বিশ্বের অন্যতম প্রধান সংবাদ সংস্থা হল রয়টার। দুনিয়ার এমন কোন সংবাদপত্র, রেডিও সেন্টার ও টিভি সেন্টার নেই, যারা রয়টার থেকে সংবাদ সংগ্রহ করে না। বর্তমান বিশ্বের প্রধান দু'টো প্রচার-মাধ্যম বিবিসি এবং ভয়েস অব আমেরিকা প্রায় ৯০% সংবাদ রয়টার থেকে সংগ্রহ করে। এ রয়টার ছাড়া দুনিয়ার সমস্ত সাংবাদিকতা যেন অচল। রয়টার হচ্ছে আকাশ সংবাদ-সংস্থার মহারাজাধিরাজ। আর তা হল ইয়াহুদীদের নিয়ন্ত্রণে।
এ ছাড়া এসোসিয়েটেড প্রেস (এপি), ইউনাইটেড প্রেস (ইউপি), এজেন্সী ফ্রান্স প্রেস (এ এফ পি) -এ সবই ইয়াহুদীদের।
বর্তমান বিশ্বে সব চাইতে প্রসিদ্ধ সংবাদ প্রচার-মাধ্যম হল বিবিসি। এখান হতে ৪৩টি ভাষায় সংবাদ ও অন্যান্য অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়ে থাকে এবং এর খবরকে অধিকাংশ লোকে 'অহী' বলে ধারণা ও বিশ্বাস করে। মনে করে, এই প্রচার কেন্দ্রের খবর হল নির্ভুল সত্য এবং নিরপেক্ষও। অথচ তারা যে দ্বীনদার মুসলিমদের প্রতি নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি রাখে না, তা হয়তো দ্বীনদাররাই বোঝেন এবং পাশাপাশি আরবী, উর্দু, হিন্দী ও বাংলা অনুষ্ঠান যাঁরা শোনেন তারাও একথা নিশ্চয়ই অনুধাবন করে থাকবেন। আসলে এই গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রটিও ইয়াহুদী পরিচালিত। এর পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে তারাই। ওদিকে স্টার টিভি যখন থেকে বিশ্বকে তা প্রোগ্রামের সেবাদাস বানিয়ে ফেলেছে, তখন থেকে ইহুদীদের প্রচার-প্রোপাগান্ডা আরো অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্রিটেনের সংবাদপত্রের উপর ইহুদীদের প্রভাব প্রায় শত ভাগ। ধীরে-ধীরে তারা সবই দখল করে নিয়েছে। ব্রিটেনের নেতৃস্থানীয় ১৫টি দৈনিকের মালিকই তারা। (তথ্য সন্ত্রাস ১২১-১২৬পৃঃ)
ভাই যুবক! এই দীর্ঘ আলোচনায় বিরক্ত না হয়ে হয়তো বুঝতে পেরেছ যে, বিধর্মীদের অধর্ম প্রচারে যে জোর, মুসলিমদের ইসলাম প্রচারে সামান্যও সে জোর নেই। বিজাতির প্রচার-মাধ্যম ও শক্তির কাছে মুসলিম প্রচার-মাধ্যম ও শক্তি নেহাতই দুর্বল। তাদের সে আলো-ঝলমল সুশোভিত, সুরঞ্জিত বিভিন্ন প্রোগ্রাম ছেড়ে ধর্ম-নিয়ন্ত্রিত সাদা-মাঠা প্রোগ্রাম আর কেই বা দেখে অথবা কেই বা শোনে? ঢাকের শব্দের মাঝে মোহন বাঁশীর সূর বিলীন হওয়ারই কথা। তাছাড়া ইসলামী সে প্রচার-মাধ্যম আছেই বা ক'টা? থাকলেও সঠিক ও শুদ্ধ ইসলাম প্রচার হয়ই বা কোনটায়?
পক্ষান্তরে মানুষের মন হল মন্দ-প্রবণ, প্রবৃত্তিপরায়ণ। ভালো-মন্দ উভয়ই পাশাপাশি সুসজ্জিত থাকলে বেশীর ভাগ মানুষের মন মন্দের দিকেই আকৃষ্ট হতে থাকে, ধাবিত হয় ভালো ছেড়ে ঐ নোংরার দিকে। কিন্তু পূর্ব হতেই যদি প্রতিষেধক ঈমানী ও ইসলামী টিকা বা ভ্যাকসিন নেওয়া থাকে, তাহলে ঐ সংক্রমণের ভয় আর থাকে না। সংক্রামক ব্যাধি বিষয়ে পূর্ব-সতর্কতা থাকলে তার সংস্পর্শ ও ছোঁয়াচ থেকে সুদূরে থাকলেও সে ব্যাধির কবল থেকে নিজেকে রক্ষা করা সম্ভব হয়।
(যুব সমস্যা ও তার শরয়ী সমাধান)
আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী