Thursday 17 December 2015

একশতটি কবীরা গুনাহ:


______________________
1. আল্লাহর সাথে শিরক করা
2. নামায পরিত্যাগ করা
3. পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া
4. অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যা করা
5. পিতা-মাতাকে অভিসম্পাত করা
6. যাদু-টোনা করা
7. এতীমের সম্পদ আত্মসাৎ করা
8. জিহাদের ময়দান থেকে থেকে পলায়ন
9. সতী-সাধ্বী মু‘মিন নারীর প্রতি অপবাদ
10. রোযা না রাখা
11. যাকাত আদায় না করা
12. ক্ষমতা থাকা সত্যেও হজ্জ আদায় না করা
13. যাদুর বৈধতায় বিশ্বাস করা
14. প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়া
15. অহংকার করা
16. চুগলখোরি করা (ঝগড়া লাগানোর উদ্দেশ্যে একজনের কথা আরেকজনের নিকট লাগোনো)
17. আত্মহত্যা করা
18. আত্মীয়তা সম্পর্ক ছিন্ন করা
19. অবৈধ পথে উপার্জিত অর্থ ভক্ষণ করা
20. উপকার করে খোটা দান করা
21. মদ বা নেশা দ্রব্য গ্রহণ করা
22. মদ প্রস্তুত ও প্রচারে অংশ গ্রহণ করা
23. জুয়া খেলা
24. তকদীর অস্বীকার করা
25. অদৃশ্যের খবর জানার দাবী করা
26. গণকের কাছে ধর্না দেয়া বা গণকের কাছে অদৃশ্যের খবর জানতে চাওয়া
27. পেশাব থেকে পবিত্র না থাকা
28. রাসূল (সা:)এর নামে মিথ্যা হাদীস বর্ণনা করা
29. মিথ্যা স্বপ্ন বর্ণনা করা
30. মিথ্যা কথা বলা

নারীদের বিবাহের জন্যে ‘ওয়ালী’ বা অভিভাবক ও তার শর্তাবলী, অভিভাবকের বাঁধা ও করণীয়


লিখেছেনঃ শায়খ আব্দুল্লাহিল আল-কাফী।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,
“(নারীদের জন্যে) ওয়ালী বা অভিভাবক ব্যতীত কোন বিবাহ নেই।”
সুনানে তিরমিযীঃ ১১০১, সুনানে আবু দাউদঃ ২০৮৫; শায়খ আলবানী (রহঃ) হাদিসটিকে ‘সহীহ’ বলেছেন।
তিনি আরো বলেন, “যে নারী নিজে নিজের বিবাহ সম্পন্ন করবে তার বিবাহ, বাতিল, বাতিল বাতিল। অভিভাবকরা যদি ঐ নারীর বিবাহে বাঁধা সৃষ্টি করে, তবে যার ওয়ালী নেই সুলতান বা শাসক তার ওলী বা অভিভাবক হবে।”
মুসনাদে আহমাদ, তিরমিযীঃ ১১০২, আবু দাউদঃ ২০৮৩, ইবনে মাজাহ, মিশকাতঃ ৩১৩১।
তাই কোন নারীর বিবাহের জন্য ‘ওয়ালী’ বা অভিভাবক আবশ্যক। অভিভাবক উপযুক্ত হওয়ার জন্য ৬টি শর্ত রয়েছেঃ
(১) ‘আকল’ বা বিবেক সম্পন্ন হওয়া (পাগল হলে হবে না)
(২) প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া
(৩) স্বাধীন হওয়া
(৪) পুরুষ হওয়া (বিবাহের ক্ষেত্রে কোন নারী অন্য একজন নারীর অভিভাবক হতে পারবে না)
(৫) অভিভাবক ও যার অভিভাবক হচ্ছে উভয়ে একই দ্বীনের অনুসারী হওয়া। (কোন কাফের ব্যক্তি মুসলিম নারীর অভিভাবক হতে পারবে না। কোন মুসলিম কোন কাফের নারীর অভিভাবক হবে না।)
(৬) অভিভাবক হওয়ার উপযুক্ত হওয়া। (অর্থাৎ বিবাহের জন্য ‘কুফূ’ বা তার কন্যার জন্য যোগ্যতা সম্পন্ন বা সমকক্ষ পাত্র নির্বাচন করার জ্ঞান থাকা ও বিবাহের কল্যাণ-অকল্যাণের বিষয় সমূহ অনুধাবন জ্ঞান থাকা)।
অভিভাবক হওয়ার শর্তঃ
উপরের কোন একটি শর্ত না পাওয়া গেলে তখন ঐ ব্যক্তি অভিভাবকত্ব হারাবে, তখন ঐ অভিভাবকত্ব পরবর্তী নিকটতম ব্যক্তির নিকট স্থানান্তরিত হবে। যেমন বাবা (অযোগ্য বা মৃত হলে) দাদা ওয়ালী হবে, বাবা এবং দাদা না থাকলে তারপর নারীর ভাই, প্রাপ্তবয়ষ্ক ভাই না থাকলে তার চাচা ওয়ালী হবে ইত্যাদি। শেষ পর্যন্ত যদি কেউ না থাকে, তবে দেশের ‘মুসলিম শাসক’ বা তার প্রতিনিধি বা গভর্ণর ঐ নারীর অভিভাবক হিসেবে গণ্য হবে।
বিবাহের ক্ষেত্রে সমকক্ষতা বা যোগ্যতাঃ
কোন যুবক যদি দ্বীনদারী ও চরিত্রের দিক থেকে পছন্দনীয় হয়, অর্থাৎ সে আল্লাহকে ভয় করে চলে ফরয ইবাদত সমূহ যথাযথ আদায় করে যাবতীয় হারাম থেকে বেঁচে চলে এবং আচরণ ও চরিত্রের দিক থেকে উত্তম হয়, তবে সেই সর্বাধিক উপযুক্ত পাত্র। এ সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,
“তোমাদের নিকট যদি এমন পাত্র বিবাহের প্রস্তাব নিয়ে আসে যার দ্বীনদারী ও চরিত্র তোমাদের নিকট পছন্দসই, তবে তার সাথে তোমাদের কন্যাদের বিবাহ দিয়ে দাও। যদি তোমরা এরূপ না কর (দ্বীনদার ও চরিত্রবান পাত্রকে প্রত্যাখ্যান কর এবং তাদের সাথে কন্যাদের বিবাহ না দাও) তবে এর কারণে পৃথিবীতে অনেক বড় ফেতনা-ফাসাদ সৃষ্টি হবে। (তিরমিযী)

