শুরু করছি মহান আল্লাহর নামে যানি পরম করুনাময়, অসীম দয়ালু।
উত্তরঃ ছালাতে শামিল হওয়ার জন্য দ্রুত পায়ে হেঁটে আসা নিষিদ্ধ।
কেননা রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ
إِذَا أُقِيمَتِ الصَّلَاةُ فَلَا تَأْتُوهَا تَسْعَوْنَ وَأْتُوهَا تَمْشُونَ عَلَيْكُمُ السَّكِينَةُ فَمَا أَدْرَكْتُمْ فَصَلُّوا وَمَا فَاتَكُمْ فَأَتِمُّوا
“যখন নামাযের ইক্বামত প্রদান করা হয় তখন তাড়াহুড়া করে নামাযের দিকে আসবে না। বরং হেঁটে হেঁটে ধীর স্থির এবং শান্তভাবে আগমন করবে। অতঃপর নামাযের যতটুকু অংশ পাবে আদায় করবে। আর যা ছুটে যাবে তা (পরে) পূর্ণ করে নিবে।”
অবশ্য কোন কোন বিদ্বান বলেন, ইমাম যদি রুকূতে থাকে তখন রুকূ পাওয়ার জন্য সামান্য জোরে হেঁটে যাওয়াতে কোন দোষ নেই। কিন্তু লোকেরা খুব জোরে হাঁটে বা দৌড় শুরু করে। এটাই নিষিদ্ধ। কিন্তু হাদীছের প্রতি আমল করে ধীর-স্থির ও প্রশান্তির সাথে হেঁটে যাওয়াই উত্তম- যদিও এক বা ততোধিক রাকাআত ছুটে যায়।
প্রশ্নঃ (২২৬) জামাআত চলাবস্থায় ইমামের সাথে রাকাআত ধরার জন্য দ্রুত চলার বিধান কি?
উত্তরঃ মসজিদে প্রবেশ করে আপনি ইমামকে রুকূ অবস্থায় পেলে তাড়াহুড়া করে দ্রুত হেঁটে বা দৌড়িয়ে নামাযে শামিল হবেন না। কাতারে মিলিত না হয়ে একাকীও নামাযে দাঁড়াবেন না। কেননা জনৈক ছাহাবী আবু বাকরা (রাঃ) একাকী নামাযে দাঁড়ানোতে
প্রশ্নঃ (২২৬) জামাআত চলাবস্থায় ইমামের সাথে রাকাআত ধরার জন্য দ্রুত চলার বিধান কি?
উত্তরঃ মসজিদে প্রবেশ করে আপনি ইমামকে রুকূ অবস্থায় পেলে তাড়াহুড়া করে দ্রুত হেঁটে বা দৌড়িয়ে নামাযে শামিল হবেন না। কাতারে মিলিত না হয়ে একাকীও নামাযে দাঁড়াবেন না। কেননা জনৈক ছাহাবী আবু বাকরা (রাঃ) একাকী নামাযে দাঁড়ানোতে
নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বলেছিলেন,
زَادَكَ اللَّهُ حِرْصًا وَلَا تَعُدْ
“আল্লাহ্ তোমার আগ্রহ বৃদ্ধি করে দিন। তুমি এরূপ আর কখনো করিও না।”
প্রশ্নঃ (২২৭) মুছল্লীদের মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটে এমনভাবে উচ্চৈঃস্বরে কুরআন তেলাওয়াত করার বিধান কি?
উত্তরঃ মসজিদে বসে উচ্চৈঃস্বরে কুরআন তেলাওয়াত করলে যদি মুছল্লীদের বা শিক্ষার্থীদের বা অন্য কুরআন পাঠকের মনোযোগে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়, তবে তা হারাম। কেননা এব্যাপারে নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আল বায়াযী (ফারওয়া বিন আমর) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মসজিদে এসে দেখেন লোকেরা নামায আদায় করছে কিন্তু কুরআন পাঠের কন্ঠ উঁচু শোনা যাচ্ছিল।
প্রশ্নঃ (২২৭) মুছল্লীদের মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটে এমনভাবে উচ্চৈঃস্বরে কুরআন তেলাওয়াত করার বিধান কি?
উত্তরঃ মসজিদে বসে উচ্চৈঃস্বরে কুরআন তেলাওয়াত করলে যদি মুছল্লীদের বা শিক্ষার্থীদের বা অন্য কুরআন পাঠকের মনোযোগে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়, তবে তা হারাম। কেননা এব্যাপারে নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আল বায়াযী (ফারওয়া বিন আমর) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মসজিদে এসে দেখেন লোকেরা নামায আদায় করছে কিন্তু কুরআন পাঠের কন্ঠ উঁচু শোনা যাচ্ছিল।
তখন তিনি বললেন,
]إِنَّ الْمُصَلِّيَ يُنَاجِي رَبَّهُ عَزَّ وَجَلَّ فَلْيَنْظُرْ أَحَدُكُمْ بِمَا يُنَاجِي رَبَّهُ وَلَا يَجْهَرْ بَعْضُكُمْ عَلَى بَعْضٍ بِالْقِرَاءَةِ[
“একজন মুছল্লী নামাযে আপন পালনকর্তার সাথে গোপনে কথা বলে। অতএব সে যেন লক্ষ্য করে কি বলছে তার পালনকর্তাকে। আর পরস্পরে উঁচু স্বরে কুরআন পাঠ করবে না।”
অনুরূপভাবে হাদীছটি আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে আবু দাঊদও বর্ণনা করেন।
No comments:
Post a Comment