Saturday 13 December 2014

তারাবীহ -এর সালাতের রাক্‌‘আত সংখ্যা


ফাত্‌ওয়া নং : 9036


প্রশ্ন : আমি প্রশ্নটি আগেও করেছিলাম। আশা করি এর উত্তর দিয়ে আমাকে উপকৃত করবেন কারণ আমি এর কোনো সন্তোষজনক জবাব পাই নি। প্রশ্নটি হলো তারাবীহ সম্পর্কে, তা কি ১১ রাক্‌‘আত নাকি ২০ রাক্‌‘আত? সুন্নাহ মতে তো তা ১১ রাক্‌‘আত । শাইখ আল-আলবানী –রহিমাহুল্লাহ –“আল-ক্বিয়াম ওয়া আত-তারাউয়ীহ”-বইতে বলেছেন (তা) ১১ রাক্‌‘আত । কেউ কেউ সেই মাসজিদে যায় যেখানে ১১ রাক্‌‘আত সালাত  আদায় হয়, আবার অনেকে সেই মাসজিদে যায় যেখানে ২০ রাক্‌‘আত সালাত আদায় হয়। তাই এই মাসআলাটি এখানে যুক্তরাষ্ট্রে সংবেদনশীল হয়ে গেছে। যে ১১ রাক্‌‘আত সালাত আদায় করে সে ২০ রাক্‌‘আত সালাত আদায়কারীকে দোষারোপ করে; আবার এর বিপরীতটিও হয়। তাই (এই ব্যাপারটি নিয়ে) ফিতনাহ সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি আল-মাসজিদ আল-হারামেও ২০ রাক্‌‘আত সালাত  আদায় করা হয়।
কেন আল-মাসজিদ আল-হারাম ও আল-মাসজিদ আন-নাবাউয়ীতে সুন্নাহ থেকে বিপরীত করা হয়? কেন তারা আল-মাসজিদ আল-হারাম ও আল-মাসজিদ আন-নাবাউয়ী-তে ২০ রাক্‌‘আত তারাউয়ীহ-এর সালাত  আদায় করেন?

উত্তর : সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য।
আমরা মনে করি না যে ‘আলিমগণের মধ্যে ইজতিহাদী মাসআলাসমূহ নিয়ে একজন মুসলিমের এ ধরনের সংবেদনশীল আচরণ করা উচিত যা মুসলিমদের মাঝে বিভেদ ও ফিতনাহ সৃষ্টির কারণ হয়।

ইমাম মাহদীর আগমন



সহীহ হাদীছের বিবরণ থেকে অবগত হওয়া যায় যে, আখেরী যামানায় ইমাম মাহদীর আত্মপ্রকাশ কিয়ামতের সর্বপ্রথম বড় আলামত। তিনি আগমণ করে এই উম্মাতের নের্তৃত্বের দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন। ইসলাম ধর্মকে সংস্কার করবেন এবং ইসলামী শরীয়তের মাধ্যমে বিচার-ফয়সালা করবেন। পৃথিবী হতে জুলুম-নির্যাতন দূর করে ন্যায়-ইনসাফ দ্বারা তা ভরে দিবেন। উম্মতে মুহাম্মাদী তাঁর আমলে বিরাট কল্যাণের ভিতর থাকবে। 
ইমাম ইবনে কাছীর (রঃ) বলেনঃ তখন ফল-ফলাদীতে প্রচুর বরকত হবে, মানুষের সম্পদ বৃদ্ধি পাবে, ইসলাম বিজয়ী হবে, ইসলামের শত্রুরা পরাজিত হবে এবং সকল প্রকার কল্যাণ বিরাজ করবে।[1]

ইমাম মাহদীর পরিচয়ঃ

তাঁর নাম হবে আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নামের মতই এবং তাঁর পিতার নাম হবে আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর পিতার নামের মতই। তিনি হবেন হাসান বিন আলী (রাঃ) এর বংশ থেকে। 
ইবনে কাছীর (রঃ) বলেনঃ ‘‘তিনি হলেন মুহাম্মাদ বিন আব্দুল্লাহ আল-ফাতেমী আল-হাসানী’’।[2]

