Saturday 7 March 2020

করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে শাইখ সুদাইসের নির্দেশনা


বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস এখন সবার মাঝে এক মহা আতংক ও আশংকার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গত মঙ্গলবার পবিত্র মক্কার মসজিদুল হারামে সাপ্তাহিক পাঠদানে মক্কা ও মদিনাবিষয়ক অধিদফতরের প্রধান এবং মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শাইখ আব্দুর রহমান সুদাইস এ বিষয়ে শরয়ী নির্দেশনা প্রদান করেন।
তিনি বলেন, আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, অবশ্যই আমি তোমাদের পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি এবং ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে ধৈর্যধারণকারীদের জন্য রয়েছে সুসংবাদ।' (সূরা বাকারা: ১৫৫)
আল্লাহ মানুষকে নানা মুসিবত দিয়ে বিভিন্নভাবে পরীক্ষায় ফেলেন। এটি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসের বিপরীত কিছু নয়।
অন্যত্র আল্লাহর ইরশাদ হয়েছে, (হে নবী) আপনি বলুন, আমাদের কাছে কিছুই পৌঁছবে না। কিন্তু যা আল্লাহ আমাদের জন্য রেখেছেন; তিনি আমাদের কার্যনির্বাহক। আল্লাহর ওপরই মুমিনদের ভরসা করা উচিত। (সূরা তওবা: ৫১) একজন মুসলিম সদা আল্লাহর সিদ্ধান্ত এবং ফয়সালার প্রতি ঈমান রাখে।
ভয়াবহ এই করোনাভাইরাস ব্যাধিতে মানুষ আজ তিন ভাগে বিভক্ত। দুই পক্ষ বাড়াবাড়ি ও ছাড়াছাড়ির দু’প্রান্তে। তৃতীয় একটি পক্ষ মধ্যপন্থা অবলম্বনকারী। একপক্ষ শুধু ভরসা করে কিন্তু বাহ্যিক কোনো উপায় অবলম্বন করে না। আরেক পক্ষ নানাপন্থা অবলম্বন করলেও আল্লাহর ওপর ভরসা রাখে না। (যা সম্পূর্ণ বাড়াবাড়ি ও ছাড়াছাড়ি)।
অপরদিকে মধ্যপন্থা অবলম্বনকারীদের বৈশিষ্ট্য হল, তারা আল্লাহর ওপর পূর্ণ ভরসা রাখার পাশাপাশি সুরক্ষার নিমিত্তে পূর্ণ সতর্কতা নিয়ে নানা উপায় অবলম্বন করে। এ ব্যাধিটি ছড়িয়ে না পড়তে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনে সৌদি রাষ্ট্রের পরিচালিত বাস্তবসম্মত নীতি এটিই।

Friday 6 March 2020

করোনা ভাইরাস

জুমআর খুতবাহঃ
মূলঃ শাইখ ডঃ আব্দুল ওয়াহিদ হাফিযাহুল্লাহ
অনুবাদঃ শাইখ মুখলিসুর রহমান মাদানী

বিষয়ঃ করোনা ভাইরাস।

মৃত্যুর পদ্ধতি ও উপায় যতই ভিন্ন হোক না কেন মৃত্যু কিন্তু একই এবং তার সময়ও পরিবর্তন হয় না। কবি বলেনঃ
من لم يمت بالسيف مات بغيره *** تعددت الأسباب والموت واحد
অর্থঃ যে তরবারীতে মরে না সে অন্যভাবে মৃত্যু বরণ করে, মৃত্যুর কারণ ভিন্ন হলেও মৃত্যু কিন্তু একই। (মরণ তো মরণি)। এর চেয়েও উত্তম হল আল্লাহর বাণীঃ
(فإِذَا جَاءَ أَجَلُهُمْ لا يَسْتَأْخِرُونَ سَاعَةً وَلا يَسْتَقْدِمُونَ(
অর্থঃ যখন কারও মৃত্যু উপস্থিত হয় তখন এক মূহুর্ত বিলম্ব এবং আগে মৃত্যু দেওয়া হয় না। অর্থাৎ, নির্দিষ্ট সময়েই প্রত্যেক ব্যক্তির মৃত্যু হয়ে থাকে।
এ বাস্তবতা সকলেরই জানা। কিন্তু খুব কম লোকই সে অনুযায়ী আমল করে। আর এ বাস্তবতা না জানার সবচেয়ে বড় কারণ হলঃ আল্লাহর উপরে আস্থার অভাব ও দূর্বলতা। যে ব্যক্তি জানে যে, তক্বদীর লিখিত হয়ে আছে, আর আল্লাহর নির্দেশ ব্যতীত কোন বিষয়ই সংঘটিত হয় না, আল্লাহ্ যা নির্ধারণ করেছেন তা সংঘটিত হবেই সেখান থেকে কারও পালানোর কোন সুযোগ বা উপায় নেই।
যখন কোন ব্যক্তির হৃদয়ে ইহা গেঁথে যায়, সে এর প্রতি দৃঢ় বিশ্বাসী হয়ে যায়, তখন তার হৃদয় প্রশান্তি লাভ করে। তক্বদীরের ব্যাপারে তার চিন্তা ও টেনশন দূর হয়ে যায়। তার হৃদয় থেকে যাবতীয় সংশয় ও বাতিল চিন্তা বিদায় নেই।
তাই আমাদের সকলের উপর আবশ্যক হলঃ অন্তরে আল্লাহর প্রতি অগাধ বিশ্বাস ও আস্থা তৈরী করা। আর ইহাকে কুরআন ও হাদীস দ্বারা সুশোভিত করা যাতে আমরা প্রশান্তিময় জীবন যাপন করতে পারি।
বর্তমানে সময়ে করোনা ভাইরাস নিয়ে সকলে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছে। আজকের খুতবায় এ সম্পর্কে আমরা গুরুপত্বপূর্ণ কিছু আলোচনা করব ইনশা আল্লাহ্।

Tuesday 3 March 2020

করোনা ভাইরাস


.
[এটি একটি আরবি নিবন্ধের অনুবাদ। নিবন্ধটির প্রণেতা সম্মানিত শাইখ ‘আল্লামাহ ড. ‘আব্দুর রাযযাক্ব বিন ‘আব্দুল মুহসিন আল-বদর (হাফিযাহুল্লাহ)। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নিবন্ধটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হওয়ায়, আমরা সম্পূর্ণ নিবন্ধের সরল বঙ্গানুবাদ বাঙালি মুসলিম পাঠকবর্গের করকমলে পেশ করছি। – অনুবাদক]
·
সম্প্রতি লোকদের মজলিসে একটি রোগ নিয়ে খুব আলোচনা-পর্যালোচনা চলছে, যে রোগকে লোকেরা ভয় পাচ্ছে, আর তা চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ার এবং তাতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা করছে। যারা এসব নিয়ে আলোচনা করছে, তাদের কেউ কেউ ঠাট্টা ও রসিকতা করছে, আবার কেউ কেউ লোকদেরকে হিতাকাঙ্ক্ষী হিসেবে বিষয়টি বর্ণনা করছে। অনুরূপ আরও উদ্দেশ্য রয়েছে, যার ফলে এই ব্যাধিকে ঘিরে চলছে নানাবিধ আলোচনা। প্রকৃতপ্রস্তাবে সর্বক্ষণ ও সর্বাবস্থায় এবং প্রতিটি দুর্যোগ ও বিপদে মুসলিমের ওপর আবশ্যিক দায়িত্ব হলো মহান আল্লাহকে আঁকড়ে ধরা। পাশাপাশি ওই দুর্যোগ সম্পর্কে আলোচনা, কিংবা তার চিকিৎসা-প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে শার‘ঈ নীতিমালা, সংরক্ষিত মৌলনীতি এবং মহান আল্লাহর প্রতি ভীতি ও শঙ্কার ওপর ভিত্তি করে পথ চলা অত্যাবশ্যক।
অধুনা যে বিষয়টি মানবজীবনে অভাবনীয় গুরুত্বের রূপ পরিগ্রহণ করেছে, সে সম্পর্কে এখানে ছয়টি পয়েন্টে আলোচনা করা হলো।
·
প্রথম পয়েন্ট:
সকল মুসলিমের ওপর অবশ্য কর্তব্য হচ্ছে, প্রতিটি ক্ষেত্রে সে তাঁর মহান প্রতিপালককে আঁকড়ে ধরবে, তাঁর ওপর ভরসা করবে এবং এই বিশ্বাস রাখবে যে, সকল কিছু তাঁর ওপরই ন্যস্ত রয়েছে। মহান আল্লাহ বলেছেন, مَا أَصَابَ مِن مُّصِيبَةٍ إِلاَّ بِإِذْنِ اللَّهِ وَمَن يُؤْمِن بِاللَّهِ يَهْدِ قَلْبَهُ “আল্লাহর অনুমতি ব্যতিরেকে কোনো বিপদই আপতিত হয় না এবং যে আল্লাহকে বিশ্বাস করে, তিনি তার অন্তরকে সুপথে পরিচালিত করেন।” [সূরাহ তাগাবূন: ১১]