Tuesday 15 December 2015

‘বড়পীর’ আব্দুল ক্বাদীর জিলানি (রহঃ) কে ছিলেন? ‘কাদেরীয়া তরীকাহর’ অনুসরণ করা যাবে?


প্রশ্নঃ বড়পীর আব্দুল ক্বাদীর জিলানি (রহঃ) কে ছিলেন? কাদেরীয়া তরীকাহর অনুসরণ করা যাবে?
উত্তরঃ আব্দুল ক্বাদীর জিলানি (রহঃ) তাবারিস্থানেরজিলান নামক অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার জন্মভূমি জিলান-এ, এখান থেকে তিনিজিলানী নামে পরিচিত পান। তার জন্ম হয়েছিলো ৪৭১ হিজরীতে, এবং মৃত্যু ৫৬১ হিজরীতে। আক্বীদাহগত দিক থেকে তিনি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামআত এর অনুসারী ছিলেন, এবং ফিকহের দিক থেকে তিনি হাম্বালি মাযহাব এর অনুসারী ছিলেন। প্রসংগক্রমে উল্লেখ্য, প্রচলিত চারটি মাযহাবের মাঝে ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল (রহঃ) এর ফিকহি মাসলা-মাসায়েলগুলো সুন্নতের সবচাইতে নিকটবর্তী।
ইমাম আয-যাহাবী (রহঃ) আব্দুল ক্বাদীর জিলানি (রহঃ) সম্পর্কে লিখেছেন, তিনি তার যুগের একজন বড় উস্তাদ, আলেম, যাহিদ (দুনিয়া বিমুখ ও পরকালমুখী), আরিফ (আল্লাহর জন্যে নিজেকে একনিষ্ঠভাবে উৎসর্গীকৃত বান্দা) এবং আলমে-আওলিয়া (আল্লাহর নৈকটশীল প্রিয় বন্ধুদের একজন) ছিলেন।
সিয়ার আলাম আন-নুবালাঃ ২০/৪৩৯।
স্বাভাবিকভাবেই চারিদিকে তার সুনাম ছড়িয়ে পড়েছিলো। তিনি বেশ কিছু বই লিখেছেন যার মাঝে গুনিয়াতুত-ত্বালিবিনও ফুতুহ আল-গায়েববিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। কোন আলেমই ভুলের উর্ধে নন, তার কিতাবগুলোতে কিছু ভুল পাওয়া যায়, যেইগুলো মারাত্বক নয়, এবং দ্বীনের জন্যে তার খেদমতের তুলনায় সেইগুলো নগণ্য। এ কারণে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামআতের কাছে তিনি একজন প্রসিদ্ধ ইমাম হিসেবেই বিবেচিত।
_______________________