তাঁর আগমণের স্থানঃ

Friday 12 December 2014

কেয়ামতের ভয়াবহতা ও তারপর (২য় পর্ব)





চতুর্থ অধ্যায়
জাহান্নাম ও তার অধিবাসীদের বিবরণ

কাফের ও মুশরিকদের যখন জাহান্নামে প্রবেশ করানো হবে তখন তারা জাহান্নামে বসে তাদের এ দুর্গতির জন্য একে অপরকে দোষারোপ করবে। একদল তাদের পূর্বসূরীদের দুষবে। আরেক দল তাদের নেতাদের দোষ দেবে। এ প্রসঙ্গে আল কুরআনে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন অনেক কথা বলেছেন তার কিছু এখানে তুলে ধরলাম
قَالَ ادْخُلُوا فِي أُمَمٍ قَدْ خَلَتْ مِنْ قَبْلِكُمْ مِنَ الْجِنِّ وَالْإِنْسِ فِي النَّارِ كُلَّمَا دَخَلَتْ أُمَّةٌ لَعَنَتْ أُخْتَهَا حَتَّى إِذَا ادَّارَكُوا فِيهَا جَمِيعًا قَالَتْ أُخْرَاهُمْ لِأُولَاهُمْ رَبَّنَا هَؤُلَاءِ أَضَلُّونَا فَآَتِهِمْ عَذَابًا ضِعْفًا مِنَ النَّارِ قَالَ لِكُلٍّ ضِعْفٌ وَلَكِنْ لَا تَعْلَمُونَ ﴿38﴾ وَقَالَتْ أُولَاهُمْ لِأُخْرَاهُمْ فَمَا كَانَ لَكُمْ عَلَيْنَا مِنْ فَضْلٍ فَذُوقُوا الْعَذَابَ بِمَا كُنْتُمْ تَكْسِبُونَ ﴿39﴾ (سورة الأعراف)
তিনি বলবেন, আগুনে প্রবেশ কর জিন ও মানুষের দলগুলোর সাথে, যারা তোমাদের পূর্বে গত হয়েছে। যখনই একটি দল প্রবেশ করবে, তখন পূর্বের দলকে তারা লানত করবে। অবশেষে যখন তারা সবাই তাতে একত্রিত হবে তখন তাদের পরবর্তী দলটি পূর্বের দল সম্পর্কে বলবে, হে আমাদের রব, এরা আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছে। তাই আপনি তাদেরকে আগুনের দ্বিগুণ আযাব দিন। তিনি বলবেন, সবার জন্য দ্বিগুণ, কিন্তু তোমরা জান না। আর তাদের পূর্ববর্তী দল পরবর্তী দলকে বলবে, তাহলে আমাদের উপর তোমাদের কোন শ্রেষ্ঠত্ব নেই। অতএব তোমরা যা অর্জন করেছিলে, তার কারণে তোমরা আযাব আস্বাদন কর। (সূরা আল আরাফ, আয়াত ৩৮-৩৯)

وَإِذْ يَتَحَاجُّونَ فِي النَّارِ فَيَقُولُ الضُّعَفَاءُ لِلَّذِينَ اسْتَكْبَرُوا إِنَّا كُنَّا لَكُمْ تَبَعًا فَهَلْ أَنْتُمْ مُغْنُونَ عَنَّا نَصِيبًا مِنَ النَّارِ ﴿47﴾ قَالَ الَّذِينَ اسْتَكْبَرُوا إِنَّا كُلٌّ فِيهَا إِنَّ اللَّهَ قَدْ حَكَمَ بَيْنَ الْعِبَادِ ﴿48﴾ وَقَالَ الَّذِينَ فِي النَّارِ لِخَزَنَةِ جَهَنَّمَ ادْعُوا رَبَّكُمْ يُخَفِّفْ عَنَّا يَوْمًا مِنَ الْعَذَابِ ﴿49﴾ قَالُوا أَوَ لَمْ تَكُ تَأْتِيكُمْ رُسُلُكُمْ بِالْبَيِّنَاتِ قَالُوا بَلَى قَالُوا فَادْعُوا وَمَا دُعَاءُ الْكَافِرِينَ إِلَّا فِي ضَلَالٍ ﴿50﴾ (سورة المؤمن)
আর জাহান্নামে তারা যখন বানানুবাদে লিপ্ত হবে তখন দুর্বলরা, যারা অহঙ্কার করেছিল, তাদেরকে বলবে, আমরা তো তোমাদের অনুসারী ছিলাম, অতএব তোমরা কি আমাদের থেকে আগুনের কিয়দংশ বহন করবে? অহঙ্কারীরা বলবে, আমরা সবাই এতে আছি; নিশ্চয় আল্লাহ বান্দাদের মধ্যে ফয়সালা করে ফেলেছেন আর যারা আগুনে থাকবে তারা আগুনের দারোয়ানদেরকে বলবে, তোমাদের রবকে একটু ডাকো না! তিনি যেন একটি দিন আমাদের আযাব লাঘব করে দেন তারা বলবে, তোমাদের কাছে কি সুস্পষ্ট প্রমাণাদিসহ তোমাদের রাসূলগণ আসেনি? জাহান্নামীরা বলবে, হ্যাঁ অবশ্যই। দারোয়ানরা বলবে, তবে তোমরাই দুআ কর। আর কাফিরদের দুআ কেবল নিষ্ফলই হয়(সূরা আল মুমিন ৪৭-৫০)

