Thursday 7 August 2014

নাশিদ/ইসলামিক গান/ গজল/কাওয়ালী নিয়ে সউদী আলেমদের ফতোয়া





নাশিদ/ইসলামিক গানগজল/কাওয়ালী/সামা’ নিয়েসউদী আলেমদের ফতোয়াঃ
ফতোয়া :
প্রশ্নঃ শায়খ বিভিন্ন জলসা  সমাবেশে ধফ বা কোনোমিউজিক্যাল এফেক্ট ছাড়া যে “ইসলামিক নাশিদ” গাওয়াহয় এর হুকুম কি?
উত্তরঃ এর কোনো ভিত্তি নেইএটা একটা নতুন আবিষ্কার(বিদআ) 
এই নাশিদকে ইসলামের অংশ বলা হচ্ছে এবং নাম দেওয়াহয়েছে “ইসলামিক গানএর দ্বারা তারা বুঝাতে চাচ্ছে– ইসলাম এই ধরণের গানের হুকুম দিয়েছে কিন্তু এরকোনো ভিত্তি নেই 
অপরদিকে এই গানগুলো যদি আল্লাহর আনুগত্য নৈকট্য অর্জনের জন্য লেখা হয়ে থাকেনিশ্চিতভাবে এটাসুফীদের লক্ষণ সুফীরাই প্রথম মুসলমানদের মাঝেনাশিদ চালু করেছিলো তারা এটাকে আল্লাহর ইবাদতহিসেবে চালু করেছিলো (একটা বেদাত) 
একজন মুসলিমদের জন্য সর্বোত্তম হচ্ছে সে এইগুলোরদিকে লক্ষ্য করবেনা যেই সমস্ত কবিতার মাঝে উপকারী ভালো কথা আছে সেইগুলোর মাঝে কোনো দোষ নেইএইগুলো কেউ একজন আবৃত্তি করলে কোনো দোষ নেই,কিন্তু কোনো জলসা  সমাবেশে নাবা কয়েকজনএকসাথে গাইবে এমন না কবিতার কিছু উপকারী দিকআছেমানুষ এইগুলো থেকে উপকৃত হতে পারে যেমনরাসুলুল্লাহ (সাঃএর সময় এমন সাহাবী ছিলো যিনিকবিতা লেখতেন তারা তাদের কবিতা রাসুলুল্লাহ (সাঃ)কে শোনাতেন এমনিভাবে কেউ কাজ করতে করতেক্লান্তি দূর করার জন্য কবিতা আবৃত্তি করতে পারে এটানাশিদ নাএর দ্বারা সে কিছুটা কাজের বিরতি নিলোকিন্তু সমাবেশে সে এইগুলো গাইবেনাবা কয়েকজনএকসাথে কোরাসে গাওয়া – এইসবগুলো মানুষ আবিষ্কারকরে নিয়েছে 
কেউ যদি এইগুলোকে ইসলামের দিকে আরোপ না করেকরে তাহলে সেটা “লাহু” - নিতান্তই বাজে কথা 
আর কেউ যদি এইগুলোকে ইসলামের দিকে আরোপ করে(অর্থাত ইসলামিক গান বলেতাহলে সেটা বিদআহবে 
প্রশ্নকর্তাঃ শায়খআল্লাহ আপনাকে হেফাজত করুনকিছু মানুষ এইগান শোনা অভ্যাসে পরিণত করেছেতারা বাড়িতেগাড়িতে এইগানগুলো শুনছেএকা বাছেলেমেয়েদের সাথে – এরজন্য অনেক সময় নষ্ট করছে 
শায়খঃ যেহেতু এর কোনো ভিত্তি নেই সুতরাং এটা একটাফিতনাহ তাদের উচিত হচ্ছে কুরআনুল কারীমেরতেলাওয়াত শোনা অনুরূপভাবে ইসলামি শিক্ষামূলকওয়াজলেকচার শোনা নাশিদের জন্য সময় অপচয়করা ঠিকনা এতে কোনো কল্যান নেইবিনোদন ছাড়া 
ফতোয়া দিয়েছেন সউদী আরবের প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন,আল্লামাহ শায়খ সালিহ বিন ফাওজান আল-ফাওজানফতোয়ার লিংক –

