Sunday, 17 August 2014

কবর খনন করার পদ্ধতি ও ফযীলত এবং লাশ রাখার নিয়ম


শুরু করছি মহান আল্লাহর নামে,যিনি পরম করুনাময় অসীম দয়ালু।

প্রশ্নঃ কবর খনন করার পদ্ধতি ও ফযীলত এবং লাশ রাখার নিয়ম বিস্তারিত জানিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর : কবর খনন করা নিঃসন্দেহে নেকীর কাজ। এজন্য ঐ ব্যক্তি অশেষ ছওয়াবের অধিকারী হবেন। কেননা মহান আল্লাহ বলেন, ‘নেকীর কাজে তোমরা পরস্পরে সহযোগিতা কর…’ (মায়েদাহ ২)
কবর প্রশস্ত, গভীর ও সুন্দর হ’তে হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘তোমরা কবর খননকর এবং প্রশস্ত, গভীর ও সুন্দর কর’ (আহমাদতিরমিযীমিশকাত হা/১৭০৩সনদ ছহীহ, ‘জানাযা’ অধ্যায়)।গভীরতার পরিমাণ সম্পর্কে ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) হ’তে মুছান্নাফ ইবনুআবী শায়বাহ্তে একটি রেওয়ায়াত এসেছে, যেখানে মানুষের দৈর্ঘ্য পরিমাণ গভীর করতে বলা হয়েছে। ইমাম শাফেঈও সেকথা বলেন। খলীফা ওমর ইবনু আবদুল আযীয (রহঃ)থেকে ‘নাভী’ পর্যন্ত গভীর করার কথা এসেছে। ইমাম ইয়াহ্ইয়া ‘বুক’ পর্যন্ত বলেন। তিনি বলেন, এর সর্বনিম্ন পরিমাণ হ’ল যাতে লাশ ঢাকা পড়ে এবংহিংস্র জন্তু থেকে হেফাযত হয়। ইমাম মালেক (রহঃ) বলেন, কবরের গভীরতার কোন সীমা নেই’ (শাওকানীনায়লুল আওত্বার ৫/৯৪ পৃঃ)। উপরের আলোচনা শেষে বলা চলেযে, কবর উত্তর-দক্ষিণে লম্বা, গভীর, প্রশস্ত, সুন্দর ও মধ্যস্থলে বিঘত খানেক উঁচু করে দু’দিকে ঢালু হওয়া বাঞ্ছনীয়। অধিক উঁচু করা নাজায়েয। ‘লাহদ’ ও ‘শাক্ব’ দু’ ধরনের কবর জায়েয আছে। যাকে এদেশে যথাক্রমে ‘পাশখুলি’ ও ‘বাক্স কবর’ বলা হয়। তবে ‘লাহদ’ উত্তম।
মাইয়েতকে কবরে নামানোর দায়িত্ব পুরুষদের। মাইয়েতের উত্তরাধিকারীদের মধ্যে নিকটবর্তীগণ ও সর্বাধিক প্রিয় ব্যক্তিগণ এই দায়িত্ব পালন করবেন, যিনি পূর্বরাতে (বা দাফনের পূর্বে) স্ত্রী সহবাস করেননি।পায়ের দিক দিয়ে মোর্দা কবরে নামাবে (অসুবিধা হ’লে যেভাবে সুবিধা সেভাবে নামাবে)। মোর্দাকে ডান কাতে ক্বিবলামুখী করে শোয়াবে। এই সময় কাফনের কাপড়ের গিরাগুলি খুলে দেবে(বুখারীমিশকাত হা/১৬৯৫ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/২৯০)
কবরে শোয়ানোর সময় ‘বিসমিল্লা-হি ওয়া আলা মিল্লাতে রাসূলিল্লা-হ (অর্থ: ‘আল্লাহ্র নামে ওআল্লাহ্র রাসূলের দ্বীনের উপরে’) বলবে। এই সময় কোন সুগন্ধি বা গোলাপ পানি ছিটানো বিদ‘আত। কবর বন্ধ করার পরে উপস্থিত সকলে (বিসমিল্লাহ বলে) তিন মুঠি করে মাটি কবরের মাথার দিক থেকে পায়ের দিকে ছড়িয়ে দেবে। এ সময় ‘মিনহা খালাক্বনা-কুম ওয়া ফীহানুঈদুকুম ওয়া মিনহা নুখরিজুকুম তা-রাতান উখরা(ত্বোয়াহা ২০/৫৫)পড়ার কোন ছহীহ দলীল নেই(আহমাদ হা/২২২৪১সনদ যঈফ)। অনুরূপ ভাবেআল্লা-হুম্মা আজিরহা মিনাশ শায়ত্বা-নিওয়া মিন আযা-বিল ক্বাবরে...পড়ার কোন ছহীহ ভিত্তি নেই(ইবনু মাজাহ হা/১৫৫৩সনদযঈফ)
ht
দাফনের পরে মাইয়েতের ‘তাছবীত’ অর্থাৎ মুনকার ও নাকীর (দু’জন অপরিচিত ফেরেশতা)-এর সওয়ালের জওয়াব দানের সময় যেন তিনি দৃঢ় থাকতে পারেন, সেজন্য ব্যক্তিগত ভাবে সকলের দো‘আ করা উচিত। যেমন এসময়‘আল্লা-হুম্মাগফির লাহূ ওয়া ছাবিবতহু’ (অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি তাকেক্ষমা করুন ও তাকে দৃঢ় রাখুন’) বলবে(আবুদাঊদ হা/৩২২১)। এছাড়া আললাহুম্মাগফিরলাহু ওয়ার হামহু.. মর্মে বর্ণিত দো‘আটিও পড়তে পারে(মুসলিমহা/৩৩৬)।কিন্তু দাফনের পরে একজনের নেতৃত্বে সকলে সম্মিলিতভাবে হাত উঠিয়ে দো‘আ করাও সকলের সমস্বরে ‘আমীন’ ‘আমীন’ বলার প্রচলিত প্রথার কোন ভিত্তিনেই (দ্রঃ ছালাতুর রাসূল(ছাঃ) ২৩০-৩২ পৃঃ
source.at tahreek

No comments:

Post a Comment

Download AsPDF

Print Friendly and PDFPrint Friendly and PDFPrint Friendly and PDF
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...