Saturday 16 August 2014

জিলহজের প্রথম দশদিনের ফযীলত এবং ঈদ ও কুরবানীর বিধান



রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-

জিলহজের প্রথম দশদিনের ফযীলত এবং ঈদ ও কুরবানীর বিধান

লেখকঃ আব্দুল মালেক আল-কাসেম । অনুবাদ : সানাউল্লাহ নজির আহমদ
জিলহজ মাসের দশদিনের ফযীলত :
আল্লাহ তা‌’আলার অশেষ মেহেরবানী যে, তিনি নেককার বান্দাদের জন্য এমন কিছু মৌসুম করে দিয়েছেন, যেখানে তারা প্রচুর নেক আমল করার সুযোগ পায়, যা তাদের দীর্ঘ জীবনে বারবার আসে আর যায়। এসব মৌসুমের সব চেয়ে বড় ও মহত্বপূর্ণ হচ্ছে জিলহজ মাসের প্রথম দশদিন।

যেভাবে একজন হাজী তার সন্তানদের উপদেশ দেবে



রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-

লেখকঃ নুমান আবুল বাশার | সম্পাদনা: চৌধুরী আবুল কালাম আজাদ
হে আমার সন্তানেরা!  আমি তোমাদেরকে প্রশ্ন করব, তোমরা উত্তর দেবে।
 ব্যাপারে কি তোমাদের কারো কোনো সন্দেহ আছে যে, তোমরা প্রত্যেকেই আমার অন্তরের একটি অংশ দখল করেআছো?
তোমাদের জবাব হবে : অবশ্যই  ব্যাপারে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই।

যেভাবে একজন হাজী তার সন্তানদের উপদেশ দেবে



রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-

লেখকঃ নুমান আবুল বাশার | সম্পাদনা: চৌধুরী আবুল কালাম আজাদ
হে আমার সন্তানেরা!  আমি তোমাদেরকে প্রশ্ন করব, তোমরা উত্তর দেবে।
 ব্যাপারে কি তোমাদের কারো কোনো সন্দেহ আছে যে, তোমরা প্রত্যেকেই আমার অন্তরের একটি অংশ দখল করেআছো?
তোমাদের জবাব হবে : অবশ্যই  ব্যাপারে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই।

আপনি কিন্তু কিছুতেই আমাকে বিয়ে করতে রাজি হবেননা’!




রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-



কোণাচোখে তারিককে পাশের টেবিলে আরাম করে বসতে দেখে জামিল দ্রুত গলা নামিয়ে বলে, ‘শুনুন, আপনি কিন্তু কিছুতেই আমাকে বিয়ে করতে রাজি হবেননা’।
ঘটনার আকস্মিকতায় থতমত খেয়ে যায় ফারজানা। সে লোকটাকে চেনেনা, জানেনা, কোন সালাম নেই, সম্ভাষন নেই, হুট করে এই আচমকা অনুরোধ! তারিকের দিকে জামিলের চোরা চাহনি, ফিসফিস কথা বলার ভঙ্গি আর এই অদ্ভুত প্রস্তাব- সব মিলিয়ে কিম্ভুত এই পরিস্থিতিতে হঠাৎ হাসি পেয়ে যায় ওর। হাসি চাপার চেষ্টা করতে করতে সে স্মিত হেসে বলে, ‘আসসালামু আলাইকুম’।

আপনি কিন্তু কিছুতেই আমাকে বিয়ে করতে রাজি হবেননা’!




রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-



কোণাচোখে তারিককে পাশের টেবিলে আরাম করে বসতে দেখে জামিল দ্রুত গলা নামিয়ে বলে, ‘শুনুন, আপনি কিন্তু কিছুতেই আমাকে বিয়ে করতে রাজি হবেননা’।
ঘটনার আকস্মিকতায় থতমত খেয়ে যায় ফারজানা। সে লোকটাকে চেনেনা, জানেনা, কোন সালাম নেই, সম্ভাষন নেই, হুট করে এই আচমকা অনুরোধ! তারিকের দিকে জামিলের চোরা চাহনি, ফিসফিস কথা বলার ভঙ্গি আর এই অদ্ভুত প্রস্তাব- সব মিলিয়ে কিম্ভুত এই পরিস্থিতিতে হঠাৎ হাসি পেয়ে যায় ওর। হাসি চাপার চেষ্টা করতে করতে সে স্মিত হেসে বলে, ‘আসসালামু আলাইকুম’।

জুমু’আর নামাযের সময় তন্দ্রা আসলে নিজ স্থান হতে উঠে যাবে



সহিহ আত্ তিরমিজি :: জুমু’আর নামাযের সময় তন্দ্রা আসলে নিজ স্থান হতে উঠে যাবে অনূচ্ছেদ
অধ্যায় ৪ :: হাদিস ৫২৬
ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ জুমু’আর দিন তোমাদের কোন ব্যক্তির ঘুমের আবেশ আসলে সে যেন নিজ জায়গা হতে উঠে যায়।        -সহীহ । সহীহ আবূ দাউদ – (১০২৫), তা’লীক ইবনু খুজাইমাহ- (১৮১৯) ।
       আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ হাদিসটি হাসান সহীহ ।

Jami at-Tirmidhi ::  What Has Been Related About One Who Becomes Sleepy During The Friday Prayer, And That He Is To Change His Location
Part 4 :: Hadith 526
Ibn Umar narrated that :

the Prophet said: "When one of you becomes sleepy during the Friday prayer, then let him move from where he is sitting." (Hasan)

জুমু’আর (ফরযের) পূর্বের ও পরের নামায



সহিহ আত্ তিরমিজি :: জুমু’আর (ফরযের) পূর্বের ও পরের নামায অনূচ্ছেদ
অধ্যায় ৪ :: হাদিস ৫২৩
আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি জুমু’আর নামাযের পর নামায আদায় করতে চায় সে যেন চার রাক’আত আদায় করে । -সহীহ । ইবনু মাজাহ – (১১৩২) ।
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদিসটি হাসান।
সুফিয়ান ইবনু উয়াইনা বলেন, সুহাইল ইবনু আবূ সালিহ হাদীসশাস্ত্রে একজন নির্ভরযোগ্য রাবী । একদল ‘আলিম এ হাদীস অনুযায়ী আমল করেন । ‘আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) জুমু’আর (ফরযের) পূর্বে চার রাক’আত এবং পরে চার রাক’আত (সুন্নাত) নামায আদায় করতেন ।
‘আলী (রাঃ) প্রসঙ্গে বর্ণিত আছে যে, তিনি জুমু’আর পর দুই রাক’আত তারপর চার রাক’আত আদ্দায় করার হুকুম দিয়েছেন। সুফিয়ান সাওরী ও ইবনুল মুবারাক (রহঃ) ইবনু মাসউদের মত গ্রহন করেছেন । ইসহাক বলেছেন, জুমু’আর দিন যদি মাসজিদে (সুন্নাত) নামায আদায় করা হয় তবে চার রাক’আত আদায় করবে, আর যদি ঘরে আদায় হয় তবে দুই রাক’আত আদায় করবে । তিনি দলীল হিসেবে এ হাদীস উল্লেখ করেছেন, *  (Arabic)
“রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লহু আহাইহি ওয়াসাল্লাম জুমু’আর পর বাড়িতে গিয়ে দুই রাক’আত (সুন্নাত) নামায আদায় করেছেন ।
তিনি আরো বলছেনঃ (Arabic) “তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি জুমু’আর (ফরযের) পরে নামায আদায় করতে চায় সে যেন চার রাক’আত আদায় করে”।
আবূ ঈসা বলেনঃ ইবনু উমার (রাঃ) যিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট হতে বর্ণনা করেছেন , “জুমু’আর পর তিনি বাড়িতে গিয়ে দুই রাক’আত আদায় করতেন”। তিনিও রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরে জুমু’আর নামাযের পর মাসজিদেরই দুই রাক’আত নামায আদায় করেছেন ।
আতা (রহঃ)  হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি ইবনু ‘উমার (রাঃ) –কে জুমু’আর (ফরয নামাযের) পর দুই রাক’আত নামায আদায় করতে দেখেছি । -সহীহ । আবূ দাঊদ (১০৩৫, ১০৩৮) ।
“আমর ইবনু ইবনু দীনার বলেন, যুহরীর চাইতে ভালভাবে হাদীস বর্ণনা করতে আমি আর কাউকে দেখতে পাইনি এবং তার মত আর কাউকে ধন- দৌলতকে তুচ্ছ ভাবিতে দেখেনি । তার দৃষ্টিতে ধন-দৌলত উটের মলতুল্য তুচ্ছ জিনিস । ‘আমর ইবনু দীনার যুহরীর চাইতে বেশি বয়সী ছিলেন ।

Jami at-Tirmidhi ::  [What Has Been Related] About Salat Before the Friday Prayer And After
Part 4 :: Hadith 523
Abu Hurairah narrated that :
Allah's Messenger said: "Whoever among you is to pray after the Friday prayer, then let him pray four." (Sahih)


ইমামের খুতবা চলাকালে পায়ের নলা জড়িয়ে বসা মাকরূহ



সহিহ আত্ তিরমিজি :: ইমামের খুতবা চলাকালে পায়ের নলা জড়িয়ে বসা মাকরূহ অনূচ্ছেদ
অধ্যায় ৪ :: হাদিস ৫১৪
সাহল ইবনু মুআয (রাঃ) হতে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত আছে, নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুমু’আর দিনে ইমামের খুতবা চলার সময়ে দুই হাতে (পায়ের) নলা জড়িয়ে ধরে বসতে নিষেধ করেছেন । -হাসান । মিশকাত- (১২৯৩), সহীহ আবূ দাঊদ- (১০১৭) ।
       আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ হাদিসটি হাসান । একদল বিদ্বান জুমু’আর দিনে ইমাম খুতবা দান কালে পায়ের নলা জড়িয়ে ধরে বসাকে মাকরূহ বলেছেন, কিছু কিছু বিদ্বান এর অনুমতি দিয়েছেন । আব্দুল্লাহ ইবনু উমার তাদের একজন । ইমাম আহমাদ ও ইসহাকের এটাই অভিমত ।

Jami at-Tirmidhi :: What Has Been Related About Al-Habwah Being Disliked While The Imam Is Delivering The Khutbah
Part 4 :: Hadith 514
Sahl bin Ma'adh narrated from his father:

"The Prophet prohibited Al-Habwah on Friday while the Imam is delivering the Khutbah." (Hasan)

খুতবা চলাকালে কথাবার্তা বলা মাকরূহ



সহিহ আত্ তিরমিজি :: খুতবা চলাকালে কথাবার্তা বলা মাকরূহ অনূচ্ছেদ
অধ্যায় ৪ :: হাদিস ৫১২
‘আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নাবী সাল্লল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি জুমু’আর দিনে ইমামের খুতবা দানকালে (অন্যকে) বলল, ‘চুপ কর’ সে অকারনে কথা বলল । -সহীহ । ইবনু মাজাহ- (১১১০), বুখারী ও মুসলিম
       এ অনুচ্ছেদে ইবনু আবূ আওফা ও জাবির ইবনু ‘আব্দুল্লাহ (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে ।
       আবূ ‘ঈসা বলেনঃ আবূ হুরাইরার হাদিসটি হাসান সহীহ । বিশেষজ্ঞগণ এ হাদীসের উপর আমল করেছেন । তাড়া ইমামের খুতবা চলাকালে কথা বলাকে মাকরূহ বলেছেন । যদি কেউ কথা বলে তবে হাত দিয়ে ইশারায় তাকে থামিয়ে দিবে । কিন্তু তারা সালামের উত্তর দেওয়া ও হাঁচির জবাব দেওয়ার ব্যাপারে পার্থক্য করেছেন । ইমাম আহমাদ ও ইসহাক ইমামের খুতবা চলার সময়ে সালামের উত্তর দেওয়া ও হাঁচির উত্তরে ইয়ারহামুকাল্লাহ বলার সম্মতি দিয়েছেন । একদল তাবিঈ এটাকে মাকরূহ বলছেন । ইমাম শাফিঈ এই মত গ্রহন করেছেন ।

Jami at-Tirmidhi :: What Has Been Related About If Being Disliked to Talk While The Imam Is Delivering The Khutbah
Part 4 :: Hadith 512
Abu Hurairah narrated that :

Allah's Messenger said: "Whoever said: 'Be quiet' while the Imam is giving the Khutbah then he has committed Laghw (useless activity)." (Sahih)

Friday 15 August 2014

ইসলামের দৃষ্টিতে আন্তধর্ম বিয়ে



রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-

লেখক: আলী হাসান তৈয়ব | সম্পাদক: মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী

আন্তধর্ম বিয়ে সম্পর্কে ইসলাম :

মুসলিম হয়ে অন্য ধর্মাবলম্বীকে বিয়ে করা প্রসঙ্গে আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন,
আর তোমরা মুশরিক নারীদের বিয়ে করো না, যতক্ষণ না তারা ঈমান আনে এবং মুমিন দাসী মুশরিক নারীর চেয়ে নিশ্চয় উত্তম, যদিও সে তোমাদেরকে মুগ্ধ করে। আর মুশরিক পুরুষদের সাথে বিয়ে দিয়ো না, যতক্ষণ না তারা ঈমান আনে। আর একজন মুমিন দাস একজন মুশরিক পুরুষের চেয়ে উত্তম, যদিও সে তোমাদেরকে মুগ্ধ করে। তারা তোমাদেরকে আগুনের দিকে আহ্বান করে, আর আল্লাহ তাঁর অনুমতিতে তোমাদেরকে জান্নাত ও ক্ষমার দিকে আহ্বান করেন এবং মানুষের জন্য তাঁর আয়াতসমূহ স্পষ্টরূপে বর্ণনা করেন, যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করতে পারে’। {সূরা আল-বাকারা, আয়াত : ২২১}

৭ টি গোপন কথা যা আপনার স্ত্রী কখনও মুখে বলবেন না


বেশীরভাগ পুরুষেরই নারীদেরকে বুঝে উঠা প্রায়শই খুব কষ্টকর হয়ে যায়। এমনকি সেই নারীকেও যার সাথে সে বহু বছর বিবাহিত জীবন পার করেছে। এক মুহূর্তে তিনি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক, পর মুহূর্তেই হয়ত শিশুর মত কান্নাকাটি শুরু করে দিলেন। তিনি কোন কিছু নিয়ে অভিযোগ করছেন, আপনি হয়ত সেই সমস্যা কিভাবে সমাধান করা যায় তার নানারকম উপায় তাকে দেখাচ্ছেন কিন্তু তাতেও তিনি সন্তুষ্ট হচ্ছেন না।
আপনার স্ত্রী কি বলছেন তা নিয়ে বেশী দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হবেন না; বরং তিনি যা বলছেন না সেটি নিয়ে গভীরভাবে ভাবুন।

সালাতে (নামাযে) রাফয়িল ইয়াদাইন (দুইহাত কাঁধ পর্যন্ত উঠানো) এবং সশব্দে (উচ্চস্বরে) আমীন বলা সংক্রান্ত




রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

সালাত (নামাজ) হচ্ছে মুসলমান জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত। আর এ ইবাদত ঐভাবেই করতে হবে যেভাবে নবী (সাঃ) করে দেখিয়ে গেছেন। এজন্য নবী (সাঃ) বলেছেন-“তোমরা সালাত (নামাজ)পড়, যেভাবে আমাকে পড়তে দেখ”(বুখারী ও মুসলিম)।
আমাদের বাংলাভাষী মুসলমান সমাজ না জেনেই মাযহাবী দোহাই দিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সহীহ সুন্নাত পরিত্যাগ করি, যা অত্যান্ত অবাঞ্চনীয়। আমাদের দেশে অধিকাংশ মুসলমান বলে থাকেন ‘রাফয়িল ইয়াদাইন’ হানাফী মাজহাবে নেই। শাফী এবং হাম্বলী মাজহাবের।আমাদের দেশের মুসলিম সমাজের আলেমগণ ও সাধারণ মুসুল্লীগণ তাকবীরে তাহরীমা ব্যতিত উভয়হাত উত্তোলন করাকে বলে থাকেন উল্টা তাকবীর, আসলে তাকবীর কিভাবে উল্টা হয় আমার বোধগম্য নয়। আপনারা একটু চিন্তা করুন, যদি তাকবীর উল্টা হয় যেমন- আল্লাহু আকবর (আল্লাহ মহান বা আল্লাহ বড়)এর উল্টা কি হবে বা এর ভাবার্থই কি হবে ভেবে দেখুন। আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা আমাদেরকে এথেকে ক্ষমা করুন। যাতে আমরা উল্টা তাকবীর না বলি বা না দেই। এখানে সঠিক কথা হচ্ছে আমরা যখন সালাতে দাঁড়াই এবং প্রথম তাকবীর ব্যতিত অন্য সব তাকবীরের সময় (হাদীসে বর্ণিত স্থানে)উভয়হাত উত্তোলন করাকে ‘রাফয়িল’ (উঠানো বা উত্তোলন) ‘ইয়াদাইন’ (হস্তদ্বয় বা উভয়হাত), বলুন এটাকে কিভাবে উল্টা তাকবীর বলে। এব্যাপারে কিছুলোক এও বলে যে, ঐ সময় (ইসলামের প্রথমযুগে) লোকেরা নাকি বগলের নিচে মূর্তি নিয়ে সালাত পড়তো, এজন্য উভয়হাত উঠাতো। নাউজুবিল্লাহ- এটা সাহাবীদের বিরুদ্ধে চরম মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই না। মহান রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে এথেকে বিরত রাখুন। আচ্ছা ধরুন, কেউ যদি বগলের নিচে মূর্তি নিয়ে সালাতে অংশগ্রহণ করে থাকে, তাহলেতো প্রথম তাকবীরেই হাত উঠানোর সময় এটা পরে যেত, কেন অন্যান্য তাকবীরের সময় হাত উঠানোর ব্যাপারে এ কথা বলেন। উচ্চস্বরে আমীন বলার ব্যাপারে বলে থাকেন, সালাতকালীন সময় নাকি কিছুলোক পিছন থেকে পলায়ন করত এজন্য উচ্চস্বরে আমীন বলত। সহীহ এবং সুনান হাদীসগ্রন্থগুলোর কোথাও পাবেন না এই ধরনের কথাবার্তা বা হাদীস রহিত হয়ে গেছে। এটাও সাহাবীদের বিরুদ্ধে চরম বেয়াদবী ছাড়া আর কি বলা যায়। আপনি উক্ত সুন্নাত পালন করতে চান না সেটা আপনার অভিরুচি, সে জন্য কেন সাহাবীদের বিরুদ্ধে এ মিথ্যাচার তা আমার ভাবতে অবাক লাগে।
এখন আমার প্রশ্ন যে, কেন আমরা ইসলামকে এতভাগে বিভক্ত করি, কেনই বা এত মতানৈক্য। বুখারী মুসলিমসহ অন্যান্য হাদীসগ্রন্থেও হাদিসদ্বয় উল্লেখ আছে-(ক)“নবী করীম (সাঃ) বলেছেন, ইয়াহুদীরা ৭১ দল, খ্রী খ্রীষ্ঠানরা ৭২ দল আর আমার উম্মাত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে। শুধু একটি মাত্র দল জান্নাতে যাবে এবং বাকি সব দলই জাহান্নামী।আর ঐ দল হচ্ছে যারা কিতাবাল্লাহ, আমার সুন্নাত ও খোলাফায়ে রাশেদীন এবং সাহাবীদের পথ অনুসরণ করেছে, তারাই ঐ একটি দলের অন্তর্ভুক্ত”।

কে এই শয়তান ও কি তাঁর উদ্দেশ্য?



রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-

লেখকঃ আবু ইয়াদ

শয়তানের প্রকৃতি

শয়তান কে? শয়তান বলে কি বাস্তবে কিছু আছে? নাকি এটা একটা নিছক কল্পনা? নাকি সমাজে প্রচলিত কোন গাল-গল্প? মূলতঃ এটা আমাদের আকীদার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। জ্বিনকে বিশ্বাস করা অদৃশ্যে বিশ্বাসের একটি অংশ। এবং একজন মুসলিমের ঈমান পূর্ণতা পায় না যতক্ষণ পর্যন্ত না সে এই অদৃশ্য বিষয়ে বিশ্বাস করে। যদিও বা এই অদৃশ্য বিষয় তার বুদ্ধিমত্তা বা চিন্তার সাথে খাপ না খায়। জ্বিনের অস্তিত্ব কোরআন শরীফ ও হাদীস দ্বারা অকাট্যভাবে প্রমাণিত। আল্লাহ্‌ বলেন :
আমি জ্বিন ও মানুষকে কেবলমাত্র আমার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছি” [আয্‌ যারিয়াত : ৫৬]

ইসলামি দা’ওয়াহ্‌র ৮০ টিরও বেশী উপায়! (এক্সক্লুসিভ পোস্ট)



রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-

মূল- ড. আবু আমীনাহ্‌ বিলাল ফিলিপ্‌স্‌ | ভাষান্তর : আব্‌দ আল-আহাদ | সম্পাদনা : শাদমান সাকিব
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্‌ রাব্বুল ‘আলামীনের জন্য যিনি তার দ্বীনের পথে মানুষকে আহ্বানকারীদের অশেষ মর্যাদার কথা উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ্‌ রাব্বুল ‘আলামীন বলেনঃ
“ঐ ব্যক্তি অপেক্ষা কথায় কে উত্তম যে আল্লাহ্‌র দিকে মানুষকে আহ্বান করে, সৎকর্ম করে এবং বলেঃ আমি তো আত্মসমর্পণকারীদের অন্তর্ভুক্ত।” (৪১:৩৩)
অতঃপর দরূদ ও সালাম অবতীর্ণ হোক প্রিয় নবী (সা) এর উপর যিনি আমাদের আদর্শ এবং যিনি বলেছেনঃ
“যে কেউ কোন ভাল কাজ করলে ভাল কাজে আহ্বানকারী ব্যক্তিও তার সমপরিমাণ পুণ্য লাভ করবে।”

মুসলিমরা জানে আল্লাহ্‌ রাব্বুল ‘আলামীন তাদেরকে একমাত্র সত্য ধর্ম ইসলামকে তাদের জীবন বিধান হিসেবে দান করে তাদের সম্মানিত করেছেন এবং একই সাথে ইসলামকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব আরোপ করেছেন। আল্লাহ্‌ রাব্বুল ‘আলামীন বলেনঃ
(কোরআন) তোমার ও তোমার সম্প্রদায়ের জন্যে তা সম্মানের বস্তু; তোমাদের অবশ্যই এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হবে।[৪৩:৪৪]

ইসলামি দা’ওয়াহ্‌র ৮০ টিরও বেশী উপায়! (এক্সক্লুসিভ পোস্ট)



রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-

মূল- ড. আবু আমীনাহ্‌ বিলাল ফিলিপ্‌স্‌ | ভাষান্তর : আব্‌দ আল-আহাদ | সম্পাদনা : শাদমান সাকিব
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্‌ রাব্বুল ‘আলামীনের জন্য যিনি তার দ্বীনের পথে মানুষকে আহ্বানকারীদের অশেষ মর্যাদার কথা উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ্‌ রাব্বুল ‘আলামীন বলেনঃ
“ঐ ব্যক্তি অপেক্ষা কথায় কে উত্তম যে আল্লাহ্‌র দিকে মানুষকে আহ্বান করে, সৎকর্ম করে এবং বলেঃ আমি তো আত্মসমর্পণকারীদের অন্তর্ভুক্ত।” (৪১:৩৩)
অতঃপর দরূদ ও সালাম অবতীর্ণ হোক প্রিয় নবী (সা) এর উপর যিনি আমাদের আদর্শ এবং যিনি বলেছেনঃ
“যে কেউ কোন ভাল কাজ করলে ভাল কাজে আহ্বানকারী ব্যক্তিও তার সমপরিমাণ পুণ্য লাভ করবে।”

মুসলিমরা জানে আল্লাহ্‌ রাব্বুল ‘আলামীন তাদেরকে একমাত্র সত্য ধর্ম ইসলামকে তাদের জীবন বিধান হিসেবে দান করে তাদের সম্মানিত করেছেন এবং একই সাথে ইসলামকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব আরোপ করেছেন। আল্লাহ্‌ রাব্বুল ‘আলামীন বলেনঃ
(কোরআন) তোমার ও তোমার সম্প্রদায়ের জন্যে তা সম্মানের বস্তু; তোমাদের অবশ্যই এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হবে।[৪৩:৪৪]

প্রশ্নঃ ‪#‎তাস‬ বা ‪#‎দাবা‬ খেলা কি ইসলামের দৃষ্টি তে জায়েজ ?


