Wednesday 30 December 2015

বইঃ ফিকহুল আকবর

HBOOK007





রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-

সংক্ষিপ্ত বর্ণনাঃ চারজন প্রসিদ্ধ ইমামের মধ্যে একজন ইমাম আবু হানীফা (রহ)’র লিখিত কিতাব হিসেবে প্রসিদ্ধ “আল-ফিকহুল আকবার”। এটি ছোট বই হলেও ঈমান ও আকীদার উপর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ তাত্পর্য বহন করে। আমাদের সমাজে ফিকহে হানাফীর অনেক অনুসারী হলেও আক্বীদা বিষয়ে আমরা তাঁর মতের সাংঘর্ষিক মত পোষণ করে থাকি। এমনকি অনেকে বিভিন্ন তরীকা অবলম্বন করে থাকি। অথচ ইমাম আবু হানীফার (রহ) ঈমান, আকীদা, সুন্নাত, বিদআত সম্পর্কে কি ধারণা ছিলো তা জানি না। অথচ ইমাম আবু হানীফা (রহ) এই বইটিতে ফিকহ সম্পর্কে আলোচনাই করেননি। বরং তিনি আকীদা সম্পর্কে লিখেছেন। অথচ নাম দিয়েছেন সবচেয়ে বড় ফিকহ অর্থ্যাৎ “আল-ফিকহুল আকবার”। এতে বোঝা যায়, ফিকহের চেয়ে বড় হলো আকীদা। আর আকীদাই সবচেয়ে বড় ফিকহ। এই গ্রন্থে অনুবাদ ও ব্যাখ্যাকারী ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর আরও কয়েকটি বইয়ের সাহায্য নিয়ে বঙ্গানুবাদের পাশাপাশি ব্যাখ্যাও সংকলন করেছেন। তিনি আল-আকীদাহ আত-তাহাব্যিয়াহ, আল-ই’তিকাদ গ্রন্থে ইমাম আবু হানীফার আকীদা বিষয়ক বক্তব্যগুলোও যুক্ত করেছেন। এছাড়া তারাবীহ, রিয়া, উজব, কিয়ামতের আলামত, রাসূলুল্লাহ (সা)-এর সন্তানদের পরিচয় ইত্যাদি অনেক বিষয় তিনি আলোচনা করেছেন।
বইটি দুটি পর্বে বিভক্ত। প্রথম পর্ব তিনটি পরিচ্ছেদে বিভক্ত। প্রথম পরিচ্ছেদে ইমাম আবু হানীফার জীবনী ও মূল্যায়ন, দ্বিতীয় পরিচ্ছেদে ইমাম আবু হানীফার রচনাবলি ও তৃতীয় পরিচ্ছেদে ইলমুল আকীদা ও ইলমুল কালাম বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
দ্বিতীয় পর্বে আল-ফিকহুল আকবার গ্রন্থের অনুবাদ ও ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এই গ্রন্থের বক্তব্যগুলোকে ধারাবাহিকভাবে বিন্যস্ত করে পাঁচটি পরিচ্ছেদে ভাগ করা হয়েছে। প্রত্যেক পরিচ্ছেদে ইমাম আযমের বক্তব্যের ধারাবাহিতায় আলোচ্য বিষয় ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
ফিকহুল আকবর – Mediafire

