Friday 14 November 2014

নারীরা কি কাজ করতে পারবে?



“ঘরে বসে  থাকা”
পাশ্চাত্য উন্মুক্ত সমাজ ব্যবস্থার ধোঁকায় পড়ে “ঘরে অবস্থান করা” অনেক মুসলিম নারীর জন্য ডিজগাস্টিং (বিরক্তিকর) ব্যপার হয়ে গেছে, অথচ আল্লাহ সুবহানাহু তাআ’লা এর মাঝেই তাদের সম্মান ও নিরাপত্তা রেখেছেন!
রাসুল সাঃ বলেছেন, একজন নারী যখন বাইরে যায় শয়তান তখন তাদের দিকে কুদৃষ্টি দেয় (তাদেরকে বিপথগামী করার জন্য এবং তাদেরকে দিয়ে পুরুষদেরকে ফেতনায় ফেলার জন্য)।
“নারীদের পুরোটাই হচ্ছে আওরাহ বা সতর (শরীরের যে অংশ ঢেকে রাখা বাধ্যতামূলক), যখন সে ঘর থেকে বের হয় শয়তান তাকে চোখ তুলে দেখে। নারী ঘরের মধ্যে অবস্থানকালেই আল্লাহর বেশি নৈকট্য প্রাপ্ত থাকে।”
তিরমিজি ও ইবনে হিব্বান।
ইসলামে নারীরা বাইরে কাজ করতে পারে, যদি তাদের সেই কাজ বা জীবিকা অর্জন করার প্রয়োজনীয়তা থাকে। আর নয়তো, ঘরই হচ্ছে নারীদের প্রকৃত অবস্থান। সংসার দেখাশোনা করা, সন্তান লালন-পালন করা, এটা ঘরে বসে থাকা নয়, যেমনটা বর্তমান যুগের অজ্ঞ মুসলমান ও কাফেররা মনে করে থাকে। বরং, ইসলামের দৃষ্টিতে নারীদের জন্য এটাই সবচাইতে মহান জীবিকা। কারণ একজন মানুষ যতই বিত্তশালী হোক না কেন, একটা সমাজ যতই উন্নত হোক না কেনো, পরিবারে শান্তি না থাকলে, সন্তান মানুষ না হলে ব্যক্তি জীবনে যেমন অশান্তির আগুন জ্বলে উঠবে, তেমনি ভবিষ্যত প্রজন্ম হবে শিক্ষা বর্জিত অমানুষ, যা বর্তমান আধুনিক সমাজে খুব বেশি দেখা যাচ্ছে। সেইজন্য দ্বীনি বোনদের প্রতি আমার অনুরোধ, আপনারা ঘরে অবস্থান করা এবং সংসারের কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখাকে “ঘরে বসা থাকা” বলে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করবেনা। বরং, এটা আমাদের রব্বের নির্দেশ পালন এবং নারীদের জন্য সর্বোত্তম পেশা।

কিয়ামতের ছোট আলামত


শুরু করছি মহান আল্লাহর নামে যানি পরম করুনাময়, অসীম দয়ালু।
কিয়ামতের ছোট আলামত
মহিলার সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এবং পুরুষের সংখ্যা কমে যাবেঃ
নবী (ছাঃ) বলেনঃ
مِنْ أَشْرَاطِ السَّاعَةِ أَنْتَكْثُرَ النِّسَاء وَيَقِلِّ الرِّجَالُ حَتَّى يَكُونَ لِخَمْسِينَ امْرَأَةً الْقَيِّمُ الْوَاحِد
“ কিয়ামতের আলামত হচ্ছে, মহিলার সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এবং পুরুষের সংখ্যা কমে যাবে। এমনকি পঞ্চাশ জন মহিলার দেখা-শুনার জন্যে মাএ একজন পুরুষ থাকবে”। (বুখারী, অধ্যায়ঃ কিতাবুল ইলম)
এই হাদীছের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে যে, কিয়ামতের পূর্বে ফিতনার সময় ব্যাপক যুদ্ধ হবে। যুদ্ধে যেহেতু কেবল পুরুষেরাই অংশগ্রহন করে থাকে তাই যুদ্ধে অংশগ্রহন করে পুরুষেরা অকাতরে নিহত হবে। ফলে পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে
ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী (রঃ) এই মতটিকে প্রত্যাখ্যান করে বলেনঃ হাদীছের প্রকাশ্য অর্থ হলো কোন কারণ ছাড়াই শুধু কিয়ামতের আলামত হিসেবে নারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। আল্লাহ তা’আলা আখেরী যামানায় পুরুষের তুলনায় বেশী নরী সৃষ্টি করবেন। বর্তমানেও এ আলামতটি প্রকাশিত হয়েছে। কোন কোন দেশে জরিপ করে দেখা গেছে পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা অনেক বেশী। ভবিষ্যতে আরো বৃদ্ধি পাবে। মোটকথা স্বভাবগত ও যুদ্ধ উভয় কারণে পুরুষের সংখ্যা কমতে পারে।

