Sunday 22 September 2019

যদি তিনি (আল্লাহ্‌) দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন, তাহলে ‘আরশ কি শূন্য হয়ে যায় ? পারে অনুসন্ধান না করা। এবং যে আমাকে এই প্রশ্নটি করেছে তাকে বলছি, তুমি একজন বিদ‘আতী

বর্তমান যুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ, মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও উসূলবিদ, আল ইমাম, আল 'আল্লামাহ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-‘উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) কে জিজ্ঞেস করা হয়,
"যদি তিনি (আল্লাহ্‌) দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন, তাহলে ‘আরশ কি শূন্য হয়ে যায় ?"
উত্তর: “আমি বলছি: প্রশ্ন করার আদবের একটি দিক হলো, এই ব্যাপারে অনুসন্ধান না করা। এবং যে আমাকে এই প্রশ্নটি করেছে তাকে বলছি, তুমি একজন বিদ‘আতী, আমি তোমাকে একজন বিদ‘আতী ব্যতীত অন্য কিছু মনে করি না। আর তোমার রব্ব-এর প্রশংসা করো এজন্য যে, আমি (এখনো) তোমাকে এই দারসে অবস্থান করতে দিচ্ছি। অন্যথায় তোমাকে আমি বের করে দিতাম, যেমনটা মালিক (ইমাম মালিক) করেছিলেন ঐ লোকের সাথে যে তাঁকে আল্লাহ’র (‘আরশের উপর) সমুন্নত হওয়া ধরন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলো। কারণ নাবী যখন সাহাবাদের এই ব্যাপারে বলেছিলেন, তাঁরা কি বলেছিলেন, “আল্লাহ’র (অবতরণের) ফলে ‘আরশ কি শূন্য হয়ে যায়, হে আল্লাহর রাসূল?”
আমি বিস্মিত যে, (এমনকি) শাইখুল ইসলাম (ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাহ)-ও এসব ব্যাপারে কথা বলেছেন ও গবেষণা করেছেন। কিন্তু তিনি এরূপ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। কারণ লোকেরা এই ব্যাপারে কথা বলছিলো, সুতরাং যারা এই ব্যাপারে কথা বলছিলো, মূলত তিনি তাদের অনুসরণ করেন। তাছাড়া তুমি সাহাবীগণ কর্তৃক উচ্চারিত একটি অক্ষরও পাবেনা যে তাঁরা জিজ্ঞেস করেছেন, “আল্লাহ’র (অবতরণের) ফলে ‘আরশ কি শূন্য হয়ে যায়?” এটা জানা কি আমাদের ওপর বাধ্যতামূলক করা হয়েছে? যদি আমাদের ওপর বাধ্যতামূলক করা হতো, তাহলে আল্লাহ্‌ অথবা তাঁর রাসূল আমাদের শিখিয়ে দিতেন। সুতরাং (আমাদের ওপর) জরুরি হলো এই ব্যাপারে চুপ থাকা।
কিন্তু আমাদের যদি এই ব্যাপারে টেনে আনা হয়, তাহলে আমরা এই বলে উত্তর দিই যে, ‘উলামারা এই বিষয়ে তিনটি অবস্থান নিয়েছেন। প্রথম বক্তব্য হলো ‘আরশ শূন্য হয়ে যায়, দ্বিতীয় বক্তব্য হলো ‘আরশ শূন্য হয় না, আর তৃতীয় মতটি হলো এই ব্যাপারে কথা বলা হতে বিরত থাকা এবং (এরূপ) বলা যে, আল্লাহ্‌ ভালো জানেন। আর শাইখুল ইসলাম এই মতের দিকে ধাবিত হয়েছেন যে, এর (আল্লাহ’র অবতরণ) কারণে ‘আরশ শূন্য হয় না। কারণ আল্লাহ্‌ (তাঁর সম্পর্কে) এর (‘আরশ) ওপরে সমুন্নত হওয়ার কথা বলেছেন, কোন নির্দিষ্ট সময়ে এর ব্যতিক্রম অবস্থার কথা বলা ছাড়াই। এবং তিনি (শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যাহ) বলেন আল্লাহ্‌র জন্য এর (‘আরশের) ওপরে সমুন্নত হওয়া এবং অবতরণ করা সম্ভব যা মাখলুক্বের বিপরীত। কারণ মাখলুক্ব সীমাবদ্ধ, এটি যদি কোন দিকে ঘোরে অথবা কোন অবস্থান নেয় তাহলে অন্য অবস্থান থেকে প্রস্থিত হয়ে যাবে। আর রাব্ব এর ক্ষেত্রে ব্যাপারটি হলো, তাঁকে মাখলুক্বের সাথে তুলনা করা হবে না। তবে আমার মত হলো ব্যক্তির জন্য উচিৎ প্রথমেই প্রশ্নকারীর প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে নিজেকে পরিচ্ছন্ন রাখা।”
উৎস: abdalla508 (সালাফী ইউটিউব চ্যানেল)
অনুবাদক: রিফাত রাহমান সিয়াম
সম্পাদক: মুহাম্মাদ 'আবদুল্লাহ মৃধা

Download AsPDF

Print Friendly and PDFPrint Friendly and PDFPrint Friendly and PDF
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...