Tuesday 17 March 2020

উসমানী আজানকে বিদ‘আত আখ্যানে ‘উলামায়ে সুন্নাহর অবস্থান


·
পরম করুণাময় অসীম দয়ালু মহান আল্লাহর নামে শুরু করছি। যাবতীয় প্রশংসা জগৎসমূহের প্রতিপালক মহান আল্লাহর জন্য। দয়া ও শান্তি বর্ষিত হোক প্রিয় নাবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহর প্রতি।
পর সমাচার এই যে, অধুনা বঙ্গদেশের প্রখ্যাত দা‘ঈ আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ সাহেবের একটি বক্তব্য অনলাইনে ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে। যে বক্তব্যে তিনি তৃতীয় সুপথপ্রাপ্ত খলিফা ‘উসমান (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) প্রবর্তিত জুমু‘আহর প্রথম আজানকে বিদ‘আত আখ্যা দিয়েছেন। এরপর এ নিয়ে তালিবুল ‘ইলম দা‘ঈ ও সাধারণ জনগণের মধ্যে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। ফলে বিন ইউসুফ সাহেব তাঁর বক্তব্যের ক্ল্যারিফিকেশন দিয়ে জাতির উদ্দেশ্যে নতুন বক্তব্য দেন। যেখানে তিনি ‘উসমানী আজানকে বিদ‘আত বলার ব্যাপারটি অস্বীকার করে বলেন, তিনি বর্তমানে প্রচলিত হিশামী ও হাজ্জাজী আজানকে বিদ‘আত বলেছেন, ‘উসমানী আজানকে নয়।
এদিকে তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র শ্রদ্ধেয় আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাজ্জাক ভাইয়া বিভিন্ন জায়গায় কমেন্ট করে স্বীয় পিতার কর্মকে ডিফেন্ড করেন এবং বলেন, তাঁর পিতা আসলে উসমানী আজানকে বিদ‘আত বলেননি। কিন্তু বিন ইউসুফ সাহেব সম্প্রতি সুরিটোলা মসজিদে জুমু‘আহর খুতবায় আবার বলেন, ‘উসমানী আজান বিদ‘আত। এটাই তিনি গত ত্রিশ বছর থেকে বলে আসছেন বলে দাবি করেন। কারণ তিনি এবার সাহাবী ইবনু ‘উমার থেকে একটি দুর্বল হাদীস পেয়েছেন, যেখানে বলা হয়েছে, জুমু‘আহর প্রথম আজান বিদ‘আত। যদিও প্রথমবার এ আজানকে বিদ‘আত বলার সময় তিনি তা জানতেন বলে মনে হয় না।
মজার ব্যাপার হলো, তাঁর পুত্র শ্রদ্ধেয় আব্দুল্লাহ ভাইয়া আবার পরবর্তী যুগের কিছু ‘উলামার ভুল মত প্রচার করে বলেছেন, ‘উসমানী আজান বিদ‘আত। তিনি যাদের নাম নিয়েছেন, তাদের একজন আবার হাজুরী নামক হাদ্দাদী বিদ‘আতী। মানে নিজের মতের পক্ষে কাউকে পাওয়া গেলেই তার ব্যাপারে আর খোঁজখবর না নিয়ে তাকে দিয়ে নিজেকে ডিফেন্ড করার মতো মানসিকতা তাঁর মধ্যে আছে। ভোজবাজির মতো তাঁদের এমন দ্বিমুখী মত ব্যক্ত করার ঘটনাটি থেকে আরেকটি বিষয়ও স্পষ্ট হওয়া যায় যে, তাঁদের মধ্যে সততার অভাব আছে, বিশেষ করে দা‘ওয়াতী কথাবার্তার ক্ষেত্রে।

Download AsPDF

Print Friendly and PDFPrint Friendly and PDFPrint Friendly and PDF
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...