Friday 8 August 2014

সালাতে যেই ৭টি স্থানে দুয়া করা যায়

আমরা অনেকেই জানি, সালাতের সিজদাতে ও সালাম ফিরানোর আগে দুয়া করা যায়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, সালাতে মোট কতগুলো জায়গায় দুয়া করা যায়? সেইগুলো কি কি?


নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সালাতে মোট ৭টি স্থানে দুয়া করতেন। সালাতে যেই ৭টি স্থানে দুয়া করা যায়ঃ

১. সানাঃ তাকবীর তাহরীমার আল্লাহু আকবার বলে বুকে হাত বাঁধার পরে, সালাত শুরুর দিকে সানা হিসেবে দুয়া পড়া যায়। এখানে নিজের পছন্দমতো যেকোনো দুয়া করা যায়না, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেই দুয়াগুলো করেছেন শুধু সেই দুয়াগুলোই করা যাবে। আর এইখানে দুয়াটা আরবীতেই করতে হবে।
প্রচলিত ভাষায় আমরা যাকে সানা বলি, সহীহ হাদীসে এখানে অন্য আরো সানা আছে, যেই সানাতে দুয়া আছে। সানা হিসেবে আমরা যেটা পড়ি এর পরিবর্তে ঐ দুয়ার সানা পড়া যাবে। বরং অনেক আলেম সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে বর্ণিত সানার ঐ দুয়াটাকে বেশি ভালো বলে মত দিয়েছেন। আপনি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সানা হিসেবে দুয়াটার অর্থের দিকে লক্ষ্য করুন, তাহলে বুঝবেন কত সুন্দর দুয়া এটা। অলসতা করে মুখস্থ না করার কারণে আপনি মহামূল্যবান এই দুয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। চিন্তা করুন এতো সুন্দর ভাষায় আল্লাহর কাছে নিজের গুনাহ থেকে মাফ চেয়ে সালাত শুরু করলে আল্লাহ তা’আলা সেই সালাতকে কত বেশি পছন্দ করবেন! তাই প্রিয় বন্ধুরা! অলসতা বাদ দিয়ে কষ্ট করে এই দুয়াটা মুখস্থ করে মাঝে মাঝে পড়ার চেষ্ট করবেন। যখন সময় কম থাকে বা অলসতা লাগে তখন ছোট যেটা সুবহা’নাকা আল্লাহুম্মা...এটা পড়লেন আর যখন সময়, ইচ্ছা, শক্তি-সামর্থ্য আছে বা এমনিতেই একবার তোওবা করার ইচ্ছা সানা হিসেবে এই দুয়াটা পড়লেন। দুয়াটা হচ্ছেঃ

اللَّهُمَّ بَاعِدْ بَيْنِي وَبَيْنَ خَطَايَايَ كَمَا بَاعَدْتَ بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ، اللَّهُمَّ نَقِّنِي مِنْ خَطَايَايَ كَمَا يُنَقَّى الثَّوْبُ الْأَبْيَضُ مِنَ الدَّنَسِ، اللَّهُمَّ اغْسِلْني مِنْ خَطَايَايَ، بِالثَّلْجِ وَالْماءِ وَالْبَرَدِ.

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা বাইয়ি’দ বাইনী ওয়া বাইনা খাত্বা-ইয়া-ইয়া কামা বা-‘আদতা বাইনাল মাশরিক্বি ওয়াল মাগরিব। আল্লা-হুম্মা নাক্কিনী মিন খাত্বা-ইয়া-ইয়া কামা ইয়ুনাক্কাস্ ছাওবুল আবইয়াদু মিনাদ দানাস। আল্লা-হুম্মাগসিলনী মিন খাত্বা-ইয়া-ইয়া বিস্‌সালজি ওয়াল মা-’ই ওয়াল বারাদ।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি আমার এবং আমার গুনাহসমূহের মাঝে এমন দূরত্ব সৃষ্টি করুন যেমন দূরত্ব সৃষ্টি করেছেন পূর্ব ও পশ্চিমের মাঝে। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে আমার গুনাহসমূহ থেকে এমনভাবে পরিষ্কার করে দিন, যেমন সাদা কাপড় ময়লা থেকে পরিষ্কার করা হয়। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে আমার পাপসমূহ বরফ, পানি ও মেঘের শিলাখণ্ড দ্বারা ধৌত করে দিন।” 
বুখারীঃ ৭৪৪, মুসলিমঃ ৫৯৮।

