
আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন, ওয়াস্ স্বালাতু ওয়াস্ সালামু আলা রাসূলিহিল্ আমীন, আম্মা বাদঃ
অতঃপর পবিত্র রামাযান মাস এবং ঈদ নিকটে আসলেই মুসলিম সমাজে একটি বিষয়ের চর্চা বৃদ্ধি পায়; বরং সাম্প্রতি বিষয়টির চর্চা একটু বেশীই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তা হল, পৃথিবীর কোনো স্থানে বা দেশে যদি হিলাল (১ম তারিখের চাঁদ) দেখা যায় এবং সেই সংবাদ যদি বিভিন্ন দেশে পৌঁছে যায়, তাহলে সেই খবরটি সকল মুসলিমের সাউম শুরু করা বা ছাড়ার জন্য প্রযোজ্য কি না? অনেক স্থানে এ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হয়। পক্ষে বিপক্ষে দলীল-প্রমাণ ও যুক্তি দিতেও দেখা যায়। আবার অনেকে এসবের তোয়াক্কা না করে অন্য দেশে চাঁদ দেখা দিলে বিশেষ করে সউদীতে দেখা দিলে তারা সউদীর সাথে সাউম পালন শুরু করে দেয় কিংবা ঈদ করে। এর ফলে একই দেশে ও সমাজে বসবাস করার পরেও কেউ এক-দুই দিন আগেই রোযা ধরে কিংবা ছাড়ে।
আর বিষয়টি এখন শুধু এই তর্কে সীমিত নেই যে, অন্য দেশে চাঁদ দেখা দিলে আমাদের জন্যও তা প্রযোজ্য না অপ্রযোজ্য বরং তা একধাপ এগিয়ে এই তর্কে পৌঁছেছে যে, সেই সংবাদের ভিত্তিতে পৃথিবীর সকল মুসলিমের প্রতি সাউম শুরু করা বা ছাড়া জরূরি কি না? বলতে পারেন এর থেকেও এক ধাপ এগিয়ে এখন এই তর্কে পৌঁছেছে যে, যারা এই সংবাদ পাওয়ার পরেও রোযা করে না বা ঈদ করে না, তাদের নাকি সাউম ও ঈদ হয় না, তারা নাকি বড় গুনাহগার, বিদআতী এমন কি তাদের মুসলমানিত্বেও এখন প্রশ্ন!
এই সময় কিছু নাম কে ওয়াস্তে মুসলিম এবং মডার্যাুট মুসলিমদেরও ইসলামের কথা বলতে শোনা যায়। তারা যেহেতু এক সাথে সীমাই খেতে পারে না, একই দিনে আনন্দ শেয়ার করতে পারে না, তাই উলামাদের লক্ষ্য করে বলেঃ এদের কারণে মুসলিম সমাজে ঐক্য আসে না, এদের কারণে মুসলিমরা এক হতে পারে না, এদের কারণেই মুসলিমদের এই দুরাবস্থা। এরা অন্যান্য বিষয়ে তো মতভেদ করেই কিন্তু ঈদের মত বড় বিষয়েও মতভেদ করতে ছাড়ে না। এদের কারণেই আমরা ঈদের মত একটি বড় পর্বকে একই দিনে পালন করতে পারছি না, এক সাথে আনন্দ শেয়ার করতে পারছি না। বিশ্বের অমুসলিমরা আমাদের দিকে তাকাচ্ছে আর হাসছে। বড়ই পরিতাপের বিষয়! অতঃপর শুরু হয় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মাসের শুরু ও শেষ হওয়ার হিসেব নিকেশ।
আমরা বক্ষ্যমান লেখাতে উক্ত বিষয়ের পক্ষে বিপক্ষে শরীয়ার দলীল প্রমাণ এবং সালাফে সালেহীন ও উলামাগণের মন্তব্য পেশ করবো, অতঃপর সেই আলোকে একটি সমাধানে আসতে সচেষ্ট হব, ইন শাআল্লাহ। ওয়ামা তাওফীকী ইল্লা বিল্লাহ।
অতঃপর পবিত্র রামাযান মাস এবং ঈদ নিকটে আসলেই মুসলিম সমাজে একটি বিষয়ের চর্চা বৃদ্ধি পায়; বরং সাম্প্রতি বিষয়টির চর্চা একটু বেশীই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তা হল, পৃথিবীর কোনো স্থানে বা দেশে যদি হিলাল (১ম তারিখের চাঁদ) দেখা যায় এবং সেই সংবাদ যদি বিভিন্ন দেশে পৌঁছে যায়, তাহলে সেই খবরটি সকল মুসলিমের সাউম শুরু করা বা ছাড়ার জন্য প্রযোজ্য কি না? অনেক স্থানে এ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হয়। পক্ষে বিপক্ষে দলীল-প্রমাণ ও যুক্তি দিতেও দেখা যায়। আবার অনেকে এসবের তোয়াক্কা না করে অন্য দেশে চাঁদ দেখা দিলে বিশেষ করে সউদীতে দেখা দিলে তারা সউদীর সাথে সাউম পালন শুরু করে দেয় কিংবা ঈদ করে। এর ফলে একই দেশে ও সমাজে বসবাস করার পরেও কেউ এক-দুই দিন আগেই রোযা ধরে কিংবা ছাড়ে।
আর বিষয়টি এখন শুধু এই তর্কে সীমিত নেই যে, অন্য দেশে চাঁদ দেখা দিলে আমাদের জন্যও তা প্রযোজ্য না অপ্রযোজ্য বরং তা একধাপ এগিয়ে এই তর্কে পৌঁছেছে যে, সেই সংবাদের ভিত্তিতে পৃথিবীর সকল মুসলিমের প্রতি সাউম শুরু করা বা ছাড়া জরূরি কি না? বলতে পারেন এর থেকেও এক ধাপ এগিয়ে এখন এই তর্কে পৌঁছেছে যে, যারা এই সংবাদ পাওয়ার পরেও রোযা করে না বা ঈদ করে না, তাদের নাকি সাউম ও ঈদ হয় না, তারা নাকি বড় গুনাহগার, বিদআতী এমন কি তাদের মুসলমানিত্বেও এখন প্রশ্ন!
এই সময় কিছু নাম কে ওয়াস্তে মুসলিম এবং মডার্যাুট মুসলিমদেরও ইসলামের কথা বলতে শোনা যায়। তারা যেহেতু এক সাথে সীমাই খেতে পারে না, একই দিনে আনন্দ শেয়ার করতে পারে না, তাই উলামাদের লক্ষ্য করে বলেঃ এদের কারণে মুসলিম সমাজে ঐক্য আসে না, এদের কারণে মুসলিমরা এক হতে পারে না, এদের কারণেই মুসলিমদের এই দুরাবস্থা। এরা অন্যান্য বিষয়ে তো মতভেদ করেই কিন্তু ঈদের মত বড় বিষয়েও মতভেদ করতে ছাড়ে না। এদের কারণেই আমরা ঈদের মত একটি বড় পর্বকে একই দিনে পালন করতে পারছি না, এক সাথে আনন্দ শেয়ার করতে পারছি না। বিশ্বের অমুসলিমরা আমাদের দিকে তাকাচ্ছে আর হাসছে। বড়ই পরিতাপের বিষয়! অতঃপর শুরু হয় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মাসের শুরু ও শেষ হওয়ার হিসেব নিকেশ।
আমরা বক্ষ্যমান লেখাতে উক্ত বিষয়ের পক্ষে বিপক্ষে শরীয়ার দলীল প্রমাণ এবং সালাফে সালেহীন ও উলামাগণের মন্তব্য পেশ করবো, অতঃপর সেই আলোকে একটি সমাধানে আসতে সচেষ্ট হব, ইন শাআল্লাহ। ওয়ামা তাওফীকী ইল্লা বিল্লাহ।