আমাদের জীবনের সবটাই হচ্ছে পরীক্ষা, কখনো ভালো কখনো খারাপ হবে। কিন্তু মনে রাখতে হবে আমাদের চূড়ান্ত পরীক্ষার রেজাল্ট দেয়া হবে – কেয়ামতে। তাই এইরকম ছোট-খাট কিছু রেজাল্ট নিয়ে খুব বেশি আহ্লাদিত বা ভেঙ্গে পড়ার কিছু আছে বলে মনে হয়না। যদিও বয়স ও অভিজ্ঞতা কম থাকার কারণে আপনাদের অনেকের কাছে – এটা অনেক বড় মনে হওয়াই স্বাভাবিক।
যাইহোক, রেজাল্ট ভালো হলে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করবেন, খুশি হলে শুকরিয়া স্বরূপ সিজদা করা সুন্নত। আর আশানুরূপ রেজাল্ট না হলে ধৈর্য ধরবেন, হতাশ হবেন না। বুয়েট-মেডিকেল পড়েও অনেক ছেলে ঈমানদার নয়, বেনামাযী, মুর্তাদ, যিনাকারী। হতে পারে, আশানুরূপ রেজাল্ট না দিয়ে আল্লাহ তাঁকে দ্বীনদার, ধার্মিক, চরিত্রবান, ধৈর্যশীল বানাতে চাচ্ছেন। আপাত দৃষ্টিতে এটা আমাদের ভালো না লাগলেও হয়তোবা, চূড়ান্ত পরিণতি এটাই কল্যানকর। তাই মনোঃক্ষুণ্ণ হবেন না, আপনি যদি ঈমানদার হন চূড়ান্ত বিজয় – জান্নাত আপনার। ভবিষ্যতে ভালো করার জন্য আল্লাহর কাছে দুয়া করবেন ও চেষ্টা করে যাবেন।
আল্লাহর কাছে দুয়া করি সকলেই যেন তাদের আশা অনুযায়ী সর্বোত্তম রেজাল্ট পেয়ে যান, আমিন।
রাসুল সাঃ এর কিছু কথা, আশা করি সকলেই মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।
অনেক ভালোমানুষ বা বড় রকমের পাপী না হয়েও যে কারণে বিপদের সম্মুখীন হতে পারেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
“আল্লাহ যার কল্যাণ চান তাকে বিপদের মুখে পতিত করেন। অর্থাত্ বিপদ দিয়ে তাকে পরীক্ষা করেন।” (সহীহ বুখারী, হাদীস নং- ৫২৩৬)।
“আল্লাহ যার কল্যাণ চান তাকে বিপদের মুখে পতিত করেন। অর্থাত্ বিপদ দিয়ে তাকে পরীক্ষা করেন।” (সহীহ বুখারী, হাদীস নং- ৫২৩৬)।
যদিও আল্লাহ তাকে ভালোবাসেন তবুও তাকে বিপদে ফেলে পরীক্ষা করেন, এর হিকমত হচ্ছেঃ
১. বিপদের দ্বারা তার দুনিয়ার জীবনের পাপ ও ভুল-ভ্রান্তির প্রায়শ্চিত্ত হয়ে পাপ মোচন হবে।
২. বিপদ-আপদে ধৈর্য ধরার কারণে সে পরকালে বেহিসাব নেয়ামত পাবে।
২. বিপদ-আপদে ধৈর্য ধরার কারণে সে পরকালে বেহিসাব নেয়ামত পাবে।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
“দুনিয়ায় যারা বিপদ-আপদে নিপতিত হয়েছে তাদেরকে যখন কিয়ামতের দিন বিনিময় প্রদান করা হবে তখন বিপদ-আপত মুক্ত ব্যক্তিরা আশা করবে, দুনিয়ায় যদি তাদের চাঁমড়া কাচি দিয়ে টুকরা টুকরা করে ফেলা হত।”
সহিহ আত্ তিরমিজি, সংসারের প্রতি অনাসক্তি অধ্যায়, হাদিসঃ ২৪০২, হাদীসটি হাসান সহীহ।
“দুনিয়ায় যারা বিপদ-আপদে নিপতিত হয়েছে তাদেরকে যখন কিয়ামতের দিন বিনিময় প্রদান করা হবে তখন বিপদ-আপত মুক্ত ব্যক্তিরা আশা করবে, দুনিয়ায় যদি তাদের চাঁমড়া কাচি দিয়ে টুকরা টুকরা করে ফেলা হত।”
সহিহ আত্ তিরমিজি, সংসারের প্রতি অনাসক্তি অধ্যায়, হাদিসঃ ২৪০২, হাদীসটি হাসান সহীহ।
পক্ষান্তরে অনেকে দিন-রাত পাপ কাজে ডুবে থাকে তবুও আল্লাহ তাদেরকে পার্থিব জীবনে সাময়িক ভোগ-বিলাসের জন্য অবসর দেন। এ প্রসংগে আল-আল্লামাহ, শায়খ মুহা’ম্মাদ বিন সালেহ আল-উসাইমিন রাহিমাহুল্লাহ বলেনঃ
“যদি কাউকে দেখ সে প্রকাশ্য কবীরা গুনাহতে লিপ্ত আর আল্লাহ তাকে তার বিরোধীতাকারীদের থেকে আশ্রয় দিয়েছেন এবং তাকে দুনিয়ার জীবনে উন্নতি দান করছেন – তাহলে নিশ্চিত জেনে রাখ - আল্লাহ তার খারাপ চান। কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “আল্লাহ্ যখন তাঁর বান্দার কল্যাণের ইচ্ছা করেন তখন দুনিয়াতে তার জন্য তাড়াতাড়ি বিপদ-আপদ নাযিল করে দেন। আর যখন তিনি তাঁর বান্দার অমঙ্গলের ইচ্ছা করেন তখন তাকে গোনাহের মধ্যে ছেড়ে দেন। অবশেষে কিয়ামতের দিন তাকে পাকড়াও করবেন।
তিরমিযী, রিয়াদুস স্বালিহিন।
তিরমিযী, রিয়াদুস স্বালিহিন।
No comments:
Post a Comment