২. দুয়া কুনুতঃ কিরাত শেষ করে রুকুতে যাবার আগে দুয়া কুনুত পড়া সুন্নত। বিতির সালাতে ও সাময়িকভাবে ফজরের ফরয সালাতেও (মুসলিমদের বিপদ আপদ থেকে বাঁচার জন্য, অত্যাচারী কাফেরদের বদদুয়া করার জন্য অথবা উম্মাহর বিশেষ প্রয়োজন এমন সময়ে) দুয়া কুনুত পড়া সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমানিত। সবচাইতে সহীহ ও অর্থের দিক থেকে বেশি সুন্দর যে দুয়া কুনুত সেটা হচ্ছেঃ

اللَّهُمَّ اهْدِنِي فِيمَنْ هَدَيْتَ، وَعَافِنِي فِيمَنْ عَافَيْتَ، وَتَوَلَّنِي فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ، وَبَارِكْ لِي فِيمَا أَعْطَيْتَ، وَقِنِي شَرَّ مَا قَضَيْتَ؛ فَإِنَّكَ تَقْضِي وَلاَ يُقْضَى عَلَيْكَ، إِنَّهُ لاَ يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ، [وَلاَ يَعِزُّ مَنْ عَادَيْتَ]، تَبارَكْتَ رَبَّنا وَتَعَالَيْتَ

উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মাহদিনী ফীমান হাদাইতা ওয়া ‘আ-ফিনী ফীমান ‘আ-ফাইতা ওয়া তাওয়াল্লানী ফীমান তাওয়াল্লাইতা ওয়াবা-রিক লী ফীমা আ‘ত্বাইতা ওয়াক্বিনী শাররা মা ক্বাদাইতা ফাইন্নাকা তাক্ব‌্দ্বী ওয়ালা ইউক্ব্‌দ্বা ‘আলাইকা। ইন্নাহু লা ইয়াযিল্লু মাও ওয়া-লাইতা, [ওয়ালা ইয়া‘ইয্যু মান ‘আ-দাইতা।] তাবা-রক্‌তা রব্বানা ওয়া তা‘আ-লাইতা।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি যাদেরকে হেদায়াত করেছেন তাদের মধ্যে আমাকেও হেদায়াত দিন, আপনি যাদেরকে নিরাপত্তা প্রদান করেছেন তাদের মধ্যে আমাকেও নিরাপত্তা দিন, আপনি যাদের অভিভাবকত্ব গ্রহণ করেছেন, তাদের মধ্যে আমার অভিভাবকত্বও গ্রহণ করুন, আপনি আমাকে যা দিয়েছেন তাতে বরকত দিন। আপনি যা ফয়সালা করেছেন তার অকল্যাণ থেকে আমাকে রক্ষা করুন। কারণ আপনিই চূড়ান্ত ফয়সালা দেন, আপনার বিপরীতে ফয়সালা দেওয়া হয় না। আপনি যার সাথে বন্ধুত্ব করেছেন সে অবশ্যই অপমানিত হয় না [এবং আপনি যার সাথে শত্রুতা করেছেন সে সম্মানিত হয় না।] আপনি বরকতপূর্ণ হে আমাদের রব্ব! আর আপনি সুউচ্চ-সুমহান।”
সুনান গ্রন্থকারগণ, আহমাদ, দারামী ও বাইহাকী এ হাদীসটি সংকলন করেছেন। আবু দাউদঃ ১৪২৫, তিরমিযীঃ ৪৬৪, নাসাঈঃ ১৭৪৪, ইবন মাজাহঃ ১১৭৮, আহমাদঃ ১৭১৮, দারামীঃ ১৫৯২, হাকিমঃ ৩/১৭২, বাইহাকীঃ ২/২০৯। আর দু’ ব্রাকেটের মাঝখানের অংশ বাইহাকীর। শায়খ আলবানীর মতে হাদীসটি সহীহঃ ইরওয়াউল গালীলঃ ২/১৭২।
দেখা যাচ্ছে, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই দুয়াটি অনেকগুলো হাদীস গ্রন্থেই উল্লেখ করা হয়েছে। এথেকে এর মর্যাদা বোঝা যাচ্ছে। দুয়া কুনুতের দুয়াটা আরবীতেই করতে হবে।

৩. রুকু থেকে মাথা উঠিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়িয়েঃ রুকু থেকে দাঁড়িয়ে নিজের পছন্দমতো যেকোনো দুয়া করা যায়না, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেই দুয়াগুলো করেছেন শুধু সেই দুয়াগুলোই করা যাবে। আর এইখানে দুয়াটা আরবীতেই করতে হবে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন রুকু থেকে মাথা উঠাতেন তখন দুয়া করতেন।
(আল্লামাহ ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম এখানে তার বইয়ে যেই দুয়াটা উল্লেখ করেছেন সেটা আমি খুঁজে পাইনি বলে দিতে পারলাম না, দুঃখিত)।