বাংলায় অনুবাদ কুরআন শরীফ।Quran Bangla Translation


শুরু করছি মহান আল্লাহর নামে যানি পরম করুনাময়, অসীম দয়ালু।
Quran-Bangla.islamicshebabdjpg
অনুবাদ করেছেনঃ  প্রফেসর ডঃ মুহাম্মাদ মুজিবুর রহমানপ্রকাশনাঃ  দারুসসালাম পাবলিকেশন্স , সৌদি আরব
  পবিএ কুআনে সুরা “ক্বামার” মহান আল্লাহ বলেন,
 অবশ্যই আমি শিক্ষা গ্রহণ করার জন্যে ক্বুরআনকে সহজ করে দিয়েছি, অতএব আছে কি তোমাদের মাঝে কেউ এর থেকে শিক্ষা গ্রহণ করার?কোরআন তিলাওয়াতের যে ফজিলত তা বলে শেষ করা যায় না এ প্রসঙ্গে কুরআন,হাদিসে অনেক আলোচনা এসেছে।কুরআন শরীফ নিজে শিক্ষা করা এবং অন্যেকে শিক্ষা দেয়া উওম।                                                           
  • রাসুলুল্লাহ (ছাঃ)বলেন, তোমাদের মধ্যে সে ব্যক্তি উত্তম যে কোরআন নিজে শিক্ষা করে এবং অন্যেকে শিক্ষা দেয়। (বোখারী)
  • রাসুলুল্লাহ (ছাঃ)বলেন, তোমরা  কোরআন শরীফ তিলাওয়াত করতে থাক। কারন যারা সবসময় কোরআন তিলাওয়াত করে, কেয়ামতের দিন কোরআন তাদের জন্য সুপারিশ করবে।(মুসলিম)
বইগুলো স্ক্যান করে পিডিএফ ভার্সনে প্রদান করা হয়েছে। তাই এগুলো পড়তে আপনার কম্পিউটারে ‘এডোব রিডার’ সফটোওয়্যারটি থাকা অপরিহার্য। এটি আপনার কম্পিউটারে আগে থেকে না থাকলে http://get.adobe.com/reader/ লিংকে ক্লিক করে এখনই তা ডাউনলোড করে ইন্সটল করে নিন

নির্ধারিত সময়ে নামায আদায়ের হুকুম


শুরু করছি মহান আল্লাহর নামে যানি পরম করুনাময়, অসীম দয়ালু
মূলঃ শাইখ মুহাম্মাদ ইবন সালেহ আল-উসাইমীন  অনুবাদ সম্পাদনা : আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
নির্ধারিত সময়ে নামাযের কার্যাবলী সম্পাদন করা উহা সময়ের অগ্রপশ্চাতে করার হুকুম
সকল নামায তার নির্ধারিত সময়ে আদায় করা ওয়াজিব; আল্লাহ তা‘আলার নির্দেশানুসারে। তিনি বলেন,
“নিশ্চয়ই নির্ধারিত সময়ে নামায আদায় করা মুমিনের উপর ফরয করা হয়েছে।” [৪:১০৩]
আল্লাহ তা‘আলার এ কথাও এর সাক্ষ্য বহন করে-
“নামায কায়েম করো পশ্চিমে সূর্য ঢলে পড়ার সময় থেকে রাতের অন্ধকার আচ্ছন্ন হওয়া পর্যন্ত, আর ফজরের সময় কুরআন পাঠ করো, কেননা, ফজরের কুরআন পাঠের সময় ফেরেশতা উপস্থিত থাকেন।”
আর এখানে যে নির্দেশ এসেছে তা ওয়াজিব বা অবশ্যম্ভাবী বোঝানোর জন্য ব্যবহৃত হয়েছে। আব্দুল্লাহ ইব্‌ন ওমর (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত- নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) একদিন নামাযের আলোচনা করেন, অত:পর ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি নামাযের সময়ের দিকে লক্ষ্য রেখে যথা সময়ে নামায আদায় করবে, তার জন্য রয়েছে একটি জ্যোতি, দলিল (প্রমাণ এবং কিয়ামতের দিনে ভয়াবহ শাস্তি থেকে পরিত্রাণ। আর যে ব্যক্তি নামাযের সময়ের হেফাজত করবে না, তার জন্য জ্যোতি, প্রমাণ থাকবে না এবং কিয়ামত দিবসে সে পরিত্রাণও পাবে না। কিয়ামতের দিবসে তার হাশর হবে অভিশপ্ত কারূন, ফির‘আউন, হামান, উবাই ইব্‌ন খালফ এর সাথে। (আহমদ: ২/১৬৯) ইমাম মুনযিরী বলেন, হাদীসটি ইমাম আহমাদ জইয়েদ বা উত্তম সনদে বর্ণনা করেছেন।

ঈমান সম্পর্কে অতি গুরুত্বপূর্ণ ১২০টি প্রশ্নোত্তর (৩য় পর্ব)