http://www.youtube.com/watch?v=4Ee3kH0Ox88
ফতোয়া :
প্রশ্নঃ শায়খ কিছু নাশিদ আছে যা কয়েকজন একসাথেধফের সাথে গাওয়া হয় এই গানগুলোর ভালো অর্থ আছেএবং মানুষকে উতসাহ উদ্দীপনা দেয় এইগুলোর ব্যপারেআপনার মতামত কি?
উত্তরঃ ইসলামিক নাশিদের ব্যপারে অনেক কথা বলাহচ্ছে অনেকদিন আগে আমি নিজে এইগুলো শুনেছিলামপ্রথমদিকে যখন এইগুলো আসে তখন এটা ঠিক ছিলোতখন এইগুলোর সাথে ধফ ছিলোনা আর এইগুলোগানের মতো করে সুন্দর মিষ্টি সুরে গাওয়া হতোনা তাইএইগুলো তখন কোনো ফিতনাহ সৃষ্টি করেনি এইজিনিসগুলো (সুর/গান/বাদ্যযন্ত্রসহ গাওয়াপরবর্তীতেমানুষ আবিষ্কার করে নিয়েছে আস্তে আস্তে মানুষএইগুলো সাথে বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করা শুরু করেধফ বাঅন্যান্য এবং হারাম গানের মতো করে সুন্দর করেগাওয়ার প্রতিযোগিতা চালু হয় তাইআমি এইনাশিদগুলো নিয়ে সন্তুষ্ট না এর সবগুলো হারাম বলাযাবেনাআবার সবগুলোকে হালালও বলা যাবেনা বরংআমি যেই জিনিসগুলোর কথা বলেছি এইগুলো মুক্ত হলেনাশিদ জায়েজ হবে তবে যাই হোকনাশিদগুলো যদিধফগানের মতো সুন্দর করে সুর দিয়ে গাওয়া হয় তখনএইগুলো শোনা না-জায়েজ
ফতোয়া দিয়েছেন সউদী আরবের প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন,আল্লামাহ শায়খ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসায়মিনফতোয়ার লিংক -

http://www.youtube.com/watch?v=Vv3wtH03bRg 
ফতোয়া :
প্রশ্নঃ সম্মানিত শায়খমার্কেটে কিছু টেপ বিক্রি করা হয়যেইগুলোতে বাদ্যযন্ত্র যেমন ধফ বা তবলা সহকারেনাশিদ আছে এইগুলো শোনার হুকুম কি?
উত্তরঃ এইগুলো শোনা জায়েজ নয় – যদি এই বাদ্যযন্ত্রথাকেধফ বা অন্য যেকোনো কিছু কিন্তু যদি কোনোপ্রকার বাদ্যযন্ত্র না থাকে তাহলে এর কথার দিকে দেখতেহবে এইগুলো কি ভালো না খারাপ? 
আমার উপদেশ তরুণদের প্রতিতোমরা উপকারীজিনিসগুলো শোনো উপকারী জিনিস হচ্ছে - কুরআনেরতাফসীররাসুলুল্লাহ (সাঃএর হাদীসের ব্যখ্যাইসলামীজ্ঞানের উপরে কোনো আলোচনাযার দ্বারা সে নিজে অন্যেরাও উপকৃত হতে পারে 
কিন্তু এই নাশিদগুলো যেগুলোতে ধফ ছাড়া অন্যকোনবাদ্যযন্ত্র নেইকথাগুলো ভালো হয় তাহলে বিয়েরউপলক্ষ্যে শুধু নারীরা ক্রয় করেতাহলে তাদের জন্যএটা জায়েজ রয়েছে 
ফতোয়া দিয়েছেন সউদী আরবের প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন,আল্লামাহ শায়খ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসায়মিন(রহঃ) 
মূল ফতোয়ার লিংক -

http://www.youtube.com/watch?v=EvBSmUtWgUo&list=PL

No comments:

Post a Comment

Download AsPDF

Print Friendly and PDFPrint Friendly and PDFPrint Friendly and PDF
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...