শায়খ মুজাম্মেল হক
জিহাদ, কিতাল ও খিলাফা শব্দগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ শব্দ। এছাড়া আরও শতাধিক এমন শব্দ রয়েছে যার সঠিক অর্থ মুসলমানের মস্তিষ্কে স্থান না পেলে ইসলামের প্রকৃত চিত্র বিকৃত হতে বাধ্য। দ্বীনের কল্যাণ সাধনের স্থলে অকল্যাণই সাধিত হবে, তাতে সন্দেহ কারার কোন অবকাশ নেই। ঐ সব গুরুত্বপূর্ণ শব্দের সঠিক অর্থ যারা তুলে ধরবেন তাঁরা হলেন প্রকৃত যোগ্যতা সম্পন্ন নিরপেক্ষ আলেম-উলামা। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, প্রকৃত ও নিরপেক্ষ এমন আলেমের অভাব এখন প্রকট আকার ধারণ করেছে। যারা রয়েছেন তাদেরকে ফেরকাবাজ, হিজবীরা দরবারী, পাচাটা দালাল, নাস্তিক ইত্যাদি ট্যাগ লাগিয়ে উপেক্ষা করেছে। এমন অবস্থা যতদিন বিরাজ করবে, আলেমদের স্বল্পতা যতদিন অপূরণীয় থাকবে, ইসলামের দৈন্যদশা ততদিন বাড়তেই থাকবে। এমনটি মোটেও গ্রহণযোগ্য হতে পারেনা। কিন্তু বাস্তবতা এটাই যে, প্রকৃত আলেমগন পরপারে যাচ্ছেন আর তাদের স্থান পূরণের জন্যে লোক তৈরি হতে পারছেনা। আগামীতে হওয়ার সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছেনা। এক দিক থেকে আলেম তৈরির কারখানা বন্ধ করার সকল চেষ্টা অব্যহত রয়েছে। অপর দিক থেকে চালু গুলোর মেরুদণ্ড ভেঙ্গে চুরমার করার প্রচেষ্টা অব্যাহতভাবে চলছে। দলীয় ভাবে যেসব চলছে তা দলের খেদমতেই আত্মনিয়োগ করছে। সঠিক প্রডাকশন বের হয়ে আসার সম্ভাবনা আর দেখা যাচ্ছেনা।
কেন এমন হচ্ছে?
এর প্রতিকার কি; এসব নিয়ে ভাববার সময় মুসলমানদের আছে বলে মনে হয়না। কারণ তারা ব্যস্ত, খুবই ব্যস্ত। স্কুল-কলেজ। ব্যবসা, চাকুরী, সংসার ও সমাজ তাদেরকে অক্টোপাসের ন্যায় জড়িয়ে ফেলেছে! আসলে যতটা না ব্যস্ত তার চেয়ে বেশী তারা শয়তানের ধোঁকার শিকার!
#সে_কু_লার ও তাদের সহযোগীরা অতীত কাল থেকেই মনে করতেন ইসলাম শিক্ষার প্রতিষ্ঠান গুলো অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখেনা। হাল জামানায় আরও যোগ হয়েছে আরেকটি জোরালো অভিযোগ তাহলো, দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নাকি চরমপন্থীদের জন্ম দান করে থাকে! বর্তমান মিডিয়ার বরকতে ঐ সব অভিযোগ আরেক মাত্রা অগ্রসর হয়ে পুরা ইসলামকেই চরম পন্থা (টেররিজম) এর ট্যাগ লাগিয়ে দিয়েছে। ফলে দুনিয়ার সকল শক্তি এক হয়ে উঠে পড়ে লেগেছে যাতে টেররিজম থেকে মুক্তি লাভ করা যায়। পরিণতিতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ইসলাম ও মুসলমান একসাথে। এ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার নিমিত্তে আমাদের কি কিছুই করার নেই?
জিহাদ এক মহান কাজ। ইসলামের উচ্চতম স্থানের উচ্চে এর অবস্থান। এ জিহাদ কে কি কলুষমুক্ত করার উপায় নেই? ইসলাম এক মহা যুগান্তকারী অনুপম আদর্শের নাম। এ আদর্শের ঝাণ্ডা কাঁধে বহন করা কি আমাদের দায়িত্ব নয়?
قال -النبي صلى الله عليه وسلم-: «وَذِرْوَةُ سَنَامِهِ الجِهَادُ – الترمذي/ رقم 2616
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ “এবং ইসলামের চূড়ার উপরে জিহাদের স্থান।”
সুনানে আত-তিরমিযিঃ ২৬১৬।
কেন এমন হচ্ছে?
এর প্রতিকার কি; এসব নিয়ে ভাববার সময় মুসলমানদের আছে বলে মনে হয়না। কারণ তারা ব্যস্ত, খুবই ব্যস্ত। স্কুল-কলেজ। ব্যবসা, চাকুরী, সংসার ও সমাজ তাদেরকে অক্টোপাসের ন্যায় জড়িয়ে ফেলেছে! আসলে যতটা না ব্যস্ত তার চেয়ে বেশী তারা শয়তানের ধোঁকার শিকার!
#সে_কু_লার ও তাদের সহযোগীরা অতীত কাল থেকেই মনে করতেন ইসলাম শিক্ষার প্রতিষ্ঠান গুলো অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখেনা। হাল জামানায় আরও যোগ হয়েছে আরেকটি জোরালো অভিযোগ তাহলো, দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নাকি চরমপন্থীদের জন্ম দান করে থাকে! বর্তমান মিডিয়ার বরকতে ঐ সব অভিযোগ আরেক মাত্রা অগ্রসর হয়ে পুরা ইসলামকেই চরম পন্থা (টেররিজম) এর ট্যাগ লাগিয়ে দিয়েছে। ফলে দুনিয়ার সকল শক্তি এক হয়ে উঠে পড়ে লেগেছে যাতে টেররিজম থেকে মুক্তি লাভ করা যায়। পরিণতিতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ইসলাম ও মুসলমান একসাথে। এ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার নিমিত্তে আমাদের কি কিছুই করার নেই?
জিহাদ এক মহান কাজ। ইসলামের উচ্চতম স্থানের উচ্চে এর অবস্থান। এ জিহাদ কে কি কলুষমুক্ত করার উপায় নেই? ইসলাম এক মহা যুগান্তকারী অনুপম আদর্শের নাম। এ আদর্শের ঝাণ্ডা কাঁধে বহন করা কি আমাদের দায়িত্ব নয়?
قال -النبي صلى الله عليه وسلم-: «وَذِرْوَةُ سَنَامِهِ الجِهَادُ – الترمذي/ رقم 2616
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ “এবং ইসলামের চূড়ার উপরে জিহাদের স্থান।”
সুনানে আত-তিরমিযিঃ ২৬১৬।