Thursday 28 August 2014

আল্লাহর তরবারী খালিদ বিন ওয়ালিদ (রা)




রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-

লেখকঃ মুহাম্মাদ তামীমুল ইসলাম
Khalid-Ibn-Waleed1

ভূমিকা :

খালিদ বিন ওয়ালীদ (রাঃ) ছিলেন মুসলিম ইতিহাসে ইতিহাস সৃষ্টিকারী এক মহান সেনাপতি। যিনি রণক্ষেত্রে নিজের শক্তি ও মেধার দ্বারা বাতিলের শক্তি মূলোৎপাটন করে তাওহীদের ঝান্ডাকে বুলন্দ করেছিলেন। মিসরের খ্যাতনামা সাহিত্যিক ও ঐতিহাসিক আববাস মাহমুদ আল-আক্কাদ ‘আবকারিয়াতু খালিদ’ নামক গ্রন্থে তাঁর সামরিক ব্যক্তিত্বের পর্যালোচনা করে বলেন, ‘সামরিক নেতৃত্বের সব গুণাবলীই খালিদ (রাঃ)-এর মধ্যে ছিল। বাহাদুরী, সাহসিকতা, উপস্থিত বুদ্ধি, তীক্ষ্ম মেধাসম্পন্ন, অত্যধিক ক্ষিপ্রতা এবং শত্রুর উপর অকল্পনীয় আঘাত হানার ব্যাপারে তিনি ছিলেন অদ্বিতীয় (তালিবুল হাশেমী, বিশ্বনবীর সাহাবী, অনুবাদ : আব্দুল কাদের (ঢাকা : আধুনিক প্রকাশনী, ২য় সংস্করণ; ১৯৯৪ খ্রিঃ, ১/১৮৮ পৃঃ)। নিমেণ এ কুশাগ্রবুদ্ধি মহান সেনাপতির সংগ্রামী জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হ’ল।

নাম ও জন্ম :

গুরুতর অপরাধ মানুষ হত্যা


রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-

লেখকঃ আলী হাসান তৈয়ব | সম্পাদনাঃ ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
অশান্তির আগুনে ঘেরা পৃথিবী। দ্বন্দ্ব-সংঘাতে ভরা অবনী। এ পৃথিবীতে এখন মানবজীবনের চেয়ে সস্তা কিছু নেই। বিশেষত বাংলাদেশের মতো তৃতীয়বিশ্বের দেশগুলোয় মাত্র ১০ টাকার জন্যও মানুষ খুন হচ্ছে। মিডিয়ায় কান পাতলে কিংবা সংবাদপত্রের পাতায় চোখ রাখলেই নিহতের স্বজনের আহাজারী আর মাতমের দৃশ্য থাকবেই। সন্তানের হাতে জন্মদাতা কিংবা জন্মদাতার হাতে সন্তান, স্বামীর হাতে স্ত্রী কিংবা স্ত্রীর হাতে স্বামী, শিক্ষকের হাতে ছাত্র কিংবা ছাত্রের হাতে শিক্ষক, কর্মচারীর হাতে মালিক কিংবা মালিকের হাতে কর্মচারী, নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে সাধারণ নাগরিক কিংবা নাগরিকের হাতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য খুন- কোনোটাই যেন এখন আর অস্বাভাবিক নয়!