উত্তরঃ উলামাগন স্পষ্ট ভাবে ঘোষনা করেছেন যে, উভয় প্রকার খেলাই হারাম। যেমন আমাদের শেইখ এবং উস্তাদগনও তা উল্লেখ করেছেন। তাদের এই সিদ্ধান্তের কারন এই যে, যে কোন খেলা খেলাতে মানুষের মাঝে উদাস্য ও আল্লাহর জিকির এবং ইবাদতে বাধা সৃস্টি করে। মানে খেলা তাকে নেশার মত আকৃষ্ট করে। আবার অনেক সময় খেলাকে কেন্দ্র করে উভয় দলের খেলোয়াড়দের মাঝে শত্রুতার সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। যা মুসলিম সমাজের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করে। আবার অনেক সময় খেলোয়াড়দের উপর বাজি ধরা হয়, যা শরিয়তের দৃষ্টিতে হারাম। শরিয়ত শুধু ৩টি প্রতিযোগিতার অনুমতি দিয়েছে, আর তা হলঃ তীর, ঘোড়া, উট এর প্রতিযোগিতা।
অপর দিকে যারা তাস বা দাবা খেলায় মত্ত থাকে,তারা নিজেরাই বুঝতে পারছে যে তারা কিভাবে সময়ের অপচয় করছে। যেখানে কোন আল্লাহভীতির কিছু নেই এবং দুনিয়াবিও কোন সাফল্য নেই!
অনেকে বলে থাকে, এই সব খেলা দিয়ে মানুষের ব্রেইন খুলে ও বুদ্ধি বাড়ে!!
এই কথার কোন ভিত্তি নেই। কারন সে তাঁর ব্রেইন কে ঐ খেলার সাথেই সীমাবদ্ধ করে রাখছে, যা অন্যের উপকারে আসছে না! তাই সকল মুমিনদের উচিত সময় কে মূল্য দিয়ে তা আল্লাহর কাজে লাগানো কে। এবং এই সব খেলা থেকে নিজেকে দূরে রাখা।
মূলঃ ফতোওয়া, আস-ই'লাতুম মুহিম্মা
শেইখ সালেহ আল উসাইমীন (রহ)
সাবেক সদস্য, সৌদী সর্বোচ্চ ফতোওয়া বিভাগ এবং উচ্চ উলামা পরিষদ।
ফাতাওয়া তে, এখানে মূলত শুধু দাবা কে খাছ করা হয়নি ! সমস্ত খেলার বিধান কেই শামিল করা হয়েছে !
উলামায়ে কেরামকে যারা অবজ্ঞা করে তারা মূলত: ইসলামকেই অবজ্ঞা করে। দেখুন সাহাবায়ে কেরামের ফতোয়া: আলী (রা.) বলেছেন, দাবা হচ্ছে অনারবদের জুয়া। ইবনে ওমারকে দাবা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ওটা পাশা খেলা থেকেও নিকৃষ্ট। আবু মূসা আশআরী বলেন, গুনাহগার ছাড়া কেউ দাবা খেলে না। উবাইদুল্লাহ বিন জা’ফার বলেন, আবু সাঈদ খুদরী রা. দাবা খেলাকে ঘৃণা করতেন। তাবেঈ ইবনে শিহাব যুহরীকে দাবা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, এটা বাতিল বিষয়, আর আল্লাহ বাতিল পছন্দ করেন না।
ইমাম মালেক মুয়াত্তায় বলেন, দাবা হচ্ছে পাশা খেলার অন্তর্ভুক্ত। বাইহাকী ৬০১৬।
ইবনে কাসীর এর সংশোধিত তাফসিরেঃ
সুরা মায়িদার ৯১ আয়াতের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, রসুল (সঃ) বলেছেন
"যে ব্যাক্তি চওসর খেলা করল যে যেন শুকরের মাংস ও রক্ত দ্বারা নিজ হাত রাবগিয়ে নিল"
মুসলিম।
ঠিক পরের লাইনে আছে, "আর দাবা সম্পর্কে আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) বলেছেন যে, ওটাতো চওসর থেকেও খারাপ, এটা জুয়া ও পাশার মত"
চওসর অর্থঃ ‪#‎জুয়া‬ খেলা।

নবী আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর চরিত্র ও গুণাবলি :পর্ব-২



রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-

96
ধৈর্যধারণ
আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে জীবনের সর্বক্ষেত্রে ধৈর্যধারণ করা ও আত্মঃসংবরণশীল হওয়া এক মহৎ গুণ। ধৈর্যের মহত্ত্বতার দিকে লক্ষ্য রেখে আল্লাহ তাআলা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আদেশ প্রদান করে বলেন :-
فَاصْبِرْ كَمَا صَبَرَ أُولُو الْعَزْمِ مِنَ الرُّسُلِ َ ﴿35﴾ الأحقاف
অতএব, তুমি ধৈর্যধারণ কর, যেমন ধৈর্যধারণ করেছেন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ রাসূলগণ। (সুরা আহকাফ: ৩৫)

নবী আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর চরিত্র ও গুণাবলি :পর্ব-২



রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-

96
ধৈর্যধারণ
আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে জীবনের সর্বক্ষেত্রে ধৈর্যধারণ করা ও আত্মঃসংবরণশীল হওয়া এক মহৎ গুণ। ধৈর্যের মহত্ত্বতার দিকে লক্ষ্য রেখে আল্লাহ তাআলা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আদেশ প্রদান করে বলেন :-
فَاصْبِرْ كَمَا صَبَرَ أُولُو الْعَزْمِ مِنَ الرُّسُلِ َ ﴿35﴾ الأحقاف
অতএব, তুমি ধৈর্যধারণ কর, যেমন ধৈর্যধারণ করেছেন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ রাসূলগণ। (সুরা আহকাফ: ৩৫)

