১১. প্রশ্নঃ আল্লাহ তা’য়ালা কি আমাদের সাথে স্বশরীরে রয়েছেন না ইলম বা জ্ঞানের মাধ্যমে?
উত্তরঃ আল্লাহ তা’য়ালা জ্ঞান ও দর্শনের মাধ্যমে আমাদের সাথে রয়েছেন, স্বশরীরে নয়।
কোরআন হতে দলীলঃ
উত্তরঃ আল্লাহ তা’য়ালা জ্ঞান ও দর্শনের মাধ্যমে আমাদের সাথে রয়েছেন, স্বশরীরে নয়।
কোরআন হতে দলীলঃ
{قَالَ لَا تَخَافَا إِنَّنِي مَعَكُمَا أَسْمَعُ وَأَرَى} (سورة طه: 46)
‘‘আল্লাহ তা’য়ালা বলেন (মূসা [আঃ] ও হারুন [আঃ] কে) তোমরা (দুইজন) ভয় করোনা, নিশ্চয় আমি তোমাদের সঙ্গেই রয়েছি, শ্রবণ করব এবং দেখব (হিফাযত, সাহায্য ও সমর্থনের মাধ্যেমে)।’’ (সূরা ত্বহাঃ ৪৬)
হাদীস হতে দলীলঃ
হাদীস হতে দলীলঃ
«إِنَّكُمْ تَدْعُونَ سَمِيعًا قَرِيبًا وَهُوَ مَعَكُمْ» (رواه مسلم)
‘নিশ্চয় তোমরা আহবান কর অতি নিকটবর্তী শ্রবণকারীকে, যিনি তোমাদের সঙ্গে রয়েছেন। (তাঁর জ্ঞানের মাধ্যমে শুনছেন ও দেখছেন)।’ (সহীহ মুসলিম)
১২. প্রশ্নঃ সবচেয়ে বড় পাপ কি?
উত্তরঃ সবচেয়ে বড় পাপ হলো বড় শির্ক।
কোরআন হতে দলীলঃ
উত্তরঃ সবচেয়ে বড় পাপ হলো বড় শির্ক।
কোরআন হতে দলীলঃ
{إِنَّ اللَّهَ لَا يَغْفِرُ أَنْ يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَلِكَ لِمَنْ يَشَاءُ وَمَنْ يُشْرِكْ بِاللَّهِ } (سورة النساء: 48)
‘‘নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে লোক তাঁর সাথে শরীক করে। তিনি ক্ষমা করেন এর নিম্ন পর্যায়ের পাপ, যার জন্য তিনি ইচ্ছা করেন।’’ (সূরা নিসাঃ ৪৬)
হাদীস হতে দলীলঃ
হাদীস হতে দলীলঃ
«(سُئِلَ صلى الله عليه وسلم أيُّ الذَّنب أعظم؟ قَالَ: أَنْ تدعوَ للهِ ندّاً وَهُوَ خلقك» (رواه مسلم)
‘আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল কোন্ পাপটি সবচেয়ে বড়? তিনি বলেছিলেন, কাউকে আল্লাহর সমকক্ষ হিসেবে ডাকা অথচ তিনি তোমাদের সৃষ্টি করেছেন)।’ (সহীহ মুসলিম)
১৩. প্রশ্নঃ বড় শির্ক কাকে বলে?
উত্তরঃ যে কোন ইবাদত গায়রুল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি বা বস্তুর জন্য করা যেমন- কবর, মাজার ও অলীর নিকট দু’আ, নযর, সিজদা, কুরআনী, পশু জবাই, বিপদে মুক্তি কামনা করা ও ছেলে-মেয়ে চাওয়া প্রভৃতি।
কোরআন হতে দলীলঃ
উত্তরঃ যে কোন ইবাদত গায়রুল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি বা বস্তুর জন্য করা যেমন- কবর, মাজার ও অলীর নিকট দু’আ, নযর, সিজদা, কুরআনী, পশু জবাই, বিপদে মুক্তি কামনা করা ও ছেলে-মেয়ে চাওয়া প্রভৃতি।
কোরআন হতে দলীলঃ
{قُلْ إنّما أدعوا ربِّي وَلاَ أُشركُ بِهِ أحداً} (الجن: 20)
‘‘আপনি বলুন! আমি একমাত্র আমার প্রতিপালককেই আহবান করি, আর তাঁর সহিত অন্য কাউকে তাঁর অংশীদার গণ্য করি না।’’ (সূরা জ্বিনঃ ২০)
হাদীস হতে দলীলঃ
হাদীস হতে দলীলঃ
«أَكْبَرُ الْكَبَائِرِ الإِشْرَاكُ بِاللَّهِ» (رواه البخاري)
‘সবচেয়ে বড় গুনাহ হল আল্লাহর সহিত অন্য কাউকে অংশীদার বানানো।’ (সহীহ বুখারী)
১৪. প্রশ্নঃ বড় শির্কের ক্ষতি কি?
উত্তরঃ বড় শির্ক জাহান্নামে চিরস্থায়ী হওয়ার কারণ।
কোরআন হতে দলীলঃ
উত্তরঃ বড় শির্ক জাহান্নামে চিরস্থায়ী হওয়ার কারণ।
কোরআন হতে দলীলঃ
{إنّه مَن يُشرِك باللهِ فَقَدْ حرّمَ اللهُ عَلَيهِ الجنّة ومأواهُ النّار} (المائدة:72)
‘‘নিশ্চয় যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে অংশীদার স্থির করে, আল্লাহ তার জন্যে জান্নাত হারাম করে দেন। এবং তার বাসস্থান হয় জাহান্নাম। অত্যাচারীদের কোন সাহায্যকারী করি না।’’ (সূরা মায়েদাঃ ৭২)
হাদীস হতে দলীলঃ
হাদীস হতে দলীলঃ
«مَنْ مَاتَ يُشْرِكُ بِاللَّهِ شَيْئًا دَخَلَ النَّارَ» (متفق عليه)
‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সহিত কোন বস্তুকে অংশী স্থাপন করে মারা যাবে সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।’ (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)
১৫. প্রশ্নঃ শির্কের সাথে আমল কোন উপকারে আসবে কি?
উত্তরঃ শির্কের সাথে কোন আমলই উপকারে আসবে না।
কোরআন হতে দলীলঃ
উত্তরঃ শির্কের সাথে কোন আমলই উপকারে আসবে না।
কোরআন হতে দলীলঃ
{وَلَوْ أَشْرَكُوا لَحَبِطَ عَنْهُمْ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ} (الأنعام:88)
‘‘যদি তারাও (নবীগণও) শির্ক বা অংর্শী স্থাপন করত, তবে তাদের কাজ কর্ম তাদের জন্যে ব্যর্থ হয়ে যেত।’’ (সূরা আনআমঃ ৮৮)
হাদীস হতে দলীলঃ
হাদীস হতে দলীলঃ
«مَنْ عَمِلَ عَمَلاً أَشْرَكَ فِيهِ مَعِى غَيْرِى تَرَكْتُهُ وَشِرْكَهُ ») حديث قدسي-رواه مسلم)
‘যে ব্যক্তি কোন আমল করলো এবং উহাতে আমার সহিত অন্য কাউকে শরীক বা অংর্শী স্থাপন করলো, আমি তাকে এবং তার শির্কী আমল উভয়কেই পরিত্যাগ করবো।’ (সহীহ মুসলিম)
No comments:
Post a Comment