নাশিদ/ইসলামিক গান/ গজল/কাওয়ালী/সামা’ নিয়েসউদী আলেমদের ফতোয়াঃ
ফতোয়া ১:
প্রশ্নঃ শায়খ বিভিন্ন জলসা ও সমাবেশে ধফ বা কোনোমিউজিক্যাল এফেক্ট ছাড়া যে “ইসলামিক নাশিদ” গাওয়াহয় এর হুকুম কি?
উত্তরঃ এর কোনো ভিত্তি নেই, এটা একটা নতুন আবিষ্কার(বিদআ’ত)।
এই নাশিদকে ইসলামের অংশ বলা হচ্ছে এবং নাম দেওয়াহয়েছে “ইসলামিক গান”।. এর দ্বারা তারা বুঝাতে চাচ্ছে– ইসলাম এই ধরণের গানের হুকুম দিয়েছে। কিন্তু এরকোনো ভিত্তি নেই।
অপরদিকে এই গানগুলো যদি আল্লাহর আনুগত্য ওনৈকট্য অর্জনের জন্য লেখা হয়ে থাকে, নিশ্চিতভাবে এটাসুফীদের লক্ষণ। সুফীরাই প্রথম মুসলমানদের মাঝেনাশিদ চালু করেছিলো। তারা এটাকে আল্লাহর ইবাদতহিসেবে চালু করেছিলো (একটা বেদাত)।
একজন মুসলিমদের জন্য সর্বোত্তম হচ্ছে সে এইগুলোরদিকে লক্ষ্য করবেনা। যেই সমস্ত কবিতার মাঝে উপকারীও ভালো কথা আছে সেইগুলোর মাঝে কোনো দোষ নেই।এইগুলো কেউ একজন আবৃত্তি করলে কোনো দোষ নেই,কিন্তু কোনো জলসা ব সমাবেশে না, বা কয়েকজনএকসাথে গাইবে এমন না। কবিতার কিছু উপকারী দিকআছে, মানুষ এইগুলো থেকে উপকৃত হতে পারে। যেমনরাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর সময় এমন সাহাবী ছিলো যিনিকবিতা লেখতেন। তারা তাদের কবিতা রাসুলুল্লাহ (সাঃ)কে শোনাতেন। এমনিভাবে কেউ কাজ করতে করতেক্লান্তি দূর করার জন্য কবিতা আবৃত্তি করতে পারে। এটানাশিদ না, এর দ্বারা সে কিছুটা কাজের বিরতি নিলো।কিন্তু সমাবেশে সে এইগুলো গাইবেনা, বা কয়েকজনএকসাথে কোরাসে গাওয়া – এইসবগুলো মানুষ আবিষ্কারকরে নিয়েছে।
কেউ যদি এইগুলোকে ইসলামের দিকে আরোপ না করেকরে তাহলে সেটা “লাহু” - নিতান্তই বাজে কথা।
আর কেউ যদি এইগুলোকে ইসলামের দিকে আরোপ করে(অর্থাত ইসলামিক গান বলে) তাহলে সেটা বিদআ’তহবে।
প্রশ্নকর্তাঃ শায়খ, আল্লাহ আপনাকে হেফাজত করুন।কিছু মানুষ এইগান শোনা অভ্যাসে পরিণত করেছে।তারা বাড়িতে, গাড়িতে এইগানগুলো শুনছে, একা বাছেলেমেয়েদের সাথে – এরজন্য অনেক সময় নষ্ট করছে।
শায়খঃ যেহেতু এর কোনো ভিত্তি নেই সুতরাং এটা একটাফিতনাহ। তাদের উচিত হচ্ছে কুরআনুল কারীমেরতেলাওয়াত শোনা। অনুরূপভাবে ইসলামি শিক্ষামূলকওয়াজ, লেকচার শোনা। নাশিদের জন্য সময় অপচয়করা ঠিকনা। এতে কোনো কল্যান নেই, বিনোদন ছাড়া।
ফতোয়া দিয়েছেন সউদী আরবের প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন,আল্লামাহ শায়খ সালিহ বিন ফাওজান আল-ফাওজান।ফতোয়ার লিংক –
http://www.youtube.com/watch?v=4Ee3kH0Ox88
ফতোয়া ২:
প্রশ্নঃ শায়খ কিছু নাশিদ আছে যা কয়েকজন একসাথেধফের সাথে গাওয়া হয়। এই গানগুলোর ভালো অর্থ আছেএবং মানুষকে উতসাহ উদ্দীপনা দেয়। এইগুলোর ব্যপারেআপনার মতামত কি?
