🌸=======🍀=======🌻=====🌏
স্ত্রী-সঙ্গম ব্যতীত অন্য পদ্ধতিতে যৌন-স্বাধের সহিত বীর্যপাত করাঃ❌
যেমন যৌন-স্বাধের সহিত স্ত্রীর সাথে কোলাকুলি, আলিঙ্গন, চুম্বন ইত্যাদি করার সময় বীর্যপাত হওয়া। এই ভাবে সকাম হস্তমৈথুন করতঃ বীর্যপাত করা কিংবা যৌনচাহিদার সাথে যৌন (পর্ণ) ছবি সহ ইত্যাদি দেখার ফলে বীর্যপাত করা কিংবা আরো অন্য পদ্ধতিতে স্বেচ্ছায় কামভাবের সাথে বীর্যপাত করা। এসবই রোযা ভঙ্গের কারণ। কেউ এমন করলে তার রোযা নষ্ট হয়ে যাবে, তার উপর তাওবা সহ রোযা কাযা করা জরুরি হবে। কিন্তু তার উপর কাফ্ফারা নেই; কাফ্ফারা কেবল স্ত্রী সহবাসে জরুরি হয়।
হাদীসে কুদসীতে বর্ণিত হয়েছে,
“সে আমার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে নিজের পানাহার ও যৌনাচার পরিহার করে”। [বুখারী, সাউম অধ্যায়, নং ১৮৯৪, মুসলিম, সিয়াম অধ্যায়, ১১৫১]
তাই রোযার জন্য যেমন পানাহার বর্জন করা জরুরি তেমন যৌনাচার পরিহার করাও জরুরি। আর যে ব্যক্তি যৌনস্বাধের সাথে উক্ত কাজগুলি করে সে, যৌনাচার পরিহার করে না ফলে তার রোযা হয় না।
উপরোক্ত ক্ষেত্রে বীর্যপাত না হয়ে যদি কেবল মযী বের হয়। অর্থাৎ উত্তেজনার সাথে বীর্যস্খলন না হয়ে কেবল যৌনাঙ্গে আঠা জাতীয় পানি বের হয়, যাকে শরীয়ার ভাষায় মযী বলে। তাহলে সঠিক মতানুযায়ী তার রোযা নষ্ট হবে না কিন্তু এর ফলে তার অযু নষ্ট হবে এবং যেই স্থানে তা লাগবে, তা ধৌত করতে হবে। [শারহুল মুমতি, ইবনে উসাইমীন,৬/৩৭৬]
Courtesy Shaykh Abdur Raquib Bukhari Hafizahullah