Tuesday 26 August 2014

ইসলামের দৃষ্টিতে স্বপ্ন ও ব্যাখ্যা


শুরু করছি মহান আল্লাহর নামে,যিনি পরম করুনাময় অসীম দয়ালু।
sleeping-babby
গ্রন্থনা : মাওলানা মিরাজ রহমান
ভূমিকা : স্বপ্ন ঘুমের ঘোরে দর্শিত চিন্তা-ভাবনার নাম। অন্যদিকে এই স্বপ্নই হচ্ছে মানুষের কাক্সিক্ষত ভবিষ্যৎ। স্বপ্নকে আরবি ভাষায় ‘রুইয়া’ এবং ফার্সিতে ‘খাব’ বলা হয়। এ স্বপ্নের কোনো বাস্তবতা আছে কি না এ ব্যাপারে ধর্মীয় গবেষক এবং দার্শনিকদের মাঝে কিছু মতপার্থক্য রয়েছে। দার্শনিকদের মতে, মানুষের চিন্তা-ভাবনার একটি প্রতিচ্ছবি তার ঘুমের মাঝে ফুটে ওঠে, যা শুধু ধারণা ও চিন্তাপ্রসূত। বাস্তবতার সঙ্গে এর কোনো মিল নেই। তবে ইসলামী জ্ঞানসম্পন্ন বিদগ্ধ আলেমরা এ ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করেন। তাদের বক্তব্য হলো, সব স্বপ্নই মানুষের ধারণাপ্রসূত নয়। বরং অনেক স্বপ্ন রয়েছে, যা অর্থবোধক। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন স্বপ্ন তিন প্রকার। ১. রুইয়ায়ে সালেহাহ তথা ভালো স্বপ্ন। আল্লাহ মহানের পক্ষ থেকে কোনো সুসংবাদ হিসেবে যা বিবেচ্য। ২. রুইয়ায়ে শায়তানি তথা শয়তান কর্তৃক প্ররোচনামূলক প্রদর্শিত স্বপ্ন। ৩. রুইয়ায়ে নাফসানি তথা মানুষের চিন্তা-চেতনার কল্পচিত্র। এরপর রাসুল (সা.) বলেছেন, যদি কেউ অপছন্দনীয় তথা ভয় বা খারাপ কোনো স্বপ্ন দেখে তাহলে সে যেন তাড়াতাড়ি অজু করে নামাজে দাঁড়িয়ে যায় এবং দর্শিত স্বপ্নের ব্যাপারে অনভিজ্ঞ কাউকে কিছু না বলে। [আবু দাউদ]

মতিউর রহমান মাদানী অডিও লেকচার-খারেজীদের লক্ষণ

শুরু করছি মহান আল্লাহর নামে যিনি পরম, করুনাময় অসীম দয়ালু।

মতিউর রহমান মাদানী অডিও লেকচার-খারেজীদের লক্ষণ


dhormo-jar-jar1 copy

বিষয়ঃ  খারেজীদের লক্ষণ | বক্তাঃ শেইখ মতিউর রহমান মাদানী


এই বক্তব্যে শেইখ মতিউর রহমান মাদানী বর্তমানে গজিয়ে উঠা কিছু “খারেজী” মনোভাবের আলেমদের বেপ্যারে সতর্কতা মূলক আলোচনা পেশ করেছেন।

DVD – Bangla Islamic Lectures Collection – Sheikh Motiur Rahman Madani

শুরু করছি মহান আল্লাহর নামে যানি পরম করুনাময়, অসীম দয়ালু।
Dvd-Bangla islamic lectures Colletion-Sheik motiur Rahman Madani
ইনশাআল্লাহ শেইখ মতিউর রহমান মাদানীর নতুন লেকচার খুব শিগ্রহী আপলোড করা হবে।
Qualification
1. Secondary School Diploma from Madarasa Islahul Muslimeen Bhadu, Malda, West Bengal
3. B.A (Hadith), from Islamic University, Medina Monawwara, KSA
বক্তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে, এইখানে ক্লিক করুন।
শায়খ মতীয়ুর রহমান মাদানীর প্রশ্ন উত্তর লেকচার ডাউনলোড করুন।

DVD – Bangla Islamic Lectures Collection – Sheikh Saifuddin Belal Madani

রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-

Qualification:
  • S.S.C : Madrasa Mohammadia Arabia, Dhaka, 1404 H.
  • H.S.C : Madrasa Mohammadia Arabia, Dhaka, 1407 H.
  • Baccalaureate in Hadith. Madrasa Mohammadia Arabia, Dhaka, 1409 H.
  • Baccalaureate in Hadith (Hons): Madina Islamic University, K.S.A. 1413 H.
বক্তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এইখানে ক্লিক করুন। 

