Friday 26 April 2024

শাসকের সমালোচনা থেকে সতর্ক হোন -

 খারেজীদের রাষ্ট্রীয় বিষয়ে সমস্ত অভিযোগের জবাব এখানে দেওয়া আছে। মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ করছি...


এই হাদীস গুলো পড়তে পড়তে এমন মনে হচ্ছে, আমি যেনো সরাসরি রাসুলুল্লাহ (সাঃ)কে প্রশ্ন করছি আর তিনি উত্তর দিচ্ছেন। সুবহানাল্লাহ। 

শাসকদের নিয়ে সাহাবাদের সাথে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে কথোপকথন...!!!

১) শাসক জালেম হলে আমরা কিভাবে তার থেকে রেহাই পাব??

> রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: "যে তার শাসকের কাছে থেকে অপছন্দনীয় কিছু দেখে সে যেন ধৈর্য ধরে।" -(বুখারী/৩৮৭০) 

২) কিন্তু সে তো শরীয়ত মোতাবেক শাসন করে না!!

>রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: "আমার পরে এমন কিছু শাসক হবে যারা না আমার হেদায়াত মানবে আর না আমার সুন্নাত। আর তাদের মধ্যে এমন কিছু লোক থাকবে যারা মানব দেহে শয়তানের অন্তর লালন করবে।" আমি বললাম: হে আল্লাহর রাসূল, এরকম সময়ে আমি কি করব?? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: তুমি শাসকের কথা শুনবে ও মানবে, যদিও সে তোমাকে মেরে তোমার সম্পদ দখল করে নেয়। তথাপিও তুমি তার আনুগত্য করবে।" -(মুসলিম/১৮৪৭) 

৩) শাসক তো আমার সবকিছু নিয়ে নিল!!আমাকে সে কষ্ট দিচ্ছে!!

>রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: তুমি শাসকের কথা শুনবে ও মানবে, যদিও সে তোমাকে মেরে তোমার সম্পদ দখল করে নেয়। তথাপিও তুমি তার আনুগত্য করবে।" -(মুসলিম/১৮৪৭) 

৪) কিন্তু সে তো আমাদের সবকিছু নিয়ে জুলুম করছে, আমাদের বঞ্চিত করছে ?!!

> রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: "তাদের হক তোমরা ঠিক ঠিক দাও আর তোমাদের হক আল্লাহর কাছে চাও!" -(বুখারী/৩৬০৩) 

Tuesday 13 February 2024

প্রশ্ন: ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিকোন থেকে (১৪ই ফেব্রুয়ারি) বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উদযাপন করার হুকুম কি? বিস্তারিত আলোচনাসহ।

 


▬▬▬▬▬▬▬✿◈✿▬▬▬▬▬▬▬

উত্তর: ইসলামী শরীয়তে ভালবাসা দিবস নামে কোন দিবস নেই। বিশ্ব ভালবাসা দিবস পালন একটি রোমান জাহেলি উৎসব। রোমানরা খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করার পরেও এ দিবস পালনের প্রথা অব্যাহত রাখে। ইতিহাস থেকে জানা যায় খ্রিষ্টানরা ফেব্রুয়ারি মাসের ১৪ তারিখে ‘ভ্যালেন্টাইন’স ডে’ উদযাপন করে। দিবসটির উৎপত্তি খ্রিষ্টীয় ও প্রাচীন প্রথা থেকে। খ্রিষ্টানদের কাছে এটি একটি মহৎ ও পবিত্র দিন। গির্জায় গির্জায় প্রার্থনার মধ্য দিয়ে এদিনে তারা তাদের যাজক ‘সেন্ট ভ্যালেন্টাইন’কে বিশেষভাবে স্মরণ করে। এ তারিখটি তাদের সংস্কৃতির অংশ। মধ্য ইংল্যান্ডের ডার্বিশায়ার কাউন্টির তরুণীরা এ দিনের মধ্যরাতে দলবেঁধে ৩ থেকে ১২ বার চার্চ প্রদক্ষিণ করত এবং সুর করে প্রেমগীতি আবৃত্তি করত। অর্থডক্স খ্রিষ্টানরা ‘ভ্যালেন্টাইন’স ডে’ উদযাপন করে ৭ জুলাই। তারাও এদিনে গির্জায় আনুষ্ঠানিকভাবে দিবসটি পালন করে। দিবসটির অপর নাম ‘ফিস্ট অব সেন্ট ভ্যালেন্টাইন’। ভ্যালেন্টাইন নামের ব্যক্তিটি নিজেই রহস্যাবৃত। তাকে নিয়ে স্বয়ং খ্রিষ্টসমাজ দ্বিধাবিভক্ত। এই ভ্যালেনটাইনকে নিয়ে যত কাহিনী প্রচলিত আছে সবগুলোর ভিত্তিই হলো পৌরাণিক ও খ্রিষ্টধর্মীয় উপকাহিনী। বর্তমানে প্রতি বছর ১৪ ফ্রেব্রুয়ারিতে অশ্লীলতা, বেহায়াপনা ও নির্লজ্জতার মাধ্যমে উদযাপিত হয়। এই দিন মানুষ তার ভালোবাসার মানুষকে চিঠি, কার্ড, ফুল, গহনা-সহ নানাবিধ উপহার সামগ্রী গিফট করে পাশ্চাত্য উচ্ছৃিংখলতা, নোংরামি, বেলেল্লাপনা ও বেহায়াপনার নোংরা স্রোতে গা ভাসিয়ে দেয়। বিভিন্ন মুসলিম ও অমুসলিম দেশে তথাকথিত মুসলিমরাও এই নোংরা খ্রিষ্টীয় উৎসবে নীতি-নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে প্রেম ও প্রণয়লীলার অবৈধ সরোবরে ডুব দেয়। তারাও উদযাপন করে কথিত ভালোবাসা দিবস নামের এই হারাম খ্রিষ্টীয় উৎসবটি।আল-ইয়াযু বিল্লাহ।আপনি কি জানেন?১৪ই ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে নিজের বউকে ভালোবাসার শুভেচ্ছা জানালেও মূলত দিনটিকে উদযাপন করা হয়। সুতরাং এটা থেকে বিরত থাকুন। কারন অমুসলিমদের অনুকরণে যেসব দিবস পালিত হয়, তার সাথে ইসলামের কোনই সম্পর্ক নেই। এগুলি স্রেফ জাহেলিয়াত এবং বিজাতীয় সংস্কৃতি মাত্র।

