Thursday 16 April 2020

দাম্পত্য নিয়ে ছোট্ট নসীহা

🌸
🌸

সমস্ত প্রশংসা আমার মহান রব্ব এর, সলাত ও সালাম বর্ষিত হোক আমার প্রিয় নবী মোহাম্মদ (সা) এর উপর - 💖 ছোট কিছু নসীহা আমাদের দাম্পত্য জীবন এর জন্য স্বামী স্ত্রী একে অপর এর পরিপুরক, স্বামী যে ভাবে স্ত্রী কে ছাড়া থাকতে পারে না অনুরুপ স্ত্রী ও স্বামী কে ছাড়া এক মুহূর্ত চলতে পারবে না। ♥️ স্বামী স্ত্রী দুইজন কে ঘিরে একটি দাম্পত্য সংসার তৈরী হয়, এই দাম্পত্য জীবন এ যেমন আছে অনাবিল সুখ শান্তি র বিশাল পাহাড় আল্লাহ্ র পক্ষ থেকে আবার আমাদের অজান্তে কিছু ভুল ও শয়তান এর কু-চক্রান্তে দাম্পত্য জীবনে সমস্যা সৃষ্টি হয়! ▫️স্বামী স্ত্রী একে অপর এর পাশে সব সময় ভালবাসার বন্ধন সারাজিবন কিভাবে অটুট রাখব ও শয়তান এর চক্রান্ত থেকে নিজেকে সামলে পরিত্রান করব তার কিছু কথা ➖▪️🔴 স্বামী স্ত্রী দাম্পত্য জীবনের ঝগড়া ঝাঁটি হওয়া এটা স্বাভাবিক এটা কেও বলতে পারবে না আমাদের জীবনে কখনো রাগ করিনি কখনো ঝগড়া করিনি, প্রত্যেক টা মানুষের জীবনে এগুুলা আসে কিন্তুু এগুুলা কে মোকাবেলা করতে হয়, কেও রাগ টাকে স্থায়ি করে রাখে মনোমালিন্য কষ্ট টাকে স্থায়ী করে রাখে কে ও হুট করে এটাকে শেষ করে দেয়, যেমন আমার হাজবেন্ড এর সাথে আমার রাগ হলো আমি চাইলেই পারি সুন্দর একটা হাসির মাঝে সুন্দর একটা মিষ্টি কথার মাধ্যমে পাঁচ মিনিট এর মধ্যে এটা মিমাংসা করে দিতে, আবার আমি চাইলেই কিন্তুু পাড়ি এটা এক মাস ধরে স্হায়ী করে রাখতে, এটা নিজের উপর -কারন আমি যদি জেদি হই, হু ও আমাকে এমন একটা কথা বললো, এমন আচরন করলো আমি ও ওর সাথে এমন ব্যবহার করবো -ফোন করলে কথা বলব না, অন্য মানোষ ক হয়ে থাকব, হু হু মানে হুট হাট করে কথা বলব, কোনো মিষ্টি ভাষায় কথা বলব না, ভালো আচরন করব না এগুুলা স্থায়ী করে রাখতে পারি!

Tuesday 14 April 2020

মাওলানা আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ : ত্রুটিবিচ্যুতি ও পর্যালোচনা [৩য় পর্ব]


