Saturday 26 July 2014

এক মুদ্দ পানি দিয়ে ওযূ করা

সহিহ আত্ তিরমিজি :: এক মুদ্দ পানি দিয়ে ওযূ করা অনূচ্ছেদ
অধ্যায় ১ :: হাদিস ৫৬
সাফীনাহ্(রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নাবী (সাঃ) এক মুদ্দ পানি দিয়ে ওযূ করতেন এবং এক সা পানি দিয়ে গোসল করতেন।-সহীহ্। ইবনু মাজাহ-(২৬৭)
এ অনুচ্ছেদে আয়িশাহ্, জাবির ও আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসও রয়েছে। আবু ঈসা বলেনঃ সাফীনাহ্(রাঃ)-এর হাদীসটি হাসান সহীহ্। আবু রায়হানার নাম আবদুল্লাহ্ইবনু মাতার। একদল বিশেষজ্ঞ আলিম বলেছেন, ওযূ এক মুদ্দ এবং গোসল এক সা পানি দিয়েই করতে হবে। কিন্তু ইমাম শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক বলেছেন, হাদীসের তাৎপর্য এটা নয় যে, এক মুদ্দ বা এক সা-এর বেশি বা কম পানি ব্যবহার করা যাবে না, বরং এটা একটা ওযূর পরিমাণ যা ওযূ ও গোসলের জন্য যথেষ্ট।

Jami at-Tirmidhi :: On Wudu With A Mudd
Part 1 :: Hadith 56
Safinah narrated:
"The Prophet would perform Wudu with a Mudd, and he would perform Ghusl with a Sa." (Sahih)

ভালভাবে ওযূ করা

সহিহ আত্ তিরমিজি :: সুন্দরভাবে ওযূ করা অনূচ্ছেদ

অধ্যায় ১ :: হাদিস ৫১
আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসুলুল্লাহ্(সাঃ) বলেন, আমি কি তোমাদের বলব না আল্লাহ্তাআলা কি দিয়ে গুনাহ্মুছে দেন এবং মর্যাদা বাড়িয়ে দেন? সাহাবাগণ বললেন, হে আল্লাহ্র রাসুল! হ্যাঁ (বলে দিন)। নাবী (সাঃ) বললেনঃ কষ্ট থাকার পরেও
ভালভাবে ওযূ করা, মাসজিদের দিকে বেশি বেশি যাতায়াত করা এবং এক নামায শেষ করে পরবর্তী নামাযের জন্য অপেক্ষায় থাকা। আর এটাই হল রিবাত (প্রস্তুতি)।-সহীহ্। ইবনু মাজাহ্(৪২৮), মুসলিম।

Jami at-Tirmidhi :: [What Has Been Related] About Performing Wudu Perfectly And Completely (Isbagh AI-Wudu)
Part 1 :: Hadith 51
Abu Hurairah narrated that :
Allah's Messenger said: "Shall I tell you that for which Allah will wipe out your sins, and raise your ranks?" They said, "Of course Allah's Messenger!" He said: "Performing Wudu well in difficulty, and taking many steps to the Masajid, and waiting for Salat after Salat, That is the Ribat." (Sahih)


মুসলমানদের পরাজয়ের কারণ

মুসলমানদের কাছে অত্যাধুনিক অস্ত্র নাই, টেকনোলজির অভাব, উমার ইবনে খাত্তাব রাঃ এর মতো খলিফা নাই, খালিদ বিন ওয়ালিদ রাঃ এর মতো সেনাপতি নাই - এর কোনটাই মুসলমানদের পরাজয়ের কারণ নয়।
বরং, মুসলমানদের মাঝে ঈমান তাক্বওয়ার অভাব, মুসলমানদের মাঝে শিরক বেদাতের অনুপ্রবেশ, ক্বুরান সুন্নাহ থেকে দূরে সরে যাওয়া, মুসলমানদের পাপাচারের সমুদ্রে ডুবে থাকাই মুসলমানদের পরাজয়ের কারণ।
শায়খ মতিউর রহমান মাদানী হা'ফিজাহুল্লাহ তার এক বক্তব্যে বলেছিলেনঃ সিগারেট বেশি খাওয়া শীর্ষস্থানীয় ১০টি দেশের মাঝে ৪টিই হচ্ছে আরব দেশ।
শায়খ উসাইমিনের কথাটা লক্ষ্য করুনঃ
“উহুদ যুদ্ধে মুসলিমরা পরাজিত হয়েছিলো শুধুমাত্র একটা পাপের কারনে, আর আমরা এখন বিজয় আশা করি যদিও আমাদের পাপ অনেক বেশি।”
- শায়খ মুহাম্মাদ বিন সালেহ আল-উসাইমিন রহঃ।

যিনা-ব্যভিচারকারী পুরুষ অথবা নারী কি তাওবার পর বিবাহ করতে পারে?


প্রশ্ন-

আমি একজন মুসলিম নারী আমি তিন বছর পূর্বে ইসলাম গ্রহণ করি আমি এখনো শিখছি আমার একটি প্রশ্ন আছে: আমি জেনেছি যে মুসলমান হওয়ার পর যদি অবৈধভাবে যৌনগমন করা হয় তাহলে ইসলামি পদ্ধতিতে বিবাহ করা যাবে না কথাটা সঠিক কিনা জানতে চাই যদি সঠিক হয় তাহলে যা অতীতে করেছি- এবং যার উপর আমি লজ্জিত- তা শুদ্ধ করার উপায় কী?

উত্তর-
আলহামদুলিল্লাহ
যিনা-ব্যভিচারকারীর জন্য তাওবা করা অত্যাবশ্যক কেননা ব্যভিচার মহাপাপসমূহের একটি ইসলামি শরিয়ত এসব বিষয় হারাম করেছে আর যে এসব করবে তার জন্য রয়েছে ভয়ংকর শাস্তির ওয়াদা ইরশাদ হয়েছে: {আর যারা আল্লাহর সাথে অন্য ইলাহকে ডাকে না এবং যারা আল্লাহ যে নাফসকে হত্যা করা নিষেধ করেছেন যথার্থ কারণ ছাড়া তাকে হত্যা করে না আর যারা ব্যভিচার করে না আর যে তা করবে সে আযাবপ্রাপ্ত হবে কিয়ামতের দিন তার আযাব বর্ধিত করা হবে এবং সেখানে সে অপমানিত অবস্থায় স্থায়ী হবে { সূরা আল ফুরকান: ৬৮-৬৯}
ইসলামি শরিয়া ব্যভিচারের ইহকালীন শাস্তিও নির্ধারণ করেছে ইরশাদ হয়েছে:{ব্যভিচারিণী  ব্যভিচারী তাদের প্রত্যককে একশটি করে বেত্রাঘাত কর আর যদি তোমরা আল্লাহ শেষ দিবসের প্রতি ঈমান এনে থাক তবে আল্লাহর দীনের ব্যাপারে তাদের প্রতি দয়া যেন তোমাদেরকে পেয়ে না বসে আর মুমিনদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে[ সূরা আন-নূর: ]
হাদিসে এসেছে: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: ( তোমরা আমার কাছ থেকে নাও, তোমরা আমার কাছ থেকে নাও আল্লাহ তাদের ব্যাপারে পথের দিশা দিয়েছেন অবিবাহিত পুরুষ-নারী ব্যভিচার করলে একশত বেত্রাঘাত একবছরের জন্য দেশান্তরিত করণ আর বিবাহিত নারী-পুরুষ ব্যভিচার করলে একশত বেত্রাঘাত পাথর  নিক্ষেপ) [মুসলিম: আলহুদুদ/৩১৯৯]
আল্লাহ তাআলা মুমিনদের উপর ব্যভিচারকারী নারী পুরুষকে বিবাহ করা হারাম করে দিয়েছেন ইরশাদ হয়েছে: {ব্যভিচারী কেবল ব্যভিচারিণী অথবা মুশরিক নারীকে ছাড়া বিয়ে করবে না এবং ব্যভিচারিণীকে কেবল ব্যভিচারী অথবা মুশরিক ছাড়া বিয়ে করবে না আর মুমিনদের উপর এটা হারাম করা হয়েছে} সূরা আন-নূর: }
যদি ব্যভিচারকারী সত্যিকার অর্থে দৃঢ়চিত্তে তাওবা করে, তাহলে আল্লাহ তাআলা তার তাওবা কবুল করেন এবং তাকে ক্ষমা করে দেন ব্যভিচারকারীর পরকালীন শাস্তির ওয়াদার কথা উল্লেখের পর আল্লাহ তাআলা বলেন: ( তবে যে তাওবা করে ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে পরিণামে আল্লাহ তাদের পাপগুলোকে পুণ্য দ্বারা পরিবর্তন করে দেবেন আল্লাহ অতীব ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু আর যে তাওবা করে এবং সৎকাজ করে তবে নিশ্চয় সে পরিপূর্ণভাবে আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করে
যদি সত্যিকার তাওবা অর্জিত হয় তবে এই পাপ থেকে সরে আসার পর তাদের সাথে বিবাহ করা বৈধ রয়েছে
শায়খ মুহাম্মাদ ইবনে ইব্রাহীম রা. কে ব্যভিচারিণী নারীর সাথে বিবাহ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছিল উত্তরে তিনি বলেছিলেনতাওবা না করা পর্যন্ত ব্যভিচারিণীর সাথে বিবাহ বৈধ নয় যদি কোনো পুরুষ তাকে বিয়ে করতে চায় তাহলে বিবাহের পূর্বে  একটি ঋতুস্রাব অতিক্রম হতে দেবে পেটে বাচ্ছা আছে বলে প্রমাণিত হলে প্রসবের আগ পর্যন্ত বিবাহ বৈধ হবে না


Download AsPDF

Print Friendly and PDFPrint Friendly and PDFPrint Friendly and PDF
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...