·

শাইখ পরিচিতি:
‘আল্লামাহ মুহাম্মাদ বিন সা‘ঈদ রাসলান (হাফিযাহুল্লাহ)
‘আল্লামাহ মুহাম্মাদ বিন সা‘ঈদ রাসলান (হাফিযাহুল্লাহ) মিশরের একজন প্রখ্যাত মুহাদ্দিস এবং ফাক্বীহ। তিনি ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দে মিশরের মনুফিয়া গভর্নোরেটে জন্মগ্রহণ করেছেন। তিনি আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেডিসিন এবং সার্জারির উপর স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এছাড়াও তিনি আল-আযহার থেকেই ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের আওতাধীন ডিপার্টমেন্ট অফ দ্য অ্যারাবিক ল্যাঙ্গুয়েজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এরপর তিনি আল-আযহার থেকে হাদীসের উপর মাস্টার্স ও পিএইচডি সম্পন্ন করেছেন। তিনি অসংখ্য মৌলিক কিতাবের দারস দিয়েছেন। তিনি একাধারে তাফসীর, উসূলে তাফসীর, হাদীস, উসূলে হাদীস, ফিক্বহ, উসূলে ফিক্বহ, ‘আক্বীদাহ, মানহাজ, ফারাইদ্ব, সীরাত প্রভৃতি বিষয়ে অসংখ্য কিতাবের দারস দিয়েছেন। বিভিন্ন বিষয়ে তিনি প্রায় দেড় শতাধিক গ্রন্থ রচনা করেছেন।
‘আল্লামাহ হাসান বিন ‘আব্দুল ওয়াহহাব (হাফিযাহুল্লাহ) [জন্ম: ১৯২৫ খ্রি.] বলেছেন, “মিশরে যারা সালাফী দা‘ওয়াতের উপর প্রতিষ্ঠিত রয়েছেন, তাঁরা হলেন—সম্মানিত শাইখ ‘আলী হাশীশ, সম্মানিত শাইখ মুহাম্মাদ সা‘ঈদ রাসলান...।” [আজুর্রি (ajurry) ডট কম]
কুয়েত বিশ্ববিদ্যালয়ের শারী‘আহ অনুষদের অধ্যাপক শাইখ ড. ফালাহ বিন ইসমা‘ঈল আল-মুনদাকার (হাফিযাহুল্লাহ) [জন্ম: ১৯৫০ খ্রি.] শাইখ মুহাম্মাদ রাসলানের ব্যাপারে বলেছেন, “আমি শাইখের সান্নিধ্যে থাকার, তাঁর দারস শ্রবণ করার এবং তাঁর থেকে ফায়দা গ্রহণ করার নসিহত করছি। আল্লাহ’র কসম! আমি তাঁকে দেখেছি যে, তিনি সুন্নাহ, সালাফিয়্যাহ, শার‘ঈ শিষ্টাচারের ব্যাপারে প্রবল আগ্রহী। আমি তাঁকে দেখেছি যে, তিনি একজন দুনিয়াবিমুখ পরহেজগার মানুষ। আমরা আল্লাহ’র কাছে প্রার্থনা করছি, তিনি যেন আমাদেরকে ও তাঁকে দ্বীনের উপর সুদৃঢ় রাখেন এবং আমাদেরকে ও তাঁকে (সৎকর্মের) তাওফীক্ব দান করেন।” [
sahab.net]
শাইখ ড. ফালাহ বিন ইসমা‘ঈল আল-মুনদাকার (হাফিযাহুল্লাহ) আরও বলেছেন, “তোমাদের জন্য আকাবির তথা বড়োদের আঁকড়ে ধরা আবশ্যক। আল্লাহ’র রহমতে মিশরে তোমাদের কাছে আছেন আশ-শাইখ হাসান বিন ‘আব্দুল ওয়াহহাব আল-বান্না এবং আশ-শাইখ মুহাম্মাদ সা‘ঈদ রাসলান (হাফিযাহুমাল্লাহু তা‘আলা)। তোমাদের জন্য এই বড়োদের আঁকড়ে ধরা আবশ্যক। তাঁদের কাছে ভাইদের একত্রিত করো এবং তোমাদের সমস্যাগুলো এই বড়োদের কাছে উপস্থাপন করো। বড়োদের দিকে ফিরে যাওয়ার মধ্যে বিরাট কল্যাণ এবং মহান উপকারিতা রয়েছে।” [প্রাগুক্ত]