প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিবের জুমার খুৎবা সমগ্র

শুরু করছি মহান আল্লাহর নামে যানি পরম করুনাময়, অসীম দয়ালু।
প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিবের জুমার খুৎবা সমগ্র
বক্তা সর্ম্পকে বিস্তারিত জানতে এইখানে ক্লিক করুন
download all bangla audio jumar khutba

মিসওয়াকের শিষ্টাচার


শুরু করছি মহান আল্লাহর নামে যানি পরম করুনাময়, অসীম দয়ালু।
মিসওয়াকের শিষ্টাচার
images.jpg1
মিসওয়াকের শিষ্টাচার
মুখ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম মিসওয়াক। মিসওয়াক বলা হয়, যে কাঠের মাধ্যমে মুখের দাঁত সমূহ ভালোভাবে পরিষ্কার করা হয়।[6] মিসওয়াকের মাধ্যমে মুখের দুর্গন্ধ দূরীভূত হয় এবং দন্ত রোগ থেকে মুক্ত থাকা যায়। মিসওয়াক করা সুন্নাত, যা প্রত্যেক ওযূর পূর্বে করতে হয়।
عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ لَوْلاَ أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِى لأَمَرْتُهُمْ بِالسِّوَاكِ مَعَ كُلِّ وُضُوءٍ.

তায়াম্মুমের পদ্ধতি – ভিডিও সহ


শুরু করছি মহান আল্লাহর নামে যানি পরম করুনাময়, অসীম দয়ালু।
বক্তাঃ শেইখ সাইফুদ্দিন বেল্লাল মাদানী
তায়াম্মুমের পদ্ধতি

তায়াম্মুমের বিবরণ (صفة التيمم )

তায়াম্মুমের পদ্ধতি – ভিডিও সহ


শুরু করছি মহান আল্লাহর নামে যানি পরম করুনাময়, অসীম দয়ালু।
বক্তাঃ শেইখ সাইফুদ্দিন বেল্লাল মাদানী
তায়াম্মুমের পদ্ধতি

তায়াম্মুমের বিবরণ (صفة التيمم )

Monday 25 August 2014

চাশতের সালাতের (সালাতুল দুহা) ফজিলত



বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

إن الحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله وعلى آله وصحبه أجمعين، أما بعد

অনুবাদঃ মোছতানছের বিল্লাহ | সম্পাদনাঃ আবদ্‌ আল-আহাদ 
143
বুরাইদা (রা) বলেন,
রাসূলুল্লাহ্‌ (সা) বলেছেন, মানুষের শরীরে ৩৬০ টি জোড় রয়েছে অতএব মানুষের কর্তব্য হল প্রত্যেক জোড়ের জন্য একটি করে সদাকা করা সাহাবায়ে কেরাম (রা) বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ্‌! কার শক্তি আছে এই কাজ করার? তিনি (সা) বললেন, মসজিদে কোথাও কারোর থুতু দেখলে তা ঢেকে দাও অথবা রাস্তায় কোন ক্ষতিকারক কিছু দেখলে সরিয়ে দাও তবে এমন কিছু না পেলে, চাশতের দুই রাকাআত সালাতই এর জন্য যথেষ্ট [আবু দাউদ; কিতাবুল ‘আদাব’, অধ্যায়ঃ ৪১, হাদীস নং:৫২২২]

