে অমনোযোগী করে তোলে।
খুতবার আগে যদি নিয়মিতভাবে এবং অধিক পরিমানে ওয়াজ-নসীহত করা হয় তবে মানুষের অন্তরে জুমার খুতবার মর্যাদা এবং প্রভাব কমে যায়। সুতরাং এটা করা হলে আল্লাহ তায়ালা যে উদ্দেশ্যে এই খুতবার ব্যবস্থা করেছেন সে উদ্দেশ্য পরিপন্থী কাজ হবে।
তাছাড়া জুমার সালাতের জন্য নির্বাচিত ব্যক্তি (ইমাম বা খতীব সাহেব)যদি খুতবার মধ্যে মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় ওয়াজ-নসীহত পেশ করার প্রতি যত্নবান হন তবে খুতবার আগে অন্য কোন ওয়াজ-নসীহতের প্রয়োজন থাকে না।
তাছাড়া নবী সাল্লাল্লাহু সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং তারা খলাফায়ে রাশেদাগণ এমনটি করতেন না। অথচ প্রকৃত কল্যাণ নিহীত রয়েছে রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং তার খোলাফায়ে রাশেদার আদর্শের অনুসরণেই মধ্যেই।
অবশ্য যদি বিশেষ কোন প্রয়োজন দেখা যায় অথবা তা যদি জুমার সালাত বা খুতবা সংশ্লিষ্ট হয় তবে এতে কোন অসুবিধা নাই।তবে সতর্ক থাকতে হবে যে, এটা যেন প্রতিনিয়ত এবং নিয়মিত না করা হয়।তাহলে এ ক্ষেত্রে ইনশাআল্লাহ কোন সমস্যা নাই।আল্লাহই তাওফীক দানকারী।
وصلى الله على نبينا محمد وآله وصحبه وسلم
ফতোয়া প্রদানকারী:
প্রধান: আবদুল্লাহ বিন আবদুল্লাহ বিন বায
উপ-প্রধান: আবুর রাযযাক আফীফী
সদস্য: আবদুল্লাহ বিন হাসান বিন কুঊদ।
——————–
অনুবাদক:
প্রধান: আবদুল্লাহ বিন আবদুল্লাহ বিন বায
উপ-প্রধান: আবুর রাযযাক আফীফী
সদস্য: আবদুল্লাহ বিন হাসান বিন কুঊদ।
——————–
অনুবাদক:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সউদী আরব।
——————-
উৎস: ফতোয়া এবং গবেষণা বিষয়ক স্থায়ী কমিটি, সউদী আরব
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সউদী আরব।
——————-
উৎস: ফতোয়া এবং গবেষণা বিষয়ক স্থায়ী কমিটি, সউদী আরব
FRIDAY, 27 NOVEMBER 2015
নামায কিভাবে পড়তে হবে? (পর্ব – ২, শেষ পর্ব)
১ম পর্বের লিংক এখানে
আগের পোস্টে নামাযের যেই জিনিসগুলো বলা বাকী ছিলোঃ
১. নামাযে সানা পড়া সুন্নত। কিন্তু তাই বলে সানা না পড়ে নামায পড়ার চিন্তা করবেন না, সুন্নতগুলো হচ্ছে নামাযের সৌন্দর্য। তাই অন্তত ছোট-বড় যেকোন সানা পড়েই নামায শুরু করবেন ইন শা’ আল্লাহ।
২. নামাযে ভুল আমলঃ
আমাদের দেশে নামায শিক্ষা দেওয়ার সময় বলা হয় – নামাযে “কিয়াম” বা দাঁড়ানো অবস্থায় পুরুষেরা দুই পায়ের মাঝে ৪ আঙ্গুল ফাকা রাখবে আর নারীরা দুই পা মিশিয়ে রাখবে। এইটা সম্পূর্ণ বানোয়াট একটা কথা, কুরআন অথবা সহীহ হাদীসের কোথাও এই কথা লিখা নাই। সঠিক হচ্ছে নারী অথবা পুরুষ নিজের শরীরের গঠন অনুযায়ী আরাম ও স্বস্তিদায়ক হয় এমন পরিমান জায়গা দুই পায়ের মাঝে ফাঁকা রাখবে। এতে সে মধ্যমপন্থা অবলম্বন করবে, খুব বেশি ফাঁকা রাখবেনা আবার দুই পা এমনভাবে মিশিয়েও রাখবেনা যাতে করে দাড়াতেই কষ্ট হয়
৩. নামাযে সুরা ফাতেহা কিভাবে পড়তে হবে?
http://porokalerjonnokaaj.blogspot.com/2014/09/blog-post_193.html
____________________________________
রুকুঃ
সুরা ফাতিহা ও কিরাত পড়া শেষ করে একটু থামবেন (অন্তত এক শ্বাস নেওয়ার সমপরিমান সময়) যাতে করে কিরাত ও রুকুর মাঝে একটু বিচ্ছিন্নতা আসে। এর পরে তাকবীর বলে রুকুতে যাবেন। রুকুতে যাওয়ার আগে ও রুকু থেকে উঠার পরে “তাকবীরের তাহরীমার” মতো দুই হাত কাধ/কান পর্যন্ত তুলে ইশারা করা বা “রাউফুল ইয়াদাইন” করা সুন্নত। রুকুতে যাওয়ার আগে ও রুকু থেকে উঠার পরে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মৃত্যুর আগে পর্যন্ত রাউফুল ইয়াদাইন করতেন, এই কথা অসংখ্য সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমানিত। যারা বলে এই বিধান রহিত হয়ে গেছে, তাদের পক্ষে সহীহ কোন হাদীসের দলীল নেই। আবু দাউদের ২-১টা হাদীসে আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত যেই হাদীসে বলে রাউফুল ইয়াদাইন করতে হবেনা, ইমাম আবু দাউদ নিজেই সেই হাদীসের ব্যপারে মন্তব্য করেছেন যে হাদীসটা সহীনা, যয়ীফ। আর এই জয়ীফ হাদীসের বিপরীতে রাউফুল ইয়াদাইন যে করতে হবে এর পক্ষে একেবারে সহীহ হাদীস আছে অসংখ্য, বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী – এমন কোন হাদীসের কিতাব নাই যে নাই। তাই জয়ীফ হাদীসের উপর ভিত্তি করে অসংখ্য সহীহ হাদীসকে বাদ দেওয়া অত্যন্ত অনুচিত।