৪. রুকুতে দুয়া করা যায়ঃ নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রুকুর মাঝেও দুয়া করতেন। তবে রুকুতে নিজে থেকে কোন দুয়া করা নিষিদ্ধ। শুধুমাত্র নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রুকুতে যেই দুয়া করেছেন সেই দুয়া করা যাবে। রুকুতে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেই দুয়া করেছেন তাহলঃ
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আ’নহা বলেন যেঃ সুরা নাসর নাযিল হওয়ার পর থেকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কখনো এই দুয়া পড়া ছাড়া সালাত পড়তে দেখিনি।

سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ رَبَّنَا وَبِحَمْدِكَ، اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي

উচ্চারণঃ সুবহা’নাকা আল্লা-হুম্মা রাব্বানা ওয়া বিহা’মদিকা আল্লা-হুম্মাগফিরলী।
অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি আমাদের রব্ব। তোমার পবিত্রতা ঘোষণা করি, তোমার প্রশংসা সহকারে। হে আল্লাহ! তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও।
সুবহা’নাকা – পবিত্রতা ঘোষণা করছি, রাব্বানা – হে আমাদের রব্ব, ওয়া = এবং, বিহা’মদিকা = প্রশংসা সহকারে, আল্লা-হুম্মা = হে আল্লাহ! আল্লা-হুম্মা + মাগফিরলী = আল্লা-হুম্মাগফিরলী, আল্লা-হুম্মা = হে আল্লাহ! মাগফিরলি = তুমি আমাকে ক্ষমা করো
এই দুয়া রুকু এবং সিজদা দুই জায়গাতেই পড়া যায়, ১/৩ করে। এই দুয়া পড়ার আগে তাসবীহগুলো পড়ে নিতে হবে।
দুয়াটার রেফারেন্স হলোঃ সহীহ মুসলিম ৯৬৯।

৫. সিজদাতে দুয়া করাঃ
সিজদায় দুয়া করা নিয়ে A-Z জানতে 



৬. দুই সিজদার মাঝখানে বসা অবস্থায়ঃ এখানে নিজের পছন্দমতো যেকোনো দুয়া করা যায়না, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেই দুয়াগুলো করেছেন শুধু সেই দুয়াগুলোই করা যাবে। আর এইখানে দুয়াটা আরবীতেই করতে হবে।
ছোট্ট এই দুয়াটা কি মুখস্থ করা যায়না?
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফরয,সুন্নত, নফল যে কোনো সালাতের দুই সিজদার মাঝখানে বসা অবস্থায় এই দুআটি করতেনঃ

رَبِّ اغْفِرْ لِي، رَبِّ اغْفِرْ لِي

উচ্চারণঃ রাব্বিগ ফিরলি, রাব্বিগ ফিরলি।
অর্থঃ হে আমার রব আমাকে ক্ষমা করা, হে আমার রব আমাকে ক্ষমা কর।
আবু দাউদ ১/৩১, ইবনে মাজাহ, দুয়াটা সহীহ।
এই ছোট্ট দুয়াটা পড়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ মিস করা ঠিকনা। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দিনে ৭০ থেকে ১০০ বার তোওবা করতেন। আপনি যদি সালাতের দুই সিজদার মাঝখানে এই দুয়াটা পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলেন তাহলে দিনে যত রাকাত করে সালাত পড়বেন, তত বারই আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া হবে। আল্লাহর ভালোবাসা পাওয়ার একটা উপায় হচ্ছে বেশি বেশি করে নিয়মিত তোওবা ও ইস্তিগফার করা (ক্ষমা করা)
এছাড়া আরেকটা ছোট্ট সুন্দর দুয়াঃ

اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي، وَارْحَمْنِي، وَاهْدِنِي، وَاجْبُرْنِي، وَعَافِنِي، وَارْزُقْنِي، وَارْفَعْنِي

উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মাগফিরলী, ওয়ারহা’মনী, ওয়াহদিনী, ওয়াজবুরনী, ওয়াআ’ফিনি, ওয়ারযুক্বনী, ওয়ারফা‘নী।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন, আমার প্রতি দয়া করুন, আমাকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন, আমার সমস্ত ক্ষয়ক্ষতি পূরণ করে দিন, আমাকে নিরাপত্তা দান করুন, আমাকে রিযিক দান করুন এবং আমার মর্যাদা বৃদ্ধি করুন”।
হাদীসটি ইমাম নাসাঈ ব্যতীত সুনান গ্রন্থগারগণ সবাই সংকলন করেছেন। আবূ দাউদঃ ৮৫০, তিরমিযীঃ ২৮৪, ২৮৫, ইবন মাজাহঃ ৮৯৮। শায়খ আলবানির মতে হাদীস সহীহ।

