Saturday 23 August 2014

দেখুন তাবলীগ জামাতের ‪‎ফাযায়েলে_হজ্জ‬ নামক বইয়ে কিভাবে মাযার পূজার শিক্ষা



দেখুন তাবলীগ জামাতের ‪#‎ফাযায়েলে_হজ্জ‬ নামক বইয়ে কিভাবে মাযার পূজার শিক্ষা দিয়ে সাধারণ মানুষকে পথভ্রষ্ট করা হচ্ছে। তাই সাবধান এদের পাগড়ি, যুব্বা আর মিষ্টি মিষ্টি কথা শুনে ধোখা খাবেন না।
১. ক্ষুধার্থ একব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহর আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কবরের পার্শ্বে গিয়ে খাদ্যের আবেদন করে ঘুমিয়ে পড়লেন। সেই অবস্থায় তার নিকট রুটি আসল, ঘুমন্ত অবস্থায় ঐ ব্যক্তি অর্ধেক রুটি খাওয়ার পর জাগ্রত হয়ে বাকী অর্ধেক রুটি খেলেন।”
ফাযায়েলে হ্জ্জ, পৃ:১৫৫-১৫৬।
২. জনৈক মহিলা তিন জন খাদেম কর্তৃক মার খাওয়ার পর রাসূল সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কবরের পার্শ্বে গিয়ে বিচার প্রার্থনা করলে, আওয়াজ আসল ধৈর্য ধর, ফল পাবে। এর পরেই অত্যাচারী খাদেমগণ মারা গেল।
ফাযায়েলে হজ্জ, পৃ: ১৫৯।
. অর্থাভাবে বিপন্ন এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহর আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কবরের পার্শ্বে হাজিরহয়ে সাহায্যের প্রার্থনা করায় তা কবুল হল। লোকটি ঘুমথেকে জাগ্রত হয়ে দেখতে পেল যে, তারহাতে অনেকগুলো দিরহাম।
ফাযায়েলে হজ্জ, পৃ: ১৬২-৬৩।
৪. মদীনার মসজিদে আযান দেয়া অবস্থায় এক খাদেম মুয়াজ্জেমকে প্রহার করায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহর আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কবরের পার্শ্বে গিয়ে বিচার প্রার্থনা করল। প্রার্থনার তিনদিন পরই ঐ খাদেম মরা গেল।
ফাযায়েলে হ্জ্জ, পৃ:১৬২-৬৩।
৫. জনৈক অসুস্থব্যক্তি চিকিৎসায় ব্যর্থ হওয়ায় ঐ ব্যক্তির আত্মীয় (করডোভার এক মন্ত্রী) রোগ্যের আবেদন করে হুজুরের (সাল্লাল্লাহর আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কবরে পাঠ কার জন্য অসুস্থ ব্যক্তিকে পত্রসহ মদীনায় প্রেরণ করে। কবরের পার্শ্বে পত্র পাঠ করার পরেই রোগীর আরোগ্য লাভ হয়ে যায়।
ফাযায়েলে হজ্জ, পৃ: ১৬৭।
৬. কোন ব্যক্তি হুজুরের রওজায় আরজ করায় রওজা হতে হুজুরের হস্ত মোবারক বেরহয়ে আসলে উহা চুম্বনকরে সে ধন্য হল। নব্বই হাজার লোক উহা দেখতে পেল।

আল হামদুলিল্লাহ, ইনশাআল্লাহ, মাশা আল্লাহ… কখন কোনটি বলতে হবে!


রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-

ইসলামী বিষয়ে জ্ঞানার্জনের সুযোগ আমাদের সমাজে দিন দিন কমে যাচ্ছে। আগে যেখানে বাচ্চাদেরকে প্রতিদিন ভোর সকালে মকতবে পাঠানো হতো কুরআন পড়ার জন্য, সেখানে এখন তাদেরকে পাঠানো হয় ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল গুলোতে টুইংকল টুইংকল শেখানোর জন্য। আগে যেখানে ফজরের পর মুসলিম পরিবার গুলোর জানালা দিয়ে কুরআন তিলাওয়াতের সূর ভেসে আসতো, আজ সেখান থেকে শোনা যায় হারমোনিয়াম আর গিটারের আওয়াজ।

গীবত একটি মারাত্মক কবীরা গুনাহ্‌



রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-

মানুষ সামাজিক জীব। সমাজবদ্ধ জীবনযাপন ছাড়া একাকী জীবন যাপন করা মানুষের পক্ষে সহজ নয়, তেমনটি কেউ কামনাও করে না। আবার পরিচিত সমাজের বাইরেও মানুষের পক্ষে চলা খুবই কঠিন। পৃথিবীর সমাজবদ্ধ কোনো মানুষই সামাজিক বিপর্যয় কামনা করতে পারেন না। মানুষ সব সময় সুখ ও শান্তি চায়। শান্তি মানুষের একটি আরাধ্য বিষয়। কিন্তু এই প্রত্যাশিত সুখ-শান্তি নির্ভর করে সমাজবদ্ধ মানুষের পারস্পরিক সম্পর্কের ওপর। উঁচু-নিচু, ধনী-দরিদ্র­ এসব পার্থক্যই আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন। মানুষের পারস্পরিক পরিচয়ের জন্যই এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ সূরা হুজরাতে এরশাদ করেছেন,

রামাযান মাস আসার পূর্বক্ষণে রোযা পালন করো না



সহিহ আত্ তিরমিজি :: রামাযান মাস আসার পূর্বক্ষণে রোযা পালন করো না অনূচ্ছেদ
অধ্যায় ৮ :: হাদিস ৬৮৪
আবূ হুরাইরা (রা) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ রামাযান মাস আসার একদিন কিংবা দুদিন পূর্ব থেকে তোমারা (নফল) রোযা পালন করো না। হ্যাঁ, তবে তোমাদের কারো পূর্ব অভ্যাস অনুযায়ী রোযা পালনের দিন পড়ে গেলে সে ঐ দিনের রোযা পালন করতে পারবে। তোমরা রোযা রাখ চাঁদ দেখে এবং রোযা শেষ কর চাঁদ দেখেই। (২৯ তারিখে) আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে ত্রিশ দিন পুরো কর (চাঁদ দেখতে না পেলে), এরপর ইফ্তার কর (রোযা শেষ কর)।-সহীহ্, ইবনু মাজাহ (১৬৫০ ও ১৬৫৫), বুখারি, মুসলিম
রাসূলুল্লাহ্সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম –এর কিছু সংখ্যক সাহাবি হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদিস বর্ণিত আছে। আবূ হুরাইরা (রা) হতে বর্ণিত হাদিসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্বলেছেন। এ হাদিস অনুযায়ী বিশেষজ্ঞ আলিমগণ আমল করেন। তাদের মতে রামাযান মাস শুরুর অব্যবহিত পূর্বে রামাযানের মর্যাদার লক্ষ্যে রোযা পালন করা মাক্রূহ্। তবে কোন নির্ধারিত দিনে রোযা আদায়ের পূর্ব-অভ্যাস কারো থাকলে এবং রামাযানের আগের দিন সেই দিন হলে তবে এদিনে রোযা পালনে কোন সমস্যা নেই।

