Tuesday 25 April 2017

হে আমার মেয়ে শেষ পর্ব


ইউরোপ-আমেরিকায় এমন অসংখ্য পিতা-মাতা আছেযারা তাদের যুবতী মেয়েদেরকে যুবক পরুষদের সাথে চলাফেরা করতে ও মিশতে দেয় না। তারাতাদের সন্তানদেরকে সিনেমায় যেতে দেয় না। শুধু তাই নয়তারা তাদের ঘরে অশ্লীলতা ওবেহায়পনামুক্ত চ্যানেল ব্যতীত অন্য কিছু ঢুকায় না। অথচ পরিতাপের বিষয় হচ্ছে আজঅধিকাংশ মুসলিম দেশের মসুলিমদের ঘর এগুলো থেকে মুক্ত নয়।
এক শ্রেণীরবুদ্ধিজীবির কথা হচ্ছেসহশিক্ষা প্রবল যৌন আকাঙ্খাকে ধমন করেচরিত্র সংশোধন করেএবং দেহ থেকে বাড়তি যৌন চাহিদাকে দূর করে দেয়। আমি তাদের জবাবে বলতে চাই যেআপনারাকি রাশিয়ার দিকে তাকিয়ে দেখেন নাযেই রাশিয়া কোন ধর্মে বিশ্বাস করে নাকোনপাদ্রীর উপদেশে কর্ণপাত করে নাতারা কি সহশিক্ষা ও নারী-পুরুষের সহ অবস্থানেরখারাপ পরিণামের শিকার হয়ে তা থেকে ফেরত আসার ঘোষণা দেয় নি?
আমেরিকার প্রসঙ্গেআসি। পত্র-পত্রিকার রিপোর্টে প্রকাশ হচ্ছে যেঅবিবাহিত ছাত্রীদের মধ্যে গর্ভবতীরসংখ্যা সেখানে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি তাদের অন্যতম একটি বিরাট সমস্যা। আপনারা কিমুসলিম দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও এমন সমস্যা দেখতে চান?
 বর্তমান সময়ে আমেরিকাএই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য যৌন সচেতনতা বা সেক্স শিক্ষা নামে একটি বিষয়সিলেবাসের অন্তর্ভূক্ত করে তা ছাত্র-ছাত্রীদেরকে পাঠ দান করছে। আমি মনে করি এরমাধ্যমে তারা আগুনের মধ্যে পেট্রোল ঢালছে। অল্প বয়স্ক নির্দোষ বালিকার মধ্যেলুকায়িত যৌন স্পৃহাকেই তারা জাগিয়ে তুলছে। স্কুল পর্যায়ের ছাত্রীদেরকে তারা কন্ডমব্যবহারের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে এবং একজন পুরুষ নির্জনে একজন মহিলার সাথে কি করে তারাউঠতি বয়সের বালিকাদেরকে তাও শিক্ষ দিচ্ছে। আমাদের মধ্যে বসবাসকারী এক ধরণের মানুষনামধারী শয়তান আমাদেরকেও তাদের কর্মকান্ডের অনুসরণ করার আহবান জানাচ্ছে।

হে আমার মেয়ে চতুর্থ পর্ব


হে আমার মেয়ে!তোমার পথহারা বোনদেরকে এ সব কথা বলে উপদেশ দাওতাদেরকে মর্মান্তিক করুণ পরিণতিরকথা শুনাও। ইউরোপ-আমেরিকার যুবতীদের পথ ধরা থেকে তোমার ঈমানদার বোনদেরকে সতর্ক করএবং রোগে আক্রান্ত হওয়ার পূর্বেই তাদের মধ্যে প্রতিষেধক রোপন কর।
হে আমারমেয়ে!আমি এ কথা বলছি না যেতোমার প্রচেষ্টায় মুসলিম রমনীগণ এক লাফে প্রথমযামানার মুসলিম নারীদের মত হয়ে যাবে। এটি অসম্ভব। কারণ বর্তমানে মুসলিম নারীগণ যেঅবস্থায় এসে পৌঁছেছেতা এক লাফে এসে পৌঁছে নি। তারা প্রথমে মাথার চুলের একাংশখুলেছেতারপর পুরোটাই। অতঃপর কাপড় ছোট করতে শুরু করেছে। ধীরে ধীরে দীর্ঘ দিনেরব্যবধানে তারা জাতির পুরুষদের গাফিলতির সুযোগে বর্তমানের দুঃখজনক পরিস্থিতির শিকারহয়েছে। তারা হয়ত কল্পনাও করতে পারে নি যে,বিষয়টি এ পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছবে।
তুমিযদি ছোট একটি ঘড়ির কাটার দিকে তাকাও তাহলে দেখবে,সেটি নড়ছে নাবরং আপন স্থানেইঅবস্থান করছে। তুমি যদি দুই ঘন্টা পর পুনরায় ঘড়ির কাছে ফেরত আসতাহলে দেখবে কাটাএখন আগের স্থানে নেই। দেখবে সেটি অনেক অগ্রসর হয়েছে। এমনিভাবে শিশু জন্মগ্রহণ করেএকদিনেই যুবক হয়ে যায় না এবং যুবক হয়ে এক লাফে বৃদ্ধে পরিণত হয় নাবরং দিনের পররাতরাতের পর দিনমাসের পর মাসবছরের পর বছর অতিক্রম করার মাধ্যমে সে বিভিন্নঅবস্থা অতিক্রম করে। এমনিভাবেই জাতির অবস্থা পরিবর্তন হয় এবং ভাল থেকে মন্দ ও মন্দথেকে ভালর দিকে ধাবিত হয়।

হে আমার মেয়ে তৃতীয় পর্ব


হে আমার মেয়ে!জেনে রেখো! একবার যদি কোন মেয়ের জীবনে কলঙ্ক নেমে আসে এবংতার সমাজ যদি তা জেনে ফেলে তবে কেউ তাকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করবে না। এমন কি যেইপুরুষ তাকে নষ্ট করেছে সেও তাকে বিয়ে করে নিজের সংসার গড়তে রাজী হবে না। অথচ সেবিয়ের মিথ্যা ওয়াদা করে তার সতীত্ব ও সম্ভ্রম নষ্ট করেছে এবং মনের চাহিদা পূরণ করেকেটে পড়েছে। বরং সে যখন বিয়ের মাধ্যমে কোন নারীকে ঘরে উঠাতে চাইবে তখন তাকে বাদদিয়ে অন্য একটি সম্ভ্রান্তসম্মানিতভদ্রসতী ও পবিত্র নারীকেই খুঁজবে। কেননা সেকখনই চাইবে না যেতার স্ত্রী হোক একজন নষ্ট নারীঘরের পরিচালক হোক একজন নিকৃষ্টমহিলা এবং তার সন্তানদের মাতা হোক একজন ব্যভিচারীনী। নিজে ফাসেক ও পাপী হয়েও সেচাইবে তার স্ত্রীটি হোক ফুলের মত পবিত্র। এমন কি যখন সে নিজের পাপ ইচ্ছা পূর্ণ করারজন্য পাপের বাজারে কোন পাপীষ্ট মহিলাকে খুঁজে পাবে না এবং বিয়ে ছাড়া নিজের যৌনচাহিদা পূর্ণ করার কোন রাস্তা খুঁজে পাবে না তখন সে ইসলামের সুন্নাত অনুযায়ী বিয়েরমাধ্যমে কাউকে নিজের স্ত্রী বানানোর সন্ধানে বের হবে। সে কোন পতিতাকে বা নষ্টমহিলাকে কখনই ঘরের স্ত্রী বানাতে রাজী হবে না।
হে আমার মেয়ে!তুমি তোমারবোনদেরকে বলঃ হে বোন! তুমি কি জান পুরুষেরা কেন তোমার কাছে আসতে চায়কেন তোমাকেনিয়ে ভাবেকারণ তুমি খুব সুন্দরী এবং যুবতী। সে তোমার সৌন্দর্য্যরে পাগল। তাই সেতোমার চারপাশে ঘুরে এবং তোমাকে নিয়েই ভাবে। এখন আমার প্রশ্ন হলতোমার এই যৌবন ওসৌন্দর্য্য কি চিরকাল থাকবেদুনিয়াতে কোন জিনিস কি চিরস্থায়ী হয়েছেশিশুর শিশুকালকি শেষ হয় নাসুন্দরীর সৌন্দর্য্য কি আজীবন থাকেতোমার বোন যদি বিবাহের মাধ্যমেপরিবার গঠনে আত্মনিয়োগ না করে এবং ইসলামের শত্রুদের ষড়যন্ত্রের শিকারে পরিণত হয়েইসলামী পারিবারিক জীবনের গণ্ডির বাইরে চলে যেতে চায় তাহলে তাকে প্রশ্ন করঃ হে বোন!তুমি যখন বৃদ্ধ হবেযখন তোমার পিঠ ও কোমর বাঁকা হবে এবং দেহের সৌন্দর্য্য বিলীনহবে তখন কে তোমার দায়িত্ব নিবে?তোমার পরিচর্যাই বা করবে কেতা কি তোমার জানা আছেযারা তার সেবা করবেতারা হচ্ছে তার ছেলে-মেয়েনাতী-নাত্নী। আর সে রাণীর মতসিংহাসনে বসে পরিবারের অন্যদেরকে পরিচালনা করবে। এখন তুমি চিন্ত করতুমি কি করবেবিবাহের মাধ্যমে তুমি কি এক নির্মল শান্তির সংসার রচনা করবেনা ব্যভিচারীনী হয়েস্বল্প সময় উপভোগ করে তোমার ভবিষ্যৎ জীবনকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিবেস্থায়ী সুখেরবিনিময়ে অস্থায়ী সুখ ক্রয় করা কি কোন বুদ্ধিমানের কাজ হবেযুবক বয়সের সামান্যবিলাসিতা কি শেষকালের করুণ পরিণতির সমান হবেকখনই হবে না।

Monday 24 April 2017

হে আমার মেয়ে!


আমি চল্লিশের কোঠা পার হয়ে পঞ্চাশের পথে পা রেখেছি। যৌবনকে বিদায় দিতে যাচ্ছি। সেও আমার কাছ থেকে বিদায় নিতে চায়। নতুন কোন স্বপ্ন এবং উচ্চ আকাঙ্খা আর নেই।
আমি অনেকদেশ ও শহর ভ্রমণ করেছি, বহু জাতির সাহচর্য লাভ করেছি এবং জীবন ও জগৎ সম্পর্কে অনেকধারণা অর্জেন করেছি।
আজ আমার কাছ থেকে কয়েকটি কথা শুন! কথাগুলো সঠিক ও সুস্পষ্ট। এগুলো আমার বয়স ও অভিজ্ঞতার আলোকেই তোমাকে বলছি। আমি ছাড়া আর কেউ তোমাকেএগুলো বলবে না।
আমি অনেক লিখেছি, মিম্বারে ও সমাবেশে দাঁড়িয়ে অনেক ভাষণ দিয়েছি, অনেক নসীহত পেশ করেছি। উত্তম চরিত্র অর্জনের আহবান জানিয়েছি, অশ্লিলতা বর্জন ও সকলপ্রকার অন্যায় কাজ বর্জনের ডাক দিয়েছি। নারীদেরকে ঘরে ফিরতে ও কুরআনের সুপ্রসিদ্ধবিধান পর্দার আবরণে আবৃত হওয়ার আহবান জানিয়েছি, তাদের সৌন্দর্য্যরে স্থানগুলো ঢেকেরাখতে বলেছি। লিখতে লিখতে কলম এখন দুর্বল হতে চলছেকথা বলার সময় মুখে তা আটকেযাচ্ছে। এত কিছু করার পরও আমি মনে করি না যে, আমরা কোন অশ্লীল কাজ সমাজ থেকে দূরকরতে পেরেছি। বেহায়াপনা দিন দিন বেড়েই চলছে, পাপাচারিত দ্রুত প্রসারিত হচ্ছে এবংঅশ্লীলতা দেশ থেকে দেশান্তরে ছড়িয়ে পড়ছে। আমার মনে হয় কোন ইসলামী দেশই এর আক্রমণথেকে মুক্ত নয়। মিশর, সিরিয়া তথা সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যের সীমা পার হয়ে পাকিস্তান, বাংলাদেশসহ সমগ্র এশিয়ায় এর আক্রমণ বেড়েই চলছে। মহিলারা বের হচ্ছে পর্দাহীন হয়ে, সৌন্দর্যের স্থানগুলো প্রকাশ করে, মুখমন্ডল, বক্ষদেশ এবং কেশ উন্মুক্ত করে।
আমার ধারণা, নসীহত করে আমরা সফল হই নি। হে আমার কন্যা! তুমি কি জান কেন আমরাসফল হই নি? সম্ভবতঃ আমরা এখনও গ্রহণযোগ্য পন্থায় নসীহত করতে পারি নি এবং সংশোধনেরদরজায় পৌঁছতে পারি নি।
হে আমার মেয়ে!আমরা তোমার দ্বীনী বোনদেরকেআল্লাহর ভয় দেখিয়েছি, কিন্তু কাজ হয় নি। অতঃপর অবৈধ্য সম্পর্ক ও ব্যভিচারে লিপ্তহওয়ার কারণে ভয়াবহ রোগে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছি, কিন্তু কোন ফল হই নি। এবিষয়ে অনেক বই লেখা হয়েছে, বহু বক্তৃতা দেয়া হয়েছে, তাও ব্যর্থ হয়েছে। এখন আমিক্লান্ত শরীরে পরাজিত সৈনিকের ন্যায় ময়দান ছেড়ে বিদায় নিতে চাচ্ছি। আমরা বিদায় নিয়েতোমার দ্বীনি বোনদের ইজ্জত-সম্ভ্রম ও সতীত্ব রক্ষার দায়িত্ব তোমার হাতেই ছেড়েদিচ্ছি, তোমার বিপদগামী বোনদেরকে উদ্ধার ও সংশোধনের বিষয়টি তোমার উপরই রেখে দিয়েতোমার সফলতার দিকে চেয়ে আছি।

হে আমার মেয়ে! ২য় পর্ব



হে আমার মেয়ে!সে যদিতোমাকে তার ষড়যন্ত্রের জালে আটকাতে পারে তাহলে কি হবে? কি হবে তোমার অবস্থা? তোমারকি তা জানা আছে? একটু চিন্তা কর।

কোন নারী যদি এমন কোন দুষ্ট পুরুষের কবলে পড়েযায়, তখন সে হয়ত সেই পুরুষের সাথে মিলে কয়েক মিনিট কল্পিত স্বাদ উপভোগ করবে। তারপরকি হবে? তুমি কি তা জান? পরক্ষণই সে তাকে ভুলে যাবে। সে তাকে দ্বিতীয়বার পাওয়ার আশাপোষণ করবে। হয়ত কয়েকবারের জন্য তাকে পেলে পেতেও পারে; তবে স্বামী হিসাবে তার সাথেচির দিন বসবাস করার জন্যে এবং স্বীয় যৌবন পার করার জন্যে নয়। সে অচিরেই তাকে ভুলেযাবে। এটিই সত্য। কিন্তু সেই মহিলাটি চির দিন সেই স্বল্প সময় উপভোগের জ্বালা ভোগকরতে থাকবে, যা কখনও শেষ হবে না। এও হতে পারে যে, সে তার পেটে এমন কলঙ্ক রেখে যাবে, যা থেকে কখনই সে পরিত্রাণ পাবে না। চির দিন তার কপালে হতাশার ছাপ থাকবে, চেহারায়দুশ্চিন্তার ছায়া পড়বে। সে তাকে ছেড়ে দিয়ে আরেকটি শিকার খুঁজতে থাকবে এবং নতুন নতুনসতীদের সতীত্ব ও সম্ভ্রম হরণ করার অনুসন্ধানে বের হবে।

হে আমার মেয়ে!এভাবে একটি যুবক অগণিত নারীকে নষ্ট করলেও আমাদের জালেম সমাজ তাকে একদিন ক্ষমা করেদিবে। সমাজ বলবেঃ একটি যুবক পথ হারা ছিল। সে সুপথে ফিরে এসেছে। এই অজুহাতে সে হয়তসমাজের কাছে গৃহীত হবে এবং সকলেই তাকে গ্রহণ করে নিবে। আর তুমি অপমানিত, লাঞ্জিতহয়ে চিরদিন পড়ে থাকবে। আজীবন তোমার জীবনে কালিমা লেগে থাকবে, কোন দিন তা বিচ্ছিন্নহবে না। আমাদের জালেম সমাজ কখনই তোমাকে ক্ষমা করবে না।
হে আমার মেয়ে!তোমার সম্মান তোমার হাতেই রেখে দিলাম এবং তোমার ইজ্জত-আভ্রু ও মর্যাদা রক্ষারদায়িত্ব তোমার উপরই ছেড়ে দিলাম। সুতরাং তোমার বোনদেরকে উপদেশ দাও, বিপদগমীদেরকেসংশোধন কর এবং সুপথে ফিরিয়ে আন।

হে আমার মেয়ে!তুমি তাদেরকে বলঃ হে আমারবোন! পথ চলার সময় কোন পুরুষ যদি তোমার দিকে তাকিয়ে দেখে তবে তুমি তার থেকে বিমুখহয়ে যাও এবং তোমার চেহারা অন্য দিকে ঘুরিয়ে ফেল। এর পরও যদি তার কাছ থেকে সন্দেহজনক কোন আচরণ অনুভব কর কিংবা সে তোমার গায়ে হাত দিতে চায় অথবা কথার মাধ্যমে তোমাকেবিরক্ত করতে উদ্যত হয় তাহলে তোমার পা থেকে জুতা খুলে তার মাথায় আঘাত কর। তুমি যদি একাজটি করতে পার তাহলে দেখবে পথের সকলেই তোমার পক্ষ নিবে, তোমাকেই সাহায্য করবে। সেআর কখনও তোমার মত অন্য কোন নারীর উপর অসৎ দৃষ্টি দিবে না। সে যদি সত্যিই তোমাকেপছন্দ করে থাকে, তাহলে তোমার এই আচরণে তার হুঁশ ফিরবে, তাওবা করবে এবং তোমার সাথেহালাল সম্পর্ক গড়ার জন্যে বৈধ পন্থা অবলম্বনের দিকে অগ্রসর হবে।

প্রেম রোগ : প্রতিপাদন ও প্রতিবিধান


প্রেম-ভালোবাসা ব্যাপারটা কিশর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণীর কাছে বড়ই আকর্ষণীয়। তরূণ সমাজে প্রেমরোগ সংক্রামক মহামারীর আকার ধারণ করেছে। প্রায় ঘরেই দেখা যায় কেউ না কেউ এ রোগের আক্রান্ত রোগী আছেই আছে। ইল্লা মা শাআল্লাহ। হাজী-গাজী, আলেম-জালেম, শিক্ষিত-মূর্খ, পর্দানশীন বেপর্দা প্রায় সকল পরিবেশের কেউ না কেউ প্রেম-ভালোবাসার নোংরামীতে জড়িয়ে পড়ছে।
আজ ঘরে-ঘরে পিরীতের বাজনা, হাতে হাতে প্রেমের বাঁশি, মনে মনে প্রেমের বেদনা। প্রচার মাধ্যম খুলে বসলেই অবৈধ প্রেম রোমান্সের কাহিনী ও অভিনয়। প্রেম করা যেন এক আধুনিক ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে।
আমাদের প্রয়াস সমাজ সংস্কার করা। প্রগতির নামে দুর্বার দুর্গতির পথ রোধ করা। সেই প্রচেষ্টায় শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযীর ‘প্রেম রোগ প্রতিপাদন ও প্রতিবিধান’ বইটি। এই বইয়ে লেখক ভালোবাসার নানা প্রকার, অবৈধ ভালবাসা সৃস্টি হয়ার কারণ সমূহ, এর ফলে দ্বীনী ক্ষতিসমূহ, মানসিক, সামাজিক ক্ষতিসমূহ এবং এই রোগের চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
 এক নজরে বইটিঃ
> বই: ‘প্রেম রোগ প্রতিপাদন ও প্রতিবিধান।
> লেখক: আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী।
> প্রকাশনী: ওয়াহীদিয়া ইসলামিয়া লাইব্রেরী।
> মূল্য: ১৩০ টাকা।
> পেইজ: ২৫২।
> সাইজ: ২.৫ মেগাবাইট

ডাউনলোড করতে নিচের যেকোন একটি অপশনে ক্লিক করুন

Medifire                                                  Google Drive                 


উৎসঃ waytojannah ওয়েবসাইত।

Download AsPDF

Print Friendly and PDFPrint Friendly and PDFPrint Friendly and PDF
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...