▌২য় অধ্যায়: আল্লাহর শরীর সাব্যস্তকরণের জঘন্য বিদ‘আতী বক্তব্য
·
সূরাহ মুজাদালাহর ৭ নং আয়াতের তাফসীর করতে গিয়ে উস্তায আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ সাহেব বলেছেন, “সংখ্যায় তিন-এর কম হৌক অথবা পাঁচ-এর বেশী হৌক সব অবস্থাতেই আল্লাহ তাদের সাথে থাকেন। আর আল্লাহ মানুষের সাথে থাকেন এর অর্থ আল্লাহ সর্ববিষয়ে অবহিত। সবকিছু তিনি শুনেন ও সবকিছু তিনি দেখেন, তিনি সর্বশক্তিমান। তিনি তাঁর মর্যাদা অনুযায়ী সপ্তম আকাশের উপর অবস্থিত। অত্র আয়াতের ব্যাখ্যায় আবুল আলা মওদুদী আল্লাহ্‌র অস্তিত্বকে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আল্লাহ কোন শরীর সম্পন্ন সত্তা নন। তিনি কারো সাথী হয়ে কোথাও লুকিয়ে থাকেন না’ (তাফহীমুল কুরআন, অত্র আয়াতের ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য)।” (যদ্দৃষ্ট – সংকলক) [আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ, তাওযীহুল কুরআন : ২৮তম পারা; পৃষ্ঠা: ৩৪; নিবরাস প্রকাশনী (সপুরা, রাজশাহী) কর্তৃক প্রকাশিত; প্রকাশকাল: ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দ]
·
❏ বক্তব্যের পর্যালোচনা:
সম্মাননীয় পাঠক, উস্তায আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ সাহেব এখানে জামাতীদের আদর্শিক গুরু মওদুদী সাহেবের বিরোধিতা করতে গিয়ে আল্লাহর শরীর সাব্যস্ত করেছেন। উস্তায আব্দুর রাযযাক সাহেবের কথাটি আবার প্রণিধান করুন। তিনি বলেছেন, “অত্র আয়াতের ব্যাখ্যায় আবুল আলা মওদুদী আল্লাহ্‌র অস্তিত্বকে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আল্লাহ কোন শরীর সম্পন্ন সত্তা নন। তিনি কারো সাথী হয়ে কোথাও লুকিয়ে থাকেন না’।” উস্তায আব্দুর রাযযাকের এই কথা থেকে বোঝা যায়, কেউ আল্লাহর শরীর সাব্যস্ত না করলে সে আল্লাহর অস্তিত্বকে অস্বীকারকারী বিবেচিত হবে। পক্ষান্তরে আল্লাহর শরীর সাব্যস্ত করলে সে আল্লাহর অস্তিত্বকে অস্বীকারকারী বিবেচিত হবে না। আল-‘ইয়াযু বিল্লাহ। এ থেকে স্পষ্টরূপে প্রতীয়মান হয় যে, উস্তায আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ সাহেব আল্লাহর শরীর সাব্যস্তকরণের ‘আক্বীদাহ পোষণ করেন। লা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ।

Monday 13 April 2020

মাওলানা আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ : ত্রুটিবিচ্যুতি ও পর্যালোচনা [২য় পর্ব]


▌১ম অধ্যায়: তাশবীহ তথা সাদৃশ্যদানের ভয়াবহ কুফরি বক্তব্য
·
উস্তায আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ সাহেব তাঁর একাধিক বক্তব্যে আল্লাহর সিফাতের সাথে মাখলুকের সিফাতের সাদৃশ্য দিয়েছেন। তার মধ্যে কয়েকটি বক্তব্য নিম্নরূপ:
১. উস্তায আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ সাহেব বলেছেন, “যেই দিন কোনো মানুষ কোনো মানুষের কোনো উপকার করতে পারবে না, তার নাম বিচারের দিন। একচ্ছত্র মালিকানা আল্লাহর হাতে থাকবে। রাজাধিরাজ হিসেবে সেইদিন তিনি মাঠে নেমে আসবেন। এক হাতে থাকবে সাতটি জমিন, এক হাতে থাকবে সাতটি আকাশ। [এই কথা বলতে গিয়ে উস্তায আব্দুর রাযযাক সাহেব নিজের দুই হাত দিয়ে ধরে থাকার ধরন বর্ণনা করেছেন – সংকলক] এইভাবে হাতে ঝাঁকি মেরে বলবেন, আইনাল জাব্বার, আইনাল মুতাকাব্বির? স্বৈরাচারী, স্বেচ্ছাচারী, অহংকারী, বদমেজাজিরা কোথায়?” (যদ্দৃষ্ট – সংকলক) [দ্র.: https://youtu(ডট)be/eaXHsjyQOgE (৮ মিনিট ১০ সেকেন্ড থেকে ৮ মিনিট ৪৫ সেকেন্ড পর্যন্ত)]
২. খ্রিষ্টাব্দ ২০১২ সালের একটি বক্তব্যে উস্তায আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ সাহেব বলেছেন, “এরপর তিনি বলছেন, সালাসা হাসায়াতিন মিন হাসায়াতি রাব্বী, এতগুলো জান্নাতে দেওয়ার পরে আমার প্রতিপালক জাহান্নামে এইভাবে হাত ঢুকিয়ে তিন অঞ্জলি মানুষ জাহান্নাম থেকে বের করে জান্নাতে দিয়ে দিবেন। তিন অঞ্জলি মানুষ জাহান্নাম থেকে বের করে জান্নাতে দিয়ে দিবেন। তিন অঞ্জলি মানুষ জাহান্নাম থেকে বের করে জান্নাতে দিয়ে দিবেন।” (যদ্দৃষ্ট – সংকলক) [দ্র.: https://youtu(ডট)be/edBIfbhbETE (১ ঘণ্টা ৩১ মিনিট ৪০ সেকেন্ড থেকে ১ ঘণ্টা ৩২ মিনিট ৫ সেকেন্ড পর্যন্ত)]
৩. উস্তায আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ সাহেব অন্যত্র বলেছেন, “এই সারা পৃথিবী, আকাশ, জমিনকে একসাথে ধরে আল্লাহ ওপরে তুলে আছাড় মেরে সেইদিন ভেঙে চৌচির খানখান করে দিবেন। সেইদিন মানুষের অবস্থা কী হবে? কী দিয়ে বুঝাই আপনাকে আমি, কিয়ামত কী জিনিস? সাতটা জমিন ধরে, সাতটা আকাশ ধরে, যেইদিন আল্লাহ এইভাবে আছাড় দিয়ে ভেঙে চৌচির করে দিবেন, খানখান করে দিবেন, সেইদিন কী হতে পারে অবস্থা!... এই সাতটা আকাশ, সাতটা জমিনকে এইভাবে ধরে এক আছাড় দিয়ে ছিন্নভিন্ন করে দিবেন, টুকরা টুকরা করে দিবেন।” (যদ্দৃষ্ট – সংকলক) [দ্র.: https://m(ডট)youtube(ডট)com/watch?fbclid&v=Ipa-1_-G4qY (৭ মিনিট ২৫ সেকেন্ড থেকে ৮ মিনিট ১৫ সেকেন্ড পর্যন্ত)]

Sunday 12 April 2020

মাওলানা আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ : ত্রুটিবিচ্যুতি ও পর্যালোচনা [১ম পর্ব]


·
▌ভূমিকা ও তৎসংশ্লিষ্ট আলোচনা
পরম করুণাময় অসীম দয়ালু মহান আল্লাহ’র নামে শুরু করছি। যাবতীয় প্রশংসা জগৎসমূহের প্রতিপালক মহান আল্লাহর জন্য। যিনি বলেছেন, “হক এসেছে, আর বাতিল অপসৃত হয়েছে; বাতিল তো অপসৃত হওয়ারই ছিল।” [সূরাহ বানী ইসরাঈল: ৮১]
শতসহস্র দয়া ও শান্তি বর্ষিত হোক প্রাণাধিক প্রিয় নাবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহর প্রতি। যিনি বলেছেন, “তুমি হক (সত্য) বল, যদিও তা তিক্ত হয়।” [সাহীহুত তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/২২৩৩; সনদ: সাহীহ লি গাইরিহী] অন্যত্র বলেছেন, “তুমি হক বল, যদিও তা তোমার নিজের বিরুদ্ধে যায়।” [সিলসিলাহ সাহীহাহ, হা/১৯১১; সাহীহুল জামি‘, হা/৩৭৬৯; সনদ: সাহীহ]
·
❏ পূর্বাভাস:
ইয়া মা‘শারাল কুররা, ইয়া মিলহাল বালাদ, মাঁই ইউসলিহুল মিলহা ইযাল মিলহু ফাসাদ। ওগো ক্বারীদের দল, ওগো নগর-রাষ্ট্রের নিমক, তোমাদেরই যদি হয় এ হাল, তবে কে দিবে নগরস্থদের সবক? কথাগুলো বলেছিলেন ইমাম সুফইয়ান সাওরী। চরণ দুটোর মর্মার্থের আরও প্রকট কাব্যিক রূপায়ন চোখে পড়েছিল ফাইযী সাহেবের বইয়ে। সেখানে কথাগুলো এসেছে এভাবে, ‘রক্ষক যদি ভক্ষক হয়, কে করিবে রক্ষা, ধার্মিক যদি চুরি করে, কে দিবে তারে শিক্ষা?’
ইমাম সুফইয়ানের শেষের চরণটি গভীরভাবে ভাবতে গিয়ে চমকে ওঠলাম। ‘ইসলাহ’ আর ‘ফাসাদ’ শব্দ দুটো আমায় নিয়ে গেল ওই হাদীসে, যেখানে আহলেহাদীসদের বৈশিষ্ট্যের কথা বিবৃত হয়েছে। নবিকুল শিরোমণি রাসূলে মুবাশশির ﷺ বলেছেন, ইসলামের আগমন হয়েছে অল্পসংখ্যক মানুষ নিয়ে। অচিরেই ইসলাম অনুরূপ সংখ্যা নিয়ে প্রত্যাগমন করবে, যেমন শুরুতে আগমন করেছিল। সুতরাং শুভ সংবাদ ওই অল্পসংখ্যক লোকদের জন্য। তাদের পরিচয় জানতে চাওয়া হলে নাবীজী বললেন, ‘আল্লাযীনা ইউসলিহূনা ইযা ফাসাদান নাস, ওরা সেই সব লোক যারা মানুষ ভ্রষ্টপথে ধাবিত হলে তাদেরকে সংস্কার করে সঠিক পথে ধরে রাখার চেষ্টা করে।’ [মুসনাদে আহমাদ, হা/১৬৬৯০; সনদ: সাহীহ]