নবী আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর চরিত্র ও গুণাবলি ১

রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে

নবী আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর চরিত্র ও গুণাবলি
96
নবীজির চারিত্রিক গুণাবলি
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন সুন্দর আকৃতিবিশিষ্ট, সৌরভে সুবাসিত, গঠনে মধ্যম, দেহে সবল, মস্তক ছিল বড়, দাড়ি ছিল ঘন, হস্ত ও পদ-দ্বয় ছিল মাংসল, উভয় কাঁধ ছিল বড়, চেহারায় ছিল রক্তিম ছাপ, নেত্র দ্বয় ছিল কালো, চুল ছিল সরল, গণ্ডদ্বয় কোমল। চলার সময় ঝুঁকে চলতেন, মনে হত যেন উঁচু স্থান হতে নিচুতে অবতরণ করছেন। যদি কোন দিকে ফিরতেন, পূর্ণ ফিরতেন। মুখমণ্ডলের ঘাম সুঘ্রাণের কারণে মনে হত সিক্ত তাজা মুক্তো। তার উভয় কাঁধের মাঝখানে নবুয়তের মোহর ছিল-অর্থাৎ সুন্দর চুল ঘেরা গোশতের একটি বাড়তি অংশ।

নবী আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর চরিত্র ও গুণাবলি ১

রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে

নবী আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর চরিত্র ও গুণাবলি
96
নবীজির চারিত্রিক গুণাবলি
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন সুন্দর আকৃতিবিশিষ্ট, সৌরভে সুবাসিত, গঠনে মধ্যম, দেহে সবল, মস্তক ছিল বড়, দাড়ি ছিল ঘন, হস্ত ও পদ-দ্বয় ছিল মাংসল, উভয় কাঁধ ছিল বড়, চেহারায় ছিল রক্তিম ছাপ, নেত্র দ্বয় ছিল কালো, চুল ছিল সরল, গণ্ডদ্বয় কোমল। চলার সময় ঝুঁকে চলতেন, মনে হত যেন উঁচু স্থান হতে নিচুতে অবতরণ করছেন। যদি কোন দিকে ফিরতেন, পূর্ণ ফিরতেন। মুখমণ্ডলের ঘাম সুঘ্রাণের কারণে মনে হত সিক্ত তাজা মুক্তো। তার উভয় কাঁধের মাঝখানে নবুয়তের মোহর ছিল-অর্থাৎ সুন্দর চুল ঘেরা গোশতের একটি বাড়তি অংশ।

নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম খেজুর গাছের গুঁড়ির সাথে ভর দিয়ে জুমু’আর বক্তৃতা করতেন



সহিহ আত্ তিরমিজি :: মিম্বারের উপর দাড়িয়ে খুতবা দেওয়া অনূচ্ছেদ
অধ্যায় ৪ :: হাদিস ৫০৫
ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম খেজুর গাছের গুঁড়ির সাথে ভর দিয়ে জুমু’আর বক্তৃতা করতেন । যখন মিম্বার তৈরি করা হল খেজুরের গুঁড়িটা কাঁদতে লাগল। তিনি গাছটির নিকট গেলেন এবং তা স্পর্শ করলেন । ফলে এটা চুপ করল । -সহীহ । সহীহাহ- (২১৭৪), বুখারী ।
এ অনুচ্ছেদে আনাস, জাবির, সাহল ইবনু সা’দ, উবাই ইবনু কা’ব, ইবনু ‘আব্বাস ও উম্মু সালামা (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে । আবূ ‘ঈসা বলেনঃ ইবনু ‘উমারের হাদিসটি হাসান, গারীব সহীহ । মু’আয ইবনুল ‘আলা বাসরার অধিবাসী, তিনি আবূ ‘আমর ইবনুল আলা এর ভাই।

Jami at-Tirmidhi :: What Has Been Related About The Khutbah On the Minbar
Part 4 :: Hadith 505
Ibn Umar narrated:

"The Prophet would give the Khutbah next to the trunk of a date palm. When he [the Prophet] began using the Minbar the trunk cried out for him until he came to it and held it, so it became quiet." (Sahih)

যে ব্যক্তি অবহেলা করে তিন জুমু’আ পরিত্যাগ করে,



সহিহ আত্ তিরমিজি :: কোন ওজর ছাড়াই জুমু’আর নামায ছেড়ে দেয়া অনূচ্ছেদ
অধ্যায় ৪ :: হাদিস ৫০০
আলী ইবন খাশ্রাম ()....... আবুল জা’দ আয্-যামরী রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকে বর্ণিত যে, রাসূল ইরশাদ করেন : যে ব্যক্তি অবহেলা করে তিন জুমু’আ পরিত্যাগ করে,  আল্লাহ তার হৃদয় মোহরাঙ্কিত করে দেন।

