নামায না পড়াকে যারা ছোটখাট বিষয় মনে করেন...
আল্লাহ কুরআনে বার বার জোর দিয়ে বলেছেনঃ
"যালিকা ইয়াওমুল হাক্কু" - এই দিন নিশ্চিতই আসবে!
নেক্সট টাইম ফরয নামায ত্যাগ করার আগে চিন্তাকরবেন, আমি কি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের কথা বিশ্বাসকরি?
যদি বিশ্বাস করে থাকেন, তাহলে আপনি ফরয নামাযকোনোমতেই ত্যাগ করতে পারবেন না।
আর যদি ত্যাগ করেন, তাহলে আপনি কি আল্লাহর কথাবিশ্বাস করলেন?
একটু চিন্তা করে দেখুন - এই আয়াতে আসলে কাদের কথাবলা হয়েছে...
"আর মানুষের মধ্যে এমন কিছু লোক এমন রয়েছে যারাবলে, আমরা আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান এনেছিঅথচ আদৌ তারা ঈমানদার নয়।" (বাক্বারাহঃ ৮)
*এই আয়াতে যাদের কথা বলা হয়েছে এরা আসলেমুনাফেক, মুখে দাবী করে আমরা ঈমানদার অথচ তাদেরঅন্তরে আল্লাহর প্রতি ঈমান নেই...
***ফরয নামায না পড়ার শাস্তিঃ
একবার এক স্বপ্নে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে কয়েকটি পাপেরশাস্তি দেখানো হয়। উল্লেখ্য, নবী-রাসুলদের সব স্বপ্নওহী, অর্থাত আল্লাহর পক্ষ থেকে সত্য স্বপ্নঃ
একদিন সকালে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ "আজ রাতেআমার কাছে দুইজন আগন্তুক এসেছিল। তারা আমাকেবললো, আমাদের সাথে চলুন। আমি তাদের সাথেগেলাম। আমরা এমন এক লোকের কাছে পৌঁছলাম, যেচিত হয়ে শুয়ে ছিলো। অপর এক ব্যক্তি পাথর নিয়ে তারসামনে দাঁড়িয়ে আছে। সে পাথর দিয়ে শুয়ে থাকা ব্যক্তিরমাথায় আঘাত করছে এবং থেঁতলে দিচ্ছে। যখন সেপাথর নিক্ষেপ করছে তা গড়িয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে।লোকটি গিয়ে পাথরটি পুনরায় তুলে নিচ্ছে। এবং তানিয়ে ফিরে আসার সাথে সাথেই লোকটির মাথা পুনরায়পূর্বের মতো ভালো হয়ে যাচ্ছে। সে আবার লোকটিরকাছে ফিরে আসছে এবং তাকে পূর্বের মতো শাস্তি দিচ্ছে।রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, আমি আমার সংগী দুইজনকেজিজ্ঞাস করলামঃ সুবহা’ন-আল্লাহ! এরা কারা? তারাপরবর্তীতে উত্তর দেন, সে হচ্ছে এমন ব্যক্তি যারা কুরানমুখস্থ করে তা পরিত্যাগ করে এবং ফরয নামায নাপড়েই ঘুমিয়ে পড়ে”।
সহীহ বুখারী, রিয়াদুস সালেহীনঃ ১৫৪৬।
নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক, হে আল্লাহ আমাদের অতীতেরভুল ত্রুটিগুলো মাফ করো এবং ভবিষ্যতে সমস্ত গুনাহথেকে বেঁচে থাকার তোওফিক দান করো, আমীন।
***নামায ওয়াক্ত অনুযায়ীই পড়তে হবে, নিজের মনমতো সময়ে পড়লে গ্রহণযোগ্য হবেনাঃ
"ইন্নাস-সালাতি কানাত আ'লাল মুমিনিনা কিতাবানমাওক্বুতা।"
অর্থঃ নিশ্চয়ই নামায মুমিনদের জন্য সুনিদিষ্ট সময়েরসাথেই ফরয করা হয়েছে।
সুরা আন-নিসা, আয়াত ১০৩।
***ওয়াক্ত অনুযায়ী নামায না পড়লে তার শাস্তিঃ
"ফাওয়াই লুল্লিল মুসাল্লিন, আল্লাযীনা হুম আ'ন-সালাতিমসাহুন।"
অর্থঃ অতএব দূর্ভোগ ঐ সমস্ত নামাযীদের জন্য, যারানিজেদের নামাযের ব্যাপারে উদাসীন।"
সুরা আল-মাউন, আয়াত ৪-৫।
লক্ষ্যণীয় বিষয়ঃ এখানে উদাসীন বলতে যারা নামাযপড়ে, কিন্তু দেরী কড়ে পড়ে তাদেরকে বুঝানো হয়েছে।যেই ব্যক্তি নামায পড়ে কিন্তু দেরী করে পড়ে, তাকেইযদি জাহান্নামের ওয়াইল নামক স্থানে (জাহান্নামের একটিচূড়াতে) যেতে হয়, তাহলে যেই ব্যক্তি নামায পড়েই নাতার জাহান্নামের কোন কঠিন ও ভয়াবহ স্থানে যেতেহবে...?
কথা হলো ঈমান......
কেউ যদি সত্যিই বিশ্বাস করে জাহান্নামের আগুনে পুড়তেহবে - আর মৃত্যুর পরের জীবন দুনিয়ার জীবনের মতোইআরেকটা জীবন, বরং সময়ের দিক থেকে সেটাতোঅনন্ত - তাহলে অবশ্যই সে যত যাই থাকুক অন্তত ফরযনামাযটা হলেও আদায় করার চেষ্টা করবে...
আর যার ঈমান শুধু মুখে, অন্তরে নাই - সে বলবেঃ এইপড়বো, পড়া দরকার ব্লা ব্লা। কিন্তু পড়ার জন্য যেউদ্যোগ ও চেষ্টা করা দরকার সেটা কোনোদিন করবেনা।
আল্লাহ আমাদেরকে পূর্ণ ৫ ওয়াক্ত নামাযী হিসেবেই মৃত্যুদান করুন, আমীন
No comments:
Post a Comment