শুরু করছি মহান আল্লাহর নামে যানি পরম করুনাময়, অসীম দয়ালু।
মূল: শায়খ মুহাম্মাদ বিন সালেহ আল-উসাইমীন (রহ.)  অনুবাদক: মুহাঃ আব্দুল্লাহ আল-কাফী ও আব্দুল্লাহ শাহেদ আল-মাদানী
প্রশ্নঃ (১৪) যে ব্যক্তি ইলমে গায়েব দাবী করবে, তার হুকুম কি?
উত্তরঃ যে ব্যক্তি ইলমে গায়েব দাবী করবে সে কাফের। কেননা সে আল্লাহ তাআ’লাকে মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত করল। আল্লাহ তাআ’লা বলেন,
)قُلْ لَا يَعْلَمُ مَنْ فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ الْغَيْبَ إِلَّا اللَّهُ وَمَا يَشْعُرُونَ أَيَّانَ يُبْعَثُونَ(
“হে নবী আপনি বলে দিন! আকাশ এবং জমিনে আল্লাহ ব্যতীত অন্য কেউ গায়েবের সংবাদ জানে না এবং তারা জানে না যে, কখন পুনরুত্থিত হবে।” (সূরা নামলঃ ৬৫) যেহেতু আল্লাহ তাঁর নবীকে এই মর্মে ঘোষণা করার আদেশ দিয়েছেন, আকাশ-জমিনে আল্লাহ ছাড়া গায়েবের খবর আর কেউ জানে না, এরপরও যে ব্যক্তি গায়েবের খবর জানার দাবী করবে, সে আল্লাহকে এই ব্যাপারে মিথ্যাবাদী প্রতিপন্ন করল। যারা ইলমে গায়েবের দাবী করে, তাদেরকে আমরা বলব, তোমরা কিভাবে এটা দাবী কর অথচ রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা জানতেন না। তোমরা বেশী মর্যাদাবান না রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)? যদি তারা বলে আমরা রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বেশী মর্যাদাবান, তাহলে তারা এ কথার কারণে কাফের হয়ে যাবে। আর যদি বলে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বেশী মর্যাদাবান, তাহলে আমরা বলব কেন তিনি গায়েবের সংবাদ জানেন না? অথচ তোমরা তা জান বলে দাবী করছ? আল্লাহ তাআ’লা বলেন,
)عَالِمُ الْغَيْبِ فَلَا يُظْهِرُ عَلَى غَيْبِهِ أَحَدًا إِلَّا مَنْ ارْتَضَى مِنْ رَسُولٍ فَإِنَّهُ يَسْلُكُ مِنْ بَيْنِ يَدَيْهِ وَمِنْ خَلْفِهِ رَصَدًا( 
“তিনি অদৃশ্য সম্পর্কে সম্যকভাবে পরিজ্ঞাত। তিনি অদৃশ্য বিষয় কারও কাছে প্রকাশ করেন না- তাঁর মনোনীত রাসূল ব্যতীত। তখন তিনি তার অগ্রে ও পশ্চাতে প্রহরী নিযুক্ত করেন।” (সূরা জিনঃ ২৬-২৭) ইলমে গায়েবের দাবীদারদের কাফের হওয়ার এটি দ্বিতীয় দলীল। আল্লাহ তাআ’লা তাঁর নবীকে মানুষের জন্য ঘোষণা করতে বলেন যে,

Wednesday 12 November 2014

লেকচারঃ সলাতের বিধি বিধান



রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-
DVD009
সংক্ষিপ্ত বর্ণনাঃ এই আলোচনা সিরিজে শাইখ ড মনজুর ই ইলাহী সলাতের বিধি বিধান গুলো বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। নিজে শুনুন ও শেয়ার করুন। জাযাকাল্লাহ খাইরন।
ডাউনলোড
উৎসঃ কুরানের আলো 

প্রশ্নঃ মাজার, পীর, অলি আওলিয়াদের সিজদা করলে শিরক হবে কেন ?


উত্তরঃ পুরো লেখাটি না পড়ে কেউ কোন কমেন্ট করবেন না।
পীর পূজারী মুশরিকদের যুক্তি খন্ডনঃ
পীর পূজারীদের জবাব দেওয়ার আগে একটা বিষয় পরিষ্কার করে দেওয়ার প্রয়োজন অনুভব করছি। আর সেটা হলো “পীর পূজা” শব্দটি দিয়ে আমরা কি বোঝাতে চাচ্ছি সেটা। কেউ যদি কোনো ইবাদত যা শুধুমাত্র আল্লাহর হক্ক, তা পীরকে দেয় অর্থাৎ আল্লাহর ইবাদতে পীরকে শরীক করে তাহলে তাকে বলা হয় পীর পূজা। যেমন, দুয়া করা, সিজদা করা, কোরবানি করা ইত্যাদি।
অনেক পীর পূজারীদের দেখা যায় তারা তাদের পীরদেরকে সিজদা করে, এবং তাদের এই জঘন্য অপকর্মকে জাস্টিফাই করার জন্য বিভিন্ন যুক্তি প্রদর্শন করে। যেমন তারা বলে, “সিজদা হলো দুই প্রকার, এক প্রকার ইবাদতের সিজদা যা আল্লাহর জন্য, আরেক প্রকার হলো তাজীম বা সম্মানের সিজদা যা তারা তাদের মাজার আর পীরদেরকে করে থাকে। এর স্বপক্ষে তারা ইউসুফ (আঃ) এর পিতা-মাতা ও এগারো ভাই কর্তৃক ইউসুফ (আঃ) এর সিজদা করার ঘটনাকে দলীল হিসেবে পেশ করে।
সুরা ইউসুফে সিজদা করার ঘটনাঃ
“আর ইউসুফ (আঃ) তাঁর পিতা-মাতাকে সিংহাসনে বসালো এবং তারা সবাই তাঁর সামনে সিজদায় লুটিয়ে পড়লো।” [সুরা ইউসুফ, আয়াত ১০০]
এই আয়াতে দেখা যাচ্ছে সত্যিই ইউসুফ (আঃ) এর পিতা-মাতা ও তাঁর এগারো ভাই ইউসুফ (আঃ) কে সিজদা করেছিলেন। কিন্তু, পীর পূজারীদের কাছে আমাদের প্রথম প্রশ্ন, তারা কোন নবী ও কোন শরীয়তের উম্মত ছিলেন?