আর যারা বলে সাহাবীরা প্রথম যুগে হাতের নিচে মূর্তি রাখতো এইজন্য রাসুলুল্লাহ (সাঃ) রাউফুল ইয়াদাইন করতেন, কিন্তু পরে করতেন না – এই লোকটা ডাহা মিথ্যুক, দাজ্জাল। সাহাবীরা মূর্তি নিয়ে নামায পড়তো – এইরকম কথা সহীহতো দূরের কথা, এমনকি কোন জাল হাদীসেও নাই! শুধুমাত্র রাউফুল ইয়াদাইনের সুন্নতকে ক্যানসেল করার জন্য কোন হিংসুক লোক সম্মানিত সাহাবীদের নামে এইরকম জঘন্য মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে, আল্লাহ তাদের বিচার করুন।
১ম পর্বের লিংক এখানে
আগের পোস্টে নামাযের যেই জিনিসগুলো বলা বাকী ছিলোঃ
১. নামাযে সানা পড়া সুন্নত। কিন্তু তাই বলে সানা না পড়ে নামায পড়ার চিন্তা করবেন না, সুন্নতগুলো হচ্ছে নামাযের সৌন্দর্য। তাই অন্তত ছোট-বড় যেকোন সানা পড়েই নামায শুরু করবেন ইন শা’ আল্লাহ।
২. নামাযে ভুল আমলঃ
আমাদের দেশে নামায শিক্ষা দেওয়ার সময় বলা হয় – নামাযে “কিয়াম” বা দাঁড়ানো অবস্থায় পুরুষেরা দুই পায়ের মাঝে ৪ আঙ্গুল ফাকা রাখবে আর নারীরা দুই পা মিশিয়ে রাখবে। এইটা সম্পূর্ণ বানোয়াট একটা কথা, কুরআন অথবা সহীহ হাদীসের কোথাও এই কথা লিখা নাই। সঠিক হচ্ছে নারী অথবা পুরুষ নিজের শরীরের গঠন অনুযায়ী আরাম ও স্বস্তিদায়ক হয় এমন পরিমান জায়গা দুই পায়ের মাঝে ফাঁকা রাখবে। এতে সে মধ্যমপন্থা অবলম্বন করবে, খুব বেশি ফাঁকা রাখবেনা আবার দুই পা এমনভাবে মিশিয়েও রাখবেনা যাতে করে দাড়াতেই কষ্ট হয়
৩. নামাযে সুরা ফাতেহা কিভাবে পড়তে হবে?
http://porokalerjonnokaaj.blogspot.com/2014/09/blog-post_193.html
____________________________________
রুকুঃ
সুরা ফাতিহা ও কিরাত পড়া শেষ করে একটু থামবেন (অন্তত এক শ্বাস নেওয়ার সমপরিমান সময়) যাতে করে কিরাত ও রুকুর মাঝে একটু বিচ্ছিন্নতা আসে। এর পরে তাকবীর বলে রুকুতে যাবেন। রুকুতে যাওয়ার আগে ও রুকু থেকে উঠার পরে “তাকবীরের তাহরীমার” মতো দুই হাত কাধ/কান পর্যন্ত তুলে ইশারা করা বা “রাউফুল ইয়াদাইন” করা সুন্নত। রুকুতে যাওয়ার আগে ও রুকু থেকে উঠার পরে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মৃত্যুর আগে পর্যন্ত রাউফুল ইয়াদাইন করতেন, এই কথা অসংখ্য সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমানিত। যারা বলে এই বিধান রহিত হয়ে গেছে, তাদের পক্ষে সহীহ কোন হাদীসের দলীল নেই। আবু দাউদের ২-১টা হাদীসে আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত যেই হাদীসে বলে রাউফুল ইয়াদাইন করতে হবেনা, ইমাম আবু দাউদ নিজেই সেই হাদীসের ব্যপারে মন্তব্য করেছেন যে হাদীসটা সহীনা, যয়ীফ। আর এই জয়ীফ হাদীসের বিপরীতে রাউফুল ইয়াদাইন যে করতে হবে এর পক্ষে একেবারে সহীহ হাদীস আছে অসংখ্য, বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী – এমন কোন হাদীসের কিতাব নাই যে নাই। তাই জয়ীফ হাদীসের উপর ভিত্তি করে অসংখ্য সহীহ হাদীসকে বাদ দেওয়া অত্যন্ত অনুচিত।
আর যারা বলে সাহাবীরা প্রথম যুগে হাতের নিচে মূর্তি রাখতো এইজন্য রাসুলুল্লাহ (সাঃ) রাউফুল ইয়াদাইন করতেন, কিন্তু পরে করতেন না – এই লোকটা ডাহা মিথ্যুক, দাজ্জাল। সাহাবীরা মূর্তি নিয়ে নামায পড়তো – এইরকম কথা সহীহতো দূরের কথা, এমনকি কোন জাল হাদীসেও নাই! শুধুমাত্র রাউফুল ইয়াদাইনের সুন্নতকে ক্যানসেল করার জন্য কোন হিংসুক লোক সম্মানিত সাহাবীদের নামে এইরকম জঘন্য মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে, আল্লাহ তাদের বিচার করুন।
SUNDAY, 22 NOVEMBER 2015
প্রশ্নঃ আমরা শুনেছি সূরা মুলক তেলাওয়াত করলে তা পাঠকারীর জন্য সুপারিশ করবে, এই হাদিস কি সহি?
উত্তরঃ সূরা মুলক (৬৭ নং সূরা) তেলাওয়াতের ফজিলত সমূহ বর্ণনা করা হলঃ
1. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, সূরা মুলক তার পাঠকারীর জন্য কিয়ামতের দিন ততক্ষণ পর্যন্ত শাফায়াত করতে থাকবে যতক্ষণ না তাকে ক্ষমা করে হবে। -তিরমিযী
.
2. আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘কুরআনের তিরিশ আয়াত বিশিষ্ট এমন একটি সূরা আছে , যা তার পাঠকারীর জন্য সুপারিশ করবে এবং শেষাবধি তাকেক্ষমা করে দেয়া হবে,সেটা হচ্ছে ‘তাবা-রাকাল্লাযী বিয়্যাদিহিল মূলক’ (সূরা মূলক)।- তিরমিযী (২৮৯১),সুনানে আবু দাউদ(১৪০০), ইবনে মাজাহ (৩৭৮৬)
.
3. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সূরা মুলক পাঠ না করে কখনও ঘুমাতেন না। - তিরমিযী (২৮৯২), মুসনাদে আহমাদ (১৪৬৫৯)
.
4. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি প্রত্যেক মুমিনের অন্তরে সূরা মুলক থাকা পছন্দ করি। - ফতহুল বয়ান।
উত্তরঃ সূরা মুলক (৬৭ নং সূরা) তেলাওয়াতের ফজিলত সমূহ বর্ণনা করা হলঃ
1. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, সূরা মুলক তার পাঠকারীর জন্য কিয়ামতের দিন ততক্ষণ পর্যন্ত শাফায়াত করতে থাকবে যতক্ষণ না তাকে ক্ষমা করে হবে। -তিরমিযী
.
2. আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘কুরআনের তিরিশ আয়াত বিশিষ্ট এমন একটি সূরা আছে , যা তার পাঠকারীর জন্য সুপারিশ করবে এবং শেষাবধি তাকেক্ষমা করে দেয়া হবে,সেটা হচ্ছে ‘তাবা-রাকাল্লাযী বিয়্যাদিহিল মূলক’ (সূরা মূলক)।- তিরমিযী (২৮৯১),সুনানে আবু দাউদ(১৪০০), ইবনে মাজাহ (৩৭৮৬)
.
3. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সূরা মুলক পাঠ না করে কখনও ঘুমাতেন না। - তিরমিযী (২৮৯২), মুসনাদে আহমাদ (১৪৬৫৯)
.
4. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি প্রত্যেক মুমিনের অন্তরে সূরা মুলক থাকা পছন্দ করি। - ফতহুল বয়ান।
.
2. আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘কুরআনের তিরিশ আয়াত বিশিষ্ট এমন একটি সূরা আছে , যা তার পাঠকারীর জন্য সুপারিশ করবে এবং শেষাবধি তাকেক্ষমা করে দেয়া হবে,সেটা হচ্ছে ‘তাবা-রাকাল্লাযী বিয়্যাদিহিল মূলক’ (সূরা মূলক)।- তিরমিযী (২৮৯১),সুনানে আবু দাউদ(১৪০০), ইবনে মাজাহ (৩৭৮৬)
.
3. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সূরা মুলক পাঠ না করে কখনও ঘুমাতেন না। - তিরমিযী (২৮৯২), মুসনাদে আহমাদ (১৪৬৫৯)
.
4. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি প্রত্যেক মুমিনের অন্তরে সূরা মুলক থাকা পছন্দ করি। - ফতহুল বয়ান।
FRIDAY, 20 NOVEMBER 2015
প্রশ্নোত্তরে ইসলামী জ্ঞান
সংকলন ও গ্রন্থনা : মুহা: আবদুল্লাহ্ আল কাফী (লিসান্স, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়)
(১ম পর্ব)
বিষয়: ঈমান ও আক্বীদা
১. প্রশ্নঃ আমাদের সৃষ্টিকর্তার নাম কি?
উত্তরঃ আল্লাহ্।
২. প্রশ্নঃ আল্লাহর কতগুলো নাম রয়েছে?
উত্তরঃ আল্লাহ তা’আলার নাম অসংখ্য-অগণিত।
৩. প্রশ্নঃ আমাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্ কোথায় আছেন?
৪. প্রশ্নঃ আল্লাহর আরশ কোথায় আছে?
উত্তরঃ সাত আসমানের উপর।
৫. প্রশ্নঃ আল্লাহ কি সর্বস্থানে বিরাজমান?
উত্তরঃ না। আল্লাহ্ সবজায়গায় বিরাজমান নন। তিনি সপ্তকাশের উপর সুমহান আরশে সমুন্নত। (সূরা ত্বাহাঃ ৫)
৬. প্রশ্নঃ আল্লাহর কাজ কি?
উত্তরঃ সৃষ্টি করা, রিযিক প্রদান, বৃষ্টি বর্ষণ, লালন-পালন করা, সাহায্য করা, জীবন-মৃত্যু প্রদান, পরিচালনা করা, সবকিছুর উপর কর্তৃত্ব করা, তত্বাবধান করা ইত্যাদি।
৭. প্রশ্নঃ তাওহীদ কাকে বলে?
উত্তরঃ তাওহীদ অর্থ একত্ববাদ। পরিভাষায়ঃ ইবাদতের ক্ষেত্রে আল্লাহকে একক নির্দিষ্ট করার নাম তাওহীদ।
৮. প্রশ্নঃ তাওহীদ কত প্রকার?
উত্তরঃ তাওহীদ ৩ প্রকার।
৯. প্রশ্নঃ তিন প্রকার তাওহীদ কি কি?
উত্তরঃ (১) তাওহীদে রুবূবিয়্যাহ্ বা কর্ম ও পরিচালনার একত্ববাদ (২) তাওহীদে উলূহিয়্যাহ্ বা দাসত্বের একত্ববাদ (৩) তাওহীদে আসমা ওয়া ছিফাত বা নাম ও গুণাবলীর একত্ববাদ।
১০. প্রশ্নঃ তাওহীদে রুবূবিয়্যাহ্ কাকে বলে?
উত্তরঃ আল্লাহ্ তাঁর কর্ম সমূহে একক- তাঁর কোন শরীক নেই, একথা মেনে নেয়ার নাম তাওহীদে রুবূবিয়্যাহ্
১১. প্রশ্নঃ তাওহীদে উলূহিয়্যাহ্ কাকে বলে?
উত্তরঃ বান্দার ইবাদত-বন্দেগী ও দাসত্ব এককভাবে আল্লাহর জন্যে নির্দিষ্ট করার নাম তাওহীদে উলূহিয়্যাহ্।
১২. প্রশ্নঃ তাওহীদে আসমা ওয়াস্ সিফাত কাকে বলে?
উত্তরঃ কুরআন ও হাদীছে আল্লাহর অনেক সুন্দর সুন্দর নাম ও গুণাবলী উল্লেখ রয়েছে, যা তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব ও পরিপূর্ণতার প্রমাণ বহন করে, সেগুলোকে কোন প্রকার ধরণ-গঠন নির্ধারণ না করে বা অস্বীকার না করে সেভাবেই মেনে নেয়ার নাম তাওহীদে আসমা ওয়াস্ সিফাত।
১৩. প্রশ্নঃ তাওহীদে রুবূবিয়্যাহ্র উদাহরণ কি?
উত্তরঃ সৃষ্টি করা, রিযিক দেয়া, বৃষ্টি দেয়া, লালন-পালন করা, সবকিছুর উপর কর্তৃত্ব করা, তত্বাবধান করা ইত্যাদি।
১৪. প্রশ্নঃ তাওহীদে উলূহিয়্যাহ্র উদাহরণ কি?
উত্তরঃ ঈমান, ভয়-ভীতি, আশা-আকাঙ্খা, ভালবাসা, দু’আ-প্রার্থনা, সাহায্য কামনা, উদ্ধার কামনা, রুকূ-সিজদা ইত্যাদি।
১৫. প্রশ্নঃ তাওহীদে আসমা ওয়া ছিফাতের উদাহরণ কি?