Jami at-Tirmidhi :: What Has Been Related About: Do Not Precede The Month With Fasting
Part 8 :: Hadith 684
Abu Hurairah narrated that :

the Prophet said: "Do not precede the month with a day nor with two days, unless that fast falls on a day that one of you would have (normally) fasted. Fast with its sighting and break fast with its sighting, and if it is cloudy, then count for thirty days, and then break (the fast)." (Sahih)

রামাযান মাসের রোযা পালন করলো



সহিহ আত্ তিরমিজি :: রোজা বা সাওম অধ্যায়
অধ্যায় ৮ :: হাদিস ৬৮৩
আবূ হুরাইরা (রা) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ ঈমানের সাথে এবং সাওয়াবের আশা করে যে লোক রামাযান মাসের রোযা পালন করলো এবং (ইবাদাতের উদ্দেশ্যে) রাতে জেগে রইলো, তার পূর্ববর্তি গুনাহ্গুলো ক্ষমা করে দেওয়া হয়। আর ঈমানের সাথে এবং সাওয়াবের আশা করে যে লোক লাইলাতুল কাদ্রের (ইবাদাতের জন্য) রাতে জেগে তাহকে, তার পূর্ববর্তি গুনাহ্গুলো ক্ষমা করে দেওয়া হয়।-সহীহ্ ইবনু মাজাহ (১৩২৬), বুখারি, মুসলিম
আবূ ঈসা আবূ বাক্র ইবনু আইয়াসের সূত্রে আবূ হুরাইরা (রা) –এর বর্ণিত হাদিসটিকে গারিব বলেছেন। আমারা আমাশ –আবূ সালিহ্-এর সূত্রে বর্ণিত আবূ হুরাইরা (রা) –এর হাদিসটিকে শুধুমাত্র আবূ বাক্র ইবনু আইয়াসের মাধ্যমেই জেনেছি। আমি এ হাদিস প্রসঙ্গে মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাইলকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, হাসান ইবনুর রাবি, আবুল আহ্ওয়াস হতে, তিনি আমাশ হতে, তিনি মুজাহিদ হতে তার বক্তব্য হিসাবে বর্ণিত রামাযান মাসের প্রথম রাতে ...... হাদিসের শেষ পর্যন্ত। মুহাম্মাদ বলেন, আমার নিকটে এই সনদটি আবূ বাক্র ইবনু আইয়াসের তুলনায় বেশি সহীহ্।

Jami at-Tirmidhi :: What Has Been Related About The Virtue Of The Month Of Ramadan
Part 8 :: Hadith 683
Abu Hurairah narrated that :
the Messenger of Allah said: "Whoever fasts Ramadan and stands (in the night prayer) for it out of faith and seeking a reward (from Allah), he will be forgiven what preceded of his sins. Whoever stands (in the night prayer) on the Night of Al-Qadr out of faith and seeking a reward (from Allah), he will be forgiven what preceded of his sins." (Hasan)

Grade:        Hasan (Darussalam)

রামাযান মাসের ফাযিলাত



সহিহ আত্ তিরমিজি :: রামাযান মাসের ফাযিলাত অনূচ্ছেদ
অধ্যায় ৮ :: হাদিস ৬৮২
আবূ হুরাইরা (রা) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ শাইতান ও দুষ্ট জিন্দেরকে রামাযান মাসের প্রথম রাতেই শৃংখলাবদ্ধ করা হয়, জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করা হয় এবং এর একটি দরজাও তখন আর খোলা হয় না, খুলে দেওয়া হয় জান্নাতের দরজাগুলো এবং এর একটি দরজাও তখন আর বন্ধ করা হয় না। (এ মাসে) একজন ঘোষণাকারী ঘোষণা দিতে থাকেনঃ হে কল্যাণ অন্বেষণকারী ! অগ্রসর হও। হে পাপাসক্ত ! বিরত হও। আর বহু লোককে আল্লাহ্তা’আলার পক্ষ হতে এ মাসে জাহান্নাম হতেকে মুক্ত করে দেওয়া হয় এবং প্রত্যেক রাতেই এরূপ হতে থাকে।-সহীহ্ ইবনু মাজাহ (১৬৪২)
আব্দুর রাহমান ইবনু আওফ, ইবনু মাসউদ ও সালমান (রা) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদিস বর্ণিত আছে।

Jami at-Tirmidhi :: What Has Been Related About The Virtue Of The Month Of Ramadan
Part 8 :: Hadith 682
Abu Hurairah narrated that :

the Messenger of Allah said: "On the first night of the month of Ramadan, the Shayatin are shackled, the jinns are restrained, the gates of the Fires are shut such that no gate among them would be opened. The gates of Paradise are opened such that no gate among them would be closed, and a caller calls: 'O seeker of the good; come near!' and 'O seeker of evil; stop! For there are those whom Allah frees from the Fire.' And that is every night." (Hasan)

নাশিদ/ইসলামিক গান/ গজল/কাওয়ালী/সামা’ নিয়ে সউদী আলেমদের ফতোয়াঃ


ফতোয়া ১:
প্রশ্নঃ শায়খ বিভিন্ন জলসা ও সমাবেশে ধফ বা কোনো মিউজিক্যাল এফেক্ট ছাড়া যে “ইসলামিক নাশিদ” গাওয়া হয় এর হুকুম কি?
উত্তরঃ এর কোনো ভিত্তি নেই, এটা একটা নতুন আবিষ্কার (বিদআ’ত)।
এই নাশিদকে ইসলামের অংশ বলা হচ্ছে এবং নাম দেওয়া হয়েছে “ইসলামিক গান”।. এর দ্বারা তারা বুঝাতে চাচ্ছে – ইসলাম এই ধরণের গানের হুকুম দিয়েছে। কিন্তু এর কোনো ভিত্তি নেই। 

Friday 22 August 2014

একটি শিক্ষনীয় ঘটনাঃ


জনৈক আলেম একটি ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তা হচ্ছে কোন একজন ছাত্র দীর্ঘ দিন তার উস্তাদের কাছে ইলম অর্জন করার পর যখন বিদায় নিয়ে দেশে চলে যাচ্ছিল তখন উস্তাদ ছাত্রকে জিজ্ঞেস করলেনঃ কত বছর তুমি আমার কাছে অবস্থান করেছ? ছাত্র বললঃ ৩৩ বছর!!!

কবর ওয়ালা মসজিদে সলাত/নামাজ পরার হুকুম কি?



রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-

7014842_sello_de_peligro
আল্লামা শায়খ মুহাম্মদ বিন সালেহ আল উসাইমীন (রাহ.)

প্রশ্নঃ কোন মসিজদে কবর থাকলে সেখানে নামায আদায় করার হুকুম কি?

উত্তরঃ কবর সংশ্লিষ্ট মসজিদে নামায আদায় করা দু’ভাগে বিভক্তঃ
প্রথম প্রকারঃ প্রথমে কবর ছিল। পরবর্তীতে তাকে কেন্দ্র করে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ওয়াজিব হচ্ছে এই মসজিদ পরিত্যাগ করা; বরং মসজিদ ভেঙ্গে ফেলা। যদি না করা হয় তবে মুসলিম শাসকের উপর আবশ্যক হচ্ছে উক্ত মসজিদ ধ্বংস করে ফেলা।

“ইসলাম” শব্দের অর্থ কি?



বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ্‌,
অনুবাদঃ মোহাম্মদ সলিমুল্লাহ | সম্পাদনাঃ আবদ্‌ আল-আহাদ এবং মোঃ মাহমুদ -ই- গাফফার
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামীনের জন্য। শান্তি অবতীর্ণ হোক প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সাল্লালাহুআলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর উপর এবং তাঁর পরিবারবর্গ ও তাঁর সঙ্গী-সাথীদের উপর।

“ইসলাম” শব্দের অর্থ কি?



বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ্‌,
অনুবাদঃ মোহাম্মদ সলিমুল্লাহ | সম্পাদনাঃ আবদ্‌ আল-আহাদ এবং মোঃ মাহমুদ -ই- গাফফার
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামীনের জন্য। শান্তি অবতীর্ণ হোক প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সাল্লালাহুআলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর উপর এবং তাঁর পরিবারবর্গ ও তাঁর সঙ্গী-সাথীদের উপর।

বইঃ হাদীসের নামে জালিয়াতি – প্রচলিত মিথ্যা হাদীস ও ভিত্তিহীন কথা



রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-

hadiser name jaliyati

লিখেছেনঃ ড. খোন্দকার আব্দুলাহ জাহাঙ্গীর

{পি-এইচ. ডি. (রিয়াদ), এম. এ. (রিয়াদ), এম.এম. (ঢাকা)
অধ্যাপক, আল-হাদীস বিভাগ,
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া}
সংক্ষিপ্ত বর্ণনাঃ কুরআন কারীমের পরে রাসূলুলাহ (সাঃ)-এর হাদীস ইসলামী জ্ঞানের দ্বিতীয় উৎস ও ইসলামী জীবন ব্যবস্থার দ্বিতীয় ভিত্তি। মুমিনের জীবন আবর্তিত হয় রাসূলুলাহ (সাঃ)-এর হাদীসকে কেন্দ্র করে। হাদীস ছাড়া কুরাআন বুঝা ও বাস্তাবায়ন করাও সম্ভব নয়। হাদীসের প্রতি এই স্বভাবজাত ভালবাসা ও নির্ভরতার সুযোগে অনেক জালিয়াত বিভিন প্রকারের বানোয়াট কথা ‘হাদীস’ নামে সমাজে প্রচার করেছে। সকল যুগে আলিমগণ এসকল জাল ও বানোয়াট কথা নিরীক্ষার মাধ্যমে চিহ্নিত করে মুসলমানদেরকে সচেতন করেছেন।
আমাদের দেশে যুগ যুগ ধরে হাদীসের পঠন, পাঠন ও চর্চা থাকলেও সহীহ, যয়ীফ ও বানোয়াট হাদীসের বাছাইয়ের বিষয়ে বিশেষ অবহেলা পরিলক্ষিত হয়। যুগ যুগ ধরে অগণিত বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও মিথ্যা কথা হাদীস নামে আমাদের সমাজে প্রচারিত হয়েছে ও হচ্ছে। এতে আমরা রাসূলুলাহ (সাঃ)-এর নামে মিথ্যা বলার কঠিন পাপের মধ্যে নিপতিত হচ্ছি। এছাড়াও দুইভাবে আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। প্রথমত, এ সকল বানোয়াট হাদীস আমাদেরকে সহীহ হাদীসের শিক্ষা, চর্চা ও আমল থেকে বিরত রাখছে। দ্বিতীয়ত, এগুলির উপর আমল করে আমরা আলাহর কাছে পুরস্কারের বদলে শাস্তি পাওনা করে নিচ্ছি।
এই পুস্তকের প্রথম পর্বে হাদীসের পরিচয়, হাদীসের নামে মিথ্যার বিধান, ইতিহাস, হাদীসের নির্ভুলতা নির্ণয়ে সাহাবীগণ ও পরবর্তী মুহাদ্দিসগণের নিরীক্ষা পদ্ধতি, নিরীক্ষার ফলাফল, মিথ্যার প্রকারভেদ, মিথ্যাবাদী রাবীগণের শ্রেণীভাগ, জাল হাদীস নির্ধারণের পদ্ধতি ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করা হয়েছে। আশা করি এই আলোচনা পাঠকের মনের দ্বিধা ও অস্পষ্টতা দূর করবে এবং হাদীসের নির্ভুলতা রক্ষায় মুসলিম উম্মাহর অলৌকিক বৈশিষ্ট্য পাঠকের কাছে স্পষ্ট হবে।
দ্বিতীয় পর্বে আমাদের সমাজে প্রচলিত বিভিনড়ব ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও জাল হাদীসের বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, জাল হাদীসের বিষয়ে লেখকের মূলত নিজের কোনো মতামত উলেখ করা হয়নি। দ্বিতীয় হিজরীর তাবেয়ী ও তাবে- তাবেয়ী ইমামগণ থেকে শুরু করে পরবর্তী যুগের অগণিত মুহাদ্দিস রাসূলুলাহ (সাঃ)-এর নামে প্রচারিত সকল হাদীস সংকলন করে, গভীর নিরীক্ষা ও যাচাইয়ের মাধ্যমে সে সকল হাদীস ও রাবীদের বিষয়ে যে সকল মতামত প্রদান করেছেন লেখক মূলত সেগুলির উপরেই নির্ভর করেছেন এবং তাঁদের মতামতই উল্লেখ্য করা হয়েছে।
পাঠকদের কম্পিউটারে পড়ার সুবিধার্থে বইটিতে Interactive Link অ্যাড করেছে কুরআনের আলো টিম। মানে আপনি যখন সূচীপত্র থেকে কোন বিষয় পড়তে চাবেন, তখন আপনাকে কষ্ট করে বিষয়টা খুঁজতে হবে না। আপনি সুধু বিষয়টির উপর ক্লিক করলেই, আপনাকে সেই বিষয়টি তাৎক্ষণিক দেখাবে। আবার বইটির উপরে Contents এ ক্লিক করলে, আপনাকে সূচীপত্রে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে।

ডাউনলোড করুন

Download from MediaFire

কবর আযাবের কতিপয় কারণ



রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-

IMG_7859
মৃত্যুর পরে মানুষকে কবরে রাখা হয়। বিভিন্ন কারণে মানুষকে কবরে শাস্তি দেওয়া হয়। তন্মধ্যে মিথ্যা বলা, কুরআন তেলাওয়াত পরিহার করা, সূদ খাওয়া ও যেনা-ব্যাভিচার করা অন্যতম। এ প্রসঙ্গেই নিম্নোক্ত হাদীছ।-

আপনি কি মুহাম্মাদ (সাঃ) কে চেনেন?



রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-

নবী (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) র বৈশিষ্টঃ

  •  তিনি আদম সন্তানের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ও তাদের নেতা। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “আমার পালনকর্তার নিকট আদম-সন্তানদের মধ্যে আমিই সর্বাধিক সম্মানিত, এতে অহংকারের কিছু নেই।(তিরমিযী)
  • তিনি নবী-রাসূলদের মধ্যে সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ। নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “কিয়ামতের দিন আমিই হব নবীগণের ইমাম (নেতা), তাঁদের মুখপত্র এবং তাঁদের সুপারিশ কারী, এতে কোন অহংকার নেই।(বুখারী ও মুসলিম)
  • তিনি সর্বপ্রথম পুনরুত্থিত হবেন। নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “সকলের আগে আমিই কবর থেকে উত্থিত হব। অতঃপর আমাকে জান্নাতের একজোড়া পোশাক পরানো হবে। যখন সকল মানুষ আল্লাহর দরবারে একত্রিত হবে, তখন আমি তাদের ব্যাপারে বক্তব্য পেশ করব। তারা যখন নিরাশ ও হতাশা গ্রস্থ হবে তখন আমিই তাদেরকে সুসংবাদ প্রদানকারী হব। সেদিন প্রশংসার পতাকা আমার হাতেই থাকবে। (তিরমিযী)
  • তিনি সর্ব প্রথম জান্নাতে প্রবেশ করবেন।

আপনি কি মুহাম্মাদ (সাঃ) কে চেনেন?



রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-

নবী (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) র বৈশিষ্টঃ

  •  তিনি আদম সন্তানের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ও তাদের নেতা। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “আমার পালনকর্তার নিকট আদম-সন্তানদের মধ্যে আমিই সর্বাধিক সম্মানিত, এতে অহংকারের কিছু নেই।(তিরমিযী)
  • তিনি নবী-রাসূলদের মধ্যে সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ। নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “কিয়ামতের দিন আমিই হব নবীগণের ইমাম (নেতা), তাঁদের মুখপত্র এবং তাঁদের সুপারিশ কারী, এতে কোন অহংকার নেই।(বুখারী ও মুসলিম)
  • তিনি সর্বপ্রথম পুনরুত্থিত হবেন। নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “সকলের আগে আমিই কবর থেকে উত্থিত হব। অতঃপর আমাকে জান্নাতের একজোড়া পোশাক পরানো হবে। যখন সকল মানুষ আল্লাহর দরবারে একত্রিত হবে, তখন আমি তাদের ব্যাপারে বক্তব্য পেশ করব। তারা যখন নিরাশ ও হতাশা গ্রস্থ হবে তখন আমিই তাদেরকে সুসংবাদ প্রদানকারী হব। সেদিন প্রশংসার পতাকা আমার হাতেই থাকবে। (তিরমিযী)
  • তিনি সর্ব প্রথম জান্নাতে প্রবেশ করবেন।

আপনি কি মুহাম্মাদ (সাঃ) কে চেনেন?



রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-

নবী (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) র বৈশিষ্টঃ

  •  তিনি আদম সন্তানের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ও তাদের নেতা। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “আমার পালনকর্তার নিকট আদম-সন্তানদের মধ্যে আমিই সর্বাধিক সম্মানিত, এতে অহংকারের কিছু নেই।(তিরমিযী)
  • তিনি নবী-রাসূলদের মধ্যে সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ। নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “কিয়ামতের দিন আমিই হব নবীগণের ইমাম (নেতা), তাঁদের মুখপত্র এবং তাঁদের সুপারিশ কারী, এতে কোন অহংকার নেই।(বুখারী ও মুসলিম)
  • তিনি সর্বপ্রথম পুনরুত্থিত হবেন। নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “সকলের আগে আমিই কবর থেকে উত্থিত হব। অতঃপর আমাকে জান্নাতের একজোড়া পোশাক পরানো হবে। যখন সকল মানুষ আল্লাহর দরবারে একত্রিত হবে, তখন আমি তাদের ব্যাপারে বক্তব্য পেশ করব। তারা যখন নিরাশ ও হতাশা গ্রস্থ হবে তখন আমিই তাদেরকে সুসংবাদ প্রদানকারী হব। সেদিন প্রশংসার পতাকা আমার হাতেই থাকবে। (তিরমিযী)
  • তিনি সর্ব প্রথম জান্নাতে প্রবেশ করবেন।

আমার মা (একটি সরল গল্প)



রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-

আমার মা। মাকে আমি ভালোবাসি। আমার জন্য কত কষ্টই না তুমি করেছ মা। মনে পড়ে এক রাতের ঘটনা। তখন আমি ক্লাস থ্রি কি ফোরে পড়ি। আমার কি জ্বরটাই না হল সে রাতে। সারাটা রাত আমি জ্বরে কাতরাচ্ছিলাম। ঘরে জ্বরের ঔষধ ছিল না। দোকান পাটও অত রাতে বন্ধ হয়ে গেছে। মা আমার মাথা ধুইয়ে দিলেন। সারাটা রাত আমার সাথে জেগে রইলেন। সারাদিন পরিশ্রমের পর যে কোন ব্যাক্তিরই ঘুমে চোখ জড়িয়ে আসার কথা। অথচ মায়ের চোখ থেকে ঘুম যে ছুটে কোথায় গেল। কি যেন একটা উৎকন্ঠা মায়ের মুখকে এতটুকু করে দিয়েছিল। এমন কত রাত যে মা আমার না ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিয়েছেন তার কি হিসেব আছে। আমি যখন কোলে ছিলাম । যে বয়সের স্মৃতি আমার একটুও মনে নেই। কতবার যে ক্ষুধায় কেদে উঠেছি। মা আমার ঠিকই বুঝে যেতেন। সেই মাকে আমি কিই বা দিতে পেড়েছি।
24
এই বেশীদিন আগের ঘটনা নয়। এক রাতে হঠাৎ জেগে দেখি মা আমার জায়নামাজে বসে আল্লাহর কাছে দুহাত তুলে কাঁদছেন। একজন মা তার সন্তান ও পরিবার ছাড়া কার জন্যই বা দোয়া করতে পারে। ভেবে আমার চোখেও জল এসে গিয়েছিল।

ঈদের নামাযের পূর্বে ফিত্রা আদায় করা



সহিহ আত্ তিরমিজি :: ঈদের নামাযের পূর্বে ফিত্রা আদায় করা অনূচ্ছেদ
অধ্যায় ৭ :: হাদিস ৬৭৭
ইবনু উমার (রা) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ্সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈদের দিন সকালে ঈদের নামায আদায় করতে যাওয়ার পূর্বে ফিত্রা আদায়ের নির্দেশ দিতেন।
-হাসান সহীহ্, সহীহ্আবূ দাউদ (১৪২৮), ইরওয়া (৮৩২), বুখারি, মুসলিম
হাদিসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্গারিব বলেছেন। সকাল বেলা ঈদের নামায আদায় করতে যাওয়ার পূর্বেই ফিত্রা আদায় করাকে আলিমগণ মুস্তাহাব বলেছেন।

Jami at-Tirmidhi :: What Has Been Related About: It Is To Be Paid Before The Salat
Part 7 :: Hadith 677
Ibn Umar narrated that :

the Messenger of Allah would order paying the Zakat before going to the Salat on the day of Fitr. (Sahih)

সাদকাতুল ফিতর হিসাবে এক সা খেজুর বা এক সা যব


সহিহ আত্ তিরমিজি :: যাকাত অধ্যায়
অধ্যায় ৭ :: হাদিস ৬৭৬
ইসহাক ইবন মূসা আনসারী (র).... আব্দুল্লাহ ইবন উমার (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) আযাদ-গোলাম, নর-নারী প্রত্যেক মুসলিমের উপর রামাযানের সাদকাতুল ফিতর হিসাবে এক সা খেজুর বা এক সা যব ফরয বলে নির্ধারণ করে দিয়েছেন।
ইমাম আবূ ঈস (র.) বলেন, ইবন উমার (রা.) বর্ণিত এই হাদীছটি হাসান সহীহ্ । মালিক (র.) নাফি, ইবন উমার (রা.) সূত্রে নবী (সা.) থেকে আইয়্যুব-এর হাদীছের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে এতে من المسلمين শব্দটি অতিরিক্ত রয়েছে। আরো অনেকে নাফি (র.) থেকে এটির রিওয়ায়াত করেছেন। কিন্তু তারা من المسلمين শব্দের উল্লেখ করেননি। এই বিষয়ে আলিমগণের মতভেদ রয়েছে।  কেউ কেউ বলেন, যদি কারো অমুসলিম দাস-দাসী থাকে তবে তাদের পক্ষ থেকে তাকে সাদাকাতুল ফিতর আদায় করতে হবে না। এ হল  ইমাম মালিক, শাফিঈ ও আহমাদ (র.)এর অভিমত। আবার কেউ কেউ বলেন, তারা অমুসলিম হলেও তাদের পক্ষ থেকে(মালিককে) ফিতরা আদায় করতে হবে । এ হল ইমাম সাওরী, ইবন মুবারক ও ইসহাক (র.)-এর অভিমত।