সামর্থ্যবানদের দ্রুত বিয়ে করা উচিৎ, নয়তো রোযা রাখার বিধানঃ


আলকামা (রহঃ) থেকে বর্নিত। তিনি বলেন, আমি আবদুল্লাহ (ইবন মাসঊদ) (রাঃ) এর সঙ্গে মিনায় পৌছলাম। এ সময় উসমান (ইবন আফফান) (রাঃ) এসে তাঁর সাথে মিলিত হলেন। তখন তিনি তাঁর সঙ্গে দাঁড়িয়ে কথা বলতে লাগলেন। উসমান (রাঃ) তাঁকে বললেন, হে আবু আব্দুর রহমান! আমরা কি আপনার সঙ্গে এমন একটি যুবতী মেয়ের বিয়ে দেব না যে হয়ত আপনার অতীতের কিছু স্বৃতি স্বরণ করিয়ে দেবে?
হাদীসের রাবী আলকামা (রহঃ) বলেন, আবদুল্লাহ (ইবন মাসঊদ) (রাঃ) তখন বললেন, আপনি যদি একথা বলেন তবে রাসুলুল্লাহ (সা) আমাদের বলেছেনঃ ”হে যুব সমাজ! তোমাদের মধ্যে যে দাম্পত্য জীবনের ব্যয়ভার বহন করতে সক্ষম সে যেন বিবাহ করে। কারন তা (বিবাহ) দৃষ্টি নিচু করে এবং লজ্জাস্হানকে সুরক্ষিত করে। আর যে সক্ষম নয় তার সিয়াম পালন করা উচিৎ। কারণ তা তার জন্য যৌন কামনা দমনকারী।

শায়খ নাসিরউদ্দিন আলবানী (রহ) এর জীবনী পরিচিতিঃ মিথ্যুকদের মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে অসাধারণ লিখনি



আল্লামা মুহাম্মদ নাসিরুদ্দীন আলবানী (রহ.) আধুনিক যুগে মুসলিম জাহানের একজন স্বনামধন্য আলেম।

আধুনিক বিশ্বে শাইখ আলবানীকে ইলমে হাদীসের ক্ষেত্রে বিশেষ করে ইলমুল জারহে ওয়াত তাদীলের ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র প্রতিভাধারী আলেম হিসেবে গণ্য করা হয়। ইলমে মুস্তালাহুল হাদীসের ক্ষেত্রে তিনি অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য বক্তিত্ব। মুহাদ্দিসগণ বলেছেন: “তিনি যেন ইবনে হাজার আসকালানী, হাফেয ইবনে কাসীর প্রমুখ ইলমুল জারহে ওয়াত তাদীলের আলেমদের যুগকে আবার ফিরিয়ে এনেছিলেন।”

জন্ম ও পরিচয়:
নাম: মুহাম্মদ নাসিরুদ্দীন (১৯১৪-১৯৯৯ খৃষ্টাব্দ) 
পিতার নাম: আলহাজ্ব নূহ। দাদার নাম: নাজাতী। 
ডাক নাম: আবু আব্দুর রহমান। 

পরকাল যাত্রা – শেইখ তাউফিক চৌধুরী (অডিও/ভিডিও লেকচার)

শুরু করছি মহান আল্লাহর নামে যিনি পরম করুনাময়, অসীম দয়ালু।

 


 শেইখ তাউফিক চৌধুরী (অডিও/ভিডিও লেকচার)


সংক্ষিপ্ত বর্ণনাঃ এই অডিও/ভিডিও লেকচারটিতে বক্তা কুরআন ও হাদিসের আলোকে পরকাল যাত্রা সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। এর মধ্যে তিনি  মৃত্যুর পরবর্তী অবস্থার বর্ণনা, কবরের আজাব, কিভাবে কবরের আজাব থেকে রক্ষা পাওয়া যায়, কেয়ামতের পূর্বের উল্লেখযোগ্য ১০টি আলামত, জান্নাত এবং জাহান্নামের সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। এই প্রোগ্রামটি ১লা মে ২০১২, চট্টগ্রাম শহরের কিশালয় কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেছে Al-Hidaya International School  এবং Mercy Mission
About Dr. Tawfique Chowdhury: Dr Tawfique Chowdhury is the ×Chairman and CEO of Mercy Mission World. Mercy Mission is the mother of such well known brands such as AlKauthar Institute, Ramadan TV, Twins of Faith, Just go do it and tens more.