উত্তরঃ الرحمن আর্ রাহমান, السميع আস্ সামী’ (শ্রবণকারী) البصير আল বাছীর (মহাদ্রষ্টা), العلو আল ঊলু (সুউচ্চ) ইত্যাদি।
১৬. প্রশ্নঃ আল্লাহর ৯৯টি নাম মুখস- করার ফযীলত কি?
উত্তরঃ মুখস- করে আমল করলে বিনিময় জান্নাত।
১৭. প্রশ্নঃ ‘মুমিনের কলব আল্লাহর আরশ’ এটা কার কথা?
উত্তরঃ এটা মানুষের বানানো কথা। আল্লাহ বা রাসূলের কথা নয়। (জাল হাদীছ)
১৮. প্রশ্নঃ আল্লাহ কি নিরাকার?
উত্তরঃ না। কেননা তাঁর অসি-ত্ব ও সত্তা আছে। যার সত্তা ও অসি-ত্ব থাকে তাকে নিরাকার বলা যায় না।
১৯. প্রশ্নঃ “আল্লাহ সর্বস’ানে বিরাজমান নন, তিনি সপ্তকাশের উপর আরশে থাকেন।” একটি যুক্তি দিয়ে কথাটি বুঝিয়ে দাও।
উত্তরঃ “আল্লাহ্ কোথায় আছেন?” এ প্রশ্নটি ছোট্ট একটি শিশুকে জিজ্ঞেস করলে, তার নিষ্পাপ মুখ থেকে জবাব আসবে ‘তিনি উপরে বা আকাশে আছেন’- সে কখনোই বলবে না ‘আল্লাহ্ সবজায়গায় আছেন’।
২০. প্রশ্নঃ আল্লাহ যদি নিরাকার না হন, তবে তাঁকে কি দেখা সম্ভব?
উত্তরঃ হ্যাঁ, তাঁকে দেখা সম্ভব। তবে এ দুনিয়ায় চর্ম চোখে সম্ভব নয়। আখেরাতে জান্নাতীগণ আল্লাহকে দেখবেন। (সূরা ক্বিয়ামাহ্ঃ ২২-২৩, বুখারী, মুসলিম, নাসাঈ)
২১. প্রশ্নঃ ঈমান কাকে বলে?
উত্তরঃ ঈমান মানে বিশ্বাস। পরিভাষায়ঃ অন-রে বিশ্বাস, মুখে স্বীকার ও কর্মে বাস-বায়নকে ঈমান বলে।
২২. প্রশ্নঃ ঈমান কি কমে ও বাড়ে?
উত্তরঃ হ্যাঁ, ঈমান কমে ও বাড়ে।
২৩. প্রশ্নঃ কিভাবে ঈমান কমে বাড়ে?
উত্তরঃ সৎকাজের মাধ্যমে ঈমান বাড়ে, আর অসৎ কাজ করলে ঈমান কমে।
২৪. প্রশ্নঃ ঈমানের শাখা কতটি?
উত্তরঃ সত্তরের অধিক।
২৫. প্রশ্নঃ ঈমানের সর্বোচ্চ স-র কি?
উত্তরঃ কালেমা ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ পাঠ করা।
২৬. প্রশ্নঃ ঈমানের সর্বনিম্ন শাখা কি?
উত্তরঃ রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু অপসারণ করা।
২৭. প্রশ্নঃ ঈমানের স্তম্ভ কয়টি? কি কি?
উত্তরঃ ঈমানের স্তম্ভ ৬টি। সেগুলো হচ্ছেঃ (১) আল্লাহ (২) ফেরেশতাকুল (৩) আসমানী কিতাব (৪) নবী-রাসূল (৫) শেষ দিবস ও (৬) তক্বদীরের ভাল-মন্দের প্রতি ঈমান
২৮. প্রশ্নঃ ইসলাম কাকে বলে?
উত্তরঃ ইসলাম অর্থ, আত্মসমর্পন। পরিভাষায়ঃ তাওহীদ ও আনুগত্যের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পন করা এবং শির্ক ও মুশরিকদের সাথে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করা।
২৯. প্রশ্নঃ ইসলামের স-ম্ভ কয়টি ও কি কি?
উত্তরঃ ইসলামের স-ম্ভ ৫টি। সেগুলো হচ্ছেঃ (১) কালেমায়ে শাহাদাত উচ্চারণ করা, (২) নামায প্রতিষ্ঠা করা, (৩) যাকাত প্রদান করা (৪) রামাযান মাসে রোযা রাখা (৫) সামর্থ থাকলে আল্লাহর ঘরের হজ্জ আদায় করা।
৩০. প্রশ্নঃ আল্লাহর ফেরেশতাগণ কিসের তৈরী?
উত্তরঃ তাঁরা নূরের তৈরী?
৩১. প্রশ্নঃ ফেরেশতাদের সংখ্যা কত?
উত্তরঃ তাঁদের সংখ্যা কত তা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না।
৩২. প্রশ্নঃ প্রধান চার ফেরেশতার নাম কি?
উত্তরঃ জিবরাঈল, ইসরাফীল, মীকাঈল ও মালাকুল মওত (আঃ)।
৩৩. প্রশ্নঃ ওহী নাযিল করার দায়িত্ব কোন ফেরেশতার ছিল?
উত্তরঃ জিবরাঈল (আঃ) এর।
৩৪. প্রশ্নঃ কোন ফেরেশতাকে সকল ফেরেশতার সরদার বলা হয়?
উত্তরঃ জিবরাঈল (আঃ) কে।
৩৫. প্রশ্নঃ ইসরাফীল (আঃ) এর দায়িত্ব কি?
উত্তরঃ আল্লাহর নির্দেশ ক্রমে শিংগায় ফুৎকার দেয়া।
৩৬. প্রশ্নঃ মীকাঈল ফেরেশতার কাজ কি?
উত্তরঃ তিনি বৃষ্টি বর্ষণ, উদ্ভিদ উৎপাদন প্রভৃতি কাজে নিয়োজিত।
সংকলন ও গ্রন্থনা : মুহা: আবদুল্লাহ্ আল কাফী (লিসান্স, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়)
(১ম পর্ব)
বিষয়: ঈমান ও আক্বীদা
১. প্রশ্নঃ আমাদের সৃষ্টিকর্তার নাম কি?
উত্তরঃ আল্লাহ্।
উত্তরঃ আল্লাহ্।
২. প্রশ্নঃ আল্লাহর কতগুলো নাম রয়েছে?
উত্তরঃ আল্লাহ তা’আলার নাম অসংখ্য-অগণিত।
৩. প্রশ্নঃ আমাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্ কোথায় আছেন?
৪. প্রশ্নঃ আল্লাহর আরশ কোথায় আছে?
উত্তরঃ সাত আসমানের উপর।
৫. প্রশ্নঃ আল্লাহ কি সর্বস্থানে বিরাজমান?
