মূল: শাইখ সালিহ আল মুনাজ্জিদ
অনুবাদক: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
-------------------------------------------------
☑ ১মত: দুর্বল ঈমানের কতিপয় আলামত
দুর্বল ঈমানের অনেক আলামত রয়েছে। তন্মধ্যে এখানে ১৮টি আলামত পেশ করা হল:
১) পাপ কাজে লিপ্ত হওয়া:
কিছু মানুষ একই পাপ বারবার করে, কেউ আবার বিভিন্ন প্রকার পাপ করে। পাপ করতে করতে করতে যখন তা অভ্যাসে পরিণত হয় তখন পাপকে আর পাপ বলে মনে হয় না! পাপের কদর্যতা অন্তর থেকে বিলুপ্ত হয়ে যায়। একপর্যায়ে মানুষ প্রকাশ্যে পাপ করা শুরু করে বা গোপনে পাপ করার পর মানুষের কাছে তা প্রকাশ করে দেয়!
সহীহ বুখারীতে বর্ণিত হয়েছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
كُلُّ أُمَّتِى مُعَافًى إِلاَّ الْمُجَاهِرِينَ ، وَإِنَّ مِنَ الْمَجَاهرة أَنْ يَعْمَلَ الرَّجُلُ بِاللَّيْلِ عَمَلاً ، ثُمَّ يُصْبِحَ وَقَدْ سَتَرَهُ اللَّهُ ، فَيَقُولَ يَا فُلاَنُ عَمِلْتُ الْبَارِحَةَ كَذَا وَكَذَا ، وَقَدْ بَاتَ يَسْتُرُهُ رَبُّهُ وَيُصْبِحُ يَكْشِفُ سِتْرَ اللَّهِ عَنْهُ
“আমার উম্মতের সকলকেই ক্ষমা করে দেয়া হবে। তবে ঐ সকল লোককে ক্ষমা করা হবে না যারা পাপ করার পর তা অন্যের নিকট প্রকাশ করে দেয়। অন্যের নিকট প্রকাশ করার একটি দিক হল, কোন ব্যক্তি রাতের আঁধারে কোন গুনাহ করল এবং মহান আল্লাহ তার পাপটা গোপন করে রাখলেন। কিন্তু ভোর হলে সে নিজেই অন্য মানুষের নিকট বলল, হে উমুক, জানো, রাতে আমি এই এই কাজ করেছি। সারা রাত আল্লাহ তার পাপটাকে ঢেকে রেখেছিলেন কিন্তু ভোর হলে নিজেই আল্লাহর ঢেকে রাখা বিষয়টি প্রকাশ করে দিল।” (সহীহু বুখারী) (1)
__________________________
(1) টিকা:
আমাদের সমাজে ব্যাপকভাবে প্রচলিত কতিপয় প্রকাশ্য পাপাচারের উদাহরণ পেশ করা হল:
১) প্রকাশ্যে ধূমপান করা।
২) পুরুষদের টাখনুর নিচে ঝুলিয় কাপড় পড়া।
৩) দাড়ি মুণ্ডন করা বা কাটা।
৪) মহিলাদের টাইট-ফিট, পাতলা এবং পুরুষদের মত পোশাক পরিধান করে পরপুরুষের নিকট সৌন্দর্য প্রকাশ করা।
৫) মহিলাদের সুগন্ধি মেখে বাইরে বের হওয়া।
৬) পুরুষদের সোনার আংটি বা রেশমের পোশাক পরিধান করা।
৭) উচ্চ আওয়াজে মিউজিক বাজানো।
৮) পর নারী বা পর পুরুষের সাথে বাইরে বের হওয়া।
৯) পহেলা বৈশাখ, ভালবাসা দিবস, ক্রিসমাস (বড়দিন), ঈদে মীলাদুন্নবী,থার্টি ফাস্ট নাইট,জন্ম দিবস,মৃত্যু দিবস ইত্যাদি পালন করা।
১০) ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদি সোশাল নেটওয়ার্কে বা ব্লগ ও ওয়েব সাইটে গান-বাদ্য, ফিল্ম, অশ্লীল গল্প ইত্যাদি পোস্ট করা।
১১) বিলবোর্ড বা পোস্টারে বেপর্দা মহিলাদের এ্যাডভার্টাইজ দেয়া।
১২) কবর-মাযারপুজা,তথাকথিত অলি-আউলিয়াদের কবরের পাশে ওরস মাহফিল করা।
১৩) বিভিন্ন উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল করা।
১৪) কবর পাকা করা,কবরে চুনকাম করা এবং কবরে কিছু লেখা।
১৫)উচ্চ আওয়াজে সম্মিলিতভাবে জিকির করা ইত্যাদি।