Tuesday 11 November 2014

কুরআনে শব্দ খোঁজার জন্য ব্যবহার করুন “জিকর” নামে অসাধরণ সফটওয়্যার

প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন না
রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-


কুরআনে কোন কথাটি রয়েছে, কোনটি নেই, কোন আয়াত কত নং সূরার, তা একজন কুরআন বিশ্লেষক মুমীনের জানা খুব জরুরী। আজ আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেব “জিকর” নামের একটি সফটওয়্যারের সাথে যেটি নিমিষেই জানিয়ে দেবে আপনার কাঙ্খিত শব্দটি। সফটওয়্যারটিতে বাংলায় সার্চ করার সুযোগ রয়েছে।

টিউটোরিয়াল

১. প্রথমে এই লিংক থেকে ৭.৭ মেগাবাইটের সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে ইন্সটল করে নিন।(এটি একটি ফ্রিওয়্যার তাই সিরিয়ালের দরকার নেই)
২. এই লিংক এ ক্লিক করে বাংলা অনুবাদের ফাইলটি (bn.hoque.trans.zip) সরাসরি ডাউনলোড করুন। তর্জমাটি জহুরুল হকের করা। বিস্তারিত জানতে এই লিংকে ক্লিক করুন।  অন্য ভাষার তর্জমা চাইলে এখানে ক্লিক করে ডাউনলোড করে নিন।
৩. আপনার পিসিতে সোলায়মান লিপি বা যেকোন ইউনিকোড বাংলা ফন্ট ইন্সটল থাকতে হবে। না থাকলে এখান থেকে ডাউনলোড করে নিন।  তারপর কন্ট্রোল প্যানেল থেকে ফন্ট ফোল্ডারে পেস্ট করুন।

বাংলা হাদীস সফটওয়্যার-ফ্রী ডাউনলোড


শুরু করছি মহান আল্লাহর নামে যানি পরম করুনাময়, অসীম দয়ালু।
বাংলা হাদীস সফটওয়্যার-ফ্রী ডাউনলোড
hadithsoftCD
বাংলা হাদীস সফটওয়্যার-ফ্রী ডাউনলোড
বাংলা হাদীস সফটওয়্যার (কপি ও পেষ্ট করা যায় )
আলহামদুলিল্লাহ । সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তাআলার যিনি DBHT-( ডিজিটাল বাংলা হাদিস টিম)-কে পৃথিবীতে সর্বপ্রথম তিনটি ভাষায় (আরবী, বাংলা ও ইংলিশ) ভাষায় আপনাদের খেদমতে এ সফটওয়্যারটি পেশ করার তাওফিক দিয়েছেন।
ইউনিকোড বাংলা হাদীস সফটওয়্যার “কপি”, “পেস্ট” করা যায়। সফটওয়্যারটি তিন ভাষা সম্বলিত। এটি হচ্ছে  সফ্‌টওয়্যারটির নতুন ভার্শন ০.৫।

দাম্পত্য সম্পর্কের ৫০ টি বিষয় যা আপনার জেনে রাখা প্রয়োজন


শুরু করছি মহান আল্লাহর নামে যানি পরম করুনাময়, অসীম দয়ালু।
Islamic-Witchcraft1
ভাষান্তর : শাহোরিনা ইয়াসমিন |সম্পাদনা : আব্‌দ আল-আহাদ
. সুন্দর সম্পর্ক নিজে থেকেই তৈরি হয় না, সেটি তৈরি করতে হয়। তাই আপনাকেও সেটি তৈরি করতে হবে।
২. কর্মক্ষেত্রেই যদি আপনার সবটুকু কর্মক্ষমতা নিঃশেষ করে ফেলেন, তাহলে আপনার দাম্পত্য জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
৩. আপনার উৎফুল্ল আচরণ হতে পারে আপনার জীবনসঙ্গী/জীবনসঙ্গিনীর জন্য খুব দামি একটি উপহার।
৪. কাউকে একইসাথে ভালোবাসা এবং ঘৃণা করা আপনার জন্য অসম্ভব নয়।
৫. আপনার জীবনসঙ্গী/জীবনসঙ্গিনীর ব্যাপারে বন্ধুদের কাছে অভিযোগ করা থেকে বিরত থাকুন। মনে রাখবেন বন্ধুদের প্রতিক্রিয়া আপনার দাম্পত্য সম্পর্কে বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
৬. দাম্পত্য জীবনে তা-ই নিয়ম যা দুইজনের পছন্দের ভিত্তিতে ঘটে।
৭. সাময়িক ঝগড়া বিবাদের কারণে দাম্পত্য সম্পর্ক পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায় না। মনের মধ্যে জমে থাকা চাপা ক্ষোভ আর যন্ত্রণাই দাম্পত্য জীবনকে তিলে তিলে ধ্বংস করে দেয়।

ঈমান সম্পর্কে অতি গুরুত্বপূর্ণ ১২০টি প্রশ্নোত্তর (২য় পর্ব)


শুরু করছি মহান আল্লাহর নামে যানি পরম করুনাময়, অসীম দয়ালু।
k copy
মূল: শায়খ মুহাম্মাদ বিন সালেহ আল-উসাইমীন (রহ.)  অনুবাদক: মুহাঃ আব্দুল্লাহ আল-কাফী ও আব্দুল্লাহ শাহেদ আল-মাদানী
প্রশ্নঃ (২) যাদের কাছে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে প্রেরণ করা হয়েছিল, তাদের শির্ক কি ধরণের ছিল?
উত্তরঃ যাদের নিকট নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে প্রেরণ করা হয়েছিল, তারা তাওহীদে রুবূবীয়্যাতে আল্লাহর সাথে কাউকে শির্ক করত না। কুরআনে কারীমের ভাষ্য অনুযায়ী জানা যায় যে, তারা কেবলমাত্র তাওহীদে উলুহীয়াতে আল্লাহর সাথে শির্ক করত। রুবূবীয়াতের ক্ষেত্রে তাদের বিশ্বাস ছিল যে, আল্লাহই একমাত্র রব বা পালনকর্তা। তিনি অসহায়ের ডাকে সাড়া প্রদানকারী এবং বিপদাপদ দূরকারী।
কিন্তু তারা এবাদতের ক্ষেত্রে আল্লাহর সাথে অন্যকে শরীক করত। এ ধরণের শির্ক মুসলিমকে ইসলাম থেকে বের করে দেয়। কেননা তাওহীদের অর্থ হল আল্লাহকে এবাদতের ক্ষেত্রে একক করা। আল্লাহর জন্য কতিপয় নির্দিষ্ট হক রয়েছে, যা একমাত্র আল্লাহর জন্য নির্ধারণ করা ওয়াজিব।
এই হকগুলো তিন প্রকারঃ
১)  মালিকানার অধিকার
২)  এবাদত পাওয়ার অধিকার
৩)  নাম ও গুণাবলীর অধিকার
এই জন্যই উলামাগণ তাওহীদকে তিনভাগে বিভক্ত করেছেন। তাওহীদুর রুবূবীয়্যা, তাওহীদুল আসমা ওয়াস্‌ সিফাত এবং তাওহীদুল উলুহীয়া। মুশরিকরা শেষ প্রকারের তাওহীদে আল্লাহর সাথে শরীক করত, আল্লাহর সাথে অন্যকে অংশীদার সাব্যস্ত করত। আল্লাহ তাআ’লা বলেন,
)وَاعْبُدُوا اللَّهَ وَلَا تُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا(
“তোমরা আল্লাহর এবাদত কর এবং তাঁর সাথে কাউকে শরীক করো না।” (সূরা নিসাঃ ৩৬)

ঈমান সম্পর্কে অতি গুরুত্বপূর্ণ ১২০টি প্রশ্নোত্তর (১ম পর্ব)


শুরু করছি মহান আল্লাহর নামে যানি পরম করুনাময়, অসীম দয়ালু।
k copy
মূল: শায়খ মুহাম্মাদ বিন সালেহ আল-উসাইমীন (রহ.)
অনুবাদক: মুহাঃ আব্দুল্লাহ আল-কাফী ও আব্দুল্লাহ শাহেদ আল-মাদানী
প্রশ্নঃ (১) তাওহীদ কাকে বলে? উহা কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ তাওহীদ শব্দটি (وحد) ক্রিয়ামূল থেকে উৎপত্তি হয়েছে। এর আভিধানিক অর্থ কোন জিনিসকে একক হিসাবে নির্ধারণ করা। ‘না’ বাচক ও ‘হ্যাঁ’ বাচক উক্তি ব্যতীত এটির বাস্তবায়ন হওয়া সম্ভব নয়।
অর্থাৎ একককৃত বস্ত ব্যতীত অন্য বস্ত হতে কোন বিধানকে অস্বীকার করে একককৃত বস্তর জন্য তা সাব্যস্ত করা। উদাহরণ স্বরূপ আমরা বলব, “আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন মা’বূদ নেই” একথার সাক্ষ্য দেয়া ব্যতীত কোন ব্যক্তির তাওহীদ পূর্ণ হবে না। যে ব্যক্তি এই সাক্ষ্য প্রদান করবে, সে আল্লাহ ছাড়া অন্যান্য সকল বস্ত হতে উলুহিয়্যাতকে (ইবাদত) অস্বীকার করে শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য তা সাব্যস্ত করবে। কারণ শুধুমাত্র নাফী বা ‘না’ বাচক বাক্যের মাধ্যমে কোন বস্তকে গুণাগুণ থেকে মুক্ত করা হয়। আর শুধুমাত্র ‘হ্যাঁ’ বাচক বাক্যের মাধ্যমে কোন বস্তর জন্য কোন বিধান সাব্যস্ত করলে সেই বিধানে অন্যের অংশ গ্রহণকে বাধা প্রদান করে না। যেমন উদাহরণ স্বরূপ যদি আপনি বলেন, ‘অমুক ব্যক্তি দাঁড়ানো’। এই বাক্যে আপনি তার জন্য দন্ডায়মান হওয়াকে সাব্যস্ত করলেন। তবে আপনি তাকে দন্ডায়মান গুণের মাধ্যমে একক হিসাবে সাব্যস্ত করলেন না। হতে পারে এই গুণের মাঝে অন্যরাও শরীক আছে। অর্থাৎ অমুক ব্যক্তির সাথে অন্যান্য ব্যক্তিগণও দাঁড়িয়ে থাকতে পারে। আর যদি বল, “যায়েদ ব্যতীত আর কেউ দাঁড়ানো নেই” তবে আপনি দন্ডায়মান হওয়াকে শুধুমাত্র যায়েদের সাথে সীমিত করে দিলেন। এই বাক্যে আপনি দন্ডায়মানের মাধ্যমে যায়েদকে একক করে দিলেন এবং দাঁড়ানো গুণটিকে যায়েদ ব্যতীত অন্যের জন্য হওয়াকে অস্বীকার করলেন। এভাবেই তাওহীদের প্রকৃত রূপ বাস্তবায়ন হয়ে থাকে। অর্থাৎ নাফী (না বোধক) ও ইছবাত (হ্যাঁ বোধক) বাক্যের সমন্বয় ব্যতীত তাওহীদ কখনো প্রকৃত তাওহীদ হিসাবে গণ্য হবে না। মুসলিম বিদ্বানগণ তাওহীদকে তিনভাগে বিভক্ত করেছেন।

Monday 10 November 2014

অশ্লীল কথা বা বাক্য উচ্চারণ ও জিহ্বার হক




রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-

185
জিহ্বার কার্যকারিতা – জিহ্বা মহান আল্লাহর বিচিত্র সৃষ্টি রহস্যের অন্যতম একটি। সাধারণত জিহ্বাকে আমরা এক টুকরো গোশত মনে করি, কিন্তু জিহ্বা হাড়বিহীন এক টুকরো গোশত হলেও এর রয়েছে অদম্য শক্তি। জিহ্বার শক্তি যে শুধু বর্তমানের উপর রয়েছে তা নয়, বরং জিহ্বা বর্তমান, ভবিষ্যত ও অতীতে সমানভাবে শক্তি প্রয়োগ করতে পারে। বর্তমানে যা হচ্ছে, অতীতে যা হয়ে গেছে এবং ভবিষ্যতে যা হবে, সব সমানভাবে উচ্চারণ করতে পারে জিহ্বা।
• পক্ষান্তরে, চোখ দিয়ে শুধু বর্তমান উপস্থিত বস্তু দেখা যায়।
• কান দিয়ে কেবল বর্তমানে উচ্চারিত শব্দগুলোই শোনা যায়।
• জিহ্বা বুদ্ধির প্রতিনিধিস্বরূপ আর বুদ্ধির সীমানা তো সুবৃস্তিত।
তেমনি বুদ্ধিতে যা আসে এবং চিন্তা ও কল্পনা করে বুদ্ধি যা নিশ্চিত করে, জিহ্বা তাই বর্ণনা করতে সক্ষম হয়।
জিহ্বা ছাড়া অন্য কোন ইন্দ্রিয়ের এরুপ শক্তি নেই, কেননা
আকার ও রঙ ব্যতীত অন্য কোন কিছুর উপর চোখের অধিকার নেই।
আওয়াজ ব্যতীত অন্য কিছু উপর কানের অধিকার নেই।
তেমনিভাবে শরীরের এক একটা অঙ্গ এক একটা বিষয়ের উপর শক্তি প্রয়োগ করে থাকে। আর সমস্ত দেহরাজ্যের উপর মনের যেরূপ শক্তি তেমনি মনের উপর জিহ্বারও শক্তি রয়েছে। মনের সাথে জিহ্বা সমানভাবে কাজ করতে পারে। মন যেটা সংগ্রহ করে কিংবা ছবি আকারে গ্রহণ করে, জিহ্বা তা ভাষায় প্রকাশ করে মনকে সাহায্য করে।
মনের উপর জিহ্বার প্রভাব – একদিকে মন থেকে ছবি বা ভাব সংগ্রহ করে জিহ্বা যেরূপ ভাষায় প্রকাশ করে, তেমনি মনও জিহ্বার প্রকাশ থেকে ছবি বা ভাব গ্রহণ করে নিজের মনের মধ্যে অংকন করে নিতে পারে। এজন্য জিহ্বা যা প্রকাশ করে মন তা হৃদয়ের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে এক নতুন ভাব সৃষ্টি করতে পারে। যেমন, ক্রন্দনের সময় বা কোন কিছু পড়ার সময় জিহ্বা প্রকাশ করে, আর মন তা আঁকড়ে ধরে। আবার মানুষ যখন আনন্দ অনুভব করে, তখন আনন্দে তার মনও প্রফুল্ল হয় এবং জিহ্বাও তাতে সায় দেয়।

ফরয নামাযের পর হাত তুলে মুনাজাত প্রসঙ্গে


নামাযী যখন নামায পড়ে তখন সে আল্লাহর নিকট মুনাজাত করে। আল্লাহর সাথে নিরালায় যেন কানে কানে কথা বলে। (মুঅত্তা, মুসনাদে আহ্‌মদ ২/৩৬, ৪/ ৩৪৪)

নামাযের মাঝেই আব্দ (দাস) মাবুদের (প্রভুর) ধ্যনে ধ্যানমগ্ন থাকে। যেন সে তাকে দেখতে পায়। যতক্ষণ সে নামাযে থাকে ততক্ষণ সে আল্লাহর সাথে কথা বলে। তিনি তার প্রতি মুখ ফিরান এবং সালাম না ফিরা পর্যন্ত তিনি মুখ ফিরিয়ে নেন না। (বাইহাকী, সহীহুল জামে’১৬১৪ নং)