.

সম্মানিত পাঠকবৃন্দ!আপনারা জেনে অবাক হবেন যে, আজ পর্যন্ত পৃথিবীতে জাতীয় কিংবা আন্তর্জাতিকভাবে ‘বিশ্ব ভালোবাসা দিবস’ নামে কোনো দিবস নেই। আমরা হুজুগে মাতালরা বেকুবের মতো ‘ভ্যালেন্টাইন’স ডে’কে ‘বিশ্ব ভালোবাসা দিবস’ হিসেবে চালিয়ে দিচ্ছি। এ দিবসটিতে ভালোবাসার নামে ‘মন্দবাসা’ ও কম হয় না। তরুণ-তরুণীদের পরস্পরকে আনন্দিত করতে নির্দ্বিধায় চলে নষ্টামি আর দেহপ্রদর্শনের নাটক। হাজার হাজার যুবক-যুবতী এ দিনে তার সতীত্ব ও চরিত্রকে বিসর্জন দিয়ে নিঃস্ব হয়ে ঘরে ফেরে। তাই অনেকে এ দিবসটিকে উল্লেখ করে থাকেন ‘বিশ্ব বেহায়া দিবস’, বিশ্ব নগ্নতা দিবস’, ‘বিশ্ব লুচ্চামি দিবস’ হিসেবে।অথচ ইসলামে সবধরনের অশ্লীলতা ও বেলাল্লাপনা নিষিদ্ধ। মহান আল্লাহ প্রকাশ্য ও গোপন সকল প্রকার অশ্লীলতা করা তো দূরে থাক অশ্লীলতার নিকটবর্তী হতেও নিষেধ করেছেন। (সূরা বনি-ইসরাইল; ৩২, আন‘আম; ১৫১)। রাসূল (ﷺ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের সাদৃশ্য অবলম্বন করবে, সে ব্যক্তি (কিয়ামতের দিন) তাদের অন্তর্ভুক্ত হবে।’ (আবু দাঊদ হা/৪০৩১; মিশকাত হা/৪৩৪৭)। অপর বর্ণনায় রাসূল (ﷺ) স্বীয় উম্মতকে সাবধান করে বলেন, তোমরা ইহূদী-নাসারাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করবে হাতে হাতে ও বিঘ’তে বিঘ’তে। তারা যদি গুই সাপের গর্তে ঢুকে পড়ে, তোমরাও সেখানে ঢুকবে।’(ইবনু মাজাহ হা/৩৯৯৪, সনদ হাসান) আব্দুল্লাহ বিন আমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,ইসরাইল সম্প্রদায় যে অবস্থায় পতিত হয়েছিল, নিঃসন্দেহে আমার উম্মাহও সেই অবস্থার সম্মুখীন হবে, যেমন একজোড়া জুতোর একটি অপরটি মতো হয়ে থাকে। এমনকি তাদের মধ্যে কেউ যদি প্রকাশ্যে তার মায়ের সাথে ব্যভিচার করে থাকে, তবে আমার উম্মাহর মধ্যেও কেউ তাই করবে।” [তিরমিযি, হা/২৬৪১; সনদ: হাসান] কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে, বর্তমানে ভালোবাসা দিবস উদ্‌যাপনের মাধ্যমে মুসলিম যুবক যুবতীরা খ্রিষ্টানদের অনুসরণ করছে। এমনকি তথাকথিত সুশীল সমাজের বয়োজ্যেষ্ঠরাও এ থেকে পিছিয়ে নেই।অথচ কোন মুসলমানের জন্য কাফেরদের কোন উৎসব পালন করা জায়েয নয়। কেননা উৎসব (ঈদ) ধর্মীয় বিষয়। এ ক্ষেত্রে শরয়ি নির্দেশনার এক চুল বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। এমনকি 

