তওবা: জান্নাতের সোপান
মূল: শাইখ খালিদ আল ফুরাইজ
অনুবাদক: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আবদুল জলীল
ভূমিকা: কোন মানুষই ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। তবে সে ব্যক্তিই উত্তম যে ভুল করার পর তওবা করে। আমাদের সবারই ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়েছে। কখনও মুখ ফসকে মুখের দ্বারা গুনাহ হয়েছে। অসাক্ষাতে কারও সমালোচনা করেছি, কাউকে গালি দিয়েছি, কখনো অন্যায়ভাবে অন্যের সম্পদের প্রতি হাত বাড়িয়েছি, কখনও এমন জিনিসের দিকে তাকিয়েছি যাতে আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন। এভাবে কত ধরণের গুনাহর কাজ আমরা করেছি! এজন্যই দয়াময় আল্লাহ তায়ালা বান্দাদের উপর তওবা করা অপরিহার্য করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন,
وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعاً أَيُّهَا الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
“হে মুমিনগণ,তোমরা সকলে আল্লাহর নিকট তওবা কর। যাতে তোমরা সফলতা লাভ করতে পার।”[1]
তিনি আরও বলেছেন,
تُوبُوا إِلَى اللَّهِ تَوْبَةً نَصُوحًا
“তোমরা আল্লাহর নিকট আন্তরিকভাবে তওবা কর।”[2] সুতরাং প্রতিটি পাপের জন্য বান্দার তওবা করা অপরিহার্য।
তওবা কারীদের প্রতি আল্লাহ অত্যন্ত আনন্দিত হন
আল্লাহ তায়ালা তওবা কারীদের অত্যন্ত ভালবাসেন। বান্দা যখন তার অপরাধের জন্য অনুশোচনায় দগ্ধ হয়ে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে তখন তিনি অত্যন্ত আনন্দিত হন। আল্লাহ রব্বুল আলামীন বান্দার তওবাতে কী পরিমাণ আনন্দিত হন তা নিম্নোক্ত হাদীসটিতে দেখুন,
প্রিয় নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর খাদেম আবু হামযা আনাস বিন মালিক রা. বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
اللَّهُ أَفْرَحُ بِتَوْبَةِ عَبْدِهِ مِنْ أَحَدِكُمْ سَقَطَ عَلَى بَعِيرِهِ ، وَقَدْ أَضَلَّهُ فِى أَرْضِ فَلاَةٍ
“কোনও লোক বিজন মরু প্রান্তরে উট হারিয়ে যাবার পর পুনরায় তা ফেরত পেলে যে পরিমাণ আনন্দে উদ্বেলিত হয় মহান আল্লাহ বান্দার তওবাতে তার চেয়েও বেশি আনন্দিত হন।”[3]
আর সহীহ মুসলিমের বর্ণনায় রয়েছে,