কেয়ামতের ভয়াবহতা ও তারপর (১ম পর্ব)




  
কেয়ামতের ভয়াবহতা ও তারপর
  
بَلِ السَّاعَةُ مَوْعِدُهُمْ وَالسَّاعَةُ أَدْهَى وَأَمَرُّ
  
বরং কিয়ামত তাদের প্রতিশ্রুত সময়আর কিয়ামত অতি ভয়ঙ্কর ও তিক্ততর


সূচীপত্র
অনুবাদকের কথা
ভূমিকা
প্রথম অধ্যায়:
বরযখের শাস্তি ও সুখ
মৃত্যুকালীন অবস্থা সম্পর্কে আলোচনা
দুই ফেরেশতার প্রশ্ন পর্ব
মুনকার ও নাকীর প্রসঙ্গ
বরযখে শাস্তির কিছু দৃশ্য
কবরের আজাব সম্পর্কে ইমামদের বক্তব্য
দ্বিতীয় অধ্যায়:
কেয়ামত সংঘটন
শিঙ্গায় ফুঁৎকার প্রসঙ্গে
তৃতীয় অধ্যায়:
কেয়ামতের ভয়াবহতা
পরকাল অস্বীকারকারীদের দুর্দিন
আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীসমূহ মুষ্ঠিবদ্ধ করা
হাশরের ময়দানের অবস্থা
যারা সে দিন আল্লাহ তাআলার ছায়াতে আশ্রয় পাবে
কেয়ামতের দিন যাকে প্রথম ডাকা হবে তিনি হলেন আদম আলাইহিস সালাম
যাকাত পরিত্যাগকারীর শাস্তি
কেয়ামতের দিন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাউজে কাউসার
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর শাফাআত
উম্মতে মুহাম্মাদীর হিসাব হবে সর্বপ্রথম
হিসাব-নিকাশের প্রকৃতি
অনুসারীরা নেতাদের প্রত্যাখ্যান করবে
ফেরেশতাগণ মুশরিকদের থেকে দায়মুক্তির ঘোষণা দেবে
মূর্তিগুলো অক্ষমতা প্রকাশ করবে
উম্মতে মুহাম্মদী কেয়ামতের দিন অন্য সকল জাতির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবে
হিসাব নিকাশ যেভাবে শুরু
এমনিভাবে আজ ভুলে যাওয়া হবে
যার হিসাবে কঠোরতা হবে তাকে আজাব দেয়া হবে
সেদিন আল্লাহ ও বান্দার মধ্যে কোন দোভাষী থাকবে না
সেদিন প্রথম যে বিষয়টির হিসাব নেয়া হবে
সহজ হিসাব
প্রথম যে বিষয়ে ফয়সালা হবে
মানুষের অধিকার হরনের প্রতিকার
যারা লোক দেখানোর জন্য নেক আমল করতো কেয়ামতে তাদের বিচার
হে আদম সন্তানআমি অসুস্থ হয়েছিলাম তুমি আমার সেবা করোনি
জান্নাত ও জাহান্নামে এক মুহুর্তের অনুভূতি
তাওহীদের মূল্যায়ন
পুলসিরাত সম্পর্কে হাদীস
সর্বশেষ যে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে
মুমিনদের জাহান্নাম থেকে বের করার জন্য নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর শাফাআত
তাওহীদবাদী গুনাহগারদের জাহান্নাম থেকে মুক্ত করা
আরাফবাসীদের পরিচয়
পুলসিরাত ও জান্নাতের মধ্যে একটি প্রতিবন্ধক গেট
জাহান্নামে প্রবেশ করবে প্রতাপশালীরা আর জান্নাতে যাবে দুর্বল অসহায় মানুষগুলো
চতুর্থ অধ্যায়
জাহান্নাম ও তার অধিবাসীদের বিবরণ
অনুসারীদের থেকে শয়তানের দায়মুক্তির চেষ্টা
জাহান্নামবাসীদের আফসোস ও অনুতাপ

Wednesday 10 December 2014

জান্নাতী রমণীর জন্য কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ ফতোয়া



একজন রমণী জীবন চলার পথে নানা ধরণের সমস্যার সম্মুখিন হয়। কখনো শয়তানের প্ররোচনায় পড়ে ইসলাম বিরোধী কাজ করে ফেলে। কখনো অলসতা বশতঃ ইবাদত-বন্দেগীতে গাফলতি করেবসে। সুবুদ্ধি হলে নিজের ভুল বুঝতে পারলে তখন ফিরে আসতে চায় সৎ  সত্য পথে। তাই নিম্নে কতিপয় সমস্যার উল্লেখ করে তার সমাধান দেয়া হল যাতে করে মুসলিম বোন তা থেকে উপকৃত হতেপারেন।

প্রশ্নঃ প্রায় দশ বছর আগে বালেগ হওয়ার নির্দিষ্ট আলামতের মাধ্যমে আমি বালেগা (প্রাপ্ত বয়স্কা) হই। কিন্তু যে বছর বালেগা হই সে বছর রামাযান পাওয়া সত্বেও তার ছিয়াম আমি আদায় করি নি। এখন কিআমাকে সেই বছরের ছিয়াম আদায় করতে হবে? এবং সেই সাথে কি কাফ্‌ফারাও দিতে হবে?
উত্তরঃ হ্যাঁ উক্ত মাসের ছিয়াম ক্বাযা আদায় করা তোমার উপর আবশ্যক। সেই সাথে তওবা করবে, আল্লাহর কাছে  অন্যায়ের ক্ষমা চাইবে এবং কাফ্‌ফারা আদায় করবে। আর তা হল, প্রতি দিনেরবিনিময়ে একজন মিসকিনকে এলাকার লোকদের প্রধান খাদ্য যেমন চাউল বা খেজুর বা গম ইত্যাদী থেকে অর্ধ ছা তথা প্রায় সোয়া এক কেজি পরিমাণ খাদ্য। (-শাইখ ইবনু বায (রহঃ)।)

প্রশ্নঃ অপবিত্রাবস্থায় বা মাসিক অবস্থায় কি দ্বীনী বই পুস্তক যেমন কুরআনের তাফসীর ইত্যাদি পড়তে পারব?
উত্তরঃ নাপাক ব্যক্তি এবং ঋতুবতীর জন্য দ্বীনী কিতাব যেমন তাফসীর, ফিকাহ্‌, হাদীছ, তাওহীদ, ইসলামী সাহিত্য প্রভৃতি বই পুস্তক পড়া জায়েয। তার জন্য শুধু নিষেধ হল কুরআন তেলাওয়াত করা।কিন্তু কুরআনের কোন দু বা দলীল পেশ করার জন্য কোন আয়াত উচ্চারণ করা  নিষেধের অন্তর্ভূক্ত নয়। (-শাইখ ইবনু বায (রঃ)।)

