Wednesday 6 August 2014

#কি প্রচার করে বেড়াচ্ছে শিয়া নিয়ন্ত্রিত কিছু অনলাইন সংবাদপত্র এবং ফাইছবুক পেজ ???

#কি প্রচার করে বেড়াচ্ছে শিয়া নিয়ন্ত্রিত কিছু অনলাইন সংবাদপত্র এবং ফাইছবুক পেজ ???

 #সৌদি মুফতিরা আসলে কি ‪#‎ফতোয়া‬ দিয়েছেন?
১. “ইসরাইল বিরোধী মিছিল করা হারাম”
২. “ইসরাইলকে অভিশাপ দেওয়া যাবেনা”
=> কোন মুসলমান যদি উপরের কথাগুলো শুনে মাথায় আগুন ধরে যাওয়ার কথা, ইসরাইল এর‪#‎বিরোধীতা‬ করা যাবেনা, ইসরাইলকে ‪#‎অভিশাপ‬ দেওয়া যাবেনা!!?
=> কোন ‪#‎আলেম‬ কি এই ধরণের কথা বলতে পারেন??
=> সমস্যা হচ্ছে বর্তমান যুগের মুসলমানেরা তাদের দ্বীন কি জানেনা, কোনটা ইসলাম এবং কোনটা ইসলাম নয় – এটা অনেকেই জানেনা। তাই ইসলাম বিরোধী বিভিন্ন শক্তি (কাফের, মুশরেক, মুনাফেক, শিয়া...) ওলামাদের কথাকে কাট-পেস্ট করে, আউট অফ কনটেক্সটে বলে সাধারণ মানুষকে ওলামাদের ব্যপারে ভুল বোঝায়।
নিচে কথিত যেই বিতর্কিত ফতোয়ার কথা বলা হয়েছে, চলুন দেখি ওলামারা আসলে কি বলেছিলেন, আর তারা যা বলেছেন তা কতটুকু সঠিক?