নামায পরিত্যাগকারীর বিধান



রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-


নামায ত্যাগকারীর বিধান বইটিতে  ইসলামের শরীয়তের দৃষ্টিতে নামায ত্যাগ সম্পর্কে বিভিন্ন মাসয়ালার সমাবেশ ঘটেছে। আজকাল সচরাচর অধিক সংখ্যক মুসলিম এমন রয়েছে যারা নামাযের ব্যাপারে উদাসীন থাকে ও অনেকে অলসতা করে তা পরিত্যাগ করে। এ বইটিতে প্রখ্যাত আলেম শেখ সালেহ  আল উসাইমীন সংক্ষেপেবিষয়টি আলোচনা করেছেন। ভিন্ন ছোট ছোট প্রশ্নের বিস্তারিত উত্তরের মাধ্যমে সলাত আদায় না করার কুফল সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।  বইটিতে যেসব তুলে ধরা হয়েছে:
  • বেনামাযীদের সংখ্যাধিক্যতা ও তাঁর কারণসমূহ
  • সলাতের প্রকৃত গুরুত্ত্ব, মর্যাদা, ও অবস্থান সম্পর্কে উপযুক্তভাবে জনগণের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে
  • সলাত পরিত্যাগের পরকালীন ক্ষতির সাথে সাথে পরকালীন কি কি ক্ষতি সাধিত হতে পারে তা বর্নিত হয়েছে
  • সলাত পরিত্যাগের বিধান
  • সলাত পরিত্যাগ বা অন্য কোনো ভাবে ধর্ম পরিত্যাগ করলে যে সমস্ত বিধান প্রযোজ্য হয় সে প্রসঙ্গ আলোচিত হয়েছে।
নামায পরিত্যাগ করার কারনে একজন মুসলিম যে ইসলাম থেকে বের হয়ে যায়, এই বিষয়ে বিভিন্ন দলিল ও যুক্তির মাধ্যমে শাইখ উসাইমীন (রহঃ) তা প্রমান করেছেন । আমাদের দেশে নামাযীর চেয়ে বেনামাযীর সংখ্যাই বেশি। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে পাঁচ ওয়াক্ত পুরো পড়া নামাযী সংখ্যা শতকরা (২%) দু’জন আর জুমু’আহর ছলাত পড়া ৮০ জন! তাই সলাতের গুরুত্ত্ব সম্পর্কে আমাদের নিজেদের সচেতন হতে হবে এবং অন্যদেরও সচেতন করতে হবে। বইটির পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৫০

ডাউনলোড [১.৯২ MB] 

ডাউনলোড করুন MediaFire থেকে

সলাতে কাতার সোজা করা ও পায়ের সাথে পা মিলানোর গুরুত্ব



রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-

146
সলাত পৃথিবীর সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাত। যেকোন অবস্থায় এটি ফারয। অসুস্থ হলেও এটি আদায় করতে হবে। এর কোন কাযা বা কাফফারা নেই। এর কাফফারা হলো যখন স্মরণ হবে তখনই পড়ে নিবে। বর্তমানে সলাত আদায়কারী যেমন কমে গেছে। তেমনি সলাত সঠিক ভাবে আদায় কারীও কমে গেছে। যেমন রুকু সাজদাহতে এখন আর পিঠ সোজা রাখা হচ্ছে না। অথছ হাদীসে এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্টভাবে নির্দেশ এসেছে। (আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসায়ী, ইবনে মাজাহ,দারেমী, মিশকাত হা/৮১৮)।

সলাতে কাতার সোজা করা ও পায়ের সাথে পা মিলানোর গুরুত্ব



রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-

146
সলাত পৃথিবীর সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাত। যেকোন অবস্থায় এটি ফারয। অসুস্থ হলেও এটি আদায় করতে হবে। এর কোন কাযা বা কাফফারা নেই। এর কাফফারা হলো যখন স্মরণ হবে তখনই পড়ে নিবে। বর্তমানে সলাত আদায়কারী যেমন কমে গেছে। তেমনি সলাত সঠিক ভাবে আদায় কারীও কমে গেছে। যেমন রুকু সাজদাহতে এখন আর পিঠ সোজা রাখা হচ্ছে না। অথছ হাদীসে এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্টভাবে নির্দেশ এসেছে। (আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসায়ী, ইবনে মাজাহ,দারেমী, মিশকাত হা/৮১৮)।

শেইখ মতিউর রহমান মাদানী লেকচার সমূহ

Qualification
1. Secondary School Diploma from Madarasa Islahul Muslimeen Bhadu, Malda, West Bengal
3. B.A (Hadith), from Islamic University, Medina Monawwara, KSA
বক্তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে, এইখানে ক্লিক করুন।