Jami at-Tirmidhi :: What Has Been Related About Sadaqat al-Fitr
Part 7 :: Hadith 676
Ibn Umar narrated:

"The Messenger of Allah made Sadaqatul-Fitr of Ramadan an obligation - a Sa of dried dates or a Sa of barley - required upon every free person and slave, male and female among the Muslims." (Sahih

জুমুআর খুৎবা: সত্যবাদিতা অবলম্বন ও মিথ্যা পরিত্যাগ (ভিডিও সহ)


জুমুআর খুৎবা
সত্যবাদিতা অবলম্বন ও মিথ্যা পরিত্যাগ
বক্তব্য: শাইখ কামালুদ্দীন জাফরী (হাফিযাহুল্লাহ)
পাঠ সংক্ষেপ
খুতবার উদ্দেশ্য : ১-মুসলিম উম্মার আচার-আচরণে সততা ও সত্যবাদিতার প্রতিষ্ঠা২-মিথ্যা থেকে হুঁশিয়ার করা৩-মানুষের মাঝে আস্থা বীজবপন করা
الْحَمْدُ لِلَّهِ نَسْتَعِينُهُ وَنَسْتَغْفِرُهُ وَنَعُوذُ بِاللهِ مِنْ شُرُورِ أَنْفُسِنَا، مِنْ يَهْدِهِ اللهُ فَلَا مُضِلَّ لَهُ، وَمَنْ يُضْلِلْ فَلَا هَادِيَ لَهُ، وَأَشْهَدُ أَن لَّا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ، أَرْسَلَهُبِالْحَقِّ بَشِيرًا وَنَذِيرًا بَيْنَ يَدَيِ السَّاعَةِ، مَنْ يُطِعِ اللهَ وَرَسُولَهُ فَقَدْ رَشَدَ، وَمَنْ يَعْصِهِمَا فَإِنَّهُ لَا يَضُرُّ إِلَّا نَفْسَهُ وَلَا يَضُرُّ اللهَ شَيْئًا، اللَّهُمَّ صَلِّ وَسَلِّمْ عَلَى سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِهِوَأَصْحَابِهِ وَمَنْ تَبِعَهُمْ بِإِحْسَانٍ إِلَى يَوْمِ الدِّيِنِ، أَمَّا بَعْدُ :
মুহতারাম মুসল্লীবৃন্দ! সত্য কথা বলা ও সৎভাবে জীবনযাপন করা মহৎ মানুষের চরিত্র ও বৈশিষ্ট্য। মিথ্যা কথা বলা ও অসৎ জীবন যাপন করা অসৎমানুষের লক্ষণ। সত্যবাদিতা হলো ঈমানের পূর্ণতাদানকারী একটি মহৎ গুণ। ইসলামের দাবি হলো সততানির্ভর জীবন, যে জীবনে থাকে না কোনোঅসত্যের চিহ্ন। সত্যবাদিতা নির্ভেজাল ও নির্মল ঈমানের জন্ম দেয় এবং সত্যবাদী ব্যক্তিরাই প্রকৃত অর্থে দুনিয়া-আখিরাতে সফলকাম হয়ে থাকে।সত্যবাদী-সত্যাশ্রয়ী ব্যক্তিরাই আল্লাহর ওপর যথোপযুক্ত তাওয়াক্কুল ও ভরসা রাখে; দুর্যোগ ও দুর্ভোগের সময় ধৈর্যের পরিচয় দেয়; স্বচ্ছলতার সময়ঐকান্তিকভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। সত্যবাদীরাই কল্যাণকর কাজে পরস্পরে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয় এবং অকল্যাণকর কাজে তারা হয়প্রতিবাদী-বিদ্রোহী। এ সব কারণেই আল্লাহ তাআলা মুমিনদেরকে তাকওয়া ও আল্লাহ-ভীতি ও সত্যবাদী লোকদের সংস্রব অবলম্বন করার জোর নির্দেশদিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে : يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَكُونُوا مَعَ الصَّادِقِينَ ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের সাথে থাক’ (সূরাআত-তাওবা  : ১১৯)।

জুমুআর খুৎবা: সত্যবাদিতা অবলম্বন ও মিথ্যা পরিত্যাগ (ভিডিও সহ)


জুমুআর খুৎবা
সত্যবাদিতা অবলম্বন ও মিথ্যা পরিত্যাগ
বক্তব্য: শাইখ কামালুদ্দীন জাফরী (হাফিযাহুল্লাহ)
পাঠ সংক্ষেপ
খুতবার উদ্দেশ্য : ১-মুসলিম উম্মার আচার-আচরণে সততা ও সত্যবাদিতার প্রতিষ্ঠা২-মিথ্যা থেকে হুঁশিয়ার করা৩-মানুষের মাঝে আস্থা বীজবপন করা
الْحَمْدُ لِلَّهِ نَسْتَعِينُهُ وَنَسْتَغْفِرُهُ وَنَعُوذُ بِاللهِ مِنْ شُرُورِ أَنْفُسِنَا، مِنْ يَهْدِهِ اللهُ فَلَا مُضِلَّ لَهُ، وَمَنْ يُضْلِلْ فَلَا هَادِيَ لَهُ، وَأَشْهَدُ أَن لَّا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ، أَرْسَلَهُبِالْحَقِّ بَشِيرًا وَنَذِيرًا بَيْنَ يَدَيِ السَّاعَةِ، مَنْ يُطِعِ اللهَ وَرَسُولَهُ فَقَدْ رَشَدَ، وَمَنْ يَعْصِهِمَا فَإِنَّهُ لَا يَضُرُّ إِلَّا نَفْسَهُ وَلَا يَضُرُّ اللهَ شَيْئًا، اللَّهُمَّ صَلِّ وَسَلِّمْ عَلَى سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِهِوَأَصْحَابِهِ وَمَنْ تَبِعَهُمْ بِإِحْسَانٍ إِلَى يَوْمِ الدِّيِنِ، أَمَّا بَعْدُ :
মুহতারাম মুসল্লীবৃন্দ! সত্য কথা বলা ও সৎভাবে জীবনযাপন করা মহৎ মানুষের চরিত্র ও বৈশিষ্ট্য। মিথ্যা কথা বলা ও অসৎ জীবন যাপন করা অসৎমানুষের লক্ষণ। সত্যবাদিতা হলো ঈমানের পূর্ণতাদানকারী একটি মহৎ গুণ। ইসলামের দাবি হলো সততানির্ভর জীবন, যে জীবনে থাকে না কোনোঅসত্যের চিহ্ন। সত্যবাদিতা নির্ভেজাল ও নির্মল ঈমানের জন্ম দেয় এবং সত্যবাদী ব্যক্তিরাই প্রকৃত অর্থে দুনিয়া-আখিরাতে সফলকাম হয়ে থাকে।সত্যবাদী-সত্যাশ্রয়ী ব্যক্তিরাই আল্লাহর ওপর যথোপযুক্ত তাওয়াক্কুল ও ভরসা রাখে; দুর্যোগ ও দুর্ভোগের সময় ধৈর্যের পরিচয় দেয়; স্বচ্ছলতার সময়ঐকান্তিকভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। সত্যবাদীরাই কল্যাণকর কাজে পরস্পরে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয় এবং অকল্যাণকর কাজে তারা হয়প্রতিবাদী-বিদ্রোহী। এ সব কারণেই আল্লাহ তাআলা মুমিনদেরকে তাকওয়া ও আল্লাহ-ভীতি ও সত্যবাদী লোকদের সংস্রব অবলম্বন করার জোর নির্দেশদিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে : يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَكُونُوا مَعَ الصَّادِقِينَ ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের সাথে থাক’ (সূরাআত-তাওবা  : ১১৯)।