ঈমান ও আক্বীদার মানদণ্ডে থার্টিফাস্ট নাইট


লেখক: আবদুল্লাহিল হাদী মু. ইউসুফ
সম্পানায়: আব্দুল্লাহিল হাদী আব্দুল জলীল
ভূমিকা: প্রতি বছর ৩১ ডিসেম্বরের রাতটিকে বিশ্বের অনেক দেশে থার্টিফাস্ট রাত হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। ইদানীং আমাদের দেশেও এই রাতটি উক্ত নামে আখ্যায়িত হচ্ছে। যদিও ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন রেওয়াজ বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের দেশেও আগে থেকে চলে আসছে। কিন্তু গত কয়েক বছর থেকে বর্ষবরণের সাথে সাথে যোগ হয়েছে এই নূতন কথাটি “থার্টি ফাস্ট নাইট” যা হয়তো আরও ১০-১৫ বছর আগে মানুষ শুনে নাই।
প্রিয় পাঠক, আজ আপনাদের সামনে আলোচনা করতে চাই এই থার্টি ফাস্ট নাইট নিয়ে।
নিঃসন্দেহে ‘থার্টি ফাস্ট নাইট’ এটি মুসলমানদের কোন বিষয় নয় বরং এটি সর্ব প্রথম অমুসলিমরাই আবিষ্কার করেছে। তাই আসুন দেখি তারা কিভাবে এই রাতটি উপভোগ করে?
একেক দেশে একেক সংস্কৃতির মাধ্যমে র্বষবরণ অনুষ্ঠিত হয়। একজন অন্য জনের গায়ে পানি ছিটিয়ে থাইল্যান্ডরে উৎসব, আঙুর খেয়ে স্পেনের উৎসব, নবর্বষরে শুরুতে ঘুমালে চোখের ভ্রু সাদা হয়ে যায় সে কারণে শুরুর সময়টাতে না ঘুমিয়ে কোরিয়ানদের উৎসব, রাত ১২টা বাজার সাথে সাথে বারোটি ঘণ্টা বাজানোর মাধ্যমে মেক্সিকোর উৎসব, ভোর হওয়ার সাথে শিক্ষকদের নিকট দীর্ঘায়ু কামনা করে ভিয়েতনামের উৎসব, পরিবারের সব সদস্যদের একত্রে রাতরে আহার করার মাধ্যমে আর্জেন্টিনা উৎসব, সাদা পোশাক পরিধান করে ব্রাজিল বাসীর উৎসব পালিত হয়। (এই অংশটি নেট থেকে সংগৃহীত)
এই আবিষ্কারকদের উৎসব পালনের পদ্ধতি যেখানে কিছু কুসংস্কার এবং কিছু শালীন কর্ম কাণ্ড রয়েছে।
আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে নবাবিষ্কৃত এরাতের ভয়াবহতা:
আমারা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র। আমাদের দেশে এই রাত পালন হচ্ছে, নাচ,গান,বেহায়াপনা এবং চরম অশ্লীলতার লেটেস্ট রূপ ডিজে পার্টির মাধ্যমে।
প্রিয় পাঠক, দুঃখ জনক হলেও বাস্তব সত্য হল এই যে, ব্যক্তি স্বাধীনতা ও মর্ডানিজমের নামে তরুণ-তরুণীরা এ রাতে ‘মার্ডার’ হচ্ছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:

Wednesday 23 December 2015

‘ঈদে মীলাদুন্নবী’ সা. সম্পর্কে একগুচ্ছ কালেকশন (প্রবন্ধ, প্রশ্নোত্তর, বই, অডিও, ভিডিও বক্তৃতা ইত্যাদি)


ঈদে মীলাদুন্নবী সা. সম্পর্কে একগুচ্ছ কালেকশন
(প্রবন্ধ, প্রশ্নোত্তর, বই, অডিও, ভিডিও বক্তৃতা ইত্যাদি)
‘ঈদে মীলাদুন্নবী’ উদযাপন করা বা তাকে ‘শ্রেষ্ঠ ঈদ’ হিসেবে আখ্যায়িত করে উৎসব পালন করা কি ইসলাম সমর্থন করে? নিচে এ প্রসঙ্গে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু লেখা সংকলন করা হয়েছে। এগুলোর  মধ্যে রয়েছে, আলেমগণের লিখিত প্রবন্ধ, ভিডিও, অডিও বক্তৃতা এবং বই। লিংকগুলোতে ক্লিক করে ঈদে মীলাদুন্নবীর বিভিন্ন দিক সম্পর্কে নিজে জানুন এবং অন্যকে জানানোর চেষ্টা করুন। আল্লাহই একমাত্র তওফীক দাতা।
১৪)  ঈদে মিলাদুন্নবী (শাইখ মতিউর রহমান মাদানী এর অডিও লেকচার)
১৫) ঈদে মিলাদুন্নবী (শাইখ মতিউর রহমান মাদানী এর ভিডিও লেকচার)
১৭) বই ডাউনলোড: মীলাদ প্রসঙ্গ (পিডিএফ-লেখক: ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল গালিব)
আল্লাহ্‌ আমাদের হক্ক কথা জানার এবং মানার তাউফিক দান করুন। আমিন
কৃতজ্ঞতা: কুরআনের আলো

ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী প্রবর্তন ও প্রবর্তক: একটি ঐতিহাসিক পর্যালোচনা


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
Masjid e Nabi <Courtesy:http://islamicamazingpictures.blogspot.com>পরম করুণাময় আল্লাহর নামে শুরু করছি। তাঁর জন্যই সকল প্রশংসা। সালাত ও সালাম মহান রাসূল, আল্লাহর হাবীব ও মানবতার মুক্তিদূত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, তাঁর পরিবারবর্গ ও সঙ্গীদের উপর। আজকের বিশ্বে মুসলিম উম্মার অন্যতম উৎসবের দিন হচ্ছে ‘‘ঈদে মীলাদুন্নবী’’। সারা বিশ্বের বহু মুসলিম অত্যন্ত জাঁকজমক, ভক্তি ও মর্যাদার সাথে আরবী বৎসরের ৩য় মাস রবিউল আউআল মাসের ১২ তারিখে এই‘‘ঈদে মীলাদুন্নবী’’ বা নবীর জন্মের ঈদ পালন করেন। কিন্তু অধিকাংশ মুসলিমই এই ‘‘ঈদের’’ উৎপত্তি ও বিকাশের ইতিহাসের সাথে পরিচিত নন। যে সকল ব্যক্তিত্ব এই উৎসব মুসলিম উম্মার মধ্যে প্রচলন করেছিলেন তাঁদের পরিচয়ও আমাদের অধিকাংশের অজানা রয়েছে। এই নিবন্ধে আমি উপরোক্ত বিষয়গুলি আলোচনার চেষ্টা করব।