সফরে থাকাবস্থায় রোযা পালন করা মাকরুহ্

সহিহ আত্ তিরমিজি :: সফরে থাকাবস্থায় রোযা পালন করা মাকরুহ্ অনূচ্ছেদ

অধ্যায় ৮ :: হাদিস ৭১০

জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ্(রা) হতে বর্ণিত আছে, মক্কা বিজয়ের বছর রাসূলুল্লাহ্সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম মক্কার উদ্দেশ্যে রাওয়ানা হন। তিনি রোযা রাখেন এবং লোকেরাও তাঁর সাথে রোযা রাখে। কুরাউল গামিমে পৌঁছানোর তাঁকে বলা হল, রোযা রাখা লোকদের জন্য কষ্টকর হয়ে পড়েছে। আপনি কি করেন তারা সেই অপেক্ষায় আছে। আসরের নামায আদায়ের পর তিনি এক পেয়ালা পানি চেয়ে আনলেন এবং তা পান করলেন। তখন লোকেরা তাঁর দিকে তাকিয়ে দেখছিল। ফলে তাদের মধ্যেকার কিছু লোক রোযা ভাংলো এবং কিছু লোক রোযা থাকল। তখনও কিছু লোক রোযা অবস্থায় আছে এ কথা তাঁর নিকটে পৌঁছলে তিনি বললেনঃ এরা হচ্ছে অবাধ্য নাফরমান।-সহীহ্, ইরওয়া (৪/৫৭) মুসলিম

কা’ব ইবনু আসিম, ইবনু আব্বাস ও আবূ হুরাইরা (রা) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদিস বর্ণিত আছে। জাবির (রা) হতে বর্ণিত হাদিসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্বলেছেন। রাসূলুল্লাহ্সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণিত আছে যে,  তিনি বলেছেনঃ “সফরের মাঝে রোযা পালন করাটা সাওয়াবের কাজ নয়”।

আলিমদের মধ্যে সফরে থাকাবস্থায় রোযা পালন করা প্রসঙ্গে মত বিরোধ আছে। রাসূলুল্লাহ্সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম –এর একদল বিশেষজ্ঞ সাহাবি ও অন্যান্যদের মতানুযায়ি সফরে থাকা অবস্থায় রোযা পালন না করাই উত্তম। এমনকি কারো কারো মতানুযায়ি সফরে থাকাবস্থায় কোন লোক রোযা পালন করলে তাকে আবার সে রোযা কাযা করতে হবে। সফরে রোযা না পালনের পক্ষে ইমাম আহ্মাদ ও ইসহাক অভিমত দিয়েছেন। রাসূলুল্লাহ্সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম –এর অন্য আরেকদল বিশেষজ্ঞ সাহাবি ও লাইম বলেছেন শক্তি সামর্থবান লোকে যদি সফরে রোযা পালন করে তাহলে তা ভাল এবং তাই উত্তম, রোযা আদায় না করলে তাকেও ভাল বলেছেন। সুফিয়ান সাওরি, মালিক ইবনু আনাস ও আব্দুল্লাহ্ইবনুল মুবারাকের এই মত। ইমাম শাফিঈ বলেন, “সফরে থাকাবস্থায় রোযা পালন করা সাওয়াবের কাজ নয়” এবং “এরা নাফরমান” এই কথার তাৎপর্য হচ্ছে, যে লোকের অন্তর আল্লাহ্র দেয়া অবকাশ (রুখসাত) গ্রহণ করতে প্রস্তুত নয় সে লোকের ক্ষেত্রে ঐ কথা প্রযোজ্য। কিন্তু সফরে রোযা ভেঙ্গে ফেলাকে যে লোক জায়িয মনে করে এবং রোযা রাখার সামর্থ্য থাকায় রোযা পালন করে, তা আমার নিকটে পছন্দনীয়।


--------------------------------------------------------------------------------

Jami at-Tirmidhi :: What Has Been Related About It Being Disliked To Fast While Traveling

Part 8 :: Hadith 710

Jabir bin Abdullah narrated:

"The Messenger of Allah went to Makkah in the Year of the Conquest, so he fasted until he reached Kura Al-Ghamim and the people were fasting with him. Then it was said to him: 'The fast has become difficult for the people, and they are watching you to see what you will do.' So after Asr, he called for a cup of water and drank it while the people were looking at him. Some of them broke the fast while some of them continued their fasting. It was conveyed to him that people were still fasting, so he said: "Those are the disobedient.'" (Sahih)

তাকদীর নিয়ে আলোচনাঃ আমার ভাগ্য খুব খারাপ......