আহলেহাদীসদের এক অনুপম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, তারা জনসাধারণকে সঠিক পথের দিকে আহ্বান করে। তারা ‘আক্বীদাহ, মানহাজ ও আমল-আখলাকে ধারণ করে তাদের পূর্বসূরি ইমামদের নীতি, ন্যায়নিষ্ঠ সালাফদের আদর্শ। আর আহলেহাদীস জনগণের নেতৃত্ব দেয় তাদের হকপন্থি দা‘ঈবৃন্দ। বহু যুগ পূর্ব থেকে এমনটিই হয়ে আসছে, আর এমনটিই হওয়া উচিত। এই পরম্পরার মাঝে অনেক নেতৃস্থানীয় মহাত্মাদের পদস্খলন ঘটে। কিন্তু আহলেহাদীসরা সেই পদস্খলনের অনুগমন করে না। কারণ তারা হকের অনুসারী, ব্যক্তিপূজারী নয়।
মুশকিল দেখা দেয় তখন, যখন নেতৃস্থানীয় কেউ স্বীয় ভ্রমপ্রমাদের ওপর অটল থাকেন। ভুল থেকে ফিরে আসতে চান না। বরং স্বীয় প্রমাদকে আরও প্রবলভাবে আঁকড়ে ধরেন। আর একদল অবুঝ কিংবা অবুঝ হওয়ার ভণিতাকারী ব্যক্তি সেই ভুলকে এড়িয়ে যেতে, অথবা সেটাকে সঠিক প্রমাণ করতে তৎপর হয়ে ওঠে। ইমাম সুফইয়ানের কথাগুলো সেসব দা‘ঈর জন্যই যথার্থ হয়, যারা মানুষের সংস্কার করবে কী, তারা নিজেদের সংস্কার করতেই আগ্রহী নয়। আল্লাহ মাফ করুন।
আহলেহাদীস সমাজের সংস্কারমূলক দা‘ঈদের একজন হচ্ছেন উস্তায আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ। জনসাধারণের মধ্যে তাঁর দা‘ওয়াতের ভালো প্রভাব আছে। এটা অবশ্যই ভালো দিক। কিন্তু তাঁর কিছু বিপজ্জনক বিভ্রান্তিও আছে, যেসব বিভ্রান্তির সংশোধন অতীব জরুরি। সত্যিকারার্থে আমি আগে মনে করতাম, তাঁর ভুলগুলো দুয়েকটি খুঁটিনাটি মাসআলাহ সংক্রান্ত। আমি সেগুলো এড়িয়ে যেতাম। পরে জানলাম, তাঁর কিছু মৌলিক ‘আক্বীদাহগত ভুলও আছে। আমি ভাবলাম, তিনি হয়তো এসব ভুল থেকে ফিরে আসবেন। কারণ বিষয়গুলো নিয়ে সমালোচনা হয়েছিল।
এমনকি আমি তাঁর নাম না নিয়ে একটি মৌলিক ‘আক্বীদাহগত ভ্রান্তির খণ্ডনও করেছিলাম। পরবর্তীতে ‘উসমানী আজানের ইস্যু আসল। এই ইস্যুতে তাঁর কয়েক দফার বক্তব্য দেখে আমার মনে হলো, তিনি ভুল থেকে ফিরে আসতে চাইছেন না। হঠাৎই মনে পড়ল, ‘আক্বীদাহগত ভ্রান্তি নিয়ে সমালোচনার অনেকদিন হয়ে হয়ে গেল। কিন্তু তাঁকে তো ফিরে আসতে দেখলাম না! আমি এখানে এসে হোঁচট খেলাম, আমার চিন্তা বাধাগ্রস্ত হলো। উপলব্ধি করলাম, তাঁর ব্যাপারে এতদিন ধরে অবলম্বিত নীরবতা ভঙ্গ করার সময় এসেছে।

Download AsPDF

Print Friendly and PDFPrint Friendly and PDFPrint Friendly and PDF
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...