‘আল্লামাহ সুলাইমান বিন সালীমুল্লাহ আর-রুহাইলী (হাফিযাহুল্লাহ) কে মিশরের কোন শাইখের দারসে উপস্থিত হওয়া যাবে—মর্মে প্রশ্ন করা হলে তিনি শাইখ রাসলানকে সাজেস্ট করেন এবং বলেন, “আমি শাইখ রাসলানকে চিনি তাঁর বক্তব্য শোনার মাধ্যমে। তিনি স্বীয় ‘আক্বীদাহ ও মানহাজে শক্তিশালী ব্যক্তি।” [দ্র.:
https://m.youtube.com/watch?v=_6F744sSM-M (অডিয়ো ক্লিপ)]
এতদ্ব্যতীত ইমাম রাবী‘ আল-মাদখালী-সহ আরও অনেক ‘আলিম ও শাইখ ‘আল্লামাহ মুহাম্মাদ রাসলানের এবং তাঁর দা‘ওয়াতী কার্যক্রমের প্রশংসা করেছেন। আল্লাহ তাঁর অমূল্য খেদমতকে কবুল করুন এবং তাঁকে উত্তমরূপে হেফাজত করুন। আমীন। সংগৃহীত:
rslan.com ও
sahab.net।
·
১ম বক্তব্য:
আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ মুহাম্মাদ বিন সা‘ঈদ রাসলান (হাফিযাহুল্লাহ) [জন্ম: ১৯৫৫ খ্রি.] বলেছেন,
الإخوان المسلمون جماعةٌ بدعية، وفِرقةٌ من الثنتين والسبعين فرقة التي ذكرها الرسول -صلى الله عليه وسلم- في حديث الافتراق. الإخوانُ المسلمون ليس عندهم منهجٌ اعتقاديّ! فهم يجمعون كلَّ مَن طار ودَرَجَ! وهَبَّ ودَبَّ! معهم المعتزلية، والأشعرية، والصوفية ولو كان اتحاديًا حُلوليًا!، ومعهم دون ذلك، بل ومعهم النصارى! فما عندهم من منهجٍ اعتقاديٍّ!
ومعلومٌ أنّ الإصلاحَ لا يبدأ إلا بالعقيدة، وأنتَ عندما تدعو الناس إلى الدين لا تقول لهم: نُطبِّق عليكم شريعة الله –وهم لا يعرفونه–! ولا تقول لهم: اتَّبِعُوا رسولَ الله –وهم يجهلونه–!
فلابد من بيان العقيدة أولاً؛ إذ الشريعةُ مؤسسة على عقيدتها.
فهذه الخُدعة الكبرى التي يُروِّجُ لها قومٌ من جلدتنا يتكلمون بلساننا، وينطقون بكلامنا ولغتنا، ويأخذون من الليل كما تأخذون. هذه الخُدعة الكبرى التي يُرَوِّج لها أولئك زائفةٌ مكشوفة! واضحةٌ مفضوحة!
مَن مِن الأنبياء بدأَ الدعوةَ بغير العقيدة؟! مَن مِن الأنبياء والمرسلِين بدأَ قومَه بغير الدعوة إلى توحيد رب العالمين؟! مَن؟ كلُّهم! كلُّ المرسلِين من نوحٍ إلى محمدٍ يدعون أقوامهم إلى إخلاص العبادة لله، إلى توحيد الله رب العالمين وحده، ولا يلتفتون إلى النتائج، ويأتي النبيُّ يومَ القيامة وليس معه أحدٌ! لم تُزَيَّف العقيدة، ولم تُبَدَّل الشريعة، ولم تُغَيَّر معالم الملة، وإنما كان الأمرُ واضحًا مكشوفًا.