আতা বিন আবি রাবাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) আমাকে বললেন, “আমি কি তোমাকে জান্নাতের একজন নারীকে দেখাবো? আমি বললাম, হ্যা। তিনি বললেন, “এই কালো মহিলাটি একদিন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর কাছে এসে বললো, আমার মৃগী রোগ আছে এবং অজ্ঞান অবস্থায় আমার গায়ে কোনো কাপড় থাকেনা। দয়া করে আমার জন্য আল্লাহর কাছে দুয়া করুন। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তাকে বললেন, তুমি যদি চাও এই রোগের ব্যাপারে ধৈর্য ধরতে তাহলে এটা তোমাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে, আর তুমি যদি চাও তাহলে আমি তোমার রোগ মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে দুয়া করবো। মহিলাটি বললো, তাহলে আমি এই রোগের ব্যাপারে ধৈর্য ধরবো। কিন্তু অজ্ঞান অবস্থায় আমার গায়ে কোনো কাপড় থাকেনা। আমার জন্য দুয়া করুন, যাতে এইরকম না হয়। তখন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) সেই দুয়া করলেন (যাতে করে তার গা থেকে কাপড় সড়ে না যায়)।
সহীহ আল-বুখারী ৭:৫৫৫।
#ব্যাখ্যাঃ এই মহিলা খুব বুদ্ধিমান ছিলেন। কারণ রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তাকে অপশন দিয়েছিলেন, হয় এইভাবে রোগে কষ্ট ভোগ করে ধৈর্য ধারণ করবে আর এর প্রতিদান হিসেবে জান্নাতে যাবে। অথবা, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তার রোগ মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে দুয়া করবেন। তখন সে ভালো ঠিকই হবে কিন্তু তার জান্নাতে যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে যাবে। মহিলাটি বুদ্ধিমান এইজন্য যে তিনি যদিও অপছন্দনীয় ও কষ্টদায়ক একটা রোগ বেছে নিলেন – কিন্তু তিনি ধৈর্য ধারণ করে জান্নাতে যাওয়ার সুযোগটাকে বেছে নিলেন। আর এইজন্য সাহাবীদের মধ্যে সবচাইতে জ্ঞানী একজন সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) তার ছাত্রকে “জান্নাতী নারী” হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন।
আমাদের জন্য #শিক্ষাঃ আমাদের জীবনে অনেক সময় দুঃখ কষ্ট আসে। আমরা যা চাই অনেক সময় হয় ঠিক তার উলটা। আর তখন আমরা বলা শুরু করু, আমার কপাল ভালোনা, ভাগ্যটাই খারাপ...না, এই কথা মোটেই ঠিক না।
কারো ভাগ্য ভালো তখন হবে যখন আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন, আর কারো ভাগ্য খারাপ তখন হবে যখন সে জাহান্নামে যাবে। আর দুনিয়ার জীবনে ভালো মন্দ সবকিছুই হচ্ছে পরীক্ষা। এইগুলো হচ্ছে পরীক্ষার প্রশ্ন – এর বিপরীত আপনি কি আমল করছেন তার অনুপাতে কেয়ামতের দিন রেজাল্ট দেয়া হবে – আর তখন কে ভাগ্যবান আর কে হতভাগ্য নির্ধারিত হবে। এমনও হতে পারে, দুনিয়ার জীবনে আপনি একটা জিনিস পছন্দ করছেন না, অথচ এটাই আপনার জন্য কল্যানকর কিন্তু এখন আপনি সেটা বুঝতে পারছেন না। যেমন উপরের হাদীসে বর্ণিত মহিলার ঘটনাটি। কেয়ামতের দিন হয়তো বুঝতে পারবেন সেটা আপনার জন্য কতো কল্যান নিয়ে এসেছে। আবার, এমনও হতে পারে আপনি যেটাকে ভালো মনে করছেন সেটা আপনার জন্য আরো বিপদজনক।
এই জন্যই হাদীসে বলা হয়েছে, “কামনা বাসনা দ্বারা জাহান্নামকে ঢেকে রাখা হয়েছে, আর কষ্ট ও বিপদ-আপদ দিয়ে জান্নাতকে ঢেকে রাখা হয়েছে”।
সহীহ আল-বুখারীঃ ৬৪৮৭।
হে আল্লাহ তুমি আমাদেরকে কেয়ামতের দিন মহাসাফল্য দান করো, আমিন।