করোনা ভাইরাস Coronaviruses (CoV): বিশ্বমানবতার সামনে করণীয় এবং আত্মরক্ষার ৬টি দুআ


▬▬▬◄❖►▬▬▬
এ পৃথিবীতে যত বিপদ ও বিপর্যয় সৃষ্টি হয় তার মূল কারণ মানুষের সীমালঙ্ঘন এবং অন্যায় কৃতকর্ম। তাই আল্লাহ তাআলা মাঝেমধ্যে সৃষ্টির মধ্যে তার শিক্তমত্তার প্রকাশ ঘটান যেন, আল্লাহর অবাধ্য ও সীমালঙ্ঘণকারী মানুষ সচেতন হয় এবং তাঁর পথে ফিরে আসে। আল্লাহ তাআলা বলেন:
ظَهَرَ الْفَسَادُ فِي الْبَرِّ وَالْبَحْرِ بِمَا كَسَبَتْ أَيْدِي النَّاسِ لِيُذِيقَهُم بَعْضَ الَّذِي عَمِلُوا لَعَلَّهُمْ يَرْجِعُونَ
“স্থলে ও জলে মানুষের কৃতকর্মের দরুন বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়েছে। আল্লাহ তাদেরকে তাদের কর্মের শাস্তি আস্বাদন করাতে চান, যাতে তারা ফিরে আসে।” (সূরা রুম: ৪১)
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
لَمْ تَظْهَرِ الْفَاحِشَةُ فِي قَوْمٍ قَطُّ حَتَّى يُعْلِنُوا بِهَا إِلاَّ فَشَا فِيهِمُ الطَّاعُونُ وَالأَوْجَاعُ الَّتِي لَمْ تَكُنْ مَضَتْ فِي أَسْلاَفِهِمُ الَّذِينَ مَضَوْا
“যখন কোন জাতির মধ্যে প্রকাশ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে তখন সেখানে মহামারী এবং এমন সব রোগ-ব্যাধির ছড়িয়ে পড়ে যা পূর্বেকার লোকেদের মধ্যে কখনো দেখা যায়নি।” (সুনানে ইবনে মাজাহ, অধ্যায়ঃ ৩০/ কলহ-বিপর্যয় (كتاب الفتن) হা/৪০১৯, সনদ হাসান)
যাহোক, বর্তমানে কারো অজানা নেই যে, চীন থেকে উৎপত্তি আল্লাহর এক অদৃশ্য সেনাবাহিনী তথা ‘করোনা’ নামক ভাইরাস আক্রমণে সমগ্র বিশ্ব ভয়ে থরথর করে কাঁপছে। এতে আবারও প্রমাণিত হল, সত্যি মানুষ আল্লাহর অতিশয় দুর্বল সৃষ্টি। যারা কারণে তারা আল্লাহর খুব সামান্য এক ভাইরাস (যা খালি চোখে দেখা যায় না) এর কাছে আজ পর্যদুস্ত ও অসহায়। অথচ তারা মনে করে, তারা বিজ্ঞান, টেকনলোজি, আবিষ্কার ও শক্তিমত্তায় বহুদূর পৌঁছে গেছে! যথার্থই আল্লাহর ভাষায় মানুষ "অতীব অবিচারী এবং মূর্খ।" (সূরা আহযাব: ৭২)
আল্লাহ আমাদেরকে ক্ষমা করুন। আমীন।
এখন এ ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে মুক্তির জন্য মানব জাতির সামনে কী করণীয় রয়েছে তা সংক্ষেপে জানার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
◯◯ ‘করোনা’ নামক ধেয়ে আসা এক মহা বিপর্যের কবল থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মানবজাতির করণীয় হল:
◉ ১. সব ধরণের কুফরি, শিরক, নাস্তিকতা, অশ্লীলতা, হারাম ও অন্যায়-অপকর্ম পরিত্যাগ করে মহান স্রষ্টার একমাত্র মনোনীত জীবনাদর্শ ইসলামের পথে ফিরে আসা।
◉ ২. নিজেদের পাপাচার ও সীমালঙ্ঘনের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।
◉ ৩. বিপদ-বিপর্যয় থেকে রক্ষার জন্য মহাশক্তিধর আল্লাহ কাছে দুআ ও আরোধনা করা।
◉ ৪. মহামারি আক্রান্ত এলাকায় গমন না করা এবং সেখানকার অধিবাসীগণ সেখান থেকে বের না হওয়া।
রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ "যখন তোমরা কোনো অঞ্চলে মহামারী বিস্তারের সংবাদ শোন, তখন সে এলাকায় প্রবেশ করো না। আর তোমরা যেখানে অবস্থান কর, সেখানে মহামারী বিস্তার ঘটলে সেখান থেকে বেরিয়ে যেও না"। (সহীহ বুখারী, অধ্যায়ঃ ৭৬/ চিকিৎসা, হাদিস নম্বরঃ ৫৭২৮)
◉ ৫. এ বিশ্বাস রাখা যে, মহামারি মুমিনদের জন্য আল্লাহর বিশেষ রহমত। সে যদি এতে মারা যায় তাহলে সে শহিদের সমপরিমাণ সওয়াব লাভ করবে। যেমন: হাাদিসে বর্ণিত হয়েছে:
عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللّهُ عَنْهَا قَالَتْ: سَأَلَتْ رَسُولَ اللّهِ ﷺ عَنِ الطَّاعُونِ فَأَخْبَرَنِي: أَنَّه عَذَابٌ يَبْعَثُهُ اللّهُ عَلى مَنْ يَشَاءُ وَأَنَّ اللّهَ جَعَلَه رَحْمَةً لِلْمُؤْمِنِيْنَ لَيْسَ مِنْ أَحَدٍ يَقَعُ الطَّاعُونُ فَيَمْكُثُ فِي بَلَدِه صَابِرًا مُحْتَسِبًا يَعْلَمُ أَنَّه لَا يُصِيْبُه إِلَّا مَا كَتَبَ اللّهُ لَه إِلَّا كَانَ لَه مِثْلُ أَجْرِ شَهِيْدٍ . رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ
আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একবার রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মহামারীর ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলাম। জবাবে তিনি আমাকে বললেন, এটা একটি আজাব (শাস্তি)। তিনি যার উপর চান পাঠান। কিন্তু মু’মিনদের জন্য তা তিনি রহমত গণ্য করেছেন। তোমাদের যে কোন লোক মহামারী কবলিত এলাকায় সাওয়াবের আশায় সবরের সাথে অবস্থান করে এবং আস্থা রাখে যে, আল্লাহ তার জন্য যা নির্ধারণ করে রেখেছেন তাই হবে, তাছাড়া আর কিছু হবে না, তার জন্য রয়েছে শাহীদের সাওয়াব। (সহিহ বুখারী)
মুসনাদে আহমদে আবূ আসীব থেকে হাদিস বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
فَالطَّاعُوْنُ شَهَادَةٌ لِلْمُؤْمِنِيْنَ وَرَحْمَةٌ لَهُمْ وَرِجْسٌ عَلَى الْكَافِرِ.
“মহামারি হল মু’মিনদের জন্য শাহাদাত এবং রহমত স্বরূপ আর কাফিরদের জন্য শাস্তি স্বরূপ।” (সহিহ তারগিব, হা/১৪০১)