উত্তরঃ ইসলামিক নাশিদের ব্যপারে অনেক কথা বলাহচ্ছে। অনেকদিন আগে আমি নিজে এইগুলো শুনেছিলাম।প্রথমদিকে যখন এইগুলো আসে তখন এটা ঠিক ছিলো।তখন এইগুলোর সাথে ধফ ছিলোনা। আর এইগুলোগানের মতো করে সুন্দর মিষ্টি সুরে গাওয়া হতোনা। তাইএইগুলো তখন কোনো ফিতনাহ সৃষ্টি করেনি। এইজিনিসগুলো (সুর/গান/বাদ্যযন্ত্রসহ গাওয়া) পরবর্তীতেমানুষ আবিষ্কার করে নিয়েছে। আস্তে আস্তে মানুষএইগুলো সাথে বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করা শুরু করে, ধফ বাঅন্যান্য। এবং হারাম গানের মতো করে সুন্দর করেগাওয়ার প্রতিযোগিতা চালু হয়। তাই, আমি এইনাশিদগুলো নিয়ে সন্তুষ্ট না। এর সবগুলো হারাম বলাযাবেনা, আবার সবগুলোকে হালালও বলা যাবেনা। বরংআমি যেই জিনিসগুলোর কথা বলেছি এইগুলো মুক্ত হলেনাশিদ জায়েজ হবে। তবে যাই হোক, নাশিদগুলো যদিধফ, গানের মতো সুন্দর করে সুর দিয়ে গাওয়া হয় তখনএইগুলো শোনা না-জায়েজ।
ফতোয়া দিয়েছেন সউদী আরবের প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন,আল্লামাহ শায়খ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসায়মিন।ফতোয়ার লিংক -
http://www.youtube.com/watch?v=Vv3wtH03bRg
ফতোয়া ৩:
প্রশ্নঃ সম্মানিত শায়খ, মার্কেটে কিছু টেপ বিক্রি করা হয়যেইগুলোতে বাদ্যযন্ত্র যেমন ধফ বা তবলা সহকারেনাশিদ আছে। এইগুলো শোনার হুকুম কি?
উত্তরঃ এইগুলো শোনা জায়েজ নয় – যদি এই বাদ্যযন্ত্রথাকে, ধফ বা অন্য যেকোনো কিছু। কিন্তু যদি কোনোপ্রকার বাদ্যযন্ত্র না থাকে তাহলে এর কথার দিকে দেখতেহবে। এইগুলো কি ভালো না খারাপ?
আমার উপদেশ তরুণদের প্রতি, তোমরা উপকারীজিনিসগুলো শোনো। উপকারী জিনিস হচ্ছে - কুরআনেরতাফসীর, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর হাদীসের ব্যখ্যা, ইসলামীজ্ঞানের উপরে কোনো আলোচনা, যার দ্বারা সে নিজে ওঅন্যেরাও উপকৃত হতে পারে।
কিন্তু এই নাশিদগুলো যেগুলোতে ধফ ছাড়া অন্যকোনবাদ্যযন্ত্র নেই, কথাগুলো ভালো হয় তাহলে বিয়েরউপলক্ষ্যে শুধু নারীরা ক্রয় করে, তাহলে তাদের জন্যএটা জায়েজ রয়েছে।
ফতোয়া দিয়েছেন সউদী আরবের প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন,আল্লামাহ শায়খ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসায়মিন(রহঃ)।
মূল ফতোয়ার লিংক -
http://www.youtube.com/watch?v=EvBSmUtWgUo&list=PL
ফতোয়া ১:
প্রশ্নঃ শায়খ বিভিন্ন জলসা ও সমাবেশে ধফ বা কোনোমিউজিক্যাল এফেক্ট ছাড়া যে “ইসলামিক নাশিদ” গাওয়াহয় এর হুকুম কি?