+++> ১. “ইসরাইল বিরোধী মিছিল করা হারাম”!!
বর্তমানে কেউ কেউ সৌদি ‪#‎গ্র্যান্ড_মুফতির‬ একটা কথাকে ভুলভাবে প্রচার করছে। তারা বলছে, সৌদি মুফতি নাকি বলেছেন, “ইসরাইল বিরোধী মিছিল করা হারাম”।
প্রকৃতপক্ষে ইসলামের দুশমন মুনাফেক মিডিয়া ও বিভ্রান্ত দল শিয়ারা (প্রেস টিভি, রেডিও তেহরান ইত্যাদি) গ্র্যান্ড মুফতি, আল-আল্লামাহ শায়খ আব্দুল আজীজ ইবনে আব্দুল্লাহ আহলে-শায়খ (হাফিঃ) এর একটা কথাকে ভুলভাবে প্রচার করছে। প্রকৃতপক্ষে সৌদি প্রধান মুফতি বলেছেনঃ
“এই ধরণের মিছিল-সমাবেশ কোন উপকারে আসে না। এই ধরণের গণতান্ত্রিক কার্যক্রম কোন সাহায্য করতে পারবে না। এসব করার চেয়ে তাদের সাহায্যের জন্য ফান্ড গঠন করা, তাদেরকে সাহায্য ও অনুদান দেওয়া, এসবই বেশি কাজে আসবে।” - শায়খ আব্দুল আজীজ ইবনে আব্দুল্লাহ আহলে-শায়খ (হাফিঃ)।
এই পুরো ফতোয়াটা পড়লে যে কেউ বুঝতে পারবে যে, গ্র্যান্ড মুফতি আসলে ইসরায়েলের বিরোধীতা করতে নিষেধ করেন নি। তিনি ইসরায়েলের বিরোধীতা হিসেবে ‪#‎মিছিল‬ করার কোন উপকার নেই বলেছেন, যা আসলে তিনি ঠিকই বলেছেন।
কিন্তু বিরোধীরা গ্র্যান্ড মুফতির বিরুদ্ধে তাদের মিথ্যা প্রচারণা চালিয়েই যাচ্ছে। একজনকে কমেন্ট করে জানালাম, সে আমার কমেন্ট ডিলিট করে দিয়েছে। যাইহোক, আল্লাহই তাদের সঠিক প্রতিদান দিবেন।
আরেকটা কথা, হরতাল ও মিছিল করার মাঝে কোন উপকার নেই, এই ধরণের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ করা জায়েজ নয় - এই ফতোয়া আধুনিক যুগের সমস্ত ওলামারাই দিয়েছেন, এমনকি তাদের মাঝে ‪#‎ইজমা‬ আছে এই কথাটির উপরে যে, মিছিল করা বলতে কোন কিছু ইসলামে নেই। কিছু বড় আলেমদের নাম দেওয়া হলো যারা মিছিল করা জায়েজ নয় বলে ফতোয়া দিয়েছেনঃ শায়খ বিন বাজ, শায়খ আলবানী, শায়খ উসায়মিন সহ বিগত ও বর্তমান শতাব্দীর সমস্ত ওলামারা।
শায়খ সালিহ আস-শুহাইমি বলেছেনঃ
“এই সমস্ত কর্মকান্ড হচ্ছে ‘আমালু সুফাহাহ’ বা বোকা লোকদের কাজ”।
হরতাল, মিছিল এইসব কখনো ইসলামের পথ হতে পারে না। বরং এই ধরণের ফেতনা-ফাসাদের কাজগুলো কাফের-মুশরেকদের কাছ থেকে মুসলিম সমাজের আমদানী করা হয়েছে, যাতে করে মুসলমান সমাজে বিশৃংখলা ও ফেতনা-ফাসাদ সৃষ্টি করে তাদের উপর তাদের উপর নিয়ন্ত্রন নিতে পারে। উদাহরণ হিসেবে দেখুন – মিশরের প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকের বিরুদ্ধে মিছিল-সমাবেশ করে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসে ‪#‎মুসলিম‬ ব্রাদারহুড। কিছুদিন পরে একই পদ্ধতিতে প্রেসিডেন্ট মুরসিকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসে সেনাবাহিনী প্রধান সিসি। ইতিহাসে এইকথা বারবার প্রমানিত হয়েছে যে, ইয়াহুদী খ্রীস্টানদের শিরকি পদ্ধতি গণতন্ত্র, ভোট ও এর বিভিন্ন শরীয়তবিরোধী কার্যক্রম বিক্ষোভ মিছিল ও সরকারবিরোধী সমাবেশ মুসলমানদের কোন উপকারে আসেনা, বরং অনেক রক্তপাত ও ক্ষতি করেছে।
মুসলিমদের ইতিহাসে প্রথম বিক্ষোভ সমাবেশ করে একদল বিপথগামী লোক উসমান রাঃ এর যামানায়, যার ফলে তাঁকে শহীদ হতে হয়েছিল। তাই সুন্নী ভাই ও বোনদের উচিত আবেগকে বর্জন করে ক্বুরান ও সুন্নাহর দলীল ভিত্তিক জীবন পরিচালনা করা।
+++> ২. “ইসরাইলকে অভিশাপ দেওয়া যাবেনা”
ইমাম শাওকানী (রহঃ) বলেছেন, “সমস্ত ওলামারা একমত হয়েছেন যে, ইসরাইল হচ্ছে ইয়াকুব আঃ (ইসহাক আঃ এর পুত্র, ইব্রাহীম আঃ এর নাতি)।”
হিব্রু ভাষায় ‪#‎ইসরাইল‬ অর্থ হচ্ছে – আল্লাহর বান্দা, সে হিসেবে ইয়াকুব আঃ এর অন্য আরেক নাম ছিলো ইসরাইল। আর জায়োনিস্ট ইয়াহুদীরা নিজেদেরকে ইয়াকুব আঃ এর অনুসারী হিসেবে দাবী করার কারণে ফিলিস্থিন দখল করে তাদের সন্ত্রাসী রাষ্ট্রের নাম রাখ ‪#‎ইসরায়েল‬
এজন্য আল-আল্লামাহ, শায়খ সালেহ আল-ফাওজান (হাফিঃ) ফতোয়া দিয়েছেন যে, ইসরায়েলকে অভিশাপ দেওয়া যাবেনা কারণ ইসরায়েলকে অভিশাপ দেওয়া মানে একজন নবীকে অভিশাপ দেওয়া, নাউযুবিল্লাহ। ইসরায়েলকে অভিশাপ না করে, বলতে হবে ইয়াহুদী বা ইয়াহুদী রাষ্ট্রের উপর আল্লাহর অভিশাপ।
এখন কারো যদি মাথায় সামান্য ব্রেইন থাকে ও নবী রাসুলদের গালি দেওয়া কুফুরী, এই কথা জানা থাকে তাহলে একটু চিন্তা করে দেখুন, শায়খ ফাওজান এর ফতোয়া কি ঠিক, নাকি তাঁর নামে ইসলামের মিথ্যাবাদী দুশমনেরা যে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে সেটা ঠিক?
আল্লাহ আমাদেরকে রক্ষা করুন।
Collected 

1 comment:

  1. আরেকটি বিষয় প্রায়শ বলা হয়। মিছিল-মিটিং-এ কোন লাভ হয় না। এগুলোতে
    ফেতনা-ফাসাদ হয়। এই বক্তব্য সর্বাংশে সত্য নয়। আমি একটি বিপরীত উদাহরণ
    দিই। সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে গ্রিক দেবীর মূর্তি স্থাপন করা হয়েছিল।
    সারাদেশে ব্যাপক মিছিল ও বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট সেটি সরিয়ে
    নেয়। মিছিলও যে কাজ করে, এটি তার উদাহরণ।

    ReplyDelete

Download AsPDF

Print Friendly and PDFPrint Friendly and PDFPrint Friendly and PDF
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...