১) ঈদে মীলাদুন্নবী: পরিচিতি:

  • ক) ‘‘মীলাদ’’ শব্দের অর্থ ও ব্যাখ্যা:মীলাদ শব্দের আভিধানিক অর্থ: জন্মসময়। এই অর্থে ‘‘মাওলিদ’’ শব্দটিও ব্যবহৃত হয়[1]। আল্লামা ইবনে মানযূর তাঁর সুপ্রসিদ্ধ আরবী অভিধান ‘‘লিসানুল আরবে’’ লিখছেন:“ميلاد الرجل: اسم الوقت الذي ولد فيه” অর্থাৎ: ‘‘লোকটির মীলাদ: যে সময়ে সে জন্মগ্রহণ করেছে সে সময়ের নাম”[2]। স্বভাবত:ই মুসলিমগণ ‘‘মীলাদ’’ বা ‘‘মীলাদুন্নবী’’ বলতে শুধুমাত্র রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর জন্মের সময়ের আলোচনা করা বা জন্ম কথা বলা বোঝান না। বরং তাঁরা ‘‘মীলাদুন্নবী’’ বলতে রাসূলুল্লাহ্র (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের) জন্মের সময় বা জন্মদিনকে বিশেষ পদ্ধতিতে উদযাপন করাকেই বোঝান। আমরা এই আলোচনায় ‘‘মীলাদ’’ বা ‘‘ঈদে মীলাদুন্নবী’’ বলতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্ম উদযাপন বুঝাব। তাঁর জন্ম উপলক্ষে কোন আনন্দ প্রকাশ, তা তাঁর জন্মদিনেই হোক বা জন্ম উপলক্ষে অন্য কোন দিনেই হোক যে কোন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁর জন্ম পালন করাকে আমরা ‘‘মীলাদ’’ বলে বোঝব। শুধুমাত্র তাঁর জীবনী পাঠ, বা জীবনী আলোচনা, তাঁর বাণী, তাঁর শরী‘আত বা তাঁর হাদীস আলোচনা, তাঁর আকৃতি বা প্রকৃতি আলোচনা করা মূলত: মুসলিম সমাজে মীলাদ বলে গণ্য নয়। বরং জন্ম উদযাপন বা পালন বা জন্ম উপলক্ষে কিছু অনুষ্ঠান করাই মীলাদ বা ঈদে মীলাদুন্নবী হিসেবে মুসলিম সমাজে বিশেষভাবে পরিচিত।
  • খ) মীলাদ’’ বা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্মদিন:মীলাদ অনুষ্ঠান যেহেতু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মদিন পালন কেন্দ্রিক, তাই প্রথমেই আমরা তাঁর জন্মদিন সম্পর্কে জানতে চেষ্টা করব। স্বভাবত:ই আমরা যে কোন ইসলামী আলোচনা কুরআনুল কারীম ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদীসের আলোকে শুরু করি। কুরআনুল কারীমে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ‘‘মীলাদ’’ অর্থাৎ তাঁর জন্ম, জন্ম সময় বা জন্ম উদযাপন বা পালন সম্পর্কে কিছুই বলা হয়নি। কুরআন করীমে পূর্ববতী কোন কোন নবীর জন্মের ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে, তবে কোথাও কোনভাবে কোন দিন, তারিখ, মাস উল্লেখ করা হয় নি। অনুরূপভাবে ‘‘মীলাদ’’ পালন করতে, অর্থাৎ কারো জন্ম উদযাপন করতে বা জন্ম উপলক্ষে আলোচনার মাজলিস করতে বা জন্ম উপলক্ষে আনন্দ প্রকাশের কোন নির্দেশ, উৎসাহ বা প্রেরণা দেওয়া হয় নি। শুধুমাত্র আল্লাহর মহিমা বর্ণনা ও শিক্ষা গ্রহণের জন্যই এসকল ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে। ঐতিহাসিক তথ্যাদি আলোচনার মাধ্যমে এর আত্মিক প্রেরণার ধারাবাহিকতা ব্যহত করা হয় নি। এজন্য আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্মদিন সম্পর্কে আলোচনায় মূলত: হাদীস শরীফ ও পরবর্তী যুগের মুসলিম ঐতিহাসিক ও আলেমগণের মতামতের উপর নির্ভর করব:

মীলাদের উৎপত্তি ও মীলাদপন্থীদের জবাব


goth-black-plain-backgroundবিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
মীলাদের উৎপত্তি ও মীলাদপন্থীদের জবাব
অনুবাদ ও সম্পাদনা:  আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
ঈদে মীলাদুন্নবী এর শুরুর কথা:
মীলাদের আবিষ্কারক বনী উবায়দিয়া বা ফাতেমীয় সম্প্রদায়:
ইসলামের সোনালী অধ্যায়ের তিন শতাব্দী তথা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর যুগ,সাহাবীদের যুগ এবং তাবেঈদের যুগ পার হয়ে গেলেও ইতিহাসে কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না যে,কোন একজন সাহাবী,তাবেঈ,তাবে তাবেঈ এবং তাদের পরর্তিতে কেউ মীলাদ উদযাপন করেছেন। কিন্তু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি তাদের কি কম ছিলবরং তারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে প্রচণ্ডভাবে ভালবাসত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নাত সম্পর্কে তারা ছিলেন সবচেয়ে বেশি জ্ঞানী এবং ইসলামী শরীয়তের বিধিবিধান বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তারা ছিলেন সবচেয়ে বেশি আগ্রহী।
এই বিদআতকে যারা সর্বপ্রথম রূপদান করে তারা হলবনী উবাইদ আল কাদ্দাহ। এরা নিজেদেরকে ফাতেমী বলে অবিহিত করত এবং নিজেদেরকে আলী রা. এর বংশধর বলে দাবী করত।
বনী উবায়দিয়া বা ফাতেমীয় সম্প্রদায়ের পরিচয় ও তাদের আসল রূপ:
শাইখুল ইসলাম ইবন তাইমিয়া রাহ.কে এই ফাতেমীদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা কর হলে তিনি উত্তরে বলেন:
“তারা ছিল জঘণ্য ধরণের পাপাচারী এবং নিকৃষ্ট কাফের। কেউ যদি তাদেরকে ঈমানদার এবং পরহেযগার বলে স্বাক্ষ্য দেয় অথবা তাদের বংশ পরম্পরাকে সঠিক বলে স্বীকৃতি দেয় তবে তারা এমন বিষয়ে কথা বলল যে ব্যাপারে কোন জ্ঞান নেই।  অথচ আল্লাহ তাআলা বলেছেন,
وَلَا تَقْفُ مَا لَيْسَ لَكَ بِهِ عِلْمٌ
 “সে বিষয়ের পিছে ছুটনা যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই।[1]
 আল্লাহ তাআলা আরও বলেন:
إِلَّا مَن شَهِدَ بِالْحَقِّ وَهُمْ يَعْلَمُونَ
 “তবে যারা জেনে-শুনে সত্য স্বাক্ষ্য দিল।”[2]
এ সকল লোকদের ব্যাপারে সমস্ত আলেম সমাজইমামগণ এবং সর্বস্তরের মানুষ সাক্ষ্য দেয় যেএরা ছিল নাস্তিক,ধর্মচ্যুত এবং মুনফিক। এরা বাহ্যিকভাবে যদিও ইসলাম প্রকাশ করত কিন্তু তাদের অন্তরে লুকানো ছিল কুফুরী। সুতারাং কেউ যদি তাদের ঈমানের স্বাক্ষ্য দেয় তবে সে এমন বিষয়ে স্বাক্ষ্য দিল যে ব্যাপারে তার জ্ঞান নেই। কারণ,তাদের কার্যক্রম থেকে এমন কিছু পাওয়া যায় না যাতে তাদের ঈমানের প্রমাণ পাওয়া যায়।
অনুরূপভাবে তাদের বংশগত সম্পর্কের ব্যাপারেও অধিকাংশ আলেমগণ দোষারোপ করেছেন। তারা বলেছেন,প্রকৃতপক্ষে এরা অগ্নীপুজক অথবা ইহুদীদের সন্তান এবং এটাই হানাফীমালেকীশাফেঈ,হাম্বলীদের অনেক আলেমের প্রসিদ্ধ মতামত। এমনকি মুহাদ্দেসীনগণ,আহলে কালাম,বংশ বিশেষজ্ঞ এবং সাধারণ মানুষেরও মন্তব্য এটাই। যে সকল লেখক মানুষের জীবন পঞ্জিকা এবং ইতিহাস লেখেছেন তারাও এ বিষয়টি তাদের বইয়ে উল্লেখ করেছেন।

ঈদে মীলাদুন্নবী (শরীয়তের দৃষ্টিতে কতটুকু শুদ্ধ?)