উত্তরঃ এর কোনো ভিত্তি নেই, এটা একটা নতুন আবিষ্কার(বিদআ’ত)।
এই নাশিদকে ইসলামের অংশ বলা হচ্ছে এবং নাম দেওয়াহয়েছে “ইসলামিক গান”।. এর দ্বারা তারা বুঝাতে চাচ্ছে– ইসলাম এই ধরণের গানের হুকুম দিয়েছে। কিন্তু এরকোনো ভিত্তি নেই।
অপরদিকে এই গানগুলো যদি আল্লাহর আনুগত্য ওনৈকট্য অর্জনের জন্য লেখা হয়ে থাকে, নিশ্চিতভাবে এটাসুফীদের লক্ষণ। সুফীরাই প্রথম মুসলমানদের মাঝেনাশিদ চালু করেছিলো। তারা এটাকে আল্লাহর ইবাদতহিসেবে চালু করেছিলো (একটা বেদাত)।
একজন মুসলিমদের জন্য সর্বোত্তম হচ্ছে সে এইগুলোরদিকে লক্ষ্য করবেনা। যেই সমস্ত কবিতার মাঝে উপকারীও ভালো কথা আছে সেইগুলোর মাঝে কোনো দোষ নেই।এইগুলো কেউ একজন আবৃত্তি করলে কোনো দোষ নেই,কিন্তু কোনো জলসা ব সমাবেশে না, বা কয়েকজনএকসাথে গাইবে এমন না। কবিতার কিছু উপকারী দিকআছে, মানুষ এইগুলো থেকে উপকৃত হতে পারে। যেমনরাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর সময় এমন সাহাবী ছিলো যিনিকবিতা লেখতেন। তারা তাদের কবিতা রাসুলুল্লাহ (সাঃ)কে শোনাতেন। এমনিভাবে কেউ কাজ করতে করতেক্লান্তি দূর করার জন্য কবিতা আবৃত্তি করতে পারে। এটানাশিদ না, এর দ্বারা সে কিছুটা কাজের বিরতি নিলো।কিন্তু সমাবেশে সে এইগুলো গাইবেনা, বা কয়েকজনএকসাথে কোরাসে গাওয়া – এইসবগুলো মানুষ আবিষ্কারকরে নিয়েছে।
কেউ যদি এইগুলোকে ইসলামের দিকে আরোপ না করেকরে তাহলে সেটা “লাহু” - নিতান্তই বাজে কথা।
আর কেউ যদি এইগুলোকে ইসলামের দিকে আরোপ করে(অর্থাত ইসলামিক গান বলে) তাহলে সেটা বিদআ’তহবে।
প্রশ্নকর্তাঃ শায়খ, আল্লাহ আপনাকে হেফাজত করুন।কিছু মানুষ এইগান শোনা অভ্যাসে পরিণত করেছে।তারা বাড়িতে, গাড়িতে এইগানগুলো শুনছে, একা বাছেলেমেয়েদের সাথে – এরজন্য অনেক সময় নষ্ট করছে।
শায়খঃ যেহেতু এর কোনো ভিত্তি নেই সুতরাং এটা একটাফিতনাহ। তাদের উচিত হচ্ছে কুরআনুল কারীমেরতেলাওয়াত শোনা। অনুরূপভাবে ইসলামি শিক্ষামূলকওয়াজ, লেকচার শোনা। নাশিদের জন্য সময় অপচয়করা ঠিকনা। এতে কোনো কল্যান নেই, বিনোদন ছাড়া।
ফতোয়া দিয়েছেন সউদী আরবের প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন,আল্লামাহ শায়খ সালিহ বিন ফাওজান আল-ফাওজান।ফতোয়ার লিংক –
http://www.youtube.com/
ফতোয়া ২:
প্রশ্নঃ শায়খ কিছু নাশিদ আছে যা কয়েকজন একসাথেধফের সাথে গাওয়া হয়। এই গানগুলোর ভালো অর্থ আছেএবং মানুষকে উতসাহ উদ্দীপনা দেয়। এইগুলোর ব্যপারেআপনার মতামত কি?
