Thursday 16 June 2016

তওবা: জান্নাতের সোপান


image (3)বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
তওবা: জান্নাতের সোপান
মূল: শাইখ খালিদ আল ফুরাইজ
অনুবাদক: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আবদুল জলীল
ভূমিকাকোন মানুষই ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। তবে সে ব্যক্তিই উত্তম যে ভুল করার পর তওবা করে। আমাদের সবারই ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়েছে। কখনও মুখ ফসকে মুখের দ্বারা গুনাহ হয়েছে। অসাক্ষাতে কারও সমালোচনা করেছি, কাউকে গালি দিয়েছি, কখনো অন্যায়ভাবে অন্যের সম্পদের প্রতি হাত বাড়িয়েছি, কখনও এমন জিনিসের দিকে তাকিয়েছি যাতে আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন। এভাবে কত ধরণের গুনাহর কাজ আমরা করেছি! এজন্যই দয়াময় আল্লাহ তায়ালা বান্দাদের উপর তওবা করা অপরিহার্য করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন,
وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعاً أَيُّهَا الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
“হে মুমিনগণ,তোমরা সকলে আল্লাহর নিকট তওবা কর। যাতে তোমরা সফলতা লাভ করতে পার।”[1]
তিনি আরও বলেছেন,
تُوبُوا إِلَى اللَّهِ تَوْبَةً نَصُوحًا
“তোমরা আল্লাহর নিকট আন্তরিকভাবে তওবা কর।”[2] সুতরাং প্রতিটি পাপের জন্য বান্দার তওবা করা অপরিহার্য।
তওবা কারীদের প্রতি আল্লাহ অত্যন্ত আনন্দিত হন
আল্লাহ তায়ালা তওবা কারীদের অত্যন্ত ভালবাসেন। বান্দা যখন তার অপরাধের জন্য অনুশোচনায় দগ্ধ হয়ে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে তখন তিনি অত্যন্ত আনন্দিত হন। আল্লাহ রব্বুল আলামীন বান্দার তওবাতে কী পরিমাণ আনন্দিত হন তা নিম্নোক্ত হাদীসটিতে দেখুন,
প্রিয় নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর খাদেম আবু হামযা আনাস বিন মালিক রা. বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
اللَّهُ أَفْرَحُ بِتَوْبَةِ عَبْدِهِ مِنْ أَحَدِكُمْ سَقَطَ عَلَى بَعِيرِهِ ، وَقَدْ أَضَلَّهُ فِى أَرْضِ فَلاَةٍ
“কোনও লোক বিজন মরু প্রান্তরে উট হারিয়ে যাবার পর পুনরায় তা ফেরত পেলে যে পরিমাণ আনন্দে উদ্বেলিত হয় মহান আল্লাহ বান্দার তওবাতে তার চেয়েও বেশি আনন্দিত হন।”[3]
আর সহীহ মুসলিমের বর্ণনায় রয়েছে,

Tuesday 14 June 2016

জসীম উদ্দিন রাহমানীর আলেমদের নামে মিথ্যা অপবাদ ও গালি-গালাজের বয়ানঃ



জসীম উদ্দিন রাহমানীর অন্ধ ভক্তরা মনে করে সে একজন বড় জিহাদী আলেম। অথচ তার বক্তব্যের ভাষা ও চরিত্র, একজন আলেমতো দূরের কথা সাধারণ একজন ঈমানদারের চরিত্রের সাথে সামজস্যপূর্ণ নয়। জসীম উদ্দিন রাহমানী নিজের ভ্রান্ত #তাকফিরী মতবাদ প্রতিষ্ঠা করার জন্য যেই সমস্ত আলেমরা তাকফিরী খারেজী #মানহাজের বিরুদ্ধে সবচাইতে বেশি সরব, সেই সালাফি আলেমদের নামে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া শুরু করে। এর দ্বারা তার উদ্দেশ্য ছিলো - সত্যিকারের আলেমদের ব্যপারে মানুষের মনে বিদ্বেষ ও শত্রুতা সৃষ্টি করে দেওয়া, যাতে করে তারা আলেমদের কোন কথা না শুনে। আর সাধারণ মানুষ যদি আলেমদের কথা না শুনে, ইসলাম সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা না হয়, তাহলে মূর্খ ও বেদাতী লোকেরা নিজেদের মনমতো যা খুশি কুরান হাদীসের অপব্যখ্যা করলেও তারা ধরতে পারবেনা, কোনটা সঠিক আর কোনটা ভুল। এইজন্য বর্তমানে আমরা দেখতে পাই, ক্বুরান হাদীসের স্পষ্ট বক্তব্য দিয়ে কোন কিছু বললেও জসীম উদ্দিন রাহমানীর অন্ধ ভক্তরা শয়তান, কাফেরদের এজেন্ট, পা চাটা গোলাম, দরবারী, দালাল, মুনাফেক, আহলে খবিস ইত্যাদি নোংরা ভাষায় গালি দেওয়া শুরু করে। হয়তোবা, প্রমানসহ পোস্ট দেওয়ার পরেও এই পোস্টে গালি-গালাজ শুরু করবে।

Download AsPDF

Print Friendly and PDFPrint Friendly and PDFPrint Friendly and PDF
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...