“মুসলিম ব্রাদারহুড একটি বিদ‘আতী দল। এটি (পথভ্রষ্ট) ৭২ দলের অন্তর্ভুক্ত, যে দলগুলোর ব্যাপারে রাসূল ﷺ হাদীসুল ইফতিরাক্বে [যে হাদীসে রাসূল ﷺ স্বীয় উম্মাহ’র ৭৩ দলে বিভক্ত হওয়ার কথা বলেছেন, সে হাদীসকে ‘হাদীসুল ইফতিরাক্ব’ বা ‘উম্মাহ বিভক্তির হাদীস’ বলা হয়। – সংকলক] আলোচনা করেছেন। মুসলিম ব্রাদারহুডের ‘আক্বীদাহগত আদর্শ নেই। তারা সবাইকে তাদের দলে জমা করে। তাদের সাথে মু‘তাযিলীরা আছে, আশ‘আরীরা আছে, এমনকি সূফীরাও আছে, যদিও সে সর্বেশ্বরবাদী সূফী হয়! তাদের সাথে আরও অনেকে রয়েছে। এমনকি তাদের সাথে খ্রিষ্টানরাও আছে। তাদের কোনো ‘আক্বীদাহগত আদর্শ নেই। আর একথা সুবিদিত যে, সংস্কার (ইসলাহ) স্রেফ ‘আক্বীদাহর মাধ্যমেই শুরু করতে হয়। তুমি যখন মানুষকে দ্বীনের দিকে আহ্বান করবে, তখন তুমি তাদেরকে বলো না যে, আমরা তোমাদের উপর আল্লাহ’র আইন বাস্তবায়ন করব, অথচ তারা তা জানেই না। তুমি তাদেরকে বলো না যে, তোমরা আল্লাহ’র রাসূলের আনুগত্য করো, অথচ তারা রাসূলকেই চিনে না।
অবশ্যই প্রথমে ‘আক্বীদাহ বর্ণনা করতে হবে। যেহেতু শরিয়ত ‘আক্বীদাহর উপরই প্রতিষ্ঠিত। এই মহাপ্রতারণা প্রচলিত করেছে এমন সম্প্রদায়, যারা আমাদের মতো ত্বকেরই মানুষ, আমাদের মতো জবান দিয়েই কথা বলে, আমাদের ভাষাতেই কথা বলে। তারা রাত থেকে তাই লাভ করে, যা তোমরা করে থাক। ওদের চালুকৃত এই মহাধোঁকা সুস্পষ্ট প্রতারণা এবং স্পষ্ট কুৎসা।
নাবীদের মধ্যে কে ‘আক্বীদাহ ব্যতীত অন্য বিষয়ের মাধ্যমে দা‘ওয়াত শুরু করেছেন? নাবী ও রাসূলগণের মধ্যে কে স্বীয় সম্প্রদায়কে বিশ্বজগতের প্রতিপালক মহান আল্লাহ’র তাওহীদের দিকে দা‘ওয়াত দেওয়া বাদ দিয়ে অন্য বিষয়ের দা‘ওয়াত দিয়ে শুরু করেছেন? কে? বরং তাঁরা সবাই, নূহ থেকে মুহাম্মাদ পর্যন্ত সকল রাসূল তাঁদের সম্প্রদায়কে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহ’র ইবাদত করার দিকে তথা এক আল্লাহ’র তাওহীদের দিকে আহ্বান করেছেন। তাঁরা পরিণতির দিকে তাকাননি। কেননা কেয়ামতের দিন এমন নাবীও আসবেন, যার সাথে তাঁর অনুসারী থাকবে না। ‘আক্বীদাহ জাল করা হয়নি, শরিয়ত পরিবর্তিত হয়নি, উম্মাহ’র রূপরেখাও পরিবর্তিত হয়নি। সুতরাং বিষয়টি সুস্পষ্ট ও উদ্ভাসিত।” [“মাযা লাও হাকামাল ইখওয়ানু মিসর”– শীর্ষক খুত্ববাহ; খুত্ববাহ’র তারিখ: ৪ই রজব, ১৪৩৩ হিজরী মোতাবেক ২৫শে মে, ২০১২ খ্রিষ্টাব্দ; খুত্ববাহ’র অনুলিপির লিংক: www.ajurry(এখানে একটি ডট বসিয়ে লিংকটি ব্যবহার করুন)com/vb/showthread.php?t=28027.]
·