Tuesday 28 August 2018

আয়াতুল কুরসী ও তাওহীদের প্রমাণাদি

শাইখ আব্দুর রায্‌যাক ইবন আব্দুল মুহসিন আল-বদর
অনুবাদ: আবদুর রাকীব (মাদানী)
সম্পাদনা: ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
 সূচীপত্র
ক্রশিরোনামপৃষ্ঠা
ভূমিকা
আয়াতুল কুরসীর মাহাত্ম্য
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মতকে আয়াতুল কুরসী পড়তে উদ্বুদ্ধ করেন১৬

আয়াতুল কুরসী শয়তানের অনিষ্ট থেকে নিরাপদে রাখে

২৫
আয়াতুল কুরসী পড়ার উদ্দেশ্য২৯
আয়াতুল কুরসীর সংক্ষিপ্ত বিষয়াদি৩১
আয়াতটির শুরু কথা৩৯
কালেমার উদ্দেশ্য শুধু মুখে উচ্চারণ করা নয়৪১
একটি মহান মূল নীতি১০১
১০উপসংহার১০৯
১১আন্তরিক আহ্বান১১১

ভূমিকা
সমস্ত প্রশংসা সুউচ্চ সুমহান এবং একচ্ছত্র উচ্চতার অধিকারী আল্লাহর জন্য, যিনি মহত্ব, মহিমা এবং অহংকারের মালিক। আর আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, এক আল্লাহ ব্যতীত কোনো সত্য উপাস্য নেই। তাঁর কোনো শরীক নেই। পূর্ণাঙ্গ বিশেষণসমূহে তিনি একক এবং আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, অবশ্যই মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা এবং রাসূল। তাঁর ওপর এবং তাঁর সহচরবৃন্দ ও পরিবার পরিজনের প্রতি বর্ষিত হউক দুরূদ-রহমত এবং শান্তি।
অতপর….
কুরআন মাজীদের সর্বমহান আয়াত ‘আয়াতুল কুরসী’ এবং তাতে উল্লিখিত মহৎ, স্পষ্ট এবং উজ্জ্বল দলীল প্রমাণসমূহের সম্পর্কে এটি একটি সংক্ষিপ্ত পুস্তিকা ও আলোচনা, যা মহত্ত্ব, বড়ত্ব এবং পূর্ণতার ব্যাপারে মহান আল্লাহর একত্বের প্রমাণ বহন করে এবং বর্ণনা করে যে, তিনি আল্লাহ পবিত্র। তিনি ছাড়া কোনো প্রতিপালক নেই। নেই কোনো সত্য উপাস্য। তাঁর নাম বরকতপূর্ণ। মহান তাঁর মহিমা। তিনি ছাড়া নেই কোনো মা‘বুদ।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿ٱللَّهُ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ ٱلۡحَيُّ ٱلۡقَيُّومُۚ لَا تَأۡخُذُهُۥ سِنَةٞ وَلَا نَوۡمٞۚ لَّهُۥ مَا فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِي ٱلۡأَرۡضِۗ مَن ذَا ٱلَّذِي يَشۡفَعُ عِندَهُۥٓ إِلَّا بِإِذۡنِهِۦۚ يَعۡلَمُ مَا بَيۡنَ أَيۡدِيهِمۡ وَمَا خَلۡفَهُمۡۖ وَلَا يُحِيطُونَ بِشَيۡءٖ مِّنۡ عِلۡمِهِۦٓ إِلَّا بِمَا شَآءَۚ وَسِعَ كُرۡسِيُّهُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضَۖ وَلَا يَ‍ُٔودُهُۥ حِفۡظُهُمَاۚ وَهُوَ ٱلۡعَلِيُّ ٱلۡعَظِيمُ ٢٥٥﴾ [البقرة: ٢٥٥]
“আল্লাহ, তিনি ব্যতীত অন্য কোনো উপাস্য নেই, তিনি চিরঞ্জীব ও সর্বদা রক্ষণাবেক্ষণকারী, তন্দ্রা ও ঘুম তাঁকে স্পর্শ করে না, আকাশসমূহে ও যমীনে যা কিছু আছে সবই তারই; এমন কে আছে যে তাঁর অনুমতি ব্যতীত তাঁর নিকট সুপারিশ করতে পারে? তাদের সামনের ও পিছনের সবকিছুর ব্যাপারে তিনি অবগত। তাঁর জ্ঞানসীমা থেকে তারা কোনো কিছুকেই পরিবেষ্টিত করতে পারে না, কিন্তু যতটুকু তিনি আছে এবং এসবের সংরক্ষণে তাঁকে বিব্রত হতে হয় না এবং তিনি সমুন্নত মহীয়ান।” [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ২৫৫]
[আয়াতুল কুরসীর মাহাত্ম্য]
এই বরকতপূর্ণ আয়াতটির বড় মাহাত্ম্য এবং উচ্চ মর্যাদা রয়েছে। কারণ মাহাত্ম্য, সম্মান এবং মর্যাদার বিবেচনায় কুরআন মাজীদের আয়াতসমূহের মধ্যে এটি সর্বমহান, সর্বোত্তম এবং সুউচ্চ আয়াত। এর চেয়ে সুমহান আয়াত কুরআনে আর নেই। হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই আয়াতটিকে সর্বোত্তম বলেছেন। ইমাম মুসলিম তাঁর স্বীয় সহীহ গ্রন্থে উবাই ইবন কা‘ব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসূল তাঁকে বলেন,

Download AsPDF

Print Friendly and PDFPrint Friendly and PDFPrint Friendly and PDF
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...