ঈদের জন্য অভিনন্দন জানানো জায়েয। তবে এর জন্য বিশেষ কোন বাক্য নেই। মানুষের সাধারণ সমাজে প্রচলিত যে কোন শব্দ ব্যবহার করা যেতে পারে,তবে তা যেন কোন অশ্লীল শব্দ না হয় বা কাফেরদের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ না হয়।
[ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম, শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন রহঃ ]
অবশ্য বর্ণিত আছে যে,আল্লাহর রাসুল সাঃ এর সাহাবাগণ ঈদের দিন একে অন্যের সাথে সাক্ষাৎ হলে বলতেন, Taqabbal Allahu Minna wa Minkum (May Allah accept it from you and us)তাকাবাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম(আল্লাহ আপনাদের এবং আমাদের আমল গুলোকে কবুল করুক ’ (তামামুল মিন্নাহ, আলবানী রহঃ)
অবশ্য ঈদী মুবারকবাদের শব্দাবলী দেশের প্রচলিত ব্যবহার অনুযায়ী হবে; তবে তাতে এমন শব্দ চলবে না যা শরীয়তে হারাম। অথবা তা বিজাতীর কাছ থেকে ধার করা বা অনুকরণ করা;অর্থাৎ, তাদের পাল-পর্বনে পরস্পরকে অভিনন্দন জানানোর শব্দ যেন না হয়।
প্রকাশ যে,ঈদের সলাতের পর খাস ঈদী মুআনাকা বা কোলাকুলি শরীয়তে বিধেয় নয়। যেমন ঈদের সলাতের পর কবরস্থানে গিয়ে খাস কবর-যিয়ারত বিদআত।
[ রমাযানের ফাযায়েল ও রোযার মাসায়েল ,আবদুল হামীদ ফাইযী]
তাই যারা ‘ঈদ মুবারক’ বলা বিদআত বলে তাদের কথায় ঈদের মুবারকবাদ জানানো হতে আপনার পরিজনদেরকে বঞ্চিত করবেন না।আল্লাহ আমাদের ও আপনাদের থেকে নেক আমল কবুল করুন।
- আমীন
No comments:
Post a Comment