. দুয়া মাসুরাঃ তাশাহুদ (আত্তাহিয়্যাতু) ও দুরুদের পরে, সালাম ফিরানোর আগে দুয়া মাসুরা (হাদীসে বর্ণিত দুয়াগুলো) ও নিজের পছন্দমতো দুয়া করা যায়। ফরয সালাতের শেষ বৈঠকের দুয়া আল্লাহ বেশি কবুল করেন।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হল, ‘কোন দো‘আ সর্বাধিক শোনা (কবুল করা) হয়?’ তিনি বললেন, “রাত্রির শেষভাগে এবং ফরয নামায সমূহের শেষাংশে”।
তিরমিযী ৩৪৯৯, ইমাম তিরমিযী ও শায়খ আলবানীর মতে হাদীসটি হাসান সহীহ।
সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় দুয়া মাসুরা হচ্ছে ৪টি বিষয় থেকে আশ্রয় চাওয়ার দুয়া।
কবরের আজাবজাহান্নামের আজাবদুনিয়ার ফেতনা ও মৃত্যুর সময়ের ফেতনা ও দাজ্জালের ফেতনা থেকে নিরাপদ থাকার জন্য দুয়া মাসুরাঃ

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এইগুলো থেকে বাঁচার জন্য ফরযনফল বা সুন্নতযেকোনো সালাতে তাশাহুদ ও দুরুদের পরে সালাম ফিরানোর আগে এই দুয়া পড়তে বলেছেন।

اَللَّهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ، وَمِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ، وَمِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ، وَمِنْ شَرِّ فِتْنَةِ الْمَسِيْحِ الدَّجَّالِ.

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নী আউযুবিকা মিন আযাবিল ক্বাবরি ওয়া মিন আযাবি জাহান্নামওয়ামিন ফিতনাতিল মাহইয়া ওয়াল্ মামাতিওয়ামিন সাররি ফিতনাতিল্ মাসীহিদ্-দাজ্জাল।

অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি আমাকে কাবরের আযাব থেকে রক্ষা করো,আমাকে জাহান্নামের আযাবএবং দুনিয়ার ফিনা  মৃত্যুর ফেতনা এবং দাজ্জালেরফিনা থেকে রক্ষা করো।
বুখারী ২১০২মুসলিম ১/৪১২হিসনুল মুসলিমপৃষ্ঠা– ৯০।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুয়া মাসুরা হিসেবে এই দুয়াটা পড়তে সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছেন। এছাড়া আরো অনেক দুয়া মাসুরা আছে অথবা আরবীতে অন্য দুয়াগুলো এইখানে পড়তে পারবেন ইন শা আল্লাহ। এছাড়া কুরআন অথবা হাদীসে বর্ণিত অন্য দুয়াগুলো, রাব্বানা আতিনা...রাব্বির হামহুমা কামা...আল্লাহুম্মা ইন্নি আস আলুকাল জান্নাতে...এইরকম নিজের জন্য, মাতাপিতার জন্য, যেকোনো মুসলিমের জন্য দুনিয়া ও আখেরাতের যেকোন হালাল ও কল্যানকর কিছু চাওয়া যাবে।

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সালাতে এই ৭টি স্থানে নিজে দুয়া করেছেন এবং সাহাবীদেরকেও দুয়া করতে বলেছেন।
মূলঃ আল্লামাহ আল-হাফিজ, ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম আল-জাওজিয়া রাহিমাহুল্লাহ।
বইয়ের নামঃ “আল্লাহর রাসুল কিভাবে নামায পড়তেন”।
শতাব্দী প্রকাশনী, ঢাকার কাঁটাবনে এই বইটা কিনতে পাওয়া যায়, সম্ভব হলে এই বইটা কিনে পড়ার চেষ্টা করবেন ইন শা’ আল্লাহ।

নারী ও পুরুষ সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি...