বিদাতপন্থী সূফীদের মাঝে ২টি শিরকি-কুফুরী আকীদাহঃ



১. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মৃত্যুবরণ করেন নি, তিনি কবরে ‪#‎আমাদের_মতোই‬ জীবিত। ***ইসলাম বিরোধী, অসংখ্য ক্বুরানের আয়াত ও সহীহ হাদীস বিরোধী কুফুরী কথা।
২. কবরের কাছে গিয়ে মৃত মানুষের কাছে সাহায্য চাওয়া, টাকা-পয়সা চাওয়া, খাবার চাওয়া, কারো বিরুদ্ধে বিচার চাওয়া, সুপারিশ বা দুয়া চাওয়া, রোগ হলে চিকিৎসা চাওয়া জায়েজ।
***নাউযুবিল্লাহ, কবর পূজারীদের শিরকি কথা।
‪#‎সূফীরা‬ হচ্ছে ৭২টি ভ্রান্ত ফেরকার অন্তর্ভুক্ত বেদাতী একটি দল, যাদের মাঝে অনেক বড়বড় শিরকি ও কুফুরী আকীদাহ আছে। সূফীদের অনেক তরীকাহ, দল ও ফেরকাহ আছে। তবে ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্থানের সূফীবাদীরা মোটামুটি দেওবন্দী ও বেরেলবী এই দুইটি মাদ্রাসাকে কেন্দ্র করে ২টি বড় দলে ভাগ হয়েছে। এই দুই দলই নিজেদেরকে ‪#‎হানাফী‬ ও ‪#‎সুন্নী‬ দাবী করে, কিন্তু নিজেদের মাঝে তাদের অনেক ঝগড়া-বিবাদ আছে। তবে, এই ২ দলের মাঝেই কমন অনেক শিরকী ও কুফুরী আকীদাহ আছে, যার মাঝে ২টা ভ্রান্ত বিশ্বাস উপরে বর্ণনা করা হয়েছে।

Sunday 24 August 2014

উত্তম সমাজ


শুরু করছি মহান আল্লাহর নামে,যিনি পরম করুনাময় অসীম দয়ালু।
417720_293372604065287_1324418380_n
লেখকঃড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
عَنْ أَبِى مُوسَى عَنِ النَّبِىِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ : إِنَّ الْمُؤْمِنَ لِلْمُؤْمِنِ كَالْبُنْيَانِ، يَشُدُّ بَعْضُهُ بَعْضًا. وَشَبَّكَ أَصَابِعَهُ- متفق عليه-
অনুবাদ :হযরত আবু মূসাআশ‘আরী (রাঃ)হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘এক মুমিন আরেক মুমিনেরজন্যএকটি গৃহের ন্যায়। যার একাংশ অপরাংশকে মযবূত করে’। অতঃপর তিনি তাঁরআঙ্গুলগুলি পরস্পরের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে মুষ্টিবদ্ধ করলেন।[1]

