নবীগন দাওয়াত দিয়েছেন, তাঁদের দাওয়াত আসমান থেকে সার্টিফাই করা হত। সাহাবিগন দাওয়াত দিয়েছেন, সে দাওয়াত রাসুল সঃ সার্টিফাই করতেন। রাসুল সঃ এর ওফাতের পর আসমানি তদারকি বন্ধ হয়ে যায়।
একারনেই উমার রাঃ এর মত জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্ত সাহাবী হয়েও নিজ কর্ম কাণ্ডের গ্রহন যোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। মরন শয্যায় দু’চোখের অশ্রু ফেলে কাঁদেন। ইবনু আব্বাস রাঃ তাঁর ক্রন্দন দেখে বলেন, ইবনুল খাত্তাব আপনি কেন কাদেন! আপনাকে কি আল্লাহর রাসুল জান্নাতের সুসংবাদ দিয়ে যান নি?
উত্তরে উমার রাঃ বলেন, হয়তো তা ছিল শর্ত সাপেক্ষ; কিন্তু আমি উমার তা পুরুনে হয়ত ব্যর্থ হয়েছি! তিনি আরো বলেন, আমার মনে হয়, এই মুহূর্তে যদি আল্লাহ বলেন সকলেই জান্নাতে যাবে কিন্তু একজন যাবেনা, তাহলে মনে হবে আমিই সেই ব্যক্তি তাই কান্না করছি!
এই ছিল জান্নাতের সংবাদ প্রাপ্ত সাহাবী উমর রাঃ’র মন বৃত্তি। এই ছিল তাঁর মত উঁচু শ্রেণীর সাহাবীর গুনাহ’র ভয়াবহতা নিয়ে সংশয়! এই ছিল আমল কবুল হওয়া না হওয়া নিয়ে তাঁর ভীতির নমুনা!!
অথচ আমরা এই জামানার ইসলামের কর্মীদের জবানে একি শুনি? একি দেখি তাদের আচরনে? তারা মরার জন্যে ফাসির কাষ্ঠে যাওয়ার মুহূর্তেও নিজ কর্ম পদ্ধতি ও দর্শনের উপর অনড় মনভাবের ঘোষণা দেন। দুই আঙ্গুল দিয়ে ভি সাইন দেখিয়ে বলে যান তাদের ব্যবসা সফল হয়েছে!
আমরা জানি এমন না করে উমরের মত করলে না দল সৃষ্টি করা যাবে, না দলের ভিতরে কাউকে ধরে রাখা যাবে। উমরের মত ইমানদার ও ইসলামের কর্মী হলে কোন দল সৃষ্টি হবে না তা নিশ্চিত। যেমন তাঁর কোন দল ছিলনা। কোন সাহাবীরই কোন দল সৃষ্টি হয়নাই।
এমন কাজ করে তারা যেমন নিজে গুনাহ মুক্তির সুজোগ থেকে বঞ্চিত হন। তেমনি লক্ষ্য লক্ষ্য অনুসারীদেরকে তাদের ভুলের উপর অনড় থাকার শিক্ষা দিয়ে যান।
আল্লাহ বলেন, “তারা কেয়ামতে নিজের গুনাহ ত বহন করবেই, তার উপর আরো বহন করবে তাদের সকলের গুনাহ যাদেরকে তারা বিভ্রান্ত করেছে-( নাহল/২৪)। দীনি ব্যবসায় পুরাই বিফল! সময় থাকতে সাহাবীদের পদাংক অনুসরণ করবেন বলে আমরা আশা করি।
Courtesy Shaykh SK Muzammelul Hoque