উত্তরঃ ইসলামিক নাশিদের ব্যপারে অনেক কথা বলাহচ্ছে। অনেকদিন আগে আমি নিজে এইগুলো শুনেছিলাম।প্রথমদিকে যখন এইগুলো আসে তখন এটা ঠিক ছিলো।তখন এইগুলোর সাথে ধফ ছিলোনা। আর এইগুলোগানের মতো করে সুন্দর মিষ্টি সুরে গাওয়া হতোনা। তাইএইগুলো তখন কোনো ফিতনাহ সৃষ্টি করেনি। এইজিনিসগুলো (সুর/গান/বাদ্যযন্ত্রসহ গাওয়া) পরবর্তীতেমানুষ আবিষ্কার করে নিয়েছে। আস্তে আস্তে মানুষএইগুলো সাথে বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করা শুরু করে, ধফ বাঅন্যান্য। এবং হারাম গানের মতো করে সুন্দর করেগাওয়ার প্রতিযোগিতা চালু হয়। তাই, আমি এইনাশিদগুলো নিয়ে সন্তুষ্ট না। এর সবগুলো হারাম বলাযাবেনা, আবার সবগুলোকে হালালও বলা যাবেনা। বরংআমি যেই জিনিসগুলোর কথা বলেছি এইগুলো মুক্ত হলেনাশিদ জায়েজ হবে। তবে যাই হোক, নাশিদগুলো যদিধফ, গানের মতো সুন্দর করে সুর দিয়ে গাওয়া হয় তখনএইগুলো শোনা না-জায়েজ।
ফতোয়া দিয়েছেন সউদী আরবের প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন,আল্লামাহ শায়খ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসায়মিন।ফতোয়ার লিংক -
http://www.youtube.com/
ফতোয়া ৩:
প্রশ্নঃ সম্মানিত শায়খ, মার্কেটে কিছু টেপ বিক্রি করা হয়যেইগুলোতে বাদ্যযন্ত্র যেমন ধফ বা তবলা সহকারেনাশিদ আছে। এইগুলো শোনার হুকুম কি?
উত্তরঃ এইগুলো শোনা জায়েজ নয় – যদি এই বাদ্যযন্ত্রথাকে, ধফ বা অন্য যেকোনো কিছু। কিন্তু যদি কোনোপ্রকার বাদ্যযন্ত্র না থাকে তাহলে এর কথার দিকে দেখতেহবে। এইগুলো কি ভালো না খারাপ?
আমার উপদেশ তরুণদের প্রতি, তোমরা উপকারীজিনিসগুলো শোনো। উপকারী জিনিস হচ্ছে - কুরআনেরতাফসীর, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর হাদীসের ব্যখ্যা, ইসলামীজ্ঞানের উপরে কোনো আলোচনা, যার দ্বারা সে নিজে ওঅন্যেরাও উপকৃত হতে পারে।
কিন্তু এই নাশিদগুলো যেগুলোতে ধফ ছাড়া অন্যকোনবাদ্যযন্ত্র নেই, কথাগুলো ভালো হয় তাহলে বিয়েরউপলক্ষ্যে শুধু নারীরা ক্রয় করে, তাহলে তাদের জন্যএটা জায়েজ রয়েছে।
ফতোয়া দিয়েছেন সউদী আরবের প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন,আল্লামাহ শায়খ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসায়মিন(রহঃ)।
মূল ফতোয়ার লিংক -
http://www.youtube.com/
No comments:
Post a Comment