উত্তরঃ না। আল্লাহ্ সবজায়গায় বিরাজমান নন। তিনি সপ্তকাশের উপর সুমহান আরশে সমুন্নত। (সূরা ত্বাহাঃ ৫)
৬. প্রশ্নঃ আল্লাহর কাজ কি?
উত্তরঃ সৃষ্টি করা, রিযিক প্রদান, বৃষ্টি বর্ষণ, লালন-পালন করা, সাহায্য করা, জীবন-মৃত্যু প্রদান, পরিচালনা করা, সবকিছুর উপর কর্তৃত্ব করা, তত্বাবধান করা ইত্যাদি।
৭. প্রশ্নঃ তাওহীদ কাকে বলে?
উত্তরঃ তাওহীদ অর্থ একত্ববাদ। পরিভাষায়ঃ ইবাদতের ক্ষেত্রে আল্লাহকে একক নির্দিষ্ট করার নাম তাওহীদ।
৮. প্রশ্নঃ তাওহীদ কত প্রকার?
উত্তরঃ তাওহীদ ৩ প্রকার।
৯. প্রশ্নঃ তিন প্রকার তাওহীদ কি কি?
উত্তরঃ (১) তাওহীদে রুবূবিয়্যাহ্ বা কর্ম ও পরিচালনার একত্ববাদ (২) তাওহীদে উলূহিয়্যাহ্ বা দাসত্বের একত্ববাদ (৩) তাওহীদে আসমা ওয়া ছিফাত বা নাম ও গুণাবলীর একত্ববাদ।
১০. প্রশ্নঃ তাওহীদে রুবূবিয়্যাহ্ কাকে বলে?
উত্তরঃ আল্লাহ্ তাঁর কর্ম সমূহে একক- তাঁর কোন শরীক নেই, একথা মেনে নেয়ার নাম তাওহীদে রুবূবিয়্যাহ্
১১. প্রশ্নঃ তাওহীদে উলূহিয়্যাহ্ কাকে বলে?
উত্তরঃ বান্দার ইবাদত-বন্দেগী ও দাসত্ব এককভাবে আল্লাহর জন্যে নির্দিষ্ট করার নাম তাওহীদে উলূহিয়্যাহ্।
১২. প্রশ্নঃ তাওহীদে আসমা ওয়াস্ সিফাত কাকে বলে?
উত্তরঃ কুরআন ও হাদীছে আল্লাহর অনেক সুন্দর সুন্দর নাম ও গুণাবলী উল্লেখ রয়েছে, যা তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব ও পরিপূর্ণতার প্রমাণ বহন করে, সেগুলোকে কোন প্রকার ধরণ-গঠন নির্ধারণ না করে বা অস্বীকার না করে সেভাবেই মেনে নেয়ার নাম তাওহীদে আসমা ওয়াস্ সিফাত।
১৩. প্রশ্নঃ তাওহীদে রুবূবিয়্যাহ্র উদাহরণ কি?
উত্তরঃ সৃষ্টি করা, রিযিক দেয়া, বৃষ্টি দেয়া, লালন-পালন করা, সবকিছুর উপর কর্তৃত্ব করা, তত্বাবধান করা ইত্যাদি।
১৪. প্রশ্নঃ তাওহীদে উলূহিয়্যাহ্র উদাহরণ কি?
উত্তরঃ ঈমান, ভয়-ভীতি, আশা-আকাঙ্খা, ভালবাসা, দু’আ-প্রার্থনা, সাহায্য কামনা, উদ্ধার কামনা, রুকূ-সিজদা ইত্যাদি।
১৫. প্রশ্নঃ তাওহীদে আসমা ওয়া ছিফাতের উদাহরণ কি?
উত্তরঃ الرحمن আর্ রাহমান, السميع আস্ সামী’ (শ্রবণকারী) البصير আল বাছীর (মহাদ্রষ্টা), العلو আল ঊলু (সুউচ্চ) ইত্যাদি।
১৬. প্রশ্নঃ আল্লাহর ৯৯টি নাম মুখস- করার ফযীলত কি?
উত্তরঃ মুখস- করে আমল করলে বিনিময় জান্নাত।
১৭. প্রশ্নঃ ‘মুমিনের কলব আল্লাহর আরশ’ এটা কার কথা?
উত্তরঃ এটা মানুষের বানানো কথা। আল্লাহ বা রাসূলের কথা নয়। (জাল হাদীছ)
১৮. প্রশ্নঃ আল্লাহ কি নিরাকার?
উত্তরঃ না। কেননা তাঁর অসি-ত্ব ও সত্তা আছে। যার সত্তা ও অসি-ত্ব থাকে তাকে নিরাকার বলা যায় না।
১৯. প্রশ্নঃ “আল্লাহ সর্বস’ানে বিরাজমান নন, তিনি সপ্তকাশের উপর আরশে থাকেন।” একটি যুক্তি দিয়ে কথাটি বুঝিয়ে দাও।
উত্তরঃ “আল্লাহ্ কোথায় আছেন?” এ প্রশ্নটি ছোট্ট একটি শিশুকে জিজ্ঞেস করলে, তার নিষ্পাপ মুখ থেকে জবাব আসবে ‘তিনি উপরে বা আকাশে আছেন’- সে কখনোই বলবে না ‘আল্লাহ্ সবজায়গায় আছেন’।
২০. প্রশ্নঃ আল্লাহ যদি নিরাকার না হন, তবে তাঁকে কি দেখা সম্ভব?
উত্তরঃ হ্যাঁ, তাঁকে দেখা সম্ভব। তবে এ দুনিয়ায় চর্ম চোখে সম্ভব নয়। আখেরাতে জান্নাতীগণ আল্লাহকে দেখবেন। (সূরা ক্বিয়ামাহ্ঃ ২২-২৩, বুখারী, মুসলিম, নাসাঈ)
২১. প্রশ্নঃ ঈমান কাকে বলে?
উত্তরঃ ঈমান মানে বিশ্বাস। পরিভাষায়ঃ অন-রে বিশ্বাস, মুখে স্বীকার ও কর্মে বাস-বায়নকে ঈমান বলে।
২২. প্রশ্নঃ ঈমান কি কমে ও বাড়ে?
উত্তরঃ হ্যাঁ, ঈমান কমে ও বাড়ে।
২৩. প্রশ্নঃ কিভাবে ঈমান কমে বাড়ে?
উত্তরঃ সৎকাজের মাধ্যমে ঈমান বাড়ে, আর অসৎ কাজ করলে ঈমান কমে।
২৪. প্রশ্নঃ ঈমানের শাখা কতটি?
উত্তরঃ সত্তরের অধিক।
২৫. প্রশ্নঃ ঈমানের সর্বোচ্চ স-র কি?
