ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের ব্যাপারে ইসলামের বিধান কী?
ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীদের ব্যাপারে ইসলামের বিধান কী?
— মাদীনাহ ইউনিভার্সিটির হাদীস ফ্যাকাল্টির সাবেক ডিন এবং ‘আক্বীদাহ ডিপার্টমেন্টের সাবেক চেয়ারম্যান, আল-ইমাম, আল-‘আল্লামাহ ড. মুহাম্মাদ আমান ইবন ‘আলী আল-জামী (রাহিমাহুল্লাহ):
.❝বর্তমানে এই শ্রেণির লোকদের সংখ্যা অনেক। বিশেষত ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীরা, যারা তাদের ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের ব্যাপারে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছে। তারা বলে, “ইসলামের বিধিবিধান বর্তমান যুগের জন্য উপযোগী নয়।”
প্রকৃতপক্ষে প্রত্যেক ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী কাফির এবং মুরতাদ (ধর্মত্যাগী), চাই সে প্রাচ্যবাসী হোক কিংবা পাশ্চাত্যবাসী। ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ ইহুদি-ধর্ম ও খ্রিষ্টধর্মের চেয়ে ভয়ংকর কুফুরি। কেননা ইসলাম কিতাবধারী ইহুদি-খ্রিষ্টানদের প্রাক-কিতাব তাওরাত ও ইনজীলকে মর্যাদা দিয়েছে এবং মুসলিমদের জন্য তাদের জবেহকৃত পশু ভক্ষণ করা হালাল করেছে।
আল্লাহ বলেছেন, وَطَعَامُ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ حِلٌّ لَكُمْ “যাদেরকে কিতাব প্রদান করা হয়েছে, তাদের খাবার তোমাদের জন্য বৈধ।” (সূরাহ মাইদাহ: ৫) মুসলিমদের ঐক্যমতের ভিত্তিতে তাদের জবেহ বৈধ। উক্ত আয়াতে ‘খাবার’ বলার মাধ্যমে তাদের জবেহকৃত পশু উদ্দেশ্য করা হয়েছে।
ইসলাম তাদের মধ্যকার সতী মহিলাদের সাথে আমাদের বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়াকে হালাল করেছে। কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীর জবেহ হালাল নয়। ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী নারী কোনো মুসলিমের জন্য হালাল নয়। কেননা তারা মুরতাদ।
মুরতাদ, অগ্নিপূজক ও মূর্তিপূজকদের সাথে হিন্দু ও বৌদ্ধদের কোনো পার্থক্য নেই। যারা ভূপৃষ্ঠের (মানবরচিত) ধর্মে বিশ্বাস করে। তাদের কোনো আসমানী ধর্ম নেই। তারা সবাই কুফফার। ইসলামের অনুযায়ী ইহুদি-খ্রিষ্টানদের চেয়েও কঠোর আচরণ করা হবে তাদের সাথে।
আমাদের জেনে রাখা উচিত, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীরা সবাই মুরতাদ ও কুফফার। আমাদের আরও জানা উচিত যে, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ হলো—সকল ধর্মকে অস্বীকার করা এবং কোনো ধর্মের সাথে সম্পৃক্ততা না রাখা। তারা এটাকে বলে স্বাধীনতা! অথচ তা পশুর মতো স্বাধীনতা।❞
উৎস: @alandalussalafe
অনুবাদক: আব্দুর রহমান মৃধা
No comments:
Post a Comment