কয়েক বছর পূর্বে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার এক মসজিদে উপস্থিত হলাম প্রতিদিনের মত এশার নামাজ আদায় করতে। দেখলাম আজ মসজিদ কানায় কানায় পূর্ণ। অন্য দিনের চেয়ে কম হলেও মুসল্লীদের সংখ্যা দশগুণ বেশী। সাধারণত এ দৃশ্য চোখে পড়ে রমজান ও শবেকদরে। মনে করলাম হয়তো আজ কারো বিবাহ অনুষ্ঠান কিংবা জানাযা। এত লোক সমাগমের কারণ জিজ্ঞেস করলাম ইমাম সাহেবকে। তিনি বললেন আজ ১২ই রবিউল আউয়ালের রাত। মীলাদুন্নবীর উৎসবের রাত।
সম্মানিত পাঠক!
এ রাত ও পরবর্তী দিন ১২ ই রবিউল আউয়াল অত্যন্ত জাকজমকপূর্ণভাবে এক সময় পালিত হত বৃহত্তর চট্রগ্রাম, নোয়াখালী,ও সিলেটের কিছু অঞ্চলে। দেশের অন্যান্য এলাকায়ও পালিত হত তবে তুলনামুলক কম গুরুত্বে । এ রাতে খাওয়া-দাওয়া,আনন্দ উৎসবে মুখর হয়ে উঠে অনেক পাড়া-মহল্লা। যারা এটা পালন করে তাদের উৎসব মুখরতা দেখলে মনে হবে নিশ্চয়ই এটা হবে মুসলিমদের সবচেয়ে বড় উৎসবের দিন। আর এটা তাদের অনেকে বিশ্বাসও করে। তাইতো শ্লোগান দেয়, দেয়ালে লিখে “সকল ঈদের সেরা ঈদ, ঈদে মীলাদ।”
কিন্তু বাস্তবে কি তাই? ইসলাম ধর্মে ঈদে মীলাদ বলতে কি কিছু আছে? ইসলামে ঈদ কয়টি? নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্ম দিবস কি ১২ই রবিউল আউয়াল? নিশ্চিত ও সর্ব সম্মতভাবে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওফাত বা মৃত্যু দিবস কি ১২ই রবিউল আউয়াল নয়? যে দিনে রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইন্তেকাল করলেন সে দিনে আনন্দ উৎসব করা কি নবী প্রেমিক কোন মুসলমানের কাজ হতে পারে? শরীয়তের দৃষ্টিতে ঈদে মীলাদ পালন করা কি জায়েয? এটা কি বিধর্মীদের অনুকরণ নয়?
এ সকল প্রশ্নের উত্তর খুজতে গিয়ে এ সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনা।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জন্ম দিবস কবে?
কোন তারিখে রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জন্ম গ্রহণ করেছেন তা নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতভেদ আছে। অনেকের মতে তার জন্ম দিন হল ১২ই রবিউল আউয়াল। আবার অনেকের মতে ৯ ই রবিউল আউয়াল। কিন্তু বর্তমানে আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের উন্নতির ফলে গবেষণা করে প্রমান করা সম্ভব হয়েছে যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জন্মদিন আসলে ছিল ৯ই রবিউল আউয়াল সোমবার। বর্তমান বিশ্বে সকলের নিকট সমাদৃত, সহীহ হাদীস নির্ভর বিশুদ্ধতম সীরাতগ্রন্থ হল ‘আর-রাহীক আল-মাখতূম’। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জন্ম দিবস সম্পর্কে এ গ্রন্থে বলা হয়েছে ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৫৭১ খৃস্টাব্দে ৯ই রবিউল আউয়াল মোতাবেক ২০ এপ্রিল সোমবার প্রত্যুষে জন্ম গ্রহণ করেন। এটা গবেষণার মাধ্যমে প্রমান করেছেন যুগের প্রখ্যাত আলেম মুহাম্মাদ সুলাইমান আল-মানসূর ও মিশরের প্রখ্যাত জোতির্বিজ্ঞানী মাহমূদ পাশা।

Monday 21 December 2015

বইঃ বিতর সালাত/নামায


শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু
Salatul_Witrসংক্ষিপ্ত বর্ণনাঃ   বিতর নামায অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি নামায। এ ব্যাপারে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমাদের জানা দরকার। ‌যেমন:
  • বিতর নামায কি ওয়াজিব না সুন্নাত?
  • বিতর নামায পড়ার পদ্ধতি কি?
  •  আমাদের দেশে যেভাবে বিতর নামায  কতটুকু দলীল ভিত্তিক?
  • তিন রাকাআতের কম বা বেশি কি বিতর নামায পড়া যায়? যেমন এক রাকআত, ৫ রাকাআত, ৭ রাকাআত ইত্যাদি
  • দুআ কুনুত কি এবং তা কখন কিভাবে পড়ব?
  • বিতর নাময ছুটে গেলে কাযা পড়া যায় কি?
ইত্যাদি বিষয়ের উত্তর দিয়ে সাজানো এই বইটি। এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট হচ্ছে প্রতিটি বিষয়ই রেফারেন্স সহকারে উল্লেখ করা হয়েছে। বাংলা ভাষায়  বিতর নামায সম্পর্কে এমন দলীল সমৃদ্ধ বই এটাই প্রথম।

Thursday 17 December 2015

একশতটি কবীরা গুনাহ:


______________________
1. আল্লাহর সাথে শিরক করা
2. নামায পরিত্যাগ করা
3. পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া
4. অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যা করা
5. পিতা-মাতাকে অভিসম্পাত করা
6. যাদু-টোনা করা
7. এতীমের সম্পদ আত্মসাৎ করা
8. জিহাদের ময়দান থেকে থেকে পলায়ন
9. সতী-সাধ্বী মু‘মিন নারীর প্রতি অপবাদ
10. রোযা না রাখা
11. যাকাত আদায় না করা
12. ক্ষমতা থাকা সত্যেও হজ্জ আদায় না করা
13. যাদুর বৈধতায় বিশ্বাস করা
14. প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়া
15. অহংকার করা
16. চুগলখোরি করা (ঝগড়া লাগানোর উদ্দেশ্যে একজনের কথা আরেকজনের নিকট লাগোনো)
17. আত্মহত্যা করা
18. আত্মীয়তা সম্পর্ক ছিন্ন করা
19. অবৈধ পথে উপার্জিত অর্থ ভক্ষণ করা
20. উপকার করে খোটা দান করা
21. মদ বা নেশা দ্রব্য গ্রহণ করা
22. মদ প্রস্তুত ও প্রচারে অংশ গ্রহণ করা
23. জুয়া খেলা
24. তকদীর অস্বীকার করা
25. অদৃশ্যের খবর জানার দাবী করা
26. গণকের কাছে ধর্না দেয়া বা গণকের কাছে অদৃশ্যের খবর জানতে চাওয়া
27. পেশাব থেকে পবিত্র না থাকা
28. রাসূল (সা:)এর নামে মিথ্যা হাদীস বর্ণনা করা
29. মিথ্যা স্বপ্ন বর্ণনা করা
30. মিথ্যা কথা বলা

নারীদের বিবাহের জন্যে ‘ওয়ালী’ বা অভিভাবক ও তার শর্তাবলী, অভিভাবকের বাঁধা ও করণীয়


লিখেছেনঃ শায়খ আব্দুল্লাহিল আল-কাফী।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,
“(নারীদের জন্যে) ওয়ালী বা অভিভাবক ব্যতীত কোন বিবাহ নেই।”
সুনানে তিরমিযীঃ ১১০১, সুনানে আবু দাউদঃ ২০৮৫; শায়খ আলবানী (রহঃ) হাদিসটিকে ‘সহীহ’ বলেছেন।
তিনি আরো বলেন, “যে নারী নিজে নিজের বিবাহ সম্পন্ন করবে তার বিবাহ, বাতিল, বাতিল বাতিল। অভিভাবকরা যদি ঐ নারীর বিবাহে বাঁধা সৃষ্টি করে, তবে যার ওয়ালী নেই সুলতান বা শাসক তার ওলী বা অভিভাবক হবে।”
মুসনাদে আহমাদ, তিরমিযীঃ ১১০২, আবু দাউদঃ ২০৮৩, ইবনে মাজাহ, মিশকাতঃ ৩১৩১।
তাই কোন নারীর বিবাহের জন্য ‘ওয়ালী’ বা অভিভাবক আবশ্যক। অভিভাবক উপযুক্ত হওয়ার জন্য ৬টি শর্ত রয়েছেঃ
(১) ‘আকল’ বা বিবেক সম্পন্ন হওয়া (পাগল হলে হবে না)
(২) প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া
(৩) স্বাধীন হওয়া
(৪) পুরুষ হওয়া (বিবাহের ক্ষেত্রে কোন নারী অন্য একজন নারীর অভিভাবক হতে পারবে না)
(৫) অভিভাবক ও যার অভিভাবক হচ্ছে উভয়ে একই দ্বীনের অনুসারী হওয়া। (কোন কাফের ব্যক্তি মুসলিম নারীর অভিভাবক হতে পারবে না। কোন মুসলিম কোন কাফের নারীর অভিভাবক হবে না।)
(৬) অভিভাবক হওয়ার উপযুক্ত হওয়া। (অর্থাৎ বিবাহের জন্য ‘কুফূ’ বা তার কন্যার জন্য যোগ্যতা সম্পন্ন বা সমকক্ষ পাত্র নির্বাচন করার জ্ঞান থাকা ও বিবাহের কল্যাণ-অকল্যাণের বিষয় সমূহ অনুধাবন জ্ঞান থাকা)।
অভিভাবক হওয়ার শর্তঃ
উপরের কোন একটি শর্ত না পাওয়া গেলে তখন ঐ ব্যক্তি অভিভাবকত্ব হারাবে, তখন ঐ অভিভাবকত্ব পরবর্তী নিকটতম ব্যক্তির নিকট স্থানান্তরিত হবে। যেমন বাবা (অযোগ্য বা মৃত হলে) দাদা ওয়ালী হবে, বাবা এবং দাদা না থাকলে তারপর নারীর ভাই, প্রাপ্তবয়ষ্ক ভাই না থাকলে তার চাচা ওয়ালী হবে ইত্যাদি। শেষ পর্যন্ত যদি কেউ না থাকে, তবে দেশের ‘মুসলিম শাসক’ বা তার প্রতিনিধি বা গভর্ণর ঐ নারীর অভিভাবক হিসেবে গণ্য হবে।
বিবাহের ক্ষেত্রে সমকক্ষতা বা যোগ্যতাঃ
কোন যুবক যদি দ্বীনদারী ও চরিত্রের দিক থেকে পছন্দনীয় হয়, অর্থাৎ সে আল্লাহকে ভয় করে চলে ফরয ইবাদত সমূহ যথাযথ আদায় করে যাবতীয় হারাম থেকে বেঁচে চলে এবং আচরণ ও চরিত্রের দিক থেকে উত্তম হয়, তবে সেই সর্বাধিক উপযুক্ত পাত্র। এ সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,
“তোমাদের নিকট যদি এমন পাত্র বিবাহের প্রস্তাব নিয়ে আসে যার দ্বীনদারী ও চরিত্র তোমাদের নিকট পছন্দসই, তবে তার সাথে তোমাদের কন্যাদের বিবাহ দিয়ে দাও। যদি তোমরা এরূপ না কর (দ্বীনদার ও চরিত্রবান পাত্রকে প্রত্যাখ্যান কর এবং তাদের সাথে কন্যাদের বিবাহ না দাও) তবে এর কারণে পৃথিবীতে অনেক বড় ফেতনা-ফাসাদ সৃষ্টি হবে। (তিরমিযী)