Tuesday 9 December 2014

রাসূল অবমাননার পরিণাম ও শাস্তি: আমাদের করণীয়




إن الحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله وعلى آله وصحبه أجمعين أما بعد:
আল্লাহ তাআলা মানবজাতির হিদায়াতের জন্য যুগে যুগে রাসূল প্রেরণ করেছেন। সেই ধারাবাহিকতায় আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিশ্ব মানবগোষ্ঠীর জন্য সর্বশেষ রাসূল। তিনি সকল জনগোষ্ঠীর জন্য প্রেরিত নবী। আরবী, অনারবী, সাদা-কালো সবার জন্য তিনি নবী ও রাসূল। তিনি সকল নবী ও রাসূলেরও নেতা। আল্লাহ তাআলা বলেন,
﴿لَقَدۡ مَنَّ ٱللَّهُ عَلَى ٱلۡمُؤۡمِنِينَ إِذۡ بَعَثَ فِيهِمۡ رَسُولٗا مِّنۡ أَنفُسِهِمۡ يَتۡلُواْ عَلَيۡهِمۡ ءَايَٰتِهِۦ وَيُزَكِّيهِمۡ وَيُعَلِّمُهُمُ ٱلۡكِتَٰبَ وَٱلۡحِكۡمَةَ وَإِن كَانُواْ مِن قَبۡلُ لَفِي ضَلَٰلٖ مُّبِينٍ ١٦٤ ﴾ [ال عمران: ١٦٤]
“অবশ্যই আল্লাহ মুমিনদের উপর অনুগ্রহ করেছেনযখন তিনি তাদের মধ্য থেকে তাদের প্রতি একজন রাসূল পাঠিয়েছেনযে তাদের কাছে তাঁর আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করে এবং তাদেরকে পরিশুদ্ধ করে আর তাদেরকে কিতাব ও হিকমাত শিক্ষা দেয়। যদিও তারা ইতঃপূর্বে স্পষ্ট ভ্রান্তিতে ছিল।” [সূরা আলে ইমরান: ১৬৪] 
বর্তমানে বিভিন্নভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অবমাননা করা হচ্ছেঅথচ আমরা জানি না যেএর পরিণাম কত ভয়াবহ। এ বিষয়ে আমাদের সঠিক জ্ঞান থাকা খুবই জরুরী। আলোচ্য প্রবন্ধে  রাসূলুল্লাহ সা. এর অবমাননার পরিণাম ও শাস্তি সম্পর্কে আলোকপাত করা হলো:

অসুস্থতার কারণে পাঁচ মাস গোসল না করা



প্রশ্ন: আমি অসুস্থ, হাসপাতালে আমার অপারেশন হয়েছে। হাসপাতাল থেকে চলে আসার সময় ডাক্তার আমাকে বলেছেন, পাঁচ মাসের মধ্যে পানি দ্বারা গোসল করা যাবে না। অথচ এ পাঁচ মাসের মধ্যে রমযানুল মোবারক রয়েছে। আমি এখন কি করব, ডাক্তারের কথা মত গোসল ত্যাগ করব?, না গোসল করব, সালাত আদায় করব ও রমযানের সিয়াম পালন করব?

উত্তর :

আল-হামদুলিল্লাহ

স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে, গোসল না করার ব্যাপারে আপনি অপারগ। তাই গোসল ফরয হলে তায়াম্মুম করাই আপনার জন্য যথেষ্ট হবে। 

কিন্তু সর্তকতার জন্য এ বিষয়ে অভিজ্ঞ ডাক্তারদের জিজ্ঞাসা করা ভাল। বরং, অন্য ডাক্তারদের জিজ্ঞাসা করে বিষয়টির ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া জরুরি। বিশেষ করে মুসলিম ডাক্তারদের জিজ্ঞাসা করা, যাদের কথায় আস্থা রাখা যায়। আর যদি বিষয়টি এমন হয় যে, আপনার চিকিৎসায় নিয়োজিত ডাক্তার এ ব্যাপারে স্প্যাশালিষ্ট। আপনি তার সংবাদে আশ্বস্ত। এবং, সে এমন কিছু করেনি, যার দ্বারা বুঝা যায় যে, সে ইসলামের ব্যাপারে উদাসীন, বা ইসলাম অপছন্দ করে, তবে কোন সমস্যা নেই। এটাও একটা চিকিৎসা। এর বিপরীত হলে আপনার ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। তাহলে তার কথা গ্রহণ করা এবং শেষ সময় পর্যন্ত গোসল না করা বৈধ, আপনার সুস্থতা ও নিরাপত্তার সতর্কতা হিসেবে।