পুরুষদের পোশাক সংক্রান্ত ব্যপারে কিছু দিক নির্দেশনাঃ
. সালাতের বাইরে পুরুষদের জন্য সতর হচ্ছে নাভী থেকে হাটু পর্যন্ত। আর সালাতের ভেতরে নাভী থেকে হাঁটু পর্যন্ত আর দুই কাঁধ। অনেকে গোসলের পরে বা গরমে খালি গায়ে সতর উন্মুক্ত করে রাখে, সম্পূর্ণ হারাম। আর অনেকে মনে করে পুরুষ মানুষের লজ্জা-শরম কিসের? পুরুষদের মাঝে সতর ঢাকা জরুরী না। এইগুলো অজ্ঞ লোকদের কথা, এইগুলো ভুলেও করবেন না।
২. থ্রি কোয়ার্টার টাইট ও হাটুর নিচে পর্যন্ত ঢাকা থাকলে পড়া জায়েজ আছে, তবে মসজিদে না পড়াই ভালো কারণ অনেক থ্রি কোয়ার্টার আসলে বাসায় পড়ার বা ঘুমানোর আগে পড়ার জন্য উপযুক্ত, যেটা মানুষ জমায়েত হয় এমন জায়গায় পড়ার জন্য উপযোগী নয়। যেমন ধরেন, পুরুষদের জন্য লুংগি পড়া জায়েজ, কিন্তু কেউ কি গুরুত্বপূর্ণ অফিসিয়াল মিটিং এ লুংগি পড়ে যাবে? অবশ্যই না। তবে এমন থ্রি কোয়ার্টার যা ঢিলেঢালা, শালীন পর্যায়ের লম্বা এবং খুব বেশি রংচং বা ডিজাইনের না, সেইগুলো আশা করি মসজিদে পড়লে দূষণীয় হবেনা।
৩. হাঁটুর উপরে উঠে থাকে এমন পোশাক সম্পূর্ণ হারাম, কেউ এমন পোশাক পড়ে থাকলে তাঁর সতরের দিকে দৃষ্টি দেওয়া হারাম। উল্লেখ করে দেওয়া ভালো, ফুটবল খেলা দেখার অন্য অনেক সমস্যার সাথে এটাও একটা অনৈসলামিক বিষয়।
৪. খবরদার প্যান্ট টাখনুর নিচে পড়বেন না। এইটা একটা মারত্মক কবীরা গুনাহ। টাখনুর নিচে যায় এমন প্যান্ট কাটিয়ে সাইজ করে নেওয়া ভালো, যে যা ভাবে ভাবুক – আল্লাহর আইন সবার আগে। আর কোনো প্যান্ট লম্বা হলে অবশ্যই ভাজ করে টাখনুর উপরে রাখবেন।
৫. মেয়েদের ব্লাউজের মতো ছোট ও টাইট শার্ট/গেঞ্জি পড়বেন না। অনেক মুসলিম পুরুষ মেয়েদের ব্লাউজের মতো ছোট ও টাইট শার্টগেঞ্জি পড়ে নামায পড়েরুকু সেজদা করতে গেলে পিঠ বা সতর বেড়িয়ে পড়েসাবধাননামাযে সতর ঢেকে রাখা ফরয ফরয তরক করলে নামায ভেঙ্গে যাবে  
. দাঁড়ি চেছে ফেল দেবেন না, দাঁড়ি আল্লাহ দিয়েছেন রাখার জন্য যাতে করে নারীদের সাথে আলাদা হয়ে থাকে। দাঁড়ি চেছে নারীদের মতো চেহারা বানাবেন না। দাঁড়ি চাছা জঘন্য একটা স্বভাব।
হিন্দুদের ধুতির স্টাইলে পায়জামা পড়বেন না, ফ্যাশানের কারণে জাহান্নামে যাবেন না।