জুমুআর খুৎবা: সত্যবাদিতা অবলম্বন ও মিথ্যা পরিত্যাগ (ভিডিও সহ)


জুমুআর খুৎবা
সত্যবাদিতা অবলম্বন ও মিথ্যা পরিত্যাগ
বক্তব্য: শাইখ কামালুদ্দীন জাফরী (হাফিযাহুল্লাহ)
পাঠ সংক্ষেপ
খুতবার উদ্দেশ্য : ১-মুসলিম উম্মার আচার-আচরণে সততা ও সত্যবাদিতার প্রতিষ্ঠা২-মিথ্যা থেকে হুঁশিয়ার করা৩-মানুষের মাঝে আস্থা বীজবপন করা
الْحَمْدُ لِلَّهِ نَسْتَعِينُهُ وَنَسْتَغْفِرُهُ وَنَعُوذُ بِاللهِ مِنْ شُرُورِ أَنْفُسِنَا، مِنْ يَهْدِهِ اللهُ فَلَا مُضِلَّ لَهُ، وَمَنْ يُضْلِلْ فَلَا هَادِيَ لَهُ، وَأَشْهَدُ أَن لَّا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ، أَرْسَلَهُبِالْحَقِّ بَشِيرًا وَنَذِيرًا بَيْنَ يَدَيِ السَّاعَةِ، مَنْ يُطِعِ اللهَ وَرَسُولَهُ فَقَدْ رَشَدَ، وَمَنْ يَعْصِهِمَا فَإِنَّهُ لَا يَضُرُّ إِلَّا نَفْسَهُ وَلَا يَضُرُّ اللهَ شَيْئًا، اللَّهُمَّ صَلِّ وَسَلِّمْ عَلَى سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِهِوَأَصْحَابِهِ وَمَنْ تَبِعَهُمْ بِإِحْسَانٍ إِلَى يَوْمِ الدِّيِنِ، أَمَّا بَعْدُ :
মুহতারাম মুসল্লীবৃন্দ! সত্য কথা বলা ও সৎভাবে জীবনযাপন করা মহৎ মানুষের চরিত্র ও বৈশিষ্ট্য। মিথ্যা কথা বলা ও অসৎ জীবন যাপন করা অসৎমানুষের লক্ষণ। সত্যবাদিতা হলো ঈমানের পূর্ণতাদানকারী একটি মহৎ গুণ। ইসলামের দাবি হলো সততানির্ভর জীবন, যে জীবনে থাকে না কোনোঅসত্যের চিহ্ন। সত্যবাদিতা নির্ভেজাল ও নির্মল ঈমানের জন্ম দেয় এবং সত্যবাদী ব্যক্তিরাই প্রকৃত অর্থে দুনিয়া-আখিরাতে সফলকাম হয়ে থাকে।সত্যবাদী-সত্যাশ্রয়ী ব্যক্তিরাই আল্লাহর ওপর যথোপযুক্ত তাওয়াক্কুল ও ভরসা রাখে; দুর্যোগ ও দুর্ভোগের সময় ধৈর্যের পরিচয় দেয়; স্বচ্ছলতার সময়ঐকান্তিকভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। সত্যবাদীরাই কল্যাণকর কাজে পরস্পরে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয় এবং অকল্যাণকর কাজে তারা হয়প্রতিবাদী-বিদ্রোহী। এ সব কারণেই আল্লাহ তাআলা মুমিনদেরকে তাকওয়া ও আল্লাহ-ভীতি ও সত্যবাদী লোকদের সংস্রব অবলম্বন করার জোর নির্দেশদিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে : يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَكُونُوا مَعَ الصَّادِقِينَ ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের সাথে থাক’ (সূরাআত-তাওবা  : ১১৯)।

বই ডাউনলোড: আল কোরআনের বিষয় অভিধান


Al Quraner Bishoy Ovidhanবইটির সংক্ষিপ্ত পরিচিতি:
নাম: আল কোরআনের বিষয় অভিধান
লেখক: আসাদ বিন হাফিজ
প্রকাশনায়: প্রীতি প্রকাশন, বড় মগবাজার, ঢাকা
(প্রকাশিত বইয়ের বিক্রয় মূল্য: ২০০টাকা মাত্র)
স্ক্যানিং ও ইন্টারনেটে আপলোড:বাংলা ইন্টারনেট ডট কম
  • বইটির স্ক্যান কপি মিডিয়া ফায়ার থেকে ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন। (৯. ৯১এমবি)
যারা কুরআনে কোথায় কী আছে সহজে জানতে চান বা কুরআন নিয়ে গবেষণা করতে চান তাদের জন্য বইটি খুবই উপকারী হবে ইনশাআল্লাহ। এটির ব্যবহারও সহজ। কারণ, বাংলা অক্ষরের বিন্যাস অনুযায়ী কুরআনের বিষয়গুলো বিন্যস্ত করা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে উত্তম বিনিময় দান করুন। আমীন।

