Wednesday 10 September 2014

প্রশ্নঃ পা ছুঁয়ে সালাম করা যাবে?




সাবধান ! মুসলমানদের মাঝে হিন্দুদের আকীদা ও আমল ঢুকে গেছে !!

প্রশ্নঃ পা ছুঁয়ে সালাম করা যাবে? বিয়ের পরে অনেক শ্বশুর-শাশুরি বাধ্য করে পা ছুঁয়ে সালাম করার জন্য, কি করবো?

উত্তরঃ পা ছুঁয়ে সালাম করাকদমবুসি করা বা পায়ে চুমু খাওয়াপদধূলি নেওয়া - এ সবগুলো হচ্ছে মুশরেক জাতি হিন্দুদের অনুকরণে নিকৃষ্ট বিদআত। মূলত কবর মাযার পূজারী আর পীর পূজারীরা মুসলমানদের মাঝে এই কুপ্রথা ঢুকিয়েছে। উল্লেখ করা যেতে পারে, এই বেদাতীরা কবর মাযার ও তাদের পীর বুজুর্গদেরকে সেজদাহ পর্যন্ত করে (নাউযুবিল্লাহ), সুতরাং পা ছুঁয়ে সালাম করা এদের কাছে কোন ব্যপারই না।

আফসোস ! আজ পর্যন্ত কোনো হিন্দু বা কাফেরকে দেখলামনা মুসলমানদের কোনো কিছু অনুকরণ করতে। মুসলমান জাতি কেনো হিন্দুয়ানি কালচার ফলো করার জন্য এতো দিওয়ানা হবে?

বিঃ দ্রঃ পা ছুঁয়ে সালাম করতে গেলে মাথা কোনো মানুষের সামনে ঝুঁকানো হয়যা শিরক। মুসলমানদের মাথা শুধুমাত্র এক আল্লাহর সামনেই নত হয় - নামাযের রুকু ও সিজদাতেঅন্য কারো জন্য না।
সমস্যা হচ্ছে, সমাজের অজ্ঞ লোকদেরকে নিয়ে  জানেনা ইসলাম একফোটা, ক্বুরান হাদীস না জেনেই বড় বড় ফতোয়া ছাড়ে আর নিরিহ বউদেরকে বাধ্য করে এই হারাম কাজ করার জন্য। দেবদাস মার্কা স্বামী খাম্বার মতো দাঁড়িয়ে থাকে  তার বউকে হারাম কাজে বাধ্য করা হচ্ছে, বাঁধা না দিয়ে বোবা শয়তান সেজে বসে থাকে। মোস্ট প্রবাবলি, এই ধরণের লোকগুলো মানুষকে খুশি করার জন্য নিজেও শ্বশুড়বাড়ি গিয়ে পায়ের ধূলা নেওয়ার জন্য অন্যের পায়ের উপর হুমড়ি খেয়ে পড়ে। এদেরকে ইসলাম শেখানো জরুরী, এদের মূর্খতার কারণে পুরো সমাজে বিপর্যয় দেখা যাচ্ছে, নিজে ইসলাম জানেনা অন্যদের ইসলাম পালনে বাঁধা সৃষ্টি করে। সমাজের লোকেরা পাপ কাজে লিপ্ত থাকলে যদি আযাব আসে, সেটা কিন্তু ভালো-মন্দ সবাইকে স্পর্শ করে। তাই আমাদের মুসলমানদেরকে জমীন থেকে শিরক ও বেদাত উৎখাত করার জন্য ক্বুরান ও সুন্নাতের দাওয়াত ও তাবলীগে আরো বেশি মনোযোগী হতে হবে।  

যেই প্রসংগে কথাগুলো বলাঃ

শ্বশুড়-শ্বাশুড়ি আশা করলেই যে সব আশা পূরণ করতে হবে এমন না, হারাম কাজে তাদের কেন, স্বামীর আদেশও মান্য করা যাবেনা। ইসলামের বিধান হচ্ছেঃ জায়েজ কাজে স্বামীর আনুগত্য করতে হবেযদিও সেটা কোনো স্ত্রীর ভালো না লাগে বা সে ঐ বিষয়ের সাথে একমত না হয়।
কিন্তুস্বামী যদি এমন কোনো কথা বলেযা কুরআন ও সুন্নাহর বিপরীত তাহলে সেটা মানা যাবেনা। আজকাল অনেক মুসলিম(!) পুরুষ তার স্ত্রী পর্দা করুক পছন্দ করেনাএই ব্যাপারে স্বামীর অনুগত্য করা চলবেনা। এ প্রসংগে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামবলেছেনঃ 
খালিক (সৃষ্টিকর্তার) অবাধ্য হয়ে কোনো মাখলুকের (সৃষ্টির) আনুগত্য নেই
মুসনাদে আহমাদ ও হাকিম।

আর কেউ যদি মানুষকে খুশি করার জন্য আল্লাহর আদেশ অমান্য করে তাহলে তার পরিণতি সম্পর্কে রাসুলসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
যে ব্যক্তি মানুষকে সন্তুষ্ট করার আল্লাহ তাআলাকে অসন্তুষ্ট করে, তাহলে আল্লাহ তাআলা তার প্রতি অসন্তুষ্ট হন। পরিণতিতে আল্লাহ তাআলাকে অসন্তুষ্ট করিয়া যাদেরকে সে সন্তুষ্ট করিয়াছিল, তারাও অসন্তুষ্ট হয়। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে মানুষকে অসন্তুষ্ট করেআল্লাহ তাআলা তার প্রতি সন্তুষ্ট হন এবং আল্লাহ তাআলাকে সন্তুষ্ট করার জন্যে যাহাদেরকে সে অসন্তুষ্ট করেছিলো, তাদেরকেও আল্লাহ তাআলা সন্তুষ্ট করেন। সেই সব অসন্তুষ্ট লোকদের দৃষ্টিতে আল্লাহ তাআলা তাকে উত্তম করে দেনসেই ব্যাক্তির কথা ও কাজকে তাহাদের দৃষ্টিতে শোভণীয় করে দেন।

সুনানে আত-তিরমিযী। 

No comments:

Post a Comment

Download AsPDF

Print Friendly and PDFPrint Friendly and PDFPrint Friendly and PDF
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...