ভ্যালেন্টাইনস ডে (তথাকথিত ভালোবাসা দিবস) উপলক্ষে নিজ স্ত্রীকে উইশ করাও জায়েয নেই। কারণ এর দ্বারা মূলত এই জঘন্য দিবসটিকে পালন করা হয় এবং বৈধতা দেওয়া হয়। স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা সারাবছর দেখান, বছরের যেকোনো দিন দেখান। 

.

▪️এবার ইতিহাস বিখ্যাত এবং যুগশ্রেষ্ঠ কয়েকজন ইমামের ফাতওয়া দেখুন:

________________________________________

(১).ভালোবাসা দিবস পালন সম্পর্কে হিজরী ৮ম শতাব্দীর মুজাদ্দিদ শাইখুল ইসলাম ইমাম তাক্বিউদ্দীন আবুল ‘আব্বাস আহমাদ বিন ‘আব্দুল হালীম বিন তাইমিয়্যাহ আল-হার্রানী আন-নুমাইরি, (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৭২৮ হি.] বলেন: 

Sunday 11 February 2024

বিশ্ব ভালোবাসা দিবস : শরয়ি দৃষ্টিভঙ্গি



▌বিশ্ব ভালোবাসা দিবস : শরয়ি দৃষ্টিভঙ্গি

·

পরম করুণাময় অসীম দয়ালু মহান আল্লাহর নামে শুরু করছি। যাবতীয় প্রশংসা জগৎসমূহের প্রতিপালক মহান আল্লাহর জন্য। যিনি বলেছেন, “প্রকাশ্য বা গোপন কোনো অশ্লীলতার কাছেও যেও না।” [সুরা আনআম: ১৫১]

শতসহস্র সালাত ও সালাম ধার্য হোক প্রিয় নবি মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহর জন্য। যিনি বলেছেন, “যখন কোনো জাতির মধ্যে প্রকাশ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে, তখন সেখানে মহামারী আকারে প্লেগরোগের প্রাদুর্ভাব হয়। তাছাড়া এমনসব ব্যাধির উদ্ভব হয়, যা পূর্বেকার লোকদের মধ্যে কখনও দেখা যায়নি।” [ইবনু মাজাহ, হা/৪০১৯; সনদ: হাসান]

·

প্রাক্‌কথন:

সেন্ট ভ্যালেন্টাইনস ডে তথা ভালোবাসা দিবস একটি খ্রিষ্টীয় বার্ষিক উৎসবের নাম, যা প্রতি বছর ১৪ ফ্রেব্রুয়ারিতে অশ্লীলতা, বেহায়াপনা ও নির্লজ্জতার মাধ্যমে উদযাপিত হয়। এই দিন মানুষ তার ভালোবাসার মানুষকে চিঠি, কার্ড, ফুল, গহনা-সহ নানাবিধ উপহার সামগ্রী গিফট করে পাশ্চাত্য উচ্ছৃংখলতা, নোংরামি, বেলেল্লাপনা ও বেহায়াপনার নোংরা স্রোতে গা ভাসিয়ে দেয়। বিভিন্ন মুসলিম ও অমুসলিম দেশে তথাকথিত মুসলিমরাও এই নোংরা খ্রিষ্টীয় উৎসবে নীতি-নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে প্রেম ও প্রণয়লীলার অবৈধ সরোবরে ডুব দেয়। তারাও উদ্‌যাপন করে কথিত ভালোবাসা দিবস নামের এই হারাম খ্রিষ্টীয় উৎসবটি। আল-ইয়াযু বিল্লাহ।

এই দিনে ভালোবাসা প্রদানের নামে বহু নারী নিজের সতীত্ব বিসর্জন দেয়। নিজের আদর্শকে ভুলে, স্বীয় ভূষণকে বর্জন করে বহু মুসলিম এই দিন বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুকরণে অবাধ ও উন্মত্ত ভালোবাসায় মেতে উঠে। আমাদের দেশও এর ব্যতিক্রম নয়। তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের হাত ধরে আসা এই দিবসটি ১৯৯৩ সাল থেকে এদেশেও উদযাপিত হয়। কথিত সুশীল সমাজের মোড়লরা দেশের উঠতি বয়সী কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী ও যুবক-যুবতীদেরকে নোংরামি ও অশ্লীলতায় উসকে দেয়। কিন্তু এ থেকে উত্তরণ প্রয়োজন, প্রয়োজন মুক্তির।

