যুগশ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ ইমাম সালিহ বিন ফাওযান আল-ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ) [জন্ম: ১৩৫৪ হি./১৯৩৫ খ্রি.] বলেছেন—
“হুসী সম্প্রদায়, যারা মক্কা ভূখণ্ডকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, তারা এই মীরাসের (উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত বিষয়) ওপর রয়েছে, তারা (তাদের পূর্বসূরি) ওই স্বেচ্ছাচারী তাগুতদের মীরাসের ওপর প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। মহান আল্লাহ তাঁর গৃহকে হেফাজত করেছেন। তারা কেবল নিজেদেরই ক্ষতি করেছে এবং নিজেদের আসল চেহারা প্রকাশ করেছে। তারা নিজেদেরকে ‘মুসলিম’ দাবি করে। কিন্তু আল্লাহ তাদের মুখোশ উন্মোচন করেছেন, তাদের এই জঘন্য অপরাধের মাধ্যমে। যে অপরাধের ক্ষেত্রে তাদের অগ্রবর্তী সালাফ হলো ইথিওপিয়ার নিকৃষ্ট রাজা আবরাহা। মহান আল্লাহ তাদের মুখোশ উন্মোচন করেছেন এবং তাদের মুসলিম হওয়ার দাবিকে বাতিল প্রমাণ করেছেন।
বস্তুত এই গৃহ স্বয়ং আল্লাহ’র হেফাজত ও রক্ষণাবেক্ষণে নিরাপদ রয়েছে। কেননা এটি আল্লাহ’র গৃহ। একারণে এই গৃহকে ‘বাইতুল আতীক্ব’ তথা ‘প্রাচীন গৃহ’ বলা হয়। যেহেতু আল্লাহ এই গৃহকে সীমালঙ্ঘনকারী স্বেচ্ছাচারীদের (আক্রমণ) থেকে সুরক্ষিত করেছেন, যারা এই গৃহের অকল্যাণ করতে চায়। যেমন এ কাজের দৃষ্টান্ত রয়েছে ইতিহাসে, তারা নিজেরাই যে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করেছে। তারা ইথিওপিয়ার রাজা আবরাহার ইতিহাসকে পুনরায় বাস্তবায়ন করেছে, কাবাগৃহের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার মাধ্যমে। আর তাদের ক্ষেত্রে তাই ঘটেছে, যা ঘটেছিল আবরাহার ক্ষেত্রে। মহান আল্লাহ তাদের ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে দিয়েছেন, তাঁর সুপ্রাচীন গৃহকে হেফাজত করেছেন এবং তাদের মুখোশ উন্মোচন করেছেন।”
·
উৎস: বক্তব্যের ভিডিয়ো ক্লিপটি শাইখ ফাওয়্যায বিন ‘আলী আল-মাদখালী (হাফিযাহুল্লাহ)’র অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া হয়েছে।
উৎস: বক্তব্যের ভিডিয়ো ক্লিপটি শাইখ ফাওয়্যায বিন ‘আলী আল-মাদখালী (হাফিযাহুল্লাহ)’র অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া হয়েছে।
No comments:
Post a Comment