নিয়ত শব্দের অর্থ হচ্ছে “কোন কাজ করতে ইচ্ছা করা” বা “সংকল্প করা”। নিয়ত করতে হবে অন্তরে, মুখে উচ্চারণ করে দোয়া পড়ে নয়। নিয়ত করার জন্য কোনো দুয়া পড়তে হবেনা বা মুখে উচ্চারণ করে কিছু বলতে হবেনা।
সালাতের নিয়ত করার জন্যেঃ
আপনি কোন ওয়াক্তের কত রাকাত (২/৩/৪), কি সালাত (ফরয, সুন্নত নাকি নফল সালাত) পড়ছেন, অন্তরে শুধুমাত্র এই ধারণা বা ইচ্ছাটুকু থাকলেই আপনার নিয়ত করা হয়ে যাবে। প্রত্যেক কাজের শুরুতে এইরকম অন্তরে নিয়ত করে নেওয়া “ফরয”।
যে কোনো ইবাদত বা আমলের পূর্বে এইভাবে নিয়ত না করলে, সেটা ইবাদত হিসেবে কবুল করা হয়না। কিন্তু নিয়তের জন্যে মুখে “নাওয়াইতুআন উসালিল্লাহি তাআ’লা...” এই দোয়া পড়ে বা মুখে উচ্চারণ করে যে নিয়ত পড়া হয়, সেটা হচ্ছে বেদাত। কারণ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এইভাবে দুয়া করতেন না। মনে রাখবেন, আমলের পূর্বে অন্তরে নিয়ত “করা” ফরয, কিন্তু মুখে উচ্চারণ করে নাওয়াইতু দুয়া “পড়া” নিয়ত করা বেদাত।
ধরুন কেউ একজনকে টাকা-পয়সা দান করলো, কিন্তু এই টাকা দেওয়ার পূর্বে সে আল্লাহর কাছে কোনো সওয়াব বা প্রতিদান পাওয়ার আশা করলোনা, তার মানে হলো সে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য “নিয়ত” (ইচ্ছা) করে নাই। তাই আল্লাহ তাআ’লা তাকে কোনো সওয়াব দেবেন না। কিন্তু সে যদি দান করা বা যেকোনো নেক আমলের পূর্বে শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য নিয়ত করে, তাহলেই কেবলমাত্র সে এর বিনিময়ে সওয়াব বা প্রতিদান পাবে। আবার সে যদি আল্লাহর সন্তুষ্টির সাথে অন্য কাউকে খুশি করা, মানুষের মাঝে নিজের সুনাম ছড়ানো, এমন উদ্দেশ্যে করে, সেটা হচ্ছে ‘রিয়া’ এবং এটা এক প্রকার শিরক। রিয়ার কারণে আল্লাহ ঐ আমল কবুল করেন না, বরং এই পাপের কারণে সে তোওবা না করলে শাস্তি পাবে।
সালাতের নিয়ত করার জন্যেঃ
আপনি কোন ওয়াক্তের কত রাকাত (২/৩/৪), কি সালাত (ফরয, সুন্নত নাকি নফল সালাত) পড়ছেন, অন্তরে শুধুমাত্র এই ধারণা বা ইচ্ছাটুকু থাকলেই আপনার নিয়ত করা হয়ে যাবে। প্রত্যেক কাজের শুরুতে এইরকম অন্তরে নিয়ত করে নেওয়া “ফরয”।
যে কোনো ইবাদত বা আমলের পূর্বে এইভাবে নিয়ত না করলে, সেটা ইবাদত হিসেবে কবুল করা হয়না। কিন্তু নিয়তের জন্যে মুখে “নাওয়াইতুআন উসালিল্লাহি তাআ’লা...” এই দোয়া পড়ে বা মুখে উচ্চারণ করে যে নিয়ত পড়া হয়, সেটা হচ্ছে বেদাত। কারণ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এইভাবে দুয়া করতেন না। মনে রাখবেন, আমলের পূর্বে অন্তরে নিয়ত “করা” ফরয, কিন্তু মুখে উচ্চারণ করে নাওয়াইতু দুয়া “পড়া” নিয়ত করা বেদাত।
ধরুন কেউ একজনকে টাকা-পয়সা দান করলো, কিন্তু এই টাকা দেওয়ার পূর্বে সে আল্লাহর কাছে কোনো সওয়াব বা প্রতিদান পাওয়ার আশা করলোনা, তার মানে হলো সে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য “নিয়ত” (ইচ্ছা) করে নাই। তাই আল্লাহ তাআ’লা তাকে কোনো সওয়াব দেবেন না। কিন্তু সে যদি দান করা বা যেকোনো নেক আমলের পূর্বে শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য নিয়ত করে, তাহলেই কেবলমাত্র সে এর বিনিময়ে সওয়াব বা প্রতিদান পাবে। আবার সে যদি আল্লাহর সন্তুষ্টির সাথে অন্য কাউকে খুশি করা, মানুষের মাঝে নিজের সুনাম ছড়ানো, এমন উদ্দেশ্যে করে, সেটা হচ্ছে ‘রিয়া’ এবং এটা এক প্রকার শিরক। রিয়ার কারণে আল্লাহ ঐ আমল কবুল করেন না, বরং এই পাপের কারণে সে তোওবা না করলে শাস্তি পাবে।