মন জয় করার ১১টি সহজ উপায়


আ ব্দু ল্লা হ আ ল বা কী
-আপনি কি চান আপনার সহকর্মীরা আপনাকে ভালবাসুক?
– আপনি কি চান আপনার অধিনস্তরা আপনাকে  ভালবাসুক?
– আপনি কি চান তারা আপনার দেয়া কাজ গুলো সুন্দর ভাবে আদায় করুক?
– আপনি কি চান আপনার ছাত্রদেরকে আপনার মনের মত করে গড়ে তুলবেন?
– আপনি কি আপনার দাওয়াত অন্যের মাঝে সহজে ছড়িয়ে দিতে চান?
তাহলে ১১টি গোপন চাবি আপনার হাতে তুলে দিলাম। এগুলো দ্বারা সহজে অন্যের হৃদয় রাজ্যে গোপনে প্রবেশ করে তাদের স্বপ্নের রাজা হয়ে যেতে পারেন আপনিও, ইনশাআল্লাহ! তো আর কথা নয়…
১.উত্তম চরিত্র: এর দ্বারা অধীনস্থদের শ্রদ্ধা ও ভক্তি অর্জন করা যায়। ফলে তাদের দ্বারা লক্ষ বাস্তবায়ন করা সহজ হয়। কারণ, মানুষ যখন ঊর্ধ্বতনদের পক্ষ হতে মানবিক ও অমায়িক আচরণে মুগ্ধ হয় তখনি তারা ঝরঝরা মনোভাব নিয়ে কাজ আঞ্জাম দেয়।
২.কথা ও কাজে মিল রাখুন :  আপনি যে কাজ করতে আদেশ কিংবা নিষেধ করবেন, নীতিগত ভাবে নিজে অবশ্যই তার উপর আমল করবেন। যেমন জামায়াতে নামায পড়ার উপর আপনি খুব উপদেশ এবং কড়াকড়ি করেন কিন্তু তিনি নিজেই মাঝে-মধ্যে ফজরের জামায়াত ফেল করেন। অনুরূপ আপনি  টিভির আজে-বাজে প্রোগ্রাম দেখতে নিষেধ করেন, অথচ নিজেই টিভিতে বাজে প্রোগ্রাম দেখেন। এ অভ্যাস দূর করতে হবে। আপনি আদর্শ হতে এক চুলও নড়বেন না। তাহলে সাথীরা আপনার অনুসরণ করবে। এভাবে সবার আস্থা অর্জন করা যায় এবং সমালোচনা এড়ানো যায়।
৩.সাম্য ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা: স্বজন প্রীতি, বন্ধু প্রীতি, আত্নীয় করণ, দলীয় করণ ইত্যাদির সীমানা পেরিয়ে আপনাকে হতে হবে সবার জন্য সমান। কথা, কাজ, বেতন, পুরষ্কার, তিরস্কার সর্বক্ষেত্রে ইনসাফের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। তাহলে অধীনস্থরা মানস পটে সঞ্চিত সংকীর্ণতাকে ঝেড়ে ফেলে উদারতা ও আত্ন-শক্তি অর্জন করবে। একই সাথে তারা আপনাকে উপহার দেবে নিষ্ঠা ও প্রাণবন্ততা। আর হ্যাঁ, ভালোদেরকে ভালো বলবেন এবং মূল্যায়ন করবেন এবং উৎসাহ দিবেন ভুলবেন না! কারণ যোগ্যতা, নিষ্ঠা ও ত্যাগের মূল্যায়ন না হলে উদ্যমী কর্মীরা মনোবল হারিয়ে ফেলে।
৪.ক্ষমা প্রদর্শন ও পজেটিভ হোন: অনেক সময় প্রতিশোধ না নিয়ে ক্ষমা প্রদর্শন করলে ভুলকারী অধিক শিক্ষা পায়, ভুল সংশোধনের প্রতি অধিক প্রয়াসী হয় এবং তার হৃদয়ে আপনার প্রতি স্বচ্ছ ও বর্ধিত ভালবাসা সৃষ্টি হয়। এভাবে আপনি অপরাধীকে সংশোধন করে নিজের ভক্তে পরিণত করতে পারেন।
৫.সংযত আত্নার অধিকারী হোন: আপনাকে অর্থ, নারী, বিলাসিতা অলসতা ও অন্যান্য ফেতনা থেকে দূরে থাকতে হবে। তাহলে অধীনস্থদের প্রতি দৃঢ়তা এবং প্রভাব বিস্তার করতে পারবেন।
৬.সবসময় নিজের মতামতকে চাপিয়ে দিবেন না: বরং সবার সাথে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন।
৭.কল্যাণ কামী হওয়া: রাসূলূল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন :
 ( ما مِنْ عَبْدٍ اسْتَرْعاهُ اللهُ رَعِيَّةً فَلَمْ يَحُطْها بِنَصيحَةٍ إِلاّ لَمْ يَجِدْ رائِحَةَ الْجَنَّةِ (أخرجه البخاري
“আল্লাহ তায়ালা যাকে কোন জনসমষ্টির দায়িত্বশীল করলেন আর সে তাদের জন্য কল্যাণ কামনা করল না, সে জান্নাতের গন্ধও পাবেনা।” (সহীহুল বুখারী, কিতাবুল আহকাম)
৮.আমিত্ব পরিহার করুন: কারণ এতে আর যাই হোক, অন্যের হৃদয় রাজ্যে গড়ে উঠা ভালবাসা, মর্যাদা আর ব্যক্তিত্বের পাহাড় বরফের মত গলে গলে নি:শেষ হয়ে যায়।
৯.জ্ঞান ও প্রজ্ঞা: আপনি যদি কোন প্রতিষ্ঠানের প্রধান হয়ে থাকেন তবে সেখানকার সকল বিভাগের কাজ-কর্ম সম্পর্কে আপনার ধারণা থাকতে হবে। কুরআন-হাদীসের পাশাপাশি হিসাব, ইংরেজি, ম্যানেজম্যান্ট, কম্পিউটার ইত্যাদি। মনে রাখতে হবে যে, সুপার ভাইজার যদি নিজেই কাজ না বুঝে, তাহলে তার দ্বারা সবসময় অর্ধেক সাফল্য আশা করতে হবে। গভীর দৃষ্টি, সূক্ষ্ম চিন্তাশক্তি, দ্রুত সমস্যা উপলব্ধি এবং দ্রুত সমাধান, সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত প্রদান এসবগুলোকে এক কথায় প্রজ্ঞা বলে।
১০.প্রতিভা , বিচক্ষণতা ও দূরদর্শিতা : যার মধ্যে এই গুণগুলো রয়েছে তার মধ্যে আল্লাহ প্রদত্ত অফুরন্ত কল্যাণের সমাহার ঘটেছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন:
وَمَنْ يُؤْتَ الْحِكْمَةَ فَقَدْ أُوتِيَ خَيْرًا كَثِيرًا
“যাকে হেকমত বা প্রজ্ঞা দেয়া হয়েছে তাকে দেয়া হয়েছে প্রভূত কল্যাণ।”  (সূরা বাকারা: ২৬৯)
পক্ষান্তরে এই গুণ যার মধ্যে নেই, সাফল্য তাকে ধরা দিবে না।
১১. ধৈর্য ও সহনশীলতা: এটি বিরোধীদের মোকাবেলা এবং নিজ অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য অত্যন্ত কার্যকর। এই গুণটিকে সাফল্যের চাবিকাঠি বলা যায়।
তাছাড়া, মানুষকে তার সুন্দর নাম ধরে ডাকা, পূর্বের কোন ঘটনার খোজ খবর নেয়া, হাসি মুখে কথা বলা, চা-নাস্তার আসর বসানো, উপকার করা, নিজেকে তার শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে উপস্থাপন করা, কোমলতা, উদারতা, ওয়াদা ঠিক রাখা এসবই মানুষকে মানুষের কাছে এনে দেয়। তবে সবকিছুর আগে খুলুসিয়াত কথা যেন ভুলে না যাই।
লেখক: আব্দুল্লাহ আল বাকী
দাঈ, পূর্ব জেদ্দা ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার, সউদী আরব

Thursday 21 August 2014

Book: শেষ দিবস



রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-

70
সংক্ষিপ্ত বর্ণনা: শেষ দিবসের উপর বিশ্বাস স্থাপন করা ঈমানের ছয়টি মূল ভিত্তি ও রুকন  সমূহের মধ্যে অনতম ভিত্তি ও রুকন।মানুষের আত্মার সংশোধন তার আল্লাহভীতি ও আল্লাহর দিনে অবিচল অনড় থাকার জন্য শেষ দিবস সম্পর্কে জ্ঞান থাকা অত্তন্ত জরুরি। উক্ত দিনের ভয়াবাহতা, আতঙ্ক, মৃত্যু সম্পর্কীয় বিষয়াদি, কিয়ামত ও এর নিদর্শন, জাহান্নাম ও এর আযাব, জান্নাত ও এর বিবরন কুরআন ও সহীহ  হাদিস এর আলোকে সহজ ও সুন্দরভাবে উপরোক্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি আলোচনা করা হয়েছে এই শেষ দিবস বইটিতে।

