فضل البنات (কন্যা সন্তানের মর্যাদা)
এক) কন্যা সন্তান জাহান্নামের আগুন হতে প্রতিবন্ধক হবে।
أَنَّ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ ﷺ حَدَّثَتْهُ قَالَتْ جَاءَتْنِي امْرَأَةٌ مَعَهَا ابْنَتَانِ تَسْأَلُنِي، فَلَمْ تَجِدْ عِنْدِي غَيْرَ تَمْرَةٍ وَاحِدَةٍ، فَأَعْطَيْتُهَا، فَقَسَمَتْهَا بَيْنَ ابْنَتَيْهَا، ثُمَّ قَامَتْ فَخَرَجَتْ، فَدَخَلَ النَّبِيُّ ﷺ فَحَدَّثْتُهُ فَقَالَ "مَنْ يَلِي مِنْ هَذِهِ الْبَنَاتِ شَيْئًا فَأَحْسَنَ إِلَيْهِنَّ كُنَّ لَهُ سِتْرًا مِنَ النَّارِ".
নবী ﷺ এর স্ত্রী আয়িশাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, “একটি মহিলা দুই মেয়ে সাথে নিয়ে আমার কাছে এসে কিছু চাইলো, আমার কাছ থেকে একটি খেজুর ব্যতীত আর কিছুই সে পেলো না, আমি তাকে ওটা দিলাম। মহিলাটি তার দুই মেয়েকে খেজুরটি ভাগ করে দিল। তারপর সে উঠে বের হয়ে গেল। এ সময় নবী ﷺ এলেন। আমি তাঁকে ব্যাপারটি জানালাম। তখন তিনি বললেন, ‘যাকে এ সব কন্যা সন্তান দিয়ে পরীক্ষা করা হয়, অতঃপর সে তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করে, এ কন্যারা তার জন্য জাহান্নামের আগুন থেকে প্রতিবন্ধক হবে।’” [সহীহ বুখারী- ৫৯৯৫, সহীহ মুসলিম- ২৬২৯]
দুই) দুটি মেয়ে প্রতিপালনে রয়েছে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সাথে জান্নাতে থাকার সুবর্ণ সুযোগ।
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ "مَنْ عَالَ جَارِيَتَيْنِ حَتَّى تَبْلُغَا جَاءَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَنَا وَهُوَ وَضَمَّ أَصَابِعَهُ".
আনাস ইবনে মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, “যে ব্যক্তি দুটি মেয়ে সন্তানকে সাবালক হওয়া পর্যন্ত প্রতিপালন করে, কিয়ামতের দিন সে ও আমি এমন পাশাপাশি অবস্থায় থাকবো, এ বলে তিনি তার হাতের আঙ্গুলগুলো মিলিয়ে দিলেন।” [সহীহ মুসলিম- ২৬৩১]
তিন) কন্যা সন্তান মূল্যবান সঙ্গী।
عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ , قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ : «لا تَكْرَهُوا الْبَنَاتِ فَإِنَّهُنَّ الْمُؤْنِسَاتُ الْغَالِيَاتُ»
উকবাহ ইবনে আমের রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, “তোমরা মেয়েদের অপছন্দ করো না, কারণ তারা মূল্যবান সঙ্গী।” [সিলসিলাহ সহীহাহ- ৩২০৬]
চার) দুই/তিন মেয়ে/বোন ভালোভাবে প্রতিপালনে ও তাদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয়কারীর জন্য রয়েছে জান্নাত।
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ "مَنْ كَانَ لَهُ ثَلاَثُ بَنَاتٍ أَوْ ثَلاَثُ أَخَوَاتٍ أَوِ ابْنَتَانِ أَوْ أُخْتَانِ فَأَحْسَنَ صُحْبَتَهُنَّ وَاتَّقَى اللَّهَ فِيهِنَّ فَلَهُ الْجَنَّةُ".
আবূ সাঈদ আল-খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, “যার তিনটি মেয়ে অথবা তিনটি বোন আছে, অথবা দুটি মেয়ে অথবা দুটি বোন আছে, সে তাদের প্রতি ভালো ব্যবহার করলে এবং তাদের (অধিকার) সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় করলে তার জন্য জান্নাত নির্ধারিত আছে।” [সহীহুত তারগীব- ১৯৭৩]
পাঁচ) তিনটি কন্যা সন্তান থাকলে ও তাদের ব্যাপারে ধৈর্যধারণ করলে, তাদের হক্ব যথাযথ আদায় করলে তারা কিয়ামতের দিন জাহান্নাম থেকে অন্তরায় হবে।
قَالَ سَمِعْتُ عُقْبَةَ بْنَ عَامِرٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ﷺ يَقُولُ "مَنْ كَانَ لَهُ ثَلاَثُ بَنَاتٍ فَصَبَرَ عَلَيْهِنَّ وَأَطْعَمَهُنَّ وَسَقَاهُنَّ وَكَسَاهُنَّ مِنْ جِدَتِهِ كُنَّ لَهُ حِجَابًا مِنَ النَّارِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ".
উকবা ইবনে আমের রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বলতে শুনেছি, “কারও তিনটি কন্যা সন্তান থাকলে এবং সে তাদের ব্যাপারে ধৈর্য ধারণ করলে, যথাসাধ্য তাদের পানাহার করালে ও পোশাক-আশাক দিলে, তারা কিয়ামতের দিন তার জন্য জাহান্নাম থেকে অন্তরায় হবে।” [সহীহ ইবনে মাজাহ- ২৯৭৪]
সম্পাদনায়,
শাইখ ড. মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ হাফিযাহুল্লাহ।
১৫ যুলহিজ্জাহ ১৪৪৫ হিজরি, ২২ জুন ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