আযানের কিছু পরিতাজ্য বিষয়


শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
hfuk
আযান
সংজ্ঞা : ‘আযান’ অর্থ, ঘোষণা ধ্বনি (الإعلام)। পারিভাষিক অর্থ, শরী‘আত নির্ধারিত আরবী বাক্য সমূহের মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ে উচ্চকণ্ঠে ছালাতে আহবান করাকে ‘আযান’ বলা হয়। ১ম হিজরী সনে আযানের প্রচলন হয়।[1]
সূচনা : ওমর ফারূক (রাঃ) সহ একদল ছাহাবী একই রাতে আযানের একই স্বপ্ন দেখেন ও পরদিন সকালে ‘অহি’ দ্বারা প্রত্যাদিষ্ট হ’লে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তা সত্যায়ন করেন এবং বেলাল (রাঃ)-কে সেই মর্মে ‘আযান’ দিতে বলেন।[2]

Mishari Rashid Al-Afasy Quran Audio download


imagesMishari Rashid AL-Afasy
Mishary Rashid Al-Afasy was born in Kuwait in 1976 and is a Kuwaiti national and a qari. He is the Imam of Masjid Al-Kabir(Grand Mosque (Kuwait)) in Kuwait City, and leads the taraweeh prayers in Ramadan every year. He studied in the College of the Quran and Islamic Studies at the Islamic University of Madinah and has specialized in the ten readings and translations of the Quran. Also, he has been certified by a number of scholars of Quran.
Select from the list and download

Mishari Rashid Al-Afasy Quran Audio download


imagesMishari Rashid AL-Afasy
Mishary Rashid Al-Afasy was born in Kuwait in 1976 and is a Kuwaiti national and a qari. He is the Imam of Masjid Al-Kabir(Grand Mosque (Kuwait)) in Kuwait City, and leads the taraweeh prayers in Ramadan every year. He studied in the College of the Quran and Islamic Studies at the Islamic University of Madinah and has specialized in the ten readings and translations of the Quran. Also, he has been certified by a number of scholars of Quran.
Select from the list and download

Mishari Rashid Al-Afasy Quran Audio download


imagesMishari Rashid AL-Afasy
Mishary Rashid Al-Afasy was born in Kuwait in 1976 and is a Kuwaiti national and a qari. He is the Imam of Masjid Al-Kabir(Grand Mosque (Kuwait)) in Kuwait City, and leads the taraweeh prayers in Ramadan every year. He studied in the College of the Quran and Islamic Studies at the Islamic University of Madinah and has specialized in the ten readings and translations of the Quran. Also, he has been certified by a number of scholars of Quran.
Select from the list and download

বিলম্ব না করে ইফ্তার করা



 সহিহ আত্ তিরমিজি :: বিলম্ব না করে ইফ্তার করা অনূচ্ছেদ
অধ্যায় ৮ :: হাদিস ৬৯৯
সাহ্ল ইবনু সা’দ (রা) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ যত দিন পর্যন্ত লোকেরা বিলম্ব না করে ইফ্তার করবে তত দিন পর্যন্ত তারা কল্যাণের মধ্যে থাকবে।-সহীহ্, ইরওয়া (৯১৭)
আবূ হুরাইরা, ইবনু আব্বাস, আইশা ও আনাস ইবনু মালিক (রা) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদিস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা এই হাদিসটিকে হাসান সহীহ্বলেছেন। সূর্যাস্তের পরপরই ইফ্তার করাকে রাসূলুল্লাহ্সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম –এর বিশেষজ্ঞ সাহাবিগণ ও অপরাপর আলিম মুস্তাহাব বলে মনে করেন। ইমাম শাফিঈ, আহ্মাদ ও ইসহাকের এরকমই অভিমত রয়েছে।

Jami at-Tirmidhi ::  What Has Been Related About Hastening To Break The Fast
Part 8 :: Hadith 699
Sahl bin Sa'd narrated that :

the Messenger of Allah said: "The people will remain upon goodness as long as they hasten to break the fast." (Sahih)

Download AsPDF

Print Friendly and PDFPrint Friendly and PDFPrint Friendly and PDF
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...