ডাউনলোড করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন: ইসলামে মানবাধিকার


manobadhikarইসলামে মানবাধিকার
মূল: শাইখ সালিহ বিন আব্দুল আযীয আলুশ শাইখ
সাবেক ধর্ম মন্ত্রী, সউদী আরব
অনুবাদক: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্সে সেন্টার, সউদী আরব
সম্পাদক: শাইখ আবদুল্লাহ আল কাফী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্সে সেন্টার, সউদী আরব
সূচীপত্র
১.অনুবাদকের কথা
২.ভূমিকা
৩.ইসলাম একটি পরিপূর্ণ ও চিরন্তন জীবন ব্যবস্থার নাম১১
৪.ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করার প্রয়োজনীয়তা১২
৫.ইসলামের দৃষ্টিতে অধিকার দু প্রকার১৩
৬.মানবাধিকার (Human rights)১৭
৭.মানবাধিকার কথাটি কোথা থেকে আসল?১৭
৮.জাতিসঙ্ঘ ঘোষিত মানবাধিকারের মৌলিক দিক সমূহ১৯
৯.ইসলামে মানবাধিকার২২
১০.গবেষকদের দৃষ্টিতে জাতিসঙ্ঘ ঘোষিত মানবাধিকার২৩
১১.পশ্চাত্যের মানবাধিকারের মধ্যে মুসলিমদের কোন কল্যাণ নেই২৬
১২.সব অধিকারের মূল হল মানবাধিকার২৬
১৩.পশ্চাত্যের নিকট ‘মানবাধিকার’ দ্বারা উদ্দেশ্য এবং তাদের দাবীর অসারতা২৮
১৪.স্বাধীনতা (Freedom)২৮
১৫.সমতা/সমধিকার (Equality)৩১
১৬.মানব রচিত মানবাধিকারের দূর্বলতা৩২
১৭.ইসলাম এসেছে মানুষকে মানুষের দাসত্ব, জুলুম ও নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য৩৪
১৮.ইসলামে জাতভেদ নেই; শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাঠি ‘তাকওয়া’৩৫
১৯.সংকীর্ণ জাতীয়তাবদ নয় বরং উদার ভ্রাতৃত্ব:উজ্জলতম কয়েকটি উদাহরণ৩৯
২০.ইসলামে সাম্য৪৩
২১.সাম্য ও ইনসাফের উজ্জল দৃষ্টান্ত৪৮
২২.সাম্য ও ইনসাফের ব্যাপারে ইসলামের বলিষ্ঠ উচ্চারণ৫১
২৩.শরীয়তের দৃষ্টিতে অমুসলিমদের প্রকারভেদ৫৫
২৪.ইসলামে অমুসলিমদের অধিকার৫৬
২৫.ইসলামে মানুষের স্বাধীনতা৬২
২৬.ইসলাম স্বীকৃত পাঁচটি মৌলিক অধিকার৬৪
২৭.অর্থনৈতিক স্বাধীনতা৬৫
২৮.রাজনৈতিক অধিকার৬৮
২৯.ইসলামে শাসক নির্বাচন পদ্ধতি৭০
৩০.তথাকথিত রাজনৈতিক স্বাধীনতা এবং বাস্তবতা৭২
৩১.রাজনৈতিক সংঘাত আর ক্ষমতার দন্দ্ব নয় বরং শাসকের জন্য কল্যাণ কামনা৭৫
৩২.ধর্মীয় স্বাধীনতা৭৬
৩৩.মুক্তচিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা৭৯
৩৪.একটি ঘটনা৮০
৩৫.ইসলাম কেন মানুষকে দ্বীনী বিষয়ে শর্তহীনভাবে মত প্রকাশের স্বাধীনতা দেয় নি?৮৩
৩৬.মোটকথা৮৫
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
অনুবাদকের কথা:

الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ وَالْصَّلاةُ وَالْسَّلامُ عَلَىَ أَشْرَفِ الْأَنْبِيَاِء وَالْمُرْسَلِيْنَ نَبِيِّنَا مُحَمَّدٍ وَعَلَىَ آَلِهِ وَصَحْبِهِ أَجْمَعِينَ
ইসলাম এমন একটি জীবন ব্যবস্থার নাম যেখানে সর্বশ্রেণীর মানুষের অধিকার সংরক্ষিত রয়েছে। ছোট, বড়, নারী, পুরুষ, ধনী,গরীব, মালিক, শ্রমিক, মুসলিম,অমুসলিম সকলকে দেয়া হয়েছে তাদের যথাযথ অধিকার। মানুষের ধর্মীয়, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ইত্যাদি সকল প্রকার অধিকার দেয়া হয়েছে। কারণ, যে মহান আল্লাহ এই বিশ্বচরাচরের স্রষ্টা, পরিচালক ও নিয়ন্ত্রক তিনি তাঁর সৃষ্টি জগতের যাকে যখন যা দেয়া প্রয়োজন তাকে তখন তাই দিয়েছেন। তিনি কারও প্রতি সামান্যতম অবিচার করেন নি।সউদী আরবের সাবেক ধর্ম মন্ত্রী শায়খ সালিহ আব্দুল আব্দুল আযীয আলুশ শায়খ (হাফিযাহুল্লাহ) ‘মানবাধিকার’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় ‘ইসলামে মানবাধিকার’ শিরোনামে এক জ্ঞানগর্ভ বক্তব্য প্রদান করেছিলেন। বক্ষ্যমাণ পুস্তকটি সেই বক্তৃতারই সংকলন।

Download AsPDF

Print Friendly and PDFPrint Friendly and PDFPrint Friendly and PDF
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...