প্রিয় পাঠক, বক্ষ্যমাণ নিবন্ধটিতে আমরা এই দিবসটির উৎপত্তি এবং এ ব্যাপারে শরিয়তের দৃষ্টিভঙ্গি দলিলপ্রমাণ সহকারে আলোচনা করেছি। ফালিল্লাহিল হামদ। তাহলে আসুন, জেনে নেই এই উৎসবের ব্যাপারে ইসলামী বিধিবিধান। ওয়াল্লাহুল মুওয়াফফিকু ওয়াল মুয়িন।

·

ইতিহাস:

ভ্যালেন্টাইনস ডে তথা ভালোবাসা দিবসের উৎপত্তিগত ইতিহাস নিয়ে বেশ কিছু কিংবদন্তী প্রচলিত আছে। [বিস্তারিত দ্রষ্টব্য: দৈনিক সংগ্রাম; সম্পাদকীয় পাতা; রবিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দ; (অনলাইন ভার্শন)]

তার মধ্যে সবচেয়ে প্রসিদ্ধ ঘটনাটি আমরা উল্লেখ করছি। ২৬৯ সালে ইতালির রোম নগরীতে সেন্ট ভ্যালেইটাইন নামে একজন খ্রিষ্টান পাদ্রী ও চিকিৎসক ছিলেন। ধর্মপ্রচারের অভিযোগে তৎকালীন রোমান সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াস তাঁকে বন্দী করেন। কারণ তখন রোমান সাম্রাজ্যে খ্রিষ্টান ধর্ম প্রচার নিষিদ্ধ ছিল। বন্দী অবস্থায় তিনি জনৈক কারারক্ষীর দৃষ্টিহীন মেয়েকে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলেন।

Friday 9 February 2024

শিরকের সমপর্যায়ের পাপ বড় কুফরী, বড় নেফাকী, সন্দেহ।

 আমরা জানি সবচেয়ে বড় পাপ হচ্ছে 'শিরক'।

প্রশ্ন হচ্ছে শিরকের সমপর্যায়ের কোন পাপ আছে কি?

থাকলে সেগুলো কি কি?

মূলত: আমাদের আকীদা বিশুদ্ধ করার জন্যই এই প্রশ্নের উত্তর জানা দরকার। 

অন্যথা যে সমস্ত অপরাধ শিরক বা কুফরী নয়; অথচ তা সেই পর্যায়ের মনে করলে পরিণাম ভয়াবহ হবে। একজন মানুষ সুদ, ঘুষ, মদ্যপান, ব্যভিচার... ইত্যাদি কোন একটি কাবীরা গুনাহে লিপ্ত হল.. তখন যদি এমন মন্তব্য করা হয় যে, সে তো ইসলাম থেকে বের হয়ে গেছে। মারাত্মক অপরাধ করেছে... আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন না... তাহলে এই বিশ্বাসের ফলে মন্তব্যকারীই বিপদে পড়ে যাবে। 

কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি কোন মুসলিমকে (কোন গুনাহে লিপ্ত হওয়ার কারণে বা বিনা কারণে) কাফের বলবে, তখন লোকটি যদি কাফের না হয়, তবে এই কথাটি তার নিটকেই ফিরে আসবে”। (অর্থা‌ৎ যে এই কথাটি বলেছিল সেই কাফের হয়ে যাবে।) (আহমাদ, মুসলিম)

উল্লেখিত প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে: 

শিরক তো নি:সন্দেহে সবচেয়ে বড় গুনাহ... যা নিয়ে কোন মানুষ মৃত্যু বরণ করলে, তার ক্ষমা নেই। চিরকাল জাহান্নামী।

এ ছাড়া আরো ৩ টি অপরাধ এমন আছে যা বড় শিরকের মতই ক্ষমার অযোগ্য। ঐ অপরাধগুলো নিয়ে যদি কোন মানুষ মৃত্যু বরণ করে, তবে সে জাহান্নামে চিরকাল অবস্থান করবে। 

(১) বড় কুফরী

(২) বড় নেফাকী

(৩) সন্দেহ। 

বড় কুফরীর কিছু উদাহরণ:

# আল্লাহ তায়ালা বা তাঁর নবী-রাসূলদেরকে গালি দেয়া অথবা আল্লাহর ফেরেশতাদের গালি দেয় বা কোন একজন রাসূলকে গালি দেয়া। 

# এঁদের বিষয়ে অশ্লীল কথা বলা, 

# রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পর নবুয়তের দাবী করা অথবা এরূপ দাবি কেউ করলে তাকে নবী বলে স্বীকৃতি দেয়া।