Tuesday 15 December 2015

‘বড়পীর’ আব্দুল ক্বাদীর জিলানি (রহঃ) কে ছিলেন? ‘কাদেরীয়া তরীকাহর’ অনুসরণ করা যাবে?


প্রশ্নঃ বড়পীর আব্দুল ক্বাদীর জিলানি (রহঃ) কে ছিলেন? কাদেরীয়া তরীকাহর অনুসরণ করা যাবে?
উত্তরঃ আব্দুল ক্বাদীর জিলানি (রহঃ) তাবারিস্থানেরজিলান নামক অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার জন্মভূমি জিলান-এ, এখান থেকে তিনিজিলানী নামে পরিচিত পান। তার জন্ম হয়েছিলো ৪৭১ হিজরীতে, এবং মৃত্যু ৫৬১ হিজরীতে। আক্বীদাহগত দিক থেকে তিনি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামআত এর অনুসারী ছিলেন, এবং ফিকহের দিক থেকে তিনি হাম্বালি মাযহাব এর অনুসারী ছিলেন। প্রসংগক্রমে উল্লেখ্য, প্রচলিত চারটি মাযহাবের মাঝে ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল (রহঃ) এর ফিকহি মাসলা-মাসায়েলগুলো সুন্নতের সবচাইতে নিকটবর্তী।
ইমাম আয-যাহাবী (রহঃ) আব্দুল ক্বাদীর জিলানি (রহঃ) সম্পর্কে লিখেছেন, তিনি তার যুগের একজন বড় উস্তাদ, আলেম, যাহিদ (দুনিয়া বিমুখ ও পরকালমুখী), আরিফ (আল্লাহর জন্যে নিজেকে একনিষ্ঠভাবে উৎসর্গীকৃত বান্দা) এবং আলমে-আওলিয়া (আল্লাহর নৈকটশীল প্রিয় বন্ধুদের একজন) ছিলেন।
সিয়ার আলাম আন-নুবালাঃ ২০/৪৩৯।
স্বাভাবিকভাবেই চারিদিকে তার সুনাম ছড়িয়ে পড়েছিলো। তিনি বেশ কিছু বই লিখেছেন যার মাঝে গুনিয়াতুত-ত্বালিবিনও ফুতুহ আল-গায়েববিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। কোন আলেমই ভুলের উর্ধে নন, তার কিতাবগুলোতে কিছু ভুল পাওয়া যায়, যেইগুলো মারাত্বক নয়, এবং দ্বীনের জন্যে তার খেদমতের তুলনায় সেইগুলো নগণ্য। এ কারণে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামআতের কাছে তিনি একজন প্রসিদ্ধ ইমাম হিসেবেই বিবেচিত।
_______________________

ডাউনলোড করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন: ইসলামে মানবাধিকার


manobadhikarইসলামে মানবাধিকার
মূল: শাইখ সালিহ বিন আব্দুল আযীয আলুশ শাইখ
সাবেক ধর্ম মন্ত্রী, সউদী আরব
অনুবাদক: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্সে সেন্টার, সউদী আরব
সম্পাদক: শাইখ আবদুল্লাহ আল কাফী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্সে সেন্টার, সউদী আরব
সূচীপত্র
১.অনুবাদকের কথা
২.ভূমিকা
৩.ইসলাম একটি পরিপূর্ণ ও চিরন্তন জীবন ব্যবস্থার নাম১১
৪.ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করার প্রয়োজনীয়তা১২
৫.ইসলামের দৃষ্টিতে অধিকার দু প্রকার১৩
৬.মানবাধিকার (Human rights)১৭
৭.মানবাধিকার কথাটি কোথা থেকে আসল?১৭
৮.জাতিসঙ্ঘ ঘোষিত মানবাধিকারের মৌলিক দিক সমূহ১৯
৯.ইসলামে মানবাধিকার২২
১০.গবেষকদের দৃষ্টিতে জাতিসঙ্ঘ ঘোষিত মানবাধিকার২৩
১১.পশ্চাত্যের মানবাধিকারের মধ্যে মুসলিমদের কোন কল্যাণ নেই২৬
১২.সব অধিকারের মূল হল মানবাধিকার২৬
১৩.পশ্চাত্যের নিকট ‘মানবাধিকার’ দ্বারা উদ্দেশ্য এবং তাদের দাবীর অসারতা২৮
১৪.স্বাধীনতা (Freedom)২৮
১৫.সমতা/সমধিকার (Equality)৩১
১৬.মানব রচিত মানবাধিকারের দূর্বলতা৩২
১৭.ইসলাম এসেছে মানুষকে মানুষের দাসত্ব, জুলুম ও নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য৩৪
১৮.ইসলামে জাতভেদ নেই; শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাঠি ‘তাকওয়া’৩৫
১৯.সংকীর্ণ জাতীয়তাবদ নয় বরং উদার ভ্রাতৃত্ব:উজ্জলতম কয়েকটি উদাহরণ৩৯
২০.ইসলামে সাম্য৪৩
২১.সাম্য ও ইনসাফের উজ্জল দৃষ্টান্ত৪৮
২২.সাম্য ও ইনসাফের ব্যাপারে ইসলামের বলিষ্ঠ উচ্চারণ৫১
২৩.শরীয়তের দৃষ্টিতে অমুসলিমদের প্রকারভেদ৫৫
২৪.ইসলামে অমুসলিমদের অধিকার৫৬
২৫.ইসলামে মানুষের স্বাধীনতা৬২
২৬.ইসলাম স্বীকৃত পাঁচটি মৌলিক অধিকার৬৪
২৭.অর্থনৈতিক স্বাধীনতা৬৫
২৮.রাজনৈতিক অধিকার৬৮
২৯.ইসলামে শাসক নির্বাচন পদ্ধতি৭০
৩০.তথাকথিত রাজনৈতিক স্বাধীনতা এবং বাস্তবতা৭২
৩১.রাজনৈতিক সংঘাত আর ক্ষমতার দন্দ্ব নয় বরং শাসকের জন্য কল্যাণ কামনা৭৫
৩২.ধর্মীয় স্বাধীনতা৭৬
৩৩.মুক্তচিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা৭৯
৩৪.একটি ঘটনা৮০
৩৫.ইসলাম কেন মানুষকে দ্বীনী বিষয়ে শর্তহীনভাবে মত প্রকাশের স্বাধীনতা দেয় নি?৮৩
৩৬.মোটকথা৮৫
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
অনুবাদকের কথা:

الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ وَالْصَّلاةُ وَالْسَّلامُ عَلَىَ أَشْرَفِ الْأَنْبِيَاِء وَالْمُرْسَلِيْنَ نَبِيِّنَا مُحَمَّدٍ وَعَلَىَ آَلِهِ وَصَحْبِهِ أَجْمَعِينَ
ইসলাম এমন একটি জীবন ব্যবস্থার নাম যেখানে সর্বশ্রেণীর মানুষের অধিকার সংরক্ষিত রয়েছে। ছোট, বড়, নারী, পুরুষ, ধনী,গরীব, মালিক, শ্রমিক, মুসলিম,অমুসলিম সকলকে দেয়া হয়েছে তাদের যথাযথ অধিকার। মানুষের ধর্মীয়, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ইত্যাদি সকল প্রকার অধিকার দেয়া হয়েছে। কারণ, যে মহান আল্লাহ এই বিশ্বচরাচরের স্রষ্টা, পরিচালক ও নিয়ন্ত্রক তিনি তাঁর সৃষ্টি জগতের যাকে যখন যা দেয়া প্রয়োজন তাকে তখন তাই দিয়েছেন। তিনি কারও প্রতি সামান্যতম অবিচার করেন নি।সউদী আরবের সাবেক ধর্ম মন্ত্রী শায়খ সালিহ আব্দুল আব্দুল আযীয আলুশ শায়খ (হাফিযাহুল্লাহ) ‘মানবাধিকার’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় ‘ইসলামে মানবাধিকার’ শিরোনামে এক জ্ঞানগর্ভ বক্তব্য প্রদান করেছিলেন। বক্ষ্যমাণ পুস্তকটি সেই বক্তৃতারই সংকলন।

Download AsPDF

Print Friendly and PDFPrint Friendly and PDFPrint Friendly and PDF
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...