৮. রেশমী বা সিল্কের কাপড় আর স্বর্ণ সম্পূর্ণ হারাম। রেশম বা সিল্কের কাপড় থাকলে আপনার স্ত্রী বা নারীদেরকে অথবা হিন্দু/কাফেরকে গিফট দিয়ে দিতে পারেন। আর স্বর্ণ থাকলে আপনার স্ত্রী বা ঘরের নারীদেরকে দিয়ে দিন।
৯. চুল বড় ছোট রাখতে পারেন ইচ্ছা, কিন্তু কাফেরদের মতো করে অথবা উদ্ভট কার্টুনের, নায়কদের অভদ্র কাট দেবেন না। শালীন ও ভদ্রভাবে চুল গুছিয়ে রাখবেন, কাকের বাসা বানাবেন না।
১০. হাফ শার্ট পড়ে নামায পড়া যাবে, নামায মাকরুহ হবেনা। তবে ফুল শার্ট বা প্যান্ট ভাজ করে রাখলে সেটা মাকরুহ। নামাযে কাপড় ভাজ করে রাখা মাকরুহ। তবে ছেলেদের প্যান্ট টাখনুর নিচে গেলে ভাজ করে রাখবে, কারণ টাখনুর নিচে কাপড় পড়া বড় হারাম, তাই মাকরুহ হলেও সেটা করতে হবে। উল্লেখ্য এটা করলে সে একটা মাকরুহ কাজ করলো কিন্তু তার নামায পুরোটাই মকরুহ হবেনা।
১১জিন্স পড়া জায়েজ তবে শর্ত সাপেক্ষ। এতো টাইট হবেনা যে শরীরের গঠন বের হয়ে পড়ে, অথবা নামাযে রুকু সেজদা করতে অস্বস্তি লাগে। পোশাক ঢিলেঢালা আরামদায়ক হবে। তবে এটা বাদ দেওয়া ভালো কারণ এই পোশাকটা আরামদায়ক না।
১২কার্টুন, শয়তানের মাথা বা প্রাণীর ছবি, কাফেরদের নাম, ছবি দেওয়া কাপড় পড়বেন না। এইগুলো হারাম।
১৩পুরুষেরা শুধু চুল দাড়িতে মেহেদী দিতে পারবে। হাতে পায়ে মেহেদী দেওয়ার সৌন্দর্য নারীদের জন্য, পুরুষদের জন্য না।
১৪ফ্যাশানের নাম করে কানে দুল, হাতে চুড়ি, গলায় মোটা চেইন, হাতে ব্রেসলেট, এইগুলো পড়ে নারীদের অনুকরণ করবেন না। কি আশ্চর্য মা বোনদের গয়নাগাটি পড়ে আপনি নিজেকে বীর পুরুষ মনে করেন? সুবহা’নাল্লাহ। আজকালকার পুরুষদের মাঝে বিকৃতি ঢুকে গেছে। এইগুলো আল্লাহর লানত পাওয়ার মতো কাজ।  
১৫বন্ধু বান্ধবদের কাছ থেকে মেয়েদের নাম্বার নিয়ে মিসকল দেবেন না, মেয়েদের ডিস্টার্ব করবেন না। মেয়ে দেখেই প্রেম করার জন্য উঠে পড়ে লাগবেন না। এইগুলো হারাম তাতে কোনো সন্দেহই নাই, তার উপরে এইগুলো চরিত্রহীন, ব্যক্তিত্বহীন থার্ডক্লাস পুরুষদের কাজ। সম্ভব হলে বিয়ে করুন, না পারলে ধৈর্য ধরুন, বেশি কঠিন মনে হলে রোযা রাখুন।
১৬কাফের, ব্যভিচারী নায়কদের পোশাক, স্টাইল ফ্যাশান অনুকরণ করা সম্পূর্ণ হারাম। তাদের মতো চুল দাঁড়ি কাটা যাবেনা, ইয়াহুদী খ্রীস্টানদের মতো ফ্রেঞ্চকাট দাঁড়ি রাখা যাবেনা। দাঁড়ি রাখতে হবে সুন্নতি স্টাইলে।