Download [1.4MB]

বইঃ সুরাহ ফাতেহার তাফসির



রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-

মূল আরবী লিখেছেনঃ মুহাম্মাদ বিন সুলাইমান আত-তামিমি (রাহঃ)
ভাষান্তরেঃ মোহাম্মাদ রকিবুদ্দিন হুসাইন
সংক্ষিপ্ত বর্ণনাঃ সূরা ফাতেহা মুলতঃ একটি প্রার্থনা বিশেষ, যা আল্লাহ মানুষকে শিক্ষা দিয়েছেন। অবশিষ্ট কোরআন হলো তার পক্ষ থেকে এর জবাব, যার মধ্যে মানবকুলের জন্য সহজ সরল ও সঠিক জীবন – পথের পূর্ণাঙ্গ ও বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে।
এই তাফসিরখানা অতি সংক্ষিপ্ত হলেও এর মধ্যে আল্লাহর সাথে বান্দাহর মোনাজাত ও এবাদাতে তাওহীদ এই বিষয় দুটো অত্যন্ত চমৎকার ও যুক্তিপূর্ণভাবে তুলে ধরা হয়েছে। পরবর্তীকালে রচিত তাফসীর গুলোতে সাধারানতঃ বিষয় দুটো এমন গুরুত্ব সহকারে বর্ণনা করা হয়নি।

ডাউনলোড size: (1.41) MB | page: 47 | format: pdf

জুমার দিনের মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব

শুরু করছি মহান আল্লাহর নামে,যিনি পরম করুনাময় অসীম দয়ালু।
জুমার দিনের মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব
জুমার জন্য গোসল করা, সুগন্ধি ব্যবহার করা, সকাল সকাল মসজিদে যাওয়া, এ দিনে দো‘আ করা, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর দরূদ পড়া ও এ দিনের কোন এক সময়ে দো‘আ কবুল হওয়ার বিবরণ এবং জুমার পর বেশী বেশী মহান আল্লাহর যিকির করা মুস্তাহাব
মহান আল্লাহ বলেছেন,
قَالَ الله تَعَالَى: ﴿ فَإِذَا قُضِيَتِ ٱلصَّلَوٰةُ فَٱنتَشِرُواْ فِي ٱلۡأَرۡضِ وَٱبۡتَغُواْ مِن فَضۡلِ ٱللَّهِ وَٱذۡكُرُواْ ٱللَّهَ كَثِيرٗا لَّعَلَّكُمۡ تُفۡلِحُونَ ١٠ ﴾ (الجمعة: ١٠)
অর্থাৎ অতঃপর নামায সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান কর ও আল্লাহকে অধিক-রূপে স্মরণ কর; যাতে তোমরা সফলকাম হও। (সূরা জুমআ ১০ আয়াত)

জুম’আর দিনের ফযীলত

শুরু করছি মহান আল্লাহর নামে,যিনি পরম করুনাময় অসীম দয়ালু।
জুম’আর দিনের ফযীলত
উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য জুম’আর দিনের ফযীলত সমূহ
১)সূর্য উদিত হয় এমন দিনগুলোর মধ্যে জুম’আর দিন হল সর্বোত্তম দিন। এ দিনে যা কিছু ঘটেছিল তা হলঃ
(ক) এই দিনে আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করা হয়েছিল,

নির্যাতিত মুসলিমদের কীভাবে সাহায্য করা যায়?

নির্যাতিত মুসলিমদের কীভাবে সাহায্য করা যায়?
প্রশ্নঃ বর্তমানে ফিলিস্তিন সহ বিভিন্ন দেশে মুসলিমদের উপর নানাভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে। তাদের বাড়িঘর, খেতখামার ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে, বাচ্চাদের মেরে ফেলা হচ্ছে, আহতদের চিকিৎসা ব্যাহত করা হচ্ছে, বাড়িঘরের উপর নির্বিচারে বোমা বর্ষণ করা হচ্ছে, তাদের প্রয়োজনীয় খাবার আর পানীয় কিনতে ইহুদীরা সহ অনেকেই তাদের বাধা দিচ্ছে। একজন মুসলিম হিসেবে আমি কী করতে পারি?
উত্তরঃ
১. তাদের জন্য দুআ করা। বিশেষ করে নামাযে দুআ কুনূত পাঠ করা।

পুরুষদের মাঝে কিছু লোক থাকে অত্যন্ত জালেম


পুরুষদের মাঝে কিছু লোক থাকে অত্যন্ত জালেম, এরা দিনের বেলায় স্ত্রীদেরকে গাধার খাটুনি খাটায়, তুচ্ছ কারনে নারীদের গায়ে হাত তোলে। আর রাতের বেলায় যৌন কামনা মেটানোর জন্য ‪#‎পশুর‬ মতো ঝাপিয়ে পড়ে (রাসুল সাঃ ঠিক এই ভাষাই ব্যবহার করেছেন, মানবজাতির মাঝে নিকৃষ্ট এই পুরুষদের বর্ণনা দিতে গিয়ে)।
এদের বিরুদ্ধে পারিবারিক ও সামাজিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, নিরীহ ও অসহায় নারীদেরকে এদের পাশবিক আচরণ থেকে বাঁচানোর জন্য। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে এদের মাঝে অনেক বদমায়েশ লোক থাকে যারা বাইরের লোকদের সাথে, বিশেষ করে পাশের বাড়িত ভাবী, অমুকের স্ত্রী – এদের সাথে হাসি-ঠাট্টা করে বেড়ায়, কিন্তু নিজ স্ত্রীর সাথে তাদের আচরণ দাসী-বাদীর চাইতেও খারাপ। আফসোস হয় তখন যখন জাহান্নামের দিকে এক পা দিয়ে রাখা এই বর্বর লোকগুলোর হাতে দ্বীনি বোনদেরকে নির্যাতিত হওয়ার কথা শুনি।
এই ধরণের কেউ যদি আমাদের মাঝে থাকেন দয়া করে এই মুহূর্ত থেকে তোওবা করে স্ত্রীর কাছে হাতে পায়ে ধরে ক্ষমা চান। আজকে শক্তির কারণে, দুনিয়ার ক্ষমতার কারণে যাকে কষ্ট দিচ্ছেন – কাল কেয়ামতের দিনে সেই আপনার জাহান্নামে যাওয়ার কারণ হবে। মনে রাখবেন, দুনিয়ার আগুন জাহান্নামের আগুনের ৭০ ভাগের ১ ভাগ। সামান্য দুনিয়ার আগুনের তাপ শুধুমাত্র একটা আংগুলে ৫ মিনিটের জন্য রাখতে না পারেন – জাহান্নামের আগুনের ভেতরে কোটি কোটি বছর দগ্ধ হওয়াকে এতো সহজ কেন মনে করছেন?

Download AsPDF

Print Friendly and PDFPrint Friendly and PDFPrint Friendly and PDF
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...