পরক্ষণে যখনই সে সালাম ফিরে দেয় তখনই সে মুনাজাতের অবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, দূর হয়ে যায় নৈকট্যের বিশেষ যোগসূত্র। বান্দা সরে আসে সেই মহান বিশ্বাধিপতির খাস দরবার থেকে। সুতরাং তার নিকট কিছু চাওয়া তো সেই সময়ে অধিক শোভনীয় যে সময়ে ভিখারী বান্দা তাঁর ধ্যনে তার নিকটে ও তাঁর খাস দরবারে থাকে। অতএব সেই নৈকট্যের ধ্যান ভঙ্গ করে এবং মহানবী (সাঃ) এর নির্দেশিত মুনাজাত থেকে বেরিয়ে এসে পুনরায় মুনাজাত সঙ্গত ও যুক্তিযুক্ত নয়।

অবশ্য সহীহ হাদীসে বর্ণিত যে, 
একদা সাহাবাগণ আল্লাহর রসূল (সাঃ) কে কোন্‌ সময় দুআ অধিকরুপে কবুল হয় - সে বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেছিলেন, “গভীর রাতের শেষাংশে এবং সকল ফরয নামাযের পশ্চাতে।” (তিরমিযী, সুনান ৩৪৯৯, নাসাঈ, সুনান আমালুল ইয়াউমি অল্লাইলাহ্‌ ১০৮নং, মিশকাত ৯৬৮ নং) হাদীসটি অনেকের নিকট দুর্বল হলেও আসলে তা হাসান। (তিরমিযী, সুনান২৭৮২নং)

Sunday 9 November 2014

প্রশ্নঃ ইসলামী সংস্কৃতিতে ‘গান’ কখন জায়েজ?

প্রশ্নঃ ইসলামী সংস্কৃতিতে ‘গান’ কখন জায়েজ?
উত্তরঃ ঈদের দিনে এবং বিয়ের খুশি উপলক্ষ্যে নাবালিকা ছোট মেয়েরা গান গাইতে পারে এবং শুধুমাত্র ‪#‎নারীরা‬ সেইগুলো শুনতে পারে।
গান পুরুষদের কোন বিষয় না, ইসলামে এটা মেয়েদের জন্য খাস করা হয়েছে। প্রাচীনকালের আলেমদের মাঝে অনেক ফকীহ মত দিয়েছেন, যেই সমস্ত পুরুষেরা গান গাইতে অভ্যস্ত আদালতে তাদের স্বাক্ষ্য নেওয়া যাবেনা। উল্লেখ্য, ফাসেক বা বড় রকমের পাপীদের স্বাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নয়। পথভ্রষ্ট বেদাতী সূফীরা মুসলমানদের মাঝে গজল, নাশীদ, সামা, কাওয়ালী ইত্যাদি নাম দিয়ে বেদাতী/হারাম গান-বাজানাকে ‘ইসলামিক’ লেবাস লাগিয়ে ফেতনা সৃষ্টি করেছে।
ইসলামিক টিভি, দিগন্ত টিভি, পীস টিভি যেই টিভিতেও এইগুলো দেখানো হোকনা কেনো – যেটা হারাম সেটা হারাম। দয়া করে ফাসেক ও অজ্ঞ লোকদের কাজ-কারবারকে ইসলাম বলে ধোঁকা খাবেন না।
এমন কবিতা যা মানুষকে আল্লাহর দিকে ধাবিত করে, সেইগুলো বিশেষ উপলক্ষে পুরুষদের জন্যও কখনো আবৃত্তি করে শোনানো জায়েজ হতে পারে। গান আর কবিতা আলাদা জিনিস। গানে সুন্দর সুর দিয়ে মানুষকে আকৃষ্ট করা হয়, কিন্তু কবিতাতে বুদ্ধিমত্তাপূর্ণ জ্ঞানের কথা বলা হয়। বর্তমানে মোবাইলে, কম্পিউটারে গজল, ইসলামী সংগীত, নাশীদ নামে হারাম ও বেদাতের ফেতনা চলছে যা মানুষকে ক্বুরান থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নেওয়ার শয়তানী ষড়যন্ত্র। সর্বশেষ, আল্লামাহ সালেহ আল-ফাউজান হাফিজাহুল্লাহর বক্তব্য দিয়ে এই বিষয়ের উপরে আমার বক্তব্য শেষ করবো, যার ইচ্ছা ওলামাদের উপদেশ নিয়ে নিজেকে হেফাজত করবেন, যার ইচ্ছা প্রবৃত্তির অনুসরণ করে মূল্যবান সময় নষ্ট করবেন –
“যেহেতু এইগুলোর (নাশিদ/গজল/ইসলামিক সংগীতের) কোনো ভিত্তি নেই সুতরাং এটা একটা ফিতনাহ। তাদের উচিত হচ্ছে কুরআনুল কারীমের তেলাওয়াত শোনা। অনুরূপভাবে ইসলামি শিক্ষামূলক ওয়াজ, লেকচার শোনা। নাশিদের জন্য সময় অপচয় করা ঠিকনা। এতে কোনো কল্যান নেই, বিনোদন ছাড়া।

২. প্রশ্নঃ ‘ইকামত’ কি একটু বলা যায়?

Download AsPDF

Print Friendly and PDFPrint Friendly and PDFPrint Friendly and PDF
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...