আমাদের সমাজে ব্যাপকভাবে প্রচলিত কতিপয় প্রকাশ্য পাপাচারের উদাহরণ পেশ করা হল:
১) প্রকাশ্যে ধূমপান করা।
২) পুরুষদের টাখনুর নিচে ঝুলিয় কাপড় পড়া।
৩) দাড়ি মুণ্ডন করা বা কাটা।
৪) মহিলাদের টাইট-ফিট, পাতলা এবং পুরুষদের মত পোশাক পরিধান করে পরপুরুষের নিকট সৌন্দর্য প্রকাশ করা।
৫) মহিলাদের সুগন্ধি মেখে বাইরে বের হওয়া।
৬) পুরুষদের সোনার আংটি বা রেশমের পোশাক পরিধান করা।
৭) উচ্চ আওয়াজে মিউজিক বাজানো।
৮) পর নারী বা পর পুরুষের সাথে বাইরে বের হওয়া।
৯) পহেলা বৈশাখ, ভালবাসা দিবস, ক্রিসমাস (বড়দিন), ঈদে মীলাদুন্নবী,থার্টি ফাস্ট নাইট,জন্ম দিবস,মৃত্যু দিবস ইত্যাদি পালন করা।
১০) ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদি সোশাল নেটওয়ার্কে বা ব্লগ ও ওয়েব সাইটে গান-বাদ্য, ফিল্ম, অশ্লীল গল্প ইত্যাদি পোস্ট করা।
১১) বিলবোর্ড বা পোস্টারে বেপর্দা মহিলাদের এ্যাডভার্টাইজ দেয়া।
১২) কবর-মাযারপুজা,তথাকথিত অলি-আউলিয়াদের কবরের পাশে ওরস মাহফিল করা।
১৩) বিভিন্ন উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল করা।
১৪) কবর পাকা করা,কবরে চুনকাম করা এবং কবরে কিছু লেখা।
১৫)উচ্চ আওয়াজে সম্মিলিতভাবে জিকির করা ইত্যাদি।
২) অন্তর কঠিন হয়ে যাওয়া:
ঈমান দুর্বলতার একটি আলামত হল অন্তর কঠিন হয়ে যাওয়া। মনটা পাথরের মত এতটাই শক্ত হয় যে, তাতে কোন কিছুই প্রভাব সৃষ্টি করে না। আল্লাহ তায়ালা বলেন:
ثُمَّ قَسَتْ قُلُوبُكُم مِّن بَعْدِ ذَٰلِكَ فَهِيَ كَالْحِجَارَةِ أَوْ أَشَدُّ قَسْوَةً
“অতঃপর এ ঘটনা (তথা বিস্ময়কর মুজিযা দেখার পরে) তোমাদের অন্তর কঠিন হয়ে গেছে। তা পাথরের মত অথবা তদপেক্ষাও কঠিন।” (সূরা বাকারা: ৭৪)
কঠিন অন্তরের মানুষের মনে মৃত্যু সম্পর্কিত নসিহত প্রভাব ফেলে না। মৃত্যু কিংবা জানাযা দেখেও মনে দাগ কাটে না। এমনকি কাঁধে লাশ বহন করলে বা লাশকে কবরের গর্তে রাখতে দেখেও কোন মনের মধ্যে ভাবান্তর ঘটে না। গোরস্থান দিয়ে হেঁটে গেলে তার কাছে মনে হয় যে, কতগুলো ইট-পাথরের মধ্য দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে!!
৩) মজবুতভাবে ইবাদত না করা:
ঈমান দুর্বলতার একটি আলামত হল অন্তর কঠিন হয়ে যাওয়া। মনটা পাথরের মত এতটাই শক্ত হয় যে, তাতে কোন কিছুই প্রভাব সৃষ্টি করে না। আল্লাহ তায়ালা বলেন:
ثُمَّ قَسَتْ قُلُوبُكُم مِّن بَعْدِ ذَٰلِكَ فَهِيَ كَالْحِجَارَةِ أَوْ أَشَدُّ قَسْوَةً
“অতঃপর এ ঘটনা (তথা বিস্ময়কর মুজিযা দেখার পরে) তোমাদের অন্তর কঠিন হয়ে গেছে। তা পাথরের মত অথবা তদপেক্ষাও কঠিন।” (সূরা বাকারা: ৭৪)
কঠিন অন্তরের মানুষের মনে মৃত্যু সম্পর্কিত নসিহত প্রভাব ফেলে না। মৃত্যু কিংবা জানাযা দেখেও মনে দাগ কাটে না। এমনকি কাঁধে লাশ বহন করলে বা লাশকে কবরের গর্তে রাখতে দেখেও কোন মনের মধ্যে ভাবান্তর ঘটে না। গোরস্থান দিয়ে হেঁটে গেলে তার কাছে মনে হয় যে, কতগুলো ইট-পাথরের মধ্য দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে!!
৩) মজবুতভাবে ইবাদত না করা: