Friday 16 August 2019

মু‘আউয়িয়াহ বিদ্বেষী বনাম ইমামু আহলিস সুন্নাহ


·
১. হাম্বাল (রাহিমাহুল্লাহ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেছেন,
سمعت أبا عبد الله وسئل: من أفضل معاوية أو عمر بن عبد العزيز؟ قال: من رأى رسول الله صلى الله عليه وسلم، وقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: خير الناس قرني.
“আমি আবূ ‘আব্দুল্লাহকে {ইমাম আহমাদ (মৃত: ২৪১ হি.)} বলতে শুনেছি, এমতাবস্থায় যে, তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছে, “কে বেশি উত্তম, মু‘আউয়িয়াহ না কি ‘উমার বিন ‘আব্দুল ‘আযীয?” তিনি বলেছেন, “তিনি বেশি উত্তম, যিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে দেখেছেন। যেহেতু রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ‘সর্বোত্তম মানুষ তারা, যারা আমার যুগের মানুষ।’ (সাহীহ বুখারী, হা/২৬৫২)” [ইমাম খাল্লালের আস-সুন্নাহ, আসার নং: ৬৬১; কিতাবের মুহাক্বক্বিক্ব বলেছেন, এই আসারের সনদ বিশুদ্ধ]
·
২. আর‌ও একটি বর্ণনায় এসেছে,
وقد سئل رجل الإمام أحمد عن خال له ينتقص معاوية رضي الله عنه، وأنه -أي الرجل- ربما أكل مع خاله، فقال له الإمام أحمد مبادراً : لا تأكل معه.
“জনৈক ব্যক্তি ইমাম আহমাদকে (মৃত: ২৪১ হি.) স্বীয় মামা সম্পর্কে প্রশ্ন করেন, যেই মামা মু‘আউয়িয়াহ (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু)’র মর্যাদাহানি করে, আর সেই (প্রশ্নকারী) ব্যক্তি কখনো কখনো তাঁর মামার সাথে আহার করেন। ইমাম আহমাদ তাকে তড়িৎ জবাব দিয়ে বললেন, ‘তুমি তার সাথে আহার কোরো না’।” [প্রাগুক্ত, আসার নং: ৬৯১, ৬৯২, ৬৯৩; কিতাবের মুহাক্বক্বিক্ব বলেছেন, আসারগুলোর সনদ বিশুদ্ধ]
·
৩. আরেকটি বর্ণনায় এসেছে,
وسئل الإمام أحمد: ما تقول رحمك الله فيمن قال: لا أقول إن معاوية كاتب الوحي، ولا أقول إنه خال المؤمنين فإنه أخذها بالسيف غصباً؟ قال أبو عبد الله: هذا قول سوء رديء، يجانبون هؤلاء القوم، ولا يجالسون، ونبين أمرهم للناس.
ইমাম আহমাদকে প্রশ্ন করা হয়েছে, “আল্লাহ আপনার ওপর রহম করুন। তাদের ব্যাপারে আপনার অভিমত কী, যারা বলে, ‘আমি মু‘আউয়িয়াহকে ওহি লেখক বলি না এবং আমি তাঁকে মু’মিনদের মাতুলও বলি না, কেননা তিনি তরবারি দিয়ে জোর করে ক্ষমতা দখল করেছেন’?” আবূ ‘আব্দুল্লাহ (ইমাম আহমাদ) বলেছেন, “এটা একটা নিকৃষ্ট ও মন্দ কথা। ওই সম্প্রদায়কে বর্জন করতে হবে, তাদের সাথে ওঠাবসা করা যাবে না। আর আমরা জনসাধারণের কাছে তাদের বিষয়টি প্রকাশ করে দিব।” [প্রাগুক্ত, খণ্ড: ২; পৃষ্ঠা: ৪৩৪; সনদ: বিশুদ্ধ]
জ্ঞাতব্য যে, মু‘আউয়িয়াহ (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু)’র বোন উম্মে হাবীবাহ (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহা) হলেন রাসূল ﷺ এর স্ত্রী। রাসূলের ﷺ স্ত্রী হওয়ার কারণে উম্মে হাবীবাহ হলেন মু’মিনদের মাতা, আর উম্মে হাবীবাহ’র ভাই মু‘আউয়িয়াহ হলেন মু’মিনদের মাতুল।
·
৪. হারূন আল-হাম্মাল (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন,
سمعت أحمد بن حنبل، وأتاه رجل، فقال: يا أبا عبد الله، إن ههنا رجل يفضل عمر بن عبد العزيز على معاوية بن أبي سفيان، فقال لا تجالسه، ولا تؤاكله، ولا تشاربه، وإذا مرض فلا تعده.
“আমি আহমাদ বিন হাম্বালকে বলতে শুনেছি, এমতাবস্থায় যে, তাঁর কাছে এক ব্যক্তি এসে বলেছেন, “হে আবূ ‘আব্দুল্লাহ, এখানে এক লোক ‘উমার বিন ‘আব্দুল ‘আযীযকে মু‘আউয়িয়াহ বিন আবূ সুফইয়ানের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান করে।” তখন তিনি (ইমাম আহমাদ) বললেন, ‘তুমি তার সাথে ওঠাবসা কোরো না, তার সাথে পানাহার কোরো না এবং সে অসুস্থ হলে তাকে দেখতে যেয়ো না’।” [ইবনু রজবের ‘যাইলু ত্বাবাক্বাতিল হানাবিলাহ’; খণ্ড: ৩; পৃষ্ঠা: ১৩৩; গৃহীত: ইসলামপোর্ট ডট কম]
·
উৎস: saaid.net
·
অনুবাদক: মুহাম্মাদ ‘আব্দুল্লাহ মৃধা

No comments:

Post a Comment

Download AsPDF

Print Friendly and PDFPrint Friendly and PDFPrint Friendly and PDF
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...