উত্তরঃ কালেমা ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ পাঠ করা।
২৬. প্রশ্নঃ ঈমানের সর্বনিম্ন শাখা কি?
উত্তরঃ রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু অপসারণ করা।
২৭. প্রশ্নঃ ঈমানের স্তম্ভ কয়টি? কি কি?
উত্তরঃ ঈমানের স্তম্ভ ৬টি। সেগুলো হচ্ছেঃ (১) আল্লাহ (২) ফেরেশতাকুল (৩) আসমানী কিতাব (৪) নবী-রাসূল (৫) শেষ দিবস ও (৬) তক্বদীরের ভাল-মন্দের প্রতি ঈমান
২৮. প্রশ্নঃ ইসলাম কাকে বলে?
উত্তরঃ ইসলাম অর্থ, আত্মসমর্পন। পরিভাষায়ঃ তাওহীদ ও আনুগত্যের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পন করা এবং শির্ক ও মুশরিকদের সাথে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করা।
২৯. প্রশ্নঃ ইসলামের স-ম্ভ কয়টি ও কি কি?
উত্তরঃ ইসলামের স-ম্ভ ৫টি। সেগুলো হচ্ছেঃ (১) কালেমায়ে শাহাদাত উচ্চারণ করা, (২) নামায প্রতিষ্ঠা করা, (৩) যাকাত প্রদান করা (৪) রামাযান মাসে রোযা রাখা (৫) সামর্থ থাকলে আল্লাহর ঘরের হজ্জ আদায় করা।
৩০. প্রশ্নঃ আল্লাহর ফেরেশতাগণ কিসের তৈরী?
উত্তরঃ তাঁরা নূরের তৈরী?
৩১. প্রশ্নঃ ফেরেশতাদের সংখ্যা কত?
উত্তরঃ তাঁদের সংখ্যা কত তা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না।
৩২. প্রশ্নঃ প্রধান চার ফেরেশতার নাম কি?
উত্তরঃ জিবরাঈল, ইসরাফীল, মীকাঈল ও মালাকুল মওত (আঃ)।
৩৩. প্রশ্নঃ ওহী নাযিল করার দায়িত্ব কোন ফেরেশতার ছিল?
উত্তরঃ জিবরাঈল (আঃ) এর।
৩৪. প্রশ্নঃ কোন ফেরেশতাকে সকল ফেরেশতার সরদার বলা হয়?
উত্তরঃ জিবরাঈল (আঃ) কে।
৩৫. প্রশ্নঃ ইসরাফীল (আঃ) এর দায়িত্ব কি?
উত্তরঃ আল্লাহর নির্দেশ ক্রমে শিংগায় ফুৎকার দেয়া।
৩৬. প্রশ্নঃ মীকাঈল ফেরেশতার কাজ কি?
উত্তরঃ তিনি বৃষ্টি বর্ষণ, উদ্ভিদ উৎপাদন প্রভৃতি কাজে নিয়োজিত।
SATURDAY, 31 OCTOBER 2015
সালফে সালেহীনদের মানহাজে বিদআ’তিদের অবস্থান
১. ছুপা বিদাআ’তী (যে অন্তরে নিজের বিদআ’তকে লুকিয়ে রাখে), এমন লোকদেরকে চেনার সহজ উপায়ঃ
ইমাম আল-আউযায়ী রহিমাহুল্লাহ বলেন, “যে ব্যক্তি আমাদের কাছে তার বিদআ’তকে লুকিয়ে রাখে, সে কখনো আমাদের কাছে তার সংগীদেরকে লুকিয়ে রাখতে পারবেনা।”
[আল-ইবানাহঃ ২/৪৭৬]
অর্থাৎ যারা নিজেরা বিদাত প্রকাশ করেনা, কিন্তু বিদাতী লোকদের সাথে উঠা-বসা, বন্ধুত্ব ও ভালোবাসা রাখে, সে ব্যক্তি ঐ বিদাতীদের মতোই।
_________________________
২. বিদআ’তি কোন ব্যক্তির ওয়াজ বা লেকচার শোনা, তার লেখা বই-পুস্তক পড়া বা তার কাছ থেকে ‘ইলম’ নেওয়ার হুকুমঃ
ইমাম আল-বারবাহারি রাহিমাহুল্লাহ বলেন, “কোন বাক্তির মাঝে বিদআ’ত প্রকাশ পেলে, তুমি তার কাছ থেকে সাবধান থেকো। কেননা, সে যা প্রকাশ করে, তা অপেক্ষা সে যা গোপন করে তা অনেক বেশী ভয়ংকর।”
[ইমাম আল-বারবাহারী, শরাহুস সুন্নাহ]
১. ছুপা বিদাআ’তী (যে অন্তরে নিজের বিদআ’তকে লুকিয়ে রাখে), এমন লোকদেরকে চেনার সহজ উপায়ঃ
ইমাম আল-আউযায়ী রহিমাহুল্লাহ বলেন, “যে ব্যক্তি আমাদের কাছে তার বিদআ’তকে লুকিয়ে রাখে, সে কখনো আমাদের কাছে তার সংগীদেরকে লুকিয়ে রাখতে পারবেনা।”
[আল-ইবানাহঃ ২/৪৭৬]
অর্থাৎ যারা নিজেরা বিদাত প্রকাশ করেনা, কিন্তু বিদাতী লোকদের সাথে উঠা-বসা, বন্ধুত্ব ও ভালোবাসা রাখে, সে ব্যক্তি ঐ বিদাতীদের মতোই।
_________________________
২. বিদআ’তি কোন ব্যক্তির ওয়াজ বা লেকচার শোনা, তার লেখা বই-পুস্তক পড়া বা তার কাছ থেকে ‘ইলম’ নেওয়ার হুকুমঃ
ইমাম আল-বারবাহারি রাহিমাহুল্লাহ বলেন, “কোন বাক্তির মাঝে বিদআ’ত প্রকাশ পেলে, তুমি তার কাছ থেকে সাবধান থেকো। কেননা, সে যা প্রকাশ করে, তা অপেক্ষা সে যা গোপন করে তা অনেক বেশী ভয়ংকর।”
[ইমাম আল-বারবাহারী, শরাহুস সুন্নাহ]
FRIDAY, 30 OCTOBER 2015
নামাযের রুকন, ওয়াজিব, সুন্নত ও নামায ভংগের কারণসমূহ
উৎস গ্রন্থঃ “সারা বিশ্বের মুসলিমদের জন্য অত্যাবশ্যকীয় পাঠ সমূহ”
লেখকঃ ইমাম আব্দুল আজিজ বিন আব্দুল্লাহ বিন বায (রহঃ), প্রাক্তন গ্র্যান্ড মুফতি, সৌদি আরাবিয়া।