قَالَ وَفِي الْبَاب عَنْ ابْنِ عُمَرَ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَسَمُرَةَ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي الْجَعْدِ حَدِيثٌ حَسَنٌ قَالَ وَسَأَلْتُ مُحَمَّدًا عَنْ اسْمِ أَبِي الْجَعْدِ الضَّمْرِيِّ فَلَمْ يَعْرِفْ اسْمَهُ وَقَالَ لَا أَعْرِفُ لَهُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا هَذَا الْحَدِيثَ قَالَ أَبُو عِيسَى وَلَا نَعْرِفُ هَذَا الْحَدِيثَ إِلَّا مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو
  এই বিষয়ে ইবন উমর, ইবন আববাস এবং সামূরা রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।
  ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী রহ.  () বলেন ;আবুল জা’দ বর্ণিত এই হাদীসটি হাসান।
   তিনি আরো বলেন: আমি ইমাম মুহাম্মাদ আল-বূখারী ()-কে আবূল জা’দ আয্-যামরী রাদিয়াল্লাহু আনহ-এর নাম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম কিমত্মু তিনি তার নাম সম্পর্কে কিছু জানেন বলে বলতে পারলেন না।
  এটি ছাড়া রাসূল থেকে বর্ণিত তার আর কোন রিওয়ায়াত আছে বলে আমার জানা নেই। আর এই হাদীসটিও রাবী মুহাম্মাদ ইবন আমর-এর সূত্রে ছাড়া অন্য কোন সূত্রে আমাদের জানা নেই।

Jami at-Tirmidhi :: What Has Been Related About Neglecting The Friday Prayer Without An Excuse.
Part 4 :: Hadith 500
Abu Al-Ja'd - meaning Ad-Damri - narrated, and he was a Companion according to the claim of Muhammad bin Amr:

"Allah's Messenger said: 'Whoever neglects the Friday prayer three times (in a row) without an excuse, then Allah sets a seal upon his heart.'" (Hasan)

কেউ যদি জুমু’আর দিন জানাবাতের (ফরয) গোসল করে




সহিহ আত্ তিরমিজি :: কিতাবুল জুমুআ জু’মুআর স্বলাত অধ্যায়
অধ্যায় ৪ :: হাদিস ৪৯৯
ইসহাক ইবন মূসা আনসারী () ...... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল ইরশাদ করেন : কেউ যদি জুমু’আর দিন জানাবাতের (ফরয) গোসল করে মসজিদে রওয়ানা হয়ে যায়, তবে সে যেন একটি উট কুরবানী করল। যে ব্যক্তি দ্বিতীয় মুহূর্তে গেল,  সে যেন একটি গাভী কুরবানী করল। যে ব্যক্তি তৃতীয় মুহূর্তে গেল, সে যেন শিংওয়ালা একটি মেষ কুরবানী করল। যে ব্যক্তি চতুর্থ মুহূর্তে গেল, সে যেন একটি মুরগি কুরবানী (সাদকা) করল। যে ব্যক্তি  পঞ্চম মুহূর্তে গেল, সে যেন একটি ডিম কুরবানী (সাদকা) করল। পরে ইমাম যখন (সালাতের উদ্দেশ্যে) বের হয়ে পড়েন, তখন ফেরেশতারা সালাতে উপস্থিত হয়ে খুতবা শুনতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।

قَالَ وَفِي الْبَاب عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَسَمُرَةَ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ
 এই বিষয়ে আবদুল্লাহ ইবন আমর সামুরা রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।
  ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী রহ.  () বলেন: আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহ বর্ণিত এই হাদীসটি হাসান-সহীহ।

Jami at-Tirmidhi :: What Has Been Related About Going Early To The Friday Prayer
Part 4 :: Hadith 499
Abu Hurairah narrated that :

Allah's Messenger said: "Whoever performs Ghusl on Friday - the Ghusl for Janabah - then he goes, he is like one who gave a camel in charity. Whoever goes in the second hour then he is like one who gave a cow in charity. Whoever goes in the third hour then he is like the one who have a ram in charity. Whoever goes in the fourth hour then he is like the one who gave a chicken in charity. Whoever goes in the fifth hour, then he is like one who gave an egg in charity. When the Imam comes out, the angels are present listening to the remembrance." (Sahih)

কেউ যদি উযূ করে এবং খুব ভালভাবে তা করে জুমু’আয় হাযির হয়



সহিহ আত্ তিরমিজি :: কিতাবুল জুমুআ জু’মুআর স্বলাত অধ্যায়
অধ্যায় ৪ :: হাদিস ৪৯৮
হান্নাদ রাদিয়াল্লাহু আনহ .... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল ইরশাদ করেন: কেউ যদি উযূ করে এবং খুব ভালভাবে তা করে জুমু’আয় হাযির হয় এবং ইমামের কাছে গিয়ে বসে চুপ করে মনোযোগ  দিয়ে খুতবা শোনে, তবে তার পূর্ববর্তী জুমু’আসহ আরো অতিরিক্ত তিন (মোট দশ) দিনের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। যে ব্যক্তি তখন কংকর সরাল সে- অনর্থক কাজ করল।

قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ
 ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী রহ.  () বলেন: এই হাদীসটি হাসান-সহীহ।

Jami at-Tirmidhi :: [What Has Been Related] About Wudu On Friday
Part 4 :: Hadith 498
Abu Hurairh narrated that :

Allah's Messenger said: "Whoever performs Wudu, performing his Wudu well, then he comes to the Friday (prayer), and he gets close, listens and is silent, then whatever (sin) was between that and (the last) Friday are forgiven for him, in addition to three days. And whoever touches the pebbles, he has committed Lagha (useless activity)." (Sahih)

Download AsPDF

Print Friendly and PDFPrint Friendly and PDFPrint Friendly and PDF
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...