সমাপ্ত

শায়খ আব্দুল আজিজ বিন বায - রাহিমাহুল্লাহ-
সূত্র : "فتاوى نور على الدرب" (2/642 ، 643)


মুফতী: শায়খ আব্দুল আযীয ইবন আবদুল্লাহ ইবন বায
অনুবাদক: সানাউল্লাহ নজির আহমদ
সূত্র: www.islamqa.info

‘সাদাকাল্লাহুল আজিম’ বলার বিধান



কতিপয় কারি কুরআনুল কারিম তিলাওয়াত শেষে صَدَقَ اللهُ الْعَظِيْمُ বলেন।[1] এরূপ বলার কোনো ভিত্তি নেই। এতে সন্দেহ নেই যে, আল্লাহ তাআলা সত্যবাদী, তার কালাম চিরসত্য। ইমাম নাসাঈ রাহিমাহুল্লাহ বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন:
((إِنَّ أَصْدَقَ الْحَدِيثِ كِتَابُ اللَّهِ، وَأَحْسَنَ الْهَدْيِ هَدْيُ مُحَمَّدٍ».
“নিশ্চয় সবচেয়ে সত্যকথা হচ্ছে আল্লাহ তা‘আলার কিতাব এবং সর্বোত্তম আদর্শ হচ্ছে মুহাম্মদের আদর্শ”[2] 
তিলাওয়াতের সাথে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উক্ত কথার কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। 

ড. বকর আবু জায়েদ রহ. বলেন, আল্লাহ তাআলা বলেছেন:
﴿ قُلۡ صَدَقَ ٱللَّهُۗ فَٱتَّبِعُواْ مِلَّةَ إِبۡرَٰهِيمَ حَنِيفٗاۖ ٩٥  [ال عمران: ٩٥]  وقال تعالى: ﴿ وَمَنۡ أَصۡدَقُ مِنَ ٱللَّهِ حَدِيثٗا ٨٧  [النساء : ٨٧]  وقال تعالى: ﴿ وَمَنۡ أَصۡدَقُ مِنَ ٱللَّهِ قِيلٗا ١٢٢  [النساء : ١٢٢] 
“বল, আল্লাহ সত্য বলেছেন, সুতরাং তোমরা ইবরাহীমের মিল্লাতের অনুসরণ কর একনিষ্ঠভাবে”।[3] 
অপর আয়াতে তিনি বলেন: “আর কথায় আল্লাহর চেয়ে অধিক সত্যবাদী কে?”[4] 
অপর আয়াতে তিনি বলেন: “আর কথায় আল্লাহ অপেক্ষা অধিক সত্যবাদী কে?”[5]

Monday 8 December 2014

ইসলাম প্রচারক ভাই! প্রথমে তাওহীদের দাওয়াত দিন




ভূমিকা
সকল প্রশংসা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এর জন্য, আমরা তারই প্রশংসা করি, তার নিকটই সাহায্য প্রার্থনা করি এবং তার কাছেই ক্ষমা চাই। আর আমরা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এর নিকট আমাদের অন্তরসমূহের অনিষ্টতা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করি এবং খারাপ আমলের পরিণতি হতে আশ্রয় প্রার্থনা করি। আল্লাহ যাকে হেদায়েত দেবে তাকে গোমরাহ করার কেউ নাই আর আল্লাহ যাকে গোমরাহ করে তাকে সঠিক পথ দেখানোর কেউ নাই। আর আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্যিকার ইলাহ নাই। তিনি একক তার কোন শরিক নাই। আর আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও তার রাসূল। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন,
﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱتَّقُواْ ٱللَّهَ حَقَّ تُقَاتِهِۦ وَلَا تَمُوتُنَّ إِلَّا وَأَنتُم مُّسۡلِمُونَ ١٠٢ [سورة آل عمران: 102]
হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহকে যথাযথভাবে ভয় কর। আর তোমরা মুসলমান হওয়া ছাড়া মারা যেও না।  [সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ১০২]

Download AsPDF

Print Friendly and PDFPrint Friendly and PDFPrint Friendly and PDF
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...