# কুরআন অবমাননা করা, 

# যাদুবিদ্যা শিক্ষা করা বা শিখানো 

# ঈমানের ছয়টি বিষয়ের কোন একটিকে অস্বীকার করা। যেমন পরকাল, তাক্বদীর... ইত্যাদি অবিশ্বাস করা। 

# আল্লাহর আইনের বিপরীত আইন রচনা করা এবং তা বৈধ বিশ্বাস করা।

# সুস্পষ্ট হারাম: যেমন ব্যভিচার, শুকর, মদ, সুদ, ঘুষ, বিনা কারণে মানুষ হত্যা ইত্যাদি প্রকাশ্য হারামকে হালাল বিশ্বাস করা। 

# ইসলামের সুস্পষ্ট কোন বিধান বর্জন করাকে হালাল বিশ্বাস করা। যেমন, সালাত বা সিয়াম বা যাকাত বা হজ্জ বা এরকম কোন একটি সুস্পষ্ট বিষয়কে আমল না করা হালাল বা এগুলোকে আমল করা হারাম বা অবৈধ বিশ্বাস।

বড় নেফাক: 

তা হল বিশ্বাসে নিফাকী। যারা মুখে ইসলাম প্রকাশ করা সত্বেও অন্তরে কুফরি ঢেকে রাখে তারা বড় নেফাকের অন্তর্ভুক্ত। এ ধরণের লোক ইসলামের গণ্ডি বহির্ভূত। সে জাহান্নামের সর্ব নিম্নে অবস্থান করবে। (নিসা: ১৪৫)

আল্লাহ তায়ালা সূরা বাকারার প্রথমাংশে তাদের কিছু বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করেছেন, তার মধ্যে কুফরি, বিশ্বাসহীনতা, দ্বীন নিয়ে উপহাস, মুসলিম জাতিকে ঠাট্টা-বিদ্রুপ, কাফেরদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন, মুসলিমদের সাথে শত্রুতা ইত্যাদি। সর্বযুগে সবখানেই তারা বিদ্যমান। তারা মুসলিমদের সাথেই বসবাস করে। তারা ঈমানের প্রকাশ করলেও বস্তুত: তা শুধু তাদের রক্ত ও সম্পদ সংরক্ষণের স্বার্থে। দুনিয়াবি স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে। সঠিকভাবে ঈমানের বিষয়ে তারা মিথ্যাবাদী।

সন্দেহ: 

# রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আনিত বিধানগুলো আল্লাহর পক্ষ থেকে এসেছে এ বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করা।

# রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সত্যবাদিতা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করা। 

# কোন নবী-রাসূলের ধর্মকে সন্দেহ করা 

# দ্বীন ইসলাম বর্তমান যুগোপযোগী হওয়ার বিষয়ে মনে সন্দেহ পোষণ করা। 

# ইসলামে যে সকল বিষয় সুস্পষ্টভাবে হারাম করা হয়েছে (ব্যভিচার, শুকর, মদ, সুদ, ঘুষ, বিনা কারণে মানুষ হত্যা.. ইত্যাদি) তা হারাম বিশ্বাস করার ব্যাপারে সন্দেহ করলেও ব্যক্তি ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে।

# ইসলামে যে সকল বিষয় আবশ্যক করা হয়েছে (সালাত, যাকাত, সিয়াম, হজ্জ.. ইত্যাদি) এগুলো না বেঠিক এরূপ সন্দেহ মনের মধ্যে পোষণ করা।

আল্লাহ আমাদেরকে সবধরণের অপরাধ থেকে মুক্ত থাকার তাওফীক দান করুন।

Thursday 8 February 2024

তথাকথিত ‘ভ্যালেন্টাইন'স ডে’ এবং শয়তানের পদক্ষেপ সমূহ:

 


আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَّبِعُوا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ ۚ وَمَن يَتَّبِعْ خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ فَإِنَّهُ يَأْمُرُ بِالْفَحْشَاءِ وَالْمُنكَرِ

“হে ঈমানদারগণ, তোমরা শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। যে কেউ শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করবে, তখন তো শয়তান নির্লজ্জতা ও মন্দ কাজেরই আদেশ করবে।"

[সূরা নূর: ২১]

এবার দেখুন, শয়তান ও তার অনুসারীরা মানুষকে জিনা-ব্যভিচারে লিপ্ত করার জন্য কতগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে:

- প্রথমে Rose Day-গোলাপ দিবস,

- তারপর Propose Day-প্রস্তাব দিবস,

- তারপর Chocolate Day-চকলেট দিবস,

- তারপর Teddy Bear Day-টেডি ভাল্লুকের খেলনা দিবস,

- তারপর Promise Day-প্রতিশ্রুতি দিবস,

- তারপর Kiss Day-চুম্বন দিবস,

- তারপর Hug Day-আলিঙ্গন দিবস

সর্বশেষ শেষ ভ্যালেন্টাইন'স ডে (Saint Valentine's Day) [যা অতি চতুরতার সাথে ‘বিশ্ব ভালবাসা দিবস’ হিসেবে বাংলায় নাম করণ করা হয়েছে] আর এ দিন কী ঘটে তা জ্ঞানীদের নিকট ব্যাখ্যার প্রয়োজন নাই।