Monday 2 March 2020

দায়েশ-ইখওয়ান সম্পর্ক ও তাকফীরী উৎপাদনের ইতিহাস


·
মদিনার অন্যতম শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস ও ফাক্বীহ, আল-হাফিযুল মুতক্বিন, আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ ড. মুহাম্মাদ বিন হাদী আল-মাদখালী (হাফিযাহুল্লাহ) প্রদত্ত ফতোয়া:
প্রশ্ন: ❝ইনি জিজ্ঞেস করছেন, তানযীমুদ দায়েশ (ISIS) এবং মুসলিম ব্রাদারহুডের মতাদর্শের মধ্যে সম্পর্ক কী?❞
উত্তর: ❝তারা (দায়েশ) তাদেরই (ব্রাদারহুডের) অন্তর্ভুক্ত। তারা তাদের একটি অংশ। দায়েশ জামা‘আতুন নুসরা (নুসরা ফ্রন্ট) থেকে এসেছে। জামা‘আতুন নুসরা হলো প্রাক্তন দল, যেটা আফগানিস্তানে উপস্থিত ছিল, যার নাম আল-কায়েদা। আর আল-কায়েদা হলো ‘আব্দুল্লাহ ‘আযযাম ও উসামা বিন লাদেনের দল। তারা সবাই সাইয়্যিদ কুতুবের মানহাজের অনুসারী, এবং সাইয়্যিদ কুতুব হাসান আল-বান্নার দাওয়াতের ফলস্বরূপ (তাদের সাথে) সংযুক্ত হয়েছে। এটা হলো সনদ, আপনারা যদি চান তাহলে নিজেরা গবেষণা করুন তাদের কিতাব থেকে। মাহমুদ ‘আব্দুল হালীমের “ইখওয়ান আল-মুসলিমীন : আহদাসুন সান‘আতিত তারীখ” পড়ুন; তিনি ছিলেন (ব্রাদারহুড) সংগঠনের একজন নেতা এবং হাসান আল-বান্নার সহকর্মী। তিনি এই বিষয়ে চার খণ্ড লিখেছেন।
তারা হলো শ্রেষ্ঠ মিথ্যুকদের অন্তর্ভুক্ত। তিনি উল্লেখ করেছেন, আমি আপনাদেরকে একটা কাহিনী শোনাব, যেটা এই কিতাবের মধ্যে পাওয়া যায়। আপনারা এই কিতাবে খুঁজে দেখতে পারেন। যেহেতু আমি ইতোমধ্যে এর রেফারেন্স দিয়েছি। এবং আপনি (এই কিতাবে) খুঁজে দেখার আগ পর্যন্ত মুহাম্মাদ ইবনু হাদী থেকে কিছু গ্রহণ করিয়েন না। সে বলেছে, “যখন আমরা, এবং যখন মুসলিম ব্রাদারহুড কোনো আর্থিক সংকটে পড়ত, আমরা ফিলিস্তিনের জন্য চাঁদা ওঠানোর স্লোগান দেওয়া শুরু করতাম।”
মানে তারা ফিলিস্তিনের জন্য চাঁদা চাইত। কিন্তু আসলে চাঁদা কাদের জন্য ছিল? আসলে এগুলো ছিলো তাদের ও তাদের পকেটের জন্য। আপনারা কয়েক বছর আগে দেখেছেন—বেশি আগে নয়—(তারা টাকা ওঠাচ্ছে) অন্যদের হিফয করানোর জন্য এবং এই ছোটো বাক্সগুলো, তারা এগুলো চাঁদার জন্য চালনা করত। তারা এগুলো সংগ্রহ করত আর এগুলো কোথায় যেত? এগুলো সন্ত্রাসীদের কাছে যেত। এটা বিদ্যমান আছে, গুগলে দেখুন, আপনারা এগুলো অডিয়ো ও ভিডিয়ো-সহ পাবেন।

Download AsPDF

Print Friendly and PDFPrint Friendly and PDFPrint Friendly and PDF
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...