এবার আসি নারীদের পোশাক সংক্রান্ত ব্যপারেঃ
নারীদের সতর হচ্ছে গায়ের মাহরাম বা যাদের সাথে বিয়ে জায়েজ আছে তাদের সামনে পুরোটাই হচ্ছে তাদের সতর। আর মাহরামদের সামনে মুসলিম সমাজে প্রচলিত যেই পোশাককে শালীন হিসেবে ধরা হয়ে সেটা (যেমন- সালোয়ার-কামিজ) সে পড়তে পারে। এক্ষেত্রে সে তার মাহরামদের সামনে চুল, হাতের কিছুটা অংশ এইগুলো উন্মুক্ত রাখতে পারে, মোটকথা অশ্লীল কোনো কিছু না হলেই হলো।
২. নামাযে মুখ, হাতের কবজি উন্মুক্ত থাকতে হবে। তবে পর পুরুষ থাকলে মুখও ঢেকে রাখতে হবে।
৩. কাফের, ব্যভিচারী নায়িকাদের পোশাক, স্টাইল ফ্যাশান অনুকরণ করা সম্পূর্ণ হারাম।
৪. পুরুষদের শার্ট, গেঞ্জি, ফতুয়া, প্যান্ট – এইগুলো পড়া সম্পূর্ণ হারাম। ঘরে বাইরে সব জায়গাতেই হারাম। এমনকি স্বামী যদি শুধু তার জন্য পড়তে বলে তবুও হারাম, স্বামীর এই কথাটা মানা যাবেনা। বোরখার নিচে জিন্সের প্যান্ট যদিওবা পুরোটা ঢাকা থাকে, তবুও হারাম। আর আধা হিজাবি কিছু নারী থ্রি-কোয়ার্টার বোরখা (কোমর বা হাঁটু পর্যন্ত) পড়ে নিচে টাইট সালোয়ার/প্যন্ট আরো অন্যান্য নাম না জানা চরম মাত্রার আপত্তিকর টাইট পোশাক পড়ে। এরা চরম অজ্ঞ, ধোঁকাবাজ নারী, এদের দেখতে ভালো লাগে দেখে ধোঁকায় পড়ে যাবেন না। লম্পট লোকদের চোখের জেনার দ্রব্য এই সমস্ত নারীদের জান্নাতে যাওয়া কঠিন বৈ সহজ হবেনা। এইগুলো আল্লাহর লানত পাওয়ার মতো কাজ।  
৫. বোরখা হবে ঢিলেঢালা, আরামদায়ক কাপড় ও সাইজের, অবশ্যইট টাইট ও নক্সাদার, জলমলে হবেনা, এইগুলো আরেক ফেতনা। বোরখা নারীদের সৌন্দর্যকে ঢাকার জন্য, সেটাই যদি আরেকটা সৌন্দর্যের উতস হয় তাহলে কি করে হবে?
৬. চেহারা পর পুরুষদের সামনে উন্মুক্ত রাখবেন না। অজ্ঞ বা অল্প শিক্ষিত দ্বায়ী অথবা আলেমদের ভুল ফাতওয়া গ্রহণ করে নিজের দ্বীনের বারোটা বাজাবেন না। চেহারাটাই হচ্ছে পুরুষদের জন্য মূল আকর্ষণ সেইখানে চেহারা প্রকাশ করে গায়ে এক্সট্রা একটা কাপড় দিলে সেটা কতটা কার্যকরী হবে,ফেতনা এড়ানোর জন্য?
৭. সৌন্দর্যের জন্য হাতে পায়ে মেহেদী দিতে পারবেন, তবে পর পুরুষকে দেখানো যাবেনা।
৮. জরুরী প্রয়োজনের পর পুরুষের সাথে কথা বললে মিষ্টি ও নম্র ভাষায় কথা বলবেন না, এতে পুরুষের লাই পেয়ে যায় পরে ডিস্টার্ব করবে বা আপনাকে পথভ্রষ্ট করবে।
. ছবি তুলবেন না। আপনার বান্ধবী আপনার ছবি তার বয়ফ্রেন্ড/ছেলে বন্ধুদের দেখিয়ে বেড়াবে, মাঝখান থেকে আপনার গুনাহ হবে, ঐ ছেলদেরকে আপনার ফোন নাম্বার দিয়ে আপনাকে পটাতে বলবে। অনেক ক্ষেত্রে নারীরাই নারীদের বড় ক্ষতি করে, এর প্রমান আমি নিজে জানি। যত্রতত্র ছবি তুলে বেড়াবেন না, গায়ের মাহরামকে চেহারা দেখাবেন না। আর তাদের ব্যপারে কিইবা বলার আছে, যারা ফেইসবুকে ছবি পোস্ট করে নিজের মান-ইজ্জত পুরুষদের কাছে বিক্রি করে দেয় সামান্য ২-৪টা লাইক পাওয়ার লোভে। এইগুলো কি আসলে এতোই দামি যে এইগুলোর জন্য জাহান্নামেও যাওয়া যেতে পারে? (ওয়াল ইয়াযু বিল্লাহ)