*এডমিন (আনসারুস সুন্নাহ) কর্তৃক কিছুটা সম্পাদিত। দয়া করে ইসলামিক ফাউন্ডেশান, NTCB, কিংবা আমাদের দেশের বিদাতী হুজুর-মাওলানাদের লেখা "ইসলাম শিক্ষা" কিংবা "নূরানী নামায শিক্ষা" বইয়ের সাথে মিলাতে যাবেন না। কারণ তারা নির্ভরযোগ্য কোন আলেম নন, আর তাদের লিখা বই-পুস্তকে অনেক ভুল তথ্য দেওয়া থাকে। আল্লাহ আমাদের হক্ক কথা বুঝার তোওফিক দান করুন, আমিন।
__________________________________
নামাযে রুকন হচ্ছে মোট ১৪টিঃ
১. সামর্থ্য থাকলে দাঁড়িয়ে নামায পড়া।
২. তাকবীরে তাহরীমাহ অর্থাৎ ‘আল্লাহু আকবার’ বলে নামায শুরু করা।
৩. প্রত্যেকে রাকাতেই সুরা ফাতিহা পাঠ করা।
৪. রুকু’ করা।
৫. রুকু’ থেকে উঠে সোজা হয়ে দাঁড়ানো।
৬. (দুই হাত, দুই পা, দুই হাঁটু ও মুখমন্ডল এই) সাতটি অঙ্গের উপর সিজদা করা।
৭. সিজদা হতে উঠা।
৮. দুই সিজদার মাঝখানে পিঠ সোজা করে বসা।
৯. শেষ বৈঠকে তাশাহ্হুদ (আত্তাহিয়্যাতু...) পড়া।
১০. তাশাহ্হুদ পড়ার সময় বসে থাকা।
১১. নামাযের এই রুকনগুলো ধীর ও স্থিরতার সাথে সম্পাদন করা।
১২. এই রুকনগুলো ধারাবাহিকভাবে একটার পর একটা আদায় করা।
১৩. (শেষ বৈঠকে) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর দরুদ পাঠ করা।
১৪. ডানে ও বামে দুই দিকে সালাম প্রদান করা বা সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করা।
উৎস গ্রন্থঃ “সারা বিশ্বের মুসলিমদের জন্য অত্যাবশ্যকীয় পাঠ সমূহ”
লেখকঃ ইমাম আব্দুল আজিজ বিন আব্দুল্লাহ বিন বায (রহঃ), প্রাক্তন গ্র্যান্ড মুফতি, সৌদি আরাবিয়া।
*এডমিন (আনসারুস সুন্নাহ) কর্তৃক কিছুটা সম্পাদিত। দয়া করে ইসলামিক ফাউন্ডেশান, NTCB, কিংবা আমাদের দেশের বিদাতী হুজুর-মাওলানাদের লেখা "ইসলাম শিক্ষা" কিংবা "নূরানী নামায শিক্ষা" বইয়ের সাথে মিলাতে যাবেন না। কারণ তারা নির্ভরযোগ্য কোন আলেম নন, আর তাদের লিখা বই-পুস্তকে অনেক ভুল তথ্য দেওয়া থাকে। আল্লাহ আমাদের হক্ক কথা বুঝার তোওফিক দান করুন, আমিন।
__________________________________
নামাযে রুকন হচ্ছে মোট ১৪টিঃ
১. সামর্থ্য থাকলে দাঁড়িয়ে নামায পড়া।
২. তাকবীরে তাহরীমাহ অর্থাৎ ‘আল্লাহু আকবার’ বলে নামায শুরু করা।
৩. প্রত্যেকে রাকাতেই সুরা ফাতিহা পাঠ করা।
৪. রুকু’ করা।
৫. রুকু’ থেকে উঠে সোজা হয়ে দাঁড়ানো।
৬. (দুই হাত, দুই পা, দুই হাঁটু ও মুখমন্ডল এই) সাতটি অঙ্গের উপর সিজদা করা।
৭. সিজদা হতে উঠা।
৮. দুই সিজদার মাঝখানে পিঠ সোজা করে বসা।
৯. শেষ বৈঠকে তাশাহ্হুদ (আত্তাহিয়্যাতু...) পড়া।
১০. তাশাহ্হুদ পড়ার সময় বসে থাকা।
১১. নামাযের এই রুকনগুলো ধীর ও স্থিরতার সাথে সম্পাদন করা।
১২. এই রুকনগুলো ধারাবাহিকভাবে একটার পর একটা আদায় করা।
১৩. (শেষ বৈঠকে) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর দরুদ পাঠ করা।
১৪. ডানে ও বামে দুই দিকে সালাম প্রদান করা বা সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করা।
TUESDAY, 27 OCTOBER 2015
দুআ-মুনাজাত : কখন ও কিভাবে
সূচীপত্র
১- অনুবাদকের কথা
২- ভূমিকা
৩- দুআ দুই প্রকার
৪- দুআর ফযীলত বা তৎপর্য
(ক) দুআ এক মহান ইবাদত
(খ) দুআ অহংকার থেকে দূরে রাখে
(গ) দুআ কখনো বৃথা যায় না
৫ -দুআ-মুনাজাতের আদবসমূহ :
(ক) দুআ করার সময় তা কবুল হওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় বিশ্বাস রাখা এবং দৃঢ়তার সঙ্গে দুআ করা
(খ) বিনয় ও একাগ্রতার সঙ্গে দুআ করা এবং আল্লাহর অনুগ্রহ লাভ ও তার শাস্তি থেকে বাঁচার প্রবল আগ্রহ নিয়ে দুআ করা
(গ) আল্লাহর কাছে অত্যন্ত বিনীতভাবে ধর্না দেয়া এবং নিজের দুর্বলতা, অসহায়ত্ব ও বিপদের কথা আল্লাহর কাছে প্রকাশ করা
(ঘ) দুআয় আল্লাহর হামদ-প্রশংসা করা ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি দরূদ পেশ করা
(ঙ) আল্লাহর সুন্দর নামসমূহ ও তাঁর মহৎ গুণাবলি দ্বারা দুআ করা
(চ) পাপ ও গুনাহ ¯^xKvi করে প্রার্থনা করা
(ছ) প্রার্থনাকারী নিজের কল্যাণের দুআ করবে নিজের বা কোনো মুসলিমের অনিষ্টের দুআ করবে না
(জ) সৎকাজের অসীলা দিয়ে দুআ করা
(ঝ) বেশি বেশি ও বার বার দুআ করা
(ঞ) সুখে-দুঃখে সর্বাবস্থায় দুআ করা
(ট) দুআর বাক্য তিনবার করে উচ্চারণ করা
(ঠ) দুআ-মুনাজাতে D”P¯^i পরিহার করা
(ড) দুআ- প্রার্থনার পূর্বে অযু করা
(ঢ) দুআয় দুহাত উত্তোলন করা
(ণ) কিবলামুখী হওয়া
৬-প্রার্থনাকারী যা থেকে দূরে থাকবেন :
(ক) আল্লাহ ছাড়া অন্যের কাছে দুআ করা
(খ) দুআয় সীমালংঘন করা
(গ) আল্লাহর রহমতকে সীমিত করার দুআ করা
(ঘ) নিজের, নিজের পরিবারের বা সম্পদের বিরুদ্ধে দুআ করা
(ঙ) সুর ও ছন্দ সহযোগে দুআ করা
৭- দুআ কবুলের অন্তরায়সমূহ :
(ক) হারাম খাদ্য, হারাম পানীয় ও হারাম বস্ত্র
(খ) সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজের নিষেধ বর্জন করা
(গ) দুআ কবুলে তাড়াহুড়ো করা
(ঘ) অন্তরের উদাসীনতা
(ঙ) ব্যক্তিত্বের এক বিশেষ ধরনের দুর্বলতা
৮- দুআ কবুলের অনুকূল অবস্থা ও সময় :
(ক) আযান ও যুদ্ধের ময়দানে যখন মুজাহিদগণ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে যান
(খ) আযান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়
(গ) সিজদার মধ্যে
(ঘ) ফরজ সালাতের শেষে
(ঙ) জুমুআর দিনের শেষ অংশে
(চ) রাতের শেষ তৃতীয়াংশে
(ছ) দুআ ইউনুস দ্বারা প্রার্থনা করলে
(জ) মুসলিম ভাইয়ের অনুপস্থিতিতে তার জন্য দুআ করা
(ঝ) সিয়ামপালনকারী, মুসাফির, মজলুমের দুআ এবং সন্তানের বিরুদ্ধে মাতা-পিতার দুআ
(ঞ) আরাফা দিবসের দুআ
(ট) বিপদগ্রস্ত ও অসহায় ব্যক্তির দুআ
(ঠ) হজ ও উমরাকারীর দুআ এবং আল্লাহর পথে জিহাদে অংশ গ্রহণকারীর দুআ
৮- পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের পর মুনাজাত :
৯- সালাত শেষে যে সকল দুআ ও জিকির হাদীস দ্বারা প্রমাণিত
সূচীপত্র
১- অনুবাদকের কথা
২- ভূমিকা
৩- দুআ দুই প্রকার
৪- দুআর ফযীলত বা তৎপর্য
(ক) দুআ এক মহান ইবাদত
(খ) দুআ অহংকার থেকে দূরে রাখে
(গ) দুআ কখনো বৃথা যায় না
৫ -দুআ-মুনাজাতের আদবসমূহ :
(ক) দুআ করার সময় তা কবুল হওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় বিশ্বাস রাখা এবং দৃঢ়তার সঙ্গে দুআ করা
(খ) বিনয় ও একাগ্রতার সঙ্গে দুআ করা এবং আল্লাহর অনুগ্রহ লাভ ও তার শাস্তি থেকে বাঁচার প্রবল আগ্রহ নিয়ে দুআ করা
(গ) আল্লাহর কাছে অত্যন্ত বিনীতভাবে ধর্না দেয়া এবং নিজের দুর্বলতা, অসহায়ত্ব ও বিপদের কথা আল্লাহর কাছে প্রকাশ করা
(ঘ) দুআয় আল্লাহর হামদ-প্রশংসা করা ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি দরূদ পেশ করা
(ঙ) আল্লাহর সুন্দর নামসমূহ ও তাঁর মহৎ গুণাবলি দ্বারা দুআ করা
(চ) পাপ ও গুনাহ ¯^xKvi করে প্রার্থনা করা
(ছ) প্রার্থনাকারী নিজের কল্যাণের দুআ করবে নিজের বা কোনো মুসলিমের অনিষ্টের দুআ করবে না
(জ) সৎকাজের অসীলা দিয়ে দুআ করা
(ঝ) বেশি বেশি ও বার বার দুআ করা
(ঞ) সুখে-দুঃখে সর্বাবস্থায় দুআ করা
(ট) দুআর বাক্য তিনবার করে উচ্চারণ করা
(ঠ) দুআ-মুনাজাতে D”P¯^i পরিহার করা
(ড) দুআ- প্রার্থনার পূর্বে অযু করা
(ঢ) দুআয় দুহাত উত্তোলন করা
(ণ) কিবলামুখী হওয়া
৬-প্রার্থনাকারী যা থেকে দূরে থাকবেন :
(ক) আল্লাহ ছাড়া অন্যের কাছে দুআ করা
(খ) দুআয় সীমালংঘন করা
(গ) আল্লাহর রহমতকে সীমিত করার দুআ করা
(ঘ) নিজের, নিজের পরিবারের বা সম্পদের বিরুদ্ধে দুআ করা
(ঙ) সুর ও ছন্দ সহযোগে দুআ করা
৭- দুআ কবুলের অন্তরায়সমূহ :
(ক) হারাম খাদ্য, হারাম পানীয় ও হারাম বস্ত্র
(খ) সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজের নিষেধ বর্জন করা
(গ) দুআ কবুলে তাড়াহুড়ো করা
(ঘ) অন্তরের উদাসীনতা
(ঙ) ব্যক্তিত্বের এক বিশেষ ধরনের দুর্বলতা
৮- দুআ কবুলের অনুকূল অবস্থা ও সময় :
(ক) আযান ও যুদ্ধের ময়দানে যখন মুজাহিদগণ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে যান
(খ) আযান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়
(গ) সিজদার মধ্যে
(ঘ) ফরজ সালাতের শেষে
(ঙ) জুমুআর দিনের শেষ অংশে
(চ) রাতের শেষ তৃতীয়াংশে
(ছ) দুআ ইউনুস দ্বারা প্রার্থনা করলে
(জ) মুসলিম ভাইয়ের অনুপস্থিতিতে তার জন্য দুআ করা
(ঝ) সিয়ামপালনকারী, মুসাফির, মজলুমের দুআ এবং সন্তানের বিরুদ্ধে মাতা-পিতার দুআ
(ঞ) আরাফা দিবসের দুআ
(ট) বিপদগ্রস্ত ও অসহায় ব্যক্তির দুআ
(ঠ) হজ ও উমরাকারীর দুআ এবং আল্লাহর পথে জিহাদে অংশ গ্রহণকারীর দুআ
৮- পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের পর মুনাজাত :
৯- সালাত শেষে যে সকল দুআ ও জিকির হাদীস দ্বারা প্রমাণিত
No comments:
Post a Comment