১৪ ফেব্রুয়ারিতে তথাকথিত ‘বিশ্ব ভালবাসা দিবস’ পালনের পূর্বে সপ্তাহ ব্যাপী প্রস্তুতি মূলক ধাপেধাপে এসব দিবস পালনের ব্যবস্থা করে তার নাম দেওয়া হয়েছে 'ভ্যালেন্টাইন্স উইক (ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহ)-যেন এ দিন শয়তানের অনুসারীদের জন্য অপকর্মে লিপ্ত হওয়া সহজ হয়। (নাউযুবিল্লাহ)

এভাবেই শয়তান মানুষকে নোংরামি ও অশ্লীলতার পঙ্কিলতায় নিক্ষেপ করার জন্য ফাঁদ পেতেছে আর মানুষ তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে সেই ফাঁদে আঁটকে জাহান্নামিদের দলভুক্ত হচ্ছে।

আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে শয়তানের পথ ও কূটকৌশল থেকে রক্ষা করুন এবং নির্বোধদেরকে সুবুদ্ধি দান করুন। আমিন।

-আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল

Thursday 1 February 2024

মুমিন এবং কাফের ব্যক্তির রূহ কবজের বর্ননা ও কবরের সওয়াল জবাব-

 


বারা ইবনু ’আযিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে এক আনসারীর জানাযায় কবরের কাছে গেলাম। (তখনো কবর তৈরি করা শেষ হয়নি বলে) লাশ কবরস্থ করা হয়নি। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক জায়গায় বসে থাকলেন। আমরাও তাঁর আশেপাশে (চুপচাপ) বসে আছি এমনভাবে যেন আমাদের মাথার উপর পাখী বসে আছে। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাতে ছিল একটি কাঠ। তা দিয়ে তিনি (নিবিষ্টভাবে) মাটি নাড়াচাড়া করছিলেন। তারপর তিনি মাথা উঠালেন এবং বললেন, কবরের ’আযাব থেকে আল্লাহর কাছে ক্ষমা ভিক্ষা করো। এ কথা তিনি দু’বার কি তিনবার বললেন। তারপর বললেন, মু’মিন বান্দা দুনিয়ার জীবন শেষ করে পরকালের দিকে যখন ফিরে চলে (মৃত্যুর কাছাকাছি হয়) তখন আসমান থেকে খুবই আলোকোজ্জ্বল চেহারার কিছু মালায়িকাহ্ (ফেরেশতাগণ) তার কাছে যান। তাঁদের চেহারা যেন দীপ্ত সূর্য।

তাঁদের সাথে (জান্নাতের রেশমী কাপড়ের) কাফন ও জান্নাতের সুগন্ধি থাকে। তারা তার দৃষ্টির দূর সীমায় বসবে। তারপর মালাকুল মাওত আসবেন, তার মাথার কাছে বসবেন ও বলবেন, হে পবিত্র আত্ম! আল্লাহর মাগফিরাত ও তার সন্তুষ্টির কাছে পৌঁছবার জন্য দেহ থেকে বেরিয়ে আসো। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এ কথা শুনে মু’মিন বান্দার রূহ তার দেহ হতে এভাবে বেরিয়ে আসে যেমন মশক হতে পানির ফোঁটা বেয়ে পড়ে। তখন মালাকুল মাওত এ রূহকে নিয়ে নেন। তাকে নেবার পর অন্যান্য মালাকগণ এ রূহকে তার হাতে এক পলকের জন্যও থাকতে দেন না। তারা তাকে তাদের হাতে নিয়ে নেন ও তাদের হাতে থাকা কাফন ও খুশবুর মধ্যে রেখে দেন। তখন এ রূহ হতে উত্তম সুগন্ধি ছড়াতে থাকে যা তার পৃথিবীতে পাওয়া সর্বোত্তম সুগন্ধির চেয়েও উত্তম।

রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তারপর ওই মালায়িকাহ্ (ফেরেশতারা) এ রূহকে নিয়ে আকাশের দিকে রওয়ানা হন (যাবার পথে) সাক্ষাত হওয়া মালায়িকার কোন একটি দলও এ ’পবিত্র রূহ কার’ জিজ্ঞেস করতে ছাড়েন না। তারা বলে অমুকের পুত্র অমুক। তাকে তার উত্তম নাম ও যেসব নামে তাকে দুনিয়ায় ডাকা হত, সে পরিচয় দিয়ে চলতে থাকেন। এভাবে তারা এ রূহকে নিয়ে প্রথম আসমানে পৌঁছেন ও আসমানের দরজা খুলতে বলেন, দরজা খুলে দেয়া হয়। প্রত্যেক আসমানের নিকটবর্তী মালাকগণ এদের সাথে দ্বিতীয় আসমান পর্যন্ত যায়। এভাবে সাত আসমান পর্যন্ত পৌঁছিয়ে দেয়া হয়। (এ সময়) আল্লাহ তা’আলা মালাকগণকে বলেন, এ বান্দার ’আমলনামা ’ইল্লীয়্যিনে’ লিখে রাখো আর রূহকে জমিনে (কবরে) পাঠিয়ে দাও (যাতে কবরের) সওয়াল জবাবের জন্য তৈরি থাকে। কারণ আমি তাদেরকে মাটি হতে সৃষ্টি করেছি। আর মাটিতেই তাদেরকে ফেরত পাঠাব। আর এ মাটি হতেই আমি তাদেরকে আবার উঠাব।

রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এরপর আবার এ রূহকে নিজের দেহের মধ্যে পৌঁছিয়ে দেয়া হয়। তারপর তার কাছে দু’জন মালাক (ফেরেশতা) (মুনকির নাকীর) এসে তাকে বসিয়ে নেন। তারপর তাকে প্রশ্ন করেন, তোমার রব কে? সে উত্তর দেয়, আমার রব ’আল্লাহ’। আবার তারা দু’জন জিজ্ঞেস করেন, তোমার দীন কি? তখন সে উত্তর দেয়, আমার দীন ’ইসলাম’। আবার তারা দু’ মালাক প্রশ্ন করেন, এ ব্যক্তি কে? যাঁকে তোমাদের কাছে পাঠানো হয়েছিল। সে ব্যক্তি উত্তর দিবে, ইনি হলেন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তারপর তারা দু’জন বলবেন, তুমি কিভাবে জানলে? ওই ব্যক্তি বলবে, আমি ’আল্লাহর কিতাব’ পড়েছি, তাই আমি তাঁর ওপর ঈমান এনেছি ও তাঁকে সত্য বলে বিশ্বাস করেছি। তখন আকাশ থেকে একজন আহবানকারী (আল্লাহ) আহবান করে বলবেন, আমার বান্দা সত্যবাদী। অতএব তার জন্য জান্নাতের বিছানা বিছাও, তাকে পরিধান করাও জান্নাতের পোশাক-পরিচ্ছদ, তার জন্য জান্নাতের দরজা খুলে দাও। (তার জন্য জান্নাতের দরজা খুলে দেয়া হবে)।

Sunday 28 January 2024

এক নজরে সৌদি আরব



▬▬▬◆◈◆▬▬▬

সৌদি আয়তনের দিক থেকে পশ্চিম এশিয়ার সর্ববৃহৎ দেশ। আরব উপদ্বীপের বিরাট অংশই এ রাজ্যের আওতায়। নদীবিহীন এ দেশটি আরব বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। বর্তমান বিশ্বের মজুদ তেলের এক-তৃতীয়াংশের অধিকারী ও মানবিক সাহায্যে বিশ্বসেরা এবং বিনিয়োগে সপ্তম স্থান অধিকারী মুসলিম বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ শক্তিশালী এ দেশটির বাদশাহ প্রভাবশালী বিশ্বব্যক্তিত্বের মধ্যে চতুর্থ ও মুসলিম নেতৃবৃন্দের মধ্যে প্রথম স্থানের অধিকারী। জি-২০-এর একমাত্র মুসলিম রাষ্ট্র সৌদি আরব। নিম্নে এর সাধারণ মৌলিক সর্বশেষ তথ্যাবলি প্রদান করা হলো:

🇸🇦 সরকারি নাম : আল মামলাকাতুল আরবিয়্যাতুস সউদিয়া (রাজকীয় সৌদি আরব) Kingdom of Saudi Arabia (KSA)

🇸🇦 প্রথম সৌদি রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা : ১৭৪৪ ঈসায়ি, প্রতিষ্ঠাতা : মুহাম্মাদ বিন সাউদ

দ্বিতীয় সৌদি রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা : ১৮২৪ ঈসায়ি, প্রতিষ্ঠাতা : তুর্কি বিন আবদুল্লাহ

তৃতীয় সৌদি রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা : ১৯২৬ ঈসায়ি, প্রতিষ্ঠাতা : আবদুল আযীয বিন আবদুর রহমান

🇸🇦 স্বীকৃতি লাভ : ২০শে মে ১৯২৭ ঈসায়ি

একত্রীকরণ ও স্বাধীনতা : ১৯৩২ সালের ২৩শে সেপ্টেম্বর সব গোত্র ও প্রদেশ একত্রীকরণ করা হয়। সে জন্য প্রতি বছর ২৩শে সেপ্টেম্বরই সৌদি আরবের জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়। এটি সৌর হিজরি সনের প্রথম দিন।

🇸🇦 রাজধানী : রিয়াদ। এ ছাড়াও সৌদি আরবে ১৩টি প্রাদেশিক প্রশাসনিক রাজধানী আছে।

🇸🇦 সরকারপদ্ধতি : একচ্ছত্র রাজতন্ত্র, রাষ্ট্রপ্রধান খাদিমুল হারামাইন বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আযীয আল-সাউদ, যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান বিন আব্দুল আযীয আল সাউদ।

🇸🇦 আয়তন : প্রায় ২২,৫০,০০০ বর্গকিলোমিটার বা ৮,২৯,৯৯৬ বর্গমাইল

🇸🇦 ভৌগোলিক সীমারেখা : উত্তরে- জর্ডান ও ইরাক, দক্ষিণে ওমান ও ইয়ামন, পূর্বে কুয়েত, কাতার, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও আরব সাগর, পশ্চিমে লোহিত সাগর।

🇸🇦 ধর্ম : সৌদি আরবের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। সৌদি পরিচয় বহনকারী সবাই মুসলমান। তাদের অধিকাংশই আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াতের অনুসারী। তবে আল-কাতিফ, আল-আহসা, নাজরানে কিছু শিয়াদের বসবাস রয়েছে। সেখানে অবস্থানরত অমুসলিম জনগণও তাদের মানবিক ও ধর্মীয় অধিকার পুরোপুরিভাবে ভোগ করছে।

Wednesday 17 January 2024

ট্র্যান্স জেন্ডার (রূপান্তরিত লিঙ্গ): পরিচয় এবং ভয়াবহ পরিণতি

 



প্রিয় অভিভাবক,

সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে হাসিমুখে জীবনের সব কষ্ট সয়ে নেন পিতামাতা। সন্তানের জন্য বিসর্জন দেন নিজের শত শখ-আহ্লাদ। কিন্তু যাদের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য আপনি দিনের পর দিন খেটে যাচ্ছেন তাদের জীবনকে যে বিষিয়ে দেবার আয়োজন করা হয়েছে সু পরিকল্পিতভাবে তা কি আপনি জানেন?
অবিশ্বাস্য হলেও সত্য আপনার আদরের সন্তানকে ভয়ঙ্কর বিকৃতির দিকে ঠেলে দেওয়ার শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে খোদ পাঠ্যপুস্তকেই! জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড NCTB প্রণীত সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে ৩৯-৪৪ পৃষ্ঠায় ‘শরিফার গল্প’ শিরোনামের লেখায় সরাসরি যৌন ও মানসিক বিকৃতির সবক দেওয়া হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

এ গল্পে ‘শরিফা’ নামে একজন ব্যক্তি বলছে। ছোটবেলায় সে ছেলে ছিল। তার নাম ছিল শরিফ আহমেদ। আস্তে আস্তে সে যখন বড় হলো নিজেকে সে তখন মেয়ে ভাবতে শুরু করলো। মেয়েদের মতো আচরণ করতে লাগলো। এটাই নাকি তার ভালো লাগে। বইয়ের ৪০ নং পৃষ্ঠায় বলা হচ্ছে,

“আমার শরীরটা ছেলেদের মতো হলেও আমি মনে মনে একজন মেয়ে...।"

৪২ এবং ৪৪ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে,

“আমরা যে মানুষের শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দেখেই কাউকে ছেলে বা মেয়ে বলছি, সেটা হয়তো সবার ক্ষেত্রে সত্যি নয়।”

এ লেখাতে শিশুকিশোরদের শেখানো হচ্ছে, একজন মানুষের দেহ পুরুষের হলেও নিজেকে সে যদি নারী দাবী করে তাহলে সে নারী। আবার নারী দেহ নিয়ে জন্মগ্রহণ করা কেউ যদি নিজেকে পুরুষ দাবী করে তাহলে সে পুরুষ। চাইলেই লিঙ্গ পরিবর্তন করা যায়। যতক্ষণ না অন্যের কোনও ক্ষতি হচ্ছে ততোক্ষণ যা খুশি তা-ই করা যায়। এই জঘন্য অবস্থানের বিরোধিতাকে বলা হচ্ছে সেকেলে, পশ্চাৎপদতা!

পাঠ্যপুস্তকে কোমল মতি শিক্ষার্থীদের যা শেখানো হচ্ছে তা আসলে পশ্চিমা বিশ্ব থেকে আমদানি করা ট্র্যান্স জেন্ডার মতবাদ (Transgenderism)।

❑ ট্র্যান্স জেন্ডার (রূপান্তরিত লিঙ্গ) মতবাদ কী?

মানবাধিকারের নামে সমকামিতাসহ বিভিন্ন বিকৃত যৌনতার বৈধতা দেওয়ার অত্যন্ত শক্তিশালী একটি আন্দোলন আছে পশ্চিমা বিশ্বে। এই আন্দোলনের নাম এলজিবিটি (LGBT Rights Movemement)।

ট্র্যান্স জেন্ডার মতবাদ এই আন্দোলনেরই অংশ।

◈ LGBT-এর প্রতিটি অক্ষরের নির্দিষ্ট অর্থ আছে:

Download AsPDF

Print Friendly and PDFPrint Friendly and PDFPrint Friendly and PDF
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...