১০. রাস্তা ঘাটে বেহায়া বেপর্দা মেয়েদের মতো হৈচৈ করে পুরুষদেরকে উস্কে দেবেন না। আপনি একজন পুরুষের যৌন কামনার জন্য কারণ হলে তারজন্য আপনি দায়ী থাকবেন। বাহিরে স্বরকে এমন করবেন না যে পুরুষদের কামনার বস্তু হবে। একটা কথা মনে রাখবেন – নারীদের সব কিছু, সবকিছুই হচ্ছে “যিনাত” বা সৌন্দর্য, যা পুরুষদের মতো নয়। পুরুষদের চেহারা, শরীর, কন্ঠ কোনোকিছুই নারীদের মতো সুন্দর নয়, এইজন্যই নারীদের সৌন্দর্য ইসলামে মূল্যবান হিসেবে বিবেচিত। ঝিনুকের মাঝে যেমন মুক্তার মতো সম্পদ নিরাপদে লুকানো থাকে, ইসলাম নারীদেরকেও সেইরকম মূল্যবান হতে শিক্ষা দেয়। চরিত্রহীন বেহায়া মেয়েদের মতো পুরুষদের জন্য নিজেকে সস্তা অথবা ফ্রী করে দিতে নিষেধ করে।
১১. অনেকেই মনে করেন সাধারণ পোশাক পড়ে মাথায় একটা ওড়না দিলেই হিজাব-পর্দা হয়ে যাবে। জানা থাকা ভালো এটা তুর্কী (পথভ্রষ্টদের) স্টাইল। নারীদের হিজাব পর্দার জন্য সাধারণ পোশাকের উপরে আলাদা বোরখা অথবা ঢিলেঢালা চাদড় দিয়ে শরীর আবৃত করতে হবে, বিশেষ করে ওড়না দিয়ে চেহারা ও বুকের উপরে ঝুলিয়ে দিতে হবে।
১২. ফতুয়া, গেঞ্জি বা টাইট সালোয়াড় পড়ে কিন্তু ওড়না না ব্যবহার করে বুক উন্মুক্ত রেখে যেই সমস্ত নারী রাস্তায় নেমে পড়ে এরা আসলে রাস্তার মেয়ে। এদেরকে শয়তানের মতোই ঘৃণা করবেন।
১৩. নেটের কাপড়ের বা অত্যন্ত পাতলা কাপড় যা দিয়ে আলো-বাতাস যাওয়া আসে করে এমনভাবে যে শরীর দেখা যায়, এইসব ভুলেও পড়বেন না – এইগুলো জাহান্নামী নারীদের পোশাক। এদের ব্যপারেই হাদীসে বলা হয়েছে, এরা কাপড় পড়েও উলংগ নারী যারা জান্নাতের সুবাসটুকুও পাবেনা।
. পারফিউম, সেন্ট মেখে বাইরে যাবেন না। যারা যাবে হাদীসে বলা হয়েছে, তাদেরকে ব্যভিচারি নারী হিসেবে লেখা হবে।
১৫. হিন্দুদের ধুতির স্টাইলে পায়জামা পড়বেন না, ফ্যাশানের কারণে জাহান্নামে যাবেন না।
১৬. কলেজ, ইউনিভার্সিটির অনুষ্ঠানে বা পিকনিক উপলক্ষ্যে শাড়ী পড়ে বের হবেন না, হিজাব পর্দাকে ছুঁড়ে ফেলে দেবেন না। (এটা আমি নিজেই দেখেছি, আর শুনলাম বর্তমানে এটা দুঃখজনকভাবে বেড়ে যাচ্ছে). মনে রাখবেন হিজাব পর্দাকে ছুঁড়ে ফেলে ২দিনের দুনিয়াকে ভোগ করতে গেলে, দুনিয়টাও একদিন আপনাকে ব্যবহার করে ছুঁড়ে ফেলে দেবে। একটু খোজ নিয়ে দেখেন, যেই সমস্ত মানুষ এইগুলোতে লিপ্ত তাদের শেষ পরিণতি কি হয়েছে। ভার্সিটির শিক্ষক ছাত্রদেরকে উত্তেজিত করার দায়িত্ব আপনাকে দেওয়া হয়নি। নিজের ইজ্জত-আব্রু নিজে রক্ষা করবেন।
১৭. শাড়ি পড়লে অবশ্যই পেট পিঠসহ শরীর ঢাকা থাকতে হবে। স্বামী ছাড়া অন্য কারো সামনে না পড়াই ভালো। শাড়ি দিয়ে আমাদের দেশের নারীদের লজ্জা-শরম ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। নাউযুবিল্লাহ, তরুণী একটা মেয়েও পেট পিঠ বের করে রাস্তায় বেড়িয়ে পড়ে – কোনো লজ্জা-শরমের বালাই নাই।


এখানে বেশিরভাগ পয়েন্টের ব্যপারে অনেক সহীহ হাদীস এসেছে এবং এইগুলোর ব্যপারে অত্যন্ত কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়েছে। আসলে বললে আরো অনেক অনেক বলা যাবে যে, সারাদিনেও শেষ হবেনা। আপনারা ইন শা’ আল্লাহ পড়াশোনা করে নিজেরাও কিছু জানার ও বোঝার চেষ্টা করবেন।

Courtesy

তোমরা তোমাদের পালনকর্তার অভিমূখী হও এবং তাঁর আজ্ঞাবহ হও

No comments:

Post a Comment

Download AsPDF

Print Friendly and PDFPrint Friendly and PDFPrint Friendly and PDF
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...